#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ০৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
হ্যারির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। কালকে তো এনা ঔ তিনজনকে সেইরকম মেরেছিলো৷ কিন্তু দোষ তো আমাদের না এখানে। দোষ করেছে ঔ তিনজন। আমাদের কেনো শাস্তি দেওয়া হবে বুঝতে পারছি না৷ সভাপতি আমাদের দিকে আসতে লাগলেন।
.
–তো মিস্টার জ্যাকসন ব্রিট। আমার ছোট ভাই আর তার বাকি দুই বন্ধুকে তাহলে তোমরা দুজনই মেরেছো। যাক আমি রাগ করি নাই। ভুল আমার ভাইয়েরই ছিলো। কিন্তু আমার ভাই কোনো মেয়ের কাছ থেকে হেরে আসবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।(হ্যারি)
.
–তো কি করবেন?(এনা)
.
–স্টুডেন্ট কাউন্সিললের নিয়ম মোতাবেক কল ফাইট করতে হবে তোমাদের। যদি জিততে পারো তাহলে তোমাদের উপরে কোনো অভিযোগ হবে না। কিন্তু যদি হেরে যাও তাহলে তিনজনকে মারার মিথ্যা অভিযোগ তোমাদের উপরে দিয়ে তোমাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবো।(হ্যারি)
.
–যা ইচ্ছা করেন আপনি। আপনার ধমকে ভয় পাবার মতো মেয়ে না আমি।(এনা)
.
–ভয় পেতে বলছে কে? ম্যাচে উপস্থিত না হলে তোমাদের ১০ আঙ্গুলের একটা থাকবে না আগেই বলে দিচ্ছি।(হ্যারি)
.
–ওকে আমরা রাজি।(জেসি)
.
–কল ফাইটের নিয়ম না জানলে লাইব্রেরী থেকে জেনো নিয়ো।(হ্যারি)
.
–আমাদের সেটার প্রয়োজন নেই। শুধু আমাদের বিরোধীদের সাবধান থাকতে বইলেন।(জেসি)
.
–হুমমম দেখা যাবে।(হ্যারি)
।।।
।।।
সবাই যার যার মতো ক্লাসে যেতে লাগলো। এনা জেসিকে বলতে লাগলো,
.
–কল ফাইটে রাজি হবার কি দরকার ছিলো?(এনা)
.
–আমাদেরকে এভাবে চ্যালেন্জ দিচ্ছিলো আমরা কি সেটা না বলতে পারি।(জেসি)
.
–কিন্তু আমরা তো কখনো কল ফাইট করি নি। আর তারপর আমরা দুজন মেয়ে।(এনা)
.
–তো ভয় পাচ্ছিস কেনো। আমরা মেয়ে বলে কি ছেলেদের মারতে পারবো না? আর এমনিতেও তো তুই কালকে ঔ তিনজনকে মারলি।(জেসি)
.
–হ্যা কিন্তু আমি শুনেছি হ্যারি নাকি জেনারেল লুসেফারের ছেলে। ওকে হারানো তো আমাদের পক্ষে কখনো সম্ভব না।(এনা)
.
–এই লুসেফারটা আবার কে?(আমি)
.
–তোকে নিয়ে কি যে করবো আমি। লুসেফার হলো Devil রাজার চার নম্বর জেনারেল।(জেসি)
.
–এই devil রাজা আবার কে?(আমি)
.
–তোকে বোঝাতে গেলে আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।(জেসি)
.
— সাটান ক্রস তিনিই শেষ ডেভিল রাজা ছিলেন। আর তার চারজন শক্তিশালী জেনারেল ছিলো। তার মধ্যেই জেনারেল লুসেফার একজন।(এনা)
.
–ছিলো বলতে এখন নেই?(আমি)
.
–দেখো আমাদের এই মনস্টার দুনিয়ার অনেক বড় একটা ইতিহাস রয়েছে। এখানে এক সময় মানুষ ও বাস করতো। আমরা মনস্টার মানুষ সবাই এক সাথেই বাস করতাম। দেখতে দেখতে অনেক মনস্টার ক্রমে ক্রমে হাফ মনস্টারে পরিনত হতে লাগলো। মনস্টার আর মানুষদের ভালোবাসা দেখে ডেভিল রাজা সাটানের অনেক জ্বলতে লাগলো। তখন তিনিই ছিলেন এই পুরো মনস্টার রাজ্যের একমাত্র রাজা। তার কথামতোই এখানের মনস্টাররা কাজ করতো। কিন্তু মানুষদের প্রতি তার ঘৃণা এতো বেরে গেলো যে তিনি তার চার জেনারেলকে হুকুম দিলেন সব মানুষ এবং মানুষদের সাথে যে মনস্টার আছে তাদের হত্যা করে ফেলতে।(এনা)
.
–তাহলে এখানের সব মানুষদের তিনি হত্যা করে ফেলেছিলো?(আমি)
.
–হ্যা। আর তখনি পাঁচজন সাধারন জনতা এগিয়ে আসে। তাদের মধ্যে একজন ভ্যাম্পায়ার একজন হাফ demon, একজন ফায়ার ওলফ(আগুনযুক্ত নেকড়ে বাঘ), একজন ডেভিল, আর একজন ছিলো মেমথ(হাতির মতো সূড় ওয়ালা মনস্টার)।(জেসি)
.
–আর এই পাঁচজন তাদের আচরন দ্বারা সাধারন সব মনস্টার দের নিয়ে সাটানের বিশাল বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে।(এনা)
.
–শেষে কি হয়?(আমি)
.
–সাটান হেরে যায় তার মেয়ের জন্য। তার মেয়ে সাধারন একটা মানুষকে ভালোবাসতো। সে ও সাটানের জন্য মারা যায়। তাই সাটান এর মেয়ে প্রিন্সেস সুজান রাজ দরবারের গোপন দরজা দিয়ে শত্রুপক্ষ ঢুকিয়ে দেই।(জেসি)
.
–তাহলে ডেভিল রাজা নিজের মেয়ের জন্যই হেরে যায়।(আমি)
.
–হ্যা।(এনা)
.
–তবে এখনো মনে করা হয় নতুন ডেভিল রাজা জন্ম নিবে আবার।(জেসি)
.
–জন্ম নিবে কেনো? রাজা মারা যাবার পর রাজার জেনারেলরাই তো রাজা হতে পারতো। কিংবা রাজার মেয়েই তো রানী হতে পারতো।(আমি)
.
–সবাই সেটাই ভেবেছিলো। সাটান এর মেয়ে রানী হলে এই দুনিয়া পুরো পাল্টে যেতো। কিন্তু অনেক বড় দুঃখ পেয়েছিলো সে তার ভালোবাসা হারিয়ে। তাই তিনি তখন সেই পাঁচজন যারা প্রথমে সাটানের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলো তাদেরকে পুরো রাজ্য পাঁচ ভাগ করে পাঁচ রাজ্য করে সেখানের রাজা বানিয়ে দেই।(এনা)
.
–হ্যা এইটুকু আমি পড়েছি। এই দুনিয়ার রানীর কাছ থেকে পাঁচ বীর যোদ্ধা পাঁচটা রাজ্যের রাজা হয়। কিন্তু যে বইতে পড়েছি সেখানে তো ডেভিলের কোনো কথা লেখা ছিলো না।(আমি)
.
–ডেভিলের কাহিনী এখনো লেখা হয়নি কোথাও। কোথাও ডেভিলকে নিয়ে লেখলেই সেটা আগুনে পুড়ে যায়।(জেসি)
.
–ওওওও।(আমি)
.
–আর ডেভিল রাজারা কখনো নিজের ইচ্ছা কিংবা জনগনের ইচ্ছায় রাজা হয় না। একটা সাধারন ডেভিলের পিঠে দিটো জেনারেলের পিঠে চারটা আর একজন রাজার পিঠে দশটা কালো পাখা থাকে। যে ডেভিলের দশটা পাখা হয় সেই ডেভিল রাজা হয়। কিন্তু এক রাজা মারা যাবার পর তার ছেলে বা মেয়েরই এই দশ পাখা হয়। কিন্তু আজ ১ হাজার বছর হয়েছে কিন্তু এখনো নতুন ডেভিল রাজা জন্ম নেই নি।(এনা)
.
–নতুন ডেভিল রাজা জন্ম নিলে কি হবে?(আমি)
.
–কি হবে আর? তার জেনারেলগুলো তাকে সিংহাসনে বসাবে আবার। আর বাকি পাঁচটা রাজারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আবার।(জেসি)
.
–ওওওও।(আমি)
.
–হ্যা। আচ্ছা কল ফাইট নিয়ে কি করবি জেসি।(এনা)
.
–কি করবো আর? আমরা লড়বো। লুসেফারের ছেলে হয়ছে বলে কি হ্যারিকে হারাতে পারবো না? demon আর ডেভিলের শত্রুতা অনেক আগে থেকেই। দেখিয়ে দিবো কি করতে পারে একজন demon।(জেসি)
.
–আমি আর তুমি নাহয় কিছু একটা করলাম। কিন্তু জ্যাক কি করবে?(এনা)
.
–হ্যা এটাই ভালো সময় ওর মনস্টার পাওয়ার গুলো টেস্ট করার।(জেসি)
.
–তুই কি পাগল হয়েছিস? ও তো এখনো নিজের পাওয়ার ব্যবহারই করতে পারে না। আর দেখিস ওরা তিনজনই ডেভিল থাকবে। দুইজনকে নাহয় আমরা দুজন ধরলাম। কিন্তু আর একজন ডেভিল তো ওর অবস্থা বারোটা করে দিবে।(এনা)
.
–কিছুই হবে না ওর।(জেসি)
.
–আচ্ছা এই কল ফাইটটা কি সেটা তো বলবা আমাকে।(আমি)
.
–কোনো স্টুডেন্ট এর উপরে যদি কোনো রকম অভিযোগ আসে। আর যদি সেটার প্রমান গুরুতর হয়। তাহলে সেই স্টুডেন্ট দের একটা সুযোগ দেওয়া হয়। স্টুডেন্ট কাউন্সিলর এর তিনজনের সাথে লড়তে হবে। অভিযুক্ত মানুষটা সর্বোচ্চ পাঁচজনকে সাহায্যের জন্য ডাকতে পারবে।(এনা)
.
–আমাদের সাথে আরো দুজন আসবে না। কারন স্টুডেন্ট কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে কেউ লড়তে পারে না। সবার অবস্থা বারোটা হয়ে যায়। সেই ভয়ে কেউ সাহায্য করবে না। তার মানে আমাদের তিনজনকেই লড়তে হবে।(জেসি)
.
–হৃদয় তোমার আসতে হবে না। আমরা দুজনই পারবো।(এনা)
.
–পাগল হয়েছো তোমরা। আমি তোমাদের বিপদে ফেলে চলে যেতে পারি? কখনোই না। আমিও ফাইট করবো।(আমি)
.
–এইতো এটাই আমার ভাই।(জেসি)
.
–তাহলে ক্লাসের পরেই বাস্কেটবল কোর্ট এর মধ্যে ফাইট শুরু হবে। ক্লাস শেষে আমরা ঔখানেই যাবো।(আমি)
.
–ওকে।(আমি)
।।।।
।।।।
ক্লাস শেষ করলাম আমরা। শেষ করে কোর্টের দিকে যেতে লাগলাম। সবাই আমাদের কল ফাইট দেখার জন্য কোর্টের পাশে গ্যালারীতে বসলো। আমরা কোর্টের ভিতরে গেলাম। বুঝলাম না বাস্কেটবল খেলা হবে নাকি ফাইট হবে। হ্যারি এক পাশে চেয়ার নিয়ে বসে আছে। আর ওর পাশে দুজন দাড়িয়ে আছে। হ্যারি আমার বোনের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলো,
.
–আমি আশা করি নি তোমার সাথে দেখা হয়ে যাবে। তুমি এখানে পড়তেছো আমি তো জানতামই না।(হ্যারি)
.
–আমি কোথায় পড়ি না পড়ি তাতে তোর ইন্টারেস্ট কেনো রে? অনেক জ্বালিয়েছিস আজকে শোধ নিবো?(জেসি)
.
–তোমার মুখের মধুর কন্ঠ গুলো কোথায় গেলো? এভাবে তো কথা বলতে না কখনো?(হ্যারি)
.
–চুপ কর শয়তান। আজকে তোকে মেরে হার ভেঙে দিবো। ভাইয়া তুই পিছনে থাক। আমি আর এনা দেখছি।(জেসি)
.
–রুলস তো জানোই? পুরো পাওয়ার ব্যবহার করা যাবে এই জায়গাটুকুর মধ্যে।(হ্যারি)
…..
।।।
।।।
জেসি রেগে এগিয়ে গেলো। এনা ও গেলো। এনার ভ্যাম্পায়ার ফর্মে চলে গেলো এনা। ওর চুলগুলো সিলভার কালারের হয়ে যায় ওর মনস্টার ফর্মে। জেসির কোনো মনস্টার ফর্ম নেই কারন হাফ demon আমরা। হ্যারির সাথে থাকা দুজনও নিজেদের মনস্টার রূপে এগিয়ে আসছিলো। দুজনের পিঠ দিয়ে কালো দুটো পাখা বের হলো। দুজনে এগিয়ে আসছিলো। কিন্তু এনা একটাকে দিলো একটা কিক আর জেসি দিলো একটাকে ঘুষি। দুজনেই কোর্টের দুই পাশের স্টান্ডের সাথে জোরে বারি খেলো। আমি বুঝতে পারলাম জেসি ওর আর এনার সময় বাদে সবার সময় আটকে দিয়েছিলো। তারপর খুব সহজেই দুজনকে দুই দিকে নক করে ফেলে দিলো। এবার হ্যারি হাততালি দিয়ে বলতে লাগলো,
.
–আমি মৃগ্ধ জেসিকা। তুমি তো এখন শক্তিশালী হয়ে গেছো অনেক। কিন্তু তুমি কি আমার গায়ে হাত তুলতে পারবে?(হ্যারি)
.
–চুপ কর শয়তান। তোর অপেক্ষায় ছিলাম আমি অনেকদিন। কিন্তু এখন আর না। ভুলে গেছি তোকে(জেসি)
.
–ও তাই? আমি তোমার গায়ে তো হাত তুলতে পারি না। এমনকি ছেলে হয়ে তোমার বান্ধুবীর গায়েও হাত তুলতে পারবো না। তুললে আবার তুমি কষ্ট পাবা। কিন্তু জ্যাকসন ব্রিট তুমি একদম আমার বিরোধী হিসাবে উপযুক্ত।(হ্যারি)
.
–হ্যা দেখা যাবে। আমার ভাই একা নয়। আমরা ও আছি সাথে।(জেসি)
.
–ও তোমাদের দুজনের ব্যবস্থা করছি দাড়াও।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
হ্যারির চোখ হঠাৎ লাল হয়ে গেলো। সাথে সাথে আমাদের পিছনে থাকে দেওয়াল থেকে কয়েকশ হাত বেরিয়ে আসলো। মনে হয় হ্যারি কোনো জাদুর স্পেল পরেছে। হাত গুলো এনা আর জেসিকে ধরে দেওয়ালের সাথে আটকে রাখলো।
.
–তো তুমি তাহলে জেসিকার যমজ ভাই।(হ্যারি আমার দিকে তাকিয়ে বললো)
.
–তোমাদের দুজনের মধ্যে কি চলছে জেসি?(আমি)
.
–জেসি আর ওর বান্ধুবী এখন বিজি আছে। ওরা দেখা ছাড়া কিছু করতে পারবো না। আমার গ্রাভিটি ম্যাজিকের মধ্যে আটকা পরেছে ওরা। তো তুমি জেসির আসল ভাই কিনা দেখা যাক।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
হ্যারির হাতে একটা কালো কাটানা চলে আসলো। সেটা দিয়ে কালো ধোয়া বের হচ্ছে।
.
–এটার নাম The Black Queen। আমার অন্ধকার দিয়ে বানানো এটা। এর সামনে যা কিছু আসে সব কিছুকেই এটা তার কালো দুনিয়ার মধ্যে নিয়ে যায়।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
চাকু তলোয়ার দেখে আমার এমনিতেই ভয় লাগে অনেক। তারপর বিশাল একটা কাটানা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে হ্যারি। ভয়ে আমার হাত পা নরছেই না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ০৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
হ্যারি বিদুৎ এর গতিতে আমার দিকে ছুটে আসলো। ওর গতি এতোটাই যে আমি দেখতেই পেলাম না ওকে। এক সেকেন্ডের মধ্যেই ও আমার সামনে চলে আসলো। আর এসেই আমার পেটে একটা সেই লেভেলের একটা ঘুষি দিলো। এক ঘুষিতে আমি কোর্টের পাশের দেয়ালের সাথে বারি খেলাম। মনে হলো আমার পেটের মধ্যে বিশাল একটা ছিদ্র হয়ে গেলো। সারা শরীর ব্যাথায় টন টন করতে লাগলো। দুই হাত আর নরছে না। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসলো,
.
–জেসি এই তাহলে তোমার ভাই? ওর মধ্যে তো কোনো শক্তিই নেই। আমার এক ঘুষিতেই শেষ। মনে হয় না বাঁচবে। তবে আমি একটা সুযোগ দিতে পারি।(হ্যারি কথা বলতে বলতে আমার পেটের মধ্যে ওর কাটানা ঢুকিয়ে দিলো)
।।।
।।।
আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। কারন আমার পেটের মধ্যে একটা তলোয়ার ঢুকেছে। আজব করার বিষয় হলো কোনো রক্ত বের হচ্ছে না। শুধু আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একটা অন্ধকার রুমের মধ্যে আমি আটকা পরেছি। আমার শরীর মুক্ত কিন্ত আমি নরতে পারছি না। মনে হচ্ছে কোনো অদৃশ্য শক্তি আমাকে ধরে রেখেছে। আমার শরীরের অবস্থা বারোটা। আমার সারা শরীর ব্যাথা করছে। হঠাৎ জায়গাটাই পানি উঠতে লাগলো। আমি কিছু দেখতেই পারছি না কিন্তু বুঝতে পারতেছি পানি আমার কোমড় পর্যন্ত উঠেছে। আস্তে আস্তে পানি আমার মাথা পর্যন্ত চলে এলো। আমার শরীর আমি নারাতে পারছি না। দেখতে দেখতে আমি পানির নিচে যেতে লাগলাম।
।
আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে তখনি পুরো অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ আলো দেখা যাচ্ছিলো। আলোটা আমার হাতে থাকা নেকলেস যেটাকে আমি ব্যাজের মতো পরেছি সেটা থেকে আসছে। আস্তে আস্তে পুরো নেকলেস আমার হাত থেকে উপরে উঠতে লাগলো, তারপর একটা মহিলার রূপ নিয়ে নিলো। মহিলাকে আমি আগেও দেখেছি। এটা আমার আম্মা। আমি হা করে তাকিয়ে আছি। চোখ দিয়ে আমার পানি পরছে। আম্মার পিঠে দুটো ডানা রয়েছে। দুটো ডানায় সাদা রঙের। আমার মাথায় হাত দিয়ে বলতে লাগলো আম্মা,
.
–জ্যাক জানি তুমি রেগে আছো আমার উপরে। কোনো মা তার সন্তান একা ফেলে দিতে পারে না। কিন্তু আমার আর কোনো রাস্তা ছিলো না। তোমাদের দুই ভাই বোনকে ফেলে আমার চলে যেতে হয়েছে। তোমার সাথে আমার এটাই শেষ দেখা। নিজের বোনের খেয়াল রেখো।(আম্মা আর কিছু বললো না। হঠাৎ তার উজ্জল দেহটা আমার শরীরের মধ্যে চলে আসলো। শুধু একটা কথায় শুনলাম)
.
–তোমার সব শক্তি আমি আটকে রেখেছিলাম। তোমার ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করেই তোমাকে আমি একটা সাধারন মানুষের মতো রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তুমি যদি এইখানে থাকতে তাহলে তোমাকে ওরা মেরে ফেলতো। আর আজ তোমার এই অবস্থা তোমার মা হয়ে কিভাবে দেখি৷ তুমি যখন এখানে এসেই গেছো তাই আমি আর তোমার শক্তি গুলো আটকে রাখবো না। আজ থেকে তুমি তোমার নিজের অস্তিত্ব খুজে পাবে। আমি জানি তুমিই পারবে এই দুনিয়াকে সুন্দর একটা জায়গা বানাতে। তুমিই পারবে আবারো মানুষ আর মনস্টার দের একসাথে করতে। শুধু মনে রেখো নিজেকে। তুমি তোমার বাবার মতো কোনো demon না। তুমি তারচেয়েও বেশী কিছু।(আম্মা)
।।
।।।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আম্মা উধাও হয়ে গেলেন।
আমার শরীরে নতুন কিছু মনে হলো। পিছন থেকে আলো বের হতে লাগলো। পিছনে তাকালাম। সাদা দুটো পাখা আমার পিঠে। দুটোর আলোতে আমার আশেপাশের সমস্ত অন্ধকার আলোকিত হতে লাগলো। আমি জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম। সাথে সাথে হ্যারির কাটানা আমার পেট থেকে বেরেয়ি গেলো। এবং যে ক্ষত হয়েছিলো সেটা ঠিক হয়ে গেলো। সবাই অবাক হয়ে গেলো। গ্যালারীতে পুরো কলেজের সবাই বসে আছে। এবার আমার পিঠ থেকে দুটো ডানা বেরিয়ে আসলো। দুটো সাদা ডানা একা একা দুলতে লাগলো। আমার পাশের সব এলাকা আলোকিত হয়ে গেলো কিছুটা সময়ের জন্য। একটা সাদা আলো আমার মধ্য দিয়ে বয়ে গেলো কিছুক্ষনের জন্য। সবাই এবার বেশী অবাক হয়ে গেলো। তাদের অবাক হওয়ার কারন আমিও বুঝতে পেরেছি। হঠাৎ আমার ডান পাশের সাদা ডানাটা আস্তে আস্তে কালো রঙের হয়ে গেলো। এখন আমার ডান পাশের ডানাটা সাদা এবং বাম পাশের ডানাটা কালো। একটা দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছে আর একটা দিয়ে কালো আলো বের হচ্ছে।
.
–এটা কিভাবে সম্ভব? একসাথে এন্জেল আর ডেভিলের ক্ষমতা আজ পর্যন্ত কোনো মনস্টারই ব্যবহার করতে পারে নি। এমনকি কখনো কোনো মনস্টারের দু রঙের ডানা হয় নি। তাহলে কে তুমি?(হ্যারি)
.
–আমি কে সেটা তো আমি নিজেও জানি না। ছোট থেকে যে পরিবারের কাছে বড় হয়েছি। যাদের নিজের বাবা মা বলে জেনেছি কিন্তু তারা আমার বাবা মা নয়। সারাজীবন নিজেকে মানুষ বলে ভেবেছি। কিন্তু আজ জানি আমি মানুষ নয়। আমার আসল পরিবারের একজন ছাড়া কেউ আমার খবরই নেই নি কখনো। তাহলে আমি কি করে জানবো আমি কে?(আমি)
।।।।
।।।।
আমি এবার পলক পরার আগেই আল্ট্রা স্পিডে হ্যারির সামনে চলে গেলাম। হ্যারি আমার স্পিড দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলো। আমি একটা ঘুষি দিলাম ওর বুকে। এক ঘুষিতেই ও বাস্কেটবল কোর্টের দেওয়াল ভেঙে ক্যাম্পাসের মাঠে গিয়ে পরলো। যেখানে পরলো সেখানের মাটিতে অনেকটা গর্ত হয়ে গেলো। আমি এবার আস্তে আস্তে উড়ে ওর কাছে গেলাম। এনা আর জেসি দুজনেই হ্যারির ট্রাপ থেকে ছুটেছে। আমার ক্ষমতা দেখে ওরাও অবাক হয়ে গেছে। আমি হ্যারির কাছে চলে এলাম। হ্যারি কোনো রকম পায়ে ভর করে উঠেছে। মুখ দিয়ে রক্ত পরছে। মাটিতে ঘষা খেয়ে ওর মুখ ও অনেকটা কেটে গেছে।।।।
।।।।
.
–আমি নিজেই যখন জানি না আমি কি। আমার পরিবারের কেউ যখন বলতে পারে না আমি কি। তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর আমি তোমাকে কিভাবে দিবো?(আমি)
।।।
।।।
এবার আমি হ্যারির কলার ধরলাম বাম হাত দিয়ে। তারপর উপরে উড়তে লাগলাম। এবার ডান হাত দিয়ে ওর মুখে তিনটা ঘুষি দিলাম। তিনটা ঘুষিতেই ওর মুখের অবস্থা বারোটা হয়ে গেলো। দেখলে কেউ চিনবেই না ও হ্যারি। আমি শুনেছি মনস্টারদের হার্ট ধ্বংস না করলে শারিরীক ভাবে কখনো কোনো মনস্টারকে মারা যায় না। তাই আমি কোনো ভয় না পেয়ে পিটাইতে লাগলাম। এবার ওকে ছেড়ে দিয়ে ডান পা দিয়ে একটা কিক করলাম। ও সোজা উপরে উঠতে লাগলাম। কিকটা এতো জোড়ে হয়েছে যে ও অনেক উপরে চলে গেছে। এবার আমি আমার হাত দিয়ে একটা স্পেশাল এনার্জি বিম বানাতে শুরু করলাম। দেখতে দেখতে বিশাল একটা বলের মতো একটা এনার্জি বল হয়ে গেলো। আমি সেটা হ্যারির দিকে ছুরতে যাবো তখনি জেসি পিছন থেকে আমাকে জরিয়ে ধরে বলে।
.
–ভাইয়া ও মরে যাবে। প্লিজ ওকে মারিস না।(জেসি কেদে দিয়ে বললো)
।।।
।।।
আমি পিছনে ঘুরলাম। জেসির কান্না মাখা মুখটা দেখে আমার আম্মার সাথে দেখা হওয়ার কথা মনে পরে গেলো। এতোক্ষন আমি নিজেকে আটকাতে পারি নাই। হ্যারিকে যত মারছিলাম ততই ভালো লাগছিলো। জেসির চেহারা প্রায় আম্মার মতোই। সব চেয়ে আজব বিষয় হচ্ছে জেসির ডানা দুটো। দুটোর রং পুরো সাদা। একদম আম্মার দুটো আমি যেমন দেখেছি তেমনি দুটো। আমার হাতের এনার্জি বিমের সব পাওয়ার আবার আমার শরীরের মধ্যে যেতে লাগলো। আমি আসতে আসতে জেসিকে নিয়ে নিচে নেমে এলাম। মাটিতে নামার পর দুজনের ডানায় অদৃশ্য হয়ে গেলো। আর তখনি হ্যারি উপর থেকে মাটিতে পরলো। সাধারন মানুষ হলে হয়তো গলে যেতো। কিন্তু একজন ডেভিল হওয়ায় বেচে গেছে।
.
–তো এই হ্যারি আর তোর মধ্যে কি চলছে?(আমি)
.
–তোকে পরে বলবো আগে ওকে নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে চল। ওর অবস্থা অনেক খারাপ।(জেসি)
.
–তো কি পরে থাকতে দে। একটু পরে একাই ঠিক হয়ে যাবে।(আমি)
.
–ডেভিলরা যদি এন্জেলদের থেকে কখনো আঘাত পায় তবে সেই ক্ষত কখনো হিল হয় না। আবার যদি এন্জেলরা ডেভিলদের থেকে আঘাত পায় তাহলেও কখনো সেই ক্ষত ঠিক হয় না। কিন্তু তোমার ডানা দুটো দেখে মনে হচ্ছে তোমার শরীরে ডেভিল এবং এন্জেল দুটোর শক্তি রয়েছে। তাই বেশী দেরী করলে হয়তো হ্যারি মারা যাবে।(এনা আমাদের কাছে এসে বললো)
.
–ওকে। চলো তাহলে ওকে নিয়ে যাচ্ছি।(আমি)
।।।
।।।
আমি হ্যারিকে আমার কাধে নিলাম। এবার আমি আমার আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসলাম। নার্সকে দেখালাম এবং কি হয়েছে খুলে বললাম। নার্স ওকে একটা বড় টিউবের মধ্যে রাখতে বললো। সেখানে রাখার পর সব টিউবের চারপাশ আটকে দেওয়া হলো। এবং টিউবের মধ্যে লাল রক্তের মতো পানি ভরতে লাগলো।
.
–এভাবে একদিন এটার মধ্যে থাকলে ও ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি বুঝলাম না। মিস্টার হ্যারি তো একজন হাই লেভেল ডেভিল। তার এই অবস্থা হলো সাধারন একটা লড়াইয়ে।(নার্স)
.
–আমি ও বুঝতে পারছি না কিছুই।(আমি)
.
–হৃদয় জ্যাক এদিকে আসো তোমার সাথে কথা আছে।(এনা)
.
–হৃদয় জ্যাক এটা কিরকম নাম। হয়তো হৃদয় ডাকো নাহলে জ্যাক।(আমি)
.
–ঠিক আছে জ্যাক এদিকে আসো কথা আছে তোমার আর তোমার বোনের সাথে।(এনা)
.
–হুমমম।(আমি জেসি আর এনার কাছে গিয়ে বললাম)
.
–তো শুরু কর জেসি। আমাকে আগে কখনো বলিস নি তুই এন্জেল? তাহলে এতোদিন মিথ্যা বলেছিস আমার কাছে। আর এই হ্যারির সাথে তোর কি সম্পর্ক?(এনা)
.
–আচ্ছা সব কিছু প্রথম থেকে শুরু করি। আমাদের বাবা একজন হাফ ডিম্যান। আর আমাদের আম্মা ছিলো একজন হাফ এন্জেল। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় আমাদের বাবা আর আম্মার। তারপর আমাদের জন্ম।……. (জেসি টুকটাক করে আমাদের পিছনের কথা গুলো বলতে লাগলো। শুধু আমাদের বাবা রাজা সেটা গোপন রেখে বলতে লাগলো)….আম্মা একদিন শুধু জ্যাককে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। আমাকে দাদাভাইয়ের কাছে রেখে গেলেন। তখন আমাদের বাবার ব্যবহার দেখে দাদাভাই আমাকে মানুষদের দুনিয়ায় নিয়ে গেলেন। এবং সেখানে একটা পরিবারের কাছে আমাকে দিয়ে আসলেন। আমার বয়স ১০ হওয়ার পর থেকেই আমি জ্যাকের সন্ধান করতে শুরু করলাম। যখন আমার বয়স ১৫ হলো তখন আমার সাদা ডানা বেরিয়ে আসলো। হাফ Demon দের ডানা হয় না। তাই প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। একদিন উড়তে উড়তে আমার দেখা হলো হ্যারির সাথে। হ্যারি ২ বছরের জন্য মানুষের দুনিয়াতে ঘুরতে এসেছিলো। ওর সাথে সময় কাটাতে লাগলাম প্রতি রাতে। আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার মতো জ্যাকেরও ডানা দেখা দিয়েছে। হয়তো জ্যাকও রাতে উড়বে। প্রথমে তো হ্যারিকেই আমার ভাই মনে হয়েছিলো। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ও কে। আস্তে আস্তে মনস্টার দুনিয়ার সব খবর নিতে শুরু করলাম হ্যারির কাছ থেকে। দেখতে দেখতে এক বছর সময় কেটে গেলো। আমি আর হ্যারি দুজনেই দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। আর তারপর একদিন হঠাৎ হ্যারি উধাও হয়ে গেলো। আমি ৬ টা মাস প্রতি রাত ওর জন্য অপেক্ষা করেছি কিন্তু ওর কোনো খবর ছিলো না।(জেসি)
.
–বাব্বা কি লাভ স্টোরী।(এনা জেসিকে জরিয়ে ধরে)
.
–ছাড় জরিয়ে ধরছিস কেনো?(জেসি)
.
–আচ্ছা তোর ডানা দুটো সাদা আর জ্যাকের একটা সাদা একটা কালো কেনো?(আমি)
.
–সেটা জানি না। আমরা দুজন যমজ হয়েছি। আমার শরীরে ডিম্যান এবং এন্জেল এর রক্ত। তাই আমার ডানা আছে এন্জেলদের মতো। আর শরীরে ডিম্যানদের মতো শক্তি। কিন্তু জ্যাকের ক্ষেত্রে সব আলাদা। ছোট থাকতে দাদাভাই আমাকে বলেছিলো জ্যাকের আমাদের বাবার মতো কোনো ডিম্যান নয়। ও তার থেকেও বেশী কিছু।(জেসি)
.
–আম্মা ও আমাকে এই কথা বলেছে দুইবার স্বপ্নে।(আমি)
.
–কি?(জেসি)
.
–আমি আমার বাবার মতো কোনো ডিম্যান না। আমি তার থেকেও বেশী কিছু। কিন্তু কি সেটাই আমি তো বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–সাধারনত বাবা মা দুই রকম মনস্টার হলে সন্তান যদি যমজ হয় তাহলে দুইজনের মধ্যে একজন বাবার মতো হবে আরেকজন মায়ের মতো এটাই তো হয় সব সময়। কিন্তু তোমাদের ক্ষেত্রে আলাদা কেনো?(এনা)
.
–আমি জানি না।(জেসি)
.
–আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা এখন। যা হয়ে যাওয়ার হয়েছে। আর বাকি কিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। জেসি তোরা দুজন এখন আমাকে সাহায্য করবি।(আমি)
.
–কিসের সাহায্য লাগবে?(এনা)
.
–এই পাওয়ার গুলো আমি ঠিকমতো কন্ট্রোল করতে পারছি না। যখন আমি হ্যারিকে মারছিলাম তখন আমার ভালোই লাগছিলো। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো আমার মাঝে অন্য কেউ ভর করেছিলো।(আমি)
.
–তুমি কি ওর ব্লাড দেখেছিলে?(এনা)
.
–হ্যা কালচে রঙের ছিলো।(আমি)
.
–খেতে মন চাইছিলো?(এনা)
.
–এটা আবার কেমন কথা? ওর ব্লাড আমার খেতে মন চাইবে কেনো?(আমি)
.
–ওকে দাড়াও অপেক্ষা করো একটু।(এনা আমাকে আর জেসিকে রেখে চলে গেলো)
.
–এনার আবার কি হলো?(আমি)
.
–কি জানি? আচ্ছা বাদ দে ওর কথা। শরীরে কোনো রকম পরিবর্তন মনে হচ্ছে নাকি?(জেসি)
.
–শরীর অনেক হালকা লাগছে।(আমি)
.
–ও।(জেসি)
.
–আমি এসে গেছি। জ্যাক এদিকে তাকাও তো।(এনা ওর হাতে থাকা একটা কোলড্রিক্সের ক্যান আমার হাতে তুলে দিলো)
.
–এইটা কিসের জন্য?(আমি)
.
–রক্ত এইটা।(এনা)
.
–কি কার রক্ত এইটা।(আমি ফেলে দিতে চাইলাম)
.
–আরে ফেলে দিয়ো না। খেতে হবে না তোমার। আমার হাতে দাও এইটা।(এনা)
.
–তুই ব্লাডের ক্যান এনে কি করতে চাচ্ছিস। তোর খেতে মন চাচ্ছে তুই খা।(জেসি)
.
–আরে আমি একটা জিনিস দেখতে চাচ্ছি।(এনা)
।।।।
।।।।
এনা হাতের ক্যান খুলে কিছুটা রক্ত বের করে ওর হাতের তালুতে ঢাললো। ঢেলে আমাকে দেখাতে লাগলো।
.
–হাতে রক্ত ঢেলে নষ্ট করছো কেনো?(আমি)
.
–এটা মানুষের রক্ত একটু ভালো করে দেখো?(এনা)
.
–দেখে কি করবো?(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))