#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার শরীরে আমার ডেভিল সত্ত্বাটা প্রবেশ করলো, যেটার অপেক্ষা আমি অনেক দিন যাবৎই করেছি। যাইহোক আমি আর সময় নষ্ট করলাম না সোজা কুইন এলিহার কাছে চলে আসলাম।
.
–মাই কুইন, আমাদের নিশ্চয় এখন আর দেরী করা উচিত না, আমরা শুধু আমাদের রাজ্যটাকে সুন্দর করলে হবে না, বরং পুরো দুনিয়াটাকে সুন্দর করে সাজাতে হবে, আর সেটা অন্য রাজ্যের সাহায্য হবে না কখনো। বরং সেই রাজ্যে আপনার হাতের নিচে রাখলেই হবে শুধু। আমাদের সেনা বাকি রাজ্যগুলোর থেকে শক্তিশালী, তাই সবগুলো রাজ্য এক হলেও আমাদের কিছুই করতে পারবে না।(আমি)
.
–আমাদের কি যুদ্ধেই যেতে হবে, অনেক শান্তি তো এভাবেই আছে।(মিনিস্টার)
.
–হ্যা শান্তি শুধু আমাদের রাজ্যে আছে, তবে বাইরের রাজ্য যেখানে রাজারা প্রজাদের উপরে অন্যায় অত্যাচার করে। আমাদের তাদেরকে রক্ষা করতে হলে এই পুরো দুনিয়া আমাদের করে নিতে হবে।(আমি)
.
–ঠিক আছে তাহলে। সকল সেনা নিয়ে তুমি যা ইচ্ছা মন চায় করো। কিন্তু সাবধানে থেকো।(কুইন)
.
–হ্যা মাই কুইন।(আমি)
।।।
।।।
আদেশ নেওয়া যদিও দরকার ছিলো না। তবে নিয়ে নিলাম। কারন তাতে ভালো দেখায়। আমি আমাদের পুরো সেনা নিলাম নিলাম না। বরং বিশপ হ্যারি, বিশপ লুইস এবং উনিশজন নাইটকে নিলাম যারা ডেভিল কিং এর জেনারেল ছিলো। আমি এই পর্যন্ত কারো ক্ষমতা চেক করি নি, তাই তাদের নিয়ে আস্তে হলো। আমরা বাইশজন সোজা ইগড্রোলিয়ার ক্যাপিটালে টেলিপোর্ট হলাম,
.
–মিনিস্টার স্যার এভাবে আক্রমন করাটা কি কাপুরুষের পরিচয় দেওয়া হবে না?(বিশপ হ্যারি)
.
–না আমরা এখনি আক্রমন করছি না। বরং তাদের ছয় ঘন্টা সময় দিবো তৈরী হওয়া জন্য।(আমি)
.
–তাহলে কথা বলবেন তাদের সাথে?(বিশপ লুইস)
.
–না।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আমার এন্জেল ফর্মে ছিলাম। প্রথমত আমরা প্যালেসের উপরে টেলিপোর্ট হয়েছি, একটা ব্যারিয়ার তৈরী করেছে আমাদের একজন নাইট যেটার ফলে নিচে থেকে আমাদের আপাতোতো কেউ দেখছে না। তবে আমি তাকে ব্যারিয়ার সরাতে বললাম। এবং নিজে আমার টেলিপোর্টেশন স্পেলের তৃতীয় ধাপ ব্যবহার করলাম। টেলিপোর্টেশন স্পেলের তিনটা ধাপ আমার এন্জেল সত্ত্বা আপাতোতো ব্যবহার করতে পারে, প্রথম ধাপ নিজেকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া, দ্বিতীয় ধাপ নিজেকে অন্য কারো ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করে টেলিপোর্ট করা। এবং তৃতীয় ধাপ অন্যের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করে তাদের টেলিপোর্ট করে যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আমি আমার টেলিপোর্টেশন স্পেলের তৃতীয় ধাপ ব্যবহার করলাম। এবং প্যালেসের ভিতরের সকল লোককে টেলিপোর্ট করে প্যালেসের বাইরে নিয়ে আসলাম। এবং নিজের ডান হাতকে প্যালেসের দিকে ইশারা করে হাতটা মুঠো করে ফেললাম, সাথে সাথে প্যালেসটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। সবার সাথে রাজাও টেলিপোর্ট হয়েছে, এভাবে হঠাৎ টেলিপোর্টেশন এর ফলে সেও অবাক হয়ে আছে, আর প্যালেস ভাঙার পর কেউ কি ঠিক থাকতে পারে। আমি কিছুটা নেমে আসলাম।
.
–এসব কি হচ্ছে মিনিস্টার জ্যাক, আমরা তো একটা সন্ধির মধ্যে আছি, তাহলে হঠাৎ এভাবে আমাদের প্যালেসের উপরে আক্রমন কিসের জন্য।(ইগড্রোলিয়ার রাজা)
.
–মাই কিং আপনি ব্যস্ত হবেন না। আপনার সুরক্ষা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।(জেনারেল)
.
–দেখো দেখো কে এসেছে, যে তার পরিবার ছেড়ে একটা সার্থপর রাজার সুরক্ষার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছে।(আমি জেনারেলকে বল্লাম)
.
–মিনিস্টার জ্যাক দেখুন আপনি কাজটা ঠিক করছেন না। এটার ফলে দুই বন্ধুত্বপূর্ন রাজ্যের মধ্যে ঝগড়া লেগে যাবে। শুধু তাই নয় আপনাদের উপরে বাকি রাজ্যরাও তখন যুদ্ধ ঘোষনা করবে।(জেনারেল)
.
–যুদ্ধ? হ্যা যুদ্ধই আমাদের কুইন চাই। আমাদের ভ্যাম্পায়ার কুইন অফ মার্ডিলা এলিহা এই পুরো দুনিয়াকে চাই, সেটার জন্য তো যুদ্ধ করতেই হবে।(আমি)
.
–আমি বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ে হয়ে দুজনে আমার বিপরীতে একটা রাজ্য চালাবে, এখন আবার একজন আমার বিপরীতেই যুদ্ধ করতে চাচ্ছে। হয়তো এটা আমার পাপের ফল।(রাজা)
.
–আমি ছয় ঘন্টা সময় দিবো আপনাদের চাইলে এখনি শুরু করা যাবে। আমাদের সেনার মধ্যে আমরা বাইশজন। আর আপনারা চাইলে যত সেনা প্রয়োজন হয় জোগাড় করুন এই ছয় ঘন্টার মধ্যে। আগেই বলে রাখি বাইরের রাজ্য থেকে সাহায্য চাইলে আমরাও আমাদের পুরো সেনা নিয়ে প্রস্তুত থাকবো। এখন সিদ্ধান্ত আপানাদের। যুদ্ধ করবেন নাকি পুরো রাজ্য ছেড়ে দিবেন।(আমি)
.
–আমরা যুদ্ধ করবো। এতোটা দুর্বল আমরা নই যে একটা ছোট রাজ্য দেখে ভয় পেয়ে যাবো। তাছাড়া আমাদের কাছে ভয়ানক অস্ত্র রয়েছে, যেটা আপনাদের রাজ্যকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারবে।(রাজা)
.
–তাহলে ছয় ঘন্টা সময় দিলাম।(আমি)
।।।
।।।
আমি ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করবো না। আমি আমাদের নাইট থেকে দুজনকে আদেশ করলাম ইগড্রোলিয়াতে যত গোপন অস্ত্র রয়েছে সব ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। পুরো রাজ্যে লাল এলার্ট বাজতে শুরু করলো। সমস্ত প্রজারা পালাতে শুরু করলো, এবং পুরো রাজ্যের সেনা ক্যাপিটালের দিকে আস্তে লাগলো। ক্যাপিটাল অনেকটা ফাকা জায়গার মধ্যে বানানো হয়েছে, আশে পাশে বিশ মাইলের মধ্যে কোনো শহরই নাই। জনগন সবাই এই সময়ের মাঝে চলে গেলো আশেপাশের শহরে। আর আমিও চেষ্টা করে দেখলাম কেউ আছে কিনা শহরে, নাহলে তাদের পাঠিয়ে দিবো এখান থেকে। কারন একটু পরই এই পুরো শহর এই দুনিয়ার বুক থেকে মুছে যাবে।। ছয় ঘন্টা হয়ে গেলো। পুরো ক্যাপিটাল সেনায় গিজগিজ করছে। সকলে টেলিপোর্টেশন ম্যাজিকের মাধ্যমে চলে এসেছে এখানে, যদিও এই ম্যাজিক সবাই ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু যারা পারে তারা বাকিদের নিয়ে আসছে। কত লক্ষ সৈন্য আমাদের সামনে আছে সেটা হিসাব করা মুশকিল। তবে বিশ ত্রিশ লক্ষ তো চোখ বুঝেই হবে। এতো সৈন্য পুরো ইগড্রোয়িয়ার ক্যাপিটালও তাদের জায়গা দিতে পারছে না। তাছাড়াও বর্ডারে এখনো আরো সেনা রয়েছে, যারা এখানে আসে নি। এরা শুধু প্রতিটা শহরে নিয়োজিত সেনা।
.
–তোমাদের কতক্ষন সময় লাগবে এদের শেষ করতে?(আমি)
.
–পাঁচ মিনিট।(বিশপ লুইস)
.
–আমার তিন মিনিট লাগবে এদের সবাইকে শেষ করার জন্য।(বিশপ হ্যারি)
.
–ঠিক আছে তাহলে দুজনে একসাথে তারাতারি করে ফেলো।(আমি)
।।।
।।।
আমাদের দুজন বিশপই অনেক শক্তিশালী। তাদের একজনের কাছে পুরো একটা সেনা কিছুই না। আমি তাদের পুরো ক্ষমতা এখনো দেখায় নি একটা কারনেই, কারন তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাই প্রথমেই জানলে কখনো যুদ্ধ করতেই চাইবে না। আর যুদ্ধ না করে কোনো রাজ্য জয় করার মাঝে কোনো মজাই নেই। হ্যারি এবং লুইস দুজনেই তাদের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করতে শিখে গেছে। যদিও কখনো ব্যবহার করে নি। কিন্তু এখন ব্যবহার করছে। হ্যারি তার ডান হাত দিয়ে একটা এয়ার বল বানালো। যেটা সে ছুড়ে মারলো রাজ্যের মাঝখানে। মূলত কিছু হচ্ছে না এখনো। আমাদের দুজন নাইট আমাদের কাছে চলে আসলো। তাদের কাজও শেষ। সাথে সাথে হ্যারির এয়ার বলটা ক্যাপিটালের মাঝখানে বিশাল বড় একটা ঘূর্নিঝড় তৈরী করলো। যেটা এতো ভয়ানক যে বাড়ি ঘর সহ সমস্ত সেনাদের সেটা মধ্যে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পুরো ক্যাপিটাল জুড়ে ছড়িয়ে পরলো ঘূর্নিঝড়টা। তবে এতো বাতাসের টানেও আমাদের কিছু হচ্ছে না। হঠাৎ পুরো ক্যাপিটাল জুড়ে জায়গায় জায়গায় বিশাল ব্লাস্ট হতে শুরু করলো। বুঝলাম তাদের গোপন অস্ত্র গুলোও শেষ হয়ে গেলো। এদিকে লুইস তার বিশাল এক্সপ্লোশন স্পেল ব্যবহার করতে যাবে, ঠিক তখনি আমি রাজ্যের থাকা সকল সেনাদের টেলিপোর্ট করে উপরে নিয়ে আসলাম। হ্যারির স্পেলের মাঝে চার ভাগের তিন ভাগই পরেছিলো, কিন্তু তারা সবাই মারা যায় নি, একশো ভাগের হয়তো এক ভাগ মারা গিয়েছে, কিন্তু লুইসের স্পেলের ফলে পুরো লক্ষ লক্ষ সেনার শরীরও খুজে পাওয়া যাবে না।
।।।
।।।
তাই আমি টেলিপোর্ট করে সবাইকে অনেক দূরে দিয়ে আসলাম। এবং সেই সময় লুইস তার এক্সপ্লোশন স্পেল ব্যবহার করলো। যেটা পুরো ইগড্রোলিয়া সহ আরো দুই মাইল এলাকা জায়গাকে বিশাল গর্ত করে দিয়েছে, স্পেলটা দেখে আমার নিউক্লিয়ার বোমার কথা মনে পরে গেলো। ব্লাস্টটা একদম সেইরকমই হয়েছে, নাইটগুলো ব্লাস্টের চারিদিকে একটা ব্যারিয়ার তৈরী করেছিলো, যেটার ফলে বেশীদূর ধ্বংস হয় নি, নাহলে আমার মনে হচ্ছে এটা আরো ধ্বংস করতে পারতো। স্পেলটা একটিভেট করতে সময়ের প্রয়োজন হয় অনেক, যদিও এখন আর ক্যাপিটাল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তবে আমাদের কাজ এখানে শেষ। কারন আসল কাজটা আমাদের হয়ে গেছে। পুরো সেনার তেমন মারা যায় নি। হ্যারির স্পেলটা আরো মারাত্মক হতে পারতে, কিন্তু আমার মনে হয় সে আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছিলো, আমি চাচ্ছিলামই শুধু ভয় দেখাতে, কাউকে হত্যা করতে নয়। তাই হয়তো ও ওর মারাত্মক কোনো স্পেল ব্যবহার করে নি। যাইহোক আমি দাড়িয়ে থাকলাম না। যাদের টেলিপোর্ট করেছি তাদের এমন জায়গায় করেছি যেখান থেকে তারা এই দৃশ্য যাতে ক্লিয়ার ভাবে দেখতে পেরেছে। আর আমি নিশ্চিত এক এক জন ভয়ে এখন কাপছে। কারন যেটা হয়েছে সেটা অনেক মারাত্মক ছিলো।
।।।।
।।।।
আমি সহ আমার সাথের একুশ জন চলে আসলাম যেখানে রাজা রয়েছে সেখানে। রাজা আমাদের দেখে এখন অনেক ভয় পাচ্ছে। এর আগেও সে আমাদের ক্ষমতা দেখেছে, কিন্তু সেটাকে বেশী ভয়ঙ্কর ভাবে নি, কারন সেটা অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু এখন যেটা হলো সেটা একদম অসম্ভব জিনিস। যদিও জিনিসটা চিটিং, তারপরও সত্য এটাই যে আমরাই সবচেয়ে শক্তিশালী এই দুনিয়ার মধ্যে।
.
–আমার মনে হয় না আর কোনো কিছু ধ্বংস করে আমাদের দেখাতে হবে। তাই আত্মসমর্পণ করায় ভালো হবে।(আমি)
.
–আমি ভাবি নি এরকম ক্ষমতা আপনাদের কাছে আছে। আমার কোনো কিছু এখানে আর করার নেই, আমরা যুদ্ধে হেরে গেছে, তাই এই পুরো রাজ্য আজ থেকে কুইন এলিহার। আমি ভাবতে পারি নি আমার ছোট মেয়ে এতো শক্তিশালী সেনার রানী হবে। আমার জীবন আপনার হাতে, যা করার করুন।(রাজা)
.
–আমি এতোটা ছোট লোক না যে আত্মসমর্পণ করা লোককে মেরে ফেলবো। আজ থেকে আপনারা সবাই ভ্যাম্পায়ার কুইন একিলার প্রজা, যার মানে আপনারা আমাদেরই লোক।(আমি)
.
–শেষমেষ এমন অবস্থায় আসতে হবে আমি ভাবি নি। এতো বড় একটা রাজ্যের রাজা হয়েও আমি কিছুই করতে পারলাম না।(রাজা)
.
–ক্ষমতায় সব, যার কাছে ক্ষমতা আছে সে রুল করবে, যার কাছে নেই সে হেরে যাবে। এটাই নিয়ম এই দুনিয়ার। তবে সেটা শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। এমন একটা সময় আসবে যখন ক্ষমতা শুধু প্রজাদের উপরে থাকবে, তারা যাকে ইচ্ছা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকেই লিডার বানাবে। আমার গোল ঠিক সেরকম একটা দুনিয়া বানানোর।(আমি)
.
–ও আমি বুঝেছি, যাইহোক আমরা কুইন এলিহাকে আমাদের জীবনের শেষ শ্বাস পর্যন্ত মান্য করবো।(রাজা)
।।।
।।।
রাজা তার রাজ্য হারিয়ে ফেললো, আর আমরা ইগড্রোলিয়া দখল করে ফেললাম। ইগড্রোলিয়াতে অনেক মিলিটারি অফিসার রয়েছে, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহন করে নি, তারা রাজার সুরক্ষার জন্য ছিলো, কারন তারা জানতো রাজার এলিট গার্ড রাজার জন্য যথেষ্ট নয়। আমি এক এক করে সমস্ত এলিট গার্ড এবং মিলিটারি অফিসারকে আমাদের রাজ্যের নাইট করে দিলাম। অবশ্য বিশপ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আপাতোতো অনেকগুলো বিশপ হয়ে গেছে, চারজন বিশপ পুরো রাজ্য ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট হবে। আর বেশী বিশপ বানালে পরে ঝামেলা হবে, তাই বিশপ আপাতোতো আর কাউকে বানাচ্ছি না। আমি ইগড্রোলিয়া থেকে মার্ডিলায় চলে আসলাম যেখানে কুইনকে আমাদের জয়ের ব্যাপারে বললাম।
.
–জ্যাক এলিনা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চাচ্ছে, শুধু তাই নয় এ্যারসাক, হিমরার একত্র হয়েছে জেলিনার সাথে। আর তারা তিন রাজ্য মিলে আমাদের উপরে হামলা করতে চাচ্ছে।(কুইন এলিহা)
.
–মাই কুইন আপনি চিন্তা করবেন না। যুদ্ধের ব্যাপার টা আমি দেখে নিবো। আপাতোতো ইগড্রোলিয়া আপনার কবলে হয়েছে, এবং বাকি রাজ্যগুলোও আপনার কদমের নিচে চলে আসবে শীঘ্রই।(আমি)
.
–আমার চিন্তা হচ্ছে না। কিন্তু তোমাকে নিয়ে আমার চিন্তা হচ্ছে। আচ্ছা আমরা কি এই ছোট রাজ্য নিয়েই দুজনে সুখো থাকতে পারি না।(কুইন)
.
–এরকম বলছেন কেনো?(আমি)
.
–না তুমি আগের মতো নেই এন্জেল ফর্মে, তেমন কথা বলো না কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকো এখন, আর রাজ্য বড় হলো আরো কাজ বেড়ে যাবে। তখন তো কথা বলার সময়ই হবে না।(কুইন)
.
–আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। হয়তো একটা কিংবা দুইটা লড়াই আছে, এরপর সব শেষ হয়ে যাবে।(আমি)
.
–বুঝলাম না আমি।(কুইন)
।।।
।।।
আমি সাথে সাথে কুইনের ঠোটে একটা কিস দিয়ে দিলাম। অবশ্য এটার আশা কুইন করে নি। আমিও ইদানিং কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি নাই তেমন করে। তাই নিজেকে ঠিক না রেখতে পেরে মনের ইমোশন বের করে দিলাম। কুইন লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। অবশ্য পাশে কেউ ছিলো না। আমি নিরব একটা সময়েই এসেছি কুইনের সামনে, কুইন তার রুমের বেলকনিতে রেস্ট নিচ্ছিলো দাড়িয়ে দাড়িয়ে। আমি কিসটা করে চলে আসলাম সেখান থেকে টেলিপোর্ট হয়ে। এই প্রথম হয়তো আমি এলিহাকে কিস করলাম, যেটা ওর জন্য অনেক স্পেশাল হলেও লজ্জা পেয়েছে অনেক। আমি আর কি বলবো, কিছুটা ইমোশন বের হয়েছে অনেক দিন পর। আসলেই সামনে যুদ্ধে অনেক ভয়ানক লড়াই হতে পারে, যেটার জন্য আমার মন চাঙ্গা হয়ে গেলো এখন।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার ডেভিল ফর্মে চলে আলসাম। এন্জেল ফর্মের মতো এই ফর্মেও আমার ছয়টা ডানা বের হলো পিঠ থেকে। বাম পাশে ছয়টা ডানা যেটা পাখির পালকের মতো দেখতে, তবে রং একদম কালো। আমি অবাক হলাম না, কারন আগেও দেখেছি আমার ডেভিল ফর্মের ডানা গুলো। আমার শরীরের আকার অনেকটা বৃদ্ধি পেলো, এবং আমার শরীরের রং অনেকটা কালো হয়ে গেলো। যদিও সেটা কোনো ব্যাপার হবে না। আমি আমার শরীরের মধ্য থেকে অনেক অসীম আকারের ক্ষমতা অনুভব করতে পারছি। আগের দুনিয়ায় আমি আমার ডেভিল ক্ষমতার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি নি। অবশ্য সেটার কারন ছিলো সাটান ক্রস। সে আমার সত্ত্বার জায়গা দখল করে ছিলো, যার জন্য আমি যত ডেভিল ম্যাজিক বা ক্ষমতা ব্যবহার করেছি সে তত আমার শরীরকে দখল করতে চেয়েছে। তবে এই দুনিয়ায় আমার আর ভয় নেই। আমি আমাদের বিশাল সেনার সামনে দাড়িয়ে আছি। সময়টা যুদ্ধে, যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে এ্যারসাক, হিমরার, এ্যালকোর্ট এবং জেলিনা। এ্যালকোর্ট জেলিনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আমাদের রাজ্যকে হারানোর জন্য। তবে এদিকে আমি জায়েন্ট রাজ্য এবং ডেভিল কিং এর থেকে কিছু শুনি নি। এজগার্ড এই যুদ্ধে আমাদের পক্ষে থাকতে চেয়েছিলো। তবে আমি তাদের মানা করেছি, আমি তাদের নিরপেক্ষ থাকতে বলেছি। এমনিতেই এজগার্ডের রানী আমার বড় বোন এলেন তার রাজ্যকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে, তবে কুইন এলিহা সেটাকে আমার বোনকেই শাসন করার অনুমতি দিয়েছেন।
।।।
।।।
বিষয়টা অনেক সিম্পেল হয়ে গেছে, অবশ্য আমারও চিন্তা ছিলো যে আমাদের রাজ্যের অধীনেই থাকবে এজগার্ড, তবে সেটার শাসন আমার বোনই করবে। এদিকে এলিনার সাথে অনেকদিন হলো আমার দেখা হয় না। জানি না কোন অবস্থায় আছে, কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই তার সাথে দেখা করি না। তার সাথে আমার দেখা হলে মনটা মানতে চাই না, দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে মন চাই তার সাথে। তবে সেটা আমার জন্য এখন সম্ভব নয়। কারন ড্রাকুলার এলিনার উপরে অনেকগুলো শর্ত দিয়েছে তার ক্ষমতার বদলে, অবশ্য আমি চাইলে এই স্পেলটাও হয়তো বাদ করে দিতে পারবো। তারপরও আমি সিওর না। আমার গডহ্যান্ড যেকোনো স্পেল বাদ করতে পারলেও সেটা ব্লাক কন্ট্রাক বাদ করতে পারবে কিনা আমি জানি না। তবে সেটা চেষ্টা করে দেখা যাবে। আপাতোতো রানী এলিনা ড্রাকুলার কনট্রোলে আছে। আমি তখন ড্রাকুলার মতো শক্তিশালী না হওয়ার ফলে তখন তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি নি। সে যা ইচ্ছা করেছে। কিন্তু সেটা আর এখন মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
।।।
।।।
আমার ডেসটেনি এই পুরো দুনিয়াকে নিজের কনট্রোলে করা। এটাই আমার স্বপ্নে আমাকে দেখাচ্ছে, তাছাড়া আমার আম্মা আগের দুনিয়ায় ভবিষ্যতে দেখেছিলো আমি পুরো দুনিয়ার রাজা হবো। অবশ্য সেটা হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার মাঝে নেই, তবে এই পুরো দুনিয়া আমার কনট্রোলে করার ইচ্ছা আমার প্রবল হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আমার ডেসটিনি আমাকে এদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ্যারসাক, জেলিনা, হিমরার এবং এ্যালকোর্টের সকল সেনা আমাদের সামনে দাড়িয়ে আছে। যারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাদের সেনার সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশী। আর সেখানে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মাত্র বিশ হাজার পন এবং দুই হাজার নাইট। সবার সামনে আমি এবং আমার পিছনে রাজ্যের চারজন বিশপ। মোট মিলিয়ে আমরা মাত্র বাইশ হাজার পাঁচজন দাড়িয়ে আছি বিশাল সেনার সামনে। শত্রু পক্ষের সেনা সংখ্যা দূর থেকে দেখে ভয়ই করছে। কিন্তু আমাদের ভয়ের কারন কোথায়। আমাদের চারজন বিশপই চাইলে পুরো সেনা ধ্বংস করে দিতে পারে, যেহেতু এখন তারা যুদ্ধ ঘোষনা করেছে, তাই আমরা কোনো দয়া দেখাচ্ছি না এবার। আমি পিছিয়ে আসলাম। কারন এখন আমার ক্ষমতার প্রয়োজন হবে না। আমি আপাতোতো আমাদের দশ হাজার পন এবং পাঁচশ নাইট পাঠালাম সামনের দিকে। এটার কারন আমি আমার পনদের দেখতে চাই, তারা কতটা শক্তিশালী সেটা আমাকে দেখতে হবে। তাছাড়া রাজ্যের মধ্যে আমাদের পঞ্চাশ হাজার পন এবং পাঁচ হাজার নাইট রয়েছে, তাছাড়া দশ হাজার রুক রয়েছে, যারা রাজ্যের সুরক্ষার জন্য আছে। আমি তাদের রাজ্যের মাঝে রেখেছে, কারন অন্য পাশ দিয়েও কেউ আক্রমন করতে পারে রাজ্যে, তাই বেশী সংখ্যাক সৈন্য আমরা রাজ্যে রেখেছি।
।।।
।।।
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। আমাদের পন এবং নাইট সামনে গিয়ে সেই আকারে লড়ছিলো। আমাদের সংখ্যা তাদের কাছে সামান্য চুলের মতে। যেখানে তারা হাতির সমান সৈন্য নিয়ে এসেছে, তারপরও আমাদের পনের কাছে তাদের একশো সেনা কিছুই না। আমি শক্তিশালী দেহ বিশিষ্ট গোত্রের প্রানীদের পন বানিয়েছে, যাদের ম্যাজিক পাওয়ার কিছুটা কম হলেও শারিরীক ক্ষমতা অনেক। পন গুলো তাদের তলোয়ারের এক আঘাতে একশোর বেশী সেনা আহত/নিয়ত করছে। আর নাইটগুলো এক একজন পুরো একটা রাজ্যের সেনা ধ্বংস করে দিতে পারে, নাইটগুলোর এক একটা স্পেলে কিংবা আঘাতে এক হাজার করে সেনা আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। এর মাঝে আমাদের অনেক পন এবং নাইট গুরুতর আহত হয়েছে, যাদের দূর থেকে আমাদের বিশপ ইকারেস হিল করে দিচ্ছে। ইকারেস তার ডানা মেলে দিয়ে সে ডানার পালক গুলো যেখানে ইচ্ছা পাঠাতে পারে। আর সেই পালক কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে তার ক্ষত হিল হয়ে যায়। আমাদের কিছু সেনা মারা গেলেও অধিকাংশ ইকারেস এর হিলিং ক্ষমতার জন্য ঠিক হয়ে আবার লড়ছে। আমাদের দুই পক্ষ সংঘর্ষের মধ্যে ছিলো ঠিক এই সময় এ্যারসাকের এন্জেলরা উপর থেকে হামলা করা শুরু করলো এন্জেলরা এতোক্ষন যুদ্ধে ছিলো না। বাট তারা এখন উপর থেকে উড়ে এসে লড়াই করছে। তাদের আসার পর থেকে আমাদের সেনার সংখ্যা কমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। ইকারেস এর হিলিং ক্ষমতাও কাজ করছে না। কারন এন্জেলরা মেরে ফেলছে আমাদের পনদের। যদিও নাইটদের মারতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে তাদের। কিন্তু তাদের সংখ্যা বেশী হওয়ার ফলে তারা খুব সহজে ঘিরে ধরছে নাইটদের এবং তাদের হত্যা করছে।
.
–মিনিস্টার স্যার, মনে হচ্ছে না এভাবে আমরা জিততে পারবো। আমাদের একজন বিশপের যেতে হবে নাহলে আমাদের সেনারা সাহস হারিয়ে ফেলবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা ঠিক বলেছো।(জেসি)
.
–তাহলে কে যাবে?(আমি)
.
–আমি বলবো ইকারেস যাক। কারন তার ক্ষমতা সম্পর্কে এখনো কেউ জানে না।(লুইস)
.
–ঠিক আছে ইকারেস। তাহলে তোমার ক্ষমতা দেখিয়ে দাও।(আমি)
.
–আপনার জন্য তো আমি আমার জীবন ও দিয়ে দিতে পারি আমার প্রিয়তম মিনিস্টার স্যার। আর এখানে তো কিছু সেনাদের হারাতে হবে। দেখুন কত তারাতারি হয়ে যাবে জিনিসটা।(ইকারেস)
।।।
।।।
ইকারেস ওর ডানা গুলোর পালক ফেরত নিয়ে আসলো। এবং ডানা দুটো মেলে দিলো। এবং এখান থেকেই তার স্পেল ব্যবহার করলো। স্পেলের নাম সোর্ডস অফ গড। যেটার মাধ্যমে পুরো আকাশ জুরে বিশাল বিশাল গোল বৃত্ত হয়ে গেলো। এবং সেগুলো থেকে বিলাকার তলোয়ার বের হতে শুরু করলো। ইকারেস তার হাত দিয়ে ইশারা করলো সেটা শত্রুপক্ষের দিকে, কয়েক হাজার বিশাল বিশাল তলোয়ার যেগুলো একটা বিশাল পিলার এর সমান হবে সেসব পরতে লাগলো শত্রুদের উপরে। আমি ভাবি নি এতো মারাত্মক স্পেল ব্যবহার করবে ইকারেস। তারপরও তার তলোয়ার গুলো পরার আগে আমাদের সেনার উপরে সুরক্ষা ঢাল তৈরী করে দিয়েছিলো লুইস।।।
।।।
।।।
ইকারেস এর একটা স্পেলের ফলে প্রায় অর্ধেক পরিমান শত্রুদের সেনা শেষ হয়ে গেলো। যেটা অনেক মারাত্মক ব্যাপার। তবে আমি নিজে এন্জেল হয়ে থাকার পরও এই স্পেল সম্পর্কে জানি না। বলতে হবে ইকারেসের ক্ষমতা একটা রানীর থেকে কম না। তারপরও আমি বলবো রানীদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো এলিনা। কারন সে ড্রাকুলার অর্ধেক ক্ষমতা পেয়েছে, যেখানে আমাদের কুইন এলিহা আমার এন্জেল ক্ষমতার বিশ শতাংশ পেয়েছে। তাই দুই বোনের মধ্যে যুদ্ধ হলে সেখানে এলিনাই জিতবে। তবে যদি ড্রাকুলার ব্লাড কন্ট্রাক যদি আমি মুছে দিতে পারি, তাহলে আমাদের রানী সবচেয়ে শক্তিশালী রানী হবে।
।।।
।।।
যদিও ভবিষ্যত প্লান আমার করা হয়েছে, এখন শুধু প্লানে কাজ করতে হবে। অনেক সেনা মারা গিয়েছে আমাদের যুদ্ধের ফলে, যেটা আমার ভালো না লাগলেও মেনে নিতে হবে। যুদ্ধ মানেই মৃত্যু হবে। তবে এই একটা যুদ্ধ হয়ে গেলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমি এমন একটা রাজ্য বানাবো যেখানে আর যুদ্ধই হবে না। কারন তখন এতো রাজ্য থাকবে না, থাকবে শুধু একটা গনতান্ত্রিক দুনিয়া। যেটা জনগন চালাবে। অনেকটা পৃথিবীর মতো করে দিতে চাই আমি এই পুরো দুনিয়াকে। এই প্লানেট এর নামও পৃথিবী করে দিবো। ইতিহাস আবার নতুন করে তৈরী করবো। আমাদের দুই পক্ষ এখনো লড়তে ছিলো। কিন্তু ঠিক এই সময় সমস্ত মৃত শরীর গুলো উঠতে শুরু করলো। পুরো অর্ধেক শত্রুদের সেনারা মৃত ছিলো, যারা উঠে গেছে। প্রায় পচিশ লক্ষ মৃত সেনা হবে যারা জাম্বি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিটা দেখে আমার অনেকটা ম্যালিকিত এর কথা মনে পরে গেলো, যে আগের দুনিয়ায় এরকম একটা পরিবেশ তৈরী করেছিলো। পরিবেশ অনেকটা ভয়ানক হয়ে গেলো। আমি ভাবলাম হয়তো জাম্বিগুলো আমাদের কিংবা এলিনাদের জয়েন্ট সেনাদের উপরে আক্রমন করবে, কিন্তু সেটা হলো না। বরং আমাদের দুই পক্ষের মাঝে ডেভিল কিং চলে আসলো তার হাতে ব্লাক সোর্ড নিয়ে। আমি তাকিয়ে রইলাম সে কি করবে সেটা দেখার জন্য।
।।।
।।।
ডেভিল কিং তার হাতের ব্লাক সোর্ড দিয়ে সমস্ত মৃত জাম্বিদের এবজোর্ব করা শুরু করলো। আমি সেদিন ব্লাক সোর্ডের সংস্পর্শে এসে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, যেহেতু সেটা ড্রাগন ব্লেড এর মিশ্রনে বানানো এজন্য নেকরো ব্লেড এর ক্ষমতা অনেকটা কম। যার ফলে সেটা আমার এন্জেল পাওয়ারকে এবজোর্ব করলেও সেটা নিজের করে ব্যবহার করতে পারে নি। কিন্তু সাধারন জিনিসের উপরে সেটা ভালোই কাজ করে। এক মুহুর্তের মধে পুরো পচিশ হাজার জাম্বিদের এবজোর্ব করে নিলো ডেভিল কিং। যার ফলে তার ব্লাক সোর্ড আরো কালো হয়ে গেলো, সেই সাথে আরো ধোয়া বের হতে শুরু করো সেটা থেকে। ঠিক তখনি লোকি এবং তার জায়েন্ট রাজ্যের ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোলে চলে আসলো টেলিপোর্ট হয়ে। লোকি পিছন থেকে ডেভিল কিং এর থেকে দা ব্লাক সোর্ড নিয়ে নিলো এবং সেটা দিয়ে ডেভিল কিং এর পিঠে ঢুকিয়ে দিলো। যদিও ডেভিল কিং তলোয়ারের মাঝে গেলো না, কিন্তু সে লোকির শরীরে মাঝে চলে গেলো। আমি লোকির মাঝ থেকে মারাত্মক আকারের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে পারছি, যেটা আগে কখনো আমি কারো থেকে করি নি। মোটকথা ড্রাকুলার থেকেও এরকম ম্যাজিক পাওয়ার সেন্স করা যায় না। লোকি অন্যরকম একটা কিছু হয়ে গেছে, যেটা আমি কখনো আশা করি নি। অনেকটা আমার ডেভিল সত্ত্বা যেমন আমার শরীরে গিয়ে আমাকে তার ক্ষমতা দান করেছে, ঠিক সেরকম মনে হচ্ছে লোকিকে ডেভিল কিং তার শরীরে গিয়ে তার ক্ষমতা দান করেছে, সেই সাথে ব্লাক সোর্ড তো আছে। আমি জানি না সে লোকি আছে নাকি ডেভিল কিং লোকির শরীরকে কনট্রোল করেছে, কিন্তু এটা বুঝতে পারছি যেটা সামনে হবে সেটা অনেক ভয়ানক হবে। তাই আমি আমার সেনাদের পিছনে চলে আসতে বললাম। কারন বাচ্চাদের লড়াই করার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন বড়দের লড়াই করতে হবে।
।।।
।।।
আমাদের এবং আমাদের শত্রু পক্ষের সমস্ত সেনা পিছনে চলে গেলো। আমি বুঝলাম ড্রাকুলাও পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যাইহোক ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না। আর আমার মনেও হচ্ছে না এখন আমার পুরো ক্ষমতা দিয়ে আমি হারাতে পারবো লোকিকে, কারন একে তো সে শক্তিশালী ছিলোই এই দুনিয়ায় না জন্মে আসার কারনে। আর তারউপর সে ডেভিল কিং এর পাওয়ার ও পেয়েছে, আবার ব্লাক সোর্ডও রয়েছে, যেটা পরিস্থিতি ভয়ানক করছে। আমি আশা করি থরও আসুক আমাদের সাহায্যের জন্য। কারন এখন একে অপরের সাথে লড়াই করার সময় না আমাদের। ড্রাকুলা,থর এবং আমাকে মিলে হারাতে হবে লোকিকে। সে কি চাই আমি জানি না। তবে লোকিকে না হারাতে পারলে আমাদের কেউ বাচবে না সেটা সিওর ভাবে বলতে পারছি আমি। আগে আমাকে সিওর হতে হবে সে কে? সে লোকি নাকি ডেভিল কিং সেটা আমাকে জানতে হবে।
।।।
।।।
আমি এগিয়ে আসলাম। আর ঔ সাইড থেকে ড্রাকুলা এবং রানী এলিনাও এগিয়ে আসলো। আমার সাথে আমি আমার বিশপদের নিলাম না। কারন আমি বুঝতে পেরেছি ব্লাক সোর্ড তাদেরকেও এবজোর্ব করে নিবে। আমাদের এগিয়ে আসতে দেখে লোকি তার হাতের ব্লাক সোর্ড দিয়ে তার জায়েন্ট সেনাদের এবজোর্ব করা শুরু করলো, যেটার ফলে তার তলোয়ার আরো কালো ধোয়া বের করতে শুরু করলো। এবং অনেকটা বিশাল হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম আমার এক্সোভিলিরা এখানে কাজে দিবে। ড্রাকুলা তার লুকারিও বের করলো। আমি ভেবেছিলাম আমি প্রথমে যাবো লড়তে, কিন্তু আমাকে না যেতে দিয়ে ড্রাকুলা লোকির সামনে চলে গেলো লড়তে। আমি একটু দূর থেকে দেখতে লাগলাম। প্রথমে আমাকে লোকির পুরো ক্ষমতা দেখতে হবে, তারপর সে অনুযায়ী আমাকে কাজ করতে হবে। আমি ওর ক্ষমতা না জেনেই লড়াই তে যেতে চাই না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।