মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব-০৩

0
24

#মায়াবতীর_ইচ্ছা
#ইশরাত_জাহান
#পর্ব_৩
🦋
মায়া নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে চলে গেলো।মায়া যাওয়ার পর রাজ চলে এলো নিজের পরিবারের কাছে।জিজ্ঞাসা করলো,”কি হয়েছে?”

রাজের বাবা মাহমুদ সরদার বলেন,”তেমন কিছুই না।আমাদেরই দোষ ছিলো।মিটে গেছে সমস্যা।”

“উনি কে ছিলো?”

“কে?”

“ওই যে নীল ড্রেস পরা।মাত্র গেলো এখান থেকে।”

“মেয়েটির নাম মেহেরুন জাহান মায়া।মেয়েটি ফ্যাশন হাউজের সিইও।ঢাকা শহরে নতুন একটি বাড়ি করেছে।তারই মিলাত দিতে আসা এখানে। আনফরচুনেটলি আমরাও এখন এসেছি।আমরা না বলেই আসি মূলত আসার কিছুক্ষণ আগে জানিয়ে আসি।মায়া মেয়েটি আগে থেকে বলেই সব ঠিক করে রাখে।এই নিয়ে একটু ঝামেলা হয়।তবে এখন ঝামেলা শেষ।”

“মায়া!”

“হ্যা,মেয়েটির নাম এটাই বলল।”

রাজ মনে মনে বলে,”দেখতেও যেমন মায়াবতী নামটিও তেমন ‘মায়া’। উহুম মায়া হবে সবার জন্য এই রাজের কাছে সে মায়াবতী।”

বলেই বুকের বাম পাশে হাত রাখে রাজ।মানত শেষ করে সবাই ঘুরে তাকায় সিড়ির দিকে।মিসেস মালিনী খুব খুশি হয় ছেলেকে এখানে দেখে।ছেলে তার পীর ভক্ত না।তাদের বংশীয় মর্যাদা এই বাপ ছেলে বাদে সবাই রক্ষা করেছে।কি জানি এবার কি হবে?কারণ এবার বংশীয় মর্যাদার জন্য আছে শাহমীর রাজ যে কি না সরদার বংশের বড় ছেলে ও একজন মিনিস্টার।

রাজের কাছে হিয়া ও সিয়া দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে।তারা এসে ভাইকে জড়িয়ে বলে,”হ্যাপি বার্থডে ভাই।সকালে দেখা হওয়ার আগেই কি না চলে গেলে।অনেক মিস করেছি তোমাকে।”

“হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি।কিভাবে মনোযোগ সহকারে মানত করতে শুরু করেছিস।”

হিয়া ও সিয়া রাজের কানে ফিসফিস করে বলে,”কে বলেছে আমরা মানত করেছি?ওখানে দাঁড়িয়ে তো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি।কোনো কিছুই বলি না।মায়ের ভয়তে ওখানে যেতে হয়।”

দুই বোনকে জড়িয়ে হেসে দেয় রাজ।পরিবারের সবাই এসে দাঁড়ায় এক জায়গায়।মিসেস মালিনী এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন।তারপর বলেন,”এখন বাসায় চল।দুপুরে বাসায় খাবি।আজ আর তোকে কাজে যেতে হবে না।”

মিসেস মালিনীর দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় আলতোভাবে নিয়ে রাজ বলে,”তুমি তো জানো মা আমি জন্মদিন পালন করি না।তোমরা শুধু শুধু এসব করতে থাকো। আর আজ একটু ঝামেলায় আছি।এলাকার এক মেয়েকে কয়েকদিন ধরে আটক করা হয়েছিলো।তারপর তাকে নির্মম অত্যাচার এক কথায় ধর্ষণ করা হয়েছে।গরীব বলে মেয়ের হয়ে কেউ লড়াই করতে পারছে না।যারা আটক করেছিলো তারা প্রভাবশালী।এই জন্য মেয়েটির বাবা আমার কাছে এসেছে।জনগণের সেবা করতে না পারলে কিসের মন্ত্রী হলাম আমি?”

মাহমুদ সরদার খুশি হলেন ছেলের প্রতি।তিনি রাজকে বলেন,”হ্যা বাবা,তুমি যাও তোমার কাজে।মেয়েটির হয়ে তুমি পাশে দাঁড়ালে কেউ দ্বিমত করতে পারবে না।তবে সাবধানে থেকো।তোমার শত্রু পক্ষ কিন্তু বৃদ্ধি পাবে।”

“আমি যে পক্ষের হয়ে লড়াই করবো তার প্রতিটি প্রতিপক্ষ থাকবে বাবা।নিজেকে রক্ষা করার আগে আমাকে ভাবতে হবে জনগণের রক্ষা করা।”

রাজের মাথায় হাত দিয়ে মাহমুদ সরদার বলেন,”proud of you my son.”

রাজ স্মিত হেসে চলে যায়।গাড়িতে উঠে তার এক কর্মীকে কল করে বলে,”মেহেরুন জাহান মায়া ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সিইও।এই মেয়েটির যতগুলো ইনফরমেশন আছে সোসিয়াল মিডিয়া ও আদার সাইড সবকিছু আজ রাতের মধ্যে আমাকে জানাবে।”

“ওকে স্যার।”

কর্মীর সাথে কথা বলেই কল কেটে দিলো রাজ।তারপর চলে গেলো কোর্টে।যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো তার হয়ে কোনো উকিল পাওয়া যায় না।তাই রাজ একজনকে হায়ার করে নিয়ে যায়।কিন্তু সেখানে যেতেই রাজ অবাক হয়ে যায়।যেই মেয়ের হয়ে কোনো উকিল ছিলো না সেই মেয়ের জন্য এখন দুইটি উকিল।একটি রাজ নিয়ে এসেছে আরেকটি উকিল আগের থেকে এসে মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলছে।

রাজ ও তার উকিল যেয়ে মেয়েটির বাবাকে জিজ্ঞাসা করে,”উকিল কোথায় পেলেন?আপনাদের হয়ে তো কেউ লড়বে না বলছিলেন।”

মেয়েটির বাবা রাজের দিকে তাকিয়ে বলেন,”আসলে আমি আপনার কাছ থেকে আসার পর বাসায় এসে দেখি আমার বড় ভাই এক উকিল নিয়ে এসেছিলেন।আমি অবাক হয়ে যাই।আজ সকালেই ঘটেছে এই ঘটনা।আপনাকে অনেকবার কল করেছি আপনি মনে হয় ব্যাস্ত ছিলেন তাই বলা হয়নি।ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।”

ভয়তে ভয়তে কথাগুলো বলে লোকটি।রাজ লোকটির হাত ধরে বলে,”আপনি ক্ষমা চাচ্ছেন কেনো?এখানে ভুলের কিছুই নেই।তবে কে সেই ব্যাক্তি যে উকিলকে হায়ার করলো?”

রাজের কথা বলতে না বলতেই শো শো করে দুইটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়।ঠিক তখনই লোকটির ভাই বলে ওঠে,”ঐতো এসে গেছে সেই মহান ব্যাক্তি।যে ছিলো বলে আমরা লড়াই করতে সাহস পেয়েছি।আপনি আর উনি আছেন বলেই দেশের অনেকের এখনও সঠিক বিচার হয়।”

এমনিতেই রাজ এসেছে বলে আদালতে অনেক ভিড় জমেছিলো।মিডিয়ার লোকজন সবাই রাজের কাছে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু পুলিশ গার্ডদের জন্য পারেনি।দুইটি গাড়ি আসার পর যেনো মিডিয়ার লোকেরা আরো এক্সাইটেড।দুই দুইটি সুনামধন্য ব্যাক্তি এসেছে একজন সামান্য ধর্ষিতা মেয়ের হয়ে লড়াই করতে।তাও আবার দুজনেই কি না আলাদা আলাদা উকিল হায়ার করেছে।এটা যেনো আজকের বড় এক হেডলাইন।

রাজ তাকালো গাড়িটির দিকে।প্রথম গাড়ি থেকে বের হলো শার্ট কোর্ট পরিহিতা এক মায়াবী কন্যা।রাজ অবাক নয়নে তাকালো সেদিকে।এই তো সেই সকালের মেয়েটি।সকালে ছিলো এক লুকে এখন আবার আছে আরেক লুকে।রাজ নিজের চোখের সানগ্লাস খুলে তাকিয়ে থাকে মায়ার দিকে। ব্লু কালারের শার্ট তার উপর ব্ল্যাক কোর্ট প্যান্ট,চোখে সানগ্লাস,চুলগুলো ফুলিয়ে এক ঝুঁটি বাধা।একদম পারফেক্ট বিজনেস ওমেন লাগছে মায়াকে।

মায়া এগিয়ে আসলো লোকটির দিকে।এসে বলে,”আমার উকিলকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন আংকেল?উনি খুব সুন্দরভাবে টেকনিক্যালি আপনাদেরকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।আপনার মেয়ের প্রতি হওয়া অন্যায়ের শাস্তি ওই নরপশুরা পাবে।”

লোকটি কৃতজ্ঞতার সাথে বলে ওঠে,”আপনার পাঠানো উকিল এসেছে ম্যামসাহেব।কিন্তু সমস্যা হলো এখানে দুইটা উকিল।একটা আপনি এনেছেন আরেকটা আমাদের মন্ত্রী মশাই এনেছেন।কি করবো আমরা?”

মায়া ঘুরে তাকালো রাজের দিকে।রাজের কাছে এসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে বলে,”আপনি তো ঘন্টাখানেক আগে মাজারে ছিলেন।আপনি মিনিস্টার!তাহলে তখন আপনার সাথে কোনো গার্ড ছিলো না কেনো?দেখতে তো একদম সাধারণ জনগন মনে হয়েছিলো।”

রাজ মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”সব সময় গার্ডদের দরকার হয় না।কিছু সময়ের জন্য নিজের রক্ষা নিজে করতে হয়। আর মাজারে আমাকে কেউ এটাক করবে না। ওটা..”

বাকি কথা বলার আগে বিচার সভার সময় হয়ে এসেছে বলে সবাই তাগাদা দিতে থাকে।

মায়া বলে,”যেহেতু মন্ত্রী মশাই নিজে উকিল এনেছেন আমরা না হয় তার উকিলকেই একসেপ্ট করি।”

“মন্ত্রী মশাই না হয় এখন কারো ইচ্ছার প্রাধান্য দিলো।তোমার আনা উকিলকে নেওয়া হোক।উকিল যেই হোক না কেনো জিতবো তো আমরাই।”

“ইয়েস,এই কেসে জিতবো আমরাই।এই মায়ার ইচ্ছায় যখন একবার কোনো কিছুতে টার্গেট হয় তখন মায়া সেই ইচ্ছা পূরণ করে।”

মায়ার কথা শুনে রাজ মনে মনে বলে,”আমার মায়াবতীর ইচ্ছা।”
প্রকাশ্যে বলে,”ওকে দেন লেটস মুভ।”

“ওকে।”

বলেই বিচার সভায় হাজির হয় মায়া ও রাজ।একসাথে একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য লড়তে এসেছে তারা।একজন সফল ব্যাবসায়ী তো একজন মন্ত্রী।দুজনে একত্রিত হয়ে অন্যায়ের প্রতি লড়াই শুরু করে দিলো।অথচ তারা জানেও না তারা একে অপরের কে বা কি?

বিচার সভায় অনেক কথোপকথন ও সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে জিতে যায় এক অসহায় গরীব মেয়ে।যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো।রায় প্রকাশ হওয়ার পর সবাই যেতে থাকে।

যেই মেয়েটিকে অপহরণ করা হয় ওই মেয়েটির নাম রিমু।এবার ইন্টারে উঠেছে।দেখতে মাশাআল্লাহ সুন্দরী।গরীব ঘরের মেয়ে হওয়ায় বাবা বিয়ে ঠিক করেন মুদি দোকানের এক মালিকের সাথে।ভাগ্য খারাপ থাকায় বিয়ের তিন দিন আগেই মেয়েটির অপহরণ হয়।কিন্তু কেউ তার প্রতিবাদ করে না।যে অপহরণ করে তার বাবা অনেক বড় ব্যাবসায়ী।গোপনে মাদক ব্যবসার চল আছে তাদের।এটা অনেকে জেনেও চুপ থাকে।কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে।রিমুর হবু শশুর বাড়ির লোকেরা আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়।রিমুর বাবা ভেঙ্গে পড়েন কিন্তু রিমুর চাচা লড়াই করার জন্য সাহস যোগান।রিমুর চাচা মায়ার ফ্যাশন হাউজের ছোটখাটো পদের এক কর্মী।কয়েকদিন ধরে উপায়ন্তর না পেয়ে আজ তিনি মায়ার কাছে যান।মায়া সব শুনে রিমুকে সাহায্য করে। আর অন্যদিকে রিমুর বাবা ভেবেছিলেন আর কেউ নেই তাদের জন্য তাই আজ সকালে তিনিও রাজের কাছে এসে হাতজোড় করে মেয়ের জন্য কান্নাকাটি করে।রাজ তার নিজস্ব উকিল নিয়ে রেডি থাকে।কিন্তু মাঝখানে কল আসে মিলির।তাই তো যেতে হয়েছিলো মাজারে।এরপর যা হলো আপনারা জানতে পারলেন।

রিমুকে নিয়ে তার মা অটোতে উঠবে ঠিক সেই সময় রিমুর হবু শাশুড়ি এসে বলে,”আপনাদের মেয়েকে আমরা বাড়ির বউ করতে পারবো না।যে মেয়ের ভিতর সতীত্ব বজায় নেই আবার তাই নিয়ে দুনিয়া রটায় তাকে আমার ছেলে বিয়ে করবে না।লজ্জায় সে আজ আসতে পারেনি।তাই আমি জানিয়ে দিলাম।”

মহিলাটির কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে পিছন থেকে মায়া বলে,”এমন কাপুরুষ ছেলেকে তো লজ্জা পেয়েই ঘরে বসে থাকতে হয়।”

ছেলেকে কাপুরুষ বলাতে ক্ষিপ্ত হলেন মহিলাটি।সাথে সাথে তিনি মায়াকে বলে,”আমার ছেলেকে কাপুরুষ বলার তুমি কে?”

“সাধারণ জনগন আণ্টি।কি বলুন তো রাস্তাঘাটে জোকারদের মতো করে সার্কাস দেখান আপনারা।আমরা কি শুধু উপভোগ করবো?কোনো কমপ্লিমেন্ট পাবেন না এটা কি হয় নাকি!”

এটুকু বলেই রিমুর কাছে এসে বলে,”জীবনে শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে অনেক নিন্দুক আসবে।তোমার জীবনের যে বিষয়টিকে সবাই দুর্বল জায়গা ভাবছে সেই জায়গাকে বুড়ো আংগুল দেখানোর দায়িত্ব তোমার।তুমি ধর্ষণ হয়েছো মানে এই না যে তুমি নষ্ট।বরং তুমি ইচ্ছা করে নোংরামি করলে তুমি নষ্ট।নিজের কর্মের বাইরে যখন তোমার ক্ষতি হয়ে যাবে সেখানে নিজেকে দুর্বল নয় সবল রাখবে।আজ যেটাকে তুমি দুর্বল ভেবে একঘর হয়ে থাকবে কাল বাকিরা এসে তোমার থেকে শিখবে কিভাবে চুপসে যেতে হয়। আর যদি তুমি নিজের জীবনকে আরো সময় দিয়ে ভালো হয়ে চলো তাহলে তোমার থেকেই মানুষ শিখবে কিভাবে জীবনে হেরে গেলেও এগিয়ে যেতে হয়। আর আজ তোমাকে যে রিজেক্ট করছে তুমি কেনো তাকে সেই সুযোগ দিচ্ছো?তুমি বরং নিজে থেকে তাদেরকে রিজেক্ট করে দেও।”

মায়ার কথাতে রিমু সাহস পেলো।এই কয়দিনে কেউ তাকে এভাবে এপ্রিশিয়েট করেনি।আজ কেউ একজন করলো।রিমু সাহস নিয়ে মহিলাটিকে বলে,”আপনি বিয়ে ভাঙতে চাইছেন তাই না?ঠিক আছে আপনার ওই ঘরকুনো মাম্মাস বয়কে আমি রিজেক্ট করলাম।আর হ্যা আপনাদের দেওয়া আংটি নিয়ে যাবেন আর আমাদের দেওয়া আংটি ও অ্যাডভান্স টাকাগুলো দিবেন।বউ যখন নিবেন না সেই বাড়ির টাকাগুলো গিলতে যাবেন কেনো?”

মহিলাটি মাথা নিচু করে চলে যায়।ছেলের দোকানের জন্য বিয়ের আগে রিমুর বাবার থেকে টাকা নেয়।মেয়ের সুখের কথা ভেবে টাকাগুলো দেন রিমুর বাবা।

মহিলাটি যাওয়ার পর মায়া রিমুর বাবাকে বলে,”মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি।এত তাড়াতাড়ি ওকে বিয়ে দিতে হবে না।আমার যে নতুন ফ্যাক্টরি হয়েছে এখানে ছোটখাটো পদে কর্মী নিয়োগ চলছে।আমি চাই রিমু ওখানে কাজ করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাক।বাকিটা আপনার হাতে।”

রিমুর বাবা হেসে সম্মতি জানায়। দূর থেকে সবকিছু রাজ দেখেছে।সে এতক্ষণ মিডিয়ার সাথে কথা বলছিলো।এবার এখানে এসে বলে,”পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন।আমার এসিস্ট্যান্টের নাম্বার দিয়ে রাখলাম ওর সাথে যোগাযোগ করলে পাবেন।”

বলেই মায়ার দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে চলে যায় রাজ। মায়াও রিমুদের বিদায় জানিয়ে চলে আসে।

চলবে…?