মুগ্ধতায় মুগ্ধ পর্ব-২৬ এবং শেষ পর্ব

0
1239

#মুগ্ধতায়_মুগ্ধ❤️
#Labiba_Islam_Roja
#Part_26[Last Part]
.
🍁
এক সপ্তাহ হলো রাতুল ভাইয়া চলে গেছে।যাওয়ার আগে তিথির ব্যাপারে ওর বাবা মা’য়ের সাথে কথা বলে গেছে।ছোটখাটো ঘরোয়া ভাবে এনগেজমেন্ট সেরে রেখেছে।রাতুল ফিরে আসলে ঘরে তুলবে।মুগ্ধতা এখন মুগ্ধ কে ছাড়া এক মূহুর্তও থাকতে পারে না কষ্ট হয়।কিন্তু মুগ্ধ আজকাল ওকে বুঝে না।দূরে সরে থাকে যা প্রচুর পরিমাণে পোঁড়ায় ওকে।কাছে গেলেও দূরে ঠেলে দেয়।তাই অনেক ভেবে ওকে ভালোবাসি খোলাখুলি বলবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মুগ্ধতা।
.
অফিস থেকে ফিরে হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো মুগ্ধ।গলায় ঝুলানো টাইটা খুলে ছুঁড়ে মারলো বিছানায়।ফ্রেশ না হয়েই চোখ বুজে সটান হয়ে শুয়ে পরলো।মুগ্ধতা এক গ্লাস পানি নিয়ে মুগ্ধ কে এভাবে শুয়ে থাকতে দেখে উতলা কন্ঠে বললো…..
.
~~~কি হয়েছে আপনার…?এই অবেলায় শুয়ে আছেন কেন…?আর আপনার হাতে রক্ত!কি হয়েছে হাতে…?বলে এক প্রকার দৌড়ে মুগ্ধর পাশে বসলো।হাত নিজের হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো।মুগ্ধ হাত সরাতে গিয়েও পারলো না।ওভাবেই বললো……
.
~~~এত ব্যস্ত হইও না কিছু হয়নি!রাস্তায় একটা এক্সিডেন্ট করেছি তাই হাতটা একটু ছিঁলে গেছে আর কিছু না।
.
_____একদম চুপ একটাও কথা বলবেন না।রাস্তায় দেখে চলতে পারেন না।চোখ কোথায় ছিলো আপনার।দেখুন তো কতটা লেগেছে।আপনি বসুন আমি আসছি।কিছুক্ষণ পর ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে মুগ্ধর কাছে বসলো।হাত পরিষ্কার করে মেডিসিন লাগিয়ে দিলো।মুগ্ধ অবাক হয়ে ওর কান্ড দেখে চলেছে।চোখের কোণে জল চিকচিক করছে।যেকোনো সময় গরিয়ে পরতে পারে।মুগ্ধ ওকে ক্ষেপানোর জন্য সেই চোখে তাকিয়ে বললো……
.
~~~কাঁদছো কেন….?আমার কিছু হয়নি তো।আর আমার মতো মানুষ মরে গেলেই বা কার কি….?
.
মুহূর্তেই রক্তিম আভায় ছেয়ে গেলো ওর মুখখানা।কলার চেপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো……
.
_____একদম আজেবাজে কথা বলবেন না।আপনার মতো মানুষ যদি মরে যায় না তাহলে আমার মতো মানুষও এই দুনিয়ায় থাকবে না মরে যাবে।কারণ মুগ্ধ কে ছাড়া মুগ্ধতা বাঁচতে পারে না আর পারবেও না।বলেই দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে।মুগ্ধ নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো।
.
.
ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি বিলাস করতে ব্যস্ত মুগ্ধ।হঠাৎ একজোড়া হাতের স্পর্শ পেলো।কেউ ওর পেট জরিয়ে পেছন থেকে ধরে আছে।মানুষ টা কে সেটা অজানা নয় মুগ্ধর।কারণ এই মানুষটার শরীরের ঘ্রাণ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেনা তাঁর। না দেখেও নির্দ্বিধায় বলতে পারবে এটা তাঁরই মুগ্ধতা।মুগ্ধতার এমন ব্যবহারে একটুও অবাক নয় মুগ্ধ কারণ এখন প্রায়ই ওকে জরিয়ে ওর বুকে মাথা রাখে মুগ্ধতা।যখন নিজেকে শান্ত লাগে তখনই চলে যায়।কিছু সময় অহিবাহিত হওয়ার পর বললো মুগ্ধ……
.
~~~কি হয়েছে মুগ্ধতা….মন খারাপ…?
.
_____মুগ্ধর কথার জবাবে অস্পষ্ট সুরে বললো…….ভালোবাসি মুগ্ধ!খুব ভালোবাসি!
.
মুগ্ধতার কথা শুনে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো মুগ্ধ।কথাটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না সে।নিজেকে স্বাভাবিক করে মুগ্ধতা কে ঘুরিয়ে ওর সামনে দাঁড় করিয়ে বললো……
.
~~কাকে ভালোবাসো মুগ্ধতা….?কে সেই সৌভাগ্যবান যে তোমার ভালোবাসা পাবে….?
.
মুহূর্তেই রেগে গেলো মুগ্ধতা।এতক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো।এবার মুখ তুলে তাকালো।নিজের রাগটাকে কোনোরকম দমিয়ে রেখে অসহায় কন্ঠে বললো……
.
_____আপনি সত্যি জানেন না….?কিচ্ছু বুঝতে পারছেন না….?
.
ভাবালেশহীন ভাবে বললো মুগ্ধ……
.
~~~কই না তো!
.
মুহূর্তেই মুখটা চুপসে গেলো ওর।চোখ দুটো ভরে এলো বর্ষার জলে।এক্ষুনি গরিয়ে পরতে চাইছে মাটিতে।মুগ্ধতা ঠোঁট চেপে কান্না আটকাচ্ছে তা দেখে মুচকি মুচকি হাসছে মুগ্ধ।কিছু না বলে এক পা সামনে এগুতেই হাতে হেচকা টান অনুভব করলো।একটানে একদম মুগ্ধর বুকে বারি খেলো।মুগ্ধতা কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো মুগ্ধ।এবার আর নিজেকে আটকাতে না পেরে হুহু করে কেঁদে উঠলো।কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো মুগ্ধতা……
.
_____আমাকে ছাড়ুন!আমি নিচে যাবো।
..
মুগ্ধতার কথা শুনে আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।মনে হচ্ছে মুগ্ধতার হাড় মাস সব ভেঙ্গে গুরিয়ে যাচ্ছে।এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকলে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে সে।তাই নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছোটাছুটি করতে লাগলো।হঠাৎ কানের কাছে গরম নিঃশ্বাস পেয়েই চমকে উঠলো……
.
~~~এত নড়াচড়া করছো কেন হুম!তোমাকে কাছে পেয়ে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে আমার।জানো কতটা ভালো লাগছে।প্লিজ মুগ্ধতা একটু তোমায় জরিয়ে থাকতে দাও প্লিজ!
.
.
পাশাপাশি বসে আছে মুগ্ধতা আর মুগ্ধ। দুজনেরই দৃষ্টির কেন্দ্র বিন্দু বৃষ্টি।বৃষ্টির দিকে তাকিয়েই মুগ্ধ বললো…..
.
_____যখন শুনেছিলাম তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো তখন জানো কতট খারাপ লাগছিলো।একদম মন ভেঙ্গে গিয়েছিলো।তবুও মনের মধ্যে ক্ষীণ হলেও একটা আশা ছিলো যে তোমার মনে আমার জন্য ভালোবাসা তৈরি করতে পারবো।সেই বিশ্বাস থেকেই তোমাকে নিজের স্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত নেই।দেখ আমি ঠকিনি আমর বিশ্বাস হেরে যায় নি।আমার সাথে সাথে তুমিও আজ আমাকে ভালোবাসো।
.
মুগ্ধর কথা শুনে অবাকের চরম পর্যায়ে পোঁছালো মুগ্ধতা।তারমানে মুগ্ধ আগে থেকেই সবকিছু জানতো।কই উনার ব্যবহারে তো তেমনটা বুঝা যায় নি।সবকিছু জানার পরও আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করে গেছেন।কপাল কুঁচকে বললো……
.
_______আপনি আগে থেকে সবটা জানলেন কি করে….?কে বললো…?অবাক হয়ে তিথি…..
.
আমার কথায় মৃদু হাসলেন উনি।
.
~~~হুম আগেই জেনেছি।যখন তিথি বুঝতে পারলো আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।তখন আমাকে তোমার ব্যাপারে সবটা জানালো। যখন জানলাম অন্য কাউকে ভালোবাসো তখন মনটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছিলো।খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।তবুও এই ভেবে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম একদিন তুমি ওকে ভুলে আমাকে আপন করে নিবে।যদিও পথটা সহজ ছিলো না।তবুও নিজের সাথেই নিজে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।কিন্তু যত দিন যাচ্ছিলো ততই বুঝতে পারছিলাম আমাকে ভালোবাসা তো দূরে থাক আমাকে আপনই ভাবতে পারো নি।সব মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু! কিন্তু তারপর যখন তোমাদের বাসায় গেলাম তখন আমি অসুস্থ থাকার পরও আমার প্রতি তোমার অবহেলাগুলো মানতে পারিনি।এই উদাসীনতা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।ভিতরটা জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছিলো।এটাই ভাবতাম এতটাই ডিপলি ওকে ভালোবাসো কিন্তু আমাকে সেই ভালোবাসার এক বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা দিতে পারো না।এতটাই ফেলনা অবহেলার পাএ আমি।তাই নিজেকে কষ্ট দিয়ে হলেও আমার মূল্যটা তোমাকে বুঝানোর জন্য তোমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলাম।এটাই ভেবেছিলাম আমাকে কোনো দরকার নেই তোমার।তুমি একাকীই ভালো থাকবে।এক্সামের বাহানায় ওই রুমে চলে গিয়েছিলাম শুধু মাএ তোমার থেকে দূরে থাকার জন্য।তোমাকে আমায় ফিল করানোর জন্য।আমি থাকায় আমার প্রয়োজনবোধটা বুঝতে পারো নি।তাই দূরে গিয়ে আমার অস্তিত্ব বুঝাতে চেয়েছি।তারপর থেকে আমাকে নিয়ে তোমার মধ্যে বেশ পরিবর্তন ও লক্ষ্য করেছি। অবশ্য এই বুদ্ধিটা তিথিই আমাকে দিয়েছিলো।আর ফাইনালি আমরা সাকসেস।তুমি নিজের মনের কথা বুঝতে পেরেছো।আমাকে ভালোবাসেছো এর থেকে বেশি আর কি চাই!কিচ্ছু চাই না!কিচ্ছু না।সব পাওয়া হয়ে গিয়েছে আমার।
.
মুগ্ধর কথাগুলো মনযোগ সহকারে নীরব শ্রোতার মতো শুনছিলো মুগ্ধতা।ওকে যত দেখে ততই মুগ্ধ হয়।সবকিছু জেনে শুনে মুগ্ধতাকে বিয়ে করেছে।মেনে নিয়েছে।ওর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সব সহ্য করেছে এতটা ভালো কেন মুগ্ধ।কেন এতটা ভালোবাসে ওকে…?যে ওর জন্য ওর ভালো থাকার জন্য এতকিছু করলো সেই মুগ্ধ কে না জেনে কত কষ্টই না দিয়েছে কিন্তু কখনও মুখ ফুঁটে কিছু বলেনি।সব চুপচাপ মেনে নিয়েছে।যেখানে আদনান মাএ পরিচয়টা মানতে পারেনি সেখানে ও সব মেনেছে।আজ নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।এমন স্বামী ক’জন নারীর কপালে জুটে।আমার সকল না পাওয়াগুলো পাওয়া হয়ে গিয়েছে আজ।মুগ্ধর কাঁধে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো মুগ্ধতা……
.
~~~আই’এম সরি মুগ্ধ!না জেনে না বুঝে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাঁর জন্য ক্ষমা করুন আমায়।
.
মুগ্ধতার মাথা কাঁধ থেকে তুলে চোখ মুছিয়ে দিলো মুগ্ধ।দু’হাত দ্বারা মুখ আবদ্ধ করে অনুরোধের সুরে বললো…..
.
____একদম কাঁদবে না।তোমাকে কাঁদতে নয় হাসিমুখে দেখতে চাই আমি।যে সবসময় আমার সামনে খিলখিল করে হাসবে আর সেই #মুগ্ধতায়_মুগ্ধ হবো রোজ রোজ আমি।বলে কপালে গভীর ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো।
.
.
তিন বছর পর……

অপারেশন থিয়েটারের সামনে পায়চারি করছে মুগ্ধ।আধঘন্টা হলো মুগ্ধতা কে নিয়ে গেছে কিন্তু এখনও ডক্টর নার্স কেউই কোনো খবর জানাচ্ছে না।এদিকে চিন্তায় মাথা ফেঁটে যাচ্ছে মুগ্ধর।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে আজ।খুব ভয় লাগছে কারণ প্রেগন্যান্সির এই পুরো সময়টায় নানা আজগুবি কথা বলতো মুগ্ধতা।যদি মরে যায় হয়তো ও আর থাকবে না বাচ্চাগুলো কে যেন ভালোভাবে মানুষ করে।এই নিয়ে কত কথা।এই তো আজকে সকালেও মুগ্ধতার সাথে কথা বলে অফিস গেলো মুগ্ধ। যাওয়ার আগে এই কথাগুলোই ওকে বলেছে।মোহনা আর মোহনার মা ওকে এতটা টেনশন করতে মানা করেছেন।রাতুল আর তিথিও এসেছে ছ’মাস হলো বিয়ে হয়েছে ওদের।আদনান বিয়ে করেছিলো কিন্তু তাঁর ওয়াইফ একটা মেয়ে জন্মানোর পর তাঁকে ফেলে চলে গেছে কারণ আদনান তাঁর সাথে যায় না।আর বিয়ে করেনি আদনান।মেয়েকে নিয়ে বেঁচে আছে।তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মুগ্ধতার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।অন্যান্যার বিয়ে হয়েছে স্বামীর সংসারে টিকতে পারেনি।এখন বাবার বাসায় থাকে।মিতুলের একটা ছেলে হয়েছে।খুব সুন্দর দেখতে। মুগ্ধতাকে হসপিটালে আনা হয়েছে শুনে ছুটে এসেছে তিথি। বন্ধুর এমন ক্রাইসিসে তাঁর কাছে না এসে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে নি।
.
অনেক্ক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডক্টর বেড়িয়ে এলো।এক প্রকার দৌড়ে ডক্টর কে জিজ্ঞেস করলো মুগ্ধ……
.
~~~ডক্টর আমার ওয়াইফ কেমন আছে…?
.
মুচকি হেসে ডক্টর বললো…..কনগ্রেচুলেশন! আপনার একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হয়েছে।আপনার ওয়াইফ একদম সুস্থ আছেন।চিন্তার কোনো কারণ নেই।কথাটা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সবাই।একে একে সকলে কনগ্রেচুলেট জানালো তাঁকে।একটু পর তোয়ালে মুড়িয়ে দুজন নার্স দুটো বেবিকে নিয়ে এলো।মোহনা দৌড়ে গিয়ে একজনকে কোলে তুলে নিলো।অন্যজনকে তিথি নিলো।মুগ্ধর মা দুজনকে আদর করে দিলেন।একসাথে দুটো বাচ্চা ওদের খুশি যেন আর ধরে না।মোহানার সাহায্যে দুহাতে দুটো বাচ্চাকে কোলে তুলে নিলো মুগ্ধ।ওদের দিকে তাকিয়ে কেঁদে দিলো প্রায়।তবে এই চোখের পানি দুঃখের নয় সুখের। প্রথমাবার বাবা হওয়ার অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানের মতো নয়।
.
মুগ্ধতা কে হসপিটাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে পরশু।এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।বাচ্চা দুটোকে নিয়েই এখন সারাদিন পার হয় মুগ্ধতার।ওদের নিয়েই খেলায় ব্যস্ত থাকে।মুগ্ধর খুশি যেন আর ধরে না।বাচ্চা দুটোকে নিয়ে খেলায় ব্যস্ত তখন মুগ্ধ ঠোঁট উল্টে বললো……
.
জানো তো বাচ্চারা তোমাদের পেয়ে তোমাদের বাবার কদর কমে গেছে।এখন তোমার বাবাকে তোমাদের মা একটুও ভালোবাসে না।
.
মুগ্ধর কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকালো মুগ্ধতা।বাচ্চা দুটো মৃদু হাসছে।যেন মুগ্ধর কথায় হাসি পাচ্ছে ওদের।ওদের হাসতে দেখে মুগ্ধতাও খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো।অবাক দৃষ্টিতে মুগ্ধতার দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ।হাসি থামিয়ে বললো মুগ্ধতা…..
.
কি হলো এভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন…?
.
ধুম করে মুগ্ধতার কোলে মাথা রেখে শুয়ে বললো….#মুগ্ধতায়_মুগ্ধ হচ্ছি।জানো তো মুগ্ধতা আজ আমি সবথেকে সুখী মানুষ।আামর কাছে আামর মুগ্ধতা আছে।ভালোবাসা আছে।ছেলে মেয়ে আছে আর কি চাই বলো তো!হাত দুটো ধরে এভাবে সারাজীবন পাশে থাকবে তো!
.
মুগ্ধর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে ওর হাত দুটো ধরে বললো….আমি সারাজীবন আপনার পাশে আপনার কাছে থাকবো।
.
চোখ বন্ধ করে কোমড় জড়িয়ে বললো মুগ্ধ…..
#মুগ্ধতায়_মুগ্ধ হয়ে….
তোমার পাশে,তোমার কাছে…..
আজীবন থাকবো আমি
তোমায় ভালোবেসে…!!

____________🦜সমাপ্ত🦜___________