#যে_থাকে_আঁখি_পল্লবে
#পর্ব-২৭
রুজাইফদের পুরো বাড়িতে ঈদের আমেজ। সকালের পরিবার আসার পর বাড়িটায় যেন চাঁদের হাট বসেছে। হাসাহাসি ছোটাছুটি চলছেই। নুমা হাশেম ফজিলাতুন্নেছা মুগ্ধ হয়ে বাচ্চাদের কান্ড দেখছে আর হাসছে।নাস্তা খেয়ে ফজিলাতুন্নেছার কামরায় সকলে মিলে আসর বসিয়েছে। নানারকম গল্প হাসাহাসি হচ্ছে সেখানে। হুট করে সকাল প্রশ্ন করলো-“ছোট দাদী, একটা প্রশ্ন করি? রাগ হবেন নাতো?”
ফজিলাতুন্নেছা ভ্রু কুঁচকে বললো-“হবো। তুই যদি আপনে কওয়া বাদ না দেস তাহলে রাগ হবো।”
সকাল হেসে দিলো-“আচ্ছা যাও, তুমি কইরা কবো। দাদাজানের সাথে তোমার বিয়ের ঘটনা কও তো। আমরা কেউই কিছু জানি না। দাদাজানের সাথে তোমার পরিচয় কেমনে হইলো? শুনছি তুমি এই এলাকার না। কথা কি সত্য?”
প্রশ্নটা শুনে ফজিলাতুন্নেছা নষ্টালজিক হলো। সেই পুরনো দিনে ফিরে গেলো যেন। সতেরো বছর বয়সের লাল টুকটুকে বউ সাজে নিজেকে দেখলো। লাজুক হেসে বললো-“সত্য। আমার বাপের বাড়ি বহুদূরে। সেই টাঙ্গাইল জেলায়। এখন তো সেতু টেতু হইছে। চাইলেই যাওয়া যায়। তখনকার সময় কিছুই ছিলো না। যাইতে আসতে ছয় সাত দিন লাগতো। তোর দাদাজান ব্যবসা করতো। কারো কাছে টাঙ্গাইলের কাপড়ের কথা শুনে উৎসাহী হয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল গেছিলো। সে ওই এলাকায় নতুন মানুষ, কিছু চিনে না। কেউ একজন তাকে সর্বশান্ত করে তার সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে যায়। সব হারায়ে সে একটা হোটেলের সামনে বসে ছিলো। দুই দিনের না খাওয়া মানুষ। ভদ্র চেহারার মানুষটাকে অমনভাবে বসে থাকতে দেখে আমার আব্বার মনে খটকা লাগে। তার সাথে কথা বলে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। ওনাকে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় দেয়। উনি সাতদিন ছিলো আমাদের বাড়িতে। ওনার পরিচয় পেয়ে আব্বা উনাকে টাকাও ধার দেয়। উনি কাপড় কিনে বাড়ি ফিরে যায়৷ আবার একমাস পরে ফিরে আসে। আমাদের বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকে। আব্বার ধার শোধ করে। এইবার মেলা দিন থাকে।
আমি তখন মেট্রিক দিছি। সারাদিন বাসায় বসে থাকি। মাঝে মাঝে মাকে রান্নায় সাহায্য করি। সে আব্বার সাথে সারাদিন ঘুরে ঘুরে কাপড় দেখে। দুপুরে বাসায় ফিরে আসে। খাবার টেবিলে তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয়। মা খাবার বেড়ে দেয় আমি টেবিলে দিয়ে আসি। একদিন আমার নাম জানতে চাইলো। আমি দুরুদুরু বুকে আমার নাম বলি। সে হুট করে জানতে চাইলো-“আমাকে কেমন লাগে তোমার?”
আমি অবাক হয়ে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকি তার দিকে। এই প্রথমবার তার চেহারা দেখি ভালোমতো। কি সুন্দর যে লাগলো তারে। আমার চাহুনি দেখে সে মুচকি হাসলো। তার হাসি দেখে আমার হুশ ফিরে। আমি লজ্জা পেয়ে পালিয়ে আসলাম সেখান থেকে। সেই রাতে আব্বা এলো আমার কাছে। বললো, ‘তমিজউদদীন তোমারে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলছি তোমার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব। তুমি কি এই প্রস্তাবে রাজি আছো মা ফজু?’
আমি চুপ করে ছিলাম। আব্বা বললো, ‘তুমি রাজি না থাকলে মানা করে দিব তারে। আর যদি রাজি হও তাইলে আলহামদুলিল্লাহ। তবে একটা কথা মাথায় রাইখো মা, সে অনেক দূর থাকে। বিয়া হইলে তুমি হয়তো বাপের বাড়ি ঘনঘন নাইওর আসতে পারবা না। আমি সেই ভেবে তোমার মত চাইছি। একটা জিনিস কি জানো মা, জামাই ভালো হইলে শশুরবাড়ি হয় স্বর্গ। আর স্বর্গ ছাইড়া কে বাপের আসবে? তমিজউদদীনকে আমার ভালো লাগছে। সে তোমাকে ভালো রাখবে এতটুকু বিশ্বাস আছে আমার।’
আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম বিয়েতে আব্বার মত আছে। আমি আর মানা করি নাই। রাজি হয়ে গেলাম বিয়েতে। বিয়ের তিনদিন পর তার হাত ধরে শশুরবাড়ি রওনা দিলাম।”
সকাল অবাক হয়ে বললো-“দাদাজান তো তখন বিবাহিত ছিলো। তার মানে তুমি জাইনা শুইনা তার দ্বিতীয় পক্ষ হইছো?”
ফজিলাতুন্নেছা মাথা নাড়ে-“নাহ আমি জানতাম না। তোমাদের দাদাজান বলে নাই। পথে আসতে আসতে লঞ্চে সে আবার হাত ধরলো, ‘ফজু, একটা কথা বলবো রাগ হবা নাতো?’
আমি তখন নতুন শশুরবাড়ি নিয়ে স্বপ্নে বিভোর। সে কি বলতে পারে বিন্দুমাত্র আন্দাজ নাই। আমি বললাম, ‘বলেন।’
সে বললো, ‘বাড়িতে আমার আরেকটা পরিবার আছে।’
আমি না বুঝে বললাম, ‘মানে?’
তোমাদের দাদাজানের মুখে হাসি নাই। সে আমার হাতটা বুকের সাথে ধরে বললো, ‘মানে তুমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। বাড়িতে আমার আরেকটা পরিবার আছে। তোমাদের বাড়িতে তোমাকে দেইখা আমার অনেক ভালো লাগছিল। তাই বিয়া করছি। তুমি রাগ হইয়ো না, আমি সত্যি তেমারে ভালা পাই।’
আমি হতবাক হয়ে বলি, ‘কি বলতেছেন এইগুলা? আমার আব্বা জানে?’
সে মাথা নাড়ে, ‘নাহ, জানে না। তোমারে হারানোর ডরে কই নাই। তুমি আমারে ভুল বুইঝো না। আর তুমি আমার দ্বিতীয় বউ হইলেও একমাত্র তোমারেই ভালোবাসি আমি। আব্বার পছন্দে প্রথম বিয়া করছিলাম। সে তার মতো থাকবে। তুমি আমার পছন্দ, আমি তোমার কোন সমস্যা হইতে দিমু না। দেখবা রানী কইরা রাখুম।’
কি বলবো বুঝে পেলাম না। যে স্বপ্ন দেখলাম তা নিমিষেই চুরমার হয়ে গেলো। আমার কেমন জানি পাগল পাগল লাগতেছিল। তখনই নদীতে ঝাপ দিতে মন চাইতেছিল। আমি কান্না শুরু করি। সে আমার মনেকথা বুইঝা আমারে জড়ায় ধরলো, ‘বউ, মাফ কইরা দেও। তোমারে বউ বানানোর লাইগা কথা লুকাইছি। সত্য কইতেছি তোমারে অনেক ভালা পাই। অনেক ভালোবাসি। আল্লাহর দোহাই লাগে মাফ করো আমারে। বিশ্বাস রাখো আমার উপর। আমি তোমার কোন অসম্মান হইতে দিব না। যদি দেই তাইলে তুমি বাপের বাড়ি ফিরা যাইয়।’
আমি কিছু কই নাই আর। তার প্রতারনা সহ্য হইতেছিল না। কিন্তু আমি নিরুপায়। বাপের বাড়ি যাওয়া সহজ না। আমি পথঘাট চিনুম না। বুকে পাথর বাইঁধা আমি শশুরবাড়ি আসলাম। তার প্রতি ঘৃনা আর অভিমান ছাড়া আর কোন বোধ নাই তখন। ধীরে ধীরে সেই রাগ পানি হইলো। কারণ সে তার কথা রাখছিল। আমারে যথেষ্ট সন্মানের সাথে রাখছিল এই বাড়িতে। শুধু সে না সকলেই ভালো বাসছে আমারে। সেই জন্য এই বাড়ির সবাইকে আমি মন থিকা ভালোবেসে ফেলছিলাম। এমনকি তোমার দাদী আমার সতীন হওয়ায় পরও শুধু তোমার দাদাজানের কারণে তারেও আমি আপন বোনের মতো ভালোবাসছি।”
সেঁজুতি মুখ বাঁকিয়ে জানতে চাইলো-“তুমি কেমনে দাদাজানরে ক্ষমা করতে পারছিলা? আমি হইলে এমুন জামাইয়ের কপালে উষ্টা মারতাম।”
ফজিলাতুন্নেছা হেসে দিলো-“মাইয়া মানুষ যদি জামাই ছাড়া ভালো থাকতো তাইলে কেউই বিয়া করতো না। মাইয়া মানুষের সুখ হইলো জামাইয়ে। আর ভালোবাইসা ফেললে উষ্টা মারুন যায় না সোনা। সে যতই দোষ করুক তারেই ভালো লাগে। তার লগেই সুখে থাকতে মনচায়।”
সেঁজুতি অবাক হলো-“তুমি দাদাজানকে ভালোবাসতা?”
“না বাসলে তারে বিয়া করতাম? রাগ হইছিলাম সত্য। সেই রাগ পানি হয়া গেলো তার যত্ন আর ভালোবাসায়। সে আমারে চোখে হারাইত।”
“তাইলে…” প্রশ্ন করতে গিয়ে সেঁজুতি থেমে গেলো। তার চোখ পড়েছে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা রুজাইফের দিকে। চোখ রাঙিয়ে সেঁজুতিকে মানা করছে প্রশ্ন করতে। সেঁজুতি ঢোক গিললো। রুজাইফ বললো-“তোমাদের আসর আর কতোক্ষণ চলবে? এদিকে খিদেয় জান যাচ্ছে আমার। নতুন জামাইকে আপ্যায়ন করতে হবে তো? সে কি মনে করবে বলো তো?”
সোহান সাথে সাথে বললো-“কিছু মনে করবো না ভাইজান। দাদীর গল্প শুনতে ভালোই লাগতেছে।”
“তা বললে হয় নাকি? ফুমা খাইতে দাও আমাদের।”
রুজাইফ বেরুলো এলো। ফজিলাতুন্নেছা সেদিকে তাকিয়ে নুমাকে বললো-“ওদের ভাত দে নুমা।”
নুমা উঠে গেলো। ওর পিছু পিছু উপল, সোহান ও উঠলো। সেঁজুতি সকাল আর নাদিরা বসে ফিসফিস করছিলো। রুজাইফ বললো-“তোমরা বসে রইলে কেন? উঠে এসো। দিদাকে বিশ্রাম নিতে দাও নয়তো তার শরীর খারাপ হবে।”
ওরা উঠে এলো। দুপুরে খাওয়ার পর সকালরা দোতলায় উঠবে এমন সময় শ্যামলী এলো। সকাল মাকে দেখে জড়িয়ে ধরে। শ্যামলী কেঁদে দিলো-“ও সকাল, তুই ভালো আছোস মা?”
“আমি ভালো আছি। তোমরা কেমন আছো মা?”
“আমরা ভালো আছি। বাড়ি যাবি না? ঈদের দিন বাড়ি আসলি দেখা করলি না। তোর বাপ কষ্ট পাইবো।”
সকাল মুখ ফুলালো-“মা, আব্বাই তো কইছে ওই বাড়িতে না যাইতে। আমি তো আব্বার কথা পালন করতেছি। আব্বা না ডাকলে যামু না মা।”
শ্যামলী অভিমানি গলায় বললো-“তোরা বাপ বেটি মিলা যা খুশি করোস। আমার আর কি? তোদের মাঝখানে পইড়া আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দাম নাই।”
সকাল মাকে জড়িয়ে ধরে-“তুমি রাগ কইরো না মা। আমি আব্বার কথা মানতেছি। নিজের থিকা কিছু করতেছি না।”
“যা খুশি কর। মাকে তো আর ভালোবাসোস না।”
শ্যামলী যেভাবে এসেছিল সেভাবে চলে গেলো।
সবাই ঘুমাতে গেলো উপল বাড়ি ফিরে যাবে ভাবছিল। কি ভেবে ফজিলাতুন্নেছার ঘরে উঁকি দিলো। ফজিলাতুন্নেছা চুপচাপ শুয়ে ছিলো। অনেকদিন পরে অতীত মনে করে মনটা অস্থির হচ্ছিল তার। কত স্মৃতি, কতো আলাপ সবই আজ ধূসর। স্মৃতির পর্দার সব ভেসে উঠে মিলিয়ে যায়। ফজিলাতুন্নেছা উঠে বসলো। তখন নজর গেলো দরজায় উঁকি দেওয়া মুখের দিকে। উপলকে দেখে অবাক হলো-“বাড়ি যাও নাই ভাই?”
উপল পায়ে পায়ে ঘরে ঢুকলো। ফজিলাতুন্নেছার কাছে বসলো-“দাদী, আপনার সাথে কি হইছিল? দাদা কেন আপনাকে বাড়ি থেকে বাইর কইরা দিছিল? আমাকে বলবেন?”
ফজিলাতুন্নেছা উপলের দিকে তাকালো-“তুমি এইসব জাইনা কি করবা ভাই? তুমি পড়াশোনা করো, এইসবে মাথা দিয় না।”
উপল গম্ভীর হলো-“আমি জানতে চাই দাদী। এইসবে কোনভাবে কি আমার বাপমায়ের হাত আছে?”
“ছিহ, এসব কি কথা ভাই? তাদের হাত থাকুক চাই না থাকুক তুমি এইসবে পইরো না। তারা তোমার বাপ মা। যাও বাড়ি যাও। আমি এখন একটু একা থাকবো।”
উপল কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে উঠে গেলো।
★★★
“আম্মা, বড় ভাই আর ভাবীর কান্ড দেখতেছেন? তারা সবাই আস্তে আস্তে ওই বাড়ির লোকেদের সাথে মিলে যাইতেছে। আগে খালি সেঁজুতি যাইত। এরপর সকাল গেলো। এখন উপলরে দেখলেন তো? এইবার বাড়ি আইসা ওই বাড়িতেই থাকলো।”
সাজেদ মায়ের কাছে বসে ফিসফিস করছিলো। লাকি তাকে উস্কে দিলো-“আইজ সকালে বড়ভাই নামাজ শেষ কইরা পরথম হেই বাড়ি ঢুকছিল।”
জাহাঙ্গীর বললো-“কি কও ভাবি? হাঁচা!”
খুকু বললো-“আমিও দেখছিলাম। আরও মজার খবর হইলো সন্ধ্যা কালে বড় ভাবিও গেছিল।”
“কও কি এইসব?” সাজেদ বিস্মিত হলো।
লাকি বললো-“তোমাগো তো আগেই কইছিলাম, বড় ভাই ওগো লগে খাতির কইরা চলতে চায়। দেখো নাই রুজাইফ টাকা চাইতেই টাকা দিয়া দেয়। তাগো মাইয়া ওই বাড়িতে পইড়া থাকে। আবার ওই পোলা সকালকে সাহায্য করছে। শুনলাম বুড়ি হাসপাতালে আছিল উপল সব দেখাশোনা করছে। এইগুলা কি এমনি এমনি? ভাইজান তলে তলে কি ফন্দি আটতেছে কে জানে। সম্পদ পাওয়ার লাইগা সবই করতে পারে।”
“মা, আমি কই কি এইবার জমিজমা ভাগ কইরা নেই। আমি আগেই কইলাম গ্রামের বাড়ি কিন্তু ভাইজানকে দিতাম না। হেয় এতোদিন মেলা আলিশান জীবন কাটাইছে। এইবার আমরা আমাগো হক বুইঝা নিব।”
সাজেদের কথায় জাহাঙ্গীর সাহস পেলো যেন-“আম্মা, আমি কিন্তু ইটের ভাটার ভাগ দিতাম না কাউকে। ওই ভাটার আয়ে আমার সংসার চলে।”
খুকু মিনমিন করলো-“আমাগো বাড়িও একতলা। টাকা দিয়ে বাড়ি করা লাগবে।”
শামসুল নাহার এতোক্ষণ চুপচাপ শুনলেও এখন ধমকে উঠলো-“চুপ কর তোরা। যেইনা একটু সম্পদ তা নিয়া কাড়াকাড়ি। আগে সমস্যার মুল উৎপাটন কর তারপর ভাগাভাগি করিস। শোন, ওরা বহুত বাড়ছে আমরাও দেখছি। এইবার কিছু করার টাইম হইছে। ঈদ শেষ হোক, সবার কামকাজ শুরু হোক তারপর কি করবি সেইটা কয়া দিব। ওই পোলার হেডম কত তা দেখুম এইবার।”
সাজেদ আর জাহাঙ্গীর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললো-“আপনে কি করতে চাইতেছেন আম্মা?”
“যা করলে ওরা আবার পালাইব তা করতে চাইতেছি। তোরা খালি চোখ কান খোলা রাইখা চল। আর ভুলেও ওগো সাথে লাগতে যাবি না। মিডা মিডা কথা কইবি ওগো লগে। তারপর আসল খেলা খেলুম।”
জাহাঙ্গীর আর সাজেদের চোখ চকচক করে উঠলো। শামসুননাহার বললো-“এই সম্পদ বহু কষ্টে ভাগ হওয়া থিকা আটকাইছি। এখন এতো সহজে সব ওগো নিয়া যাইতে দিমু কেমনে? ওরা বড় ভুল করছে এই বাড়িতে ফিরা আইসা। এইবার আরও ভয়ানক অবস্থা করুম ওগো যাতে জীবনে আর এই বাড়ির ত্রিসীমানায় আসার কথা স্বপ্নেও না ভাবে।”
★#দীপালি অর্ডার করছেন? না করলে আজকেই করেন। ঈদের ছুটিতে ভালো সময় কাটাতে দীপালির তুলনা হবে না। বই পেতে আজকেই অর্ডার দেন।★
চলবে—
©Farhana_Yesmin