রেড হার্ট পর্ব-২৭+২৮

0
12

#রেড_হার্ট❤️
#পর্ব_সাতাশ
#লেখিকা_রামিশা_আঞ্জুম_বুশরা

ঘনকালো মেঘে আকাশ ছেঁয়ে আছে। খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর বুকে ঢল নামবে যেন এই জানান দিচ্ছে বারংবার। দিনের বেলায় এই বৃষ্টির কোনো কারণ নেই। গতকাল বকুল আর রিমি বাসায় এসেছে রাতের দিকে। মিহাদ বাবুটা অবশ্য কান্না করেনি। চুপটি করে ফুপুর কাছে থেকেছে। কিন্তু আজ মিহাদ কিছুতেই ছাড়ছে না। তার কোল থেকে নিলেই বারবার চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠছে। ছেলেটা ফজরের দিকে উঠেছে, অথচ মুখে কিছু তুলছেনা। কলেজের টাইম হয়ে গিয়েছে। রিমি গিয়েছে নিচে। ফুপুকে হাতে হাতে সাহায্য করতে। ঘড়িতে সাড়ে ছ’টা ছুইঁছুইঁ। নাহ! আর যাইহোক দেরি করা যাবেনা। আজ ক্লাস মিস দিলে আর রক্ষে নেই। তাই কালবিলম্ব না করে সে রিমি কে ডাক দিল।

“রিমি! রিমিই! তাড়াতাড়ি ওপরে আয়, সময় অনেক কম।”

রিমিকে ডাক শেষে বকুল আয়নার কে ডাক দিল। ডাকের সাথে সাথে আয়না ছুট্টে এল,

“হ আপা, ডাকতিছেন। কন কি লাগবো?”

“বলছি যে মিহাদ কে কোলে নাও, আমি রেডি হই। সময় খুব স্বল্প!”

আয়না মাথা নাড়িয়ে খুব সতর্কতার সাথে বাবুকে কোলে নিল। ফের মিহাদের কান্না শুরু হলো। বকুল একবার অসহায় হয়ে ছেলেটার দিকে তাকালো। কি এক অবস্থা! এই ছেলেটা কেও সে ভালোমতোন সময় দিতে পারছেনা। একদিকে বাবা-মায়ের খুনী, শশুড়-শাশুড়ির খুনী, ভ্রমের রহস্য সবকিছু তাকে রিতীমত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। রাতের ঘুম টুকুও হয়না! বকুল কান্নারত মিহাদের থেকে চোখ ফিরিয়ে কাবার্ড থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো। যেতে যেতে ভাবলো, এই সময়ে যদি ভ্রম থাকতো? হয়তো তার জন্য সময় আর কাজ দুটোই সহজ হতো! আজ একা দায়িত্বের ভাড়ে তার পিঠ নত হয়ে গিয়েছে। ভাগ্য সহায় বলে তার বাবার ইন্সুরেন্স থেকে টাকা আসছে আর সরকারি ভাতা তো আছেই। নাহলে এই সংসার, মেডিকেল খরচ কিভাবে চালাতো সে! ফোঁস করে একটা শ্বাস ফেললো।

এদিকে রিমি এসে আয়নার কোলে মিহাদকে কাঁদতে দেখলো। তার হাতের নুডুলসের বাটি ছিল। দ্রুততার সাথে সেগুলো টেবিলে রাখলো। চলে এল আয়নার কাছে। মিহাদকে ওর কোল থেকে নিয়ে নিল। আয়নার ডাক পড়ল নিচে। ও আর কথা বাড়ানোর সুযোগ পেল না। তটস্থ পায়ে ফুপুর কাছে গেল। ওকে শান্ত করানোর প্রচেষ্টায় বাচ্চাবাচ্চা স্বরে সেও কথা বলতে লাগলো,

“বাবা? কি হয়েছে আমার বাবাটার! কে বকেছে? বলো আমাকে! আম্মু মেরেছে? দাঁড়াও ও আসুক আজ। এমন পিটনি দিবো না ওকে? আমার মিহাদ সোনাকে কাঁদানো? মেরে মেরে একদম ভর্তা করে দেব। কাদেনা বাবা। আমার লক্ষী বাবা! ”

এই করতে করতে মিহাদের কান্নার বেগ কিছুটা কমে এল। এতোক্ষণ চিক্কুর দিয়ে কান্না করায় চোখ দুটো লাল আর ছলছল করছে, নাকটা লাল হয়ে আছে, মুখ থেকে অনবরত লালা বের হচ্ছে। রিমি তা খেয়াল করল। টিস্যু নিয়ে পুরো মুখটা মুছে মুছে দিল। তখনই ওয়াশরুম থেকে বকুল বেরিয়ে এল। চোখ-মুখ মুছতে মুছতে রিমির কাছে এগিয়ে এল। মনটা তার একদম বিষিয়ে আছে। বড় একটা শ্বাস নিল। মলিন মুখখানা দেখে রিমি কিছুটা আন্দাজ করলো। মেয়েটা বাথরুমে হাতমুখ ধুঁয়েছে কম, কেঁদেছে বেশি। কিন্তু কাঁদলো কেন? মিহাদের পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে সে জিজ্ঞাসা করলো,

“কিরে কেদেছিস কেন?”

প্রতিত্তুরে বকুল মাথা নাড়ালো। যার অর্থ সে কাদেনি। অথচ তার চোখ বলে দিচ্ছে তার মনের অবস্থা।

“তুই বোধহয় জানিস না, মানুষের মুখ না বরং চোখ কথা বলে। আর আমি কিন্তু চোখের ভাষা পড়তে পারি। আমায় বল কি হয়েছে!”

রিমির কথায় বকুল বারান্দায় এগিয়ে গেল। হাতের টাওয়াল টা নাড়তে নাড়তে বললো,

“আর কি হবে!”

“ঠিক আছে। যতক্ষণ অব্ধি না বলবি ততক্ষণ অব্ধি কথা বলবো না।”

রিমি প্রতিত্তুর করলো না। বকুল আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। ফুঁপিয়ে উঠলো। শেষমেশ কান্নাই করে দিল। গিয়ে বসলো টেবিলের ধারে বিছানার কোণাটায়। তার কান্না আর কথায় অভিমানের সুর স্পষ্ট!

“আল্লাহ কপালে এতো কেন লড়াই দিল? তিনি কি জানেন না আমি কত দূর্বল? একদিকে স্বপ্ন, ছেলে, পরিবার, সত্য উদঘাটন কত দিকে যাবো আমি? আমি আর পারছি না রিমি! কেন যে ভ্রম আমায় ছেড়ে চলে গেল। আবার এসেছে ধ্রুব স্যার। যে কিনা দেখতে একদম আমার ভ্রমের মত। বছর পেরোলো। শরীরের থেকে কলঙ্কের তকমা টা উঠাতে পারলাম না। প্রমাণ রয়েছে, সময়ও আছে কেবল নেই অপরাধী আর ভুক্তভোগী। এখনো আমাকে নিয়ে কথা হয়! ভ্রমকে নিয়ে অনেকে গালা/গাল করে। এইসব আমার সহ্য হচ্ছে না রিমি। আমি একটু শান্তি চাই!”

রিমি বান্ধবীর সব অভিযোগ শুনলো। ওর কাছ ঘেষে বসতে চাইলো, দিল না মিহাদ। কান্না শুরু করে দিল। অগত্যা দাড়িয়েই সে বকুলের মাথায় হাত রাখলো। আলতো করে বুলিয়ে দিল। বললো,

“তোর পাশে আমি আছি বকুল। কথা দিলাম তোকে, এই লড়াইয়ের শেষ অব্ধি আমি যাবো। যাবোই!”

বকুলের আরো জোড়ে কাঁদতে ইচ্ছা করলো। তার বারবার মনে হয় কেউ কি বান্ধবীর জন্য এমনটা করে? না! কিন্তু রিমি? কোনোপ্রকার রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও জান-প্রাণ দিয়ে সে তার সাথে সাথে থাকছে, কাধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিটা পদক্ষেপে আপোসহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তাহলে সে একা কই! তার তো বকুল আছে!

“আমি অনেক ভাগ্যবতী রিমি। শত শূণ্যতায় তুই, মিহাদ আমার অন্যতম পূর্ণতা। তোকে পাওয়া অনেক ভাগ্যের!”

বলেই ওকে জড়িয়ে ধরলো। রিমিও খুব যতনে আগলে নিল। তারপরই সতর্কতা বার্তা দিল।

“হয়েছে এবার। নুডুলস টা জলদি খা। সময় একদম ই নেই।”

“না, মিহাদকে আমার কাছে দে। ও ফুপাচ্ছে!”

“উহুঁ! আজ মিহাদের আদরের মাঝে ভাগ বসাবো। ও আমার কোলে ফোপাঁক৷ তুই আমায় আজ খাইয়ে দে!”

কি মিষ্টি আবদার। ফেলতে পারলো না বকুল। কান্নার মাঝেও একগাল হেঁসে তাকে খাওয়াতে আরম্ভ করলো।

_______________
প্রথম ক্লাসটা মিস হয়েও হয়নি। আল্লাহ পাক রহম করেছে তার ওপর। পাঁচ মিনিট আগে কলেজে এসেছে। প্রিন্সিপাল স্যারের অনুমতি নিয়েছে মিহাদ কে নিয়ে ক্লাস করার। বলতে গেলে মিহাদকে নিয়ে আজই প্রথম কলেজে আসা। বাসায় কান্নার তোপে ছেড়ে আসতে না পেরে সাথে আনতে হয়েছে তাকে। তার ওপর মিহাদ প্রথম ক্লাসে পুরো চুপ থেকেছে। তবে কিছুক্ষণ আগে থেকেই কান্না শুরু করে দিল। এদিকে দ্বিতীয় ক্লাস টা ধ্রুব স্যারের। রিমি কোলবদল করলো। মিহাদকে নিয়ে এদিকে ওদিকে হাঁটাহাঁটি করলো। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হল না। হীতের বিপরীত হল। মিহাদের কান্না আরো বেশি বেড়ে গিয়েছে। এতোদিন মিহাদ আর মিহাদের মা অর্থাৎ বকুলকে আড়চোখে দেখা স্টুডেন্ট’ও মিহাদের কাছে হার মেনেছে। সকলেই এসে এসে মিহাদকে এটা ওটা দিয়ে যাচ্ছে। কোলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মিহাদ কিছুতেই যাচ্ছেনা। উলটো এতো মানুষ দেখে ছেলেটা একপ্রকার কান্না করে দিচ্ছে। তখনই বকুলদের কাছে ছুটতে ছুটতে দিগন্ত এল। বকুল আর রিমি দু’জনের চোখ ছানাবড়া। দিগন্ত? এতোদিন পর? সঙ্গে সঙ্গে সর্বাঙ্গে রাগ ভর করলো দু’জনের। রিমির বিরক্ত লাগলো। এই শত্রু কে নাকি তার ভালো লেগেছিল? একে তো তার এখানেই গলা টিপে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে! রিমি এগিয়েও গেল সেদিকে। তবে দিগন্তের বলা কথা শুনে বসার থাকার ও সময় মিললো না হাতে।

“তোমরা তাড়াতাড়ি ক্লাসে এস। ধ্রুব স্যার আসলেন বলে!”

রিমি বকুলের হাত ধরেই বড় বড় পা ফেলে ক্লাসরুমের ভেতর গেল। ক্লাস মিস দিলে খাতা দেখায় নম্বর যে দেবে কমিয়ে। যেখানে তাদের এই ইয়ারে এক নম্বরের মূল্য অনেক বেশি!

চলবে ইন’শা’আল্লাহ।

#রেড_হার্ট❤️
#পর্ব_আঠাশ
#লেখিকা_রামিশা_আঞ্জুম_বুশরা

“বাবুকে আমার কাছে দিন!”

কী সাবলীল আবদার!
বকুল স্তম্ভিত হলো। লিষ্ফল চেয়ে রইলো তাহার চোখজোড়ায়। পুরো ক্লাসরুমে চলছে পিনপতন নীরবতা। কেউ টু আওয়াজ অব্ধি করছে না। তবে চোখের ইশারায় একে অপরের ভাব আদান-প্রদান করে নিচ্ছে। এদিকে বলার পরেও বকুলের ওমন স্তম্ভিত চাওনি তে ধ্রুব ভ্রু কুচকালো। বাবুটা কেঁদেই চলেছে। তার দিকে তাকিয়ে কেঁদেই চলেছে। কালবিলম্ব না করে ঝড়ের গতিতে মিহাদকে নিজের কোলে নিয়ে নিল। আর ওমনি অলৌকিক ভাবে মিহাদের কান্না থেমে গেল। ছেলেটা অল্প অল্প করে হাসতে লাগলো। পুরো ক্লাস অবাক! বিস্ময়ে হতভম্ব। ধ্রুব সময় নষ্ট করলো না। ক্লাসে কড়া আদেশ জারি করলো,

“সবাই গতকালের পড়াটা আজ বুঝে লাইন টু লাইন লিখবে। আমি খাতাগুলো জমা নেব। তারপর আগামীকাল নম্বর পাবে! ধরে নাও এইটা একটা ক্লাস টেস্ট!”

অতঃপর মিহাদকে নিয়ে পা বাড়ালো ক্লাসরুমের বাহিরে। মিহাদ ধ্রুবের কলার টা খুব শক্ত করে ধরে আছে। ধ্রুব সেটা খেয়াল করলো। তার মুখে অদ্ভুত হাসি। কলারে ধরে রাখা হাতটা ধরে মিহাদকে শোধালো,

“বাবাকে এইভাবে আটকাতে নেই মিহাদ! বাবা ছিল এবং আছে। মা আর তোমার আশেপাশেই বাবা থাকে। তোমার মা’টা একটা বোকা। নাহলে বোঝার থাকলে অনেক কিছু বুঝতো! এখন সে কি করছে? গাধার মতোন আরেক গাধা নিয়ে আমার আস্তানায় হানা দিচ্ছে! তোমার মা কে সাবধান করে দিও ছেলে। সময় হলে আমিই সব রহস্য তুলে ধরবো। সে যেন কেবল তোমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে!”

মিহাদ কি বুঝলো কে জানে! ধ্রুবর কথা শুনে সে একটা আওয়াজ করে হেসে ওঠলো। ধ্রুব মুখের পানে মুগ্ধতা নিয়ে চেয়ে রইলো। খানিক সময় পর মিহাদের কপালে চুমু খেল। বুকের মাঝে জাপটে ধরে অনুভব করলো পিতৃত্ব! আহা, কি সুখকর অনুভূতি!

_________

শায়কের ফোনে গতকাল কল এসেছে অগণিত। মেসেজ এসেছে ৩০+। খানিক অবাক হয়ে ফোনটার দিকে তাকিয়ে রইলো শায়ক। ব্যস্ততায় তার শরীর দূর্বল হয়ে পড়েছিল। ডাক্তার বেড রেস্টে থাকতে বলেছে। শেষমেশ ঘুমের ওষুধ খেয়ে যে ঘুম দিল উঠলো এই কিছুক্ষণ আগে। আর সাথে সাথেই এইগুলো সামনে এল। শায়ক ভালোভাবে নাম্বার টা খেয়াল করলো। আননোর নাম্বার। সে চেনে বা জানে এরম ও মনে হচ্ছেনা। কিছু একটা ভেবে মেসেজ গুলো ওপেন করলো। এক এক করে সব মেসেজ পড়তেই তার কাছে পুরোটা পরিষ্কার হলো যে কে তাকে মেসেজ করেছে। মেসেজগুলো বলে দিচ্ছে নাম্বারটা তার প্রাণ প্রিয় বন্ধুর বৌমার। অর্থাৎ বকুলের! এতদিন পর? শায়ক কিছুটা ভাবুক হয়েই মেসেজগুলো পড়তে শুরু করে। প্যাকেট করে ভিডিও ছবি এগুলো দেখতে থাকে। সবগুলো ছবি সেদিনের যেদিন রিমি আর বকুল গিয়েছিল সিক্রেট রুমটায়। এক এক করে সব রহস্যের কথা বকুল জানিয়েছে। সব দেখে শায়ক চিন্তিত হলো। বন্ধুর বিয়োগে মনটা অশান্ত ছিল খানিক সময়। এখনো মনে করলে বুকের ভেতর ভীষণ যন্ত্রণা হয়। কিন্তু আজ যখন বকুল বললো সব, তখন সত্যিই তার ভাবতে হচ্ছে। ভ্রমের মতোন দেখতে কারোর ফিরে আসা, পুলিশের তদন্তে বোমব্লাস্টের কাহিনী, বকুলের বাবা-মা সহ পুরো পরিবারের মৃত্যু। সবগুলো কি কাকতালীয়? কিভাবে! না, দেরি করা চলবে না। বকুলের পাশে দাড়াতে হবে।

শায়ক আর এক মুহূর্ত দেরি করলোনা। দ্রততার সাথে তৈরি হয়ে গেল। উদ্দেশ্য ঢাকা টু ময়মনসিংহ!

______

দ্বিতীয় ক্লাস শেষ। ধ্রুব বাহিরে থেকে একজন কে ডেকে খাতা তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন, আর নিজে প্রস্থান করেছেন। বকুল হাঁসফাঁস করছে। এইভাবে মিহাদকে নিয়ে চলে গেছে। তার এখন আনতে যাওয়া উচিত। কিন্তু কথাটা কিভাবে গিয়ে বলবে সেটা সে বুঝতে পারছে না। বারংবার হাত কচলে শক্ত করে নখগুলো দিয়ে দাগ বসাচ্ছে। রিমি বকুলের কান্ডগুলো লক্ষ্য করলো। ঠোঁটের কোণে বিদ্রুপতা রেখে বললো,

“এতো কিসের ভাবা ভাবি রে? মনে হচ্ছে ছেলেটা ওনার?”

বকুল থেমে গেল। সত্যিই তো তাই! ছেলেটা তো ওর, ধ্রুবর নয়! নিজের ছেলেকে আনতে যাবে কিসের এতো সংকোচ? এই ভেবে খানিকক্ষণ চুপ থাকলো। তারপর বড় একটা শ্বাস নিয়ে রিমিকে ‘তোর আসতে হবেনা’ নির্দেশ দিয়ে পা বাড়ালো ধ্রুবর কাছে। হঠাৎ…

To be continue…