শত ঘৃণার পরেও ভালোবাসি পর্ব-১১

0
1155

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..11

রিমান,,,,,,, আরে বলে যা,এখন এই হাসির মানে আমি ধরে নিবো।

রিমান নিজেকে ভালো করে চেক করে,,, নিজেকে চেক করে বলে,,,,,,, না না কিছু হয়নি।
,,,,,,,,,,,,
দিয়া ঘুম থেকে উঠে দরজা দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মারে, কেও নেয় দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি নাস্তা রেডি করে টেবিলে রেখে, দৌড় দেয়৷

কিছু ক্ষন পর আহান নিচে নেমে দেখে, দিয়া নেয় দরজা লাগানো, টেবিলে নাস্তা রাখা আছে। আহান কয়েক বার দরজার সামনে গিয়ে ফিরে আসে, কিছু না বলে।

এসে নাস্তা করে নেয়। অনেক ক্ষন হয়ে যায়, দিয়ার কোনো খবর নেয়, তাই আহান দিয়ার দরজার সামনে গিয়ে বলে,,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে যা, আজ তোকে আমার সাথে অফিসে যেতে হবে।

দিয়া,,,,,,,,, কেনো আমি কেনো যাবো, আমার হসপিটালে যেতে হবে।

আহান,,,,,,,, আমি জানি আজ তোর বন্ধ। সো কোনো ড্রামা করার দরকার নেয়। চুপচাপ ২০ মিনিট এর মধ্যে বেরিয়ে আয়, না হলে দরজা ভেঙে যেভাবে আছিস ঠিক সেভাবেই নিয়ে যাবো। কথাটা যেনো মাথায় থাকে।

বলে আহান উপরে চলে যায়, আর দিয়া ঠোঁট বেকিয়ে বিছানায় বসে পড়ে। আর কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলে,,,,,,, আআআ আমি কিভাবে যাবো ওনার সামনে। দিয়া অভিনয়ের এতো শখ ছিলো তো টিভিতে দেখাতি, সরাসরি দেখানোর কি দরকার ছিলো। আমি যাবো না, মানে যাবো না, দেখি কি করে।

কিছু ক্ষন পরে আহান এসে দিয়াকে ডাক দেয়,,,,,,, দিয়া তুই আসবি নাকি আবার আমার আসা লাগবে।

দিয়া চুপচাপ বেরিয়ে আসে, মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। আহান গাড়িতে গিয়ে বসতে বলে, দিয়া তাড়াতাড়ি গিয়ে গাড়িতে বসে। আহান গাড়ি ড্রাইভ করছে, আর মুশকি মুশকি হাসছে, দিয়া এটা দেখে লজ্জায় গাড়ির জালানা দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু ক্ষন পরে আহান জোরে জোরে হেঁসেই দেয়।

দিয়া,,,,,,,,, হাসছেন কেনো।

আহান,,,,,,,,,কালকের কিছু ফানি মূহুর্ত মনে পড়ে গেছে।

এটা শুনে দিয়া মনে মনে জোরে কান্না করছে। আর আহান হেঁসে যাচ্ছে।

দিয়া,,,,,,,,,, এতো জোরে জোরে আপনাকে কোনো দিন হাসতে দেখিনি,, হাসলে আপনাকে ভালোই লাগে।

আহান হাসি বন্ধ করে দেয়।

দিয়া,,,,,,,, আরে হাসি বন্ধ করে দিলেন যে।

আহান,,,,,,,আমার এখন হাসি পাচ্ছে না তাই।

দিয়া,,,,,,,,,, (আমি জানতাম এটা বললে হাসি বন্ধ হয়ে যাবে হুহহ,,,,তবে হাসলে অনেক কিউট লাগে, গোমরো মুখো একটা) মুশকি হেঁসে।

আহান,,,,,,,তুই কেনো হাসছিস।

,,,,,,,কই না তো। (হাসি বন্ধ করে)

আহান অফিসে যায়, সাথে দিয়াও, সবাই ওদের দেখে মুশকি মুশকি হাসছে, দিয়া লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে। দিয়া তাড়াতাড়ি আহানের আগে আহানের কেবিনে ঢুকে যায়। আহান কিছু না বলে ভিতরে যায়। গিয়ে দিয়া সোফায় চুপচাপ বসে থাকে।

তখন একটা লোক এসে বলে, জরুরি মিটিং আছে। মিটিং রুমে যেতে হবে।

আহান,,,,,,,,,দিয়া কিছু ক্ষন পর আমি মিটিং রুমে যাবো, এখানে চুপচাপ বসে থাকবি।

দিয়া,,,,,,,, চুপচাপ বসে থাকা জুরুরি।

,,,,,আচ্ছা যা করার এখানে করবি, এই কেবিন থেকে বের হবি না৷

,,,,,,,,,ঠিক আছে, ঠিক আছে।
,,,,,,,,,

রুহি আর রিমান নাস্তা করছে।

রুহি,,,,,,,, কেমন হয়েছে।

,,,,,,,,হুমম কোনো রকম।

,,,,,,,, এতো ভালোবেসে বানিয়েছি, আর তুমি বলছো কোনো রকম।

,,,,,,,,,, ভালোবাসায় লবন কম হয়েছে।

,,,,,,,,, কিহহ,,,আচ্ছা বাদ দাও,, তুমি বলছিলে তুমি নাকি আমাকে ঘৃণা করো।

এটা শুনার পর রিমান কাশি শুরু করে দেয়।রুহি পানি এগিয়ে দেয়,, রিমান পানি খেয়ে শান্ত হয়ে বলে,,,,,, মানে।

,,,,,,,,,কালকে তুমি বলছিলে তুমি নাকি আমাকে ঘৃণা করো।

,,,,,,,,,,, আর কি কি বলেছি।

,,,,,,,,,আর কি কি বলেছো সেটা পড়ে জানবে, আগে আমাকে এটা বলো তুমি আমাকে ঘৃণা কেনো করো।

,,,,,,,,,সেটা বলি নি।

,,,,,,,বললে কি আর জিজ্ঞেস করতাম।

,,,,,,,,, আর ঘৃণা করার কারন থাকলে কি সেটা বলতাম না।

,,,,,,,,,সেটাই তো, আমি নাকি তোমার জীবন নষ্ট করে দিছি, তোমার থেকে সব কিছু কেড়ে নিয়েছি, তোমার জীবনের সব কষ্ট নাকি আমার জন্য। এটা সম্ভব নাকি।

রিমান রাগে চামচ জোরে টেবিলে রাখে, রুহি চমকে যায়।

রুহি,,,,,,,,,, কি হলো।

রিমান,,,,,,,,, তুই তো জানিস, আজকে আমার প্রজেক্ট দেখাতে যাবো। সেটা নিয়ে কিছু কাজ আছে, তুই এখন যা।

রুহি,,,,,,,,, হ্যাঁ তো একটু পরে যায়।

,,,,,,,,, যেতে বলেছি না, এখনি বের হ।

,,,,,,,,ওকে চিল চিল,,,,আমার বেস্ট ওয়িস তোমার সাথে। দেখো আজ তোমার প্রজেক্ট সুপার হিট হবে।

রুহি তার হাত থেকে একটা বেন্ড খুলে রিমানের হাতে জোর করে পড়িয়ে দেয়।

,,,,,,,,এটা কি করছিস, কি এটা। (রাগে)

,,,,,,,,,,এটা আমার লাকি বেন্ড, এটা থাকলে সব কিছু ভালো হয়, আজ থেকে আমার লাক তোমার সাথে। বায়, আর অল দ্যা বেষ্ট।

বলে রুহি চলে যায়, রিমান জোরে দরজা আটকিয়ে দেয়। রাগে রিমানের চোখে পানি চলে আসে। সে টেবিলে রাখা খাবার গুলো রাগে ফেলে দেয়।

রুহি বাসায় গিয়ে, গোসল করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কালকের কথা গুলো মনে করে লজ্জা পেতে থাকে।

রুহি,,,,,,,,আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো, শুধু এ কারনে বলো না যে, তোমার বাড়িটা ছাড়া আর কিছুই নেয়, নিজেই কষ্ট করে চলো, আমার যাতে কোনো কষ্ট না হয় তাই তুমি আমাকে এড়িয়ে চলো।

একবার তোমার প্রজেক্টটা হয়ে গেলে তুমি নিজে আমাকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করবে, আমি জানি। আল্লাহ পিল্জ আজ জেনো ও কাজে সফল হয়।

এটার জন্য রিমান অনেক পরিশ্রম করেছে৷ আমার জন্য না হলেও রিমানের জন্য পিল্জ, আমার সব লাক ওকে দিয়ে দাও।
,,,,,,,,,,,,,

আহান মিটিং এর জন্য যায়, দিয়া আস্তে করে উঠে আহানের চেয়ারে গিয়ে বসে, বসে চেয়ার ঘুড়াতে থাকে।

আহানের লেপটপ সে চালু রেখে চলে গেছে, দিয়া অনেক ক্ষন ধরে লেপটপের দিকে তাকিয়ে আছে।

দিয়া,,,,,,,, কারো পার্সোনাল জিনিসে হাত দেওয়া ঠিক না। একদমি না।

একটু পর দিয়া আহানের লেপটপে টিপা টিপি শুরু করে দেয়।

দিয়া,,,,,,,, নিজের লেপটপ কেও খুলা রেখে দেয়, এটা আমার দোষ না, এটা ওনার দোষ। এখন দেখবো ওনি কার কার সাথে চেট করে, আর তিন বছরের পিক তো অবশ্যই আছে, সেটা থেকে কার কার সাথে ঘুরেছে, এটাও জানা যাবে।

দিয়া আহানের চেট লিস্টে ডুকে, সেখানে ছেলে ছাড়া আর কেও নেয়। পেটির আর আহানে কথা ভার্তা চেক করে অফিসের কাজ ছাড়া কিছু পায় না।

দিয়া,,,,,,,, আন রোমান্টিক একটা,,,, যাক পিকে দেখা যাক।

দিয়া গেলারিতে গিয়ে অভাক হয়ে যায়, সেখানে বেশির ভাগ তার ছবি,, তাও আবার অনেক আগের ও আছে। এক বছর দুবছর এমনি তিন বছর আগের ও আছে। কিছু পিকে দিয়া বাহিরে খাচ্ছে, কিছু পিক এ দিয়া ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছে।

দিয়া,,,,,,,,, এখানে সব আমার পিক কেনো, তাও আবার মনে হচ্ছে প্রতি দিনের চার পাঁচটা পিক আছে আমার।

এখানে প্রায় ৮ হাজার পিক আছে, আর সবি আমার। ওনি তো দেশের বাহিরে ছিলো, তাহলে এতো পিক আমার কে, কোথায় আর কিভাবে তুললো। আমার প্রতেকটা মুহূর্তের পিক আছে এখানে। সব ঠিক আছে, কিন্তু আমি নাক ছাড়ছি এটার পিক কে তুললো, আর কেনো। (চোখ গুলো ছোট ছোট করে)

কারো আসার আওয়াজ পেয়ে দিয়া,তাড়াতাড়ি লেপটপ বন্ধ করে নিজের জায়গায় চলে যায়। আহান আসে, দিয়া আহানকে দেখে মিথ্যা হাসি দিতে থাকে। আহানের সন্দেহ হয়। সে তার আশেপাশে ভালো করে দেখে৷

আহান,,,,,,,,শুন, আমাদের সাথে লাঞ্চ করতে চল।

দিয়া,,,,,,,,, আমি চিনি না জানি না, তাদের সাথে যেতে পারবো না, আপনার জান।

,,,,,,,,,, আজকে এখানে অনেক অচিনা মানুষ এসেছে, তোকে একা রেখে যাওয়া যাবে না।

,,,,,,,আরে দূররর আমার কিছু হবে না,,, আর আপনার মন না মানলে যাওয়ার দরকার নেয়।

,,,,,,,,মিটিং টা আমার এখানে হয়েছে, সো তাদের লাঞ্চের জন্য ইনভাইট না করলে আমার অপমান হবে। আর আমি তোকে জিজ্ঞেস করছি না, তোকে বলছি।

,,,,,,,,,,(হেহহ অ্যাটেটিউট কাকে দেখাচ্ছে, আমার কি কম আছে)

,,,,,,,,,, চল আমার সাথে।

আমিও আহানের পিছনে পিছনে যেতে থাকি। কিছু করার নায়। যেতেই পেটি শাঁকচুন্নির সাথে দেখা।

পেটি,,,,,,,,, আহান দিয়া এখানে কি করছে।

আহান,,,,,,,ও একটা কাজে এসেছিলো।

পেটি,,,,,,,,, এখন কি ও আমাদের সাথে যাবে, না মানে সবাই এখানে বিসনেজ মিটিং এ এসেছে।

আহান,,,,,,,, সো হোয়াট,, ও আমার সাথেই যাবে, কোনো প্রবলেম আছে৷

পেটি,,,,,,,,, নো,,,, তবে দিয়া কালকে তুমি যা করলে, নেশায়,পুরে ডুবে ছিলে।

আহান দিয়ার দিকে তাকায়, দিয়া একটা ইনোসেন্ট ফেস করে নিচে তাকায়।

সবাই বের হচ্ছে, সেখানে দিয়া ইয়াসকেও দেখে। ইয়াস দিয়াকে দেখে একটা হাসি দেয়।

দিয়া,,,,,,,(এ এখানে তাও আহান আমাকে নিয়ে এসেছে, আর কি বেশরম দেখো কালকে এতো কিছু বললাম তাও কিভাবে হাসছে দেখো)

দিয়া গিয়ে গাড়িতে বসতে নেয়, পেটি আগে গিয়ে আহানের সাথে বসে। দিয়া রাগে পিছনের সিটে বসে। দিয়া মনে মনে হাজারটা গালি দিচ্ছে।

সবাই একটা বড় রেস্টুরেন্টের সামনে এসে থামে। দিয়া
আস্তে করে আহানের সাথে এসে দাঁড়ায়। সবাই যেতে থাকে, আহান দিয়ার হাত ধরে চলতে থাকে। দিয়া অভাক হয়ে এক বার আহানের দিকে তাকায়, একবার হাতের দিকে।

আহান,,,,,,,সোজা হাট,, এখানে অনেক মানুষ, আর অনেক বড়ো প্লেজ, হাড়িয়ে যেতে পারিস।

দিয়া,,,,,,,, আমি কি ছোট বাচ্চা যে হারিয়ে যাবো।

,,,,,,মনে আছে এক বার এমনি এক জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম আর তুই হারিয়ে গিয়েছিলি,, আর তখন তুই এতোটাও ছোট ছিলি না।

দিয়া মুশকি মুশকি হাসছে, পেটি এটা দেখে জেলাস ফিল করছে, ইয়াসের রাগ হচ্ছে।

রেস্টুরেন্টের বড় একটা পার্ট বুক করা হয়, সেখানে একটা টেবিলে ৬ জন করে বসা হয়। পেটি আহানের সাইডে বসে, দিয়া আহানের অন্য সাইডে বসে। আবার দিয়ার সাইডে ইয়াস বসে, আর ইয়াসের পাশে আরো দুজন বসে।

আহান কিছু বলে না, শুধু দিয়া বসা অবস্থায় আহান দিয়ার চেয়েরটা টান দিয়ে কিছুটা নিজের দিকে আনে। দিয়া ভয় পেয়ে গেছিলো।

সবাই খাওয়া দাওয়া করছে আর বিসনেজ এর বিষয়ে কথা বলছে৷ দিয়া শুধু শুনছে, কিছু বলছেও না কিছু বুঝছেও না।

দিয়ার মুখে একটু খাবার লেগে যায়, ইয়াস একটা টিস্যু পেপার নিয়ে দিয়ার মুখ মুছে দিতে হাত বাড়ায় আহান ধরে ফেলে। আহান ইয়াসের হাত ধরে তার থেকে টিস্যু পেপারটা নিয়ে দিয়ার মুখ মুছিয়ে দেয়। ঐদিকে কি হচ্ছে দিয়া কিছুই বুঝতে পারছে না।

ইয়াস,,,,,,,,,, দিয়া জুসের গ্লাসটা দাও তো।

দিয়া আহানের দিকে তাকায়, তাকিয়ে ইয়াসকে একটা জুসের গ্লাস দেয়।

ইয়াস,,,,,,, দিয়া তুমি আমার কতো খেয়াল রাখো, তুমি জানো আমার কমলার জ্যুসে এলার্জি তাই অন্যটা দিয়েছো কমলারটা না দিয়ে, হাও সুইট।

এটা শুনে আহান খাওয়া বন্ধ করে দেয়, দিয়ার কিছু বলার মতো নেয়, দিয়া ভয়ে আহানের দিকে তাকাচ্ছেও না।

ইয়াস,,,,,,,, আগের দিন গুলো কি সুন্দর ছিলো তাই না দিয়া। আমার তো আবার আগের দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।

দিয়া কিছু বলছে না, আহান শুধু শুনছে, আহানের রাগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

পেটি,,,,,,,,,ইয়াস তুমি দিয়াকে আগের থেকে চিনতে।

ইয়াস,,,,,,,,আরে হ্যাঁ ও আমার,,

আহান,,,,,,,, বেস,অনেক হয়েছে (রাগে) খাবারের সময় এতো কথা বলতে হয় না। আর অপ্রয়োজনীয় কথা তো একদমি না। কাজের কোনো কথা থাকলে বলো, না হলে সবাই চুপচাপ খাবার খাও।

সবাই খাচ্ছে, দিয়ার গলা দিয়ে খাবার নামছে না। আহান চুপচাপ বসে আছে।

পেটি,,,,,,,, একি আহান তুমি খাচ্ছো না কেনো।

আহান,,,,,,,আমার খাওয়া হয়ে গেছে।

দিয়া,,,,,,,,(দিয়া আজ তোর কপালে শনি নাচ্ছে)

সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। এখন যাওয়ার পালা, দিয়া দূরে দাঁড়িয়ে আছে পেটির সাথে।

আহান,,,,,,,,,, ইয়াস তোর মনে হচ্ছে না একটু বেশিই উড়ছিস। এই পাখা কাটতে কিন্তু আমার বেশি দেড়ি হবে না। তাই নিজের সীমানা অতিক্রম করতে ভেবে নিবি।

ইয়াস,,,,,,,, আমার সীমানা কতোটুকু আমি জানি। আর কি করবো দিয়ার মধ্যে একটা নেশা আছে, যেটা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।

আহান,,,,,,,মুখ সামলে কথা বল, না হলে আমি ভুলে যাবো কন্টাক্ট এর কথা।

ইয়াস,,,,,,,,, কিভাবে বলবো,,, তোকে তো বলেছি অনেক আগেই, আমাদের ভালোবাসা কতোটা গভীর ছিলো, এতোটা গবীর ছিলো যে দিয়া অনেক আগেই নিজেকে আমার পুরোপুরি ভাবে করে দিয়েছে, বলেছিলাম তো। আরো কি কি যেনো বলেছিলাম,,,

আহান রাগ সামলাতে না পেরে ইয়াসকে মারা শুরু করে দেয়। ইচ্ছে মতো পিটাতে লাগে। সবাই আহানকে আটকায়। আহান রাগে দিয়ার হাত ধরে, দিয়াকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে থাকে।দিয়া ভয়ে কান্না করে দেয়।

দিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে, তার বডিগার্ডকে ডাক দেয়, তাড়া গাড়ি থেকে নামে।

আহান,,,,,,,, দিয়াকে বাসায় নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিবে, আর যতো ক্ষন না আমি আসছি বাসার গেইট থেকে কেও নড়বে। আর হ্যাঁ রাস্তায় বা বাড়িতে দিয়ার কোনো ক্ষতি হলে আমি কাওকে বাঁচিয়ে রাখবো না বলে দিলাম। (রাগে)

দিয়া,,,,,,,,আহান আপনি আসবেন না৷

আহান,,,,,,,, তাড়াতাড়ি গাড়ি ছাড়ো,এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছে কেনো। (জোরে চিৎকার করে)

গাডরা সবাই দিয়াকে নিয়ে চলে যায়। পেটি দৌড়ে আসে।

পেটি,,,,,,, আহান কি হয়েছে।

,,,,,,,,কিছু না।

,,,,,,,,,তুমি আমার সাথে চলো।

,,,,,,,,(এখন যদি দিয়া আমার সামনে থাকে তাহলে আমি একটা কিছু করে ফেলবো, সব রাগ ওর উপর চলে যাবে)

আহান পেটির সাথে চলে যায়।

সন্ধ্যায়,,,,,

রিমান রেডি হয়ে তার প্রজেক্ট এর কাজে যায়। মিটিং এ তার প্রজেক্ট এর বিষয়ে কথা বলে। আর সবাই অনেক খুশি হয়। রিমানের সবাই অনেক পছন্দ করে। এবং সবাই তার প্রজেক্ট এ ইনভেস্ট করতে রাজি হয়।

মেরিন,,,,,,, রিমান কংগ্রাচুলেশনস,,,, আমাদের প্রজেক্ট কাজ করে গেছে, এখন দেখবে পরিস্থিতি কিভাবে রাতারাতি বদলে যায়। আমার তোমার উপর পুরো বিশ্বাস ছিলো।

রিমান,,,,,,, থেংস মেরিন, আমাকে আমার প্রজেক্ট এ সাহায্য করার জন্য।

মেরিন,,,,,,, ও পিল্জ আমি কিছুই করেনি,, শুধু কিছু ইনফ্রমিশন দিয়েছি, এটা পুরোটা তোমার ক্রেডিট। এমন আবার আমাকে ভুলে যেয়ো না।

রিমান,,,,,,,, ওহহ কামঅন মেরিন,, আমার অনেক টাকা হলেও তোমার বাবার কিছু কম নেয়। আর তোমার মতো বন্ধুকে ভুলা যায় না।

মেরিন,,,,,,,ওকে আমি এখন আসি,, আর হ্যাঁ কিছুদিন পরে সফলতার পার্টি দিবে অবশ্যই সো আমাকে ডাকতে ভুলো না।

রিমান,,,,,,,,, মেরিন পিল্জ।

মেরিন,,,,,,আমি মজা করছিলাম,,,ওকে বাই।

রিমান,,,,,, হুমমম।

মেরিন চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, এখন আমাকে আর কেও আটকাতে পারবে না। আজ আমি এতো খুশি বলার মতো না। আহানকে একটা ফোন দিয়।

ফোন হাতে নিয়ে রিমানের তার হাতের দিকে নজর যায়। যেখানে রুহির দেওয়া ব্রেসলাইটটা ছিলো। সেটা দেখে রুহির কথা গুলো মনে পড়ে যায়। রিমান তার চোখ ফিরিয়ে বেল্টটা খুলতে চাই কিন্তু পারে না। জোরে কিছু ক্ষন টানাটানি করে কিন্তু ছিঁড়তেও পারে না। হয়রান হয়ে ছেড়ে দেয়।
,,,,,,,,,,

পেটি আহানকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পেটি আহানকে একটা ড্রিংক বানিয়ে দেয়। আহান একটু খেয়ে রেখে দেয়। পেটি একটা ছোট ড্রেস পড়ে আসে। আহান সোফায় বসে আছে।

পেটি,,,,,,, আহান তুমি এখনো মন খারাপ করে আছো,, আমার দিকে দেখো, আমি তোমাকে এভাবে দেখতে পারবো না। আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিবো। (আহানের কাছে গিয়ে বসে)

আহান,,,,,,,,,পেটি আমার এখন কথা বলতে ভালো লাগছে না, পিল্জ আমাকে একটু একা থাকতে দাও।

,,,,,,,ঠিক আছে, তুমি কথা বলো না,,,, আমার কাছে আসো, আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিবো। (আহানের গায়ে হাত দিয়ে)

,,,,,,,পেটি তুমি কি করছো।

আহান পেটির দিকে তাকিয়ে, তার ড্রেস দেখে আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়।

আহান,,,,,,আমার এখন যাওয়া উচিত।

আহান উঠে যেতে নেয়, পেটি আহানকে নিজের দিকে টান দেয়, হাত ধরে। আহান পেটির উপরে সোফায় পড়ে যায়। পেটি আহানকে জরিয়ে ধরে।

,,,,,,,,পেটি কি করছো, ছাড়ো আমাকে।

পেটি আহানের গলায় কিস করতে থাকে, আহান পেটিকে জোর করে ছাড়িয়ে দাঁড়ায়।

পেটি,,,,,,,,, আহান, পিল্জ ডোন্ট গো,, আই ওয়ান্ট ইউ। আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আহান,,,,,,,,পেটি এখন তুমি হুঁশে নেয়।

আহান সোফা থেকে নিজের কোর্টটা নিয়ে চলে যায়।। পেটি ঐদিকে আহান আহান করে চিল্লাতে থাকে। রিমান আহানকে কল দেয়।

রিমান,,,,,,, হ্যালো আহান কই তুই,জানস কি হয়ছে।

আহান,,,,,,,, তোর কথা পরে শুনবো, আগে আমার সাথে দেখা কর,, আমার মন একদম ভালো, না।

রিমান,,,,,,,,, তাহলে আমি আসমু না।

আহান,,,,,,,কেনো।

রিমান,,,,,,,, তোর মন ভালো না থাকলে তুই কথায় কথায় আমাকে মারিস।

আহান,,,,,,,,, আগের মতো করবো না,, আয় তুই, আমার রাগ উঠছে অনেক। (ফোন রেখে দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,, হয়ছে আজ আমার,,এতো বড়ো একটা দিনেও আমাকে মার খেতে হবে। এখন আমাকে মারলে আমিও ছাড়মু না। এটা তো কোনো সময় ছাড়ি না। যাই গিয়ে দেখে কি নিয়ে এতো রাগ করেছে।

চলবে,,,,,,,