#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..12
রিমান,,,,,,,,, হয়ছে আজ আমার,,এতো বড়ো একটা দিনেও আমাকে মার খেতে হবে। এখন আমাকে মারলে আমিও ছাড়মু না। এটা তো কোনো সময় ছাড়ি না। যাই গিয়ে দেখে কি নিয়ে এতো রাগ করেছে।
রিমান প্লে গ্রাওন এ গিয়ে দেখে আহান বসে আছে। রিমান একটু দূরে থেকে বলে,,,,,,,, কি অবস্থা দোস্ত। (একটু হেঁসে)
আহান রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,, দেখে কি মনে হচ্ছে। (সিরিয়াস মুডে)
,,,,,,,,,,,,, ভালোই লাগছে।
,,,,,,,,আমাকে দেখে তোর ভালো মনে হচ্ছে,,,, আচ্ছা এখানে এসে বস।
,,,,,,,,, না থাক আমি এখানেই ঠিক আছি। তুই বল কি হয়েছে।
,,,,,,,,,,,, আমার ভিতরে কিছু হচ্ছে, মনে হচ্ছে এখনি চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যাবে।
,,,,,,,হেহহ এমন কি হলো।
রিমান গিয়ে আহানের সাথে বসে। আহানের কাঁধে হাত রাখে।
রিমান,,,,,,,,,, কি হয়ছে তুই এতো দুঃখী কেনো।
আহান,,,,,,,,, কান্নার সাথে সাথে আমার রাগও হচ্ছে।
এটা শুনে রিমান আস্তে করে সরে যেতে নেয় আহান রিমানের হাতের উপর হাত রাখে তাও আবার শক্ত করে।
রিমান,,,,,,, আউউ,, ভাই হাতটা সরিয়ে কথা বল।
,,,,,,,,,,,, আমার সাথেই কেনো এমন হলো (রাগে রিমানের হাতে উপর জোরে হাত রাখে)
,,,,,,,, আম্মাআআ,,, ভাই তোর যদি এতোই শখ হয় তাহলে মাটিতে মার না হলে নিজের উপরে মার,,, আমার নরম হাতের উপর কেনো জুলুম করছিস।
রিমান আহানের দিকে তাকিয়ে, আহানের মাথা ধরে একবার এ পাশ একবার ওপাশ ঘুরিয়ে দেখতে থাকে।
আহান,,,,,,,,,,কি করছিস।
,,,,,,,,,, ওহ এ কারনে তোর মন খারাপ আর রাগ হচ্ছে। (হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,,, কোন কারনে।
,,,,,,,,,, আরে ভাই আমার কাছে কিছু লুকানোর দরকার নেয়,, তোর সমস্যাটা আমি বুঝতে পেরেছি। শুন আমার জানা মতে খুব ভালো একটা ডক্টর আছে।
,,,,,,,,,,, পাগল হয়ে গেছিস, আমার কি সমস্যা, আর ডক্টর দিয়ে কি করবো।
,,,,,,,,,,, আরে ভাই আমি বুঝতে পেরেছি,,, তুই রোমান্স করতে চেয়েছিলি, কিন্তু প্রবলেমটার কারনে কিছু হয়নি। ইট’স ওকে,, এমন হয় ডক্টর দেখালে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের আগে এসব করা ঠিক না।
আহান,,,,,,,,আব্বে পাগল হয়ে গেছিস, ড্রিংক আমি করেছি আর নেশা হয়েছে তোর।
,,,,,,,,, আমি পাগল হয়নি,, সব দেখায় যাচ্ছে,, তোর সাদা শার্টে, গলায় লাল লিপস্টিকের দাগ,,, এতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,,, তুই করতে চেয়েছিলি কিন্তু হয়নি, কারন তোর প্রবলেম আছে।
এটা বলতেই আহান রিমানকে লাথি মেরে ফেলে দেয়।
আহান,,,,,,,,একদম উল্টো পাল্টা কথা বলবি না, না হলে আমার সব রাগ ঝাড়বো তোর উপর।
রিমান,,,,,,,,,, শালা, এমনিতেও রাগ কি এখন তোর বাপের উপর ঢালতাছস। আচ্ছা একটা কথা বল, তোর গলায় এসব কিসের সেমবল। (উঠে সোজা হয়ে বসে)
আহান,,,,,,, আরে বলিস না, পেটি তার বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার উপর জোরাজোরি করার চেষ্টা করে।
,,,,,,,,,,,, কিহহ পুরুষ ধর্ষণ। তোর এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেলো আর তুই আমাকে এখন বলছিস। চিন্তা করিস না আমরা কেস করবো। এই সমাজে পুরুষ ধর্ষণ আমরা কেও মেনে নিবো না।
এবার আহান রিমানকে ধরে উল্টো পাল্টা ঘুষি দিতে থাকে আর বলতে থাকে,,,,, শালা আমার এমনি মন খারাপ, তার মধ্যে রাগ ও হচ্ছে তার মধ্যে তুই এসব ফালতু কথা বলছিস। তোকে আর রাখবো না।
,,,,,,,,,,, ওকে ওকে থাম থাম,, সরি সরি।
আহান মারা থামিয়ে সোজা হয়ে বসে। রিমান সোজা হতে হতে বলে,,,,,শালা মেরে আমার আনচার পান্চার ঠিলে করে দিলো।
রিমান,,,,,,, তার মানে পেটি তোর কিছু করতে পারেনি।
আহান রাগে রিমানের দিকে তাকায়, রিমান একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে বলে,,,,,,, বুঝছি, পারে নাই। ভাই তুই শান্ত হয়ে বল আমাকে কি হয়েছে।
আহান রিমানকে সবটা বলে। এগুলো বলতে বলতে আহানের রাগ উঠে যায়। রিমান শান্ত হয়ে শুনে বলে,,,,,,, আমার মনে হয় ইয়াস মিথ্যা বলছে,,, দিয়া এমন করতেই পারে না।
,,,,,,ঐ তুই চুপ থাক। একদম দিয়ার কথা বলবি না,, আমি ওর নাম ও শুনতে চাই না। ওর নাম বললে তোকে আমি মেরে ফেলমু। (রিমানের কলার ধরে)
,,,,,,ওকে
,,,,,,,, কি ওকে,, কিছুই ওকে না,,, আমি এতো ভালোবাসি দিয়াকে আর ও আমার ভালোবাসার কোনো মর্যাদা দিলো না। যে ওকে ভালোবাসে না,তাকে ও মন দিয়ে ভালোবাসে। আমার ভালোবাসা কি ও দেখতে পারে না। (হালকা মাতাল ভাবে,মন খারাপ করে)
,,,,,,,,,আমার মনে হয় দিয়াও তোকে ভালোবাসে।
,,,,,,,, ঐ চুপ তোকে বলেছিনা দিয়ার কথা বলবি না, আই হেট হিম। আমার না অনেক কষ্ট হচ্ছে, কেমন জানি লাগছে,মনে হচ্ছে ভিতরটা পুরে যাচ্ছে। এটা ভেবে যে, কোনো একটা পর পুরুষ আমার দিয়াকে স্পর্শ করেছে, এটা যে কতোটা কষ্টের বুঝাতে পারবো না। চুপ করে কেনো আছিস, কিছু বল।
,,,,,,,,,শুন আমার কথা,, তোর রাগ অনেক বেশি, আর দিয়াকে পাগলের মতো ভালোবাসিস তাই তুই সত্যিটা দেখতে পারছিস না,,তাই তুই সহজেই অন্যের কথা বিশ্বাস করে ফেলিস। আর দিয়ার প্রতি তোর ভালোবাসাটা এতো বেশি যে, তুই ঐদিন দিয়াকে ঐভাবে দেখে সত্যিটা জানতে ভুলে গেছিস।
আহান রিমানের কথা বুঝার চেষ্টা ও করে না সে নিজেরটা বলতে থাকে।
,,,,,,,,, আমার কি ইচ্ছে করছে জানিস।
,,,,,,,,কি
,,,,,,,,,(রিমানের হাতটা শক্ত করে ধরে নিজের সামনে এনে বলে) মনে চাচ্ছে যে হাত দিয়ে আমার দিয়াকে স্পর্শ করেছে ঐ হাত কেটে ফেলতে। যে চোখ আমার দিয়ার দিকে নজর দিয়েছে ঐ চোখ আমার উঠিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। (রাগে)
,,,,,,,,,,,,ভাই, হাতটা আমার ছাড় ব্যাথা লাগছে,, এটা আমার হাত ঐ হাত না,, আর আমার চোখ তো কাওকেই দেখে নাই। আর এসব কাটাকাটির কথা আমার সামনে বললে কিন্তু আমি আর কোনো দিন আসমু না, একা তোর সাথে কথা বলতে।তোর একবার দিয়াকে জিজ্ঞেস করা উচিত সত্যিটা।
আহান,,,,,,,,তুই বার বার ওর কথা কেনো জিজ্ঞেস করছিস।
রিমানকে ধরে উল্টা পাল্টা মার শুরু করে দেয়,আর বলতে থাকে,,,,,,, শালা তোকে কতো বার বলেছি না, আমার সামনে ওর নাম না নিতে৷ তাও ওর কথায় বার বার বলছিস। তোকে বলছিনা ওকে আমি ঘৃণা করি।
,,,,,,,,, ঐ ব্যাথা লাগছে, ছাড়, উল্টা পাল্টা জায়গায় মারবি না। আমার ভবিষ্যতের ছেলে মেয়ের কথা ভাব।
আহান মারছে, রিমান ও উঠে আহানকে মারা শুরু করে দেয়। দুজন দুজনকে ইচ্ছে মতো মারতে থাকে। ঘুষি লাথি যা পারছে দিচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,,, শালা চুপ থাকলে বলবে কথা বল, আর কথা বললে মেরে হাড় গুড় ভেঙে দিবে। দিয়ার কথা আমি বলছি নাকি তুই বলছিস।(মারতে মারতে)
আহান,,,,,,,, তুই আবার দিয়ার কথা বলছিস। (রিমানকে মেরে মেরে)
দুজন দুজনকে প্যাচিয়ে ধরেছে। কেও নড়তে পাড়ছে না। কিছু ক্ষন পরে দুজন দুজনকে ছেড়ে দেয়। আহান উঠে বসে, রিমান ও উঠে৷
রিমান,,,,,,, আমাকে মেরে এখন ভালো লাগছে তোর।
আহান,,,,,,, সত্যি আজ আমার একটুও ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,,,, ভাই আমি আর মার খেতেও পারবো না, দিতেও পারবো না।
,,,,,,,,,,, আজ আমার পুরানো সব কথা মনে পড়ে গেছে।পুরনো ক্ষত আরো বেশি যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে এসেছে মনে হচ্ছে। বুকের মধ্যে অন্য রকম যন্ত্রণা হচ্ছে। (চোখে পানি নিয়ে)
,,,,,,,,,,, তুই বাসায় গিয়ে আমার বলা কথা গুলো একবার ভাবিস।
,,,,,,,,,, তুই কিছু বলেছিস,, কি বলেছিস।
রিমান কিছু ক্ষন রাগি ফেস নিয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ তারপর বলে,,,,,, চল তুই,, তোকে বাসায় দিয়ে আসি, না হলে আবার রাগে আমার মাথা ফেটে যাবে।
,,,,,,,,,যাবো না আমি।
,,,,,,,,,,,, বুঝার চেষ্টা কর, দিয়া বাড়িতে একা আছে, আর এখন রাত বডিগার্ডকেও এতো বিশ্বাস করতে নেয়।
,,,,,,,,,, কিন্তু ওকে দেখলে আমি আমার রাগ কন্ট্রোল করতে পারবো না।
,,,,,,,তুই ওকে দেখিস না, চুপচাপ সোজা নিজের রুমে চলে যাস ওকে৷
,,,,,,,,,,ঠিক আছে, চল কিন্তু আমি ওর চেহেরা দেখবো না।
,,,,,,,ওকে দেখিস না৷
রিমান আহানকে তাদের বাসার সামনে নিয়ে যায়, গিয়ে দেখে ঐখানে অনেক গার্ড দাঁড়িয়ে আছে। আহান গার্ডদের উদ্দেশ্যে বলে,,,,,,,, দিয়া বের হয়নি তো।
,,,,,,,,না স্যার।
রিমান,,,,,,,,,, এমন চেহেরা আর বডি ওলা লোকজন যদি বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে কেও বের হবে না, ভয়ে। (আস্তে আস্তে)
আহান,,,,,, তুই ও চল আমার সাথে।
রিমান,,,,,,,,,, না, আমি যাবো না, আমার কাজ আছে, তুই যা।
আহান,,,,,,, ঠিক আছে। কিন্তু আমি দিয়ার মুখ দেখবো না। (হালকা মাতাল অবস্থায়)
,,,,,,,,, দেখিস না ভাই,, তুই দিয়ার মুখ দেখিস না।
,,,,,,,,,তুই আবার ওর নাম বলছিস,, তোকে না বলেছি আই হেট হিম।
,,,,,,,নিবো না, নিবো না ভাই,,, যা তুই।
আহান ভিতরে চলে যায়, আর রিমান তার বাসায় চলে যায়। আহান ভিতরে যেতেই দেখে দিয়া সোফায় বসে আছে, আহানকে দেখে দৌড়ে আসে৷
দিয়া,,,,,,,,, আপনি এখন আসলেন,, এতো ক্ষন কোথায় ছিলেন, আমাকে এতো বড় বাড়িতে একা রেখে চলে গেছেন, তার উপর কতো গুলো লোক বাহিরে রেখে (কান্না কান্না অবস্থায়)
আহান,,,,,,,,,, হুমম বুঝতে পেরেছি, আমাকে আমার রুমে যেতে দে।(অন্য দিকে তাকিয়ে)
আহান যেতে থাকে দিয়া তাকিয়ে আছে, আহান সিরি দিয়ে উঠতে নিলে পড়ে যেতে নেয়, আবার নিজেকে সামলে নেয়। দিয়া দৌড়ে গিয়ে আহানকে ধরে।
,,,,,,,,,,,, কি হলো আপনার এমন করছেন কেনো।
,,,,,,,,,ছাড় আমাকে, আমি ঠিক আছি। (শক্ত গলায়)
,,,,,,,,,,,, আপনি ড্রিংক করেছেন।
,,,,,,,,,, হুম তো,, আমার ইচ্ছা। কিন্তু আমি পুরো হুশে আছি, আমার এতোটাও নেশা হয়নি। তুই আমার সামনের থেকে যা।
আহান যেতে নেয়, দিয়া আহানকে টান দিয়ে দেখতে থাকে।
,,,,,,,,,, কি হয়েছে, কথা কানে যায় না।
,,,,,,,,,আপনার গলায়, শার্ট এ লিপস্টিকের দাগ কেনো।
দিয়ার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। আহান দিয়ার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে বলে,,,,,,, তোর চোখে পানি কেনো। এখন তো আমি তোর সাথে কিছুই করেনি।
,,,,,,,,, কার সাথে কি করেছেন বুঝায় যাচ্ছে (কান্না করে)
,,,,,,,,,,, মানেহহ
,,,,,,,,,, আপনি এতো রাত ভর কার সাথে ছিলেন, কি করছিলেন তার প্রমান আপনার শার্ট দিচ্ছে।
,,,,,,,,,,, আমি যার সাথে মনে চাই তাই করবো, তোর কি। কেনো কষ্ট হচ্ছে বুঝি, তাই চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। বলনা কষ্ট হচ্ছে, বল কেনো কান্না করছিস (জোরে ধমক দিয়ে)
,,,,,,,,,,, হ্যাঁ হচ্ছে কষ্ট, অনেক হচ্ছে (জোরে বলে)
,,,,,,,,গুড গুড,, হওয়া উচিত,, এই কষ্টটা আমি অনেক বছর পেয়েছি এখনো পাচ্ছি। ওহ রিমানের কথা দেখি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিস আমাকে কিন্তু আমি বাসি না। তোর যেনো কষ্ট হয় তাই আমি আরো বেশি করে করবো। কি করতে পারবি তুই কিচ্ছু না।
,,,,,,,,,,,,লজ্জা করলো না এমন করতে। (কান্না করতে করতে)
,,,,,,,,,,,, লজ্জা,,, এই কথা তোর মুখে মানায় না। আমার লজ্জা ছাড়,, তোর লজ্জা করেনি ইয়াসের সাথে সম্পর্ক করতে।
,,,,,,,,,,,, আমি আপনার মতো এতো খারাপ সম্পর্ক করেনি।
,,,,,,,,,,আচ্ছা,, শারীরিক সম্পর্ক ভালো বুঝি বিয়ের আগে।
,,,,,,,,,,আহান মুখ সামলে কথা বলুন।
,,,,,,,,,, এই কাজটা করার সময় মনে ছিলো না। আচ্ছা তখন ইয়াসকে ভালোবাসতি তাই ও যা বলেছে করেছিস, এখন আমাকে ভালোবাসিস, তাই আমি যা বলবো করবি তাই না।
,,,,,,,,,,, মানে।
,,,,,,,,মানে বুঝাচ্ছি তোকে।
আহান দিয়াকে এক কাঁধে উঠিয়ে সিরির উপরে উঠতে থাকে।
,,,,,,,,, কি করছেন ছাড়েন আমাকে। ছাড়েন (আহানের পিঠে কিল ঘুষি দিয়ে)
আহান দিয়াকে নিয়ে তার বেডরুমে গিয়ে, দিয়াকে বিছানায় ফেলে দেয়। আহান টাই আর শার্টের বোতাম খুলতে থাকে।
দিয়া,,,,,,,,,, ক ক কি করছেন।
দিয়া বিছানা থেকে উঠে যেতে নেয় আহান দিয়াকে ধরে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে তার উপরে উঠে বসে। দিয়ার দুহাত চেপে ধরে।
দিয়া,,,,,,,,, কি করছেন কি আপনি, ছাড়েন আমাকে পিল্জ (ভয়ে)
,,,,,,,,,,,, কেনো ইয়াসের সাথে করতে পারলে আমার সাথে কেনো পারবি না। (বলে দিয়ার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়)
,,,,,,,,ছাড়েন আমাকে,,দহায় লাগে ছাড়েন আমাকে। (কান্না করে)
আহান দিয়ার গলা থেকে মুখ উঠিয়ে দিয়ার জামা ধরে ছিড়ার জন্য। কিন্তু ছিড়ে না, কিছু ক্ষন ধরে রেখে জামার সাথে সাথে দিয়াকেও ছেড়ে দেয়। দিয়া সাথে সাথে বিছানার এক কোনায় চলে যায়। বসে কান্না করতে থাকে।
আহান,,,,,,,,,,, আমি তোদের মতো এতো নিচে কোনো দিন নামতে পারবো না।
দিয়া,,,,,,,,,, কি বলতে চান আপনি। আর আপনি এমন আমার সাথে কিভাবে করলেন। আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন না (কান্না করতে করতে)
,,,,,,,,,,,,, কেনো আমার স্পর্শ ভালো লাগে না বুঝি তোর। তাহলে কার ভালো লাগে ইয়াসের।
,,,,,,আহান (ধমক দিয়ে)
,,,,,,,,,তোর গায়ে ওর স্পর্শ লেগে যেটা আমার সহ্য হচ্ছে না। আজ সব মুছে ফেলবো।
বলে দিয়াকে জোর করে কোলে নিয়ে ওয়াস রুমে নিয়ে গিয়ে বার্ডটাব এ জোর করে বসায়।
,,,,,,,,, ছাড়েন আমাকে, কি করছেন।
আহান দিয়াকে বসিয়ে পানি ছেড়ে দেয়, দিয়ার উপরে পানি পড়তে থাকে৷
,,,,,,,,আহান ছাড়েন পিল্জ।
আহান সাবান দিয়ে দিয়ার হাত গলায় ঢলতে থাকে আর বলতে থাকে,,,,,,,,, কোথায় ছুয়েছে তোকে হুমম,,আজ সব ধুয়ে মুছে ফেলবো৷ তাহলে তোর শরীর থেকে আর ইয়াসের গন্ধ আসবে না।
দিয়া আহানের সাথে শক্তিতে কোলাতে না পেরে চুপচাপ বসে অনেক জোরে জোরে কান্না করতে থাকে।
আহান দিয়ার কান্না দেখে পানি বন্ধ করে দেয়। আহান ও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চুপচাপ নিচে বসে থাকে।
দিয়া,,,,,,,,,, (দিয়া জোরে জোরে কান্না করতে করতে বলে) কতো বছর আগে একটা ভুল করেছি এটার শাস্তি আপনি আমাকে এভাবে দিবেন। আমার চরিত্র সম্পর্কে আপনার এই ধারণা ছিঃ। আপনি কি মনে করেছেন আমাকে। আমি এখনো ভার্জিন আছি, আমি কখনো কারো সাথে কোনো দিন ঐধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলি নি।
আহান দিয়ার দিকে তাকায়। দিয়া তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, বিশ্বাস না হলে মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে, সেটাও করিয়ে দেখতে পারেন। আপনার আমার সম্পর্কে ধারনা শুনে নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে। (কান্না করে হিচকি তুলে ফেলেছে)
আহান,,,,,,,,,কিন্তু ইয়াস যে বলল তোরা নাকি,,,,
,,,,,,,,, আপনি ঐ চিটারের কথা বিশ্বাস করে আমাকে ওমন ভাবলেন, একবার আমাকে জিজ্ঞেস তো করতে পারতেন। ইয়াসের সাথে আমার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয় নি, বুঝেছেন আপনি। (ধমক দিয়ে)
,,,,,,,,,,,তাহলে আমি যেটা দেখেছি সেটা কি মিথ্যা।
,,,,,,,,,,কি দেখেছেন আপনি।
,,,,,,,,, তুই জানিস না কি দেখেছি আছি।
,,,,,,,,, না জানি না, আমি আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।
,,,,,,,,,, তোর হাতের বাহুর কাপড় ছিড়া ছিলো আর তুই ইয়াসকে জরিয়ে ধরে ছিলি। (রাগে)
,,,,,,,,,আচ্ছা, এতো কিছু দেখেছেন, আমার চোখের পানি আপনি দেখতে পান নি। (জোরে বলে) আমি ইয়াসকে জরিয়ে ধরে ছিলাম না ও আমাকে জোর করে ধরে ছিলো। আর বাহুর জামা কেনো ছিঁড়ে যখন কেও আপনার মতো জোরাজোরি করে। (নিজের বাহু দেখিয়ে)
আহান খেয়াল করে দেখে দিয়ার বাহুর জামা ছিঁড়ে গেছে।
আহান,,,,,,, মানে।
,,,,,,,,,মানে ইয়াস আমার সাথে জোরাজোরি করার চেষ্টা করছিলো, আর আপনি আমাকে নিজের কথা বলার সুযোগটাই দেন নি।
,,,,,,,,,,কিহহ,, তার মানে ইয়াস আমাকে যা বলেছে সব মিথ্যা।
,,,,,,,,হ্যাঁ (কান্না করে)
,,,,,,,,,, ও তোর সাথে জোরাজোরি করেছে, এতো বড় সাহস। আর আমি ওকে ছেড়ে দিয়েছি। (বলে দেওয়ালে একটা ঘুষি মারে) আমি ওকে জানে মেরে দিবো।
বলে রাগে যেতে থাকে দিয়া তাড়াতাড়ি আহানকে আটকায়।
দিয়া,,,,,,,, প্লিজ কোনো উল্টো পাল্টা কাজ করবেন না।
,,,,,,,,ছেড়ে দে আমি ওকে মেরে ফেলবো।
,,,,,,,,, না পিল্জ,, রাগের মাথায় কিছু করবেনা না। আমার জন্য পিল্জ থেমে যান।
আহান দিয়ার দিকে ফিরে তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। দিয়া কিছু বলছে না। আহান খেয়াল করে দিয়া শীতে কাঁপছে।
আহান,,,,,,,তুই একটু দাঁড়া আমি আসছি।
আহান তাড়াতাড়ি গিয়ে দিয়ার রুম থেকে দিয়ার জন্য জামা নিয়ে এসে, দিয়াকে দেয়।
আহান,,,,,,,, চেঞ্জ করে নে।
বলে আহান ওয়াশ রুমের দরজা আটকে দেয়। নিজেও চেঞ্জ করে নেয়। দিয়া বেরিয়ে আসে, দিয়ার চোখ এখনো ফুলে আছে। বাহিরে প্রচন্ড জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, দিয়া বার বার চমকে যাচ্ছে।
আহান,,,,,,,তুই এখানে শুয়ে পর,, আমি অন্য রুমে যাচ্ছে।
দিয়া,,,,,,,, না আপনি যাবেন না। (তাড়াতাড়ি বলে, আবার চুপ হয়ে যায়)
,,,,,,,, তুই এখানে শুয়ে পর, আমি সোফায় শুয়ে আছি।
দিয়া বিছানায় শুয়ে নাকে মুখে চাদর দিয়ে থাকে।
দিয়া,,,,,,,,, (আহানের শরীরের ঘ্রাণ পাচ্ছি, আহানের বিছানায় শুয়ে কেমন জানি অন্য রকম ভালো লাগছে।)
আহান সোফায় শুয়ে দিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
আহান,,,,,,,,(ইয়াসের কথা বিশ্বাস করার মতো ভুল আমি কি করে করলাম।রিমান হয়তো ঠিকি বলেছে, ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছিলাম। তার মানে দিয়া শুধু আমার, আমি যেমন ভাবতাম তেমন কিছুই হয়নি, দিয়া ইয়াসকে ভালোবাসে না।) মুশকি মুশকি হেঁসে। (কিন্তু ঐ ইয়াসকে আমি ছাড়বো না, ওকে এমন ভাবে মারবো যে বুঝতে পারবে এ আহান কে।)
চলবে,,,,,,,