শত ঘৃণার পরেও ভালোবাসি পর্ব-১৫

0
1173

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..15

রিমান রাগে কি করবে বুঝছে না, বাহিরে এসে নিজের গাড়িতে কয়েকটা লাথি দেয়, রাগে ফসতে ফসতে বলে,,,,ওর সাহস কি করে হলো রুহির হাত ধরার। কি সম্পর্ক ওদের মধ্যে। যা মনে চায় তা সম্পর্ক থাক তোর তাতে কি।

রিমান গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

একটু গিয়ে আবার হসপিটালে চলে আসে। এসে লুকিয়ে লুকিয়ে ক্লাসের সামনে যায়। গিয়ে দেখে রুহি কি করছে। রিমান দেখে সবার মাঝে রুহি বসে আছে আর সৌরভ সামনে বোর্ডে পড়াচ্ছে। এটা দেখে রিমান একটা সস্থির নিশ্বাস ছেড়ে সেখান থেকে চলে যায়।
,,,,,,,,,,,

আহান আর দিয়া বাসায় চলে আসে। এসে দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে, কিছু বলবে বলবে করছে কিন্তু কেও কিছু বলছে না। একটু পর আহান দিয়াকে ইশারা দেয়, রুমে যাওয়ার জন্য।

দিয়া হালকা হাসি দিয়ে রুমে চলে যায়। দুজনেই ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে। দিয়া রান্না ঘরে চলে যায়। আহান কিছু ক্ষন এদিক সেদিক হাঁটছে।

আহান,,,,,,,(ইয়ার কি কথা বলবো, আগে কতো কথা বলতো, বিনা কারনে বকবক করতো, আর এখন একদম চুপচাপ, কোনো কথা নেয় মুখে, এক কাজ করি দিয়াকে রান্নার কাজে সাহায্য করার বাহানায় কথা বলি)

আহান দিয়ার কাছে কিচেনে যায়।

দিয়া,,,,,,,,,কিছু লাগবে আপনার।

আহান,,,,,,,আমি তোকে সাহায্য করতে এসেছি।

,,,,,,,,,, কোন কাজের জন্য।

,,,,,,,,যেটা তুই করছিস, রান্না করার কাজে।

,,,,,,,,জীবনে রান্না করেছেন, এখন এসেছেন আমাকে সাহায্য করতে।

,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, তোর কি মনে হয় আমি কিছু পারি না।

,,,,,,,,হুমম পারেন তো পানি ফুটাতে।

,,,,,,,,ঠিক আছে আজ তোকে আমি রান্না করে দেখিয়ে দিবো।

,,,,,,,, লাগবে না, পড়ে হাত পুরে গেলে।

,,,,,,,রান্না তো আজ আমি করবোই।

বলে রান্না করার যে পোশাকটা আছে সেটা পড়ছে, কিন্তু ফিতা লাগাতে পারছে না, দিয়া আহানের হাত থেকে নিয়ে ফিতাটা লাগিয়ে দেয়।

আহান,,,,,,,,,সো কি খাবে।

,,,,,,,,,,, যদি আপনি কিছু বানাতে পারেন সেটাই রান্না করেন, আমি খেয়ে নিবো।

,,,,,,,,,, আলাদা আলাদা রান্না করার কি দরকার তুই যেটা করছিস সেটাতে আমি তোকে সাহায্য করছি, বল কি করতে হবে।

দিয়া,,,,,,,,আপনি শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকুন।

আহান,,,,,,,ওকে,,, কিহহ কেনো,, তুই কি করছিস সবজি কাটছিস, দে আমি কাটবো তুই অন্য কিছু কর। (দিয়াকে সরিয়ে ছুরিটা হাতে নিয়ে)

,,,,,,,,আরে আপনি পারবেন না, হাত কেটে ফেলবেন।

,,,,,,,, পারবো পারবো।

আহান ছুরিটা কাওকে খুন করার মতো ধরে, ভাবছে কিভাবে কাটবে।

,,,,,,,,,, আপনি কি মানুষ খুন করতে যাচ্ছেন নাকি, এভাবে কেও ছুরি ধরে সবজি কাটে না। এভাবে ধরে।

দিয়া আহানকে দেখিয়ে দেয়। আর সবজি কিভাবে কাটতে হবে সেটাও দেখিয়ে দেয়।আহান আস্তে আস্তে কাটতে থাকে। দিয়া আহানের দিকে তাকিয়ে আছে। আহানও বার বার তাকাচ্ছে।

আহান,,,,,,,আরে তুই তোর কাজ কর না, এভাবে তাকিয়ে থাকলে কাজ করা যায় নাকি। (বিরক্তি নিয়ে)

,,,,,,,যদি হাত কেটে ফেলেন তাই দেখছি।

,,,,,,,,, তুই এভাবে তাকিয়ে থাকলে নিশ্চিত হাত কেটে ফেলবো,চিন্তা করিস না, আমি পুরো একটা অফিস চালায়, এটা আবার কি বড় কথা হেহহ।

,,,,,,,,, অফিস সামলানো আর কিচেন সামলানো আকাশ জমিন পার্থক্য।

,,,,,,,তুই তোর কাজ কর।

দিয়া মাছ নিয়ে ভাজতে থাকে, তেলে মাছ ছিটকে জোরে আওয়াজ করে আর আহান ভয় পেয়ে চিৎকার করে সরে যায়। সাথে টান দিয়ে দিয়াকেও নিয়ে আসে।

দিয়া আহানকে ভয় পেতে দেখে জোরে জোরে হাসতে থাকে। প্রায় পেট ধরে ধরে হাসতে থাকে।

আহান,,,,,,,,এতে হাসার কি হলো। (চোখ ছোট করে)

,,,,,,,,,, প্রথম আপনাকে ভয় পেতে দেখলাম তাও আবার রান্না করতে গিয়ে, হাসি তো আসবেই,,আপনি না সব পারেন। (জোরে জোরে হেঁসে)

,,,,,,,,,, এতে এতো হাসার কিছু নাই, চুপ

দিয়া হেঁসেই যাচ্ছে। থামার নাম নেয়।

আহান,,,,,,,, দিয়া আমি চুপ করতে বলেছি।

দিয়া হেঁসে যাচ্ছে, তখন আহান দিয়ার মুখ চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে ফেলে। দিয়া একদম নিশ্চুপ হয়ে যায়। আহান দিয়ার চোখের দিকে তাকায়, আহানের তাকানো দেখে দিয়ার নিশ্বাস ভাড়ি হয়ে আসে।

আহান ডোগ গিলে নিজেকে সামলে দিয়াকে ছেড়ে দিয়ে সাইডে দাঁড়ায়। তারপর চুপচাপ কিচেন থেকে চলে যায়। আহান গিয়ে লেপটপে মনোযোগ দেয় আর দিয়া রান্নায়। সারা দিনে তেমন কিছুই হয়নি।

পরের দিন সকালে রুহি আহানদের বাসায় চলে আসে।

আহান,,,,,,,,, সকাল সকাল তুই এসেছিস, কিছু হয়েছে।

রুহি,,,,,,,,, কেনো আমি এমনি আসতে পারি না।

আহান,,,,,,, এটা তোরি তো বাসা যখন খুশি আয়।

রুহি,,,,,,,,,দিয়া আজ না আমার একদম ভালো লাগছে না, মনে হচ্ছে কিছু না কিছু হবে। কি হবে বল তো।

দিয়া,,,,,,,, আমি কি করে বলবো কি হবে।

রুহি,,,,,,,,,, আজ রিমান আমাকে প্রপোজ করে দিবে না তো আবার (লজ্জা পাওয়ার মতো বান করে)

আহান,,,,,,,,,, মানে।

রুহি,,,,,,,,, ও ভাইয়া,, আমি তো এমনি মজা করছিলাম, তেমন কিছু না৷

আহান,,,,,,,,, আমার চোখ আছে, কান কাছে, আমি সব দেখি শুনি আর বুঝিও,,, আমাকে বোকা মনে করিস না। তুই কি একায় রিমানকে পছন্দ করিস, নাকি রিমান ও করে।

রুহি,,,,,,,,, ও করে কিন্তু বলে না। তোমার বন্ধু এমন কেনো হেহহ।

আহান,,,,,,,,, তোর থেকে ভালোই আছে,, (রিমান কি সব ভুলে গেছে নাকি এখনো মনে রেখেছে কে জানে,, মনে হয় না এতো সহজে ভুলে যাবে। কিন্তু এটা রুহিকেও বলতে পারবো না)

রুহি,,,,,,,,, আচ্ছা যায় হোক,, দিয়া দেখ না আমি কোন ড্রেসটা পড়বো আজকে। নাকি শাড়ী পড়বো, সাথে তুইও পড়বি।

দিয়া,,,,,,, আমি ভালো করে শাড়ি পড়তে পারি না।

রুহি,,,,,,,,, আরে রেডিমেড সুন্দর শাড়ি পাওয়া যায়, দুমিনিটে শাড়ি পড়া হয়ে যাবে শুধু ড্রেসের মতো পড়ে নিবি,, আমি নেবি ব্লু কালারের শাড়ি পড়বো, তুই কোনটা পড়বি,, নাকি তোর জন্য ও নেবি ব্লু অর্ডার করে দিবো।

দিয়া আহানের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে জিজ্ঞেস করে, আহানও মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দেয়। রুহি তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।

রুহি,,,,,,,,,কি হচ্ছে এখানে (সন্দেহর নজরে)

আহান,,,,,,,,, কি কিছু না।

রুহি,,,,,,,,,,, আমার থেকে লুকিয়ে কিছু করলে তোদের জন্য ভালো হবে না, বলে দিলাম। আর আমি কিন্তু অন্ধ না।

আহান,,,,,,,,দিয়া রুহিকে তোর রুমে নিয়ে যা, চোখে একটু বেশিই দেখছে আজ কাল।

রুহি,,,,,,,, দেখিস একসময় আমার কাজেই লাগবে হুহহহ।

সন্ধ্যায়,,,,,,,,

রুহি আর দিয়া শাড়ি পড়ে, চুল গুলো ছাড়া আর হালকা সাজে। দুজনে এক সাথে বেরিয়ে আসে। আহান তাদের দেখে দাঁড়িয়ে যায়।

রুহি,,,,,,,, ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে (হাসি মুখে)

আহান গিয়ে রুহিকে হালকা ভাবে গলায় জরিয়ে বলে,,,,, মাশাআল্লাহ।

রুহিকে গলায় জরিয়ে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আবার মাশাআল্লাহ বলে। দিয়া লজ্জায় তার নজর নিচে নামিয়ে ফেলে।

রুহি,,,,,,,,, হুমমম এখন চলো চলো লেইট হয়ে যাবো।

আহান,,,,,,,, আজকে এতো কিসের তাড়া তোর হুমম।

রুহি,,,,,,,আমার কথা পড়ে হবে আগে চলো তো।

আহান দিয়া আর রুহি রিমানের বাসায় গিয়ে পৌঁছায়। বাড়িটা আলোই ঝলমল করছে। পুরো বাড়ি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে৷

রুহি,,,,,,, দেখ কি সুন্দর করে সাজিয়েছে।

ওরা সবাই ভিতরে যায়। ভিতরটা আরো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,, সব নতুন আর দামি জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে। কোনো বাংলোর থেকে কম লাগছে না।

রুহি,,,,,,,,,ওয়াও,, দেখ আমার শশুর বাড়ি কতো সুন্দর।

দিয়া,,,,,, এখনো বেশি কেও আসে নি, তর তুই আমাদের এতো তাড়াতাড়ি নিয়ে এসেছিস।

রুহি,,,,,,,,, আচ্ছা তোরা কথা বল আমি গিয়ে দেখি রিমান কোথায়।

রুহি লাফাতে লাফাতে উপরে উঠতে থাকে।

আহান,,,,,,,,, আস্তে,,, আস্তে। চল তো দিয়া আমরাও যায়।

দিয়া,,,,,,,, আরে ওদের ডিস্টার্ব করার কোনো দরকার নেয়।

আহান,,,,,,তাহলে এখানে থেকে কি করবি,, চল ঐদিকে বারান্দায় যায়।

দিয়া,,,,,, হুমম,,চলেন।

রুহি রিমানের রুমে গিয়ে দেখে রিমান রেডি হচ্ছে, রুহি আস্তে করে রিমানের পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে জোরে হুহহ করে। রিমান চমকে গিয়ে রুহির দিকে তাকায়। রুহি হাসতে থাকে রিমান এক নজরে রুহির দিকে তাকিয়ে থাকে।

রিমান পা থেকে মাথা পর্যন্ত রুহিকে মুগ্ধ নয়নে দেখতে থাকে৷ রুহি রিমানের তাকানো দেখে হাসা বন্ধ করে দেয়।

রুহি,,,,,,,,, সুন্দর লাগছে আমায় তাই না।

রিমান,,,,,,,, হুমম,,,,, না মানে তুই হঠাৎ করে আমার রুমে কেনো এসেছিস।

রুহি,,,,,,, আরে এটা আমার হবু স্বামীর রুম, মানে আমার রুম,, আমি যখন খুশি আসতে পারবো।

,,,,,,,,, তোকে বলেছিনা, এসব বলবি না,আমি তোকে কখনো বিয়ে করবো না।

,,,,,,,,,রিমান এক কথা বার বার ভালো লাগে না শুনতে,,দেখো বিয়ের পর সব কিছুর প্রতিশোধ নিবো।

,,,,,,,,, দেখ রুহি তোকে বলছি এখান থেকে চলে যা।আমার এমনি ভালো লাগছে না। আংকেল আন্টিকে বলবো তোকে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিতে।

,,,,,,,তোমার থেকে ভালো হাসবেন্ড আমার জন্য আর হতেই পারে না।

,,,,,,,,, রুহি তুই এখান থেকে চলে যা। আর আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন তোর আজকেই শেষ হয়ে যাবে।

,,,,,,,,যাই হয়ে যাক বিয়ে তো আমি তোমাকেই করবো। আই লাভ ইউ। উম্মাহ। (দূর থেকে)

,,,,,,,, দেখ এসব করবি না, আমার রাগ হয়।

,,,,,,,উম্মাহ উম্মাহ উম্মাহহহহ

রিমানের কাছে যেতে নিয়ে কার্পেটে পা পিছলে রিমানের উপরে পড়ে। রিমান ধরে ফেলে দুজনের ঠোঁট মিলে যায়। দুজনের চোখ বড় বড় হয়ে যায়।

রিমান রুহিকে ছাড়িয়ে একটা থাপ্পড় মারে জোরে। রুহি গালে হাত দিয়ে রিমানের দিকে তাকায়।

রুহি,,,,,,,,,,, তুমি আমাকে মারলে।

রিমান,,,,,,,,,, তো আর কি করবো, লজ্জা করে না তোর এসব করতে। কতো বার বলেছি আমার সাথে এসব না করতে। মাথায় ঢুকে না, এতোটা বেশরম হয়ে গেছিস।(জোরে)

রুহির চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়, রিমান রুহির চোখে পানি দেখে চুপ হয়ে যায়।

রুহি,,,,,,,, বেস রিমান অনেক হয়েছে,আমি ইচ্ছে করে করিনি। তুমি যতো ইচ্ছে আমাকে আঘাত করো আমি কিছু বলবো না কিন্তু পিল্জ আমার আত্মসম্মানে আঘাত করো না, তাহলে আমাকে মানানো তোমার পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে। (কান্না করে)

রুহি চলে যায়, রিমান সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।
,,,,,,,,,,

আহান আর দিয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,বাতাসে দিয়ার চুল উড়ছে।

আহান,,,,,,,,তোকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।

,,,,,,,,,,ধন্যবাদ।

,,,,,,,আকাশে আজ চাঁদ নেয়, মনে হয় এখানে নেমে এসেছে।

,,,,,,,,একটু বেশি হয়ে গেলো, আমি এতোটাও আকর্ষণীয় না।

,,,,,,,,,কিন্তু তুই আমাকে অনেক আকর্ষিত করিস। (দিয়ার দিকে তাকিয়ে)

,,,,,,,,,, মা মানে।

,,,,,,,,,তোকে দেখলে আমার তোর কাছে যেতে ইচ্ছে করে৷ (দিয়ার কাছে গিয়ে) আর কাছে আসলে আরো কাছে যেতে ইচ্ছে করে।(দিয়ার অনেক কাছে এসে)

দিয়া বরফের মতো জমে যায়।চোখ বড় বড় করে রাখে, আহান আস্তে আস্তে দিয়ার কাছে যেতে থাকে। দুজনের নিশ্বাস ভাড়ি হয়ে যায়,হার্ট বির্ড ভেড়ে যায়।

আহান দিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে, নিজেকে সরিয়ে নেয়। দুজনেই জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। আহান চলে যেতে নেয়, একটু গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়,আবার ফিরে এসে হঠাৎ করেই দিয়ার কাছে এসে, ওর দুগালে হাত রেখে কিস করতে থাকে।

কিছু ক্ষন দিয়াকে ছেড়ে চলে যায়, দিয়া এখনো সেখানেই বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কি হয়েছে কিছু বুঝতে পারছে না।

কিছু ক্ষন পরে প্রায় সবাই চলে এসেছে। রুহি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে, আহান রুহির কাছে যায়।

আহান,,,,,,,, কি হয়েছে তোর।

রুহি,,,,,,,, আরে কিছু না, আমার কি হবে, পার্টিটা ভালো লাগছে না, তাই।

আহান,,,,,,,ওহহ।

রুহি,,,,,,,, আরে ঐ দেখ বাবা মা চলে এসেছে।

আহান তাদের দিকে তাকায়, আহানকে দেখে তার মার চোখে পানি চলে এসেছে তাও তার দেখে চোখ ফিরিয়ে নেয়। আার বাবাও অন্য দিকে চোখ ফিরায়। আহান ওদের দেখে মন খারাপ করে অন্য দিকে চলে যায়।

দিয়ার এসব দেখে খুব কান্না পায়। রুহি আর দিয়া তার খালামনির সাথে কথা বলছে। রিমান নিচে এসে বার বার রুহির দিকে তাকাচ্ছে। রুহি জোর করে মুখে হাসি নিয়ে সবার সাথে কথা বলছে।

মেরিন আসে একটা বড় গ্রাওন পড়ে। এসে রিমানের হাত ধরে, রুহি এটা দেখে রাগে ঐখানে যেতে নিলে দিয়া ধরে ফেলে।

দিয়া,,,,,,,কোনো তামাশা করিস না, পিল্জ।

রুহি রিমানের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে, রিমান এটা দেখেও না দেখার বান করে থাকে।কিছু ক্ষন পর মেরিন সবাইকে নিজেদের দিকে আকর্ষীত করে বলে।

মেরিন,,,,,,,, এক্সকিউজ মি লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান। আমরা সবাই এখানে রিমানের সফলতা সেলিব্রেট করার জন্য এসেছি, কিন্তু এটা ছাড়াও আরেকটা খুশির খবর দেওয়ার আছে আপনাদের। বলো রিমান।

রিমান,,,,,,,,, খুব তাড়াতাড়ি আমরা,,, (বলে চুপ হয়ে যায়) কিছু ক্ষন পর রুহির দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,, আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি, অনেক তাড়াতাড়ি।

এটা শুনার পর রুহি নিজের মধ্যে নেয়, চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছে, নিজের চোখের পানি চেষ্টা করেও আটকাতে পাড়ছে না।

সবাই রিমান আর মেরিনকে কংগ্রাচুলেশনস জানাচ্ছে। রুহিও ঠোঁটে হাসি আর চোখে পানি নিয়ে যায়।

রুহি,,,,,,,,,কংগ্রাচুলেশনস।

মেরিন,,,,,,,থেংকস,,,একি রুহি তোমার চোখে পানি কেনো।

রুহি,,,,,,,, চোখে হয়তো কিছু পড়েছে (রিমানের দিকে তাকিয়ে)

মেরিন,,,,,,,দাঁড়াও আমি টিস্যু পেপার নিয়ে আসছি।

মেরিন চলে যায়।

রুহি,,,,,,,, ভালোবাসো মেরিন কে।

রিমান,,,,,,,,, পছন্দ করি, বিয়ে পড়ে ভালোবাসা হয়ে যাবে।

রুহি,,,,,,,,, তুমি মজা করছো তাই না,, পিল্জ এমন করো না, তুমি বললে এখনি সব ঠিক হয়ে যাবে। এতোটা আঘাত আমাকে দিয়ো না পিল্জ।

রিমান,,,,,,,,,, এটা কোনে মজা, আমি তোকে পছন্দ করি না,, এতোটা বেশরম হওয়া ভালো না রুহি। মানুষকে সব চেয়ে বেশি তার চরিত্র দিয়ে চিনা হয়,সেটা তোর আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের চরিত্র ভালো না হলে তার কোনো মূল্য নেয়।

রুহি,,,,,,,,,, ওহহ,,তোমাকে বলেছিলাম আমার আত্মসম্মানে আঘাত না করতে, কিন্তু করে ফেললে, এখন থেকে এই মুহুর্ত থেকে এই রুহি আর তোমার পিছন পিছন গুড়বে না। আর কখনো বলবো না ভালোবাসতে। একদিন তুমি ঠিকি বুঝবে কিন্তু সেদিন আমাকে বুঝানো মুশকিল হয়ে যাবে।

বলে চলে যায়।

দিয়া,,,,,,,,, কোথায় যাচ্ছিস।

রুহি,,,,,,,আমার ভালো লাগছে না,আমি বাসায় যাবো।

আহান,,,,,চল আমি তোকে দিয়ে আসি।

রুহি,,,,,,, আমি একটু একা থাকতে চায়।

বলে রুহি চলে যায়। কিছু ক্ষন পরে খবর আসে রুহির এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে সে হসপিটালে ভর্তি।

চলবে,,,,,,,