শত ঘৃণার পরেও ভালোবাসি পর্ব-২৫

0
1024

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..25

রিমান,,,,,,, আমি তো উঠিয়ে নিয়ো যাবো। আর যদি তোকে উঠানোই লাগে তাহলে নিয়ে গিয়ে কিছু ক্ষন পিটিয়ে নিবো রাজি না হওয়ার কারনে।

রুহি,,,,,,, হুহহ দেখা যাবে।

রিমান,,,,,,,,, হুহহ দেখে নিস।

সকালে,,,,,,,,,

সবাই ভরে উঠে যায়, সবাইকে কাজে বিজি দেখাচ্ছে। আর গান বাঝনা তো সেই কখন থেকে শুরু হয়েছে। রিমান একবার এদিক যাচ্ছে, আরেক বার ওদিক। কিছু ক্ষন পর রুহি হায় তুলতে তুলতে নিচে আসে। রিমান চলা থামিয়ে রুহির দিকে তাকিয়ে বিরক্তি ভাব নিয়ে বলে।

,,,,,,,,,,দেখ আহান আমি রাতে ঘুমাতে পারি নি আর তোর বোন ঘুমিয়ে হায় তুলতে তুলতে আছসে।

আহান,,,,,,,,,,ফাফর দিস না, তুই নাক ডেকে ঘুমিয়েছিস।

,,,,,,,,,তোরা দুই ভাই বোন এক, মনের কথা বুঝিস না।

রিমান রুহির কাছে যায়, গিয়ে সুন্দর করে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,, রুহি এখনো সময় আছে, ভালো করে জিজ্ঞেস করছি তুই কি আমাকে বিয়ে করবি।

রুহি,,,,,,,,, না,,

রিমান,,,,,,,,, সোজা মুখের উপরে না করে কেও কাওকে এভাবে অপমান করে। আচ্ছা আমার মান সম্মান সাইডে রেখে তোকে আবার জিজ্ঞেস করছি তুই আমাকে বিয়ে করবি নাকি।

রুহি,,,,,,,, না মানে না।

রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি আর জিজ্ঞেস করবো না, এর পরে যা হবে তার জন্য দায়ী তুই।

বলে যেতে নেয়, রুহি রিমানকে একটু ঢং করে ডাক দেয়,,,,,,,, শুনো না।

রিমান বড় করে হাসি দিয়ে পিছনে ফিরে বলে,,,,,,,,বলো না।

রুহি,,,,,,,,,বলছিলাম কি (একটু লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গি করে)

রিমান,,,,,,,,,, কি বলছিলে,, আমাকে বিয়ে করবি তাই তো (অতি আগ্রহে)

রুহি,,,,,,,, না, বলছিলাম আমার বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করবা না বুঝলা (ধমক দিয়ে)

বলে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,, এটা এমনি বললেও পারতি, এভাবে ঢং করার কি দরকার ছিলো, অদ্ভুত। কতো স্বপ্ন দেখে ফেলেছিলাম।

দিয়া রুহির সাথে বসে আছে, আহান ও এসে দিয়ার পাশে বসে, সামনে তাদের কাজিনরা নাচের প্র্যাকটিস করছে।

আহান,,,,,,,, সবার প্র্যাকটিস করছে তোরা কেনো করছিস না। ও তোরা তো বউ শুধু বসে থাকবি।

রুহি,,,,,,,, কেনো বসে থাকবো, আমারা একটু পরেই শুরু করবো।

রিমান,,,,,,,, নিচে টাইসটা দামি লাগানো আছে, আবার ভেঙে ফেলিস না লাফাতে লাফাতে।

রুহি,,,,,,,,তোমার মতো মোটা নাকি।

রিমান,,,,,,,, হ্যালো বেবি এটাকে পারফেক্ট বডি বলে ওকে, এখানে শার্ট খুলে দিলে তোর কাজিনরা অজ্ঞান হয়ে যাবে।

রুহি,,,,,,,,তো আমারটাকেও পারফেক্ট ফিগার বলে ওকে।

আহান,,,,,,,,এটা শুটকি বলে।

রিমান,,,,,,,,, হাহাহাহা মনে কথা বলে দিলি (জোরে হেঁসে)

রুহি,,,,,,,,, ভাইয়া,, (ধমক দিয়ে) আমি শুটকি হলে তোর হবু বউ কি হুমম।

দিয়া,,,,,,,,, আমাকে কেনো মাঝখানে টানছিস।

রুহি,,,,,,,,,কারন তুই মাঝখানে বসে আছিস তাই।

আহান,,,,,,,,,,, ও আরেকটা শুটকি।

দিয়া,,,,,,,, কিহহ আমি শুটকি, (দিয়া উঠে দাঁড়িয়ে বলে৷),, ভালো করে দেখুন আর বলুন আমি কোথা থেকে শুটকি।

আহান দিয়াকে ভালো ভাবে দেখতে থাকে, পা থেকে মাথা পর্যন্ত। আহানের এভাবে দেখায় দিয়ার কেমন লাগছে তাই বসে পড়ে। আহান দিয়ার কানের কাছে এসে বলে,,,,,, আমি তো খেয়ালি করি নি,, ফিগারটা কিন্তু আমার ভালো লাগছে।

আহানের কথায় দিয়া শক্ত হয়ে বসে পড়ে।

রুহি,,,,,,,,,, তোমাদের ফালতু কথা শুনার মতো আমার সময় নেয়। উঠ দিয়া আমরা নাচের প্র্যাকটিস করে নিয়।

দিয়া উঠে, ওদের দেখানো হচ্ছে কিভাবে নাচতে হবে। আহান ও গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে, দিয়ার নাচ দেখবে বলে। কিন্তু দিয়া লজ্জায় নাচতেই পারছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে।

রুহি,,,,,,,,,, তুই নাচ্ছিস না কেনো।

দিয়া,,,,,,, আমার লজ্জা করছে।

রুহি,,,,,,,,কেনো।

দিয়া,,,,,,,,, তোর ভাইয়া এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমি জীবনেও নাচতে পাড়বো না।

রুহি,,,,,,,,,ঐ তোর চোখের মার্বেলটা অন্য দিকে ঘুড়া, তোর চোখের সাগরে আমার বান্ধবী ঢুবে যাচ্ছে, নাচবে তো দূরের কথা উঠতেই পারছে না।

আহান,,,,,,,, আমার চোখ আমি যেখানে খুশি তাকাবো।

রুহি,,,,,,,,, তুই নাচ তো, কচুর লজ্জা।

রিমান,,,,,,, সবাই তোর মতো বেশরম নাকি।

রুহি,,,,,,,,, না সবাই তোমার মতো শরম উলা।

আহান,,,,,,,,ঠিক আছে এতো কথার দরকার নেয়, আমি অন্য দিকে তাকাচ্ছি, এখানে অনেক মেয়ে ডান্স করছে। (অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়ে)

দিয়া,,,,,,,,, না থাক লাগবে না, তুমি আমার দিকেই তাকিয়ে থাকো,, অন্য কোনো দিকে তাকানোর দরকার নেয়।

আহান,,,,,,,,, কেনো (মুশকি হেসে)

দিয়া,,,,,,,,,, কারন আমার ভালো লাগে না। (মুখ ফুলিয়ে)

রিমান,,,,,,,, ওমাআআ টুরু লাভ।

রিমান সোফার উপরে উঠে বসে।

আহান,,,,,,,উপরে বসেছিস কেনো, নাম।

রিমান,,,,,,,,, উপরের লেভেলের লোক উপরে উঠে বসে তুই বুঝবি না, চুপচাপ নাচ দেখ।

দুজনে তাকিয়ে নাচ দেখছে, লিজা একটু পর যেদিকে আহান তাকিয়ে আছে ঐদিকে কি নাচ্ছে। আহান তার চোখ সরিয়ে নেয়। লিজা ডান্স করতে করতে পা ভাঝার নাটক করে আহানের উপরে পড়ে যায়। আহান তাড়াতাড়ি লিজাকে সরিয়ে ধমক দেয়।

আহান,,,,,,,,,, দেখে নাচতে পারো না। (ধমক মেরে)

লিজা,,,,,,,,,সরি আসলে, পা বেঝে গেছিলো।

দিয়া,,,,,,,,,,, আহান শান্ত হও,, ইচ্ছে করে করেনি। কালকে আমাদের বিয়ে কারো মন খারাপ থাকোক সেটা আমি চাই না।

রিমান,,,,,,,, ছেড়ে দে আহান,,তাছাড়া লিজা অনেক টেলেন্টেট একটা মেয়ে যে, নিজের পায়ে নিজে বেঝে পড়ে যায়, মনে হয় টিকটক করে।

এভাবেই সারা দিন পার হয়, বিকেলে দিয়া আর রুহিকে শাড়ি পড়িয়ে, মাথায়, হাতে গলায় ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়। দুই বধুকে এক সাইডের স্টেজে বসানো হয় আর তার সামনের স্টেজে আহানকে।

আহান,,,,,,,,, দুজনকে তো আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।

রিমান,,,,,,,, হেব্বি লাগছে। (হা করে তাকিয়ে)

আহান,,,,,,,,,ইশশ আমার তো সামনে গিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে।

রিমান,,,,,,,, তুই যেতে পারবি না কিন্তু আমি তো যেতে পারবো।

আহান,,,,,,,,, আমাকে ছেড়ে যাবি না, এখানেই বসে থাক।

রিমান,,,,,,,, এক রুমে এসি আছে অন্য রুমে পাখা। তুই কোন ঘরে যাবি।

আহান,,,,,,এসি রুমে।

রিমান,,,,,,,,,,, এক্সাক্টলি আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি।

বলে দৌড় মেরে অপর পাশে চলে যায়।

আহান,,,,,,,,,,,, বেঈমান।

রিমান এসে সামনে বসে।

রুহি,,,,,,,তুমি এখানে কেনো এসেছো।

রিমান,,,,,,,,, মন চেয়ে তাই। দিয়া তোমাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।

দিয়া,,,,,,,,,,, থ্যাংকস।

রুহি একটু ভাব নিয়ে বসে আছে, রিমান দিয়ার তারিফ করছে। রুহি অনেক ধরে বসে তারপরে বলে,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে বললে না যে।

রিমান,,,,,,,, হুমম ঠিক ঠাক লাগছে।

রুহি,,,,,,,ঠিক ঠাক আবার কি হুমম। বলো আমাকে সুন্দর লাগছে।

রিমান,,,,,,,,,, দেখো আমি বিকাল বিকাল মিথ্যা কথা বলি না।

রুহি,,,,,,,, কিহহ,, যাও আমার সামনে থেকে যাও তো।

রিমান,,,,,,, আচ্ছা আচ্ছা সত্যি কথা বলি।

রুহি,,,,,,,, হুমম বলো কি।

রিমান,,,,,,,, শাড়ীটা খুব সুন্দর পড়েছো।

রুহি,,,,,,, হুমম, আর।

রিমান,,,,,, মেকাপ ও অনেক সুন্দর করেছো,, তারপরেও তোকে ভালো লাগছে না।

রুহি,,,,,,, কি শয়তান।

সামনে যা পাচ্ছে ঢিল দিচ্ছে, রিমান দৌড়ে আহানের কাছে চলে যায়। হলুদ শুরু হয়, সবাই আনন্দ করে হলুদ লাগাচ্ছে, দুষ্টমি হচ্ছে। হলুদের পরে দুজনকে গোসল করিয়ে আবার নতুন লেহেঙ্গা পড়ানো হয়৷ আহান ও শেরওয়ানি পড়ে৷, সাথে রিমান ও, দুজনেই হলুদ শেরওয়ানিতে হিরো লাগছে। নাচ গান শুরু হয়।

সবাই নাচছে, গান বাঝনা ভরপুর। রাত অনেক হয়েছে, তাই অনেকে যার যার মতো শুয়ে পড়েছে আবার অনেকে এখনো নাচ গানে মেতে আছে। নাচতে গিয়ে রিমান রুহির উপর জুস ফেলে দেয় সেটাই ওয়াশ করতে রুহি তার রুমের দিকে যায়, ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসতেই কে জেনো রুহির মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরে আর রুহি অজ্ঞান হয়ে যায়।

বেশ কিছু ক্ষন পরে আহান রিমানকে খুঁজতে যায় ভিতরে। অন্য রুমে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে আহান ভিতরে যায়,গিয়ে দেখে লিজা পড়ে গেছে। আহান যেতে নেয় লিজা ব্যাথা ভরা কন্ঠে ডাক দেয়।

লিজা,,,,,,,, আহান, আমি উঠতে পারছি না, আমাকে একটু উঠাও না পিল্জ।

আহান একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে লিজাকে হাত দেয়,লিজা হাত ধরে নিজের দিকে টান দেয় কিন্তু কোনো লাভ হয় না, আহান শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আহান এক টানে লিজাকে উঠিয়ে ফেলে।

আহান,,,,,,,, লিজা আমার থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকবে বলে দিলাম।

লিজা,,,,,,,, এটাই তো প্রবলেম, তোমার থেকে দূরেই তো থাকতে পারছি না। আগে থেকে আরো হেন্সাম হয়ে গেছো। কাল তোমার বিয়ে ভেবে দেখো এমন সুযোগ কিন্তু বার বার পাবে না। আর এখানে কেও নেয় ও,, ফুল সুযোগ।

আহান,,,,,,,,, কাল আমার বিয়ে তাই আজ আমি কোনো জামেলা চাচ্ছি না, আমাকে রাগীয়ো না তাহলে তোমার জন্য ভালো হবে না। আর এতোটা লজ্জাহীন কোনো মেয়েকে মানায় না।

,,,,,,,,,,, বেশরমের দেখছো কি।

লিজা শক্ত করে আহানকে জরিয়ে ধরে। আহান লিজাক সরিয়ে একটা জোরপ থাপ্পড় মারে, এই সময় চাচি এসে দেখে ফেলে।

চাচি,,,,, কি হচ্ছে কি এখানে।

লিজা,,,,,,,,, আন্টি আহান আমার সাথে জোরাজোরি করার চেষ্টা করছিলো।

আহান,,,,,,,হোয়াট।

চাচি চিল্লিয়ে পুরো বাড়ি মাথায় করে নেয়, সবাইকে হোল রুমে জরো করে বলতে থাকে,,,,,,,দেখো ভাবি দেখো তোমার সু পূত্র আমার বোন ঝি এর দিকে নজর দিছে।

মা,,,,,,,,, কি বলছো কি।

আহান,,,,,,,,, মা বিশ্বাস করো লিজা মিথ্যা কথা বলছে, ও আমাকে হ্যাভিউস করার চেষ্টা করছেন তাই আমি ওকে থাপ্পড় মেরেছি।

লিজা,,,,,,,, না আন্টি ও মিথ্যা কথা বলছে, আহান আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছে (কান্না করার অভিনয় করে)

আহান,,,,,,ও মিথ্যা বলছে।

চাচি,,,,,, মিথ্যা তো তুমি বলোছো, আমি নিজে দেখেছি তোমাকে ওর সাথে জোরাজোরি করতে।

আহান,,,,,,,,, চাচি মিথ্যা বলার একটা লিমিট আছে।

চাচি,,,,,, আমরা তো সব মিথ্যাবাদী,, ঠিক একি কাজ তুমি দিয়ার সাথে করোনি।

আহান,,,,,,,,দিয়া বিশ্বাস কর আমি এমন কিছু করি নি।

দিয়া,,,,,,,,,,, আমার তোমার উপরে পুরো বিশ্বাস আছে, আমি জানি তুমি এমন কিছু করতেই পারো না।

চাচি,,,,,,, নিজের হবু স্বামীকে বাঁচানোর দরকার নেয়, আমরা সবি জানি তার চরিত্র সম্পর্কে। বলে না কয়লা ধুলে ময়লা যায় না।

বাবা,,,,,,,,,, আহান কি এসব (ধমক দিয়ে)

আহান,,,,,,,, বাবা আমি কিছু করিনি।

আহানের বাবা আহানকে জোরে একটা থাপ্পড় মারে।

বাবা,,,,,,,,, ভুল হয়েছে তোকে এই বাড়িতে ডেকে এনে,, জানি না কোন পাপ করেছিলাম যে তোর মতো একটা ছেলে দিয়েছে আল্লাহ।

আহান রাগে পাশে থাকা টেবিলে লাথি দিয়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়। দিয়া ডাক দেয় কিন্তু আহান শুনে না।

সবাই নানা ধরনের কথা বলতে থাকে, দিয়া এসব শুনতে না পেরে বেশ জোরে বলে,,,,,, চুপ করুন সবাই, আহান মোটেও এমন না,, ওর কোনো দোষ নেয়, ও এমন করতেই পারে না।

চাচি,,,,,,,,, শাক দিয়ে আর মাছ ঢাকতে হবে না, তোর সাথে কি হয়েছে ভুলে গেছিস।

দিয়া,,,,,,,, ভুলি তো কিছুই নি। দোষ আহানের না সব দোষ আমার,, খালামনি আমাকে মাফ করে দাও, এতো বছর আমার সাহস হয়নি এই কথা বলার। কিন্তু আজ আমি আহানকে সবার সামনে এভাবে নিচে নামতে দেখতে পারবো না। আহান আমার সাথে কিছুই করেনি,, উল্টো আমার সম্মান বাঁচানোর জন্য সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছে।

বাবা,,,,,,, মানে।

দিয়া সবাইকে সবটা বলে দেয়, সবাই দিয়ার কথা শুনে অভাক হয়ে যায়।

দিয়া,,,,,,, যে একজনের সম্মান বাঁচাতে সব দোষ নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়, আর এতো গুলো বছর পরিবারের থেকে দূরে তাকতে পারে এতো ত্যাগ শিকার করতে পারে, সে এমন কোনো কাজ করতে পারে না। আর লিজা তোমার চরিত্র সম্পর্কে সবার ধারণা আছে এখানে।

আহানের মা দিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়, দিয়া মাথা নিচু করে কান্না করতে থাকে।

খালামনি,,,,,,,,,, তোকে সুখি রাখার জন্য এখানে নিয়ে এসেছিলাম আর তুই আমাদের পরিবারটাকে ভেঙে দিলি। তোর কারনে এতো গুলো বছর আনি আমার ছেলের মুখ দেখতে পায়নি।

দিয়া,,,,,,,,, সরি খালামনি।

,,,,,,,ঐ মুখ দিয়ে আমাকে ডাকবি না,চলে যা এখান থেকে।

চাচি,,,,,,,দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষেছো। আমি আগেই বলেছিলাম এই মেয়ের চরিত্র ঠিক না, প্রমান হলো তো। দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা এখান থেকে।

দিয়া দৌড়ে বাহিরের দিকে চলে যায়, এতো রাতে একা একা দৌড়াতে থাকে।

কিছু ক্ষন পর আহান আবার ফিরে আসে। আহান আসার সাথে সাথে তার মা তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।

আহান,,,,,,, আমি এখানে দিয়াকে নিতে এসেছি।

চাচি,,,,,,,,,ঐ দুশ্চরিত্রার কথা আর বলো না, বের করে দিয়েছি ওকে।

আহান,,,,,,, মানে, বের করে দিয়েছি মানে।

মা,,,,,,,,, ও আমাদের সব কিছু বলে দিয়েছে যে দোষটা তোর ছিলো না।

আহান,,,,,,সব বলে দিয়েছে মানে,, মা ও যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে, আমাকে বাঁচানোর জন্য বলেছে।

মা,,,,,,,,, অনেক হয়েছে ওকে বাঁচানোর জন্য আর কতো মিথ্যা বলবি।

আহান,,,,,,, দিয়া কোথায় এখন।

মা,,,,,,,, জানি না।

আহান,,,,,,, পাগল তোমরা, এতো রাতে একটা মেয়েকে বের কীে দিয়েছো, মা তোমার তো ও বোনের মেয়ে তুমিও ওর অবস্থাটা বুঝলে না। ওর জায়গা অন্য কোনো মেয়ে থাকলে এটাই করতে। আর ও ইচ্ছে করে কিছু করেনি পরিস্থিতিতে হয়ে গেছে। একটা মেয়ে হয়ে মেয়ের অবস্থাটা তো বুঝবা। না জানি এখন কোথায় আছে।

আহান ফোন বের করে দিয়াকে ফোন করতে থাকে, একটু পরে দিয়া ফোন উঠায়, দিয়া কান্না করতে থাকে।

আহান,,,,,,,,, পাগল তুই এতো রাতে বের হয়ে চলে এসেছিস, কোথায় তুই,, আর তোকে না বলেছিলাম আগের কথা কাওকে না বলতে, কেনো বলেছিস,, আজকের দিন দেখার জন্য কি আমি এতো বছর কাওকে কিছু বলিনি। সবাই আমার উপর আঙুল উঠালে আমি সহ্য করে নিবো কিন্তু তোর দিকে উঠালে পারবো না৷ আগে বল কোথায় তুই।

দিয়া,,,,,,,,,,,,, আ আ আমি,,,,

একজন দিয়া থেকে ফোনটা নিয়ে বলে,,,,,, ওর আশা ছেড়ে দে, ও এখন আমাদের কব্জায়, অনেক ঘুরিয়েছিস আমাদের,আর না।

বলে ফোন রেখে দেয়।

আহান,,,,,,,,, হেই কে তোমরা, দিয়াকে ছেড়ে দাও নাহলে। হ্যালো হ্যালো,,,

রাগে ফোনটা আছাড় মারে, ফোনটা নিমিষেই টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

বাবা,,,,,,,, কি হয়েছে।

আহান,,,,,,,, দিয়ার কিটনাপ হয়ে গেছে,, আমি ওকে নিয়ে আসছি আর হ্যাঁ এসে যদি একে এখানে দেখতে পায় তাহলে এর জান আমি এখানেই নিয়ে নিবো (লিজার দিকে পয়েন্ট করে) আর বাকি গুলোকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো।

বলে আহান বেরিয়ে চলে যায়।

চলবে,,,,,,,