শান্তিসুধা পর্ব-১২

0
348

#শান্তিসুধা
১২.
ফুটপাত দিয়ে টলমল পায়ে হাঁটছে শান্তি। মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ ফাঁকা। শরীরটা অবশ লাগছে ভীষণ। কিছুক্ষণ পূর্বে দেখা দৃশ্যটাকে বারবার মনে পড়ছে। এত কেন মনে পড়ছে ওই দৃশ্যটা? প্রশ্নটি মাথায় চক্কর দিতেই খেয়াল করল বারবার মনে পড়ছে না। আসলে দৃশ্যটা মন পোড়াচ্ছে। তার মন কেন পুড়ছে এত? জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে কেন হৃদয়? নাফের স্বামী বলে? ফটাফট তিন কবুল পড়ে বিয়ে করে নেওয়া বরটাকে অন্য এক নারীর সংস্পর্শে দেখে বুক কাঁপাকে কী বলে? ভালোবাসা নাকি অন্যকিছু। অন্যকিছুই বোধহয়। সেই অন্যকিছুটা কী? ভাবতে ভাবতে অকুলান হয়ে পথেই বসে পড়ল শান্তি। বিড়বিড় করে বলল,
‘ বউ বউ অনুভূতি। ‘

হ্যাঁ বউ বলেই হয়তো বরের কাছে অন্য নারীকে দেখে জ্বলে যাচ্ছে মন, মস্তিষ্ক সব। আচমকা বুকের বাঁপাশে হাত রেখে ভাবলো,
‘ এখানটায় এত কাঁপছে কেন? উহু, সহ্য করতে পারছি না৷ ধ্বংস করে দিব সব ধ্বংস। ‘

বড়ো বড়ো করে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল শান্তি। এরপর চট করে উঠে দাঁড়াল। চোখ দুটো ভয়ংকর লাল। অমন টকটকে লাল চোখ দেখলে যে কেউ কেঁপে উঠবে। ভালোবাসা কী বুঝে না শান্তি। বিয়ে নামক সম্পর্কের গভীরতাও জানে না। তবে আজ অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যটি দেখে তার ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই তোলপাড়ের কারণ হতে পারে বউয়ের অধিকার। দাঁতে দাঁত চেপে রুদ্ধশ্বাসে চলে গেল স্থানীয় থানায়। থানার ওসি শান্তির ছোটো মামার বন্ধু, কাদের খান। কোনো একটা ফাইল ঘাটাঘাটি করছিলেন। হঠাৎ বাইরে হট্টগোল শুনতে পেয়ে বেরুতেই দেখলেন, এক কনস্টেবলের সাথে তর্ক করছে শান্তি। সে চটজলদি এগিয়ে এসে বললেন,
‘ শান্তি মামুনি তুমি এখানে? কিছু কী হয়েছে! ‘

নিমেষে থমকে গেল কনস্টেবল। শান্তি দম নিয়ে ছুটে এলো কাদের খানের সামনে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,

‘ তোমাকে এক্ষুনি আমার সঙ্গে যেতে হবে মামুর বন্ধু। ‘

এরপর মাথা নেড়ে না না করে ফের বলল,

‘ না না আগে একটা কেইস নাও। আমি প্রতারণার মামলা করতে চাই। ‘

হকচকিয়ে গেলেন কাদের খান। এইটুকু মেয়ে প্রতারণার মামলা করবে? কে করল ওর সঙ্গে প্রতারণা। সর্বনাশ প্রেম ঘটিত ব্যাপার নয় তো! ঢোক গিললেন তিনি। স্নেহশীল হয়ে বললেন,

‘ মামনি কী হয়েছে বলো তো কারো সাথে ঝগড়া করেছো? আমাকে শেয়ার করো। ‘

শান্তি অধৈর্য্য হয়ে বলল,

‘ না মামুর বন্ধু না। কারো সাথে ঝগড়া করিনি। আগে তুমি আমার মামলা নাও তারপর সব বলছি। ‘

কাদের খান ভাবুক হয়ে বললেন,

‘ আগে সব শুনতে হয়, জানতে হয় তারপর মামলা নিতে হয়। তুমি আমাকে পরিষ্কার করে বলো তো কী হয়েছে? ‘

এ পর্যন্ত বলেই ত্বরিত গলায় আবার বললেন,

‘ এক মিনিট তুমি তো হাঁপাচ্ছো! চোখ দুটোও লাল। কান্নাকাটি করেছো নিশ্চয়ই? ভেতরে এসে বসো। এক গ্লাস পানি খাও তারপর সব শুনছি। ‘

শান্তি স্বভাবসুলভ অবাধ্যতা করে বলল,

‘ না না। সময় নষ্ট করা যাবে না। তাহলে ওদের ধরতে পারব না। তোমাকে এক্ষুনি আমার সঙ্গে যেতে হবে। ওদের কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় আঁটকে রাখতে হবে।’

‘ আগে বলো কী হয়েছে? আমি জানতে চাই। ‘

‘ আমার বর, আমার বর তার বেডে অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে আছে। আমি জাস্ট নিতে পারছি না। খু ন চেপে গেছে মাথায়। আমি জাস্ট খু ন করে দিব যদি তুমি ওদের উপযুক্ত শাস্তি না দাও। ‘

ঢোক গিললেন কাদের খান। বিস্মিত কণ্ঠে বললেন,

‘ তোমার বর! কী সব বলছো? বিয়ে কবে হলো তোমার? প্র্যাঙ্ক করছো রাইট? ‘

‘ না মামুর বন্ধু না। আমি প্র্যাঙ্ক করছি না। ট্রাস্ট মি মামুর বন্ধু। আমার বিয়ে হয়েছে। নাফের প্রতারকের সঙ্গে নানুভাই আমার বিয়ে দিয়েছে। আর ওই প্রতারকটা…’

সবটা খুলে বলল শান্তি। রাখঢাক কিচ্ছু রাখল না। কাদের খানের চোয়াল লজ্জায় ফুলে গেল। এই মেয়ের মাথা ছিঁট আছে। না হলে কেউ এভাবে বলতে পারে? শান্তি এক নিঃশ্বাসে সব বলা শেষ করে বলল,

‘ আমি জানি তোমাকে এসব বলা নির্লজ্জতা হলো। কিন্তু আমি স্মার্ট মেয়ে। কেন নাফের আমার সাথে প্রতারণা করতে পারে তার একটা ধারণা দিয়ে দিলাম তোমাকে। সে আমাকে বিয়ে করেও পেলো না। ব্যাটা পাওয়ার চেষ্টাই তুই করিসনি। এটা না ভেবে আমার ওপর দোষ দিয়ে আরেক মেয়ের সঙ্গে ইটিশপিটিশ, ডেটিংফিটিং করে ফেললি। আমি ওকে ছাড়ব না মামুর বন্ধু, ছাড়ব না। ‘

চিৎকার করে উঠল শান্তি। ওর চিৎকারে কাদের খান সহ আশপাশে থাকা গুটিকয়েক পুলিশ কেঁপে উঠল। কাদের খান ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করলেন,

‘ তোমার হাজব্যন্ডের নাম কী মামনি? ‘

‘ নুবাইদ তালুকদার নাফের। নাফে ফ্যাশন লিমিটেডের ডিরেক্টর। ‘

‘ মাই গড! সিরিয়াসলি? তালাল আংকেল ওর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে তোমার? ‘

শান্তির মুখটা থমথমে হয়ে গেল। ভয়ে ভয়ে বলল,

‘ তুমি চেনো? নিশ্চয়ই চরিত্রের ঠিক নেই আগে থেকেই জানতে? ওহ গড! নানুভাই কেন বিয়ের আগে তোমার সঙ্গে পরামর্শ করল না। তাহলে আজ তো তাকে ঠকতে হতো না। আমি না হয় ঠকিনি কিন্তু সে তো ঠকেছে।’

‘ তুমি ঠকোনি? ‘

‘ না ঠকেছে নানুভাই। ওই বুড়ো, ঠক, জোচ্চর নানুভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি মামলা দিব। শ’খানেক মামলা দিয়ে ওর জীবন ধ্বংস করে দিব। তুমি প্লিইজ আপাতত প্রথম মামলাটা নাও। না, না অনেক সময় চলে গেছে। বন্দুক কোথায় তোমার? ওটা নিয়ে আসো। ওই নাফের আর ওই আইটেম বোমকে আজ আমি ছাড়ব না। ‘

বলা চলে, কিছু বুঝে উঠবার আগেই কাদের খানকে প্রায় তুলে নিয়ে গেল শান্তি। সঙ্গে দু’জন কনস্টেবলও নিতে হলো। অফিসের স্টাফদের বিস্ময়ের দমকে হেঁচকি উঠে গেল। কী হচ্ছে তারা কিছুই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ তাদের স্যারের বউ উদয় হলো কোথায় থেকে? আবার হঠাৎ পুলিশই বা কেন? কাজের ফাঁকে এসব চিন্তা ঘুরপাক খেলো। কলিগদের সাথে সমালোচনাও করল। এদিকে শান্তি কাদের খানকে নিয়ে অস্থির মনে নুবাইদের ফ্ল্যাটে চলে এলো। দরজা তখনো খোলাই। তাই অনায়াসে ভেতরে গিয়ে নুবাইদের ঘরের যেতেই তার সমস্ত উত্তেজনা, উদ্দীপনা কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল। পাশাপাশি বসে কফি খাচ্ছে নাফের আর সেই মেয়েটা। মেয়েটার দিকে সুক্ষ্ম নজরে তাকাল শান্তি। লম্বা, ফিনফিনে দেহের শ্যামলা মেয়ে। বয়স অনুমান করা যাচ্ছে না। কিন্তু শান্তির চেয়ে ঢের বেশি বয়স এটা বোঝা যাচ্ছে। মেয়েটার চেহেরা মায়াবি। পরনে লেডিস শার্ট, প্যান্ট। ফিগার নেই বললেই চলে। শান্তি আপাদমস্তক দেখে নিয়ে হিংসেয় জ্বলে মুখ ভেঙচাল। এরপর চোখ কটমট করে দাঁতে দাঁত পিষে আঙুল তুলে বলল,

‘এই সেই কালনাগিনী! যে ঘন্টাখানেক আগে নাফেরের দিকে উবু হয়ে কপালে চুমু খাচ্ছিল। আর এই হলো আমার ফোর টুয়েন্টি জামাই। ব্যাটা লম্পট… ‘

বলতে বলতেই কোনোকিছু পরোয়া না করে সোজা গিয়ে নুবাইদের কলার চেপে ধরল। নুবাইদ হকচকাল। বিস্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়ল যেন। এরপর যখন শান্তির মুখে ভাষা, অভিযোগ শুনল। দেখল পুলিশ অফিসারকে। টের পেল অবাধ্য, উশৃংখল, বুদ্ধিহীন শান্তির কান্ড। এক নিমেষে মাথা গরম হয়ে চোয়াল কঠিন হয়ে উঠল। শান্তির দুই হাতের কবজিতে প্রচণ্ড শক্ত করে চেপে ধরে দৃঢ় গলায় ধমকে উঠল,

‘ স্টপ দিস ননসেন্স! ‘

নুবাইদের এই এক ধমকেই শান্তি কপোকাত! তার সমস্ত শক্তি নিঃশ্বেষ হয়ে মাথা ঘুরতে লাগল। পাশে বসে থাকা মেয়েটার হাতও কাঁপতে লাগল। কফির মগটা ধরে রাখা মুশকিল হয়ে শেষ পর্যন্ত মগটা ফ্লোরে পড়েই গেল। বসা মানুষটা থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়িয়ে রইল। নুবাইদকে সেই ছোট্টবেলা থেকে চেনে। আর জানে এই ধমকের মানেটাও। কী ভয়ংকর রেগে গেছে মানুষটা!

টালমাটাল শান্তি থম মেরে দাঁড়িয়ে রইল। চোখ দুটো বীভৎস লাল। নুবাইদ ধীরেসুস্থে উঠে দাঁড়িয়ে কঠিন মুখে একবার শান্তিকে দেখে কাদের খানের দিকে তাকাল। কাদের খান সঙ্গে সঙ্গে হাত বাড়িয়ে দিলেন। বোঝা গেল সেও কিঞ্চিৎ ভয় পাচ্ছে। বিব্রতবোধে ভুগছেন। নুবাইদ হ্যান্ডশেক করে প্রশ্ন ছুঁড়ল,

‘ হঠাৎ এখানে? বসুন। বসে কথা বলুন। আমি কফি বলছি। ‘

কাদের খান এবার ঘামতে শুরু করলেন। শান্তির অভিযোগের চক্করে পড়ে এভাবে আসা ঠিক হলো না। মান সম্মান নিয়ে ফিরতে পারবে কিনা সন্দিহান। নাজির তালুকদারের একমাত্র নাতি নুবাইদ তালুকদার। কে না চেনে এদের? কার না অজানা এদের ক্ষমতা সম্পর্কে? এরই মধ্যে শান্তি ফুঁসে উঠল আবার। কাদের খানকে বলল,

‘ মামুর বন্ধু অ্যারেস্ট দেম প্লিইইজ। ‘

ফের শক্ত একটা ধমক দিলো নুবাইদ। শান্তি আপাদমস্তক কেঁপে উঠলেও রক্ত লাল চোখে তাকাতে ভুলল না। নুবাইদ আস্তেধীরে কাদের খানকে জিজ্ঞেস করল,

‘ কেন এখানে এসেছেন? ‘

বাইরে দুজন কনস্টেবল আছে এ কথা গোপন করে কাদের খান বললেন,

‘ শান্তি আমার বন্ধুর ভাগ্নি মিস্টার নুবাইদ। ‘

‘ ও আচ্ছা, এই ব্যাপার? ‘

কাদের খান চোরা চোখে এবার পাশের মেয়েটার দিকে তাকালেন। বললেন,

‘ ইনি কে? ‘

তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল নুবাইদ। এরপর শান্তির দিকে তাকিয়ে জবাব দিলো,

‘ আমার কাজিন। ছোটো কাকার মেয়ে। আজই দেশে ফিরেছে। কাকাকে নিশ্চয়ই চেনেন? ‘

ঢোক গিললেন কাদের খান। বললেন,

‘ মিস্টার নুবাইদ, শান্তি বাচ্চা একটা মেয়ে। ওর হয়তো কোনো মিস্টেক হয়েছে! ‘

মাথা ঝাঁকাল নুবাইদ। বলল,

‘ বোঝার জন্য ধন্যবাদ। মিস্টেক টুকু তাহলে পার্সনালি মিটিয়ে নিই আমরাই? আপনি আসতে পারেন। ‘

কাজিন! কালনাগিনীটা নাফেরের কাজিন? তাহলে ওটা কী ছিল? শান্তি ভাবনায় মশগুল থাকাকালীনই বিদায় নিয়ে চলে গেলেন কাদের খান। এদিকে নুবাইদের ছোটো কাকার বড়ো মেয়ে। যে এত বছর বাইরে ছিল। তাকে নুবাইদ বলল,

‘ হেনা মিট মাই ওয়াইফ শান্তিসুধা। ‘

চমকে উঠল হেনা। অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আকস্মিক বলল,

‘ এই স্টুপিডটা তোর বউ? ‘

হুঁশ ফিরল শান্তির। হেনার কথা শুনতেই রক্ত চড়ে গেল মাথায়। কত্ত বড়ো সাহস! তাকে স্টুপিড বলে? মামুর বন্ধু। কোথায় মামুর বন্ধু? এই কালনাগিনীকে এক্ষুনি শ্যুট করে দিক। আর এই নাফের একে তো। ভেবেই আবারো কলার চেপে ধরল নুবাইদের। চিৎকার করে বলল,

‘ মিথ্যুক, ক্যারেক্টারলেস তোর কাজিন বেডরুমে ঢুকে তোকে চুমু খায়? বউয়ের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করার মুরোদ নেই। আলাদা ফ্ল্যাটে মেয়ে তুলে ফষ্টিনষ্টি করিস? তোর জীবন আমি ধ্বংস করে দিব৷ ছারখার
করে দিব তোর জীবন। ‘

বলেই এবার নাফেরকে ছেড়ে হেনার দিকে তেড়ে গেল। চোখের পলকে হেনার চুলের মুঠো ধরে টান দিয়ে বলল,

‘ এই থার্ডক্লাশ মেয়ে। আমি স্পষ্ট দেখেছি তুই নাফেরকে চুমু দিচ্ছিলি। নষ্ট মেয়ে! তুই আমাকে স্টুপিড বললি কোন সাহসে? আমি তোর জামাইকে চুমু দিয়েছি না তুই দিয়েছিস? ‘

আকস্মিক হট্টগোলে মাথা ধরে গেল নুবাইদের। দিশেহারা হয়ে কোনোক্রমে শান্তির কোমর প্যাঁচিয়ে ধরে সে বোঝাল,

‘ শান্তি শান্ত হও। ও আমার কাজিন। হুমুর বড়ো বোন। তুমি জনো ওর কথা। দেখোনি তাই ভুল বুঝছ। ‘

শান্তিকে জাপ্টে ধরে এ কথাগুলো বলেই হেনাকে বলল,

‘ হেনা তুই প্লিজ বাড়ি চলে যা। তুই কাউকে না জানিয়ে দেশে ফিরেছিস ভালো কথা। এবার বাড়ি গিয়ে রেস্ট কর। আমি পরে ওকে নিয়ে ফিরব। ‘

হেনা রাগে, ক্ষোভে কান্নাপ্রায় গলায় বলল,

‘ একটা বদ্ধ উন্মাদ মেয়ে বিয়ে করে তুই ঠিক করিসনি নাফের। মা বলেছিল আমাকে। তোর জন্য ও ঠিক নয় একদম নয়। ‘

এরপর আর এক মুহুর্ত দাঁড়াল না। লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে গেল ফ্ল্যাট থেকে। বুকের ওপর লাগাতার কিল, ঘুষি পড়ছে নুবাইদের। তবুও শান্তিকে দুহাতে জড়িয়ে শূন্যে তুলে রয়েছে সে। হেনা বেরিয়ে যেতেই কয়েক পা এগিয়ে মেইন ডোর লক করে দিলো। এরপর তীব্র জেদ নিয়ে অশান্ত শান্তিকে শিক্ষা দিয়ে শান্ত করতে উদ্যত হলো। কাপড় ছুঁড়ে মারার মতো বিছানায় ছুঁড়ে মারল ওকে। চোয়াল দুটো শক্ত করে রাগত চোখে তাকিয়ে বলল,

‘ পাগলামির শেষ ধাপও কমপ্লিট করে ফেলেছো। মিথ্যা ব্লেইম পেতে পেতে আমি অতিষ্ঠ। এবার তোমার পাগলামি বন্ধ করব। বউয়ের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করার মুরোদ আছে কী নেই সেটাও দেখাব। ‘

…চলবে…
® জান্নাতুল নাঈমা