সাজিয়েছি এক ফালি সুখ পর্ব-০৮

0
90

#সাজিয়েছি_এক_ফালি_সুখ
#লেখনীতে – #kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৮

আবরারের হাবভাব সুবিধার নয় বুঝে জারা অন্য প্রসঙ্গ টানলো…

‘ আমার ড্রেসগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে, তোমার ড্রেসগুলো একপাশে সরিয়ে আলমারিতে জায়গা করে দাও ‘

‘আলমারি গোছানোর জন্যে অনেক সময় পড়ে আছে, আজকে এসব করার সময় নয়। এই রাতে বাকিরা যা করে আমাদেরও তাই করা উচিত ‘

‘ ক..কি বলতে চাইছো?’

কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে জারা, দু পা পিছিয়ে আবরারের থেকে সরে দাঁড়াতেই ওর দিকে নিজেই এগিয়ে আসে আবরার। প্রিয় মানুষটিকে দু হাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকভরে নিঃশ্বাস ফেলে আবরার বলে ওঠে…

‘ অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই মুহূর্তটার জন্যে কিন্তু কোন অধিকারে তোমায় ছোঁবো জানা ছিলো না। আজ থেকে পূর্ন অধিকার পেলাম। হুটহাট যদি এভাবে জড়িয়ে ধরি, তুমি কিন্তু অভিযোগ করতে পারবে না। আর করলেও আমি শুনবো না’

আবরার কোনো বড় পদক্ষেপ নেবে ভেবে জারা কিছুটা ইতস্ততবোধ করেই পিছিয়ে গেছিলো বটে, তবে ওর কথাগুলো শুনে কিছু বলার ভাষাই যেনো হারিয়ে ফেললো মেয়েটা। কি ভেবে যেনো জারাও জড়িয়ে ধরলো, আলিঙ্গনরত অবস্থাতেই আবরার অবাক হয়েছে বটে তবে খুশিও হয়েছে! জারা বললো…

‘ আমরা সাধারণ স্বামী স্ত্রী হিসেবেই থাকবো, তাই আমাদের একে অপরের ওপর পূর্ন অধিকার থাকবে। তোমার কোনো আচরণে অভিযোগ করবো না আমি ‘

জারার কথায় উৎফুল্ল হয়ে আবরার আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো..

‘ এ তো খুশির খবর। আমি আরো ভাবছিলাম তুমি বুঝি আমাকে শর্ত – তর্ত দিয়ে বলবে যে আমরা শুধু কাগজের ও সবার সামনে স্বামী স্ত্রী, এছাড়া আমাদের আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না!’

‘ তাহলে ব্যাপারটা নাটকীয় হয়ে যাবে, যদিও এই চুক্তির বিয়েটা কম নাটকীয় নয়। তবে আমি চাইনা কোনো কারণে আমার জন্যে তোমার পরিবারের সঙ্গে তোমার কোনো মনোমালিন্য সৃষ্টি হোক ‘

জারাকে ছেড়ে এবার ওর মুখটা সামনে আনলো আবরার, দু হাতে পরম আদরে গাল দুটো ধরে বললো..

‘ এসব নিয়ে এখন ভাবতে হবেনা, আমরা আপাতত বর্তমান সময়টা সুন্দরভাবে কাটাই? আর হ্যাঁ, তুমি আজকে অনেক কান্না করেছো। ভবিষ্যতে আর আমার সামনে কখনো কান্না করবে না ‘

‘ কান্না স্বেচ্ছায় করে করার মতো বিষয় না আবরার! আমি শখ করে কান্না করেছি নাকি? ‘

‘ জানি, আজ তো বাড়ি ছেড়ে চলে এলে বলে কান্না করেছো, এটা স্বাভাবিক। বিয়ের দিন যে মেয়ে কান্না করে না সে ভিনগ্রহের প্রাণী ছাড়া আর কিছুই না ‘

‘ মশাই, আপনি তো দেখছি সবজান্তা ‘

‘ আমার বোন আছে ভুলে যেও না। ও তো বিয়ের দিন যে কান্না করেছে, সারাজীবনেও হয়তো এতো কাঁদেনি ‘

আবরারের কথায় হাসলো জারা, এরপর তোয়ালেটা বারান্দায় ছড়িয়ে দিয়ে এসে খাবারগুলো প্লেটে তুলতে তুলতে বললো…

‘ আমার অনেক ক্লান্ত লাগছে, এইযে আয়েশা আপু খাবার দিয়ে গেছে। চলো, খেয়ে ঘুমাবো ‘

জারার চোখমুখে প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ ফুটে উঠেছে, আবরার তাই আর কথা বাড়ালো না। দ্রুত খেয়ে শুয়ে পড়লো, কিন্তু শোয়ার পরই বিপত্তি বাঁধলো! জারা শোয়ার পরই ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু আবরার ঘুমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পড়ে উঠে বসেছে, বিছানায় হেলান দিয়ে ঘুমন্ত জারার দিকে চেয়ে কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বেচারার আজকের রাতটা নিয়ে কতো প্ল্যানিং ছিলো কিন্তু জারার ঘুম ওর সব প্ল্যানিংয়ে পানি ফেলে দিলো!
___________________________________

সকালের নাস্তা আজ জারা বানাবে বলে ঠিক করেছে, তাই ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে শাশুড়িকে সাহায্য করতে চলে এসেছে। আবরারের মা আর বোন তো ওকে কিছু করতে দিতে রাজিই হচ্ছিলো না, পরে জারার জোরাজুরিতে তারা আর না করতে পারলো না। আয়েশা ওর বাবার জন্যে চা বানিয়ে আনলো, নওয়াজ সাহেব তখন বসার ঘরে খবরের কাগজ পড়তে ব্যস্ত

‘ জানো আব্বু, আজকে জারা রান্না করছে ‘

‘ ওকে রান্না করতে দিচ্ছিস কেনো?’

‘ বলেছিলাম আব্বু, কিন্তু ও নিজেই বানাতে চাইলো। আজ থেকেই বৌমার হাতের রান্না খেতে পারবে ‘

‘ ভালোই! তোর ফুপু আর খালা কই গেছে? দেখছি না সকাল থেকে ‘

‘ তারা হাঁটতে গেছে, আসতে দেরি হবে। তারা সকালের চা খেয়ে গেছে, এইযে তোমার চা নাও ‘

তখনই আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে আবরার এসে হাজির, গত রাতে অনেকক্ষণ জেগে থাকার পর ভোরের দিকে একটু ঘুম এসেছিলো বিধায় ঘুমটা পরিপূর্ন হয়নি। ছেলের মুখ দেখে নওয়াজ সাহেব বলে উঠলেন…

‘ চোখমুখের এই অবস্থা কেনো? রাতে ঘুম হয়নি?’

‘ না আব্বু, ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি ‘

বিয়ের পরের দিনই বাবা আবরারকে এমন প্রশ্ন করছে দেখে আয়েশা বলে উঠলো…

‘ আব্বু? তুমি ওকে এগুলো কি জিজ্ঞাসা করছো?’

‘ কি করলাম? ওর চোখমুখের অবস্থা দেখেছিস? মনে হচ্ছে কতোকাল ধরে ঘুমায় না। এমনিতেই তো রাত জেগে অফিসে পড়ে থাকে ‘

‘ আগের আর এখনকার ব্যাপার তো আলাদা আব্বু, তুমিও পারো! ‘

‘ হ্যা তো? আয়েশা আমার সঙ্গে এতো ইনিয়ে মিনিয়ে কিছু বলতে হবেনা। আমি তোদের বাবা, আমার কাছে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই ‘

‘ ঠিক আছে, আমি আর তোমাদের বাবা ছেলের কথায় বাধা দেবো না। আবরার তোকে কড়া করে কফি দেবো নাকি অন্যকিছু খাবি?’

‘ কফি দে, অনেক মাথা ব্যাথা করছে ‘

আয়েশা আবার রান্নাঘরে চলে গেলো, নওয়াজ সাহেব ছেলেকে বললেন…

‘ তোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করেছিস?’

‘ না, কেনো?’

‘ আমি বিশ লাখ টাকা দিয়েছি তোর অ্যাকাউন্টে, চেক করে নিস। এটা তোদের বিয়ের গিফট। এখান থেকে অর্ধেক টাকা তোর আর বাকি অর্ধেক জারাকে দিবি ‘

‘ আব্বু, তুমি আমাকে গিফট দিয়ে ফর্মালিটি দেখাচ্ছো কেনো? না দিলেও হতো!’

‘ কমই দিয়েছি, তুই যে বিয়ে করবি এটাই আমার ধারণার বাইরে ছিলো। তুই আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করেছিস, তাই এইটা তোর প্রাপ্য ‘

‘ আব্বু, আমি কখনো বলিনি যে বিয়ে করবো না। শুধু একটু সময় চেয়েছিলাম। তোমরা আমার একটা কথাকে তিল থেকে তাল বানিয়ে ফেলেছিলে ‘

বাবা ছেলের কথোপকথনের মাঝেই আবরারের ফুপু ও খালা মর্নিং ওয়াক শেষে ফিরেছেন। একটু পর রান্নার কাজও শেষ, জারা নিজেই টেবিলে সব খাবার সাজিয়েছে। সকালের নাস্তায় গরুর মাংস ও রুটি বানিয়েছিলো, সবাই খেয়ে বেশ প্রশংসা করেছে। জারা প্রথমে একটু চিন্তিত ছিলো বটে, তবে শ্বশুরবাড়িতে প্রথম সকালের সূচনা সুন্দরভাবেই হলো! বাকি দিনটা বাড়ির মহিলা সদস্যদের সঙ্গেই কিভাবে যেনো কেটে গেলো জারার, মাঝে একবার ওর বান্ধবীর ফোন এসেছিলো ওর সঙ্গে কথা বলেছে। কালকে সন্ধ্যায় রিসিপশনের অনুষ্ঠান আছে, জারা শুনেছে মিডিয়ার কিছু লোক আসবে। জারার যদিও এসব পছন্দ নয় কিন্তু শহরে যেহেতু আবরারের নাম ডাক আছে তাই এই বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে। সন্ধ্যায়, জারা নিজের রুমে এলো। জামাগুলো গুছিয়ে তুলতে হবে আলমারিতে, লাগেজ থেকে জামা বের করে গুছিয়ে রাখছিলো তখন আবরার এলো। দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে জারার দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকিয়ে ছিলো, তা লক্ষ্য করে জারা প্রশ্ন করলো…

‘ কি হয়েছে?’

‘ আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে ‘

মুখ ফুলিয়ে কথাটা বলে উঠলো আবরার, ভ্রু কুঁচকে নিলো জারা। বুঝলো না এখানে ন্যায় অন্যায়ের প্রশ্ন এলো কোত্থেকে?

‘ কিসের অন্যায়? আর কে অন্যায় করলো?’

‘ তুমি!’

‘ আমি?’

‘ হ্যা তুমি! সারাদিন আজ তোমাকে পাওয়াই গেলো না, গত রাতেও ঘুমিয়ে পড়েছিলে। এগুলো অন্যায় ছাড়া আর কি?’

‘ ওনারাই তো আমাকে বসিয়ে রেখেছিলেন। তোমার কি মনে হয় আমার ওখানে বসে থাকতে ভালো লাগছিলো?’

‘ তাহলে বসেছিলে কেনো? চলে আসতে!’

‘ উঠে এলে অভদ্রতা হতো, ওনারা তোমার আত্মীয় বলে কথা। ওনারা আমাকে সংসার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দিচ্ছিলেন, আবার অনেক নেগেটিভ কথাও বলেছেন যেগুলো আমার মোটেও পছন্দ হয়নি ‘

‘ ওকে ফাইন! যা হওয়ার হয়েছে, তুমি এগুলো গুছিয়ে নিয়ে রেডি হয়ে নাও। আমরা বেরোবো ‘

‘ এখন? সন্ধ্যা হয়ে গেছে তো ‘

‘ ইয়াহ, সো? আমি আমার বউ নিয়ে সন্ধ্যা কেনো মাঝরাতে বাইরে গেলেও কেউ কিছু বলবে না। বাই দ্যা ওয়ে, তোমাকে একজনের সঙ্গে দেখা করাবো। উনি তোমাকে দেখতে চেয়েছেন ‘

‘ বিশেষ কেউ?’

‘ ইয়েস, আমার জন্যে বিশেষ ‘

‘ ঠিক আছে, আমি এগুলো গুছিয়ে তৈরি হয়ে নিচ্ছি ‘

জারা দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে তৈরি হয়ে নিলো, রাতে ওরা বের হলো। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওরা এসে পৌঁছালো একটা বাড়ির সামনে, আবরার জারাকে নিয়ে ভেতরে আসতেই এক মধ্যবয়স্ক লোক এগিয়ে এলেন। আবরারকে দেখেই হাসিমুখে বললেন…

‘ অসুস্থ ছিলাম বাবা, কয়দিন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করায় তোমার বিয়েতে যেতে পারিনি ‘

‘ জ্বি, আপনার ছেলে ফোন করে জানিয়েছে আমায়। আমিই আমার ওয়াইফকে দেখা করতে নিয়ে এসেছি। জারা, ওনার কাছে আমি ডিজাইনিং এর জন্যে ফাইনাল ট্রেনিং নিয়েছিলাম। উনি আমার স্যার ‘

‘ ওহ আচ্ছা, আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল ‘

‘ ওয়ালাইকুম সালাম, ভেতরে এসো তোমরা ‘

ভেতরে যায় ওরা, মধ্য বয়স্ক পুরুষ এবং তার বৌমা ওদের যথাসম্ভব খাতির যত্ন করলো। ভদ্র লোকটির স্ত্রী বহুকাল আগে গত হয়েছেন, এখন ছেলে আর ছেলের বৌমার কাছেই উনি থাকেন। লোকটি জারার কাছে আবরারের অনেক প্রশংসা করলেন, আবার আবরারের সঙ্গে বর্তমানে ওর কাজ নিয়েও কথা বললেন। রাতের খাবারটা দুজনে ওনার বাড়িতেই করেছে। ডিনার শেষে কিছু সময় কাটানোর পর ওরা বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসে….ড্রাইভ করছে আবরার, পাশেই জারা বসা…

‘ ওনার সঙ্গে তোমার বেশ ভালো সম্পর্ক দেখছি, উনি তোমাকে অনেক স্নেহ করেন ‘

‘ হ্যা, উনি আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। আমি যখন প্রথমে এই জুয়েলারি ডিজাইনিং প্রফেশনে আসতে চাইছিলাম আব্বু আমাকে সাপোর্ট করেনি। উনি আমাকে বিজনেসে যেতে বলেছিলেন, পরে বিভিন্ন সোর্স থেকে ওনার খোঁজ পেয়েছিলাম। উনিই আমাকে শিখতে সাহায্য করেছেন। আজকে আমি আমার পছন্দের পেশায় ওনার জন্যেই আসতে পেরেছি ‘

‘ তাও ভালো, তুমি কারো সাপোর্ট পেয়েছো আর আমি তো সেটাও পাইনি। আব্বুর সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করে তারপর আমি আমার কাজটা করতে পেরেছিলাম। এমনও সময় গেছে যে রোজ আব্বুর সঙ্গে ঝগড়া লাগতো আমার ‘

‘ ইটস ওকে, কঠিন সময় কেটে গেছে। এখন আর এসব ভাবতে হবেনা। আমরা আমাদের বর্তমান নিয়ে ভাবি? তোমার আমাদের নিয়ে ফিউচার প্ল্যান কি?’

‘ আপাতত আগামী ছয়মাস যাতে ভালোভাবে তোমাদের বাড়িতে কাটাতে পারি এটাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তোমাদের বাড়ির সবাই সত্যিই অনেক ভালো, আমি নিজের বাড়িতেও কখনো এতো কমফোর্ট ফিল করিনি। তাই আমি চাই যখন ও বাড়ি থেকে চলে আসার পরও যেনো সবার সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক বজায় থাকে ‘

‘ নিজের কমফোর্ট জোন ছেড়ে যেতে পারবে?’

‘ চাইলেই সব সম্ভব। তাছাড়া আমি চাইনা আমার জন্যে তোমার জীবনে কোনো প্রভাব পড়ুক, তুমি একটা ভালো সাংসারিক মেয়ে পাওয়ার যোগ্য। আর আমি সাংসারিক মেয়ে নই!’

‘ আজ সকালে তুমি বৌমা হিসেবে সবার মন জয় করলে, তুমি অবশ্যই সাংসারিক ‘

‘ আমার সেটা মনে হয় না, আর আমার জীবন অভিজ্ঞতা বলে সংসার জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমার মা বাবাও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো, সেই ভালোবাসার সংসার কয়েক বছরেই শেষ হয়ে গেছে। আমি চাইনা আমার জীবনেও এরকম কিছু হোক ‘

জারার শেষ কথাগুলো শুনে মুখ থমথমে হয়ে এলো আবরারের। জারা যে এরকম কথা বলবেই সেটা ও জানে, জারার বিয়ের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেলেই জারা ওকে ছেড়ে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নেবে সে সম্পর্কেও আবরার অবগত কিন্তু এসব কথা যে আবরার শুনতে চায়না আবার জারাকেও জোর করা সম্ভব নয়। জারার মন গলানোও সহজ হবেনা, তাহলে কিভাবে ওকে আটকাবে? এসব ভাবনা হুট করেই আবরারের মস্তিষ্কে চেপে বসলো। গতকাল অব্দিও আবরারের নিজের প্রতি কনফিডেন্স ছিলো কিন্তু আজ জারার কথা শুনে কনফিডেন্স যেনো কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেলো!

চলবে…

[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]