সে আমার অপরাজিতা পর্ব-০৬

0
129

#সে_আমার_অপরাজিতা
#পর্ব_৬
#সারা মেহেক

খালেদ মোল্লার হাসির আওয়াজ কানে বিষাক্ত তীরের ন্যায় প্রবেশ করলো বৃত্ত ও বাদলের। বাদল বেশ কষ্টে নিজেকে সংবরণ করেছে। নচেৎ এতক্ষণে খালেদ মোল্লার শরীরের কয়েকটা হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতো সে। শুধুমাত্র ভাইয়ের কথায় নিজের তেঁতে উঠা মেজাজটাকে ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রেখেছে।
বৃত্ত নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে বললো,
” কোনো জোক্স বলিনি আমি যে এভাবে দুনিয়া কাঁপিয়ে হাসছেন আপনি৷ ”

খালেদ মোল্লা এবার হাসি থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে বললো,
” আপনার কথা শুনে তাই মনে হয়েছে বৃত্ত সাহেব। আপনি হলেন ভবিষ্যত মেয়র। বাপ মারা গেলে আপনি বসবেন মেয়র পদে। আর এসব কথা যদি বলেন তাহলে কি করে চলে বলুন। জনগনের কতটুকু বুঝার ক্ষমতা আছে তা সবাই জানে। ”
বলেই তিনি গলা পরিষ্কার করে নড়েচড়ে বসলেন। বললেন,
” জায়গাটা আমার ভাগে পড়ে। সুতরাং ব্রিজ করার সিদ্ধান্তটাও আমার হবে। ব্রিজ কবে করবো, কিভাবে করবো সবটা আমি বুঝে নিবো। এখানে তোমাদের নাক না গলালেও চলবে।”

বৃত্ত এবার সামান্য শক্ত হলো। কণ্ঠে পূর্বের চেয়েও কাঠিন্যতা প্রকাশ করে বললো,
” ব্রিটিশ আমলের ব্রিজটা নড়বড়ে হয়ে চলছে এতোদিন। তিন তিনটা এক্সিডেন্টও হয়েছে। কিন্তু তবুও আপনার টনক নড়লো না এতোদিনে। আর যেই না আমরা কাজে হাত দিয়েছি তাতেই আপনার পিছন জ্বলে উঠলো!”

খালেদ মোল্লা এবার হুংকার ছাড়লেন,
” সাবধান! ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলুন বৃত্ত হোসাইন।”

বৃত্ত এবার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। হুংকার ছাড়লো সে-ও। এ হুংকারে দেবে পড়লো খালেদ মোল্লার হুংকার। বৃত্ত বললো,
” জায়গার এত অহংকার দেখাচ্ছেন কোন যুক্তিতে? ব্রিজের ঐ জায়গার পুরোটা আপনার না। ওর মধ্যে অর্ধেক আপনার। আর বাকি অর্ধেক আমরা কিনে নিয়েছি। সেক্ষেত্রে জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি আমরা পছন্দ করবো না। ”

খালেদ মোল্লা ঈষৎ হাসলেন। বললেন,
” তাহলে অর্ধেক ব্রিজ আপনারা করুন। বাকি অর্ধেক আমি করবো।”

বৃত্তের মাথা এবার পুরোপুরি গরম হয়ে এলো যেনো। পারলে এখনই খালেদ মোল্লার মাথা ফাটিয়ে দেয় এমন অবস্থা। চিবিয়ে চিবিয়ে ক্রোধান্বিত চাহনিতে সে বললো,
” অনেকক্ষণ চুপ আছি। ভালোমতো বলছি, ঝামেলা বন্ধ করুন। না হয় আমি এমন জায়গায় হাত দিবো যে চোখ মুখ দিয়ে পানি ছুটে যাবে। ”

খালেদ মোল্লা বৃত্ত’র হুমকির তোয়াক্কা করলেন না। বললেন,
” যা করতে চান করুন। আমিও দেখতে চাই এই বৃত্ত হোসাইন কি কি করতে পারে। ”

বৃত্ত হাসলো। সাথে বাদলও হাসলো। এতক্ষণে সে বললো,
” চ্যালেঞ্জ দিলাম, আজ বিকালের মধ্যেই ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছ পা হবেন। বাদল হোসাইনের কথা রইলো। ”

” হ্যাঁ, হ্যাঁ দেখা যাবে সব। ”

বৃত্ত ও বাদল কোনো কথা বাড়ালো না। এই মাত্র বিপক্ষ দলের সাথে যে আরেক দফা শত্রুতা অর্জন করে এসেছে তা তাদের মুখমণ্ডলের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝার উপায় রইলো না৷ বৃত্ত তার মস্তিষ্কে পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনার সূত্রপাত ঘটালো। বাদল জানে বৃত্ত খালেদ মোল্লার এক দূর্বল জায়গায় হাত দিয়ে বসবে। যেখানে খালেদ মোল্লা না পেরে কাঁদতে কাঁদতে এসে ব্রিজের কাগজপত্র ছেড়ে দিয়ে যাবে।

.

খালেদ মোল্লার সাথে চ্যালেঞ্জে জিতলো বাদল। হ্যাঁ, দুই ভাই মিলে এমন চাল চাললো যে খালেদ মোল্লা নিজে এসে তাদেরকে ব্রিজের কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। ওয়াদা করে গিয়েছেন যে ব্রিজের কাজে আর পা ঢুকাবেন না তিনি।

দু ছেলের কাজে গর্বিত আফতাব হোসাইন। সে খুশিতে দ্রুত কাজ শেষ করে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন তিনি। খুশিমনে সবার সাথে বসে রাতের খাবার খেলেন। খাওয়া শেষে দু ছেলেকে নিয়ে রিডিং রুমে বসলেন আফতাব হোসাইন। বৃত্ত ও বাদলের উদ্দেশ্যে বললেন,
” তোমাদের কাজে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। অফিসে আজ পার্টির সবাই যখন এ ব্যাপারে জানতে পেরেছে সবাই বিশাল খুশি হয়েছে। তোমাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো সবাই। ”
বলেই তিনি লম্বা এক নিঃশ্বাস ছাড়লেন। বৃত্ত’র প্রতি আশ্বাসিত হয়ে বললেন,
” এখন আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে আমার কিছু হলে তোমরা সামলে নিতে পারবে।”

বৃত্ত বাবার কথায় তৎক্ষনাৎ বলে উঠলো,
” এসব কি বলছেন বাবা! আপনার কিচ্ছু হবে না। আপনি নিজের পদে আরোও কয়েক বছর বহাল থাকবেন। জনগণের সেবা করবেন। আমাদের আর কি! আপনি আরেকটু বুড়ো হলে তারপর আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ভাববেন৷ ”
আফতাব হোসাইন হো হো করে হেসে উঠলেন। বললেন,
” আর কত বুড়ো দেখতে চাও আমাকে? এবার কি থুড়থুড়ে বুড়ো হওয়ার পর পদ ছাড়বো নাকি!”

বাদল বাবার কথায় সায় জানালো। বললো,
” তা নয়তো কি! নাতিপুতির মুখ দেখার ইচ্ছাও কি নেই আপনার!”

বাদলের কথায় বিস্ময় ভরা চাহনিতে চাইলো আফতাব হোসাইন। বললেন,
” ছেলের কথা তো দেখো! বাবার সামনে কেউ এসব বলে!”

বাদল বৃত্ত’র পানে চেয়ে ভ্রু নাচিয়ে বাঁকা হাসলো। যার অর্থ সে বাবার কাছে বিয়ের কথা বলতে পেরেছে শেষমেশ। সে আরোও বললো,
” বাধ্য হয়েই বলতে হলো বাবা। সেই কবে থেকে বাড়িতে একটা ছোট্ট মেহমানের অভাব অনুভব করছি। কাউকে ভাবী ডাকার অভাব অনুভব করছি। কিন্তু তোমরা তা খেয়ালই করছো না!”
এই বলে বাদল ঠোঁট টিপে হাসি থামালো। এদিকে বৃত্ত তার এহেন কথায় আকাশশম বিস্মিত হলো। সে যে এভাবে নিজের বিয়ের শখ ভাইয়ের উপর দিয়ে চালিয়ে দিবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি বৃত্ত। তাই তো বৃত্ত তৎক্ষনাৎ বাদলের কথায় দ্বিমত পোষণ করে আফতাব হোসাইনকে বললো,
” এসব একদম মিথ্যে কথা বাবা। বিপক্ষ দল আমাকে বাজে ভাবে ফাঁসাচ্ছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনো গভীর মতলব আছে।”
বলেই সে বাদলের পানে চেয়ে ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” নিজের বিয়ের কথা নিজ মুখে বলতে লজ্জা পাচ্ছিস তুই?”

আফতাব হোসাইন এবার ভারী বিস্মিত চাহনিতে বাদলের দিকে চাইলেন। অবাক সুরে বললেন,
” সে কি বাদল! বিয়ের ইচ্ছে তোমার? তাহলে বৃত্ত’র কথা বলছো কেনো?”

বাদল তখন দাঁত কেলিয়ে ইতস্তত হাসলো। সে যে চট করে ধরা পরে গেলো! বললো,
” আসলে বাবা, বয়স তো আমাদের কম হয়নি। আমার প্রায় ২৪ চলে। সামনে ২৫এ পা দিবো। আর ভাই তো ২৭ ঘরে চলে গিয়েছে। তাহলে বিয়ে বাচ্চা কখন নিবে? এ বয়সটাই বিয়ের পারফেক্ট বয়স। ঠিক নয় কি বাবা?”

আফতাব হোসাইনের চেহারায় এবার খানিকটা দুশ্চিন্তার ছাপের দেখা মিললো। ঠিকই তো বৃত্ত’র তো বিয়ের বয়স হয়েছে। পার্টির কাজে এখন তিনি এতোটাই ব্যস্ত থাকেন যে ঘরে দু দুটো পুত্রবধূ আনার ব্যবস্থা করতে হবে তা তিনি বেমালুম ভুলে বসেছেন।
আফতাব হোসাইন বেশ চিন্তিত কণ্ঠে বললেন,
” তোমার কথা তো ঠিক বাদল। আসলেই বৃত্ত’র বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এবার আমাদের মেয়ে দেখা শুরু করা উচিত। কি বলো বৃত্ত?”

বাবার কথায় ঈষৎ চমকে উঠলো বৃত্ত। তৎক্ষনাৎ নাকচ করে বললো,
” এতো তাড়াহুড়োর কি আছে বাবা? এখনই মেয়ে খোঁজার কি তাড়া আছে। তুমি বরং যার বিয়ের ইচ্ছা তাকে বিয়ে দাও। ঠিক বলেছি না বাদল?”

” না না। আগে বড় ছেলের বিয়ে। তারপর ছোট ছেলের। তোমার কোনো পছন্দ থাকলে আমাদের জানাতে পারো। সেভাবেই তাহলে কথা আগাবো আমরা।”

” আসলে বাবা আমার একটু সময়ের দরকার। কেউ থাকলে তোমাকে অবশ্যই জানাবো। ”

” আচ্ছা। আমিও অপেক্ষায় থাকবো। আজ নাহয় তোমরা যাও। আমি একটু বই পড়ি কিছুক্ষণ।”

বৃত্ত ও বাদল কোনো কথা বাড়ালো না। বাদলের কানে বৃত্ত’র শেষোক্ত কথাটি বাজছে এখনও। কৌতূহলে তার সম্পূর্ণ শরীরে শিহরণ বয়ে গেলো। রিডিং রুম থেকেই বের হওয়া মাত্রই সে নিজের সকল কৌতূহল উগরে দিয়ে বৃত্তকে জিজ্ঞেস করলো,
” এর মানে কি ভাই? তোমার পছন্দের আছে কেউ?”

বৃত্ত ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
” আমি কখন বললাম আমার পছন্দের কেউ আছে? ”

” সরাসরি বলোনি ঠিক। কিন্তু সরাসরি ‘না’ও তো বলোনি। তুমি বলেছো তোমার সময়ের দরকার। মাথায় কারোর কথা না থাকলে সরাসরি বাবার সামনেই না বলে দিতে। কিন্তু তুমি তা বলোনি। এবার বলে দাও তো কে আছে। তুমি যদি আমাকে না বলো তাহলে আমি বর্ষার কানে এ কথাটা ঢুকিয়ে দিবো। আর তুমি তো জানোই সিক্রেট কথাগুলো ও মোটেও সিক্রেট রাখতে পারে না। পুরো বাড়িসুদ্ধ বলে বেড়াবে তোমার কথা। এখন ওর বান্ধবীর বিয়ের জন্য ওর খোঁজ কম পাচ্ছো।”

বৃত্ত ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো। বললো,
” আরে বাবা, কেউ থাকলে নিশ্চয়ই তোরা এতদিনে জেনে ফেলতি। কিন্তু কেউ নেই দেখে জানিসনি। আচ্ছা, তোর অস্থিরতার কারণেই তোকে কথা দিচ্ছি, তোর ফিউচার ভাবীর সম্পর্কে সর্বপ্রথম তোকে জানাবো। শান্তি? ”

বাদল দাঁত কেলিয়ে হাসলো। বললো,
” এই না আমার ভাইয়ের মতো কথা বলেছো!”
বলেই বাদল ও বৃত্ত সমস্বরে হেসে উঠলো।

———————-

গজ কাপড় কিনতে পুরো মার্কেট চষে বেড়াচ্ছে বিন্দু ও মারিয়া। কিন্তু কোনো দোকানের কাপড়ই তাদের মনমতো হচ্ছে না। পরে এক দোকানদারের পরামর্শে মার্কেটের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে গেলো তারা। সেখান থেকে কাপড় কিনে বের হতে গিয়ে বাঁধলো বিপত্তি। দুজনের একজনও পথ চিনলো না। কেননা এই প্রথমবার তারা এ মার্কেটে এসেছে।
পথ হারিয়ে ফেলে বিন্দু খানিকটা ভীত গলায় বললো,
” এখন কি করবি? রাস্তা যে হারিয়ে ফেললাম। কারোর ফোনেই ইন্টারনেট নেই। থাকলে অন্ততপক্ষে ম্যাপ ব্যবহার করতে পারতাম।

মারিয়াও উদ্বিগ্ন হলো। তবে যথাসম্ভব সাহসী কণ্ঠে বললো,
” চিন্তা করিস না। ঐদিকে একটা লোক দেখা যাচ্ছে, উনাকে জিজ্ঞেস করি।
পড়লাম এক মহা বিপদে। তার উপর নেই এদিকে মানুষজন।”
বলতে বলতে সে আর বিন্দু এগিয়ে গেলো সামনের লোকটির দিকে। লোকটি অন্যদিকে ঘুরে সিগারেট ফুঁকছিলো।
” এই যে শুনছেন চাচা?”

মেয়েলি কণ্ঠে লোকটি পিছে ফিরে তাকালো। বিন্দু ও মারিয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
” কি হইছে?”

বিন্দু বললো,
” আসলে চাচা,আমরা রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি।।এদিক দিয়ে বের হওয়ার রাস্তাটা যদি বলে দিতেন।”

লোকটি বিন্দুর কথায় খানিকটা বিরক্ত হলো। বললো,
” কোন রাস্তা দিয়ে আসছেন সেটাও মনে নাই?”

” না।”

” কি এক আপদ!
আচ্ছা, এ রাস্তা দিয়ে সোজা যাইবেন। তারপর হাতের ডান দিয়া গিয়া আবার সোজা হাঁটবেন। এরপর আবার বামে গিয়াই রাস্তা চইলা আসবে। ”

মারিয়া বললো,
” ধন্যবাদ চাচা।”
বলেই দুজনে হাঁটতে লাগলো। লোকটির বলে দেওয়া রাস্তা অনুযায়ী তারা চলতে লাগলো। কিন্তু ডানে মোড় মিয়ে বাঁধলো এক বিপত্তি। সোজা রাস্তাটা প্রায় জনশূন্য। তবে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে তিনটে বখাটে গোছের ছেলে। তাদের শরীররে অঙ্গভঙ্গি দেখেই বিন্দু ও মারিয়া সতর্ক হলো। হাত পা শক্ত করে পূর্বের চেয়েও দ্রুত গতিতে হাঁটতে লাগলো। কিন্তু কয়েক কদম যাওয়া মাত্রই তাদের পথ রোধ করে দাঁড়ালো সেই বখাটে ছেলের একটি ছেলে। বিন্দু ও মারিয়াকে চোখের পলকে আপাদমস্তক দেখে বাঁকা চাহনিতে চেয়ে বললো,
” কোথায় যাচ্ছেন আপামনিরা?”

বিন্দু ও মারিয়া কোনো প্রকার কথা না বলে তাদের পাশ কাটিয়ে যেতে নিলো। কিন্তু দু কদম যেতে না যেতেই বখাটে ছেলেটি পুনরায় সামনে দাঁড়ালো। বিশ্রিভাবে হেসে বললো,
” চলুন, আপনাদেরকে মেইন রাস্তায় দিয়ে আসি।”

আতঙ্কের ছাপ স্পষ্টরূপে ফুটে উঠেছে বিন্দু ও মারিয়ার মুখশ্রীতে৷ কিন্তু এদের সামনে এ আতঙ্কিত চেহারাখানা দেখালে যে চলবে না। তাই বিন্দু কাঠিন্যতাপূর্ণ কণ্ঠে বললো,
” আমরা রাস্তা চিনি। আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। আপনি আপনার কাজ করুন।

ছেলেটি ক্রুর হাসি দিলো। বললো,
” আহহা, একটু সাহায্য তো করতে দিন।”

বিন্দু আর কথা বাড়ালো না। মারিয়াকে নিয়ে পাশ কাটিয়ে ফের সামনে হাঁটা ধরলো। এবার তিনটি ছেলেই তাদের পিছু নিলো। এ মুহূর্তে নিজেদের রক্ষা করার কোনো বস্তু পেলো না বিন্দু ও মারিয়া। তাই শেষ রক্ষাকবচ হিসেবে দুজন দুজনের পার্স শক্ত হাতে ধরলো। সিদ্ধান্ত নিলো পার্সের কোনার ধারালো অংশ দিয়ে কোনোমতে আক্রমন করেই তারা দৌড় দিবে। যে-ই ভাবা সেই কাজ। দুজনে সামনের দিকে ফিরেই আক্রমণের প্রস্তুতি নিলো। এর মাঝে অন্য একটি ছেলে দাঁড়ালো তাদের সামনে। ছেলেটিকে দেখেই মারিয়া পার্স উঁচু করে আক্রমণ করতে নিলো। কিন্তু…….

#চলবে