স্বপ্নের_crush ? (in reality) Part-35 +36

0
4111

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-35 +36
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আরোহিঃ এরপর যদি তোকে আহানের আশেপাশে দেখেছি তাহলে ওখানের তোর চুল গুলো টেনে টেনে ছিড়ে ফেলবো ??? শাকচুন্নি কোথাকার
ঠাসসসসসসসসসসসসসস
(কথা শেষ হতে দেরী কিন্তু আরোহির থাপ্পড় মারতে দেরী নেই,, কথাটা বলার সাথে সাথেই নিহার গালে আরও দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো আরোহি)

আরোহির দ্বিতীয় বারে থাপ্পড় দুইটা খেয়ে নিহার ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে,, গালগুলো লাল হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো আরোহির রাগ কমেনি। যেন নিহাকে নিজ হাতে খুন করতে পারলে তবেই ওর শান্তি হবে (কিন্তু নায়িকা খুন করে জেলে গেলে আহানের কী হবে??)

আর আহান আরোহির রাগ দেখে মিটমিট করে হাসছে। নিহার উপর রাগ থাকলেও আরোহি ওকে কতোটা ভালোবাসে সেটা দেখেই আহানের ভালো লাগছে৷

নিহা আরোহির রাগ দেখে ভয়ে একেবারে চুপ হয়ে গেছে। আহান দূর্বল ছিলো তবুও উঠে আরোহির কাছে গেলো।
আহানঃ (নিহার দিকে তাকিয়ে) আমাকে কেন মারতে চেয়েছিলে? ইনসাল্ট করেছিলাম বলে?
নিহাঃ —— ( কোনো কথাই বলতে পারছে না)
আহানঃ (চিল্লিয়ে) বলো
নিহাঃ আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম কিন্তু তুমি!
আহানঃ এখনো ঐ মুখে ভালোবাসার নাম নিচ্ছো? যে ভালোবাসা একদিনের অপমানেই খুনি বানিয়ে দেয়, সেটা কি আদৌ ভালোবাসা? আর তোমাকে তো একদিনের দোষে অপমান করিনি,, তুমি দিনের পর দিন আরোহির সাথে অন্যায় করেছো। সে অন্যায়ের তুলনায় তোমার শাস্তি অনেক কম
নিহাঃ (আহানের দিকে তাকিয়ে মিনতি করে) আহান.. আহান দেখো আমি তো আগে তোমায় ভালোবেসেছি বলো। ও আমাদের মাঝখানে এসেছে, তুমি কেন ওর সাপোর্ট নিচ্ছো?
আহানঃ (নিহার তর্ক করা দেখে আহান প্রচন্ড ক্ষেপে গেছে তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো) নিহা তাহলে তোমার ভালোবাসা প্রুভ করতে আমাকে কয়েকটা এন্সার দাও
নিহাঃ (খুশি হয়ে) হ্যাঁ বলো
আরোহি অবাক হয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে আছে

আহানঃ তো নিহা তুমি আমাকে কেন ভালোবাসো?
নিহাঃ এটা কেমন প্রশ্ন? তোমাকে ভালো না বাসার তো কোনো কারন নেই। তুমি ভালো ঘরের ছেলে, তুমি দেখতেও অনেক হ্যান্ডসাম, অনেক রিচ আর তুমি অনেক popular, আর কি চায়।
আহানঃ (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে) তোমার কাছে এমন এন্সারই আশা করেছিলাম,,, তুমি আসলে জানোই না ভালোবাসা কি? আমার নাম, যশ, খ্যাতি এগুলোর জন্য আমাকে ভালোবাসো। জানো আরোহি কেন আমাকে ভালোবাসে? কারণ সে আমার প্রতি তার ভালোবাসা ফিল করতে পারে আর আমিও। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে আমি কখনো তেমন টান অনুভব করিনি আর আমি সিওর তুমিও আমার প্রতি কিছুই ফিল করো না। ভালোবাসার মানে ত্যাগ ; ধবংস করে দেওয়া নয়। ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষের জীবনটা সুন্দর করে গড়ে দেওয়া, ছিনিয়ে নেওয়া নয়। আর তুমি যা করেছো সব হলো হিংসা। তোমায় তো পুলিশে দেওয়া উচিত।
নিহাঃ না আহান প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও। আমার ভুল হয়ে গেছে। আম সরি প্লিজ,, আরোহি প্লিজ
আহানঃ নিহা খবরদার আরোহির মন গলানোর চেষ্টা করবে না। তোমাকে পুলিশে দেওয়াই উচিত
ততক্ষনে সব শিক্ষকরা চলে এসেছিলো। পুলিশে দিলে কলেজের নাম খারাপ হতে পারে তাই সব টিচাররা আহান আর আরোহিকে অনেক বোঝায়। অতঃপর আহান আরোহি নিহাকে এবারের মতো ছেড়ে দেয়। কক্সবাজারে সবার জন্য হোটেল বুক করে ছিলো। সবাই যে যার মতো রুমে চলে যায়।
___________________________
আজ ৩১ ছিলো। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সমুদ্রের পাশেই একটা বাজার আছে ঝিনুকের অলংকার ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে। সেখানে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে রওনা দিয়েছে।

আরোহি পড়েছে লেগিন্সের সাথে হোয়াইট কালারের লং টপ আর গলায় শাটিনের স্কার্ফ। আর আহান একটা থ্রি কোয়াটার প্যান্টের সাথে হোয়াইট কালারের একটা টি-শার্ট পড়েছে। আহান তো ৫.১১ ফিট আর আরোহি জাস্ট ৫.৩। ভাবুন দুজনকে একসাথে কতো কিউট কাপল লাগছে ?? [সব আমার ক্রিয়েটিভিটি ?]

আরোহি আহানের হাত ধরে রেখেছে। সমুদ্রের শীতল বাতাস দুজনকে ছুয়ে দিচ্ছে। সামনেই বাজারটা দেখতে পায়। ছোট দোকান গুলোর বেশির ভাগ দোকানে নিয়ন বাতি জ্বলছে। বড্ড সুন্দর লাগছে দোকানগুলোকে। সবাই মিলে যে যার মতো দোকানে ঘুরছে। আর আরোহি ঝিনুকের মালা দেখছে, কিন্তু বুঝতে পারছে না কোনটা নিবে। হঠাৎ আহান একটা মালা এনে আরোহির গলায় পরিয়ে দিলো। মালাটা বেশ সুন্দর। আর তার থেকে বড় কথা মালাটায় আরোহিকে মানিয়েছে। মালাটা বেশ লম্বা। আর নিচে একটা পেন্ডেন্টের মতো শামুক ডিজাইন করা। টপসের সাথে মালাটা মানিয়েছে। আরোহি তো ভীষণ খুশি। আর অর্ণব অরনির জন্য একটা মালা আর শামুকের একটা বড় খোলশ নিলো। তারপর সবাই একসাথে হোটেলে ফিরে এলো।

রাত ১১ঃ৫২
আরোহির ফোনে হঠাৎ আহানের ম্যাসেজ এলো,,
“রুমের বাহিরে বের হউ”
কিন্তু এদিকে মিতু, নিশা, মাহি সবাই জেগে আছে।। কিভাবে কি করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ মাহি বললো,
মাহিঃ [আরোহিকে অস্থির দেখে] আরোহি সব ঠিক আছে?
আরোহিঃ হ..হ্যাঁ
সাথে সাথেই ফোনে আরো দুইওটা ম্যাসেজ এলো
মাহিঃ ওওওওও আহান ইজ মিসিং ইউ ?
আরোহিঃ (লজ্জা পেয়ে) ন..না আ..সলে
মাহিঃ থাক আর কিছু বলতে হবে না। যেতে পারো আমরা কিছু দেখবো না ?
নিহা & মিতুঃ যা যা
আরোহি ধীরে ধীরে রুমের দরজা খুলে বের হচ্ছিলো তখনই,
মাহিঃ (একটু জোরে) আমরা কিন্তু কিছু দেখছি নায়ায়া
আরোহি লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হলো। আরোহি বের হতেই আহান আরোহির চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাধলো।।। আরোহি কিছু বলার আগেই,,
আহানঃ জাস্ট ৫ মিনিট। আমার সাথে এসো,,,,,,
আহান আরোহিকে ছাদে নিয়ে এলো। ছাদে নিয়ে এসেই আরোহির চোখ খুলে দিয়েই আরোহির কাছে থেকে সরে এলো।।।
আরোহি চোখ খুলে আশেপাশে অন্ধকার দেখছে,, শুধু চাদের আলোয় হালকা হালকা বোঝা যাচ্ছে। হঠাৎ লাইট জ্বলে উঠলো,,,
আরোহি তাকিয়ে দেখলো ছাদের মাঝখানে সুন্দর করে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো। আর সাথে অনেক গুলো বেলুন। সেই ফুল আর বেলুনের মাঝে আহান দাঁড়িয়ে আছে,,
আহানঃ Happy New Year My Lady,,, সব দুঃখ কষ্ট ভুলে আমার জীবন আসবে কি প্লিজ? চলো না সব নতুন করে সাজাই। প্রমিস করছি আর কোনো ভুল নয়,, আর কোনো লুকোচুরি নয়। I Love You Arohi
আরোহি দৌড়ে গিয়ে আহানের গলা জড়িয়ে ধরলো। আহান লম্বা তাই আহানও আরোহিকে জড়িয়ে উপরে তুলে নিজের সমান করলো। আরোহি বললো,
I Love You Too Ahan,, সব ভুলে, নিহা মাহি সায়র সবাইকে ভুলে এই বছরটা শুরু করবো। একসাথে ☺ Happy New Year…
.
to be continued…….?

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-36
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আহান আরোহি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে আর হোটেলটা সমুদ্রের পাশে হওয়ায় সমুদ্রের শীতল বাতাস ওদের গা ছুয়ে দিচ্ছে।
আহানঃ [ আরোহিকে নিচে নামিয়ে দিয়ে ] তুমি একটু ওয়েট করো আমি আসছি
বলেই আহান কোথায় যেন গেলো। আর আরোহি ফুল আর বেলুন গুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।

একটুপরেই গিটারের টুং টাং আওয়াজ শোনা গেলো,, আর সাথে আহানের কন্ঠ। আহান গাইছে,,
hooo hooo hoooo oooo
yeh raatein ab nehi dharakti din bhi,,
Saasein nehi lete ab to,, aa jao mere soneyaaa,
baatein reh gayi adhuri mere,,
labon pe zaroori aake,,
sun jao mere soneyaaaaa
TERE BIN NAHI LAAGE JIYA,, TERE BIN
AB TO AAJA PIYA
TERE BIN NAHI LAAGE JIYAAA

এইটুকু গেয়ে আহান গান বন্ধ করলো। আরোহি গানটা শুনে লাল লাল হয়ে গেছে,, গানের লিরিক্স গুলো একেবারে আহানের মনের কথা বলেছে।

আরোহিঃ থামলে কেন? গানটা গাও প্লিজ
[আহানের কন্ঠে যে কোনো গানই ভালোলাগে তার উপর এত ভালোবেসে গান করছে,, ভালো না লেগে উপায় আছে??]
আহান আবার শুরু করলো,, এবার আরোহির চারপাশে ঘুরে ঘুরে গান গাচ্ছে আহান,,
Pehle jaise mousaam bhi aate nehi hay
baarishon mai pehle jaisi baatein nehi hai (2)
sookhe sookhe aaLfaz khaLi,, khaLi mere haathon ki,, Lakirein bulawen soneyaaa

[আরোহির পাছনে দাঁড়িয়ে আরোহির কানের কাছে গিয়ে বললো,]
TERE BIN NAHI LAAGE JIYA,, TERE BIN
AB TO AAJA PIYA
TERE BINNN NAHI LAAGE JIYAA tere bin
tere binnn tere bin

আরোহির কানের কাছে এসে বলায় আরোহি যেন একেবারে জমে গেছে,, তারউপর এই ঠান্ডা বাতাস।

আহানঃ এই পাটকাঠি এইভাবে কাপছো কেন? ?
পাটকাঠি শুনে আরোহি রেগে আহানের দিকে তাকালো ??
আহানঃ যাক এবার তোমার একটু গরম লাগবে ?
আরোহিঃ [কি আজব ঠাণ্ডায় কাপছি বলে রাগিয়ে ঠান্ডা কমাচ্ছে ???? একটু জড়িয়েও ধরে না, আর আমি কি শুধু ঠান্ডায় কাপছি নাকি?? এতো ভালোবেসে গান শোনালো, আমি এতেই জমে গেছি ?]
আহান নিজের জ্যাকেটটা খুলে আরোহির গায়ে দিয়ে দিলো।
আহানঃ (কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে) এবার আর ঠান্ডা লাগবে না,, আচ্ছা চলো নিচে যায়

কথাটা বলেই আহান পকেটে হাত ঢুকিয়ে এক পা বাড়াতেই আরোহি আহানের বাহু এক হাত দিয়ে ধরে ফেলে।
আহানঃ (পেছনে ঘুরে) কি হলো? আরও থাকবা? ঠান্ডা লাগবে তো
আরোহিঃ আমি তোমায় সেদিন ঐ কথা গুলো বলেছিলাম তাই তুমি আমার কাছে আসো না তাই না
আহানঃ (আরোহির কাছে গিয়ে ওর গালে হাত দিয়ে) ধুর বোকা মেয়ে,, একটু আগেই তো জড়িয়ে ধরেছিলাম। সেদিনের ঐ কথাগুলোই আমি মোটেও রাগ করিনি। সেদিনের কথা গুলো প্রমাণ করেছে তুমি কতোটা স্বচ্ছ, কতোটা পবিত্র।
আরোহিঃ তাহলে আমাকে আর একবার জড়িয়ে ধরো প্লিজ
আহানঃ [আরোহির হাত ধরে ছাদের রেলিং-এর কাছে নিয়ে গিয়ে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম]

বাতাসে আরোহির চুল উড়ছে,, আর আহান আরোহিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে। এই ঠান্ডায় আহানের উষ্ণতা আরোহির ভালোই লাগছে

আরোহি আহানের বুকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুজনে ছাদ থেকে সমুদ্র বিলাস করছে,, সাথে জোছনা বিলাসও। আরোহি যখন ছাদে এসেছিলো তখন খুব একটা জোছনা না থাকলেও এখন কেন যেন জোছনার আলোটা বৃদ্ধি পেয়েছে মনে হচ্ছে। আহান ইশারা করতেই ছাদের লাইট গুলোর আলো কমে গেলো কিন্তু তা আরোহির চোখে পড়েনি। আরোহি নিজের হাত পেটের উপরে রেখেছে আর আহান আরোহির হাতের উপর হাত রেখেছে। আরোহি আহানের বুকে মাথা রেখেছে আর আহান আরোহির মাথার উপর থুতনি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

রাতের জোছনার আলোয় সমুদ্রের পানি গুলো মুক্তোর মতো জ্বলছে। শান্ত পরিবেশ। আরোহি বরাবরই জোছনা বিলাস করতে পছন্দ করতো। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে এর আগে এতো ভালো জোছনা বিলাস আর কখনও করেনি।

আরোহিঃ আহান
আহানঃ হু
আরোহিঃ (আহানকে ছাড়িয়ে আহানের সামনে হাটু গেড়ে বসে)
আহানঃ আরে কি করছো?
আরোহিঃ (হাটু গেড়ে বসে নিজের হাতের একটা আংটি খুলে আহানের সামনে ধরে) প্রতিবার তুমি আমায় প্রোপোজ করেছো কিন্তু আমি গাধীর মতো প্রতিবার রিজেক্ট করেছি। প্লিজ সেজন্য রাগ করে থেকো না। আজ আমি তোমায় প্রোপোজ করতে চাই। আহান !! তুমি কি আমার সাথে প্রতিরাতে জোছনা বিলাস করবে? সমুদ্র হোক, নদী হোক, খাল হোক, বিল হোক বা পুকুর হোক আমায় সাথে নিয়ে পানিতে পা ভেজাবে? যদি মাঝরাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে, আমার হাতে হাত রেখে ভিজবে? যদি কোনো ভুল করে ফেলি তাহলে বকা দিয়ে ভুল গুলো শুধরে দিবে? আমার ভুল গুলো, আমার দুষ্টুমি গুলো, আমার তোমাকে ইরিটেট করা এগুলো সব সহ্য করে আমার বার বার ক্ষমা করে দিবে কি? আমার যখন খারাপ লাগবে দিবে কি তোমার বুকে একটু জায়গা? হবে কি আমার? সারাজীবনের জন্য? এভাবে বাসবে কি আমায় ভালো? যদি আমার এই সব শর্তগুলো কবুল হয় তাহলে তাহলে আমার এই আংটিটা গ্রহন করো প্লিজ। জানি আংটিটা ছোট কিন্তু তবুও

আহানঃ (খুশি হয়ে আরোহিকে উঠিয়ে) ☺☺ তোমার সব ইচ্ছা গুলো কবুল করলাম। সব সময় আমার পাশে থেকো প্লিজ কখনও ছেড়ে যেও না
আরোহিঃ কখনও না

আহান আরোহির গালে হাত দিয়ে আরোহির কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দেয়। আরোহির দেওয়া আংটিটা কনিষ্ঠা আঙুলে পরে নিলো। আরোহির এই আংটিটা আরোহি বৃদ্ধা আঙুলে পরতো তাই আহানের ছোট আঙুলটাই এটা ফিট হলো।

আহানঃ আচ্ছা তুমি তো আমাকে শাস্তি দিতে তো ছোট মা কে বলেছিলে বিয়ে করবে না। এখন তো ক্ষমা করে দিয়েছো। তাহলে চলো না বিয়েটা করে ফেলি

আরোহিঃ উহু,, সাথে আরও একটা কারণ আছে
আহানঃ (বিদ ্ধস্ত হয়ে) হোয়াট ?
আরোহিঃ আমার ইচ্ছা আমার আর অরনির একসাথে বিয়ে হোক, ও তো আমার থেকে ছোট। ওর বয়স ১৮ হতে দাও। তখন বিয়ে হবে
আহানঃ আচ্ছা নকল সার্টিফিকেট বানাবো?? ???
অর্ণবঃ ( পেছন থেকে) আমি রাজি
আরোহিঃ (অবাক হয়ে পেছনে ঘুরে) তু…তুমি
অর্ণবঃ ইয়ে মানে
আহানঃ আসলে ও আমাদের এই স্পেশাল মোমেন্টের ছবি তুলছিলো। (অর্ণবকে) আরেএ ইয়ার আমার রোমান্টিক মোমেন্টটা স্পয়েল্ড করে দিলি ?
অর্ণবঃ সরি সরি ক্যারি ওন (বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে চলে গেলো)
আরোহিঃ (অবাক হয়ে) তার মানে এতোক্ষন অর্ণব আমাদের দেখছিলো ??
আহানঃ আরে ও জাস্ট পিক তুলছিলো। আর লাইট গুলো ঠিক ঠাক ইউজ করছিলো আর কিছু না। আর ওর ও তো দিন আসবে অরনি সাথে। সো ডোন্ট ফিল শাই
আরোহিঃ (মনে মনে) আমি আসলেই বিটিভি চ্যানেল ?? এতো এরেঞ্জমেন্ট যে আহানের পক্ষে একা ঠিকঠাকভাবে মাইন্টেইন করা পসিবল না এটা আমার মাথায়ই আসে নি ??
আহানঃ দেখলে অর্ণবও কতো উৎসুক বিয়েটা তাড়াতাড়ি করার জন্য,, শুধু তুমিই উৎসুক নও ??
আরোহিঃ সবুরে মেওয়া ফলে ??
আহানঃ আই ডোন্ট লাইক মেওয়া ফল
আরোহিঃ (হুট করে আহানের গালে একটা কিস করে দিয়ে) ?? বাই বাইইই (বলেই দৌড়) ??
আহানঃ (থ হয়ে দাঁড়িয়ে) ? এটা কি হলো? এতো সুন্দর একটা গিফট দিলো কিন্তু এভাবে ?? [? হেসে আহানও নিজের রুমে চলে গেলো]
আর এই চাঁদ এদের পবিত্র ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে থাকলো……..
.
to be continued……. ?