স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-9+10
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
নিহাঃ আরোহি,,, এনুয়্যাল ফাংশনে কি হবে তুমি ভাবতেও পারছো না ??
.
আরোহিঃ অহি আর আমাকে বাধ্য হয়ে প্রাকটিস করতে হলো ,,, প্রাক্টিস শেষে,
আহানঃ চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি
আরোহিঃ আমি যেতে পারব
আহানঃ জানি তুমি যেতে পারবে। তবুও চলো। আমি এগিয়ে দিচ্ছি
আরোহিঃ ওকে ( দেখলাম মিতু আর নিশা ও চলে গেছে। আর বিকাল হয়ে গেছে। তাই একা যাওয়ার চেয়ে অহির সাথে যাওয়া ভালো হবে)
আমি আর অহি গাড়িতে যাচ্ছি…….. হঠাৎ
আরোহিঃ অহি এখানে থামাও থামাও থামাও
আহানঃ কি হলো টা কি? [আরোহি হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠায় ভয় পেয়েছি]
আরোহিঃ ঐ দেখো
আহানঃ কি?
আরোহিঃ [হাত দিয়ে রাস্তার ওপাশে ইশারা করলাম] আরেএএ ফুচকা
আহানঃ তো?? [ ফুচকা দেখেই ওর মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি]
আরোহিঃ তো মানে? আমি খাবো
আহানঃ একদম না। এগুলো খাওয়া ঠিক না, অসুস্থ হয়ে যাবে
আরোহিঃ আরে রাখো তো তোমার ঠিক-বেঠিক,, আমি খাব প্লিজ প্লিজ প্লিজ ওখানে নিয়ে চলো
আহানঃ না
আরোহিঃ ??
আহানঃ [ আমার মুখে না শুনে ওর মুখটা কেমন শুকনা হয়ে গেলো,, তাই গাড়ি ঘুরিয়ে ফুচকার দোকানের সামনে দাড়া করালাম] নামো
আরোহিঃ হু?
আহানঃ ফুচকা খাবে না নাকি?? চলো
আরোহিঃ [আমি খুশিতে ওর গাল টেনে নেমে যাই]
আহানঃ ???[ এটা কি হলো? আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি??]
আরোহিঃ ভাইয়া আমার ফুচকায় মোটামুটি ঝাল দিবেন। বেশি ঝাল না কিন্তু
আহানঃ আমি জানতাম মেয়েরা ফুচকা বেশি ঝাল দিয়ে খায়
আরোহিঃ আমি বেশি ঝাল খেতে পারি না। তাই ?
.. ফুচকাওয়ালা আমাকে ফুচকা দিলেন,
আরোহিঃ তুমি খাবে?
আহানঃ না, তুমিই খাও
আরোহিঃ আমি একটা ফুচকা মুখে ঢুকালাম……??? আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আহানঃ কি হলো?
আরোহিঃ ঝাললললল ???
অন্য একজনঃ আমার টাতে ঝাল কম হয়েছে
ফুচকাওয়ালাঃ ওহ তাহলে আমি ভুল করে উল্টা পাল্টা করে ফেলেছি। মাফ করবেন। অনেক কাস্টমার। ভুল করে চেঞ্জ হয়ে গেছে।
আহানঃ ইটস ওকে
আরোহিঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া ??
আহানঃ এখানে বসো [আরোহির ঠোঁটটা লাল হয়ে গেছে, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,, যেন ঝালে পাগল হয়ে গেছে]
[ এখানে হিরো হিরোইন কে কিস করে ঝাল কমাবে নাাাা,,, কাহানি মে আনরোম্যান্টিক থিম হ্যায়]
আহানঃ [আরোহির জন্য পাশের দোকান থেকে ৫ টা ডেইরি মিল্ক বাবলস নিয়ে আসলাম] এই নাও
আরোহিঃ [ চকলেট আমার অনেক পছন্দ, আর এই মুহূর্তে আরও বেশি প্রয়োজন, তাই ওর হাত থেকে নিয়েই খাওয়া শুরু করলাম] ????
????????????
[ আরোহির চকলেট খাওয়া দেখে আমারই চকলেট খেতে ইচ্ছে করছে ??? কেউ আমারে এক বস্তা চকলেট গিফট কর গো]
আহানঃ আরোহি পুরো বাচ্চাদের মতো চকলেট খাচ্ছে ,,, হাতে মুখে লেগে গেছে।।। আহান ওর দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছে,, ইচ্ছে করছে ওর কাছে যেতে
[ তবে আবার কাহানি মে টুইস্ট হ্যায়,,,, এখানে হিরো অন্য হিরোদের মতো কিছুই করবে না,,, আনরোম্যান্টিকের বাসকো একটা]
আহানঃ মুখটা মুছে নাও (বলে একটা টিস্যু বের করে ওর দিকে এগিয়ে দিলাম)
আরোহিঃ থ্যাংকস ☺☺
আহানঃ এবার ঝাল কমেছে?
আরোহিঃ হ্যা ☺
আহানঃ দেখলে আমার কথা না শোনার ফল। বলেছিলাম ফুচকা না খেতে
আরোহিঃ ও তার মানে আপনি আমাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন।। তাই জন্য আমার ফুচকা ঝাল হয়ে গেলো
আহানঃ আমার বয়েই গেছে অভিশাপ দিতে,, [দেখলাম আরোহি সব চকলেট শেষ করে দিয়েছে,, এখন লাস্ট টা খাচ্ছে] একি তুমি সব চকলেট খেয়ে ফেলেছো?? এখন যদি শরীর খারাপ করে?
আরোহিঃ করবে না
আহানঃ ফুচকা খাওয়ার সময় ও সেম ডায়ালগ ছিলো ??
আরোহিঃ না তোওওওও,, একটু আলাদা ডায়ালগ ছিলো ????।।। জানো আমি যাকে বিয়ে করবো তাকে ফার্স্টেই শর্ত দিবো আমার জন্য তার বাসায় সব সময় এক বয়াম চকলেট রাখতে হবে,, আমার যখন ইচ্ছা তখন খাবো আর সে আমায় কিছুই বলতে পারবে না ?
আহানঃ ( এভাবে চকলেট খেলে সারাদিন বকা ছাড়া আর কিছু তোমার কপালে জুটবে বলে আমার মনে হয় না ?)
আরোহিঃ কি ভাবছো?
আহানঃ কিছু না,, তোমার বাসা চলে এসেছে
আরোহিঃ হুম ওকে বাই☺
আহানঃ বাই ?
.
_______
এদিকে অন্য লাভ বার্ডস দুইটা,
দুজনে নিজেদের রুমে বসে একই চিন্তা করছে,,
অরনিঃ ওর নাম্বারটাও নেওয়া হয়নি।। আচ্ছা ওর কি আমার কথা মনে পড়ছে? (মনে মনে)
অর্ণবঃ ওর নাম্বারটাও নেওয়া হয়নি।। আচ্ছা ওর কি আমার কথা মনে পড়ছে? (মনে মনে)
অরনিঃ আজকে অর্ণবের শো আছে। আমি যদি ওকে কল দিয়ে কোনো গানের রিকুয়েস্ট করি ও কি বুঝতে পারবে আমি ওর সাথে কথা বলার জন্যই আসলে কল করেছি?
অর্ণবঃ আচ্ছা ও যদি আমার শো তে কোনোভাবে কল করে? কিন্তু ও জানবেই বা কি করে আমিই RJ অর্ণব? আচ্ছা ও তো সেদিন ইচ্ছা করেই আমার গাড়ির সামনে এসেছিলো। তারমানে কি ও জানে আমি কে? যদি আজকে আমার শো তে কল দাও তাহলে বুঝবো তুমি সত্যি আমাকে চিনো ?
অরনিঃ থাক। কল দিবো না।। কিন্তু শো এখনও শুরু হচ্ছে না কেন?উফফফ
____________
রাত ১১ঃ ৫৫
অর্ণবঃ হ্যালো এভরিওয়ান,, আমি RJ অর্ণব আছি আপনাদের সাথে।। আজ আমি আপনাদের সাথে ফোনে কথা বলবো। হ্যা আজকে কোনো ম্যাসেজে কথা হবে না, কথা হবে সরাসরি ফোনে,,, আপনারা আমাকে কল দিয়ে শেয়ার করবেন আপনার জীবনের Love At First Sight এর গল্প,,, তাহলে _____ এই নাম্বারে কল দিন, এবং আমাদের সাথে শেয়ার করুন আপনার জীবনের Love at first sight এর গল্প… অলরেডি একটা কল এসেছে।।। জি আপনার মান, ঠিকানা বলে আমাদের সাথে আপনার কাহিনী শেয়ার করা শুরু করুন,,
°°°°°
– আমি নীলা। রাজবাড়ি থেকে,, আমার জীবনের Love at first sight ছিল আমার কলেজের এক সিনিয়র ভাইয়া।। এনুয়্যাল প্রোগ্রামে তাকে দেখেছিলাম। অনেক কষ্টে তাকে পাই আর এখন সে আমার হাসবেন্ড
অর্ণবঃ awww এটা সত্যি অনেক কিঊট স্টোরি। আমরা দুয়া করি যেন আপনারা সারাজীবন সুখে শান্তি থাকেন ☺ এবার দ্বিতীয় কলার কে দেখা যাক,৷ আপনার পরিচয় দিয়ে শুরু করুন,,
– আমি ফারিহা, আমার লাভ এট ফার্স্ট সাইট তো হয়নি তবে যেদিন থেকে তোমার ভয়েস শুনেছিলাম সেদিন থেকে তোমার প্রেমে পড়েছি। I love you RJ Arnob
অর্ণবঃ ওউ!! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোবাসাতেই আমি আজ এতো দূর পৌঁছেছি। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
এদিকে অরনি তো এসব শুনে রাগে লাল হয়ে গেছে।। মেয়েটাকে পেলে বোধ হয় খুন করে ফেলবে..তাই এবার অরনি কল দিল,,
অর্ণবঃ হ্যালো। আপনার নাম, পরিচয় বলে আপনার গল্প শুরু করুন
অরনিঃ (একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কথা বলা শুরু করলো) হ্যালো, আমি অরনি
অর্ণবঃ ?? ( তারমানে তুমি আমায় আগে থেকেই চিনো ? কিন্তু এভাবে রেগে কথা বলছে কেন???)
অরনিঃ ( অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করলাম) আমার জীবনে লাভ এট ফার্স্ট সাইট কিছুদিন আগেই ঘটেছে।। রাস্তায় তার গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যাওয়া, তাকে দেখে আমার চোখ আটকে যাওয়া, পা মচকে যাওয়া, সে আমার পা ঠিক করে দেয়, আমাকে গাড়ি করে পৌঁছে দেয়, গাড়িতে আমাদের কথা বার্তা, তার কথা গুলো সব কিছুই আমার লাভ এট ফার্স্ট সাইট-এর অংশ। কিন্তু অদ্ভুত বিষয়,, পরের দিন সে আমার কোচিং এর সামনে হাজির হয়ে যায়। আচ্ছা তার এই আসা টা আমি কি ধরবো?
অর্ণবঃ হয়তো সে ও আপনার মতো লাভ এট ফার্স্ট সাইট-এর শিকার ??
অরনিঃ ( ওর এই কথা শুনে আমার হার্ট রেট বেড়ে গেছে, আমার লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে,,, আর কিছু না বলেই কেটে দিলাম ☺☺ কিই বা আর বলতাম,, সে যে তার সব কথা এই এক বাক্যেই বলে দিয়েছে ☺☺)
অর্ণবঃ (তুমিই আমার অরনি। আমি সিউর ?ওর নাম্বারটা তুলে নিলাম,,,) তাহলে বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করছি আজকের শো। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
.
to be continued…….. ?
স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-10
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
অর্ণবঃ (তুমিই আমার অরনি। আমি সিউর ?ওর নাম্বারটা তুলে নিলাম,,,) তাহলে বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করছি আজকের শো। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
__________========__________
পরের দিন সকালে,
অরনির মাঃ এই অরনি, এইইইই উঠ বলছি,, সকাল থেকে দুইবোনকে ডাকছি,, কারও উঠার নাম নাই ??
অরনিঃ হুম মা এই তো আর একটু
অরনির মাঃ গত ৩০ মিনিট ধরেই আর একটু আর একটু করছিস
আরোহিঃ মাত্র ৩০ মিনিট হইছে,, তাতেই এমন কর কেন? আর ৩০ মিনিট,,, ( হঠাৎ মনে হলো বৃষ্টি হয়ে গেলো। কি ব্যাপার? জানালা তো লাগানো, তাহলে বৃষ্টি আসলো কিভাবে? চোখ খুলে দেখলাম মা আমাদের উপরে পানি ঢেলে দিয়েছেন…) আম্মুউউ ??
অরনির মাঃ এবার দেখি তোরা কিভাবে ঘুমাস
অরনিঃ তাই বলে তুমি এমন করবা?? তোমার ছোট্ট মেয়ে দুইটাকে তুমি এইভাবে কষ্ট দিলা ?
অরনির মাঃ থাক,, আর নাটক করতে হবে না। অলরেডি ৮ঃ৩০ বাজে
অরনিঃ কিইইহহহহ তুমি আমাকে আগে কেন ডাকোনি। আমার আজকে কোচিং-এ ৯ টায় পরীক্ষা আছে ?
আরোহিঃ আর আমার কলেজজজ ???
অরনির মাঃ ?? আমি ডাকিনি???
অরনিঃ ( আম্মুর হাতে ঝাড়ু দেখে চুপ হয়ে গেলাম) ?? না মানে, ঠিক আছে।। আমারই ভুল ??? মানে আমাদেরই ভুল
আরোহিঃ টা টা ( বলেই বাথরুমে দিলাম দৌড়)
অরনিঃ এই আপু,, এটা ঠিক না।। আমি যাবো আগে
আরোহিঃ অন্যটা তে যা
অরনিঃ হুহ তুই আহানকে পাবি না অভিশাপ দিলাম
আরোহিঃ ( বাথরুম থেকে চিল্লিয়ে) আমি না পেলে তুইও অর্ণবকে পাবি না ?
অরনিঃ ?? তাহলে অভিশাপ ক্যান্সেল ( রেডি হয়ে কোচিংএর জন্য বের হলাম)
___________
রাস্তায়,,,,
অরনিঃ উফফফফ আজকে লেট হলো আর আজকেই কোনো রিক্সা নেই ??, হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি এসে দাড়ালো।। উফফফফ এক-এ তো রিক্সা পাচ্ছি না, আবার সামনে গাড়ি এসে দাড়ালো ? ওখানে থেকে সরে একটু সামনে গেলাম,, একটু পরই গাড়িটাও সামনে এসে দাড়ালো,, সাথে সাথে ফোনে ম্যাসেজ আসলো,” গাড়িতে উঠো”… আজব তো চিনিনা জানিনা আর গাড়িতে উঠে যাব?? যদি আমাকে কিডন্যাপ করে নেয়?? আমরা তো বড়লোকও নই… তাই আবার আর একটু সামনে গিয়ে দাড়ালাম,, গাড়িটা আবার এগিয়ে আসলো।।
.
উফফফফ এবার গিয়ে বলেই ফেললাম,
” এই যে আপনার সমস্যা কি বলুন তো? তখন থেকে বিরক্ত করছেন ?? একে তো রিক্সা পাচ্ছি না তারউপর আপনি জালাচ্ছেন আবার ম্যাসেজ ওহ হ্যা আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন হ্যাঁ?? আমার উপর জাসুসি করছেন?? আমাকে কিডন্যাপ করবেন? আপনাকে তো আমি পুলিশে দিবো” হঠাৎ একটা আওয়াজ ভেসে উঠলো
– গাড়িতে এসে বসো। আমি বেত হতে পারবো না তাই বের হচ্ছি না
অরনিঃ কণ্ঠটা কোথাও একটা শুনেছি শুনেছি মনে হচ্ছে ????
অর্ণবঃ আপনার ভাবাভাবি শেষ হলে কি একটু আসবেন?
অরনিঃ (গাড়ির কাছে গিয়ে) একিইইইই আপনি!!! ??
অর্ণবঃ জি আমি,৷ এবার গাড়িতে বসো
অরনিঃ কেন?
অর্ণবঃ ?????
অরনিঃ ওকে ওকে বসছি ( উফ অরনি কবে যে তোর বুদ্ধি হবে কে জানে, না দেখে এতো কিছু বলে দিলি ? এখন তো দেখে মনে হচ্ছে অনেক খেপে গেছে, খেপারই কথা। এখন কি করি!!?? কোথা ঘুরাতে হবে) আচ্ছা আপনি এদিকে হঠাৎ
অর্ণবঃ তোমার জন্যই তো এসেছিলাম ? আর তুমি আমাকে কিডন্যাপার বানিয়ে দিলে
অরনিঃ আমি কি জানি এটা আপনি
অর্ণবঃ??
অরনিঃ ( অরনি খেপাচ্ছিস কেন ?? কথা ঘুরা) আচ্ছা ম্যাসেজটা আপনি দিয়েছিলেন? আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?
অর্ণবঃ কালকে রেডিওতে যখন কল দিয়েছিলে তখন
অরনিঃ ??? ( আমি তো ভুলেই গেছিলাম ?? শিট)
অর্ণবঃ (ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম লজ্জায় ওর গাল দুটো লাল হয়ে গেছে ? ওকে দেখেই আমার রাগ চলে গেলো। কিন্তু ও কেন লজ্জা পাচ্ছে,, লজ্জা তো আমার পাওয়া উচিত কালকের কথা গুলো বলার জন্য ??) কিছু বলো
অরনিঃ আপনি গাড়ি থেকে বের হননি কেন? তাই তো আমি বুঝতে পারিনি?
অর্ণবঃ আসলে ওখানে কয়েকটা মেয়ে ছিলো যারা আমার ফ্যান। আমি বের হলে ওরা আমাকে ঘিরে ধরতো, আরও অনেক কিছুই হতো ( ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে) আরে তোমার কি হলো?
অরনিঃ কিছু না,, কোচিং এ চলে এসেছি। ধন্যবাদ আজকের জন্য ( বলেই গাড়ি থেকে বের হয়ে চলে এলাম,, আসলে ওর কথা শুনে কালকের ঐ মেয়েটার কথা মনে পড়ে গেলো, তার উপর এই মেয়ে গুলা। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে)
অর্ণবঃ ???? হলোটা কি?? কালকেও রেগে কথা বললো। আবার আজকেও… আচ্ছা পরে জিজ্ঞেস করবো ( গাড়ি নিয়ে কলেজে এলাম)
________________
আরোহিঃ ( আনমনে হাটছি আর ভাবছি) পরশু কলেজ প্রোগ্রাম।। ভয় লাগছে.. আমি ঠিক করে পারফর্ম করতে পারবো তো? অহি আমার কাছে আসলেই তো আমার হার্ট বিট বেড়ে যায়,, তার উপর এতো ক্রাউড ?? হঠাৎ কারও সাথে ধাক্কা লাগলো) সরি
আহানঃ ( দেখলাম আরোহি আনমনে হাটছে। ওর সামনে এসে দাড়ালাম কিন্তু ওর কোনো খেয়াল নেই, তাক আমার সাথে ধাক্কা খেলো) কি ব্যাপার কি ভাবছো?
আরোহিঃ হু? না কিছু না
আহানঃ বলো
আরোহিঃ পরশুদিনের কথা।। আমি ঠিক মতো পারফর্ম করতে পারবো কি না টেনশন হচ্ছে
আহানঃ ধুর পাগলি টেনসন কোরো না। সব ঠিক হবে আর আমি আছি তো।
আরোহিঃ ওই টাই তো ভয়
আহানঃ কিহহহ ?
আরোহিঃ হায় আল্লাহ ভুল করে জোরে বলে ফেলেছি ?? না না না কিছু না
আহানঃ আমি থাকলে ভয় মানে? আমাকে তোমার ভয় লাগে?
আরোহিঃ না না মানে হ্যাঁ
আহানঃ কেন ভয় লাগে?
আরোহিঃ জানি না, কিন্তু ভয় লাগে। অন্যরকম ভয়
আহানঃ যেমন
আরোহিঃ নার্ভাস লাগে, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়
আহানঃ তাই ?
আরোহিঃ ??? আমি আসি
আহানঃ দাড়াও।। এই চকলেটটা তো নিয়ে যাও
আরোহিঃ ??? ( জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি)
আহানঃ না মানে তোমার পছন্দ তাই নিয়ে এসেছিলাম
আরোহিঃ (হেসে ওর হাত থেকে চকলেট টা নিলাম) থ্যাংক ইউ ( চলে আসলাম)
আহানঃ তার মানে তুমি এই অহি কে ভালোবেসে ফেলেছো ??? আর বেশি দেরি করবো না। তুমি জলদি তোমার আহানকে পেয়ে যাবে…
°
.
to be continued……. ?