#হারানো_হিয়া (পর্ব ১২)
১.
ময়মনসিংহের চরপাড়ায় সালতানাত রেস্টুরেন্টটা সন্ধ্যার পর বেশ আলোকোজ্জ্বল থাকে। একটু একটু করে ভীড় বাড়ছে। ভেতরের কোণের দিকে টেবিলে মাহিন বসে আছে। কৌতূহলী চোখে সামনে বসা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। বয়স কত হবে? বাইশ, তেইশ। নাম সুস্মিতা। এই পাত্রীর খোঁজ বিটুই নিয়ে এসেছে। ওদের কলেজ থেকে নাকি মাস্টার্স শেষ করছে। মেয়েটা দেখতে সুন্দরী মানে মানুষ সাদা চোখে যাকে সুন্দরী বলে তেমন। গায়ের রঙ উজ্জ্বল ফর্সা, টিকালো নাক, টানা টানা চোখ।
স্যুপ আসে সাথে চিকেন উইং। মাহিন মেয়েটাকে নিতে বলে নিজেও নেয়। ক্ষুধা পেয়েছে ভীষণ। আজ ওর চেম্বার বন্ধ। সাপ্তাহিক ছুটি। বাসায় বসে বিরক্তিকর সময় কাটানোর চেয়ে এটাই ভালো। তাতে করে চাচা চাচি অন্তত এইটুকু শান্তি তো পেতে পারে যে ও মেয়ে দেখছে। এখনও আমাদের সমাজে কেউ বিয়ে করবে না এটা মেনে নিতে পারে না। জোর করে হলেও মানুষটাকে একটা বিপদে ফেলে দেওয়া।
মাহিন খেতে খেতে বলে, ‘সুস্মিতা, আমার বয়স কত জানো?’
সুস্মিতা একটা চিকেন উইং চিবোচ্ছিল। ও তাচ্ছিল্যের গলায় বলে, ‘কত আর হবে, পঞ্চাশ, ষাট।’
মাহিন হাসে। বাহ, মেয়েটা তো বেশ মজার আছে। ও কৌতুকের গলায় বলে, ‘তাহলে তোমার মতো এত সুন্দরী একটা মেয়ে আমার মতো একজন বুড়োকে বিয়ে করবে কেন?’
সুস্মিতা এবার স্থির চোখে তাকায়, তারপর কাটা কাটা গলায় বলে, ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপার বলতে পারেন। আমি আমেরিকা যেতে চাই, আর আপনি সুন্দর একটা বউ চান। বিয়েটা হলে আমাদের দুজনের উদ্দেশ্য হাসিল হলো।’
মাহিন চোখ কুঁচকায়, তারপর বলে, ‘কিন্তু আমি যদি আর আমেরিকা ফিরে না যাই। আমি তো ভেবেছি এখানেই থেকে যাব।’
সুস্মিতা থমকে যায়। চোখেমুখে বিস্ময়, ‘আপনি এখানেই থেকে যাবেন! আমেরিকায় আর ফিরবেন না?’
মাহিন দুপাশে মাথা নাড়ে, ‘নাহ।’
সুস্মিতা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কিন্তু আমাকে যে বিটু বলল আপনি আমেরিকায় থাকেন। ওখানকার ডাক্তার। তাহলে এদেশে থাকবেন কেন?’
মাহিন স্যুপে চুমুক দিতে দিতে বলে, ‘জীবনে একটু নিজের মতো করে বাঁচতে চাই। সেজন্যই হয়তো ওই দেশে আর ফিরে যাওয়া হবে না।’
সুস্মিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, ‘সেক্ষেত্রে আপনার মতো একজন বুড়ো মানুষ দেখে বিয়ে করে ফেলুন। যে আপনার মতো জুবুথুবু হয়ে এই দেশেই থাকতে পছন্দ করবে। আমার আশা বাদ দিন।’
মেয়েটার চোখেমুখে এখন সত্যিকারের হতাশা। ও হয়তো আশা করেনি মাহিন এমন একটা কথা বলবে। এই মেয়েটার মাঝে নিজের তরুণ বয়সের ছায়া দেখতে পায় যখন ও শুধুমাত্র আমেরিকা যাবার জন্যই বিয়েটা করেছিল। আর সেটা যে কত বড়ো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
মাহিন হাসে, ‘তুমি খুব মূল্যবান একটা কথা বলেছ। আমার মতোই নেতিয়ে যাওয়া একটা মানুষ লাগবে। সুস্মিতা, তোমার এই মূল্যবান উপদেশের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা গিফট আছে।’
সুস্মিতা আগ্রহের গলায় বলে, ‘কী গিফট?’
মাহিন হাসিমুখে বলে, ‘আমি তো ডেন্টিস্ট। তোমার জন্য দাঁতের চিকিৎসা ফ্রি।’
সুস্মিতা ঝকঝকে দাঁত বের করে হাসে, ‘আমার দাঁতের কোনো সমস্যা নেই। তবে সমস্যা হলে আসব। তখন আবার আপনাকে বিয়ে না করার কারণে রাগ করে আবার আমার ভালো দাঁত তুলে ফেলে দিয়েন না।’
এই বয়সটা চঞ্চল, সুন্দর, বাধাহীন। সুস্মিতার ভেতর ও তেমনটাই দেখতে পায়। মাহিন হেসে বলে, ‘আচ্ছা, তোমারটা না হলেও তোমার হাসব্যান্ডের ভালো দাঁত তুলে প্রতিশোধ নেব।’
এবার সুস্মিতা প্রাণখোলা হাসে। তারপর বলে, ‘আপনি কিন্তু এখনও দারুণ দেখতে। ইশ, যদি আমেরিকায় যেতেন তাহলে আমি এখুনি আপনাকে বিয়ে করে ফেলতাম।’
মাহিন হাসে। এদেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের একটা দেশ আমেরিকা। ও-ও একদিন শুধুমাত্র আমেরিকা যাবার লোভেই নিজের ভালোবাসা অস্বীকার করেছিল। আজ বুঝি তার শাস্তি পাচ্ছে।
একটা সময় সুস্মিতা বিদায় নেয়। মাহিনের মন ভালো লাগছে আজ। বিকেলে আজ ঝুম বৃষ্টি হয়েছিল। ঠান্ডা একটা বাতাস বইছে। মাহিন একটা অটোরিকশা নিয়ে বাড়ির পথ ধরে।
বাড়ি ফিরতেই বিটু উৎসাহী গলায় বলে, ‘ভাইয়া, সুস্মিতাকে পছন্দ হয়েছে?’
মাহিন হেসে বলে, ‘খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু ওর আমাকে পছন্দ হয়নি।’
বিটু অবাক গলায় বলে, ‘কী বলেন ভাইয়া। আপনার মতো এমন হ্যান্ডসাম কেউ আছে নাকি?’
মাহিন হাসে। তারপর বলে, ‘শোন বিটু, আমি আমেরিকায় ফিরে যাব না। তোরা যাদের নিয়ে আসছিস তারা সবাই আমেরিকা যাবার লোভেই আমাকে বিয়ে করতে চায়। ওসব বাদ দে। বিয়ে করব না।’
এমন সময় ছোট চাচা আজিজুলের গলা পাওয়া যায়, ‘বিয়ে করবি না কেন? ভালো একটা মেয়ের খোঁজ পেয়েছি। এর আমেরিকা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’
বিটু উজ্জ্বল গলায় বলে, ‘আব্বা, বড় ভাইয়া যার কথা বলেছেন, সে? কী যেন নাম? মনে পড়েছে, ফারহানা ইয়াসমিন।’
আজিজুল মাথা নাড়ে, ‘মাহিন, তুই মেয়েটার সঙ্গে কথা বলে দেখ। বিটুর কাছে সব আছে।’
মাহিন অবাক হয়ে তাকাতেই বিটু এবার মোবাইল বের করে কী একটা মেসেজ করে। তারপর বলে, ‘ভাইয়া, মেয়েটার প্রোফাইল লিংক তোমাকে মেসেজ করে দিয়েছি। কথা বলে দেখো।’
মাহিনের চোয়াল ঝুলে যায়, অবাক গলায় বলে, ‘চেনা নেই, শোনা নেই একটা অপরিচিত মেয়েকে মেসেজ দেব? আজকাল এভাবেও পাত্রী দেখা হয় নাকি?’
ছোট চাচা এবার ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘এখন তো এমনই হয়। যেই যুগে যেমন। আমিও তো আমার নাতি নাতনির সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলি। তুই কথা বলে দেখ আগে কেমন লাগে।’
মাহিন হতাশভাবে মাথা নাড়ে। এরা ওকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে।
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে মাহিন যখন টিভির সামনে বসে তখন বাইরে আবার বৃষ্টি নেমেছে। সেই সাথে ঝোড়ো বাতাস। একটা শোঁশোঁ শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এমন রাতে মনটা কেমন করে ওঠে। কাছের মানুষকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে। কী মনে হতে মোবাইল হাতে নেয়। নাফিসাকে মেসেজ করতে গিয়েও থেমে যায়। সেদিন ওকে কঠিন একটা প্রশ্ন করেছিল। তার উত্তর আর দেয়নি। নাহ, থাক। ওকে বিব্রত করে লাভ নেই।
মোবাইলটা রেখে দিতে গিয়ে হঠাৎ বিটুর মেসেজটা চোখে পড়ে। সেই ফারহানা ইয়াসমিন নামের মেয়েটার ফেসবুক প্রোফাইল লিংক। কী মনে হতে প্রোফাইলে ক্লিক করে। সুন্দর একটা মুখ ভেসে ওঠে। অবশ্য ফেসবুক প্রোফাইলে সবাই সুন্দর ছবিই দেয়। বেশিরভাগই বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই। মাহিন এবার স্ক্রল করে নিচে নামে। খুব বেশি পোস্ট করেন না ইনি। নিজের ছবি কম। বাচ্চার ছবি, আর ছোট ছোট কবিতা। মেসেজ দেবে?
‘আমার নাম মাহিন, পেশায় ডেন্টিস্ট। আপনার প্রোফাইল লিংক পেয়েছি। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে চাই’, মেসজটা কয়েকবার করে কাটাকুটি করে লিখে। তারপর সাহস করে পাঠিয়ে দেয়।
কয়েকটা মিনিট কেটে যায়। ওপাশ থেকে মেসেজ দেখেনি এখনও। ডিলিট করে দেবে মেসেজটা?
এই যখন ভাবছে ঠিক তখন উত্তর আসে, ‘হ্যাঁ, আপনার কথা বলেছিল একজন আমাকে। বলুন কী জানতে চান?’
মাহিন টের পায় ও নার্ভাস অনুভব করছে। একটু ভেবে লিখে, ‘আমি আসলে আমেরিকায় থাকতাম। একটা মেয়ে আছে। প্রায় এক বছর হয়ে গেল আমাদের সেপারেশন হয়েছে। একটা কথা আগেই বলে নিতে চাই, আমি কিন্তু আমেরিকায় ফিরে যাব না। এদেশেই থাকব। অনেকেই আমার আমেরিকা থাকা শুনে বিয়েতে আগ্রহী হয়। তাই আপনাকে আগেভাগে জানিয়ে দিলাম।’
ওপাশ থেকে মেয়েটা দ্রুতই উত্তর দেয়, ‘আপনাকেও আমি আগেভাগে জানিয়ে দেই, আপনি যেসব মানুষের কথা বললেন আমি কিন্তু তেমন করে ভাবি না। আমার কাছে আগে মানুষটার মন গুরুত্বপূর্ণ। যদি মন মিলে যায় তাহলে আমি সেই মানুষের সঙ্গে বনেও থাকতে কুণ্ঠাবোধ করব না।’
মাহিন আধাশোয়া হয়ে হেলানো চেয়ারে বসেছিল। এবার সোজা হয়ে বসে। এই মেয়েটা তো একদম অন্যরকম। কথাবার্তাও মার্জিত।
মাহিন একটু ভেবে লিখে, ‘আমি একটা সময় অমন ছিলাম। মানে জাগতিক মোহে আমি মোহিত ছিলাম। বনে থাকার ভয়ে আমি মনকে অগ্রাহ্য করেছিলাম একসময়। কিন্তু অনেক দাম দিয়ে জীবন আমার সেই ভুল ভেঙেছে। হ্যাঁ, মন মিলে যাওয়াটাই আসল। আপনার সম্পর্কে জানতে চাই।’
ওপাশ থেকে ফারহানা লিখে, ‘আপনার মতো আমার বলার তেমন কিছু নেই। মফস্বলের একটা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স করা। তারপর বিয়ে, বাচ্চা। প্রায় এক বছর আগে হাসব্যান্ড একটা রোড এক্সিডেন্টে মারা গেল। তারপর একা। ছেলেই এখন সব। সবাই বিয়ের কথা বলছে, কিন্তু ভয় হয়। নতুন মানুষ যদি আমার ছেলেকে আপন করে না নিতে পারে? তাহলে যে আমি অনুতাপে মরে যাব। তার চেয়ে একাই থাকতে চাই।’
মাহিন আফসোস করে লিখে, ‘খুব দুঃখজনক। এভাবে এই সময়টাতে একা হয়ে যাওয়া৷ তবে ছেলের ব্যাপারে আপনার ভাবনাটা সঠিক আছে। যাকে বিয়ে করবেন সে যদি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই এর চেয়ে আফসোসের কিছু হয় না। আমিও এই কথাটা প্রায়ই ভাবি। আমার মেয়ে ন্যান্সিও যদি ওর নতুন বাবার কাছ থেকে কষ্ট পায়? এটা ভাবলেই বুকটা খালি হয়ে যায়।’
ফারহানা উত্তর দেয়, ‘আপনিও আমার মতো এমন ভাবেন? খুব ভালো লাগল জেনে।’
মাহিন এবার সাহস করে লিখে, ‘যদি কখনও ময়মনসিংহ আসা হয় তাহলে আমাকে জানাবেন। বর্ষায় ব্রম্মপুত্র এখন পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। নদীতে এখনও পাল তোলা নৌকা দেখা যায়। ছেলেকে নিয়ে বেড়িয়ে যেতে পারেন।’
ফারহানা লিখে, ‘বাহ! ভালো বলেছেন তো। পাত্র দেখতে পাত্রীই চলে যাবে। মাঝখান দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদটা দেখা হবে।’
মাহিন হাসির ইমোজি দিয়ে লিখে, ‘সবসময় একই রকম হবে কেন? এবার উল্টোটা হোক, পাত্রী চলে আসুক পাত্র দেখতে।’
ফারহানাও এবার হাসির ইমোজি দিয়ে লেখে, ‘আচ্ছা সেটা দেখা যাবে। আপনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগল। রাত হলো, ঘুমোতে যাই। ভালো থাকবেন।’
মাহিন ছোট্ট করে লিখে, ‘আপনিও ভালো থাকবেন, শুভরাত্রি।’
মাহিন এবার আবার ফারহানার ফেসবুক প্রোফাইল খোলে৷ প্রোফাইলে দেওয়া ছবিটা আরেকবার দেখে। কেন যেন মেয়েটাকে ভালো লাগছে।
পরদিন সন্ধ্যেবেলা ও যখন চেম্বার করছিল মেসেজ আসে। চেয়ে দেখেন নাফিসার মেসেজ, ‘কী করছ? রোগী দেখছ বুঝি?’
মাহিন সবে একটা রোগী দেখে শেষ করেছে। বাইরের এটেনডেন্টকে বলে, পাঁচ মিনিট পরে রোগী পাঠাতে।
মাহিন উত্তর দেয়, ‘হুম। তারপর তোমার খবর কী?’
নাফিসা মেসেজ দেয়, ‘আমার খবর ভালো। শোন, সামনের মাসে কদিনের জন্য ময়মনসিংহ আসব। তোমার চেম্বারের ঠিকানাটা দিয়ে রেখো। ফ্রি ফ্রি দাঁত দেখিয়ে যাব। বিনিময়ে দুটো পাত্রীর ছবি দেখাব। আমার পরিচিত এরা। দুটো মেয়েই ভালো। দেখতে পারো।’
মাহিন হাসির ইমোজি দিয়ে লিখে, ‘ওরে বাপরে। তুমিও এবার মেয়ের ছবি দেখাবে। শোনো, কাল একজনের সঙ্গে কথা হলো, কথা বলে ভালো লেগেছে। চাচা এই সম্বন্ধটা এনেছেন। ওনার বড়ো ছেলে এই মেয়ের খোঁজ এনেছে।’
ওপাশ থেকে নাফিসা আগ্রহ নিয়ে লিখে, ‘তাই! বাহ খুব ভালো তো। দেখি কোন সেই মেয়ে যার সঙ্গে কথা বলে এত ভালো লাগলো তোমার।’
মাহিন একটু ইতস্তত করে। তারপর কালকের সেই মেয়েটার ছবি ডাউনলোড করে পাঠিয়ে দেয়।
ওপাশ থেকে কিছুক্ষণ কোন উত্তর আসে না।
এরপর সরাসরি ফোন আসে, নাফিসার। উত্তেজিত গলায় বলে, ‘এই মেয়েকে তুমি কোথায় পেলে?’
মাহিন অবাক গলায় বলে, ‘কেন, কী হয়েছে? তুমি চেনো?’
নাফিসা বিষ গলায় বলে, ‘খুব ভালো করেই চিনি। কিন্তু এর নাম তো মীরা। আমার হাসব্যান্ড সুমনের প্রাক্তন প্রেমিকা। এখনো সুমনের পিছু পিছু ঘুরে। আর এই মেয়েটাকে তোমার ভালো লাগল?’
মাহিন স্তম্ভিত হয়ে যায়। ও বিস্মিত গলায় বলে, ‘কী বলছ এসব! কোথাও ভুল হচ্ছে না তো? তুমি জানলে কী করে এটা তোমার হাজব্যান্ডের প্রাক্তন প্রেমিকা?’
এবার নাফিসা পুরো ঘটনা খুলে বলে। মাহিন অবাক বিস্ময়ে শুনতে থাকে। এমনও কখনও হয়! এ যে রূপকথার মতো। যাকে ও ভালোবাসত তার হাসব্যান্ডের প্রাক্তন প্রেমিকা ফারহানা ইয়াসমিন যার ডাকনাম মীরা!
(চলবে)
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর