#হৃদয়_নিবাসে_তুই
#পর্ব_১৭
লেখনীতেঃভূমি
এক সপ্তাহ পেরিয়ে আরো দুই তিনদিন হলো।অদ্রিজা তবুও রক্তিমের বাসায় ফিরেনি।রক্তিম নামক মানুষটার আশপাশে তো থাকা দূর তার সামনাসামনি হওয়াটা ও যেন ভীষণ রকম অন্যায় কাজ তার জন্য।সেইদিনের পর রক্তিমের প্রতি জম্মেছে ঘৃণা, ক্ষোভ।যে ঘৃণা আর ক্ষোভে আত্নসম্মানের সেই অপমান স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠে।দৃষ্টি হয়ে উঠে ক্ষ্রিপ্ত।অদ্রিজা তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল।মাসটা ফেরুলে হয়তো সত্যিই রক্তিমের সাথে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না তার।তবুও কেন ঐ মানুষটাই?কেন ঐ মানুষটাকে নিয়েই রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা?ভাবনায় কেবল ঐ মানুষটাই কেন?নিজের মনকে নিজেরই বিরক্ত লাগছে তার।মনের ভেতর রক্তিমের উপস্থিতি বড্ড জঘন্য ঠেকছে। বিরক্ত নিয়ে কপাল কুচকাল সে।সকালের মৃদু ঠান্ডায় শরীরের উপর থাকা পাতলা কাঁথাটা সরিয়েই উঠে বসল সে।জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিতেই বদ্ধ ঘরে এসে ঠেকল এক পালি রোদ আসতেই বিরক্তিটা উবে গেল। আনমনেই হাসল সে।জানালাটা মেলে দিয়েই অগোছাল চুলগুলো দুইহাত দিয়ে খোঁপা করল।কিন্তু চুলগুলো মানল না।গোছাল হলো না।অবাধ্য তরুণীর মতো আবারও গড়িয়ে পড়ল মুখে চুখে।অদ্রিজা কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো।কিন্তু বিরক্তিটা বেশিক্ষন টিকল না।সামনে ফুটে উঠল অত্রিয়ার হাসিখুশি তুলতুলে ফুলকো মুখটা।হাতে চায়ের ট্রে। দুই কাপ লেবু চা।সেখান থেকেই এক কাপ অদ্রিজার দিকে এগিয়েই বলে উঠল,
‘ গুড মর্নিং আপু।বেশ লম্বা ঘুম দিলি তুই।’
অদ্রিজা মৃদু হাসল।চায়ের কাপটা হাতে নিয়েই চুমুক দিল।হালকা গরম লেবু চা টা মুখে নিয়েই মিষ্টি হাসল। বোনের দিকে তাকিয়েই মিষ্টি হেসে বলল,
‘ বাহ রে অত্রি!তুই তো বেশ ভালো চা বানাতে শিখে গেছিস।আগে কিন্তু পারতি না।’
অত্রিয়া খিলখিলিয়ে হাসল।দুই বেনুনি করা তরুণি মেয়েটির মুখে চাঞ্চল্যমাখা হাসিটা দেখেই মুগ্ধ হলো অদ্রিজা।বয়সে তার থেকে চার কি সাড়ে চার বছরের ছোট অত্রিয়া।রূপের দিক থেকে তার থেকেও অত্যাধিক রূপবতী এই মেয়েটা। দেখতে পিচ্চি পিচ্চি এই মেয়েটার ও বাবাকে মনে পরে।বাবার কথা মনে করে নিশ্চয় তার ও মন খারাপ হয়? কান্না পায়?যেমনটা অদ্রিজার হয়।অদ্রিজা আনমনেই বলল,
‘ আজ বাবা থাকলে তোর হাতের চা খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যেত অত্রি।’
অত্রিয়ার হাসিমুখটা মুহৃর্তেই যেন চুপসে গেল।ভাবলেশহীন চাহনি নিয়ে তাকাল অদ্রিজার দিকে।কয়েক সেকেন্ড সেভাবেই ফ্যালফ্যাল চাহনিতে তাকিয়ে রইল সে। বলল,
‘ আব্বুকে অনেক মনে পরে আপু।তোর মন খারাপ হয় আপু?আমার ভীষণ রকম মন খারাপ হয়। ভীষণ মিস করি আমি আব্বুকে।সেই দিনগুলোকে।’
অদ্রিজা তপ্তশ্বাস ফেলল।চায়ের কাপটা টেবিলের পাশে রেখেই কপালে আসা চুলগুলো কানে গুঁজল।মৃদু গলায় বলল,
‘ মন খারাপ করছিস কেন?আব্বু আছে কোথাও না কোথাও।দেখছে আমাদের। আমি জানি।’
অত্রিয়া বোকা বোকা চাহনিতে তাকিয়েই বাচ্চাদের মতো প্রশ্ন করল,
‘ সত্যিই?’
অদ্রিজা আনমনেই শুধাল,
‘ জানা নেই অত্রি।তবে আমি অনুভব করি।’
অত্রিয়া হালকা শ্বাস ফেলল।দুই এক মিনিট নিরবতার পরই অদ্রিজা প্রসঙ্গ বদলাতেই বলল,
‘ তোর শ্যামপুরুষ বোধ হয় আজ পরশু আমাদের বাসায় আসবে।তুই কি জানিস?’
অত্রিয়া কপাল কুঁচকে তাকাল।অদ্রিজার কথার অর্থ না বুঝেই ভ্রু কুঁচকে বলে উঠল,
‘ মানে?’
অদ্রিজা মুচকি হাসল।বলল,
‘ তোর ক্লাস নাইনে দেখা সেই ছেলেটা?সে।’
অত্রিয়া মিনমিনে চাহনি নিয়ে তাকাল।সঙ্গে সঙ্গেই আকাশভাঙ্গা লজ্জ্বায় নুঁইয়ে পড়ল তার মুখ।অদ্রিজা মৃদু হেসেই বলল,
‘ রাইমা আপুও আসবে। পরশু সবাই আসবে।সেই হিসেবে ঐ ভদ্রলোকের আসারও চান্স আছে বল।যেহেতু চাচুর পরিবারের বিশেষ আত্নীয় কেউ , আম্মু নিশ্চয় তাকেও ইনভাইট করবে।তবে আপসোস!আমরা দুই বোন আজও সে কে এটাই জানলাম না।মুখ ফুটে কোনদিন জিজ্ঞেসই করা হলো না চাচুকে। ‘
অত্রিয়া কপাল চাপডিয়ে বলল,
‘ হু হু!জিজ্ঞেস করবি কেমনে? নিজের বেলায় তো ঠিকই চাচুরে দিয়ে বিয়ে টিয়ে ঠিক করে বিয়ে করে ফেললি এক সপ্তাহের মধ্যে।আমার বেলায় আজ দুই বছরেও ঐ ছেলেটার পরিচয় এনে দিলি না।’
অদ্রিজা হেসে উঠল।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঘন্টার কাঁটাটা এগারোর ঘরে দেখে চকচক করে উঠল তার চোখজোড়া।এতক্ষন ঘুমিয়েছে সে?বিশ্বাস হলো না।অবিশ্বাসী চাহনি নিয়েই প্রশ্ন ছুড়ল,
‘ ঘড়ির সময় ঠিক?আমি এত বেলা করে ঘুম থেকে উঠলাম?আম্মু ডাকল না যে?’
অত্রিয়া আরাম করে হাসল।মুখে বেশ একটা হাসি নিয়েই বলল,
‘ অবশ্যই ঠিকাছে।তুই রাত জেগে জামাইয়ের কথা চিন্তা করলে সকাল সকাল উঠবি আর কি করে বল? কাল রাতে তো কি যেন বিড়বিড় করে বলছিলি, ” রক্তিম আপনাকে ঘৃণা করি।” আরো কি কি যেন বলছিলি।বুঝা যাচ্ছিল না।তোদের বিষয়টা কি বলতো আপু।সেদিন জিজুও তোর সাথে অনেক রুড ব্যবহার করেছে।তুই আমায় কারণটা বললি না আপু।’
অদ্রিজা চাপা হাসল।প্রসঙ্গ বদলাতে দ্রুত বলল,
‘ ধুরররর!কোন কারণ নেই।’
.
রেস্টুরেন্টের কর্নারে একটা টেবিলে চেয়ার টেনে বসে আছে রক্তিম।দিহানের সাথে দেখা করার জন্যই এত উদ্গ্রিব হয়ে বসে থাকা।দিহানকে যে সময় দেখা করতে বলেছে তারও আরও দশ মিনিট আগে এসে উপস্থিত হলো রক্তিম। আনমনে ভাবল, জীবনটা তার এমন কেন?কেমন ছন্নছাড়া!এই জীবনে কেউ একজন সঙ্গী হলে খারাপ নয়।জীবনসঙ্গীর প্রসঙ্গেই মনে পড়ল অদ্রিজা নামক রমণীটির কথা।যার তীব্র কষ্টেও সে গলেনি।যার হতবিহ্বল চাহনি, বিধ্বস্ত চাহনিতেও সে চোখতুলে তাকায়নি।বুঝার চেষ্টা করেনি সেই টানাটানা চোখের ভাষা,কষ্ট,যন্ত্রনা।সত্যিই কি অনেক বেশি ভালবাসে অদ্রিজা তাকে?সেই ভালোবাসাকে মেনে নিয়ে অদ্রিজাকে ভালোবাসা কি তার উচিত?মুহুর্তেই আবার তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল রক্তিম।ভালোবাসা শব্দটায় তীব্র ঘৃণায় ভরে উঠল মন।আর ভালোবাসার মানুষ? মানুষ বদলাতে আর কয় সেকেন্ড লাগে?তার বাবা মায়েরও তো বিয়েটা ভালোবেসেই হয়েছিল।পালিয়ে বিয়ে করেছিল।তবুও কি টিকেছিল তার বাবা মায়ের ভালোবাসাটা?না টেকেনি।অর্থ, প্রাচুর্যতার লোভে অন্য একজনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল তার মা।আর সেখানে অদ্রিজা?অদ্রিজা তো এমনিতেই টাকার জন্য করেছিল বিয়েটা।দ্বিতীয়বার যে তাকে তার মায়ের মতোই ঠকিয়ে চলে যাবে না কি এমন নিশ্চয়তা আছে? রক্তিম দীর্ঘশ্বাস ফেলল।রেস্টুরেন্টে চিকন, লম্বা, চেইক শার্ট পরিহিত দিহান নামক ছেলেটিকে প্রবেশ করতে দেখেই মুখে চমৎকার হাসি ফুটাল। চোখজোড়ার তীক্ষ্ণ চাহনি নিয়ে দিহানের দিকে তাকিয়ে থাকার মাঝেই সামনে এসে দাঁড়াল দিহান। মুখে মৃদু হাসি। সামনের চেয়ারটায় বসেই মৃদু কন্ঠে বলল,
‘ বলুন, কেন ডেকেছেন মিঃ রক্তিম।’
রক্তিম হাসল।বলল,
‘ এজ এ ব্রাদার একটা কাজ করতে পারবে দিহান?তুমি করেই বললাম বলে আবার মাইন্ড করো না।’
দিহান মাথা নাড়িয়েই বলল,
‘ না, মাইন্ড করব কেন। আর দ্বিতীয় কথা হলো, আপনি সেইদিন আমার অপারেশনে পুরো টাকাটা পে করেছেন। আজ এই যে আপনার সামনে বসে কথা বলছি এটার পেঁছনেও আপনার অবদান যথেষ্ট।আপনি যখন ভাই হিসেবে কিছু করতে বলছেন, অবশ্যই করার চেষ্টা করব। আপনার করা সাহায্যের ঋণ শোধ করা হয়তো যাবে না তবে আপনাকে হেল্প করতে পারলে সত্যিই খুশি হবো আমি।’
রক্তিম মুচকি হাসল ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ সত্যি বলছো তো?’
দিহান মৃদু হাসল।মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়েই বলল,
‘ অবশ্যই সত্যি বলছি।এবার বলুন কি করতে হবে।’
রক্তিম নিঃশব্দে হেসে বলল,
‘ অদ্রিজাকে ভালোবেসে আগলে রাখকে পারবে দিহান?ওর জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুঃখগুলো যাতে ওর অনুভূত না হয় ঠিক সেভাবেই ভালোবেসে সুখ দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারবে?ভালোবাসো তো অদ্রিজাকে। পারবে না?’
দিহান চমকে উঠল রক্তিমের কথা শুনে।হতবিহ্বল চাহনি নিয়ে রক্তিমের দিকে তাকিয়েই রইল।কি বলবে বোধগম্য হলো না।বলার মতো কিছু খুঁজে ও পেল না।রক্তিমের দিকে ভাবলেশহীন ভাবে সেভাবেই তাকিয়ে রইল সে।রক্তিমের মুখে অদ্ভুত হাসি।ভ্রু নাচিয়ে আবারও বলল রক্তিম,
‘ কি হলো?পারবে না?যাকে দুদিন আগ পর্যন্ত এতটা ভালোবাসতে, এবং ভালোবাসোও। দুদিনেই ভুলে গেলে তাকে দিহান?সে বিবাহিত জেনেই তার প্রতি ভালোবাসাটা নিভে গেল?’
দিহান কাঁটকাঁট চাহনিতে তাকিয়ে রইল।ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিয়েই প্রশ্ন ছুড়ল,
‘ মানে!কিসব বলছেন? আপনি জানেন কি বলছেন আপনি!’
রক্তিম নিঃশব্দে তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল।চোখে হাসির তেজ ফুটিয়ে বলল,
‘ কেন? অদ্ভুত লাগছে?অদ্ভুত লাগলেও কিছু করার নেই।বলো অদ্রিজাকে আগলে রাখবে?’
দিহান দৃঢ় গলায় বলে উঠল,
‘ না,তাকে আগলে রাখার মানুষ আছে এখন। আপনি আছেন তো রক্তিম মাহমুদ।’
‘ ধরো আমি নেই।আমি থাকলাম না।দুইদিন পর তুমি আর অদ্রিজার মাঝখানে আমি থাকলাম না।থাকব ও না। তবুও আপন করে নিবে না অদ্রিজাকে?’
দিহান চমকে গেল রক্তিমের ঠান্ডা গলায় বলা কথাগুলো শুনে।কিন্তু এবারও ঠিক ততটায় দৃঢ় গলায় উত্তর দিল,
‘ নাহ।আপনি অন্য কিছু করতে বললে আমি নির্দ্বিধায় করে ফেলতাম কাজটা মিস্টার মাহমুদ।কিন্তু এই কাজটা করতে পারব না।সম্ভব নয়।আর কিছু বলবেন? ‘
রক্তিম তাচ্ছিল্যমাখা হেসেই বলল,
‘ ভালোবাসা শেষ হয়ে গেল দিহান?প্রেমিকা এখন অন্য কারোর জেনেই ভালোবাসার অবসান ঘটে গেল?শুধু পেয়ে গেলেই যে ভালোবাসা কে বলল?না পাওয়ার মাঝে কি ভালোবাসা থাকতে পারে না দিহান?কেন ভালোবাসা কমে গেল অদ্রিজার প্রতি?তার শরীরে অন্য পুরুষের ছোঁয়া লেগেছে বলেই কি আবার আপন করতে পারবে না তাকে?এটাই কারণ? এটাই তোমার ভালোবাসা?হাস্যকর!’
দিহান চমকে গেল।রক্তিমের বলা কথাগুলো যেন ভেতরে দমবন্ধ এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করল মুহুর্তেই।সত্যিই কি অদ্রিজাকে এই কারণে সে আপন করতে পারবে না?চোখ বন্ধ করে নিল দিহান।লম্বা শ্বাস নিয়েই তপ্তশ্বাস ফেলে বলল,
‘ আমি দ্রিজাকে এখনও ভালোবাসি মিস্টার মাহমুদ।ওর প্রতি প্রথম থেকে যে অনুভূতিটা আমার ছিল সেই অনুভূতিটা আজও আছে।কিন্তু দ্রিজা?সে আমায় কোনদিন ভালোবাসে নি।সে এখন আপনার স্ত্রী দিহান। আমি তাকে আপন করতে পারব না।সম্ভব নয়।তার কারণটা আপনি যাই ধরুন।’
রক্তিম মুচকি হাসল। বলল,
‘ নিজের ভালোবাসার মানুষকে কষ্টে জ্বলেপুড়ে শেষ হতে দেখতে পারবে তুমি?কেন আগলে নেবে না তাকে?বললাম তো আমি থাকব না।তোমাদের মাঝখানে তৃতীয় কোন ব্যাক্তি থাকবে না দিহান।’
দিহান চুপ রইল।রক্তিম আবার ও বলল,
‘ তোমার ইচ্ছে অনিচ্ছাকে আমি মূল্য দিচ্ছি না দিহান।দিব ও না।রক্তিম সবসময় নিজেরটাই বুঝতে শিখেছে।তুমি না চাইলেও অদ্রিজাকে তোমায় আগলে নিতে হবে।অদ্রিজার পাশে থাকতে হবে।এবার নিজেকে প্রিপেয়ার করাটা তোমার ব্যাপার।বাট এটাই হবে।’
কথাটা শেষ করেই উঠে দাঁড়াল রক্তিম।ব্লেইজারের কলারটা ঝেড়ে নিয়েই মুচকি হাসল।পা বাড়িয়ে বেরিয়ে আসল সেখান থেকে।হৃদয় ভরা তপ্তশ্বাসে বিষিয়ে উঠল ভেতরটা। বুকটা ভারী হয়ে উঠছে ক্রমশ।আজ ড্রিংক না করলেই নয়।নিজের এই পাহাড় সমান বিষাদটাকে যে কমাতে হবে।নয়তো নিঃশ্বাস নেওয়া যে কঠিন হয়ে ঠেকছে তার জন্য।অদ্ভুত ভিন্ন যন্ত্রনায় ভেতরটা পিষে যাচ্ছে কালো অন্ধকারে।সেই অন্ধকার কালো হৃদয়ের কথা বোধ হয় আজও কেউ বুঝতে সক্ষম হয় নি।হবে না।
#চলবে….