অতঃপর গল্পটা তোমার পর্ব-০৪

0
206

#অতঃপর_গল্পটা_তোমার
সমুদ্রিত সুমি

আওয়াদ চলে যেতেই তোহফা ঝটপট দরজা লাগিয়ে আগে তার ফোন হাতে নিয়ে দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস টেনে নেয় বক্ষঃস্থলে। তাকে আর কষ্ট করতে হবে না ভেবেই শান্তির দম নেয়। হাত পা ঝেড়ে শুয়ে পরে বিছানায়। একটু আগে অস্বস্তি লাগলেও আওয়াদ চলে যেতেই কোথাও একটা খারাপ লাগছে। নিজেকে ছোটো মনের মানুষ মনে হচ্ছে। মানুষটা এতো কষ্ট করে ফোনটা দিতে এসেছে অথচ তোহফা কোনো কথাই বললো না তার সাথে। একটা ধন্যবাদ তো প্রাপ্য ছিলো অবশ্যই। হঠাৎ তোহফা কিছু একটা ভেবে শোয়া থেকে লাফিয়ে উঠে বসলো। লোকটা তার বাড়ির ঠিকানা পেলো কোথা থেকে? তার পরিবারই বা একজন অচেনা লোককে বাড়িতে আসার অনুমতি দিলো কীভাবে? কখনো তার কোনো ছেলে বন্ধু এই বাড়িতে আসতে পারেনি। তার মায়ের কড়া হুকুম, “বন্ধু আছে স্কুলে, কলেজে-বাসায় নয়। মেয়ে বন্ধুরা আসতে পারলেও ছেলে বন্ধু একদম না।” আর তার মায়ের না মানে সবাই একসাথে বলে না। কিন্তু আওয়াদকে কীভাবে বাড়িতে আসার অনুমতি দিলো, এটা ভেবেই তোহফার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে উপায় না পেয়ে দরজা খুলে ড্রইংরুমে ইলার কাছে যাওয়ার উদ্যোগ নিলো। ড্রইংরুমে পা রাখতেই তার চক্ষু চড়কগাছ। হায় আল্লাহ! এখানে দেখি চাঁদের মেলা বসেছে। তার দুই ভাই, তাদের স্ত্রী, বাবা-মা সাথে আওয়াদ ও তার মা বসে খোশগল্পে মেতেছে। তোহফাকে দেখে সেলিনা বেগম ইশারায় কাছে ডাকলেন। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও তোহফাকে এগিয়ে যেতে হলো। সেলিনা বেগমের পাশে বসতেই তিনি হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন,

“শুনলাম তুমি অসুস্থ, এখন কি অবস্থা? তখন ওভাবে চলে না এলেও পারতে।”

সেলিনা বেগমের কথা শুনে তোহফা শুকনো ঢোক গিলে। হায় আল্লাহ! এরা কি তার পরিবারকে সবটা বলে দিয়েছে। বলে থাকলে সর্বনাশ হবে। তার মা নির্ঘাত তাকে আজ পিটাবে। বলবে, “আজকাল নিজের বিয়ের পাত্র নিজেই ঠিক করছো নাকি? ” কেউ তাকে আজ বাঁচাতে পারবে না তার মায়ের পিটুনি থেকে। তোহফাকে অবাক করে দিয়ে তার বড় ভাই তৌসিফ বললো,

“আন্টি তোহফা ওভাবে চলে এসেছে বলেই তো আমি আমার এই ছোট্ট ভাইটার সাথে দেখা করা সুযোগ পেলাম। না হলে ভাবুন দীর্ঘ তিন বছর ধরে যাকে খুঁজে পেলাম না, সেখানে আমার বোনটা একদিনের মাঝেই ওকে খুঁজে দিলো। হোক সেটা অজান্তে, কিন্তু কারণ তো ওই।”

তৌসিফের কথায় সবাই হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালো। সবাই সায় দিলেও তোহফা কিছু বলতে পারলো না। আওয়াদ তার ভাইয়ের ছোট ভাই হলো কবে থেকে? কই সে তো জানে না। তবে নিজের কৌতূহল দমিয়ে রেখে চুপচাপ সেখানেই বসে রইলো। ইলা আর লিমা নাস্তা পরিবেশন করলো। খোশগল্প শেষ হতেই হাল্কা কিছু মুখে দিয়ে আওয়াদ তার মাকে চলে যাবার জন্য তাড়া দিলো। সেলিনা বেগম উঠে দাঁড়ালেন এবং জাহানারা বেগমের হাত ধরে বললেন,

“তাহলে ভাবি ওই কথাই রইলো কিন্তু। আমি কিন্তু বেশি দেরি করতে চাই না। যতো দ্রুত সম্ভব শুভ কাজটা সেরে ফেলতে চাই। আপনারা জানালেই আমরা আবার আসবো।”

জাহানারা বেগম খুশি হয়ে সেলিনা বেগমের হাতটা আরো শক্ত করে ধরে বললেন,

“ওমন ছেলে লাখে একটা মিলে। কাছে পেয়েও কীভাবে হাত ছাড়া করি বলুন, ভাবি। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ চাইলে আমরা খুব শীঘ্রই জানাবো।”

জাহানারা বেগমের দিক থেকে আশা নিয়েই চলে গেলেন আওয়াদ ও তার মা। ওদিকে সব কিছু তোহফার মাথার উপর থেকে গেলো। এই মূহুর্তে কিছু জিজ্ঞেস করলেও তাকে কেউ বলবে না, এটা সে জানে। তাই কোনো প্রশ্ন না করেই নিজের ঘরে চলে গিয়ে হিসাব কষাকষি করতে বসলো। এর মাঝখানে ফোনে মেসেজের টোনটা বেজে উঠলো। তোহফা পাত্তা দিলো না। সে আবারও নিজের হিসাবে মনোযোগ দিলো। দ্বিতীয়বার তাকে বিরক্ত করার জন্যই ফোন মেসেজের টোন আবারও বেজে উঠলো। তোহফা বিরক্ত নিয়েই বললো,

“এই অফিসওয়ালাদের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, অসময়ে শুধু মেসেজ দেয়। একদিন যে আমার কাছে ফোনটা ছিলো না সেই খবরও কি তারা পেয়ে গেছে নাকি? বিশ্বের এতো খবর নিয়ে তারা করবে কী?”

ফোনের লক খুলতেই চোখে বিঁধলো একটা অচেনা নাম্বার থেকে আসা মেসেজের। মেসেজটা ওপেন করতেই দুই লাইনের একটা মেসেজ দেখতে পেলো। যেখানে লেখা,

“বারণ করেছিলাম, তবুও বেণীতে ফুল বিহীন আমার সামনে এলে। এবার তো আমি জরিমানা করবোই করবো।”

প্রথম মেসেজটা পড়া শেষ হতেই তোহফার বুঝতে বাকি নেই, মেসেজটা কে দিয়েছে। সে দ্বিতীয় মেসেজটা ওপেন করলো। সেখানে ছোট্ট অক্ষরে লেখা,

“বারান্দায় এসো।”

ব্যাস, এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো তোহফার হার্টবিট বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বুকে হাত দিয়ে শাসনের সুরে হার্টবিটকে বললো,

“হুটহাট তোর এই রূপ পরিবর্তনে আমি যে বিপদে পরি সেটা কি তুই জানিস? তোকে যদি কখনো সামনে পাই বিশ্বাস কর, তোকে আমি কি করবো নিজেও জানি না। ওই লোকটাকে দেখলে তুই ওমন করিস কেনো? লোকটা কি তোকে খেয়ে ফেলবে নাকি? ”

আপন মনে বিরবির করে তোহফা গুটিগুটি পায়ে বারান্দার নিকট এগিয়ে গেলো। কালো রঙের পর্দার আড়াল থেকে নিচে দেখার চেষ্টা করলো। তবে ব্যর্থ হলো। নিচের কিছুই সে দেখতে পেলো না। কিঞ্চিৎ এগিয়ে দেখতে গেলেই আওয়াদের চোখে চোখ পড়ে গেলো। সাথেই তোহফা নিজেকে আড়াল করে নেয়। ওদিকে তোহফার এমন পাগলামিতে আওয়াদ হাসলো। মেয়েটা আসলেই একটা পাগল। কথা না বাড়িয়ে মেসেজ অপশনে গিয়ে আরো একটা মেসেজ লিখলো।

“শোনো মেয়ে, জরিমানা ধার্য করা হয়ে গেছে। লুকিয়ে আমায় না দেখে হার্টবিটকে সামলে রেখো। কারণ খুব শীঘ্রই তোমার কাছাকাছি এসে কাজল চোখের কোণে টুপ করেই কিছু একটা করে বসবো।”

মেসেজটা পাঠিয়ে আওয়াদ চলে গেলো। ওদিকে মেসেজ পড়েই তোহফার মনে ঝড় শুরু হলো। লোকটা কি বললো এসব, হায় আল্লাহ। কয়েক সেকেন্ড পরই দ্রুত গতিতে ইলার ঘরে চলে গেলো। তার সকল প্রশ্নের উত্তর একমাত্র ইলা-ই দিতে পারবে। হাতের কাজগুলো শেষ করে ইলা সবেমাত্র বসেছে, এরমধ্যেই তোহফা তার ঘরে প্রবেশ করলো। তোহফাকে দেখে ইলা হাসিমুখেই বললো,

“তোমার ভাইয়া আজ তোমার উপর কি পরিমাণে খুশি হয়েছে, তা হয়তো তুমি জানো না তোহফা। যে লোকটার জন্য সেদিন তোমার ভাইয়া প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলো সেই লোকটা অন্য কেউ না, আওয়াদ নামের ওই ছেলেটা। জানো তোহফা, সেদিন লোকের হাত থেকে তোমার ভাইয়াকে বাঁচানোর জন্য আওয়াদও মার খেয়েছিলো। যেটা তোমার ভাইয়া আজ বললো। সেই ভয়ানক ঘটনার কথা আমাদের সবারই মনে আছে।”

ইলার কথা বুঝতে না পেরে তোহফা প্রশ্ন করলো,

“বুঝলাম না ভাবি আবার বলো।”

ইলা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপর বলতে শুরু করলো,

“তোমার মনে নেই, তোমার ভাইয়া তার এক ফ্রেন্ডের গাড়ি করে বাসায় ফিরছিলো অফিস থেকে । তার বন্ধুটা যে ড্রাংক হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো, এটা তোমার ভাইয়া জানতো না। লোকটা ঐ অবস্থায় এক্সিডেন্ট করে বসে। একজন মানুষের গায়ের উপর থেকে গাড়ি উঠিয়ে দিতেই লোকটা স্পটে মারা যায়। তোমার ভাইয়ার বন্ধু শয়তান ছিলো, সে নিজেকে বাঁচিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে তোমার ভাইয়া ওই লোকটাকে সাহায্য করতে চায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে বের হতেই সবাই ওকে গণধোলাই দিতে থাকে। ইসস, কি মর্মান্তিক ঘটনা ছিলো! আজও মনে পরলে আমার শরীর শিউরে ওঠে। সেদিন তোমার ভাইয়া ওই লোকটার কাছে পৌঁছানোর আগেই জনগণের ক্ষোভের মাঝে পড়ে মার খায়। সেদিন আওয়াদ ও তার একজন বন্ধুই তোমার ভাইয়াকে সেভ করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলো। পরে তো আমাদের খবর দিলে আমরা হাসপাতালে যাই। তবে আওয়াদকে আমরা পাই না। তুমিই বলো চোখের দেখা একটা মানুষকে এতো বড়ো শহরে কীভাবে খুঁজতো তোমার ভাই। দীর্ঘ তিন বছর ধরে আওয়াদকে খুঁজেছে শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার জন্য, তবে পায়নি। কাল তুমি অসুস্থ হবার পর উনি আবারও আমায় কল করেছিলো ফোনটা ফেরত দেবার জন্য। আমার থেকে ঠিকানা নিয়ে আজ সকালেই চলে আসে। তবে যখন তোমার ভাইয়া ছেলেটাকে দেখে এক পলকেই চিনে ফেলে। প্রাণ বাঁচিয়েছিলো বলে কথা কিনা। আমিও খুব খুশি তোমার উপর তোহফা। আজ তোমার জন্য তোমার ভাইয়া কিছুটা ঋণ মুক্ত হয়েছে। লোকটার মা তার ছেলের জন্য তোমার হাত চেয়ে বসে। বাবা-মা, তোমার ভাইয়ারা, লিমা আমি সবাই রাজি হয়েছি। তবে বাবা তখন কথা দেয়নি শুধুমাত্র তোমার অনুমতির জন্য। হয়তো মা রাতে কথা বলেই তাদের জানিয়ে দিবে। এমন একটা বড়ো হৃদয়ের ছেলে যদি মেয়ে জামাই হয় কার না ভালো লাগবে বলো। আমি আওয়াদ ভাইয়ার কাছে কৃতজ্ঞ সেদিন তিনি না থাকলে হয়তো আজ আমার শরীরে বিধবার তকমা লেগে যেতো।”

ইলা চোখের জল মুছলো। ইলাকে কাঁদতে দেখে তোহফা তাকে জড়িয়ে নেয়। মনে মনে ভাবে,

“এই লোকটা সেদিন ফেরেশতা হয়ে তার ভাইয়াকে বাঁচিয়েছিলো। স্পষ্ট মনে আছে সেদিনের কথা। তার ভাইয়ের শরীরের কালো কালো মারের দাগগুলি আজও মনে পরলে তোহফা ভয়ে শিউরে ওঠে, হারিয়ে ফেলার তীব্র ভয় মনে চেপে বসে । সেদিন কে বাঁচিয়েছিলো তার ভাইকে এটা নিয়ে তোহফাও খুব টেনশনে ছিলো। আল্লাহর কাছে দোয়া করতো লোকটাকে যেনো পাইয়ে দেয়। অন্তত তাকে দেখার জন্য হলেও। মানুষটা আওয়াদ নামের ছেলেটাই এটা তোহফার কাছে কল্পনা।”

“লোকটা সুন্দর, সুন্দর তার মন। এই মনের রানী হলে থাকবো সুখে আজীবন।”

সময়টা তিমির রাত। গগন আজ চাঁদের সিগ্ধ আলোয় আলোকিত হয়েছে। চাঁদের চারিপাশ ঘিরে বসেছে তারার মেলা। নিস্তব্ধতায় মোড়ানো পুরো পৃথিবী। সময় ঘড়িতে রাত এগারোটা। তোহফা খোলা চুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে গুনগুন করে গাইছে।

“অবাক চাঁদের আলোয় দেখো ভেসে যায় আমাদের পৃথিবী। আড়াল হতে দেখেছি তোমায় নিষ্পাপ মুখখানি। ডুবেছি আমি তোমার চোখের অন্তত মায়ায়, বুঝিনি কভু সেই মায়াতো আমার তরে নয়।”

হঠাৎ এমন গান কেনো গাইলো সে জানে না, তবে মন চাইলো তাই গেয়ে ফেললো। তোহফার দরজায় কেউ কড়া নাড়তেই সে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য বারান্দা থেকে চলে গেলো। আজও তোহফা খেয়াল করলো না একজোড়া হায়নার চোখ তাঁকে পরখ করছে বাজে ভাবে। লোকটা শিট্ বলে চলে গেলো। তোহফা দরজা খুলে দিতেই দেখলো তার বাবা এবং মা দাঁড়িয়ে আছে। সে জানে তারা কেনো এসেছে। তবুও না জানার ভাব রেখে বললো,

“কিছু বলবে তোমরা?”

জাহানারা বেগম হাসলেন। ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললেন,

“ঔষধ খেয়েছো?”

তোহফা জবাব দিলো, “হুম।”

তোহফাকে কাছে বসিয়ে কোনো ভনিতা না করেই তার বাবা জিজ্ঞেস করলেন,

“তুমি কাউকে পছন্দ করো মা?”

তোহফা চমকে তাকায় তার বাবার মুখোপানে। সে তার বাবার সাথে সব বিষয় নিয়ে ফ্রী, তবে কখনোই তার বাবা এমন কোনো প্রশ্ন তাকে করেনি বলেই হয়তো একটু চমকালো। নিজেকে সামলে উত্তর দিলো,

” না।”

তোহফার থেকে এমন উত্তরের আশাই স্বামী-স্ত্রী করেছিলেন। তবুও একটা ভয় ছিলো আজকালকার ভার্চ্যুয়াল জগতের সাথে যে মেয়ে পরিচিত। তবে মেয়ের না তাদের মনে স্বস্তি দিলো। জাহানারা বেগম তোহফার হাত জড়িয়ে বললেন,

“মেয়ে বড়ো হলে তাকে বিয়ে দিতে হয় এটা তো তুমি জানো। একটা ভালো ছেলে পেয়েছি। তুমি যদি হ্যাঁ বলো তাহলে আমরাও তাদের হ্যাঁ বলবো।”

তোহফা মায়ের কথায় শুধু পলকহীন তাকিয়ে রইলো তার আদলে। কিছুক্ষণ নিজের মাঝে কিছু কথা গুছিয়ে নিয়ে বলতে রইলো,

“ছোটবেলা থেকে আমি তোমাদের থেকে যা পেয়েছি তা সব আমার জন্য বেস্ট ছিলো। ইনশাআল্লাহ সামনে যা দিবে সেগুলোও বেস্টই হবে। আমার কোনো সমস্যা নেই, তোমরা যা ভালো বুঝবে সেটাই করো। আর সত্যি বলতে যে মানুষটা একজন অচেনা মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে বিপদে ফেলতেও দু’মিনিট ভাবেনি, ইনশাআল্লাহ আমি তার কাছে ভালোই থাকবো।”

তোহফার কথায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই একসাথে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠলো। জাহানারা বেগম মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে চলে গেলেন। ওই রাতেই আওয়াদের মা’কে ফোন করে জানিয়ে দিলেন তারা রাজি। আওয়াদের মা কিছুক্ষণ ভাবলেন তারা কি বিষয়ে রাজি। পরে আওয়াদ তাকে সবটা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই তার মনে পরলো। সেলিনা বেগম সাথে সাথেই জাহানারা বেগমকে জানালেন,

“মেয়ে কিন্তু আজ থেকে আমারও, তাই তার সব দায়িত্ব আপনাদের সাথে সাথেই আজ থেকে আমারও। ”

সেলিনা বেগমের কথায় জাহানারা বেগম খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন। এমন একটা পরিবারে মেয়ে বিয়ে দিতে পারবে ভেবেই আলহামদুলিল্লাহ বললেন। আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করতে ভুললেন না।

ইন শা আল্লাহ চলবে……