#অতঃপর_গল্পটা_তোমার
সমুদ্রিত সুমি
১৯
পাশ ঘেসেই কিছু কুকুর দৌড়ে চলে গেলো ঘেউঘেউ করতে করতেই। ক্লান্ত শরীর যেন আর চলছে না। আজকে যেন এই রাতের অন্ধকারটা একটু বেশিই কালো। কিঞ্চিৎ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের আবছায়া ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অন্ধকার পেরিয়ে যখন রাস্তার সোডিয়ামের আলোর মাঝে চারজন পুরুষ পা দিলো তখন দেখা গেলো চারজনের মুখ ঠিক কতটা করুন। রাত তখন আনুমানিক কত! পৌঁনে একটা হবে হয়তো। সারাদিন থানা থেকে শুরু করে পরিচিত অপরিচিত সকল জায়গায় খুঁজে যখন তোহফার চিহ্নটুকু তারা পেলো না তখন যেন শরীরের সাথে সাথেই হৃদয়টা ভেঙে গুড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে। সকলেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে কলিং বেল চাপ দিতেই সাথে সাথেই ইলা দরজা খুলে দিলো। যেন সে দরজার হাতল ধরেই দাঁড়িয়ে ছিলো এতোক্ষণ। স্বামী সাথে একে একে সকলকে ঘরে ঢুকতে দেখলেও যখন আদরের ননদকে ঢুকতে দেখলো না তখন বুকটা ভারি হয়ে এলো। কোনো কথা না বলেই তারা সোফায় গিয়ে বসলো। তাদের ভেতরে যে কি ঝড় উঠেছে তা যেন তারা কেউ কাউকে দেখাতে সক্ষম নয়। ইলা এগিয়ে তৌসিফকে বলল,
“তোহফা….
তৌসিফের চোখ দুটো রক্ত জমে আছে যেন। ছলছল করছে সেই চোখের কোণে পানি। যেন একটু ছোঁয়া পেতেই তা গড়িয়ে পরবে। কষ্টে তার মুখ থেকে কোনো আওয়াজ বের হলো না। শুধু সে মাথা নাড়িয়ে বলল, পায়নি। আরিফুল ইসলাম বলল,
“তোমার শাশুড়ী? ”
লিমা এগিয়ে বলল,
“চার-পাঁচবার জ্ঞান হারিয়েছে বাবা। ঘন্টা খানেক আগেও। এখন জোর করে একটু শুয়ে রেখেছি……
“কলিং বেল বাজলো, আমার মেয়ে, আমার মেয়ে কি ফিরেছে। ওরা কি আমার মেয়েকে নিয়ে ফিরেছে?”
লিমার কথা শেষ হবার আগেই ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন জাহানারা বেগম। শাশুড়ীকে এগিয়ে আসতে দেখে ইলা দৌড়ে শাশুড়ীকে জাপ্টে ধরে,
“তোহফা ফিরেছে তাই না ইলা? কোথায় ও আজ ওকে বকবো না। ওকে বলো শুধু আমাকে আম্মু বলে ডাকতে। সত্যি বলছি একবারের জন্যও বকবো না। কই ও কাছে আসতে বলো না।”
শাশুড়ীকে শান্তনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ ইলার জানা নেই। সে নীরবে শুধু চোখের জল ফেলে গেলো। তাদের শক্ত মনের শাশুড়ীও যে এভাবে কাঁদতে পারে এটা যেন তারা কোনোদিন জানতোই না। অন্যদিকে স্ত্রীকে পাগলামি করতে দেখে আরিফুল ইসলাম এগিয়ে এলেন। স্বামীকে দেখে জাহানারা বেগমের পাগলামি আরো বেড়ে যায়।
“আমার মেয়েকে এনেছো। কোথায় আমার মেয়ে? কোথায় ও। এই কথা বলছো না কেন? কোথায় আমার মেয়ে? আমি তোমাদের কাউকে ছাড়বো না আমার মেয়েকে না এনে দিলে। এনে দাও আমার মেয়েকে। আরে কথা বলছো না কেন? কথা বলো। তোমরা আমার মেয়েকে এনে দাও। আমি তোমার পায়ে পরছি আমার মেয়েকে এনে দাও। ”
কথাগুলো বলতে বলতেই স্বামীর পায়ের কাছে আবারও জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পরে। সকলে ব্যস্ত হয়ে পরে জাহানারা বেগমের জ্ঞান ফেরানোর জন্য। তবে আওয়াদ নিশ্চুপ। সে যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তার গোপন ভয়টা যে এভাবে ফলে যাবে এটা যেন সে ভাবতেই পারছে না। তার চিন্তাশক্তি যেন লোপ পেয়েছে। সব কিছু যেন ধোঁয়াশা। থানায় যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা চব্বিশ ঘন্টা না গেলে কোনো স্টেপ নিতে পারবে না। নিজের উপর এখন নিজের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। কেন সে ভয় পেয়েও চুপচাপ তোহফাকে একা রেখে চলে গেলো? কেন? কেন? কিন্তু মন মতো উত্তর যে আজ নেই। অজানা ভয়, অস্বস্তি, কষ্ট নিয়ে এভাবেই গোটা রাত পার করলো পুরো পরিবার। দূর হতে ভেসে আসছে মুয়াজ্জিনের সুমধুর সুর। আওয়াদের বুকটা ধক করে উঠলো। এই তো গতকাল এই সময়ে তোহফা তার হাতের বাঁধনে আঁটকে ছিলো অথচ আজ ও নেই। কোথাও নেই। আওয়াদ ভাবতে পারছে না। মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়। চারজন পুরুষের চোখ থেকে যেন রক্ত পরছে। তারা কিছুতেই নিজেদের সামলাতে পারছে না। উপর থেকে নিজেদের যতটা সামলে রাখছে ভেতর থেকে তারা ঠিক ততটাই ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সময় যতো এগোচ্ছে ভয় যেন তখন ডানা মেলে উড়তে চাইছে। এভাবে কেটে যায় আরো ঘন্টা কয়েক। সকলে আবারও চোখেমুখে পানি দিয়ে বেরিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তখনই আচমকা কলিং বেল বেজে ওঠে। বুকটা ধক করে ওঠে সকলের। তৌহিদ দৌড়ে দরজা খুলে দিতেই কিছু অপরিচিত পুরুষকে দেখে অবাক হয়। সকলেই পুলিশের ইউনির্ফম পরা। চোখেমুখে ক্লান্তি লেপ্টে আছে। তৌহিদকে দেখে একজন গম্ভীর মুখের লোক এগিয়ে বলে,
“এটা তোহফার বাড়ি?”
অচেনা মানুষের মুখে তোহফার নাম শুনে ভেতর থেকে সকলেই ছুটে আসে। গম্ভীর মুখের এই লোকটার নাম রাব্বি হোসেন। তিনি দরজার ওপাশের সকলের চেহারায় চোখ বুলিয়ে বললেন,
“অনেক ক্লান্ত। রাতে একটা অপারেশন শেষ করে প্রায় দুই ঘন্টার জার্নি করে এতদূর আসা। প্লিজ হেল্প করুন। ”
তৌসিফ বিচক্ষণ মানুষ। কিছু একটা ভেবেই ইশারা করলো ভেতরে আসতে। সকলে ভেতরে প্রবেশ করতেই শাশুড়ীর ঘর থেকে লিমা ও ইলাও এলো। সকলের দিকে রাব্বি হোসেন চোখ বুলিয়ে বলল,
“ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথার বলার সময় বোধহয় এখন নেই। তাই সরাসরি আসল কথায় এগোই। আপনাদের পরিচয়টা যদি দিতেন আমাদের ভালো লাগত! আসলে কথা বলতে সুবিধা হতো এই আর কি? আর আমরা কে এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তবুও পরিচয় করিয়ে দেই, আমি লক্ষীপুর থানার ওসি রাব্বি হোসেন। কনস্টেবল শেখর, মামুন ও কুসুম। আপনাদের চেহারা দেখে আমরাও বুঝে গেছি আপনারা তোহফা নামের মেয়েটার পরিবার। এখন আপনারা কে কি হন এটা বলবেন প্লিজ। রাগ করবেন না ঘটা করে পরিচয় নিচ্ছি বলে। দরকারের জন্যই নেওয়া। ”
আরিফুল ইসলাম এগিয়ে বললেন,
“আপনারা তোহফার কোনো খোঁজ পেয়েছেন?”
রাব্বি হোসেন কিছুটা হাসলেন। যদিওবা জোর পুর্বোক তবুও একটু হাসলেন। বললেন,
“আমি আপনাদের মেয়ের খোঁজ দিতেই এসেছে। প্লিজ একটু সাহায্য করুন।”
আরিফুল ইসলাম বুঝলেন এরা সত্যিই তার মেয়ের খবর জানেন। তাই নিজে থেকেই পরিচয় দিতে শুরু করলেন,
“আমি তোহফার বাবা আরিফুল ইসলাম, ও আমার বড় ছেলে তৌসিফ, ছোট ছেলে তৌহিদ, তোহফার হাসবেন্ড আওয়াদ, আমার বড় বউমা ইলা ছোট বউমা লিমা। আমার স্ত্রী ঘরে। বুঝতেই পারছেন মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না তার অবস্থা ঠিক কি?”
রাব্বি হোসেন মাথা নাড়ালো। বলল,
“সবাই চুপচাপ এখানে বসুন আমি এখন এমন কিছু বলবো যা শোনার জন্য আপনারা প্রস্তুত নন তাই প্লিজ বসুন।”
আওয়াদ খুব ধীরকন্ঠে বলল,
“ও বেঁচে আছে তো অফিসার?”
রাব্বি হোসেন মাথা চুলকে বলল,
“কেন মরে যাবার কথা ছিলো নাকি?”
আঁতকে উঠলো সকলেই। আওয়াদ ভুল করে মুখ ফস্কে কথা বললেও অফিসার তার কথাটা বেস সিরিয়াসলি নিলেন। তৌসিফ এইবার একটু উঁচু স্বরে বলল,
“আমাদের প্রাণ ভোমরাকে নিয়ে এভাবে হেয়ালি করছেন আপনি?”
রাব্বি হাসতে হাসতেই বলল,
“আপনাদের সেই প্রাণ ভোমরার গলা টিপে ধরেছে আপনাদেরই অন্য এক ভোমরা। হয়তো সে আপনাদের প্রাণ ভোমরা নয় তবে আপনাদের পরিবারের সদস্য। ”
অফিসারের হেয়ালি কথায় রেগে যায় তৌহিদ। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে বলে,
“সকাল সকাল এখানে মজা করতে এসেছেন আপনি? আমরা কেউ মজার মুডে নেই। গতকাল থেকে আমাদের বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর আপনি কিনা…..
“আরে রিলাক্স মিস্টার তৌহিদ। গোটা রাত খুনি ধরতে ব্যয় করেছি। তারপর হসপিটাল এখন আবার আপনাদের বাড়ি এসেছি। তাই আমি মোটেও মজার মুডে নেই। আসলে আপনাদের প্রাণ ভোমরাকে আপনাদেরই কেউ খুন করার চেষ্টা করেছে এটা আপনারা জানেন না দেখে অবাক হচ্ছি।”
“প্লিজ আপনি খুলে বলুন আমার তোহফার কি হয়েছে। আমরা ধৈর্য ধরে রাখতে পারছি না।”
আওয়াদের কথায় রাব্বি মাথা এদিক ওদিক দোলায়। কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলে,
“আমার কথার মধ্যেখানে কেউ কোনো শব্দ করবেন না! যদি করেন আমি কথা সম্পুর্ন না করে উঠে চলে যাবো। এমন কি আপনার মেয়ের খবরও আমি দিবো না। এখানে আমরা শুধু আপনার মেয়ের খবর নয় একজন ঠান্ডা মস্তিষ্কের খুনিকেও ধরতে এসেছি তাই বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা ঠিক কতটা সিরিয়াস।”
রাব্বি হোসেনের কথায় সকলেই সায় দেয়। রাব্বি কিছু কথা গুছিয়ে এরপর বলতে শুরু করে,
“গত আটমাস ধরে আমরা লক্ষীপুরের আশেপাশে কিছু মেয়েদের লাশ পেতে থাকি। অদ্ভুত ভাবে সব মেয়েকে একি রকম ভাবে খুন করা হয়েছে। প্রথমে তার দুর্বলতা নিয়ে তাকে কষ্ট দেওয়া, তারপর তাকে রেপ করা এবং তার হাত-পা ছিন্নভিন্ন করে কেটে ফেলা। সাথে মুখে অসংখ্য খুঁড়ের পোঁচ তো আছেই । সবশেষে তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা। এদের খুনি যে একজন’ই এটা আমরা সব লাশের পোস্টম্যান রিপোর্ট দেখে বুঝে ফেলি। তদন্ত করা শেষে জানতে পারি ছেলেটা একটা সাইকো। যে মেয়েকে ওর ভালো লাগে তার সাথে ঠিক ও এমনই করে। নতুন করে বর্ণনা দিলাম না। সতেরো তারিখ অর্থাৎ গত পরশু আমরা খবর পাই এই সাইকো খুনিটা এই এলাকায় কাউকে খুন করার কন্টাক্ট নেয়। যাকে খুন করার কন্টাক্ট পায় সে অন্য কেউ না আপনাদের মেয়ে তোহফা।”
“আমার বোন কার কি ক্ষতি করেছে?”
“আহ মিস্টার তৌসিফ কথা বলতে নিষেধ করেছি। আপনার বোন কারো কোনো ক্ষতি না করলেও আপনি কারো ক্ষতি করেছেন। ”
তৌসিফ কিছু বলতে চাইছিলো রাব্বি হোসেন হাত ইশারা করে থামিয়ে দেয়। ফের তিনি আবারও বলতে শুরু করে,
“সে তোহফাকে নয় আপনাদের সকলের উপর নজর রাখতো। মিস্টার আওয়াদ আপনার এক্সিডেন্টও সে করেছে, তৌসিফ আপনাকেও সে ভয় দেখিয়েছে৷ এরপরের ঘটনা বলি, আমরা গোপনে জানতে পারি গতকাল ও নিজের আস্তানায় যাবে। আমরা সেই মোতাবেক নিজেদের অপারেশন সাজিয়ে ফেলি। আমরা ভেবেছি ও ওর আস্তানায় গেলেও রাতে যাবে। আর এখানেই আমরা ভুলটা করে ফেলি। সেদিন যে বিকাল নাগাত আপনাদের মেয়েকে ও তুলে নিয়ে যাবে এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। অবশ্য আমরা নিজেরাও জানতাম না ও যাকে খুন করবে বলে এখানে এসেছে সে একজন মেয়ে। যেহেতু কারো থেকে কন্টাক্ট নিয়েছে আমরা ভেবেছি কোনো পুরুষ হবে হয়তো৷ তাই আমরা আপনাদের এলাকার বড় বড় বিজনেসম্যানের খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু তেমন সাড়া না পেয়ে সরাসরি আমরা ওর আস্তনা ঘেরাও করবে বলেই সিদ্ধান্ত নেই। গতকাল আনুমানিক রাত বারোটার দিকে আমরা যখন ওর আস্তানায় পৌঁছাই তখন দেখি…..
রাব্বি হোসেন থামলেন৷ জোরে জোরে কয়েকটি নিঃশ্বাস নিলেন। গলা খাঁকারি দিয়ে গলাটা পরিষ্কার করে আবারও বলতে শুরু করলেন,
“গিয়ে দেখি খুনিটা নৃশংসভাবে তোহফার শরীরকে আঘাত করছে। আমরা পৌঁছানো আগেই তোহফার সাথে যা অন্যায় এবং অত্যাচার হওয়ার ছিলো তা হয়ে গেছে। হয়তো প্রাণটুকু ওর দেহে ছিলো যেটুকু নেওয়ার পরিকল্পনা হয়তো ওই খুনিটার ছিলো তবে তার আগেই আমরা যেতে সেটুকু কমপ্লিট করতে পারেনি। প্রথমে তোহফাকে রক্ত দেখিয়ে বারবার অজ্ঞান করে দুর্বল করে ফেলে। মিস্টার আওয়াদ আপনার স্ত্রীকে টানা চারঘন্টা রেপ করা হয়েছে। এরপর…..
“দয়া করে চুপ করুন অফিসার চুপ করুন। আমার তোহফা কোথায় এবার সেটা বলুন। আর কিছু শুনতে পারছি না আমরা। প্লিজ আপনি চুপ করুন।”
সবাই ডুকরে কেঁদে ওঠে। চারজন অফিসার সবাইকে এভাবে কাঁদতে দেখে নিজেদেরকে অসহায় মনে করে। একটা মেয়ের জন্য চারজন পুরুষ কীভাবে কাঁদছে এটা দেখে তারা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে যায়৷ তবুও তারা ভেতরে ভেঙে গেলেও উপরে শক্ত হয়েই থাকলো। কারণ কাজের জায়গায় কোনো ইমোশনাল শব্দ নেই। রাব্বি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“ঘটনা আরো আছে। তোহফার অত্যাচের ঘটনাটুকু স্কিপ করছি। আমরা তৎক্ষনাৎ তোহফাকে উদ্ধার করি। ও তখনো সেন্সে ছিলো। শুধুমাত্র দুটো শব্দ উচ্চারণ করেছে৷ এক আপনাদের বাড়ির ঠিকানা এবং দুই! আওয়াদ আপনাকে মানে আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এই শব্দটা। আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করার থেকে ওকে হসপিটালে আগে নেওয়াটা জরুরি মনে করেছি তাই ওকে আমরা হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করে তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওই সাইকোকে টানা একঘন্টা পেটানোর পর ও স্বীকার করেছে ও কার কথায় তোহফাকে তুলে নিয়ে গেছে এবং তার কেন তোহফার উপর রাগ সব। অবশ্য সে তোহফাকে এতো কষ্ট দিতে চায়নি। সে চেয়েছে শুধু তোহফা মরে যাক এবং আপনার পরিবারে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাক। কারণ তৌসিফ আপনার জন্য… আপনার জন্য তার পরিবার নষ্ট হয়ে গেছে।”
তৌসিফ বসা থেকে ফ্লোরে পরে যায়। তারজন্য, তারজন্য তার বোনকে এত কষ্ট পেতে হলো। সে কি করেছে? কার এত বড় ক্ষতি করেছে সে? তৌসিফ প্রশ্ন চোখে তাকাতেই রাব্বি বলল……
ইন শা আল্লাহ চলবে