অদিতির যবনিকা পর্ব-০৯

0
25

#অদিতির_যবনিকা -০৯
#তিশা

Mujhse hi aaj mujhko mila de
Dekhoon aadaton mein, tu hai ki nahi
Har saans se pooch ke bataa de
Inke faaslon mein, tu hai ki nahi।।
Main aas-paas tere aur mere paas..
Tu hai ki nahi
Tu hai ki nahi…

বরাবরের মতই রঙ্গন রাতের আধারে গানের সাথে বিষাদের সন্ধি করতে ব্যস্ত।এমন সময় মুঠোফোন বেজে ওঠাতে বেশ বিরক্ত হলো সে। কিন্তু এটা তার ব্যক্তিগত নাম্বার কাছের মানুষ দুই একজন ব্যতীত এই নাম্বার কেউ জানে না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও পকেট থেকে ফোন বের করলো সে। কিন্তু স্ক্রিনে অদিতির নাম্বার দেখে মুহুর্তেই বিরক্তির বদলে মুখাবয়বে ভেসে উঠলো দুশ্চিন্তা।দ্রুত রিসিভ করলো সে।
– আহিনার অনেক জ্বর তোমাকে দেখতে চাইছে।
কথাটা বলে অদিতি রঙ্গনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কেটে দিলো।

আহিনার পাশে জেনিফার বসে আছে। অদিতি ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে কপালে হাত ঠেকিয়ে।মস্তিষ্ক ঘোলাটে লাগছে তার কিভাবে পরিস্থিতি সামলাবে বুঝতে পারছে না। একদিকে অবুঝ জেদী আহিনা অপরদিকে বেপরোয়া রগচটা রঙ্গন। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো।অদিতি বুঝলো রঙ্গন এসেছে।দরজা খুলতেই রঙ্গন অদিতির সম্মতির অপেক্ষা করলো না তাকে এক প্রকার সরিয়ে ঢুকে গেলো তারপর হন্তদন্ত হয়ে ছুটলো আহিনার রুমে। অদিতি দেখলো দরজার বাইরে রিফাত কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে। অদিতি মাথা নাড়িয়ে তাকে ভিতরে ঢোকার আহবান জানালো।
রঙ্গনকে দেখে জেনিফার আহিনার পাশ থেকে উঠে এলো। রঙ্গন আহিনার পাশে বসে তার ছোট্ট তনু কোলের মধ্যে উঠিয়ে নিলো। রঙ্গনের মনে হলো এ যেনো তপ্ত কয়লা খণ্ড। আহিনার উষ্ণ কপালে আদর স্পর্শ ছুয়ে দিতে দিতে ডাকলো,
– বেবী!
আহিনার অবচেতনে মনও বুঝি বুঝলো রঙ্গনের ডাক। পিটপিট করে চোখ খুলে দূর্বল হাসি দিয়ে বলল,
– তুমি আর যাবে না তো?
– না বেবী কোথাও যাবো না।
আহিনাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে রঙ্গন বলল।দরজায় দাড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখলো অদিতি। তারপর নির্লিপ্ত ভাবে পুনরায় ড্রয়িংরুমে বসলো অদিতি।বাকি রাতটুকু আহিনা রঙ্গনের বুকেই ঘুমিয়ে কাটালো আর নিজের ছোট হাত দিয়ে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে মুঠোবন্দী করে রাখলো রঙ্গনের শার্ট।যেনো কিছুতেই এবার যেতে দেবে না রঙ্গনকে।

সকালে মুখের উপরে নরম কোমল স্পর্শ পেয়ে ঘুমের মধ্যেই রঙ্গনের ভ্রু কুচকে এলো।ধীরে ধীরে চোখ মেলে দেখলো আহিনা ওর ছোট্ট ছোট্ট হাত রঙ্গনের মুখে বুলিয়ে দিচ্ছে। রঙ্গনকে তাকাতে দেখেই খিলখিল করে হাসলো আহিনা। বিনিময়ে রঙ্গনও হাসলো মৃদু তারপর আহিনার কপালে হাত দিতে যাচাই করলো জ্বর কতটুকু আছে। আহিনা রঙ্গনের গলা জড়িয়ে ধরে গালে আদর দিয়ে বলল ‘বাবাই।’ রঙ্গনও আহিনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
– হ্যা বাবাই!
আহিনা একই সাথে অবাক আর খুশি হয়ে গালে হাত দিয়ে বলল,
– সত্যি?!
রঙ্গন ওর কনিষ্ঠা আঙ্গুলটি আহিনার কনিষ্ঠা আঙ্গুলের সাথে বেধে বলল,
– পিংকি প্রমিস!
আহিনা রঙ্গনের সারা মুখে উচ্ছ্বসিত হয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে লাগলো। সোফায় বসা অদিতি এতক্ষণ নির্বাক দর্শক হয়ে এই ঘটনা অবলোকন করছিলো। হঠাৎ অদিতির দিকে আহিনার নজর যেতেই উৎফুল্ল কণ্ঠে বলল,
– মাম্মাম আজ থেকে রঙ্গন আংকেল আমার বাবাই।
অদিতি নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে রঙ্গনের দিকে একবার তাকালো তারপর উঠে যেতে যেতে বলল,
– ফ্রেশ হয়ে তোমার বাবাইকে নিয়ে ব্রেকফাস্টের টেবিলে এসো।
আহিনা আনন্দভরা চোখে রঙ্গনের দিকে চাইলো। রঙ্গন তখনও হতবাক দৃষ্টিতে অদিতির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সে তো ভেবেছিলো সকালে আরেক দফা অদিতির সাথে বাকবিতন্ডা হবে তার।

ব্রেকফাস্টের টেবিলে সবাই নিশ্চুপ শুধু আহিনা রঙ্গনের সাথে কথার ঝুলি খুলে বসেছে আর তার বিপরীতে রঙ্গন টুকটাক কথা বলছে।
– বাবাই তুমি আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে?
– হুম।
– তুমি আমাকে প্রত্যেক রবিবারে ঘুরতে নিয়ে যাবে?
– হুম।
– আমাকে পিঠে বসিয়ে ঘোড়া ঘোড়া খেলবে?
– হুম।
– ম্যাথের হোমওয়ার্ক করে দিবে?
– হুম।
– টিচার বকা দিলে তুমিও যেয়ে টিচারকে বকা দিবে?
– হুম।
– হ্যা তারপর টিচার দুজনকেই স্কুল থেকে বের করে দিবে। বেশ না?
গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো অদিতি।রঙ্গন আর আহিনা একে অন্যের দিকে চাইলো।আহিনা রঙ্গনের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
– এসব নিয়ে আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলবো।
রঙ্গন বৃদ্ধা আঙ্গুল উচিয়ে ওকে জানালো।
ব্রেকফাস্টের পরে রঙ্গন আহিনার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলো। অবশ্য আহিনাকে প্রমিস করতে হয়েছে ছুটির পরে তার স্কুলে আনতে যাবে। অদিতি রঙ্গনের সাথে কোনরকম কথায় বলেনি সে চুপচাপ নিজের কাজ করে গেছে।

– ভাই রওনক স্যার আরাফ মাহমুদকে পার্টনারশিপের প্রোপোজাল পাঠিয়েছেন।
রিফাতের কথায় বাকা হাসলো রঙ্গন। রিফাত একটু কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– কি করতে চাইছেন ভাই?
– কর্মফল ভোগ করাতে চাইছি।
গাড়ি ঘোরা রিফাত বাবার অফিসের দিকে চল।রিফাত মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানালো তারপর ইউ টার্ন নিলো।

অদিতি অনেকক্ষণ যাবদ ল্যাপটপ ওপেন করে বসে আছে কিন্তু মনোযোগ তার অন্য কোন ভাবনায়।মেরি যখন কয়েকবার ডেকেও অদিতির সাড়া পেলো না তখন একটু জোরেই ডাক দিলো। অদিতি হতচকিত ভাবে মেরির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাইলো।
– ম্যাম আমরা নতুন ব্র‍্যাণ্ড এম্বাসেডরের ব্যাপারটা সমাধান করে ফেলেছি। মার্কেটিং টিমের হেড সহ ইনভেস্টাররাও সবাই পছন্দ করেছেন এখন শুধু আপনার এপ্রুভাল চাই।
অদিতি সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে মেরির হাত থেকে ফাইল নিলো। অনিচ্ছুকভাবে ফাইলের প্রথম পৃষ্ঠাটা উল্টালো সে কিন্তু মুহূর্তেই যেনো থমকে গেলো তার ব্যস্ত হাত।
– রঙ্গন!!
– জ্বি ম্যাম। যেখানে রঙ্গন স্যারের সিডিউল পেতেই বেগ পেতে হয় সেখানে স্যারের টিম প্রথমবারেই রাজি হয়ে গেছে।
– অন্য কাউকে সিলেক্ট করো।
মেরির চেহারার আলো নিভে গেলো যেনো।সে তো ভেবেছিলো রঙ্গনকে ম্যামের রিজেক্ট করার কোন কারণই থাকবে না কিন্তু ম্যাম তো তাকেও নিতে চাইছে না।মেরি একটু সাহস নিয়ে বলল,
– ম্যাম মার্কেটিং টিম থেকে শুরু করে ইনভেস্টার পর্যন্ত সবাই রঙ্গন স্যারকে পছন্দ করেছেন তাছাড়া বর্তমানে রাফিয়ান রঙ্গনের ব্র‍্যাণ্ড ভ্যালু সবচেয়ে বেশি এবং উনি জানিয়েছেন উনাকে আমরা যে এমাউন্ট পারিশ্রমিক দেব উনি সেটাতেই রাজি।
অদিতি একটা ফোস করে নিঃশাস ছাড়লো তারপর বিড়বিড় করলো ,
– রাজি তো হবেই। পাগল যদি পাগলামি করার নতুন সুযোগ পায় তাহলে কি হাতছাড়া করে!
– ম্যাম কিছু বললেন?
অদিতি কিছু না বোঝালো তারপর ভাবুক সুরে বলল,
– ঠিক আছে রাফিয়ান রঙ্গনই তাহলে আমাদের নেক্সট ব্র‍্যাণ্ড এম্বাসাডর।
মেরি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে প্রস্থান করলো। অদিতি ফাইল থেকে রঙ্গনের ছবি হাতে নিয়ে হাতাশ হয়ে বলল,
– ভাগ্য কি চাইছে আমি বুঝতে পারছি না। কেন তুমি আহিনাকে এভাবে মায়ায় জড়াচ্ছো রঙ্গন। কেন সবকিছু জটিল করছো এভাবে।

রওনক সাহেবের বিপরীতে মুখোমুখি বসে আছে রঙ্গন।প্রথম রওনক সাহেবই কথা বললেন,
– কি ব্যাপার ঘন ঘন অফিসে চক্কর লাগাচ্ছো? অফিসে বসতে চাও নাকি?
রওনক বাবার টিপ্পনী মার্কা কথা বুঝলো তাই ঠোট এলিয়ে হাসলো।
– কেন তুমি কি বুড়ো হয়ে গেছো? শরীর আর পারছে না? হায় হায় এদিকে আমি তোমার জন্য মেয়ে খুজছি!
ছেলের রসিকতায় রওনক সাহেব দমে গেলেন বুঝি।থমথমে কণ্ঠে বললেন,
– কি চাই?
রঙ্গন বাকা হাসলো তারপর বলল,
– আরাফ মাহমুদের সাথে প্রজেক্টের ডিল হবে কবে?
– এক দেড় মাসের মধ্যে।
– আমি করতে চাই সেটা।
– তার জন্য বাংলাদেশ যেতে হবে?
– যেতে হলে যাবো।
কথাটা বলে রঙ্গন উঠে চলে যেতে নিলে রওনক সাহেব পুনরায় হাস্য রসাত্মক ভাবে বলে উঠলেন,
– তুমি না কোনদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে না?
– যার জন্য পা রাখবো না বলেছিলাম সে নিজেই আমার জীবনে ফিরে এসেছে।
পিছনে না ফিরেই রঙ্গন কথাটা বলে আর দাড়ালো না বেরিয়ে গেলো। রঙ্গন বেরিয়ে যেতেই রওনক সাহেব মৃদু হাসলেন হঠাৎ পুরনো কথা মনে পড়তেই তার মুখের হাসি নিভে গেলো।
একদিন ভার্সিটি থেকে ফিরে রঙ্গন তাকে জানালো সে আর বাংলাদেশ থাকতে চাই না জাপান ব্যাক করবে। রওনক সাহেব ছেলের খাম খেয়ালিপনায় অবাক হলেন। এইতো কিছুদিন আগে হঠাৎ জানালো বাকি পড়াশোনা বাংলাদেশে করতে চাই রওনক সাহেব মেনেও নিলেন। ছেলে তার বাংলাদেশে এসে এই কয়দিন বেশ হাসিখুশিও ছিল হঠাৎ কি হলো? কিন্তু বরাবরের মতই ছেলের জেদের কাছে হার মানলেন তার পরদিনই ফিরলেন জাপানে। জাপানে ফিরেও ছেলে যেনো আর আগের মত রইলো না। মাঝরাতে রঙ্গনের রুম থেকে ভেসে আসা বিষাদের সুরে ধীরে ধীরে বুঝলেন ছেলে তার নিশ্চয়ই কোন রমণীর বিরহে এমন হয়ছে। তারপর ধীরে ধীরে রঙ্গন গানের জগতে ঢুকে গেলো। জাপানও ছাড়লো।কালেভদ্রে দেখা হতে লাগলো রঙ্গনের সাথে তার। বহুবছর পর রঙ্গন আবার সেই পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে।হোক না অদিতি রঙ্গনের বড় এক বাচ্চার মা তাতে কি আসে যায়! তার ছেলের ভালো থাকাটাই তার একমাত্র সুখ।

স্কুল ছুটির পরে আহিনা বেরিয়ে দেখলো জেনিফার দাড়িয়ে আছে অমনি মুখটা গোমড়া হয়ে গেলো তার। সে যে জেসিয়া এত বড় মুখ করে বলল আজ তার বাবাই আসবে তাকে নিতে।আহিনা জেনিফারের সামনে দাড়ালে জেসিয়াও আসলো পিছন পিছন।
– কি রে তোর বাবাই কই?
আহিনা জেনিফারের দিকে তাকিয়ে ঠোট ফুলিয়ে কেদে দেবে দেবে ভাব এমন সময় গাড়ির পিছন থেকে হাফপ্যান্ট হুডি আর মাক্স পরা রঙ্গন বেরিয়ে তাকে ডাকলো।
– বেবী!
আহিনার চোখ মুখ মুহূর্তেই খুশিতে চকচক করে উঠলো। ছুটে যেয়ে রঙ্গনের উপরে ঝাপিয়ে পড়লো। তারপর জেসিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
– এই দেখ আমার বাবাই!
জেসিয়াও বেস্টফ্রেণ্ডের খুশিতে খুশি হলো তারপর টাটা দিয়ে বিদায় জানালো। আহিনা রঙ্গনকে বলল,
– আমি ভেবেছিলাম তুমি আসোনি?
– আমার বেবীকে কথা দিয়েছি ,না আসলে হবে!
আহিনা যেনো আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি খুশি। সেই খুশি তার চোখে মুখে ছাপিয়ে পড়ছে।

আরাফের বাবা মা এসেছেন আরাফের কাছে গত দুইদিন হচ্ছে। আরাফই একরকম বলে নিয়ে এসেছে।রুহি সর্ব প্রকার চেষ্টা করছে শ্বশুর শ্বাশুড়ির মন জুগিয়ে চলার কিন্তু তারা নির্বিকার।সারাদিন নিজেদের রুমে থাকেন খাওয়ার সময় শুধু বের হন। রাতে খাবার টেবিলে আরাফ বাবা মায়ের সাথে খেতে বসেছে রুহি তখন রান্নাঘরে।
– অনেকদিন তো হলো আর কত রুহির সাথে এমন করবে তোমরা?
মাহমুদ সাহেব নির্লিপ্ত ভাবে খেতে খেতে বললেন,
– আমার জানামতে তোমার মা কিংবা আমি আমাদের দুজনের কেউই কখনো তোমার স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি।
– খারাপ ব্যবহারের কথা বলিনি বাবা তোমরা তো ওর সাথে সাধারণ কথাটুকুও বলোনি কখনো অথচ অদিতিকে মাথায় করে রাখতে।
মাহমুদ সাহেব খাবারের প্লেটে পানি ঢেলে দিলেন। তারপর মৃদু হেসে বললেন,
– কাক যেমন পেখম লাগালে ময়ূর হয় না তেমনি যে কেউ রাস্তা থেকে উঠে এসে তোমার স্ত্রীর জায়গা নিলেই অদিতির মত হয় না। অদিতিকে আমি পছন্দ করে এনেছিলাম অবশ্য অদিতির সাথে বিয়ের আগে যদি তুমি এই মেয়েকে ভালোবাসার কথা বলতে আমি মানা করতাম না।
কথাগুলো বলে নিজের ঘরের দিকে যেতে যেতে থেমে গেলেন তারপর পুনরায় বললেন,
– অদিতি সংসার সাজাতে এসেছিলো অন্য কারো মত একজনের সংসার ভেঙ্গে নিজের সংসার গড়তে আসেনি তাই পরবর্তীতে অদিতির সাথে অন্য কারো তুলনা করবে না। আর আমরা আগামীকালই চলে যাবো এখানে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

………….চলবে?

বিঃদ্রঃ অনুমতি ব্যতীত সকল প্রকার কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।