#অদিতির_যবনিকা -২৩
#তিশা
কাতুকুতু অনুভব করে আহিনার ঘুম ভাঙলো সকালে। রঙ্গনকে দেখেই ঝাপিয়ে পড়লো।
– বলেছিলাম না ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বাবাই চলে আসবে।
আহিনা উচ্ছ্বসিত হয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে লাগলো রঙ্গনের মুখাবয়ব।রঙ্গন আহিনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ভাবলো আরাফ মাহমুদ তুমি কি ভেবেছিলে আহিনা আমার আর অদিতির নতুন জীবনের অন্তরায়।আহিনা রাফিয়ান রঙ্গনের জীবনে অমাবস্যার মধ্যে এক টুকরো আলোক রশ্মির মতো।যে তার স্নিগ্ধ দ্যুতি দিয়ে রঙ্গনের অন্ধকার জীবন আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিয়েছে।
রাতে রঙ্গন তার স্টুডিও রুমে প্র্যাকটিসে ব্যস্ত ছিলো। আসন্ন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল সহ বেশ কিছু কনসার্ট নিয়ে বেশ ব্যস্ত সিডিউল তার সামনে। এমন সময় অদিতিকে রুমে ঢুকতে দেখে রঙ্গন একটা স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে সুর তুলল…
সারাটা দিন
ঘিরে আছো তুমি এত রঙ্গীন
হয়নি কখনও মন
সারাটা রাত
আসছে না ঘুম ধরেছি হাত
থাকবো সারাজীবন
তোমাকে ছাড়া এ আকাশ সাজে না
সহজে তো বাতাসে বাঁশি বাজে না
চলো না আজ এ রূপকথা
তোমাকে শোনাই
তোমাকে ছাড়া এ আকাশ সাজে না
সহজে তো বাতাসে বাঁশি বাজে না
চলো না আজ এ রূপকথা
তোমাকে শোনাই….
রঙ্গনের অনুভূতি জড়ানো সুর যেনো অদিতির অন্তপটে নির্মল আলোড়ন তুললো।অদিতি সোফায় বসতেই রঙ্গন গীটার রেখে অদিতির পাশে বসতে বসতে বলল,
– রঙ্গবতী আজ রঙ্গনের আস্তানায় কি মনে করে?
– আমার কি এখানে আসা মানা?
রঙ্গন অদিতির অনামিকায় তার নাম খচিত আংটিটা নাড়াচাড়া করতে করতে মৃদু হাসলো।
– রঙ্গনই সব সময় তার রঙ্গবতীর পিছু পিছু ঘুরেছে আজ উল্টো ঘটনা ঘটেছে যেহেতু নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। আপনার জানা আছে একটু পরেই আমি আপনার সান্নিধ্যের আশায় ছুটে যাবো কিন্তু যেহেতু ততক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলেন না তার মানে কোন কিছু আপনাকে নিশ্চয়ই অনেক বেশি ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে।
অদিতি মনে মনে বিস্মিত হলো রঙ্গনের অনুমান ক্ষমতায়। তারপর নিজেই ভাবলো এজন্যই তো রাফিয়ান রঙ্গন অদিতির জীবনে অনন্য অসাধারণ।রঙ্গন ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করছে অদিতির কথা শোনার জন্য।অদিতি কোনরকম ভণিতা ছাড়াই প্রসঙ্গ তুললো।
– আরাফ কি আমাদের ব্যাপারটা জানে?
রঙ্গন অদিতির সামনের চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বলল,
– সারা দুনিয়া যেখানে জানে সেখানে আরাফ মাহমুদের না জানার তো কোন অবকাশ নেই তাই না?
অদিতি বিচলিত আননে বলল,
– আমাকে আর আহিনাকে নিয়ে কোন আলাপ হয়েছে তার সাথে তোমার?
অদিতির চোখের দিকে নিষ্পলক চাইলো রঙ্গন। সেখানে একরাশ দুশ্চিন্তা দেখতে পেলো সে।চট করে অদিতিকে কোলের মধ্যে নিয়ে বাহুবন্দী করে ললাটে উষ্ণ স্পর্শ দিতে দিতে বলল,
– আহিনাকে নিয়ে আপনার আর আমার মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে সে আহিনাকে তার কাছে রাখতে চায় জানালো।
অদিতি চট করে রঙ্গনের বুক থেকে মাথা তুলে চাইলো। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– তুমি কি বললে?
– আমার মেয়ে আমি কেন দিবো আজব।
অকপট স্বীকারোক্তি রঙ্গনের। অদিতি মৃদু হেসে পুনরায় রঙ্গনের প্রসস্থ বক্ষে নিজের জায়গা করে নিলো। রঙ্গন অদিতির চুলে হাত বুলাতে বুলাতে আরাফের সাথে আলাপনের বিস্তারিত খুলে বললো। অদিতি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,
– কি দরকার ছিল তার সাথে বিজনেস করার?
– আপনার দরকার না থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে। আমার বেবী আর তার মাম্মামের সাথে কেউ খারাপ করে পার পাবে এটা আমি হতে দিবো না।
অদিতি একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। পার্টনারশিপ করার আগে জানতে পারলে যে করেই হোক রঙ্গনকে আটকাতো সে কিন্তু এখন কিছু করলে রওনক সাহেবের অনেক বড় লস হয়ে যাবে। এই রঙ্গন যে কেন এত পাগলামি করে।
রঙ্গন অদিতির নীরবতার মানে হয়তো বুঝলো। অদিতিকে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
– আমি আছি তো সব সামলে নেবো।আরাফ মাহমুদের এতটাও ক্ষমতা হয়নি রঙ্গনের বউ বাচ্চার দিকে হাত বাড়াবে।
অদিতির খুব করে বিশ্বাস হয় রঙ্গনের বলা প্রতিটা শব্দ।মাঝে মাঝে মনে হয় আহিনা যে বাবার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তার ছোট্ট হৃদয়ে আহাজারি করতো সৃষ্টিকর্তা বোধহয় খুব করে শুনেছিলেন ছোট্ট প্রাণের সেই বিষাদমাখা প্রার্থনা।এজন্যই আহিনার জীবনে রঙ্গনকে পাঠিয়েছেন।যে অকপটে ভরা মজলিসে পিতৃত্বের অধিকার জারি করে।অথচ আহিনার জন্মদাতা কত সহজেই সেই অধিকার খারিজ করে দিয়েছিলো।
অদিতি রঙ্গনের টিশার্টে আঙ্গুল দিয়ে আকিবুকি করতে করতে বলল,
– জানো এতোদিন আমার একটাই শঙ্কা ছিলো আহিনার তো আমি ছাড়া কেউ নেই। আহিনা প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার আগে যদি আমার কিছু হয়ে যাই তাহলে ওকে কে দেখবে। এখন আমি নিশ্চিন্ত আহিনার তার বাবাই আছে যে পৃথিবী উজাড় করে তাকে সমস্ত সুখ এনে দেবে।
অদিতির কথায় রঙ্গনের হৃদপিণ্ডে তীক্ষ্ণ হাম’লা চালালো বোধহয় কেউ। অদিতির চুলের মধ্যে হাত দিয়ে চুল টেনে ধরলো।হালকা ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠলো অদিতি।রক্তবর্ণ চোখে থমথমে গলায় বলল,
– এসব কিধরনের কথা? আহিনার জীবনে তার বাবাই মাম্মাম দুজনেই থাকবে।
অদিতি হালকা হেসে রঙ্গনের গালে হাত দিয়ে বলল,
– আরে বাবা কথার কথা বলেছি তো এত রাগ দেখানোর কি আছে! তাছাড়া মানুষের হায়াত কখন ফুরিয়ে আসে তার কি কোন গ্যারান্টি আছে।
রঙ্গন শীতল চোখে তাকালো অদিতির দিকে। অদিতি বুঝলো ভুল মানুষের সামনে সঠিক কথা বলে ফেলেছে। এখনি রঙ্গনকে সামলানো দরকার নাহলে আজ ঘরবাড়ি অক্ষত থাকবে না। দ্রুত রঙ্গনের গলা জড়িয়ে ওষ্ঠ ডুবিয়ে দিলো রঙ্গনের নিকোটিনে পোড়া কালচে ওষ্ঠে।বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে অদিতি সরে এলো। অনুভব করলো রঙ্গন এই আদরের বিপরীতে সাড়া দেয়নি। দুইহাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সে।অদিতি দুই হাতের আজলায় রঙ্গনের রক্তিম হয়ে আসা আনন বন্দী করে নাকে নাক ঘষতে ঘষতে বলল,
– তোমার রঙ্গবতী অনেক সরি আর কখনো এমন কিছু বলবে না। এবারের মত মাফ করে দাও।
রঙ্গন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো অদিতিকে। কাপা কাপা স্বরে বলল,
– আর কখনো এমন কিছু বলবেন না আপনাকে দ্বিতীয় বার হারিয়ে বেচে থাকার মত ক্ষমতা আমার নেই।
রঙ্গনের বাহুডোরে বন্দী অদিতি চুপটি করে অনুভব করলো তার প্রতি এক পাগল প্রেমিকের নিরন্তর ভালোবাসা।
আজ অদিতির অফিসে রঙ্গনের শ্যুট।কিন্তু সকাল থেকে এখনো রঙ্গনের সাথে দেখা হয়নি অদিতির। কারণটা অবশ্য অদিতির ব্যস্ততা। লাঞ্চের আগেই আহিনা স্কুল থেকে সরাসরি অফিসে এসেছে অদিতির। তার মাম্মাম বাবাই দুজনেই অফিসে তাকে কি আর বাড়িতে নেয়া সম্ভব।
লাঞ্চ টাইমে অদিতি ভাবলো একবার রঙ্গনের শ্যুটের ওখান থেকে ঘুরে আসবে। আহিনাকে নিয়ে শ্যুটের ফ্লোরে যেয়ে অদিতির ললাটে দুই তিনটা ভাজ পড়লো। রঙ্গন এক সুন্দরী তনয়ার সাথে বসে বসে হাসিমুখে গল্প করছে।আহিনা রঙ্গনকে দেখা মাত্র ছুটে গেলো তার কাছে। রঙ্গনও আহিনাকে কোলে বসিয়ে নিলো।অদিতি ধীরে সুস্থে রঙ্গনের সামনে যেয়ে দাড়াতেই রঙ্গন একটা সুন্দর হাসি দিয়ে অদিতিকে তার পাশে বসতে ইশারা করলো। অদিতি বসে সামনে বসা নারীটির দিকে তাকালো। দেখে মনে হলো রঙ্গনের বয়সী একটি মেয়ে হয়তো আমেরিকান হবে।মুখাবয়ব সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অদিতি বসতেই রঙ্গন এক হাতে অদিতির কাধ জড়িয়ে সামনে বসা মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
– সোফিয়া ইনিই হচ্ছে মিস চড়ুই আমার রঙ্গবতী। বাকিটা তো ইন্টারনেটে জেনেছো তার সাথে আমার কিসের সম্পর্ক। আর মিস চড়ুই ও হচ্ছে সোফিয়া আমার ক্লোজ বন্ধুদের একজন। নিউইয়র্কে আমরা একই মিউজিক একাডেমিতে ছিলাম। সোফিয়া অবশ্য সিঙ্গার নয় কম্পোজার এবং প্রোডিউসার।
অদিতি একটা হাসি দিয়ে কুশল বিনিময় করলো বিনিময়ে সোফিয়াও মৃদু হেসে প্রত্যুত্তর করলো। রঙ্গন এবার কোলে বসা আহিনাকে দেখিয়ে বলল,
– আর এটা হচ্ছে আহিনা আমার বেবী।
– আই মিন অদিতির বেবী তাইতো রঙ্গন?
হাসি দিয়ে বলল সোফিয়া।রঙ্গন এবং অদিতির হাসি মুছে গেলো।রঙ্গন কিছু বলার আগে অদিতি ঠাণ্ডা স্বরে আহিনাকে বলল,
– বেবী চলো তোমার লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে খাবে চলো।
আহিনা ঠোট ফুলিয়ে বলল,
– আর বাবাই খাবে না?
– তোমার বাবাইয়ের খিদে পেলে চলে আসবে।আসো।
অদিতি রঙ্গনের কোল থেকে আহিনাকে কোলে তুলে নিলো তারপর সোফিয়াকে এক্সকিউজ জানিয়ে সেখান থেকে চলে এলো।অদিতি চলে যেতেই রঙ্গন সোফিয়ার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
– লিসেন সোফিয়া পরবর্তীতে কখনো বলবে না আহিনা অদিতির মেয়ে। আহিনা আমাদের দুজনের মেয়ে। আমি চাই না এসমস্ত কথায় আহিনার মস্তিষ্কে নেতিবাচক কোন ধারণা সৃষ্টি হোক।
– কিন্তু রঙ্গন একদিন না একদিন তো আহিনা জানবে তুমি তার নিজের বাবা নও।
– অবশ্যই জানবে। কিন্তু সেটার জন্য একটা সঠিক সময় আছে। তুমি আমার বন্ধু তাই তোমাকে ভালোভাবেই কথাটা জানালাম।
সোফিয়া সরু চোখে চাইলো রঙ্গনের দিকে।
– কাল তাহলে ফেস্টিভ্যালে দেখা হচ্ছে আমি এখন উঠি লাঞ্চের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
কথাটা বলে রঙ্গন উঠতে নিলে সোফিয়া বলল,
– কাম অন রঙ্গন এতদিন পরে দেখা হলো তুমি লাঞ্চটা অন্তত আমার সাথে করো।
– অবশ্যই তোমাকে লাঞ্চে ইনভাইট করতাম কিন্তু একটু আগে তুমি যে কথাটা বলেছ তারপরে তোমাকে আমার সাথে লাঞ্চ করার জন্য বলতে পারছি না।আসছি এখন কাল দেখা হচ্ছে।
রঙ্গন আর কালবিলম্ব না করে সেখান থেকে চলে এলো। সোফিয়া গভীর দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ।
রঙ্গন অদিতির কেবিনে উকি দিয়ে দেখলো আহিনা অদিতির ফোনে কার্টুন দেখতে ব্যস্ত আর অদিতি আহিনাকে খায়িয়ে দিচ্ছে। অদিতি সোফিয়ার কথাটা যে ভালোভাবে নেয়নি সেটা তার মুখ দেখেই রঙ্গন বুঝেছে। রঙ্গন বুঝতে পারছে না অদিতি কি তার উপরে রাগ দেখাবে। আচ্ছা অদিতি যদি ঝগড়া করে তখন কিভাবে সামলাবে? সেও কি অদিতির সাথে ঝগড়া করবে নাকি বুঝানোর চেষ্টা করবে? আচ্ছা সে কি গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবে বউ ঝগড়া করলে কি করা উচিত!
– উকিঝুকি না দিয়ে দ্রুত খেতে আসো তোমার না একটু পরে আবার শ্যুট আছে।
অদিতির গুরুগম্ভীর আওয়াজে রঙ্গনের ভাবনাচ্যুত হলো। ধীর পায়ে এসে অদিতির পাশে বসলো। তারপর গাল ফুলিয়ে বলল,
– আমাকেও খায়িয়ে দিন না!
অদিতি ভ্রু কুচকে তাকালো রঙ্গনের দিকে। রঙ্গন একটা বোকাসোকা হাসি দিলো। অদিতি বিপরীতে কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেখালো না কিন্তু এক চামচ খাবার বাড়িয়ে দিলো রঙ্গনের মুখের দিকে। রঙ্গন একটা মনভুলানো হাসি দিয়ে খাবারটুকু মুখে পুরে নিলো।
– সোফিয়ার তখনকার কথার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।
– তুমি কি করেছো যে তুমি ক্ষমা চাইছো?
– সোফিয়ার বলা কথাটাতে আপনি রাগ করেছেন। যেহেতু সোফিয়া আমার বন্ধু তাই তার হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।
– আমি রাগ করেছি তোমাকে কে বলল?
– রাগ করেছেন বলেই তো ওভাবে উঠে চলে এলেন।
অদিতি মৃদু হাসলো তারপর বলল,
– আমি চলে এসেছি কারণ আমি তো তোমাকে চিনি তুমি নিশ্চয়ই তাকে ছেড়ে দাওনি বেশ কথা শুনিয়েছো। এখন তোমার বন্ধুকে যদি আমার সামনে তুমি কথা শুনাতে ব্যাপারটা ভালো দেখাতো না এজন্য আমি চলে এসেছি।তবে এটাও সত্যি তোমার বন্ধু বলা কথাটা আমার পছন্দ হয়নি। তোমার বন্ধু যেভাবে কথাটা বলেছে এটাকে কি বলে জানো?এটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় স্যাডিজম। এটা এক ধরনের মানসিক ব্যাধী।এই ধরনের মানুষ অন্যের দুর্বল বিষয়গুলোকে নিয়ে কথা শুনিয়ে বেশ মানসিক শান্তি পায়। এখন এই টাইপের মানুষ তোমার জন্য কতটা উপকারী সেটা ভাবার বিষয় তোমার।
রঙ্গন এক চামচ খাবার অদিতির মুখের সামনে তুলে ধরে হাসিমুখে বলল,
– আশেপাশের নেতিবাচক মানুষের থেকে নিজের স্ত্রী সন্তানকে কিভাবে প্রটেক্ট করতে হয় রাফিয়ান রঙ্গন সেটা খুব ভালোভাবেই জানে।
……………..চলবে?
বিঃদ্রঃ অনুমতি ব্যতীত সকল প্রকার কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।