#অদিতির_যবনিকা -২৪
#তিশা
অদিতি রওনক সাহেবের সামনে বসে আছে বেশ কিছুক্ষণ। বিকালে হঠাৎ ফোন করে তিনি অদিতির সাথে দেখা করতে চেয়েছেন।অদিতি বুঝতে পারছে না হঠাৎ এত জরুরিভাবে তাকে কেন দেখা করতে বললেন। বেশ কিছুক্ষণ কুশলাদি বিনিময়ের পরে রওনক সাহেব হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন,
– আম্মা তোমার কি বিজনেসে কোন শত্রু আছে?
অদিতি হঠাৎ এই প্রশ্নের অর্থ বুঝলো না। কনফিউজড হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– মানে?
– মানে ব্যবসা সূত্রে এমন কারো সাথে শত্রুতা হয়েছে যে তোমার ক্ষতি করতে চায়?
– ব্যাবসায়িক সূত্রে অনেকের সাথে অনেক রকম মতভেদ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক কিন্তু এরকম শত্রু কেউ আছে বলে তো মনে পড়ছে না।
রওনক সাহেবকে বেশ চিন্তিত দেখালো। অদিতি উদ্বিগ্ন ভাবে জানতে চাইলো,
– কি হয়ছে বাবা?আপনাকে এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?
রওনক সাহেব খুব স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা লুকিয়ে ফেললেন তারপর হাসিমুখে বললেন,
– তেমন কিছু না আম্মা। এরকম ব্যবসায় অনেক শত্রু থাকে তো তাই আর জানতে চাইলাম।
তারপর তিনি বেশ চতুরতার সাথে প্রসঙ্গ বদলে ফেললেন।
– রঙ্গন আর দাদু কোথায়?এখনো এলো না তো?
অদিতি হতাশভাবে বলল,
– তাদের খবর আমার কাছে কম থাকে বাবা।তাদের লাইফে আমি ভিলেন।আমার জন্য তাদের চিল করতে খুব অসুবিধা হয়।
রওনক সাহেব হো হো করে হাসলেন। এমন সময় আহিনাকে নিয়ে রঙ্গন ঢুকলো। অদিতি আর রওনক সাহেবকে হাসতে দেখে রঙ্গন বসতে বসতে বলল,
– কি এত মজার গল্প হচ্ছে শুনি?
– কেন শুধু তুমি তোমার মেয়ের সাথে মজা করতে পারো আমি আমার মেয়ের সাথে হাসি মজা করতে পারি না?
রওনক সাহেব ঠোট বাকিয়ে বললেন। রঙ্গন অদিতির দিকে তাকিয়ে বলল,
– আপনি বাবার সাথে টিম বানিয়েছেন?
– অবশ্যই।
অদিতি হেসে প্রত্যুত্তর করলো।
রাতে রওনক সাহেবের সাথে ডিনার করলো রঙ্গন আর অদিতি।রওনক সাহেব অদিতি আর রঙ্গনকে এই বাড়িতে চলে আসার কথা জানালে রঙ্গন জানায় ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিরেই শিফট করবে।
খাওয়াদাওয়া শেষে রওনক সাহেব রঙ্গনকে একান্তে কিছু কথা বলবেন বলে স্টাডি রুমে নিয়ে গেলেন। অদিতি আর আহিনা তখন রিফাতের সাথে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলো।বিয়ের পরে এই প্রথম অদিতি এই বাড়িতে এসেছে। রওনক সাহেব এজন্য রিফাতকে তাকে বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখাতে বলেছেন।অদিতি নিচে নেমে এসে দেখলো রঙ্গন থমথমে চেহারা নিয়ে স্টাডি রুম থেকে বের হচ্ছে। অদিতিকে নজরে আসতেই থমথমে ভাব কাটিয়ে হাসি দেখা দিলো। অদিতি কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– কি হয়ছে?
রওনক সাহেব পিছন থেকে বললেন ,
– কি আর হবে ব্যবসা নিয়ে জ্ঞান দিয়েছি তোমার গুণধর বরমশাইয়ের পছন্দ হয়নি।
অদিতি হেসে দিলো। রঙ্গন নির্নিমেষ চাইলো সেই হাসির দিকে। অদিতি হাসি থামিয়ে বলল,
– কি দেখো?
– আমার রঙ্গবতীর হাসি উচ্ছল ঝর্ণার মত নির্মল।
অদিতি লজ্জা পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। রঙ্গন অদিতির লজ্জারত আনন দেখে ঠোট চেপে হেসে বলল,
– চলুন কাল আবার মিউজিক ফেস্টিভ্যালে যেতে হবে।
– তোমার মিউজিক ফেস্টিভ্যালে আমরা যেয়ে কি করবো?
– উহু আপনারাও তো আমার।
বলে রওনক সাহেবের থেকে বিদায় নিয়ে রঙ্গন অদিতি আর আহিনাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।রওনক সাহেব পিছন থেকে ছেলের সুখের সংসার দেখে মৃদু হাসলেন কিন্তু মুহূর্তেই একরাশ দুশ্চিন্তার মেঘ ছেয়ে গেলো তার মুখাবয়বে।বুঝতে পারছেন কোন একটা অশুভ কিছু আসতে চলেছে। অদিতিকে আজ ডেকেছিলেন যদি অদিতির কোন ব্যবসায়িক শত্রু থেকে থাকে সেটা জানার জন্য কিন্তু সেরকম কিছুই নেই। অবশ্য তিনি আগেই খোজ খবর নিয়ে জেনেছিলেন তারপরও একবার অদিতির কাছে জানতে চেয়েছিলেন।এসমস্ত নেতিবাচক ভাবনায় মত্ত হতে হতে হঠাৎ কঠিন ভাবে আওড়ালেন ‘ছেলের সুখের জন্য যদি ত্রিশ বছর আগের রওনক চৌধুরী হতে হয় তবে তাই হবেন।’
রঙ্গন আহিনা আর অদিতিকে নিয়ে এসেছে মিউজিক ফেস্টিভ্যালে। গাড়ি থেকে নামতেই চারদিক থেকে সাংবাদিক আর ক্যামেরা যেনো জেকে ধরেছে। অদিতি আর আহিনা প্রথম এরকম কিছুর সম্মুখীন হলো।অদিতি চুপচাপ থাকলেও আহিনা বেশ উচ্ছ্বসিত।রঙ্গনের জন্য বরাদ্দকৃত ভি আই পি টেবিলে বসেছে রঙ্গন অদিতি আর আহিনাকে নিয়ে।অদিতি মনে মনে ভাবলো বেপরোয়া রঙ্গনের রঙিন পৃথিবীতে এসে পড়েছে সে।তার মতো শান্ত শিষ্ট সব সময় শোরগোল এড়িয়ে চলা মানুষের জীবনে রঙ্গনের মত তুফান আসবে সে কখনো কল্পনাতেও ভাবেনি। মনে মনে হাসি পেলো তার।হঠাৎ হাতের মধ্যে পুরুষালি হাতের স্পর্শে ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো অদিতি।অদিতি তাকাতেই রঙ্গন অদিতির ললাটে অধর ছুয়ে বলল,
– নার্ভাস হওয়ার কিচ্ছু নেয়।
অদিতি হাসলো। এমন সময় সোফিয়া এসে রঙ্গনের অপর পাশে বসলো।রঙ্গন অদিতি হাসিমুখেই তাকে অভ্যর্থনা জানালো।সোফিয়া নরম সুরে বলল,
– কালকের ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত অদিতি। আমি বুঝতে পারিনি কথাটা আপনার খারাপ লাগবে।
– আপনি ভুল বুঝতে পেরেছেন এটাই যথেষ্ট।সরি বলতে হবে না।
অদিতি মৃদু হেসে জবাব দিলো।বিনিময়ে সোফিয়াও হাসলো। পুরোটা সময় অদিতি খেয়াল করলো সোফিয়ার রঙ্গনের সাথেই খোলামেলা মেশার প্রবল চেষ্টা।অদিতিকে কর্ণার ফিল করানোর কি দারুণ প্রচেষ্টা।রঙ্গন অবশ্য কোনটাই সফল হতে দিলো না সেভাবে।রঙ্গন যখন গান গাওয়ার জন্য উঠলো সোফিয়া তখন অদিতিকে বলল,
– আরে অদিতি জানেন না রঙ্গন তার সবগুলো বন্ধুদের মধ্যে আমার সাথেই সবচেয়ে বেশি ক্লোজ।কত যে একসাথে ঘুরে বেড়িয়েছি আমরা।
সোফিয়ার কথার বিপরীতে অদিতি মৃদু হাসলো শুধু।সোফিয়া তার আর রঙ্গনের আরো কিছু বন্ধুত্বের গল্প শোনালো। অদিতি হাসিমুখে চুপচাপ শুনে গেলো শুধু মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক তাকিয়ে আহিনাকে দেখে নিলো। আহিনা যেহেতু এক জায়গায় বেশিক্ষণ চুপ করে বসে থাকতে পারে না তাই তাকে রিফাত আর জেনিফারের সাথে চারপাশে ঘুরতে পাঠানো হয়েছে।
সোফিয়া যখন অনুভব করলো অদিতি তার আর রঙ্গনের রসালো বন্ধুত্বের গল্পে সেভাবে মনোযোগ দিচ্ছে না তখন সে শান্ত ভঙ্গিতে অদিতিকে বলল,
– আচ্ছা অদিতি আপনার ভয় করে না?
অদিতি ভ্রু কুচকে সোফিয়ার দিকে তাকালো।
– কিসের ভয়?
– এই যে আপনি সাধারণ একজন মানুষ আর রঙ্গন এরকম নামীদামী সেলিব্রিটি তার আশেপাশে কতশত সুন্দরী ঘোরাঘুরি করে যদি কখনো রঙ্গনও আপনার প্রাক্তনের মত আপনার সাথে প্রতারণা করে?তার উপরে আপনি রঙ্গনের সিনিয়র।
সোফিয়ার কথায় অদিতি শীতল চোখে চাইলো সোফিয়ার দিকে তারপর ঠোট বাকিয়ে অতি সুক্ষ্ম একটা হাসি দিলো। সোফিয়া অদিতির শান্ত আচরণে একটু ভড়কে গেলো। এমন সময় স্টেজ থেকে রঙ্গনের কণ্ঠে দুজনের মনোযোগ সেদিকে গেলো।
‘Everyone says I am the star of the music world. Do you know who is the star of the life of Rangan? My next song is for the stars of my life my Rangvati and my Ahi Baby.
অদিতি শান্তভাবে সোফিয়ার দিকে তাকালো। অন্ধকার হয়ে আছে সোফিয়ার মুখ। অদিতি ঠোট এলিয়ে হাসলো।
– মিস সোফিয়া আমার মনে হয় এখন আপনার নিজের টিমের কাছে ফিরে যাওয়া উচিত।
সোফিয়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে প্রস্থান করলো। ঠিক তখনই আহিনা ছুটে এসে অদিতির কোলে বসলো।।
– কি করছো মাম্মাম?
– তোমার বাবাইয়ের জীবনের গোপিনীদের নাটক দেখছিলাম।
উদাসভাবে বলল অদিতি।আহিনা ঠোট ফুলিয়ে বলল,
– মানে?
– কোন মানে নেই বেবী ওই যে বাবাইয়ের গান শোনো। বাবাই আমাদের জন্য গান গাইছে।
These three words
They could change our lives forever
And I promise you that we will always be together
Oh, I love you
Please say you love me too
Please please
Say you love me too
‘Til the end of time
My baby
Together, together, forever
‘Til the end of time
I love you
I will be your light
Shining bright
Shining through your eyes
My baby….
অদিতি তন্ময় হয়ে রঙ্গনের গান শুনলো শুধু শুনলো না প্রতিটা শব্দ অনুভব করলো সে।কত সুন্দর সাবলীলভাবে রঙ্গন গানের মাধ্যমে প্রতিবার তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে।হঠাৎ নজর গেলো সোফিয়ার দিকে। দেখলো সোফিয়া নিষ্পলক রঙ্গনের দিকে চেয়ে আছে।অদিতি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ভাবলো ‘মিস সোফিয়া কেন যে আগুন নিয়ে খেলতে চাইছেন!’
রঙ্গন স্টেজ থেকে নামতেই সোফিয়া ছুটে গেলো তার দিকে।তারপর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো একটা গ্রুপের দিকে।অদিতি বুঝলো হয়তো গ্রুপের সদস্যরা রঙ্গনের পূর্ব পরিচিত।রঙ্গন বেশ কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে আলাপচারিতা চালালো। এদিকে আহিনা আরো আগেই অদিতির কোলে ঘুমিয়ে গেছে। এত কোলাহল আর মিউজিক ইন্সট্রুমেন্টের আওয়াজে অদিতির মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে।স্টিলেটোর কারণে পা দুটোও বুঝি হাল ছেড়ে দিতে চাইছে।
দূর থেকে প্রেয়সীর ক্লেশাবিষ্ট আনন দৃষ্টিগোচর হতেই রঙ্গন সবার থেকে দ্রুত বিদায় নিলো।অদিতি তখন একহাতে আহিনাকে জড়িয়ে রেখে আর এক হাত দিয়ে জুতা খোলার চেষ্টায় ব্যস্ত। জুতোজোড়া খুললে যদি সাময়িক প্রশান্তি মেলে সেই প্রত্যাশায়।হঠাৎ রঙ্গনকে পায়ের কাছে বসে পড়তে দেখে অদিতি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,
– কি করছো কি? ওঠো বলছি।
রঙ্গন কথাগুলো আমলে নিলো না বুঝি।অতি যত্নের সাথে জুতোজোড়া খুলে দিলো। তারপর রক্তিম বর্ণ ধারণ করা চরণ দুটি হালকা ম্যাসাজ করে দিয়ে বলল,
– রঙ্গবতীকে সাময়িক কষ্ট দেয়ার জন্য এই অধম বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
অদিতি অনুভব করলো তার মতো সুখী বুঝি আর কেউ নয়।নেত্র সিক্ত হয়ে আসলো অনুভূতির জোয়ারে। কোনমতে নিজেকে সামলে বলল,
– সবাই দেখছে রঙ্গন।
– তো? প্রিয়তমার খেয়াল রাখা কি অপরাধ যে মানুষ দেখলে খারাপ বলবে?
কথাটা বলে রঙ্গন আহিনাকে অদিতির কোল থেকে নিজের বুকে আগলে নিলো।অদূরে দাড়িয়ে সোফিয়া ঈগল চোখে অবলোকন করলো সেই দৃশ্য।
রিফাত আর জেনিফার কিছু দূরে দাড়িয়ে খাচ্ছিলো।সোফিয়ার ব্যাপারটা তাদেরও নজরে এসেছে।জেনিফার রিফাতকে কনুই দিয়ে গুতা মে’রে বলল,
– এই সোফিয়ার হাবভাব তো ভালো ঠেকছে না!
– ভাইয়ের অনেক পুরনো বন্ধু কিন্তু হঠাৎ এরকম অস্বাভাবিক আচরণ কেন করছে বুঝতে পারছি না।
– আপু আর স্যারের মধ্যে ঝামেলা লাগাবে না তো?
উদ্বিগ্ন হয়ে বলল জেনিফার।রিফাত আশ্বস্ত করে বলল,
– আরে না।ভাই আর ম্যামের সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত।
কথাটা বলে রিফাত মনে মনে ভাবলো ভাই অদিতি ম্যামের জন্য যে পরিমাণ উন্মাদ যদি বোঝে সোফিয়া ম্যামের অনিষ্ট করতে চায় দেখা যাবে সোফিয়াকেই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
রিফাতকে ভাবুক হতে দেখে জেনিফার পুনরায় ধাক্কা দিলো তাকে।
– কি সমস্যা মিস জ্বীনি? মা’রধর না করে ভালোভাবে ডাকতে পারেন না?
খ্যাক করে উঠলো রিফাত।জেনিফারও ছ্যাত করে উঠে বলল,
– কতবার ডেকেছি কোন সাড়াশব্দ নেই কি এত আকাশকুসুম ভাবছিলেন?
রিফাত নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
– কিছুনা। চলুন বেবীকে নিয়ে আমরা গাড়িতে বসি।
রিফাত আর জেনিফার আহিনাকে নিয়ে যাওয়ার পরে।অদিতি জানালো তার খেতে ইচ্ছে করছে না। রঙ্গন এক প্লেট খাবার নিয়ে অদিতিকে অল্প করে খাইয়ে দিতে লাগলো সেই সাথে নিজেও খেতে লাগলো। এমন সময় পুনরায় সোফিয়ার আগমন ঘটলো।
– আমরা বেরিয়ে যাচ্ছি রঙ্গন। কাল ফ্লাইট আমার তার আগে দেখা করে যাবো তোমার তো কালও অদিতির ওখানে শ্যুট আছে?
রঙ্গন মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোঝালো।সোফিয়া অদিতির দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে বলল,
– একদিন মিউজিক ফেস্টিভ্যালে এসে কাহিল হয়ে গেছেন। তাহলে সারাজীবন রঙ্গনের এই ঝলমলে জীবনের সাথে মানিয়ে থাকবেন কিভাবে?
অদিতি ঠোট এলিয়ে হাসলো।
– চিন্তা করবেন না। সব সময় তো মাইগ্রেন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আশেপাশে অযাচিত মানুষ থাকবে না।আর আমরা মানিয়ে নিয়ে থাকবো কেন আমরা? দুজনের কাজের জগৎ আলাদা কিন্তু আমরা দিনশেষে একে অন্যের পরিপূরক।
সোফিয়া ঠিকই বুঝলো অযাচিত বলতে অদিতি তাকেই বুঝিয়েছে।থমথমে মুখশ্রী বানিয়ে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
রঙ্গন অদিতির গালে খাবার তুলে দিতে দিতে বলল,
– আমার কি সোফিয়ার সাথে সব রকমের যোগাযোগ অফ করা উচিত?
– সোফিয়া তোমার কাজের জগতের মানুষ তার উপরে পুরনো বন্ধু এখন তুমি সেটা কিভাবে সামলাবে সেটা তোমার ব্যাপার।
– আপনার আমার প্রতি বিশ্বাস আছে তো?
অদিতি রঙ্গনের চোখের দিকে তাকিয়ে একটা স্নিগ্ধ হাসি দিলো। সেই হাসিতেই রঙ্গনের বুঝি তার প্রশ্নের উত্তর মিললো।
………………চলবে?
বিঃদ্রঃ অনুমতি ব্যতীত সকল প্রকার কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।