অদিতির যবনিকা পর্ব-২৫

0
15

#অদিতির_যবনিকা -২৫
#তিশা

স্টাডি টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে ফ্লোরা। সামনে ল্যাপটপ ওপেন করা সেখানে জাপান মিউজিক ফেস্টিভ্যালের কিছু নিউজ পোর্টাল দেখা যাচ্ছে।একটা ছবিতে রঙ্গন অদিতির সামনে হাটু মুড়ে বসে অদিতির জুতো খুলে দিচ্ছে। আর একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে রঙ্গন অদিতির কপালে অধর ছুয়ে দিচ্ছে। নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলো ফ্লোরা ছবিগুলোর দিকে। বাম চোখের কার্নিশ বেয়ে আটকে রাখা অশ্রুমালা বুঝি এবার স্বাধীনতা পেলো।

সকাল সকাল ঝলমলে হাসির ঝংকারে অদিতির ঘুম ভেঙে গেলো।ধীরে ধীরে আখি মেলে চাইলো।পৃথিবীর সবথেকে স্নিগ্ধ সুন্দর ছবিটাই বুঝি অদিতির সামনে দৃশ্যমান হলো।সোফায় বসে রঙ্গন আর আহিনা খেলছে।দুজনে মিকি মাউসের দুটো হেয়ার ব্যাণ্ড পরেছে।এর থেকে নির্মল সুন্দর কোন ছবি অদিতির কাছে হতে পারে না। ধীরে সুস্থে অদিতি উঠে বসলো। আরাফের সাথে বিচ্ছেদের পরে অদিতি ভেবেছিলো আহিনাকে নিয়েই সে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবে। কিন্তু রঙ্গন যেনো এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে তার আর আহিনার জীবনে এসেছে। অদিতি নিজের চারপাশে যে দেয়াল তুলে রেখেছিলো রঙ্গন তার ভালোবাসার মায়াজালে যেনো এক লহমায় সেই দেয়াল চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
অদিতিকে জেগে উঠতে দেখে রঙ্গন আহিনাকে নিয়ে বিছানায় এলো। রঙ্গন আর আহিনার উপস্থিতিতে অদিতি তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো। রঙ্গন আর একটা মিকি মাউজের হেয়ার ব্যাণ্ড নিয়ে অদিতিকে পরিয়ে দিলো।
– নাও পারফেক্ট।
কথাটা বলে রঙ্গন বেড সাইড টেবিলের উপর থেকে নিজের ফোনটা নিয়ে ফ্রন্ট ক্যামেরা ওপেন করতে করতে অদিতি আর আহিনাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
– স্মাইল প্লিজ।

নয়ন বেশ কিছু ফাইল এবং ছবি এনে রওনক সাহেবের সামনে রাখলেন।রওনক সাহেব চিন্তিত ভাবে সেগুলো নিয়ে দেখতে লাগলেন। দেখতে দেখতে তার চেহারার ভাব পরিবর্তন হলো। চিন্তিত ভঙ্গিতে ফাইলটা টেবিলের উপরে রেখে মোবাইলটা হাতে নিয়ে কাকে যেনো ফোন করলেন।

অদিতি সবেমাত্র একটা মিটিং শেষ করে মিটিং রুম থেকে বেরিয়েছে এমন সময় সোফিয়ার সাথে তার দেখা।সোফিয়া ঠোট বাকিয়ে হেসে অদিতির দিকে এগিয়ে এলো। অদিতি বেশ সাবলীলভাবেই অভ্যর্থনা জানালো সোফিয়াকে।সবাইকে যার যার কাজে ফিরতে বলে অদিতি সোফিয়াকে নিয়ে পুনরায় মিটিং রুমে ঢুকে সোফিয়াকে বসার আমন্ত্রণ জানালো। সোফিয়া বসতে বসতে বলল,
– বিকালে আমার ফ্লাইট তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে দেখা করে যাই।
– আমাদের সাথে নাকি রঙ্গনের সাথে?
শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলো অদিতি।সোফিয়ার ঠোটের কোণে একটা রহস্যময় হাসি ফুটে উঠলো।
– আপনি অনেক বুদ্ধিমতী অদিতি।
– বুদ্ধিমতী কি না জানি না তবে মোটামুটি কমন সেন্স আছে আর কি।
সোফিয়া শীতল কণ্ঠে বলল,
– রঙ্গন আপনাকে মাথায় করে রাখে বলেই বুঝি এত কনফিডেন্স পান? কিন্তু কতদিন? রঙ্গন তার নামের মতই রঙ্গিন দুনিয়ার মানুষ।ওর ওই ঝলমলে দুনিয়ায় আপনার মত সাদাসিধা অদিতি বড়ই বেরঙিন। রঙ্গনের জীবনে আসার আগে একবার ভাবলেন না আরাফ মাহমুদের মত সাধারণ মানুষ আপনাকে ঠকাতে পারলে রঙ্গনের মত নক্ষত্র আপনার জীবনে কতদিন স্থায়ী হবে?
অদিতি ঠোটের কোণে একটা সুক্ষ্ম হাসি নিয়ে সোফিয়ার চোখের দিকে তাকালো।সোফিয়া যেনো অদিতির শান্ত ব্যবহারে বার বার কনফিউজড হয়ে যায়।
– মিস সোফিয়া! আমি আপনার মানসিক অবস্থা মনে হয় একটু বুঝতে পারছি। আমার অতীত নিয়ে বেশ এনালাইসিস করেছেন সেটাও বুঝতে পারছি। আরাফ মাহমুদ আর রাফিয়ান রঙ্গন এক নয়।দুই বছরের সংসারে আরাফের সাথে আমার মায়া আর ভালোবাসার একটা সম্পর্ক তৈরি হলেও হয়তো বিশ্বাসের সম্পর্কটা পুরোপুরি হয়নি এজন্য তাকে এক পলক পরনারীর সাথে দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম তার সাথে আমার সংসারের যবনিকা হতে চলেছে।কিন্তু রাফিয়ান রঙ্গনের ব্যাপারে দেখুন কাল আপনি তার সাথে কত ঘেষাঘেষি করলেন। আপনাদের পুরনো বন্ধুত্বের গল্প বেশ মশলা মাখিয়ে আমাকে শোনালেন।হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন গল্প করতে। গল্পের ফাকে হাসির ছুতোয় তার গায়ে ঢলে পড়লেন তবুও আমি এক মুহূর্তের জন্য রঙ্গনকে দায়ী করতে পারলাম না।তাহলে বুঝতে পারছেন আমাদের সম্পর্কের ভীত কত মজবুত। তাই বলছি এই সমস্ত রুচিহীন কাজকর্ম করে লাভ হবে না।কারণ আমি তো আপনাকে শান্তভাবে বলছি কিন্তু ব্যাপারটা যদি রঙ্গন সামলাতে যায় তাহলে কিন্তু আপনার জন্য চাপ হয়ে যাবে।
এবার অদিতি একটু থামলো। তারপর সোফিয়ার দিকে একটু ঝুকে একটা শীতল হাসি দিয়ে বলল,
– আমার বরমশাইয়ের মেজাজ সব সময় উচ্চমাত্রায় থাকে কি না। সে কোন কিছু সামলাতে গেলেই কিন্তু বিপরীত দিকের সবকিছু তার মেজাজের লাভায় ভস্মীভূত হয়ে যায়।তাই বলছি এসব বাদ দিন। ভালো মেয়ের মতো নিজের কাজে মন দেন।
অদিতির ঠাণ্ডা কথাগুলো বেশ ভালোই অনুভব করলো সোফিয়া।সেটা তার মুখাবয়বে বেশ স্পষ্ট।কঠিন চোখে অদিতিকে কিছুক্ষণ দেখে স্বশব্দে বেরিয়ে গেলো।
সোফিয়া বেরিয়ে যেতেই অদিতি হতাশ ভাবে দুপাশে মাথা ঝাকিয়ে ভাবলো সোফিয়া এখানেই থেমে গেলে ভালো নাহলে রঙ্গনের পাল্লায় পড়লে দেখা যাবে চারপাশে দাবানল লেগে গেছে।

কেটে গেছে বেশ কিছুদিন। রঙ্গন অদিতির ভালোবাসাময় সংসার বেশ হাসিখুশিতেই চলে যাচ্ছে। কয়েকদিন পরেই রঙ্গনের ক্যালিফোর্নিয়ায় কনসার্ট। যেহেতু অদিতি তার কাজ বেশ গুছিয়ে এনেছে তাই রঙ্গন চাইছে অদিতি আর আহিনাকেও ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে যেতে।অদিতি প্রথমেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে তার এসব কনসার্টে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় কিন্তু রঙ্গন নাছোড়বান্দা। তার একটাই কথা কনসার্টে যেতে হবে না কনসার্টের পরে তিনজনে ঘুরবে ব্যাস।অবশেষে রঙ্গনের জেদের কাছে হার মানে অদিতি। আহিনা তো সেই খুশি ঘুরতে যাবে বলে।

অদিতি প্যাকিং করতে ব্যস্ত তখন জেনিফার এসে গোমড়ামুখে বলল,
– আপু আপনারা ঘুরতে যাচ্ছেন আমি যেয়ে কি করবো?
– তুমিও ঘুরতে যাবে। আহির তার জেনি আন্টি ছাড়া ঘোরা হবে কিভাবে।
বলল অদিতি।তারপর ঠোট বাকিয়ে হাসলো অদিতি।
– তাছাড়া রিফাতের সাথে ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম খাবা।
জেনিফার যেনো একটু চমকে গেলো।ইতস্ততভাবে অদিতির দিকে তাকাতেই অদিতি মৃদু হেসে বলল,
– যাও প্যাকিং করে নাও। আর আইসক্রিম শুধু নিজেরাই খাবে আমার বেবীকে দেবে না।
জেনিফার তার রক্তিম মুখাবয়ব লুকানোর উদ্দেশ্যে দ্রুত বেরিয়ে এলো ঘর থেকে।আনমনে ছুটে নিজের ঘরে যেতে নিলো শক্তপোক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলে বলিষ্ঠ দুটো হাত তাকে ধরে ফেলে।
– এই যে মিস জ্বীনি এরকম উসাইন বোল্টের মত কোথায় যাচ্ছেন?
রিফাতকে দেখে যেনো জেনিফার তেতে উঠলো।
– সব আপনার দোষ। কে বলেছিলো সেদিন আমাকে আইসক্রিম খায়িয়ে দিতে। বদ লোক কোথাকার।
কথাগুলো বলে জেনিফার হনহন করে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলো।রিফাত কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে দাড়িয়ে রইলো।

রওনক সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রঙ্গন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিরলেই তিনি বাংলাদেশে ধুমধাম করে রঙ্গন আর অদিতির বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন।কিন্তু তার মন খুব অশুভ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।কেউ একজন তো আড়াল থেকে আহিনা আর অদিতির প্রতি নজর রাখছে।এখন সেই গুপ্ত শত্রু ভয় দেখাতে চাচ্ছে নাকি ক্ষতি করতে চাচ্ছে এটা আগে বুঝতে হবে।

রাতে অদিতি আহিনাকে ঘুম পাড়িয়ে বেডরুমে এসে দেখলো রঙ্গন ফোনে কারো সাথে খুব মনোযোগ দিয়ে কথা বলছে।মুখশ্রী দেখে মনে হচ্ছে কোন ব্যাপারে চিন্তিত সে।রঙ্গন কি নিয়ে কথা বলছে অদিতি ঘর থেকে সঠিক শুনতে পেলো না। রঙ্গনের কনসার্ট সংক্রান্ত কিছু হবে ভেবে আর সেদিকে গেলো না। বিছানা গুছিয়ে পুনরায় ব্যালকনিতে তাকিয়ে দেখলো রঙ্গন রেলিংয়ে হাত ঠেকিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে গভীর ভাবনায় মগ্ন।অদিতি নিঃশব্দে ব্যালকনির উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো।
রঙ্গন অন্তরীক্ষের বিশাল শূণ্যতায় দৃষ্টি মেলে জটিল কিছু হিসাব নিকাশে ব্যস্ত। হঠাৎ উদরে কোমল স্পর্শ পেয়ে দৃষ্টি নামিয়ে অবলোকন করলো একজোড়া কোমল হাত তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে।দুশ্চিন্তা সরে গিয়ে অধর কোণে স্নিগ্ধ এক হাসি দেখা দিলো রঙ্গনের। হাত ধরে ঘুরিয়ে সামনে দাড় করিয়ে প্রেয়সীর কটিদেশ জড়িয়ে ধরে কপালে গভীরভাবে ওষ্ঠ ডুবিয়ে দিলো।
– কি এত ভাবছো?
– কানসার্টের ব্যাপারে।তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।
সুনিপুণভাবে উদ্বিগ্নতা লুকিয়ে জবাব দিলো রঙ্গন।অতি আদরে প্রেয়সীকে নিজের বিস্তৃত বক্ষে আগলে মনে মনে ভাবলো ‘আপনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি আপনার জন্য নিজেকেও বাজি রাখতে প্রস্তুত আমি।’

সকালে ক্যালিফোর্নিয়া এসে পৌছেছে রঙ্গন।জোরালো নিরাপত্তার সাথে ভি আই পি এক হোটেলে উঠেছে সে।অদিতি আর আহিনা হোটেল রুমে এসেই ঘুমিয়ে গেছে।রঙ্গন এসেই ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে গেছে কোথায় জানি।আগামীকাল তার কনসার্ট তারপর দিন একটা ছোটখাটো ফ্যান মিট আপ আছে তার।এরপরের দিনটা অদিতি আর আহিনাকে নিয়ে ঘোরার জন্য রেখেছে সে।অদিতির অফিসিয়াল কাজের জন্য দ্রুত ফিরতে হবে তা নাহলে আরো কয়েকটা দিন থাকতো সে।

অদিতি বেশ দীর্ঘসময় পরে ঘুম থেকে উঠলো।আড়মোড়া দিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো রঙ্গন সোফায় বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।ঠোটের কোণে তার মৃদু হাসি।অদিতি ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– কি দেখছো?
রঙ্গন নির্নিমেষ তাকিয়ে বলল ,
– “I want to fall asleep next to you every night, as your silent sleeping brings peace, and the only thought I want to have each morning is waking up to see your face.” (google)
অদিতির সতনু আনন মুহুর্তেই রক্তিম বর্ণ ধারণ করলো। দ্রুত উঠে ওয়াশরুমে যেতে চাইলো।চাদর সরিয়ে উঠে দাড়াতেই মনে হলো যেনো তার পৃথিবী ঘুরে উঠলো কেমন জানি ঝাপসা হয়ে এলো চারপাশ। দ্রুত মাথা ধরে বসে পড়লো বিছানায়।পুরো ব্যাপারটায় নজরে এলো রঙ্গনের। ছুটে গেলো অদিতির নিকটে।
– শরীর খারাপ লাগছে? বার বার বললাম তখন কিছু খেয়ে ঘুমাতে। প্লেনেও কিছু খেলেন না।আমি ডাক্তার কল করছি।
ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লো রঙ্গন।গৌরবর্ণের মুখাবয়বও কেমন জানি রক্তহীন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে তার।অদিতি রঙ্গনের দুই হাত মুঠোবন্দী করে বলল,
– শোন শোন শান্ত হও। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জন্য হয়তো প্রেসার ফল করেছে। কিছু খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
– কতবার বলেছিলাম খাওয়ার কথা।আমার কোন কথায় তো আপনার গায়ে লাগে না।আমি রুম সার্ভিসে কল করে খাবার পাঠাতে বলছি।
রেগে কথাগুলো বলল রঙ্গন।অদিতি একটা বোকা বোকা হাসি দিয়ে সরি বলল। রঙ্গন অদিতির ডান গালে হাত রেখে চিন্তিত সুরে বলল,
– আপনি সিউর ডাক্তার ডাকতে হবে না?
অদিতি হেসে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোঝালো।

আজ রঙ্গনের কনসার্ট। সকাল থেকেই সে বেশ ব্যস্ত। অনেক সকালে বেরিয়ে গেছে কনসার্টের ভেন্যুর উদ্দেশ্যে।আহিনা হোটেল রুমে থাকতে থাকতে বেশ অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে। তাই অদিতি আহিনা আর জেনিফারকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছে একটু। হোটেলের বিপরীত দিকে একটা ছোটখাটো পার্ক রয়েছে। অদিতি ভাবলো এখানে কিছুক্ষণ আহিনা খেলুক তারপর মন ভালো হলে হোটেলে নিয়ে যাবে। জেনিফার আর আহিনা খেলতে ব্যস্ত। অদিতি পার্কের ছোট রাস্তায় হাটছিলো হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগলে বিপরীত পাশের মানুষটির হাতে থাকা কাগজপত্র সব মাটিতে ছড়িয়ে যায়। অদিতি সরি বলে কাগজগুলো উঠাতে মানুষটিকে সাহায্য করে।কাগজগুলো উঠানো হলে অদিতি দেখলো কালো হুডি পরা বছর বিশ একুশের একটি মেয়ে। হুডিতে মাথা ঢেকে থাকার কারণে অদিতি প্রথমে ছেলে ভেবেছিলো। অদিতি পুনরায় সরি বললে মেয়েটি গভীর চোখে অদিতির দিকে তাকালো। সেই দৃষ্টিতে অদিতি একটু অপ্রস্তুত হলো। মেয়েটি শান্তভাবে বলল,
– আপনি অদিতি?
অদিতি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ,
– আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে?
মেয়েটি মৃদু হেসে বলল,
– শুধু আমি নই কোটিকোটি মানুষ আপনাকে চেনে। আপনি তো বিখ্যাত সিঙ্গার রাফিয়ান রঙ্গনের গার্লফ্রেন্ড।
অদিতি মাথা নাড়িয়ে মৃদু হাসলো।মেয়েটি একটা অমায়িক হাসি দিয়ে অদিতির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো হ্যাণ্ডশেক করার উদ্দেশ্যে। তারপর বলল ‘হাই! আমি ফ্লোরা।’

………………..চলবে?

বিঃদ্রঃ অনুমতি ব্যতীত সকল প্রকার কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।