#অদিতির_যবনিকা -২৭
#তিশা
– বাচ্চাটাকে আমাদের কাছে দিন মিস।
বডিগার্ডটির কথায় ফ্লোরা আহিনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল ,
– আপনারা কারা?কি করবেন বাচ্চাটাকে নিয়ে?
– দেখুন আমরা বাচ্চাটার ক্ষতি করতে আসিনি আপনি বাচ্চাটাকে আমাদের কাছে দিন।
ফ্লোরা আহিনাকে কোলের মধ্যে রেখেই বলল,
– আপনাদের বিশ্বাস করব কেন আমি? দেখুন আমি বাচ্চাটার বাবা মাকে চিনি আমি নিজ দায়িত্বে বাচ্চাটাকে তার বাবা মায়ের কাছে পৌছে দেব।
এমন সময় একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ফ্লোরার সামনে এসে দাড়ালো।
– আহিনা আমার নাতনী তুমি নির্দ্বিধায় আমার কাছে দিতে পারো।
ফ্লোরা ভালো করে তাকিয়ে দেখলো লোকটিকে। একবার এক আর্টিকেলে রঙ্গনের সাথে তার বাবার ছবি বেরিয়েছিলো বলে ফ্লোরা এবার চিনতে পারলো। ফ্লোরা আহিনাকে রওনক সাহেবের কোলে দিতে উদ্যত হলো এমন সময় আর একটি গাড়ি এসে দাড়ালো। গাড়ির দরজা খুলে উদ্ভ্রান্তের মতো রঙ্গন বেরিয়ে হলো। ছুটে এসে ফ্লোরার কোল থেকে লুফে নিলো আহিনাকে। শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো তার বেবীকে।আদরে আদরে ভরিয়ে দিলো ছোট্ট আদুরে মুখখানা। আহিনা পিটপিট করে তাকালো এতক্ষণে। চোখের সামনে বাবাইকে দেখে চকচকে করে উঠলো নেত্র।
– বাবাই!
– এই তো বাবাই। কোথায় চলে গেছিলে বেবী?
আহিনার কপালে আদর দিতে দিতে ধরা গলায় বলল রঙ্গন। ফ্লোরা অপলক চেয়ে রইলো রঙ্গনের দিকে। প্রেয়সীর সন্তানকে এতো ভালোবাসে না জানি প্রেয়সীকে কতটা ভালোবাসে সে।কত ভাগ্যবতী অদিতি।
– দাদুকে খুব সম্ভবত ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে রঙ্গন। ওকে রিফাতের কাছে দাও চেকাপ করানো দরকার।
রওনক সাহেবের কথায় রঙ্গনের সম্বিত হলো। আকুলভাবে রঙ্গন বলল,
– বাবা অদিতি?
– গাড়ির নাম্বার ট্রেস করতে দিয়েছি কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ির নাম্বার জানতে পারলেই অদিতিকেও খুজে বের করতে সময় লাগবে না।
রওনক সাহেবের কথায় রঙ্গন ক্লান্ত ভঙ্গিতে ফুটপাতে বসে পড়লো।দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে অসহায়ভাবে বলল,
– ট্র্যাকার লাগানো পেণ্ডেন্ট অদিতিকেও পরিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু সম্ভবত শাওয়ার নেওয়ার সময় খুলে রেখেছিল।
– চিন্তা করো না আমার লোকজন খুব দ্রুতই গাড়ির নাম্বার বের করে ফেলবে।
রঙ্গনের ঘাড়ে হাত দিয়ে আশ্বস্ত করলেন রওনক সাহেব।ফ্লোরার এতক্ষণে মস্তিষ্ক সচল হলো।দ্রুত রওনক সাহেবের দিকে নিজের ফোন বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
– আংকেল এই যে আমি গাড়ির ছবি তুলেছিলাম।
ফ্লোরার কথায় রঙ্গন তড়িৎ বেগে উঠে দাড়ালো। ফ্লোরার ফোন হাতে নিয়ে রওনক সাহেবকে বললেন,
– বাবা দ্রুত খুজে বের করো।
ফ্লোরা বলল,
– গাড়িটা বামদিকে গেছে। ওই রাস্তায় কয়েকটা পুরনো কারখানা আছে আমার মনে হয় সেগুলো খুজলেই অদিতি ম্যামকে পাওয়া যেতে পারে।
রঙ্গন যেনো আর কিছু শুনতে চাইলো না ছুটে গেলো গাড়ির দিকে।
– আমাকে মে’রে ফেললে রঙ্গন তোমাকে ছেড়ে দেবে ভেবেছো?
সোফিয়া রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল,
– রঙ্গন জানতেই পারবে না পৃথিবী থেকে তোমাকে কিভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।আর তোমার মেয়ের ভবিষ্যৎ তো আরো অন্ধকার।
অদিতি যেনো এবার ঘাবড়ে গেলো।আতঙ্কিত গলায় বলল,
– কি করেছো আমার মেয়েকে?
– ক্যালিফোর্নিয়ার সুনশান রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছি তোমার মেয়েকে।
আতঙ্কে নীল হয়ে গেলো অদিতির চেহারা।হিংস্রভাবে বলল,
– রঙ্গন জানতে পারলে তোমাকে পায়ের তলায় পিষে মা’রবে।
সোফিয়া সপাটে চড় বসিয়ে দিলো অদিতির গালে।দাতে দাত চেপে বলল,
– তোমার রঙ্গন জানতে পারলে তো?
অদিতি চোখ বন্ধ করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে যেনো তার আহিনা সুরক্ষিত থাকে।হঠাৎ সোফিয়ার আর্তচিৎকারে চোখ মেলে চাইলো সে।দেখলো সোফিয়ার হাত গড়িয়ে র’ক্ত পড়ছে।হতচকিত ভাবে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো দরজায় রঙ্গন দাড়িয়ে। অদিতি যেনো প্রাণ ফিরে পেলো। রঙ্গন দ্রুত এসে অদিতির বাধন খুলে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। অদিতি কান্না করতে করতে বলল,
– রঙ্গন আমার আহিনা! আমার আহিনাকে ওরা ওরা..
অদিতিকে আর বলতে দিলো না রঙ্গন। কপালে অধর ছুয়ে দিতে দিতে বলল,
– বেবী ঠিক আছে।দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। বেবী সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে।
রঙ্গনের কথায় অদিতির যেনো জানে পানি এলো।রঙ্গন অদিতির মুখাবয়ব আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে দিতে বলল,
– আপনি ঠিক আছেন?
অদিতি মাথা নাড়িয়ে বুঝালো সে ঠিক আছে। রঙ্গন অদিতির শাড়ির আচলের ভিতর দিয়ে নগ্ন উদরে হাত রেখে বলল,
– আর পুচকু?
অদিতি অবাক হয়ে রঙ্গনকে বলল,
– তুমি কিভাবে?
রঙ্গন মৃদু হেসে অদিতির কপালে চুম্বন একে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
– আমি আপনার গিফট বক্স দেখেছি।
অদিতিও শক্ত করে রঙ্গনকে জড়িয়ে ধরলো। ক্ষণকাল পরে অদিতিকে চেয়ারে বসিয়ে সোফিয়ার দিকে তাকালো রঙ্গন। সোফিয়া আগুন চোখে তাকিয়ে আছে রঙ্গনের দিকে। রঙ্গন সোফিয়ার দিকে তেড়ে যেতে নিলে রওনক সাহেব তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন ,
– এখন এসবের সময় নয় রঙ্গন। অদিতিকে নিয়ে হোটেলে ফিরে যাও।আমি এদিকটা দেখে নিচ্ছি।
রঙ্গন সম্মতি জানিয়ে অদিতিকে পাজাকোলে তুলে নিলো। অদিতিও কিছু বললো না রঙ্গনের বুকে মাথা এলিয়ে দিলো। শরীর মন কোনটাই তার আর সঙ্গ দিচ্ছে না। আর একটু হলেই সে তার দুই সন্তানকেই হারাতে বসেছিলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া তিনি অদিতির প্রার্থনা শুনেছেন।
গাড়িতেও অদিতিকে কোলছাড়া করেনি রঙ্গন।আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে নিজের সাথে। আর একটু হলেই নিজের সর্বস্ব হারাতে বসেছিলো সে। হাসপাতালের সামনে গাড়ি দাড় করাতেই অদিতি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে রঙ্গনের দিকে তাকালো। রঙ্গন আলিতো হেসে বলল,
– আপনি আর পুচকু ঠিক আছেন সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমার মন শান্তি পাবে না।
অদিতি ঠোট ফুলিয়ে বলল,
– তোমার সোফিয়া আমার সারপ্রাইজ নষ্ট করে দিয়েছে।
রঙ্গন হেসে অদিতির কাধে মাথা ঠেকিয়ে বলল,
– প্রেগন্যান্সি হরমোন বুঝি এখন থেকেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। আর আমার সোফিয়া কি হ্যা? পৃথিবীতে একমাত্র রঙ্গবতীই আমার।
চেকাপ শেষে ডাক্তার জানায় অদিতি এবং বেবী দুজনেই ঠিক আছে। রঙ্গন যেনো স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো। অদিতি বলল,
– বলেছিলাম না আমরা ঠিক আছি।
রঙ্গন হেসে অদিতির গালে হাত বুলিয়ে বলল,
– বলেছিলাম না আমার মনের শান্তির জন্য চেকাপ করাতে হবে।
অদিতি আলতো হাসলো। রঙ্গন তাকে একটা কেবিনের সামনে আনতেই অদিতি কৌতূহলী হয়ে তাকালো। রঙ্গন ভিতরে ঢুকতে ইশারা করলো। অদিতি ভিতরে ঢুকে আহিনাকে জেনিফারের কোলে ঘুমাতে দেখে ছুটে জেনিফারের কোলে থেকে আহিনাকে নিয়ে জড়িয়ে ধরলো। জোরে কেদে উঠলে আহিনার ঘুম ভেঙে গেলো। মাম্মামকে কাদতে দেখে আহিনা অদিতির গলা জড়িয়ে ধরে ঠোট ফুলিয়ে বলল,
– মাম্মাম কেদো না আমি আর বাবাই জুজু বুড়িকে মে’রে দিবো।
অদিতি কাদতে কাদতে আহিনার সারা মুখে আদর দিতে লাগলো। রঙ্গন এসে আহিনা আর অদিতিকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে অদিতিকে বলল,
– আর কাদে না।সব ঠিক হয়ে গেছে।
অদিতি একটু ধাতস্থ হতেই সোফায় বসে থাকা ফ্লোরাকে দেখে অবাক হয়ে বলল,
– তুমি তো?
ফ্লোরা হেসে বলল,
– আবার দেখা হয়ে গেলো ম্যাম।
রঙ্গন জিজ্ঞেস করলো,
– আপনি ওকে চেনেন?
অদিতি মাথা নাড়িয়ে বলল,
– গতকাল সকালে পার্কে দেখা হয়েছিলো।তোমার অনেক বড় ফ্যান।
রঙ্গন হেসে বলল,
– ফ্লোরা আজ অনেক বড় উপকার করেছে আমার। বেবীকে প্রটেক্ট করেছে তারপর ওর জন্যই দ্রুত আপনার কাছে পৌছাতে পেরেছি।
এরপর রঙ্গন পুরো ঘটনাটা অদিতিকে খুলে বললো। অদিতি ফ্লোরাকে জড়িয়ে ধরে বার বার ধন্যবাদ জানালো। রঙ্গন একটা কার্ড বের করে ফ্লোরার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
– আজ থেকে আমার সকল কনসার্ট তোমার জন্য ফ্রি। ভি আই পি সীটের প্রথম সারিতে তোমার জন্য একটা সীট বরাদ্দ থাকবে।
ফ্লোরা উচ্ছ্বসিত হয়ে কার্ডটা নিয়ে থ্যাংকিউ জানালো। তারপর ধীরস্বরে রঙ্গনকে বলল,
– আমি একবার আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারি?
রঙ্গন হেসে এক হাতে ফ্লোরাকে জড়িয়ে ধরে মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
– তোমার জীবনে রঙ্গনের থেকেও ভালো কেউ আসবে দোয়া করি।
ফ্লোরা অবাক হয়ে রঙ্গনের দিকে তাকালে রঙ্গন একটা আশ্বস্তের হাসি দেয় বিনিময়ে ফ্লোরাও একটা নির্মল হাসি দিলো।
রঙ্গন যখন অদিতি আর আহিনাকে নিয়ে হোটেলে ফিরলো তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে। ঘরে ঢুকেই ঘুমন্তু আহিনাকে বিছানায় শুয়ে দিলো রঙ্গন।অদিতি ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেশ হতে শাড়িটাও চেঞ্জ করা দরকার।রঙ্গন সোফায় বসে অদিতির গিফট বক্সটা আবার খুললো। ভেতরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের সাথে একজোড়া ছোট্ট মোজা আর সেই সাথে একটা চিরকুট। রঙ্গন চিরকুটটাতে ঠোট ছুয়িয়ে খুললো ‘বরমশাই দ্বিতীয়বার বাবাই হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’ রঙ্গনের অধর প্রসারিত হলো। প্রশান্তিতে ভরে গেলো মন।
অদিতি ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে রঙ্গনকে চিরকুট হাতে বসে থাকতে দেখে আলতো হাসলো।রঙ্গনের পাশে বসতেই ভাবনাচ্যুত হলো রঙ্গনের।এক হাতে অদিতিকে জড়িয়ে ধরে ললাটে চুম্বন একে দিলো।
– আপনার তো দল ভারী হতে যাচ্ছে বরমশাই।
রঙ্গন হেসে বলল,
– আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পুচকু আপনার দলেই ভিড়বে।
অদিতি মাথা উঠিয়ে বলল,
– কেন কেন? এরকম কেন মনে হলো?
– জানি না কিন্তু মনে হচ্ছে পুচকু মাম্মাম ভক্ত হবে।
কথাটা বলেই রঙ্গন হেসে দিলো। অদিতি পুনরায় রঙ্গনের বুকে নিজেকে এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো। ভাবলো একটুর জন্য মনে হয়েছিলো এই বুকে আর কখনো ফেরা হবে না।
হোস্টেলের ব্যালকনিতে বসে আছে ফ্লোরা। ন্যান্সি ফ্রেশ হয়ে এসে ফ্লোরার পাশে বসতে বসতে বলল,
– উফফ!কি যে একটা রাত গেলো।
ফ্লোরা ন্যান্সির কথা শুনে মৃদু হাসলো। ন্যান্সি এবার ধীরস্বরে বলল,
– তোর কি খুব খারাপ লাগছে রঙ্গন আর অদিতিকে একসাথে দেখে।
ফ্লোরা আয়েশ করে চেয়ারে বসে একটা আলতো হাসি দিয়ে বলল,
– রঙ্গনের প্রেমের খবর পাবলিক হওয়ার পর থেকেই না আমি খুব মুষড়ে পড়েছিলাম জানিস।কিন্তু কালকের পর খুব আশ্চর্যজনক ভাবে আমার সেরকম খারাপ লাগছে না। দেখ আমার তো রঙ্গনের সাথে কোনকিছু হওয়ার কোন চান্সই ছিল না। শুধু তাই নয় আমার তো কোনদিন রঙ্গনের মুখোমুখি দেখা হওয়ারও এক পার্সেন্ট সম্ভাবনা ছিল না। তাই না? আজ হোক কাল হোক রঙ্গন অদিতির না হলেও অন্য কারোর হতো। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে আমার রঙ্গনের সাথে দেখা হলো সব থেকে বড় কথা আমি রঙ্গনের জীবনের একটা ক্রিটিকাল অবস্থায় তাকে সাহায্য করতে পেরেছি তার পাশে দাড়াতে পেরেছি এটা আমার জন্য খুব শান্তির ব্যাপার মনে হচ্ছে।কাউকে ভালোবাসলেই তাকে পাওয়া যাবে এমন তো নয় তাই বলে জীবন তো থেমে থাকবে না তাই না? আর সেলিব্রিটিকে ভালোবাসলে তো আরো কোন কথা নেয়। আমি তো আরো ভাগ্যবান এই যে রঙ্গন নিজ হাতে তার কনসার্টের ভি আই পি পাস দিলো আমাকে।কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে পেরেছি এরকম ভাগ্য কতজনেরই বা হয়।
ফ্লোরা কিছুক্ষণ থেমে খিলখিলিয়ে হেসে বলল,
– সব থেকে বড় প্রাপ্তি রঙ্গন বুঝতে পেরেছে তার প্রতি আমার অনুভূতি অন্যরকম এজন্যই তো দোয়া দিলো যে আমি জীবনে তার থেকেও ভালো কাউকে পাবো।
ন্যান্সি বিমোহিত হয়ে ফ্লোরার কথা শুনছিলো। ফ্লোরা যে এতটা ম্যাচিউর আর অমায়িক মানসিকতার আজ প্রথম অনুভব করলো সে।
নোট- আজ থেকে ইনবক্স কমেন্ট বক্স সব দেখা বন্ধ।এত গালি আর বকাঝকা জীবনে কোনদিন খাইনি গতকাল থেকে যা খাইছি।
………………চলবে?
বিঃদ্রঃ অনুমতি ব্যতীত সকল প্রকার কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।