অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি পর্ব-১১

0
2

#অনাকাঙ্ক্ষিত_অতিথি ।১১।
#সাইরা_শেখ

সভ্যতার ডায়েরি দুপুরে পেয়েছিল মাশহুদ। কয়েকটা লাইন বাদে সে,বাকিটা পড়ার সুযোগ পায়নি বলে রেখে দিয়েছিল। সভ্যতা যেদিন যা করে, সেটা দু-চার লাইনের মধ্যে স্বল্প শব্দে লিখে রাখে। প্রথম দিকের শব্দগুলো মা-বাবাকে নিয়ে..
______________
‘আব্বু-আম্মুকে নিয়ে কি লিখবো? তাদের নিয়ে কোনটা রেখে কোনটা লিখবো? এত এত কথা কি লিখে শেষ করা যাবে? আজ আমি তাদের কাছ থেকে মানুষকে কি করে সম্মান করতে হয় সেটা শিখলাম। আজকের ঘটনাটি আমার সারাজীবন মনে থাকবে, মনে থাকবে কি করে উপেক্ষা করেও উত্তর দেওয়া যায়।’

‘আম্মু সবার সামনে বলেছে তার দুই মেয়ে দুটি রত্ন। কেউ কারোর থেকে কম নয়। আমি আর আপু দুজনেই তার কাছে সমান। কথাটা এত ভালো লাগে কেন?’

‘আজ আম্মুদের বিবাহবার্ষিকী। আব্বু আম্মুর পছন্দের ফুল আনতে ভুলে গিয়েছিল। আম্মু বেশ রাগ করেছে। আজকে আব্বুর রাতের খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। আপু গোপনে আব্বুকে খাইয়ে এসেছে। কিন্তু মাত্রই আমি আর আপু গিয়ে দেখলাম তারা দুজনে বসে খাচ্ছে। দু-বার খেতে গিয়ে আব্বুর অবস্থা খারাপ। পেটে জায়গা নেই তারপরও জোর করে খাচ্ছে। আমার হাসি এখনও থামছে না। আব্বু বলতেও পারছে না যে আপু তাকে খেতে দিয়েছে। বললেই আম্মু আবার রেগে যাবে, আম্মুকে রেখে খেয়ে নিয়েছে বলে। হা হা হা..’

‘আপুকে নিয়ে সবাই ঘুরতে গিয়েছে। আমি যাইনি কারণ আজ আপুর বার্থ-ডে। আব্বু সকালেই সবকিছু কিনে রেখে গেছে। আমার ওপর ঘর সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে।
গতকাল রাতে আপু অনেক কেঁদেছিল চাচ্চুদের কথা মনে করে, আজ ওর আফসোস ঘুচে যাবে। আবারও বুঝতে পারবে ওর চাচা-চাচি, ওর বাবা-মায়ের থেকে কোনো অংশে কম না। ও যদি এখনও বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে ঘুরতে চায়, বাইরে খেতে চায়। তাহলে তা সম্ভব কারণ আমার বেস্ট আব্বু-আম্মু আছে ওর সব শখ পূরণ করতে। বোকা মেয়েটা তারপরও বোঝে না। এমন পাগল মেয়ে আমার মতো বুদ্ধিমতি মেয়ের বোন হলো কি করে? আমার মানসম্মান সব ডুবিয়ে দেবে মনে হচ্ছে। ওপস,, ওরা এসে গেছে।

একটা কেক বানানোর ট্রাই করেছিলাম। অর্ধেক পুড়ে গেছে, অর্ধেক আটা আটা রয়ে গেছে। আমার পাগল পরিবার সেটা চেটেপুটে খেয়েছে। তাদের রুচি দেখে অবাক হচ্ছি, তাদের এই বদঅভ্যাস না গেলে আমারও শ্বশুরবাড়ি টেকা মুশকিল হয়ে যাবে। কোনো কাজকাম পারি না, গিয়ে শুধু কথা শুনতে হবে।এদের নিয়ে যে কি করি.. এমন করলে হয়?’

‘আপুর সাথে আজ ঝগড়া হয়েছে আম্মুর।আম্মুরা নাকি শুধু তার কথাই ভাবছে, নিজেদের মেয়ের কথা ভাবছে না। তাই তারা যেন কুহুর জন্য আর কিছু না করে। যা হয়েছে, যেটুকু করেছে সেটাই যথেষ্ট। এত জিনিস, গহনা, নাকি কুহু নেবে না। আম্মু সেসব শুনে কষ্ট পেয়েছে। কিছু না বলে চুপচাপ রান্না করছে। মাঝে মাঝে চোখে পানি জমছে।সেটা দেখে, আমিও আপুকে দু-চার কথা শুনিয়ে এসেছি। দুদিন পরপর সে আমার আম্মু, তার আম্মু নিয়ে যে ক্যাচাল করে তার শেষ দেখে এসেছি। জীবনে আর কখনও এমন কিছু বলার সাহস পাবে না।
এদিকে ওদের মা-মেয়ের ঝগড়া,মান-অভিমান ভাঙাতে আমি যে রাগ দেখানোর অভিনয় করলাম সেটা করেই কালপ্রিট হয়ে গেলাম।এখন ওরা মা-মেয়ে বসে কাঁদছে, আমি সামনে গেলেই আমার নিজের আম্মু আমাকে চোখ রাঙাচ্ছে, ইঙ্গিত দিয়ে বলছে ‘কেউ যেন ওনার মেয়েকে কিছু না বলে।’ আশ্চর্য! মনে হচ্ছে ওনার মেয়েকে কিছু বলার জন্য বসে আছি আমি। আমার হাতে নষ্ট করার জন্য বহুত সময় আছে? হাহ্, আমার আব্বুই ভালো। আম্মুর ভাগ ছেড়ে দিলাম, আম্মুকে কুহু নিয়ে যাক।’

‘ইদানিং আম্মু আব্বুর বেশ মন খারাপ। সামনা-সামনি প্রকাশ না করলেও আমি বুঝি, আপু চলে যাবে এটা ভাবলেও তাদের কান্না পায়। সেই চার-পাঁচ বছর বয়স থেকে কুহুকে নিজেদের মেয়ের মতো মানুষ করছে। প্রথম আব্বু-আম্মু ডাক কুহুর মুখ থেকে শুনেছে। সেই কুহু চলে যাবে। আমার আজ মনে হচ্ছে আব্বু আম্মু আমার থেকেও আপুকে বেশি ভালোবাসে। সবকিছু ওকে দিয়ে দিচ্ছে, আমার জন্য কিচ্ছু রাখছে না। ওর সংসার সাজানোই যেন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমিও যে তাদের মেয়ে ভুলেই গেছে। আপুর বিয়ে দিচ্ছে এত ভালো একটা ছেলের সাথে আর আমার?এমন বিলেত ফেরত বর। এত বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।
বুঝলাম তারা আপুকে এটা ফিল করাতে চায় না যে তারা ওর নিজের মা-বাবা নয়।কুহু এটা ভেবে আফসোস করুক ‘তার মা-বাবা বেঁচে থাকলে সবকিছু আরও ভালো হতো। সব অনুষ্ঠান, পছন্দের জিনিস, গহনা, সবকিছু আরও বেটার হতো।’ কিন্তু কুহুর আব্বু-আম্মুকে দেখে, আমি নিজের আব্বু-আম্মুকে খুজে পাচ্ছি না। সকাল-বিকাল বড়মেয়েকে মুখে তুলে খাওয়াচ্ছে, আর আমার বেলায় ‘বেড়ে খা’।উফ! আমার আব্বু-আম্মু এত ভালো কেন? একটু কম ভালো হলে আজ আমার আব্বু-আম্মু শুধু আমার হতো। যাক কোনো ব্যাপার না। আমি খুবই ভালো মেয়ে। আপুর জন্য এইটুকু ছাড় দিতেই পারি। এমন, অন্যরকম মিষ্টি পরিবারের জন্য সকল কিছু সহ্য করা যায়। ভাগ ছেড়ে দেওয়া তো সামান্য ব্যাপার। প্রয়োজনে ওদের জন্য হাসতে হাসতে জান দিয়ে দিতেও দুবার ভাববো না। মাই ফ্যামিলি ইজ দ্য বেস্ট ফ্যামিলি। আই লাভ দেম এ্যা লট লট লট… এমন আব্বু আম্মুর মেয়ে হয়ে, আর আপুর বোন হয়ে আমার জীবন স্বার্থক। এবার একটা চমৎকার বর হলেই সব সেটেল.. জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই আমার।’
______
তার পরের কয়েকটা পৃষ্ঠা খালি। বোঝা যাচ্ছে ভাগ করে, পৃষ্ঠার হিসাব রেখে লেখা হয়েছে। সব লেখার নিচেই সময় দেওয়া। চার-পাঁচ বছর ধরে জমিয়ে শব্দগুলোকে এক করেছে সভ্যতা।
_______

‘আরীব ভাইয়ের থেকেও ভালো ছেলে খুঁজে কুহু আপুর বিয়ে দেব আমি।’
‘আজ মাহিন ভাইকে দেখলাম। সে ভীষণ ভালো মানুষ। আমার কুহু আপুর জন্য তার মতো মানুষের প্রয়োজন।’
‘মাহিন ভাই আপুকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। যদিও আপু পছন্দ করে না, কিন্তু আমি যখন আছি তখন ঠিক একটা ব্যবস্থা করে ফেলবো।’
‘আপু কাঁদছে, ওই আরীব ভাইয়ের এ বাড়িতে আসার একটাও পথ খোলা রাখবো না আমি। আমার বোনের চোখের প্রতিটি অশ্রুকণার দাম দিতে হবে ওকে।’
‘ভালো লাগলো, মারিয়া ভাবি চলে গেছে। খুব খুশি হয়েছি। যে যেমন করে সে তেমন-টাই ফিরে পায়।’
‘আপুকে আজ খুশি দেখলাম, মাহিন ভাইকে পছন্দ করতে শুরু করবে মনে হচ্ছে।’
‘ইয়েহ্…আপু মাহিন ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি।ওদের বিয়ে আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
‘ইশ! ওরা গোপনে প্রেম করছে, রাত জেগে কথা বলছে ফোনে। এভাবেই সারাজীবন খুশি থাকুক আমার আপু। সবসময় সুখে থাকুক।’
‘চারমাস পর বিয়ে। এই চারমাস আমাকে নিজের কিছু বিষয়ে বদল আনতে হবে। কথায় কথায় আপুর কাছে গিয়ে সব ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। আপুর সাথে কম কম থাকতে হবে, যাতে বিয়ের পর আমাকে কম মিস করে।’
____
এমন অনেক কথা কুহুর জন্য লিখেছে সে। মাশহুদ সব লেখা পড়ার সুযোগ পায়নি। তবে খেয়াল করেছে,পুরো ডায়েরি মা-বাবা আর কুহুকে নিয়ে লেখা কেবল চারটা পৃষ্ঠা বাদে। এই চার পৃষ্ঠায় সভ্যতা তার কল্পনা নিয়ে লিখেছে। কেমন স্বামী এবং ভালোবাসার মানুষ চায় সে সম্পর্কে..
___

‘আমাকে বিয়ে করার পূর্বশর্ত, ‘আমার আব্বু-আম্মুকে শুধুমাত্র শ্বশুর-শাশুড়ি ভাবা যাবেনা।নিজের আব্বু-আম্মুর মতোই মনে করতে হবে।আমিও তোমার বাবা-মা’কে নিজের বাবা-মায়ের মতো মনে করবো, সম্মান করবো, ভালোবাসবো। কারণ আমার কাছে এই চারজনের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না।
যা তোমার,তাই আমার। আর যা আমার তা তোমারও।’
‘আম্মু-আব্বুদের দেখাশোনার সকল দায়িত্ব-কর্তব্য কেবল আমার। তাই শুধু বউ হলেই হবে এমন চিন্তা করা পুরুষকে আমি বিয়ে করবো না। আমি তাকে বিয়ে করবো যে আমার আগে আমার আব্বু-আম্মুকে রাখবে। আমার বর পরে হলেও চলবে আগে আমার মা-বাবার ছেলে হতে হবে।’

‘তাছাড়া আমাকে ভালোবাসা এমনিতেও সহজ নয়। আমার ডিমান্ড অনেক। আমাকে ভালোবাসতে হলে আমার বাজে অভ্যাসগুলোকে আপন করতে হবে, আমার স্বার্থপরতা, আমার নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে হবে। আমি নিজেকে খুশি রাখতে যা করব, তাতেই সায় দিতে হবে। সেটা টর্চারের থেকে কম নয়। আমি মানিয়ে চলতে পারি না, কথায় কথায় রাগ,তেজ দেখাই, আদরে-আহ্লাদে বড় হয়েছি বাড়ির কোনো কাজ শিখিনি। কিছু পারিনা। তবে শিখে নেব, একটু সময় লাগবে.. যদি তোমার পর্যাপ্ত ধৈর্যশক্তি না থাকে তাহলে আমি তোমার জন্য উপযুক্ত নই। আমার লজ্জাটজ্জা একটু কম, মারপিট করি, তর্ক করি, কিছু উল্টাপাল্টা দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায়। ছোট থেকে আমাকে মানুষের উপকার করা, সাহায্য করা শেখানো হয়েছে তাই মাঝে মাঝে এই অভ্যাসে তোমার সমস্যা হতে পারে। সেটা ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করতে হবে।
ধুর ধুর, এসব কল্পনা…এসব সত্যি হবে না। পাবো তো এখনকার যুগের পোলাপান.. এদের পিটিয়ে সোজা করা ছাড়া উপায় নেই। থাক, এসব ফ্যান্টাসি ডায়েরি অবধি সীমাবদ্ধ থাকুক। আমার শুধু এমন একটা বর হোক যে আমাকে ছাড়া কিছু বুঝবে না। মাহিন ভাই আপুকে যতটা ভালোবাসে,তার থেকেও বেশি ভালোবাসা যেন আমি পাই। প্রতিযোগিতায় হারা যাবে না।কে বেশি বউকে ভালোবাসে এই প্রতিযোগিতায় তোমাকে জিততেই হবে। বুঝেছ?’
______________

সভ্যতা ডায়েরি নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু মাশহুদের কাছ থেকে এভাবে কেড়ে নেওয়া সম্ভব না। কষ্টে, দুঃখে, লজ্জায় সভ্যতা এবার মাশহুদের সামনেই কেঁদে ফেলল। মাশহুদ গম্ভীরকন্ঠে বলল,
‘এখন ডায়েরি ফেরত দেওয়া অসম্ভব। আমি সব লেখা পড়িনি। আগে সব পড়া শেষ হবে তারপর দেব।’

সভ্যতা নাক টেনে বলল,’আমার আলমারি থেকে আমার ব্যক্তিগত জিনিস চুরি করেছেন আপনি। এমন চোর চোর স্বভাব কেন আপনার? আপনি জানেন না, এভাবে অন্যের ডায়েরি পড়া অনুচিত?’
‘হোক অনুচিত। এইটুকুন একটা মেয়ে কত কত কাহিনি নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছ। থাকো কি করে এত কথা চেপে রেখে?’

সভ্যতা রাগ দেখিয়ে বলল, ‘আপনি ডায়েরি দিবেন না, তাই তো?’
‘একদম তাই,দেব না।তবে তুমি যদি ৩ পয়েন্ট দিয়ে দাও, তাহলে এই ডায়েরি কেন? আমি নিজেকেই তোমার হাতে তুলে দেব। এই ডায়েরির সকল শর্ত মেনে নেব। বুঝলে, তোমার মতো খরতনাক মেয়েকে সামলানোর ক্ষমতা নেই কারোর। সবাই এই কঠিন কাজটি করতে পারবে না। একমাত্র মাশহুদ ছাড়া, সভ্যতাকে কেউ সেভাবে ভালো রাখতে রাখতে পারবে না যেভাবে সভ্যতা চায়। বিশ্বাস না করলে লিখে রাখো। প্রয়োজনে একডজন সাক্ষী রাখো। বিশ্বাস ভাঙলে শা’স্তির ব্যবস্থা করো। আমি সবকিছুতে রাজি।’

সভ্যতা কান্না থামিয়ে বলল,’আপনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে দক্ষ। ভীষণ বাজে স্বভাবের মানুষ।’

মাশহুদ হাসি থামিয়ে গম্ভীরস্বরে বলল,’কিন্তু এই বাজে স্বভাবের মানুষটির জীবনে তুমি ব্যতীত অন্য কেউ কখনও ছিল না সভ্যতা, আর ভবিষ্যতেও কেউ আসবে না। তুমি জানো আমি সত্য বলছি, আমার সম্পর্কে তুমি সবকিছু জানো। সবসময় মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে অভ্যস্ত আমি,কখনও কোনো মেয়েকে প্রশ্রয় দেইনি। এদেশে যেমন কোনো মেয়ের সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্ক ছিল না, বিদেশেও কারোর সঙ্গে আমি কোনোরূপ প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম না। তোমার, আমার চরিত্র নিয়ে বানানো এই অযুহাতটা ভীষণ নড়বড়ে। সবাই জানে তুমি তোমার মনের কথা লুকাতে এসব অনর্থক কথাবার্তা বলছ, কিন্তু আমি চলে যাওয়ার আগে, একবার তোমার দ্বিতীয় কারণটা বলো সভ্যতা। এসব অযুহাত নয়, তোমার মনে কি চলছে? কেন আমাকে বিয়ে করতে চাও না? কেন আমাকে চাও না? প্লিজ সভ্যতা.. কি সেই দ্বিতীয় কারণ যা তুমি বলবে, বলবে, বলেও বলোনি? তুমি যা চাও, যা বলবে আমি তা-ই করবো। ট্রাস্ট মি আমি তোমার সব কথা শুনবো। শুধু একবার বলো.. কেন ভালোবাসতে চাও না আমাকে?’

সভ্যতা জবাব দিতে পারলো না। মাশহুদের কন্ঠ ধরে আসছে, কাঁপছে শব্দগুলো। সভ্যতার কান্না এবার বেড়ে গেল। কিছুতেই কান্না আটকে রাখতে পারছে না সে। চোখে পানি টলমল করছে, নাক টেনে ক্ষণিকের মধ্যেই কেঁদে উঠলো সভ্যতা।

চলবে…