অপেক্ষার আঁচল পর্ব-০৪ এবং শেষ পর্ব

0
47

#অপেক্ষার_আঁচল
#লেখিকাঃশুভ্রতা_শুভ্রা
#পর্বঃ০৪(অন্তিম পর্ব)

মাহফুজা বেগম শুভ্রতার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন, তারপর হালকা মাথা নেড়ে বললেন
“ঠিক আছে মা, তুই একটু বিশ্রাম নে। খাওয়া রেডি আছে, তুই একটু খেয়ে তারপর ঘুমিয়ে নিস।”

শুভ্রতা কিছু না বলে তার রুমে চলে গেল। দরজাটা বন্ধ করে বিছানায় বসল। তার মাথার মধ্যে হাজারটা চিন্তা ভিড় করছে—রিদায়াত, তার গোপন জীবন, আর তার প্রতি নিজের ভালোবাসা। সে কিছুতেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে, কীভাবে সে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে।

রাত গভীর হতে লাগল, কিন্তু শুভ্রতার চোখে এক ফোঁটা ঘুমও আসছিল না। সে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে রইল। রাতের আকাশে চাঁদটা উঁকি দিচ্ছে, আর তার আলোয় চারপাশের সবকিছু মায়াবী লাগছে। কিন্তু শুভ্রতার মনে কোনো প্রশান্তি নেই। তার মধ্যে শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছে—সে কি রিদায়াতকে গ্রহণ করবে, নাকি তার জীবন থেকে দূরে সরে যাবে?

তখনই তার মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। সে ফোনটা হাতে নিল, দেখল, রিদায়াতের নাম ভেসে উঠছে। তার মন যেন আরও ভারী হয়ে গেল। সে কিছুক্ষণ ফোনটার দিকে তাকিয়ে রইল, তারপর ধীরে ধীরে ফোনটা ধরল।

রিদায়াতের কণ্ঠ ভেসে এল
“শুভি, আমি জানি, তুই এই মুহূর্তে খুব দ্বিধায় আছিস। আমি শুধু তোর জন্য চিন্তা করছিলাম। যদি তুই চাই, আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তোর সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে পারি। আমি তোর সিদ্ধান্তকে সম্মান করব, শুভি।”

শুভ্রতা কিছু বলল না, শুধু চুপ করে রইল। রিদায়াতও আর কিছু বলল না, শুধু তার নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। শুভ্রতার মনে একটা গভীর প্রশ্নের জন্ম হলো—সে কি সত্যিই রিদায়াতের জন্য এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত?

অবশেষে সে ধীরে ধীরে বলল
“রিদায়াত, আমি এখন কিছু বলতে পারব না। আমাকে সময় দাও, প্লিজ।”

রিদায়াত কেবল বলল
“ঠিক আছে শুভি, তুই যতটা সময় নিতে চাস, নে। আমি অপেক্ষা করব। তুই তোর মনের কথা শুনিস, আর আমি সবসময় তোর পাশে থাকব, যাই হোক না কেন।”

ফোনটা কেটে গেলে শুভ্রতা জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল। তার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন ভেসে উঠল, কিন্তু কোনো উত্তর খুঁজে পেল না। শুধু জানত, সামনে একটা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্ত আসছে। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল, আর ভাবতে লাগল, তার জীবন কোন দিকে যাবে, কীভাবে সে রিদায়াতের এই জগতের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেবে, নাকি সে সবকিছু ছেড়ে নিজের পথ বেছে নেবে?

এই চিন্তার মধ্যে, শুভ্রতা নিজের মনের গভীরে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু সে জানে না, তার এই সিদ্ধান্ত কি রিদায়াতের ভালোবাসাকে গ্রহণ করবে, নাকি তার জীবন থেকে তাকে চিরতরে দূরে সরিয়ে দেবে।

শুভ্রতা সেই রাতে ঘুমাতে পারল না। বারবার রিদায়াতের কথা, তার প্রস্তাব, আর তার জীবন নিয়ে ভাবতে লাগল। মনে হচ্ছিল, যেন তার সামনে দুটো পথ রয়েছে—একটা রিদায়াতের সঙ্গে থাকার, আরেকটা তাকে ছেড়ে যাওয়ার। কিন্তু কোনটা সে বেছে নেবে, তা সে নিজেও জানে না।

২.
পরের দিন সকাল হল। শুভ্রতা উঠে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখল, আকাশটা মেঘলা। মনে হল, প্রকৃতির এই আবহাওয়াই তার মনের অবস্থার প্রতিচ্ছবি। সে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠল, এবং নিজের মনে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করল—আজ সে রিদায়াতের সঙ্গে দেখা করবে, এবং তার মনের কথাগুলো পরিষ্কারভাবে জানাবে।

শুভ্রতা কাপড় পরে বাইরে বের হলো। পথে হাঁটতে হাঁটতে তার মনে হচ্ছিল, এই রাস্তাগুলো কত পরিচিত, অথচ আজ এগুলো যেন নতুন করে তার কাছে ধরা দিচ্ছে। সবকিছুই বদলে যাচ্ছে, কিন্তু সে জানে না, এই পরিবর্তন তার জীবনের জন্য ভালো হবে কি না।

রিদায়াতের সঙ্গে দেখা হওয়ার সময়টা ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল আগের রাতেই। শুভ্রতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। সে রিদায়াতকে কল দিল এবং বলল
“তুমি কি আজ দেখা করতে পারবে?”

রিদায়াতের কণ্ঠে খানিকটা উদ্বেগ মিশ্রিত ছিল, কিন্তু সে রাজি হয়ে গেল। তারা আবার সেই পার্কে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল।

এইবার শুভ্রতার মন বেশ পরিষ্কার ছিল। সে জানত, আজ তার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। শুভ্রতা পার্কে গিয়ে দেখল, রিদায়াত অপেক্ষা করছে। শুভ্রতা তার দিকে এগিয়ে গেল এবং বলল
“রিদায়াত, আমি অনেক ভেবে দেখেছি। আমার উত্তর—আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চাই। আমি জানি, তোমার জীবনটা সহজ নয়, কিন্তু আমি তোমার পাশে থাকব। আমরা একসঙ্গে সব সমস্যার মোকাবিলা করব।”

রিদায়াতের চোখে একধরনের আশ্চর্য আর আনন্দের ঝিলিক ফুটে উঠল। সে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল, যেন কথা হারিয়ে গেছে। এরপর সে বলল
“শুভি, তুই জানিস না, তুই আমাকে কতটা সুখী করেছিস। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমি তোকে কোনো কষ্ট দেব না।”

তারা দুজনে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল, এবং যেন সেই মুহূর্তে সব দ্বিধা দূর হয়ে গেল। শুভ্রতা জানত, সামনে হয়তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু এখন সে জানত, এই সম্পর্ককে সফল করতে তারা দুজনেই পরিশ্রম করবে।

এই মুহূর্তটি ছিল শুভ্রতা আর রিদায়াতের জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে তারা একসঙ্গে এক নতুন জীবন শুরু করার জন্য প্রস্তুত ছিল।

শুভ্রতা ও রিদায়াতের সম্পর্কের এই নতুন অধ্যায় শুরু হল। তারা দুজনেই নিজেদের মধ্যে খোলামেলা কথা বলার সিদ্ধান্ত নিল, যাতে তাদের কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়। এই সিদ্ধান্ত তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করল।

তাদের প্রতিদিনের জীবন ধীরে ধীরে একটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এল। শুভ্রতা পড়াশোনা করত, আর রিদায়াত তার নিজের কাজে ব্যস্ত থাকত। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি হল। প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোতে তারা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করতে লাগল।

—————

একদিন শুভ্রতা রিদায়াতকে বলল
“তুমি জানো, আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম, এই জীবনটা অনেক কঠিন হবে। কিন্তু এখন আমি বুঝেছি, যখন তুমি কারও সঙ্গে সত্যিকারের সম্পর্ক গড়তে চাও, তখন কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।”

রিদায়াত মুচকি হেসে বলল
“হ্যাঁ, তুই ঠিক বলেছিস। আমরা একসঙ্গে থাকলে সব সমস্যার সমাধান বের করতে পারব। আর তোর সেই কাঠগোলাপের ডালটার কী খবর?”

শুভ্রতা হাসতে হাসতে বলল
“ওহ, আমি তোকে বলিনি! আমি ডালটা লাগিয়ে দিয়েছি। এখন আমি প্রতিদিন তার যত্ন নিই। খুব শিগগিরই ফুল ফুটবে।”

রিদায়াত খুশি হয়ে বলল
“সত্যি! আমি জানি, তুই যেমনভাবে তার যত্ন নিচ্ছিস, তেমনভাবে আমাদের সম্পর্কেরও যত্ন নিবি। একটা কথা কি জানিস গাছের ডালটা তুই যখন আমাদের বাসা থেকে চুরি করিস তখনই আমি তোর প্রেমে পড়ে যাই।”

শুভ্রতা অবাক চোখে তাকালো রিদায়াতের দিকে। রিদায়াত হাসলো সেই দিনে কথা ভেবে। শুভ্রতা একটু লজ্জা পেলো।

———————–

এভাবেই কাটছিলো তাদের জীবন। তাদের জীবন ধীরে ধীরে আরও সুন্দর হতে শুরু করল। শুভ্রতা ও রিদায়াতের মধ্যে একটা গভীর বন্ধন তৈরি হল। তাদের এই নতুন জীবনটা ছিল নানা রঙে ভরা, যেখানে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না—সবকিছুই ছিল। কিন্তু তারা জানত, যাই হোক না কেন, তারা একে অপরের পাশে থাকবে।

এরপরের দিনগুলোতে তারা নিজেদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে লাগল। শুভ্রতা তার পড়াশোনা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিল, আর রিদায়াত আরও বেশি সময় নিয়ে তার কাজগুলো পরিকল্পনা করতে শুরু করল, যাতে তারা দুজনেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী থাকতে পারে।

তাদের সম্পর্ক একটা সুন্দর, স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাল। তারা দুজনেই জানত, তাদের জীবনটা সহজ হবে না, কিন্তু তারা একসঙ্গে থাকলে সবকিছুই সম্ভব।

————————-

একদিন রিদায়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অংশ নিতে বের হয়েছিল। এটি ছিল সমাজের এক প্রভাবশালী অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান, যা তার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।মিশনের জন্য রিদায়াত একটি অপরিচিত এলাকায় প্রবেশ করেছিল। তার সঙ্গীরা সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছিল। কিন্তু কিছু মুহূর্তের মধ্যে, তাদের পরিকল্পনা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। অপরাধীরা অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সশস্ত্র ছিল, এবং তারা একটি মারাত্মক অস্ত্রের সাহায্যে রিদায়াত ও তার দলকে ঘিরে ফেলে।যুদ্ধের সেই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে, রিদায়াত সাহসিকতার সাথে লড়াই করতে থাকে। কিন্তু আক্রমণকারীদের সংখ্যা বেশি ছিল, এবং তাদের হামলা অত্যন্ত তীব্র। রিদায়াত কিছুক্ষণ ধরে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, কিন্তু এক পর্যায়ে তার সামনে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাকে একটি বিপদজনক সিদ্ধান্ত নিতে হয়—অপরাধীদের মোকাবিলার জন্য একটি বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।রিদায়াত আত্মত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। সে নিজেই বিস্ফোরক ডিভাইসটি সক্রিয় করে, যার ফলে অপরাধীরা ধ্বংস হয়ে যায় এবং মিশন সফল হয়। তবে, এই সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য তার জীবন দিতে হয়। বিস্ফোরণের ফলে রিদায়াত গুরুতর আহত হয় এবং তার সাথে থাকা সঙ্গীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রিদায়াতের গুরুতর অবস্থার কারণে, তার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় না।শেষে, রিদায়াত তার জীবনযুদ্ধে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু তার আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতা সমাজে পরিবর্তন আনার পথ সৃষ্টি করে। তার মৃত্যু সমাজের জন্য একটি বড় ক্ষতি হলেও, তার সাহস এবং অমর আত্মত্যাগ একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তার মৃত্যুতে শুভ্রতা গভীরভাবে ভেঙে পড়ল। জীবনের প্রতি তার সমস্ত আনন্দ যেন হারিয়ে গেল। রিদায়াতের মৃত্যুর পর বছর চলে গেল, কিন্তু শুভ্রতার মনে রিদায়াতের স্মৃতি অমলিন হয়ে রইল।

——————

অনেক বছর পর, শুভ্রতা আর বিয়ে করেনি কাউকে। সে যে রিদায়াতকে কথা দিয়েছিলো যে তাকে সে কখনো ছাড়বেনা। সে আর প্রমিস রাখবে। তার পরিবারও হাল ছেড়ে দিয়েছে। অর্ণব অনেকবার বুঝিয়েছে। কিন্তু লাভ হয় নি।

শুভ্রতা সাদা শাড়ি পড়ে সেই কাঠগোলাপ গাছের নিচে বসে ছিল। এটি ছিলো রিদায়াতের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার দিনে লাগানো গাছ, আর এখানে বসে শুভ্রতা তার পুরনো স্মৃতিগুলোকে জীবন্ত করতে চেয়েছিল।সে একটি আবেগঘন চিঠি লিখতে শুরু করল, যা ছিল রিদায়াতের প্রতি তার শেষ অনুভূতি। চিঠির কপালে, তার চোখে কাঁদতে কাঁদতে লেখা হলো:

প্রিয় রিদায়াত,
আজ এত বছর পর তোমার কথা মনে করে এই চিঠি লিখছি। আমি জানি, তুমি কোথায় আছো, কিন্তু আমি এখানে একাকী, তোমার স্মৃতিতে ডুবে আছি। তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার হৃদয়ের গভীরে অমলিন হয়ে আছে। দেখো আজ তোমার পছন্দের বেলি ফুলে মালা খোপায় দিয়েছি। কিন্তু প্রশংসা করার তুমিটা আজ আমার পাশে নেই। আমাদের বিচ্ছেদ, তোমার মৃত্যু, সবকিছুই আমি ভুলতে পারি না। তুমি যখন চলে গেলে, আমার জীবন একটা অন্ধকারে ঢেকে গেল। আমি জানি, তুমি যেখানে আছো, সেখানে নিশ্চয়ই শান্তি পাচ্ছো, কিন্তু আমি এখানে একা, তোমার অভাব নিয়ে সংগ্রাম করছি।তোমার স্মৃতি আজও আমাকে মাঝে মাঝে কাঁদায়। আমি তোমার কথা ভাবি, তোমার হাসি, তোমার মৃদু স্নেহ—সবকিছুই আমার হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছে। আমি এখনো মনে করি, তোমার সাথে কাটানো সময়ের মতো কোনো সময় আমি আর পাব না।আমি জানি, আমাদের জীবন একে অপরের জন্য ছিল না, কিন্তু তুমি যে জায়গাটা আমার জীবনে অধিকার করেছো, সেটি কোনোদিন মুছে যাবে না। তোমার চলে যাওয়া আমার জীবনের একটি অপুর্ণ অধ্যায়।তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আজও একই রকম। তুমি আমার মনে সবসময় রয়ে যাবে, এবং আমি তোমার স্মৃতিতে চিরকাল বাঁচব।আজ এই কাঠগোলাপ গাছের নিচে বসে তোমার জন্য এই চিঠি লিখতে পারছি, এবং মনে হচ্ছে যেন তুমি এখানে আমার পাশে আছো। আমি তোমার জন্য ভালোবাসা পাঠাচ্ছি, আর তোমার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

“তোমার শুভি”

চিঠিটি লেখা শেষে, শুভ্রতা তার চোখের পানি মুছে নিয়ে গাছের নিচে রেখে দিল। সে জানত, রিদায়াতের স্মৃতি তার হৃদয়ে চিরকাল জীবন্ত থাকবে। চিঠি রেখে শুভ্রতা সেখান থেকে উঠে গেল, কিন্তু সে জানত, তার হৃদয়ের একটি অংশ সবসময় রিদায়াতের জন্য রয়ে যাবে।

#সমাপ্ত
( আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)