অপেক্ষার বসন্ত পর্ব-১৩

0
330

#অপেক্ষার_বসন্ত
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ১৩

[কপি করা নিষিদ্ধ]

“শেষ বারের মতো একবার ফোনটা রিসিভ কর। শুধু একবার কথা বলবো। তারপর আর কখনো কথা বলিস না। আমি নিজেও তোকে কখনো বিরক্ত করবো না আর।”

মেসেজটা পড়ে অর্নির খারাপ লাগছে। ইচ্ছে করছে একবার কথা বলতে।কথা বললে কি এমন হবে আর? কিন্তু কথা না বললে বারবার মনে পড়বে আর খারাপ লাগবে।ফোনটা হাতে নিয়ে বারবার দেখছে আরাফ আর কিছু লিখেছে কিনা। হঠাৎ মায়ের বলা কথাগুলো মনে পড়লো তার।সেই সাথে খালামনির আজকের কাজটাও মনে পড়তে মতামত পাল্টে গেলো অর্নির।আর কতো নিজেকে স্রোতের বিপরীতে নিয়ে যাবে? ফোনটা সাইলেন্ট করে রেখে দিলো এক পাশে। তারপর রুমের লাইটটা অফ করে শুয়ে পড়লো।বেশ ক্লান্ত লাগছে।এই মূহুর্তে একটা ঘুম খুব প্রয়োজন। ক্লান্ত থাকায় ঘুম আসতেও খুব একটা সময় লাগেনি তার।

প্রায় পাঁচটার দিকে আজানের শব্দে ঘুম ভাঙলো। শোয়া থেকে উঠে একবার ফোনটা হাতে নিলো আরাফ আর ফোন বা টেক্সট দিয়েছে কিনা চেক করতে।আরাফ তেরো বার কল দিয়েছে।সেই সাথে রুমানাও দুইবার ফোন দিয়েছে।রুমানা ফোন দিয়েছে দেখে অর্নি বেশ চমকালো।এতো রাতে কেনো সে ফোন দিলো?কোনো বিপদ হয়নি তো? বেশ চিন্তা লাগছে অর্নির।তাই দ্রুত রুমানাকে ফোন দিলো।সে বেচারি ঘুমিয়ে ছিলো।অর্নির ফোন তার মজার ঘুমটা ভেঙে খানখান করে দিলো। রুমানার বেশ রাগ লাগছে। কিন্তু সিনিয়রকে কি রাগ দেখানো যায়? তখন উল্টো তাকেই শায়েস্তা হতে হবে।ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা রিসিভ করলো রুমানা।
অর্নি সাথে সাথে বললো: রুমানা এতো রাতে ফোন দিয়েছিলে কেনো? কোনো সমস্যা?
_না ম্যাম। কোনো সমস্যা নয়। জুঁইয়ের পার্সোনাল ফোন নম্বরটা নিতে পেরেছি।

অর্নি বেশ খুশি হলো রুমানার কথায়। অনেক সময় ছোট মানুষকে দিয়েও বড়ো কাজ হয়ে যায়।তাই কাউকে ছোট করে দেখতে নেই। অর্নি তো ভেবেছিল রুমানা পারবে না নম্বরটা নিতে। কিন্তু সে পেরেছে।যাক লাভটা তো তার হলো। খুশি হয়ে বললো:এত্তোগুলো থ্যাংকস। এখন আরেকটু কষ্ট করো। আমি অফিসে যাচ্ছি। তুমি রেডি হয়ে তোমাদের বাসার নিচে দাঁড়াও প্লিজ। আমি যাওয়ার সময় তোমাকে তুলে নিবো। কিছু কাজ আছে তো তাই।

রুমানার ভীষণ কষ্ট লাগছে। প্রথমে তার ঘুমটা ভেঙে দিলো তারপর তাকে আবার কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে।রাগ হচ্ছে ভীষণ কিন্তু মনে মনে ভাবছে,কতো সুন্দর করে তাকে বলছে যাওয়ার জন্য।অন্য সিনিয়ররা তো জোর গলায় অর্ডার করে শুধু। সিনিয়র হয়ে এতো সুন্দর করে রিকোয়েস্ট কতোজন মানুষ করে?হাতে গোনা কয়েকজন এমন পাওয়া যায়।তা রুমানা ভাগ্য করে পেয়েছে।এই ভেবে সে “ওকে ম্যাম আসুন” বলে ফোনটা কেটে দিলো।

অর্নি দ্রুত ফোনটা রেখে নিজের কাজগুলো সেরে রেডি হয়ে গেলো। পাশাপাশি রান্নাঘরে গিয়ে ব্রেকফাস্ট রেডি করলো। কোনো রকম সব কাজ শেষ করে সে বেরিয়ে যাবে তখনি তার মা দেখলো। গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলেন তিনি:এতো সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছিস?
_অফিসে যাচ্ছি। কিছু ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে‌।
_আসলি তো রাতের এগারোটায়। এখন ভোর ছয়টার আগেই বের হয়ে যাচ্ছিস।তো না এসেই পারিস একেবারে।

অর্নি মায়ের কথায় একবার চোখ তুলে তাকালো। গতকাল রাতেও বেশ রাগারাগি করেছে তার মায়ের সাথে। এখনো কি রাগারাগি করলে চলে? তবু মনে মনে রাগ হয়। কাছের মানুষের তো অন্তত মনের কষ্টগুলো বোঝা উচিত। দূরের মানুষদের সাথে রাগ দেখিয়ে লাভ কি?তারা কি রাগের অর্থ বোঝে?যারা রাগের কারণগুলো বুঝতে পারে তাদের সাথেই রাগ করা মানায়। অন্যদের সাথে নয়।তাই তার সব কষ্টগুলো রাগ হয়ে মা-বাবার কাছে গিয়ে পড়ে। চুপচাপ মাকে কোনো জবাব না দিয়ে বেরিয়ে গেলো সে।

গাড়িটা আজ নিজে ড্রাইভ করে যাবে সে‌। সকাল সকাল একজন পুরুষ ড্রাইভার সাথে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে একা যাওয়া বেস্ট মনে হয় তার কাছে। প্রথমে রুমানার বাসার নিচে গিয়ে তাকে তুলে নিলো। দুজনেই একসাথে তারপর অফিসে গেলো। আজকে সব রহস্য বের করতে হবে তাকে।তার জন্য যতো চেষ্টা করতে হয় সব করবে সে।

অফিসে গিয়ে রুমানাকে বললো তার ফোন নম্বর দিয়ে কল লিস্টটা বের করতে। রুমানা গিয়ে কল লিস্টটা বের করলো। তারপর অর্নির ডেস্কে এসে তাকে বললো: ম্যাম একটা নম্বর থেকে অনেকবার ফোন এসেছে। আমার মনে হয় এই নম্বরটায় আমরা খুঁজছি।
অর্নি রুমানার হাত থেকে লিস্টটা নিয়ে বললো:দেখি কোন নম্বরটা?
রুমানা তাকে হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলো।

নম্বরটা দেখে অর্নি হঠাৎ চমকে গেলো। মনে হলো একটা শক খেয়েছে সে।এটা তো হতে পারে না। কখনো না।সে বিশ্বাস করতে পারছে না।কারণ নম্বরটা আর কারো নয় রকির।রকির সাথে জুঁইয়ের এতো কিসের কথা ? ভ্রু কুঁচকে রুমানাকে বললো: তুমি কি সিউর এটা জুঁইয়ের পার্সোনাল নম্বর?
_হুম ম্যাম।এই নম্বর থেকে উনি আমাকে ফোন করেছিলেন।
_কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশেষ করে এই নম্বরটা হতে পারে না। এটা তো আমার কাজিনের নম্বর। উনার সাথে জুঁইয়ের কি সম্পর্ক থাকতে পারে?
রুমানা অর্নির কথাটা শুনে একটু চুপ থাকলো। তারপর বললো:ম্যাম,আপনার কোন কাজিন? গতকাল হাসপাতালে যাকে দেখেছেন সে?
_হ্যাঁ হ্যাঁ সে।দেখলে তো উনি কতো ভদ্র। উনি এসবে থাকতেই পারে না।

রুমানা একটু হাসলো অর্নির কথায়।কতো সহজে অর্নির মতো একজন বিচক্ষণ মেয়েকে বোকা বানিয়ে ফেললো রকি। আসলেই পৃথিবীর বুকে মানুষের মনের ভেতরটা বোঝার চেয়ে কঠিন কাজ আর কিছুই নেই।কতো বুদ্ধিমান মানুষ সহ মানুষের মনের জটিল খেলার কাছে হেরে যায়। তেমন অর্নি হেরে গেলো রকির বুদ্ধির কাছে।

রুমানা একটু হেসে বললো: ম্যাম,আপনাকে একটা নিউজ দেওয়ার ছিল। গতকাল বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু রকির প্রতি আপনার বিশ্বাস দেখে আর কিছু বলিনি।
_কি নিউজ?
_ম্যাম গতকাল আমি জুঁইয়ের ফোনের স্ক্রিনে ওর ছবি দেখেছি। হয়তো এই জুঁইয়ের সেই প্রেমিক পুরুষ যার জন্য জুঁই পারভেজকে ডিভোর্স দিয়েছে।
_কি বলছো তুমি এসব?
_সত্যি বলছি ম্যাম। আপনি একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। হয়তো কোনো তথ্য পাবেন।

অর্নি এবার রুমানার দিকে তাকালো। খোঁজ নিয়ে দেখতে আপত্তি তো নেই।আরাফ কি তাহলে এটাই বলতে চেয়েছিল গতকাল রাতে?এই কথাটা বলতে আরাফের এতো সময় নিতে হলো কেনো?সে তো সহজেই অর্নিকে সব কথা বলতে পারতো।কাকে এতো ভয় পেলো সে?কেনোই বা এতো ভয় পেলো সে?সব খবর নিতে হবে।

অর্নি একবার থেমে রুমানাকে বললো: জুঁইয়ের লোকেশনটা ট্র্যাক করো।ওর সাথে আজকে সামনা-সামনি কথা বলবো।

রুমানা দ্রুত ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করলো। “ম্যাম লোকেশন দেখাচ্ছে “এফ‌এ ভিলা”।
কথাটা শুনে অর্নি চমকে গিয়ে রুমানার দিকে তাকালো। দ্রুত রুমানার হাত থেকে ল্যাপটপটা নিজের হাতে নিয়ে নিজের চোখে একবার পর্যবেক্ষণ করলো সে। কারণ “এফ‌এ ভিলা” আরাফের দাদার একটা পছন্দের বাংলো। যদিও বাংলোটা তিনি নিজের পছন্দে বানিয়েছিলেন কিন্তু গত বছর তিনি বাংলোটা আরাফের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।এমনকি আরাফের দাদা আরাফের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে “এফ‌এ ভিলা” নামটা ঠিক করেছিলেন।তার মানে “এফ‌এ ভিলা” এর বর্তমান মালিকানা আরাফের হাতে। যেহেতু বাংলোটা আরাফের তাহলে নিশ্চয় জুঁই আরাফের সাথে আছে।কথাটা মাথায় আসতেই অর্নির মুখটা শক্ত হয়ে গেলো।রুমানাকে আরাফের নম্বরটা দিয়ে বললো:এই নম্বরটা ট্র্যাক করো এবার।

রুমানা আরাফের নম্বরটা ট্র্যাক করে বললো:ম্যাম, এই লোকেশনটা সিটি হাসপাতালে দেখাচ্ছে।
অর্নি এবার কিছুটা শান্ত হলো।তার মানে আরাফ হাসপাতালে আছে। তাহলে জুঁই কার সাথে গেলো এফ‌এ ভিলাতে? জীবনে অর্নি কখনো যায়নি সেখানে। শুধু দূর থেকে দেখেছিল সে বাড়িটা। তাহলে জুঁই কিভাবে সেখানে গেলো?তাও আবার আরাফ হাসপাতালে আছে।

হঠাৎ মাথায় আসলো রকির সাথে যায়নি তো? অর্নি এবার রুমানাকে আবারো রকির ফোনটা ট্র্যাক করতে বললো।তার জবাব পেয়ে অর্নি আরেক দফা শক খেলো।কারণ রকিও এফ‌এ ভিলাতে আছে।তার মানে জুঁই আর রকি একসাথে আছে।আর আরাফ বেচারা দেবদাস হয়ে হাসপাতালে ঘুরছে।না পেলো জুঁইকে আর না পারলো অর্নির সাথে সংসারটা সাজাতে। পৃথিবীতে তার চেয়ে ব্যর্থ পুরুষ আর আছে কিনা কে জানে?

অর্নির বেশ অবাক লাগছে বিষয়টা। মনে হচ্ছে আজকে সে স্বপ্ন দেখছে সব।এভাবেও হতে পারে? কতো সহজে আরাফকে সে ভুল বুঝলো।দোষ অবশ্য তার নয় আরাফের।কারণ আরাফ তাকে কিছুই খুলে বলেনি।সব অর্নির খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সিআইডিগিরি করে বের করতে হচ্ছে।বেশ হয়েছে আরাফের সাথে। রেগে গিয়ে মনে মনে বললো: একদম উচিত শিক্ষা হয়েছে তাহলে মশাইয়ের।আরো শাস্তি হ‌ওয়া উচিত তোমার।আরো ঘুরো জুঁইয়ের পেছনে। পরকিয়া করার মজা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাও।

একটু পর অর্নি রুমানাকে বললো:চলো এফ‌এ ভিলাতে যাবো। জুঁই এবং রকি ভাইকে হাতেনাতে ধরবো আজ। বেশ খেলেছে তারা আমাকে নিয়ে।

রুমানা তার কথা শুনে উঠে দাঁড়ালো।দুজনেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। লোকেশন অনুযায়ী রুমানা গাড়ি চালাচ্ছে আর অর্নি বসে আছে।মনে মনে সব হিসাব মিলাচ্ছে সে।রকি গতকাল তাকে হাসপাতালের সামনে সব মিথ্যা কথা বলেছিল।আরাফ কিছু ভুল করলেও তার খালা কোনো ভুল করতে পারেন না। তিনি বেশ বুদ্ধিমতী মহিলা।রকি মিথ্যা বলেছে আরাফ এবং তার মায়ের নামে।আরাফের মা মিসেস আরমিন কখনো জুঁইকে আরাফের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারেন না। এখন বিষয়টা মাথায় আসছে অর্নির। কিন্তু গতকাল কতো সহজে সে রকির কথাগুলো বিশ্বাস করে নিলো।রকির কথায় নিজের কাছের মানুষদের ভুল বুঝলো অর্নি। কতোটা বোকা সে। মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করলে এভাবে বোকা হয়ে যেতে হয়।

অর্নি বিষয়টা এখন বুঝতে পারছে ।তার মানে রকি চায় আরাফ আর অর্নির মাঝে দূরত্ব হোক। কিন্তু কেনো?এতে রকির লাভ কি?

গাড়ি পৌঁছালো এফ‌এ ভিলার গেইটে। দারোয়ান গেইটে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের দেখে আটকালো।
_ভেতরে যাচ্ছেন কেনো?এখন ভেতরে যেতে পারবেন না।
দারোয়ানের কথায় অর্নি আর রুমানা থামলো।অর্নি একবার দারোয়ানের দিকে তাকালো। তারপর বললো:কেনো ভেতরে যেতে পারবো না?
_ভেতরে স্যার-ম্যাম আছেন।তাই এখন কাউকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই।
দারোয়ানের কথায় অর্নি বেশ চমকালো।রকিকে দারোয়ানটা এতো প্রায়োরিটি দিচ্ছে কেনো অর্নি বুঝতে পারছে না। রুমানা এবার দারোয়ানকে তাদের আইডিটা দেখালো। রাগী গলায় বললো:এখনো আটকাবে আমাদের?
দারোয়ান আইডি কার্ডটা দেখে চমকে গেলো। দ্রুত গেইট খুলে দিয়ে বললো:ম্যাম আপনারা যেতে পারেন।

অর্নি আর রুমানা ভেতরে গেলো।বাড়িটা বেশ সুন্দর করে সাজানো। সামনে কতো সুন্দর ফুলের গাছ লাগানো। একদম অর্নির মনের মতো একটা বাড়ি। মনে মনে হিংসা হলো তার।সে আরাফের স্ত্রী হয়েও কখনো এই বাড়িটা দেখতে আসতে পারলো না।থাকবে তো দূরের কথা। কিন্তু জুঁই কতো ভাগ্যবতী। এখানে এসে রাত কাটায় সে।আরাফের দাদা কতোটা শখের সাথে বাংলোটা বানালেন তা দেখেই বুঝতে পারছে অর্নি।

মেইন গেইটে গিয়ে বেল বাজালো অর্নি। কয়েকবার বাজানোর পর দরজা খুললো।রকি খুলেছে দরজাটা।ঘুম থেকে উঠে এসেছে মাত্র।তার চোখেমুখ দেখে বুঝতে পারছে অর্নি। এছাড়াও আরেকটা বিষয় আবিষ্কার করলো সে যা এতোদিন জানতো না।রকিকে দেখে মনে হচ্ছে সে মাতাল হয়ে আছে।তার মানে রকি নেশাও করে।এতো কিছু অর্নি বুঝতেই পারলো না। চোখ বন্ধের মধ্যে রকি বললো:এতো সকাল সকাল বিরক্ত করছিস কেনো?
অর্নি কথাটা শুনে হাসলো। শান্ত কন্ঠে বললো: আমাদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়ে আর কতো শান্তিমতো ঘুমাবে বলো?তাই আসলাম ঘুমটা ভেঙে দিতে।
রকি কথাটা শুনে দ্রুত সামনে তাকালো। চোখ দুটো খুলে দেখার চেষ্টা করলো সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে সাথে তার চোখগুলো বড় হয়ে গেলো। বেশ চমকে গিয়ে বললো:অর্নি তুমি?

চলবে….