অপ্রিয় মাস্টার পর্ব-০৬

0
225

#অপ্রিয়_মাস্টার
পার্ট [০৬]
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম

নিস্তব্ধ রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে আছে কন্ঠ, ভীষণ ভাবে কাউকে মিস করছে। কিন্তু কাকে? তাই তো খুঁজে পাচ্ছে না।মনের মধ্যে অশান্ত লাগছে,কেন জানি কাউকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করছে। নিস্তব্ধ এই রাত যেন এই ইচ্ছা কে প্রবল ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে কন্ঠ, রূপালী থালাকৃতি চাঁদ জল জল করছে আকাশ জুড়ে। চাঁদ কে ঘিরে তারারা মিট মিট করে জ্ব’লছে, সুন্দর একটি পরিবেশ।চোখ দুটো বন্ধ করতে ভ’য় হচ্ছে তার,চোখ বন্ধ করলেই তূর্য স্যারের মুখশ্রী ভেসে উঠছে। অজান্তেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল,হ্যা স্যার একটু বেশি রাগী, গম্ভীর এবং খিটখিটে মেজাজের। কিন্তু তবুও ভালো লাগে,এই এই তার মানে এই ভালো লাগা অন্য কিছু নয়।

নিজেই নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করছে কন্ঠ, মনে মনে বেশ আনন্দ লাগছে।নীলার সাথে সাফিন ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, সামনের সপ্তাহে ওদের বিয়ে। সবাই চায় বিয়েটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাক, বিয়ের পরপরই লন্ডনে চলে যাবে সাফিন, ওখানে ওদের বিজনেসের নতুন একটা ব্র্যাঞ্জ খুলবে তাই ওখানে একজন কে থাকতে হবে। তূর্য নিজের প্রফেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, মাঝে মাঝে বিজনেসে ইচ্ছে হলে মাথা ঘামায় না হলে নয়।

ল্যাপটপ কোলে নিয়ে বসে আছে তূর্য, হঠাৎ মুঠো ফোন টুং টুং শব্দ করে বেজে উঠল।হাতে নিতেই স্ক্রিনে দেখতে পেলো সহিতার নাম। তপ্ত শ্বাস ফেলে তূর্য, সত্যি সে সহিতা কে কষ্ট দিতে চায় না কিন্তু মেয়েটা বুঝতেই চাইছে না যে, সে তাকে ভালোবাসে না।
যাই হোক তাকে এটা বুঝতে হবে।
ফোন অফ করে ল্যাপটপ রেখে বিছানায় শুয়ে পড়ল তূর্য।
____________
বেশ অনেক দিন কে’টে গেছে, এর মধ্যে কন্ঠ রিয়া দুজনের মধ্যে একজনও কলেজে যায়নি,দেখতে দেখতে নীলার বিয়ের দিন চলে এলো।কাল গায়ে হলুদ সকালে, বিকেলে মেহেদী এবং রাতে বিয়ে।সেই উপলক্ষে বাড়ি সাজানো হচ্ছে,সব কিছু মোটামুটি শেষ। শপিং থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা এবং সবই ঠিক আছে,একা হাতে সবটা করছে তুফায়েল।আহাদ আহমেদ,সাহাদ আহমেদ দু’জনে বলেছিল ওরা সাহায্য করবে কিন্তু তুফায়েল মুখের উপর বলে দিয়েছে,ওর বোন ওই তো সব করবে।

ছেলের পরিবর্তন দেখে কিঞ্চিৎ উৎসাহ নিয়ে আবারো আনিকা আহমেদ তুফায়েল কে বিয়ের কথা বলেছিল, কিন্তু সেই আগের ন্যায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তুফায়েল।

গায়ে হলুদের সময় অনুষ্ঠানে কন্ঠের বন্ধুরা সবাই আসে, ওদের দেখেও না দেখার ভান করে থাকে কন্ঠ।আপাতত ওর মনে ওদের জন্য খুব অভিমান জমে আছে কারণ সেদিন রেস্টুরেন্টে ওরা ওকে একা ওই গম্ভীর স্যারের কাছে ফেলে চলে গেল।
সবাই বিষয়টি আন্দাজ করতে পারছে,সান কন্ঠের কাছে এসে বলে।

” হেই কন্ঠ তোর কন্ঠ স্বর শুনার জন্য মন আনচান আনচান করে।”

সানের কথায় হাসি পেলেও কন্ঠ নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়ায়,তারিফ কন্ঠের কাঁধে হাত রেখে বলে।

” ফাইট্টা যায় বুকটা ফাই’ট্টা যায়, কন্ঠ যখন আমার সামনে নিশ্চুপ ভাবে হাই’ট্টা যায় তখন বুকটা ফাই’ট্টা যায়।”

এবার আর কন্ঠ না হেসে থাকতে পারল না, হুঁ হুঁ করে হেসে উঠলো।

হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পড়েছে তূর্য,ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজেকে একবার পরখ করে নিল।

হলুদ রঙের একটা থ্রি পিস পড়েছে কন্ঠ, কিন্তু তা বিন্দু মাত্র মনে ধরল না আনিকা আহমেদের। ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে উঠেন।

” বিয়ে তো আমার মেয়ের কিন্তু তোর এত সাজগোজ করার কারণ বুঝতে পারছি না? আচ্ছা তুই কি ভাবছিস যদি বিয়েতে কোনো বড়লোক ছেলে পেয়ে যাস আর গলায় ঝু’লে যেতে পারিস?যদি এসব কিছু ভেবে থাকিস তাহলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। ছিঃ ছিঃ এমন মেয়ে জীবনেও দেখিনি।”

অশ্রুসিক্ত কন্ঠে শুধায় কন্ঠ।

” ছোট মামী তুমি এসব কেন বলছো? আমি তো এসব করা দূরে থাক ভাবি না পর্যন্ত।”

অনিকা আহমেদ ফির আগের ন্যায় ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে বলে।

” চুপ কর তোকে চেনা হয়ে গেছে আমার,তাই এসব ন্যা’কা’মো আমার সামনে করিস না।”

বড় বড় পা ফেলে চলে গেলো আনিকা আহমেদ কিন্তু ছু’রি বিহীন ক্ষ’ত বি’ক্ষ’ত করে গেলো কন্ঠের ছোট হৃদয় কে, কষ্টে বুকটা ভারি হয়ে উঠেছে তার, আঁখি যোগল থেকে গড়িয়ে পড়লো দু ফোঁটা অশ্রু কিন্তু তা সবার অগোচরে রয়ে গেল।

খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে সবটা দেখলো সোহা,তারিফ,সান ও তাহিয়া, হতবাক হয়ে যায় চার জন। রিয়ার কাছ থেকে সব কিছু জেনেছে কন্ঠের সম্পর্কে তবে সত্যি যে তার সাথে এমন আচরণ করা হয় কস্মিনকালেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি।
________
” স্যারররর আবার আপনি?এ্যা এ্যা সত্যি বিশ্বাস করুন এই যে মাথা ছুয়ে বলছি আমি ইচ্ছে করে কিচ্ছু করিনি।”

তী’ক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তূর্য, পাঞ্জাবিতে হলুদের দাগ স্পষ্ট জল জল করছে। একবার পাঞ্জাবি দেখছে পরক্ষণেই গম্ভীর চাহনিতে পরখ করছে কন্ঠ কে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হচ্ছিল,সব ছেলেমেয়েরা একে একে মজা করছে। অনেক দিন পর বাড়িতে এমন আনন্দের উল্লা’স হচ্ছে তাতে তাল না মিলিয়ে থাকতে পারে কন্ঠ?নীলা কন্ঠ কে নিজের কাছে বসায়,নাচ গান হই হই চলছে। ছোটদের মধ্যে থাকতে চায় না বড়রা তাই ওরা ড্রয়িং রুমে চলে আসে, ওদিকে বাগানে সবাই নিজেদের মধ্যে আনন্দ করতে ম’ত্ত। কিছুক্ষণ পর রিয়া এসে বলে সাফিন ভাইয়া এসেছে, হঠাৎ সাফিন আসার খবর শুনে লজ্জায় মিহিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে নীলার।সাফিন ভাইয়ার সাথে ওনার বড় ভাই আসছে এটাও কর্ণ স্পর্শ করল কন্ঠের।

সোহা একে একে সবার মুখে হলুদ লাগিয়ে দেয়, কন্ঠ হলুদ নিয়ে দৌড় যায় রিয়া কে লাগাতে তার মধ্যে সাফিন ভাইয়া প্রবেশ করে প্যান্ডেলের ভেতর। কন্ঠ কে আসতে দেখে সরে যায় সাফিন,পিছন দিয়ে ঢুকছিল তূর্য, প্রবল বেগে ছুটে আসছিল কন্ঠ যার দরুন সামনে কে ছিল তা আন্দাজ করতে পারল না হুমড়ি খেয়ে সামনের লোকটির উপর পড়ে গেল, ফলস্বরূপ হাতের সবটুকু হলুদ তূর্যের পাঞ্জাবিকে হলুদ রঙে ডেকে দেয়। তূর্য কে দেখা মাত্র বড় সড় ধাক্কা খায় কন্ঠ,দু পা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়। তূর্য কে এভাবে হলুদে লেপ্টে থাকতে দেখে সাফিন হেসে উঠলো।

” ও মাই গড ভাইয়া তোমার এটা কী অবস্থা হলো?বাই দা ওয়ে কন্ঠ তাহলে আমার ভাইয়া তোমার স্যার হয়?”

সাফিনের কথায় আর বুঝতে বাকি রইল না কন্ঠের যে ইনিই হলেন ওর হবু বেয়াই। হেঁচকি ওঠা শুরু হয় কন্ঠের, ওদিকে কন্ঠের বন্ধু মহলের একই অবস্থা,এক প্রকার হাঁটু কাঁপছে ওদের।
কন্ঠ আর দাঁড়াতে পারল না জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই যাবে শক্ত পোক্ত বলিষ্ঠ হাতে আগলে নেয় তূর্য।
_________
সন্ধ্যায় ছাদে দাঁড়িয়ে আছে কন্ঠ, আকাশের বুকে মেঘ জমছে যেকোনো সময় বর্ষন হবে, হয়তো এই বর্ষনের সাথে সাথে তার আঁখি থেকেও দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে।এই নোনা জল কেউ দেখবে না, বৃষ্টির পানির সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে।

তাকে কড়া ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নিচে যাওয়া থেকে যেন সে বিরত থাকে।নিচে কথা বলার গুন গুন শব্দ শুনা যাচ্ছে, তপ্ত শ্বাস ফেলে রুমের দিকে পা বাড়ায় কন্ঠ। কিন্তু পা দুটো আর এগুতে পারল না,থমকে যায় সে। কানে ফোন গুঁজে আছে তূর্য, হাতে দু তিনটে প্যাকেট আছে।প্যাকেট গুলো সামলাতে পারল না সে, আঙুলের ইশারায় কন্ঠ কে কাছে ডাকে। শুকনো ঢুক গিলে কন্ঠ,ধীর পায়ে এগিয়ে যায় কিঞ্চিৎ দূরত্ব রেখে দাঁড়ায়।হাতের ব্যাগ গুলো কন্ঠের হাতে ধরিয়ে দেয় তূর্য, অতঃপর ফোনে কথা বলতে বলতে নিচে চলে যায়।বোকার মত দাঁড়িয়ে আছে কন্ঠ,এটা কী হলো? এগুলো কিসের প্যাকেট?
_______
ফুল দিয়ে নতুন বউ কে বরণ করে ঘরে তুলে নিয়েছেন শাহা খান, ওনার পাশে দাঁড়িয়ে আছে অহনা খান।লাল রঙের শাড়ি পরিহিত টুকটুকে বউ সেজে সাফিনের হাত ধরে খান বাড়িতে প্রবেশ করে নীলা।এক নতুন জীবনের সূচনা হবে, নতুন করে নিজেকে সাজিয়ে তুলবে আর এই জীবনে সাফিন নামক পুরুষ তার পাশে থাকবে আমৃ’ত্যু।

কলেজের ক্যান্টিনে ঠায় বসে আছে কন্ঠ,সোহা,রিয়া,তাহিয়া,সান, তারিখ,কেউ কিছু বুঝতে পারছে না। কারো কপালে হাত তো বা কারো গালে হাত দিয়ে বসেছে।বার বার একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করেছে, নিরবতা বিরাজ করছে সবটা জায়গা জুড়ে।নিরবতা ভে’ঙ্গে অবশেষে কন্ঠ বলে উঠলো।

” এই এখন কী হবে? এখানে তো এখন তূর্য স্যার আমাদের বেয়াই হন।

সান ভাবলেশহীন ভাবে বলল।
” হা হা বেয়াই হয় তোদের দুই বোনের আমাদের নট, আমরা বাইচা গেছি।”

তারিফ সানের কথায় সহমত প্রকাশ করে বলে

” ইয়েস, এখন কন্ঠ এন্ড হিজ বইনা রিয়া তোরা পড়া শুনা করবি তোদের বেয়াইয়ের কাছে হুঁ হুঁ”

কন্ঠের নাকের পাটাতন মূহুর্তের মধ্যে ফুলে উঠে। আঙুল নাচিয়ে বলল।

” তোরা কী আমার বন্ধু? এভাবে বিপাকে ফেলে একা টই টই করে ঘুরে বেড়াবি?”

সোহা শান্তনা দেওয়ার নাম করে কন্ঠ বলে।
আহ্ রে খষ্ট, ইশ্ তোরা থাম ওদের দিকটা এট্টু বেশি না এট্টু বোঝার চেষ্টা কর।”

সবাই সোহার এমন কথা আ’টকে বলা শুনে পেট চেপে হাসতে লাগল।

” এ্যা ভ্যা আমার কী একটা অবস্থা তার উপর ওই স্যার কাল বাড়িতে কিসের প্যাকেট ফেলে গেছে,ওইটাও তো দিতে হবে।বড় মামী বলছে বিকেলে ওদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য, তূর্য স্যারের মা, আন্টি বলেছে আমাকে আর রিয়া কে যাওয়ার কথা।”

রিয়া শুকনো ঢুক গিলে বলল।

” আমি নাই বাবা, আমি যাবো না।”

তারিফ ভ্রু কুঁ’চকে বলে।

” ওই তোরা এত ভয় পাচ্ছিস ক্যা?তোরা হলি ওই বাড়ির আত্মীয় বুঝলি?যদি তূর্য স্যার কিছু কয় তাহলে চেঁচিয়ে সারা বাড়ি মাথায় তুলে দেবি তাহলে আর ভয়ে কিছু কইবো না স্যার।”

কন্ঠের চোখ দুটো চিক চিক করে উঠল,মুখে বিস্তর হাসি নিয়ে বলল।

“‌ওরে ওরে তারিফ এইটা তো ভাবি নি, বাহ্ এইটা ঠিক বলেছিস।”

তারিফ খানিকটা ভাব নিয়ে বলল।
” ইয়েস আমি অলওয়েজ ভালো বলি,হুউ।”

সান ঠাস করে চা’টি মা’রে তারিফের মাথায়।

ক্লাসে বসে আছে কন্ঠ,রিয়া ওরা আসছে বলে ক্লাস এটেন্ড করেনি। বিরক্ত লাগছে তার একা ক্লাস করতে।
তূর্য আড় চোখে তাকায় কন্ঠের দিকে,ওই চোখে চোখ পড়তেই বারংবার কেঁপে উঠে কন্ঠের হৃদয় য’ন্ত্রটা। হঠাৎ নিজের কোলের উপর কিছু একটা পড়ল,নিচে তাকাতেই দেখতে পেলো কাগজের টুকরো ভালো করে মুড়িয়ে আছে,যেদিক থেকে এসেছে সেদিক পানে চোখ দেয় কন্ঠ,সান দাঁড়িয়ে আছে।ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে বাকিরা।সান হাতের ইশারায় কাগজ পড়তে বলে,কাগজ খুলে দেখে কন্ঠ।

” কী রে পড়াখুড় ক্লাসে ক্যা তুই?বাইর হইয়া আয় কইয়া দিলাম? পরীক্ষায় পাশ করার চেষ্টা? আমাগো রেখে অন্য ক্লাসে উঠতে দিতাম না।বাইর হইয়া আয় ব’জ্জা’ত স্যারর ক্লাস করতে হবে না।”

সানের লেখা চিরকুট পড়ে শব্দ করে হেসে উঠল কন্ঠ,পর মূহুর্তে খেয়াল করল পুরো ক্লাসের মধ্য মনি সে।বুকছ হাত গুজে ভ্রু উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তূর্য।

“‌ওরে বাবা স্যার আমার দিকে ওমনে তাকিয়ে আছে কেন?”

ধীর পায়ে এগিয়ে আসে তূর্য কন্ঠের সিটের দিকে, তূর্য কে আসতে দেখে ফটাফট পালিয়ে যায় সান,সোহা, তারিফ,তাহিয়া।
মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে কন্ঠ।
থমথমে মুখে বলে উঠে তূর্য।

” দাঁড়াও।”
কন্ঠ উঠে দাঁড়াল,হাতের কাগজ ঈগলের মত ছু মে’রে নিয়ে নিল,আরেকট দফা চমকে উঠল কন্ঠ।এটা কী এখন উনি পড়বে? তাহলে আমি শেষ।

চলবে………… ✨।