অপ্রিয় সেই তুমি পর্ব-১২

0
10

#অপ্রিয়_সেই_তুমি
#প্রিয়া_আফরোজ
#পর্ব১২

[পর্বটা ১৮+ হবে,শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক এবং মুক্তমনারা পড়বেন ]

-উনি আমাকে ভালোবাসেন না। শুধুমাত্র সৌন্দর্যর কারণে উনি আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন। (মায়া)

ইরা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে :-
-শুধুমাত্র সৌন্দর্য দিয়েই যদি তূর্যকে আটকানো যেতো, তাহলে আমি হয়তো তূর্যর ফার্স্ট চয়েজ হতাম। (ইরা)

মায়া ইরার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে, “সত্যি তো, তূর্য যদি শুধু সৌন্দর্য দেখেই প্রেমে পড়তো, তাহলে তো তূর্যর ফার্স্ট চয়েস ইরাই হতো।

_______________

কেটে গেছে আরো ১৫ দিন।
১৩ আগেই তূর্য লন্ডনে ফিরেছে।
লন্ডনে ফিরে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় আশার সময় ইরার বাসায় গিয়ে মায়াকে সাথে করে নিয়ে এসেছে।

মায়া সম্পর্কে সবকিছু জানার পর থেকে ইরা মায়াকে ছোট বোনের মতো স্নেহ করে।

কিছুদিন আগেই মায়া সব মেডদের এক মাসের স্যালারি দিয়ে, কাজ থেকে বের করে দিয়েছে,
তূর্য কারণ জিজ্ঞেস করায় মায়া বলেছে :-

-বাসায় কাজই তো দুজন মানুষের রান্না আর ঘর গোছানো, এই কাজের জন্য মেডদের দরকার নেই। এগুলা আমিই করতে পারব। (মায়া)

বাসায় কোন মেড না থাকায়, আজ দুপুর থেকেই মায়া রান্নাঘরে নিজের হাতে বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে ব্যস্ত।

তূর্যও আজ বিকেলেই বাসায় চলে এসেছে,
বাসার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে হয়তো কোন গেস্ট আসবে।

তখনই হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো, মায়া দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল। তখনই দেখা গেল দরজার অপর পাশে দাঁড়িয়ে আছে তন্নী এবং নীরব।

তন্নি বেশ কিছুদিন যাবত নিরবের কাছে বায়না ধরেছিল লন্ডনে আসবে বলে। কর্মব্যস্ততার কারণে নীরব তন্নিকে নিয়ে আসতে পারছিল না।

কিন্তু এবার নীরব লন্ডনে একটি অপারেশনের জন্য আসছিল, তাই সাথে করে তন্নিকে নিয়ে এসেছে।

তন্নিকে দেখার পরে, মায়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে জড়িয়ে ধরলো তন্নিকে। তারপর নীরবের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদেরকে বাসার ভেতরে নিয়ে আসলো।

তূর্য তার রুমে বসে ল্যাপটপে অফিসের কিছু কাজ করছিল, তন্নির কন্ঠ শুনেই তূর্য কাজ ফেলে বেরিয়ে আসলো।

ড্রয়িং রুমে এসেই নিজের আদরের ছোট বোনকে বুকে জড়িয়ে নিল সে, বোন যে তার বড্ড আদরের।
তারপর বোনকে ছেড়ে, নিরবের সঙ্গে কুশল বিনিময় করল।
তারপর মায়া তাদের নিয়ে গেল তাদের জন্য নির্ধারিত রুমটিতে।

৩০ মিনিট পরে তন্নি এবং নিরব ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। তারপর সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে আড্ডা দিতে বসলো।

গভীর রাত পর্যন্ত চলল তাদের সেই আড্ডা।
তারপর সবাই নিজেদের রুমের দিকে চলে যেতে থাকলো।

তখনই তন্নি খেয়াল করল তূর্য এবং মায়া দুজনে দুই রুমে যাচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে তখন তন্নি কাউকে কিছু বলল না।

সকালে সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করল, তারপর প্রতিদিনের মতো তূর্য অফিসে চলে গেল, আর নিরবের আজ অপারেশন আছে বলে নীরব চলে গেল হসপিটালে।
মায়া আজ সারাটা দিন তন্নির সাথে আড্ডা দেবে বলে ভার্সিটিতে গেলো না।

মায়া আর তন্বী দোলনায় দোল আর গত ছয় মাসে তাদের সাথে কি কি হয়েছে সেগুলো একে অপরকে বলছিল। তখনই তন্বী বলে ওঠে :-

-তোর আর ভাইয়ার কি হয়েছে রে? (তন্নি)

-মানে? (মায়া)

-মানে, তোদের কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে? (তন্নি)

-কই কিছু নাতো (মায়া)

-মিথ্যা বলছিস কেন? (তন্নি)

-আমি মিথ্যা বলছি না আপু, সত্যি ওনার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়নি আপু। (মায়া)

তন্বী কপাল কুঁচকে বলল:-
-তাহলে রাতে দুজন দুই রুমে ছিলি কেন? (তন্নি)

মায়া এবার বুঝতে পারে তন্নীর কথার মানে।
রাতে মায়া এবং তূর্যকে আলাদা রুমে যেতে দেখেছিল তন্বী, তাই তন্নী ভাবছে তূর্য আর মায়ার হয়তো ঝগড়া হয়েছে।

-কিরে কিছু বলছিস না কেন? (তন্নি)

মায়ার নিচের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলল
-কি বলবো? (মায়া)

-কি বলবো মানে? তোরা আলাদা রুমে কেন থাকছিস সেটা বলবি। (তন্নি)

-আসলে আপু আমরা শুরু থেকেই আলাদা রুমে থাকছি।(মায়া)

-শুরু থেকে মানে? (তন্নি)

-খান বাড়িতে আমরা যেমন আলাদা রুমে থাকতাম, এখানেও আমরা ঠিক সেভাবেই থাকি। (মায়া)

-তারমানে তোদের মাঝে এখনো কোনো ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ তৈরি হয়নি? (তন্নি)

-আমরা এখনো একসাথে ঘুমাইনি পর্যন্ত, সেখানে ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ তো অনেক দূরের বিষয়। (মায়া)

-আচ্ছা তুই কি পাগল?
এভাবে কেউ নিজেদের সময় নষ্ট করে?
তোদের যা স্প্রিড তোরা তো অর্ধেক জীবন নিজেদের কাছে আসতেই শেষ করে দিবি। (তন্নি)

-আমি কি করবো বলো? লন্ডনে এসে তোমার ভাই আমাকে এই রুমে রেখে বলল যে, “এটা তোমার রুম আর পাশের রুমটা আমার, কোন কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে ডেকো।” তো আমি কি নিজে ওনাকে বলবো যে, আমি আপনার সাথে থাকতে চাই। (মায়া)

-হ্যাঁ প্রয়োজনে তাই বলবি। (তন্নি)

-অসম্ভব। (মায়া)

-তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, যা করার আমাকেই করতে হবে। (তন্নি)

তারপর খুব সুন্দর ভাবে কেটে গেল আরো দুটো দিন।
কাল নিরবের একটা ইমারজেন্সি অপারেশন থাকার কারনে আজই তাদেরকে ফিরে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়া।

আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ ১টা মিটিং থাকার কারণে তূর্যকে অফিসে যেতে হয়েছে। ঘন্টাখানেক পরেই তূর্য চলে আসবে, তারপর নিজে গিয়ে তন্নী আর নিরবকে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসবে।

মায়া সবার জন্য কফি বানাচ্ছিল এমন সময় তন্নি মায়াকে জিজ্ঞেস করল :-

-এই মায়া, ফ্ল্যাটের সবগুলো রুমের চাবি কোথায়রে? (তন্নি)

-সবগুলো রুমের চাবি দুইটা করে আছে,
১টা উনার কাছে আর একটা আমার কাছে। (মায়া)

-ভাইয়ার গুলো কোথায় তুই জানিস? (তন্নি)

-হুম, ওনার রুমের ড্রেসিং টেবিলের ৩নম্বর ড্রয়ারে। (মায়া)

-ভাইয়ার চাবিটা তুই আনতে পারবি? (তন্নি)

-হ্যাঁ পারব। (মায়া)

-যা নিয়ে আয়। (তন্নি)

মায়া দুটো চাবি তন্নির কাছে এনে দিয়ে তন্নিকে জিজ্ঞেস করল :-

-ওগুলো দিয়ে কি করবে আপু? (মায়া)

-তুই তো নিজে থেকে আমার ভাইয়ের কাছে যাবি না।
আর আমার ভাইকেও আমি বলতে পারবো না যে, “ভাইয়া যাও গিয়ে তোমার বউয়ের সাথে রোমান্স কর” তাই তোকে আমার ভাইয়ের রুমে শিফট করার ব্যবস্থা করব। (তন্নি)

মায়া বুঝতে পারছে না যে তন্বী কি করবে, তবে মায়া খুব করে চাইছে যে তন্নি কিছু একটা করুক যাতে করে সে তুর্য কাছে যেতে পারে।

প্রায় নয় বছরের বিয়ে, ছয় মাসের সংসার। অনেক তো হলো, এবার মায়াও এই দূরত্ব শেষ করতে চাইছে।
মায়ারও এখন স্বাভাবিক ১টা সংসার চাই, কিন্তু মায়া লজ্জায় বলতে পারছে না সেই কথা।
আর ওদিকে তূর্য বেচারা অপেক্ষায় আছে কবে মায়া নিজের থেকে তার কাছে এসে ধরা দিবে।

_______________

তূর্য, নিরব, মায়া এবং তন্বী সকলে মিলে তূর্যর গাড়িতে করে রওনা হলো এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।
এয়ারপোর্টে গিয়ে নিরব এবং তন্বীকে বিদায় জানিয়ে মায়া আর তুর্য ফিরে আসতে নিলে মাঝপথে অনেক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।

রাত ১১টার সময় ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের গাড়িটি বিল্ডিং এর কাছাকাছি পৌঁছাতেই তারা দেখতে পেলো সামনে অনেক বড় একটা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আছে রাস্তার উপর। তাই আর কোন উপায় না পেয়ে মায়া আর তূর্য ভিজতে ভিজতে রওনা হলো তাদের বিল্ডিংয়ের দিকে।
বিল্ডিং এসে তূর্য একজন গার্ডকে গাড়ির চাবিটা দিয়ে বলল গাছ সরানোর পরে গাড়িটা নিয়ে আসতে।

তারপর তারা দুজন তাদের ফ্ল্যাটে চলে যায়,
মায়া এবং তূর্য দুজনেই ভিজে একাকার হয়ে গেছে।
এখনই ড্রেস চেঞ্জ না করলে নির্ঘাত জ্বর আসবে, তাই ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য যে যার রুমে চলে যেতে নিল।

কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখনই যখন মায়া দেখল তার রুমটা লক করা। চাবির খোঁজ করতেই দেখল ডাইনিং টেবিলের উপরে চাবি রেখে গেছে তন্নি। কিন্তু সেই চাবি গুলো এনে রুম খোলার চেষ্টা করে বুঝতে পারল যে এখানে সব রুমের চাবি থাকলেও তূর্যর রুম ছাড়া বাকি দুটো বেডরুমের চাবি নেই।

তূর্য চাবি হারানোর বিষয়টা জানতে পেরে, মায়াকে জিজ্ঞেস করল:-
-আমার ড্রয়ার থেকে চাবি বের করল কে? (তুর্য)

-আমি (মায়া)

-কেন? (তুর্য)

-তন্নী আপু চেয়েছিল তাই। (মায়া)

-তন্নী এই চাবিগুলো নিয়ে কি করবে? (তুর্য)

-আমি তা জানিনা। (মায়া)

তূর্য সব শুনে মায়া কে বলল, আজকের রাতটা তার রুমে থাকতে।

মায়া ও চুপচাপ চলে গেল তুর্যর রুমে।
তারপর মায়া তুর্যকে বলল :-

-আমি ড্রেস চেঞ্জ করবো। (মায়া)

– OK ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে আসো। (তুর্য)

-চেঞ্জ করে কি পরব আমি? আমার সব ড্রেস তো আমার রুমে। (মায়া)

-আমার রুমে তো তোমার কোন ড্রেস নেই। (তুর্য)

-সেটাই তো বলছি, চেঞ্জ করে কি পোরব আমি?
আর এভাবে বেশিক্ষণ থাকলে আমার জ্বর আসবে। (মায়া)

তূর্য তখন নিজের আলমারি খুলে সাদা একটা শার্ট দিল মায়াকে।

মায়ার শার্টটা হাতে নিয়ে বলল :-
-এটা দিয়ে আমি কি করবো? (মায়া)

-আজকে রাতের মত এটাই পড়ে নাও, কাল সকালে কিছু একটা ব্যবস্থা করে ফেলব। (তুর্য)

মায়া আর কোন উপায় না পেয়ে ওই শার্ট টা নিয়েই ওয়াশরুমে চলে গেল।

ততক্ষণে তুর্যও ড্রেস চেঞ্জ করে ফেলল,
তুর্যর পরনে ব্ল্যাক ট্রাউজার আর ব্ল্যাক টি-শার্ট।

অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও মায়া ওয়াশরুম থেকে বের হলো না।
তাই তুর্য বিছানায় বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিল।

ওদিকে মায়া অনেকক্ষণ আগেই ড্রেস চেঞ্জ করে ফেলেছে, কিন্তু লজ্জায় সে ওয়াশরুম থেকে বের হতে পারছে না।
তাই মায়া ভাবে আজকের রাতটা ওয়াশরুমেই কাটিয়ে দিবে।

প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেলেও মায়া ওয়াশরুম থেকে বেরোচ্ছে না দেখে তূর্য মায়াকে ডাকতে শুরু করলো।
কিন্তু ভেতর থেকে কোন উত্তরই পাওয়া গেল না।

তাই তূর্য একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ওয়াশরুমের লাইটটা অফ করে দিল, ওয়াশরুমের লাইট অফ হতেই মায়া ওয়াশরুমের দরজা খুলে দৌড়ে বেরিয়ে আসলো।

মায়ার পরনে তূর্যর শার্ট,
তূর্য ৬ফুট উচ্চতার বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী একজন এক পুরুষ, আর মায়া মাত্র ৫ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার হালকা পাতলা গরনের একটি মেয়ে। সেই সুবাদে তূর্যর শার্ট মায়ার প্রায় হাঁটু ছুঁয়ে গেছে, অন্যদিকে আবার কাঁধের দিক থেকে বারবার শার্ট নেমে আসছে।

মায়াকে এ অবস্থায় দেখে তূর্য ঘোড় লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তূর্য যখন বারবার মায়ার পা থেকে মাথা পর্যন্ত নজর বুলাচ্ছিল, তখনই মায়া রুমের লাইট নিভিয়ে দিল।

মায়া রুমেল লাইট অফ করে দেওয়ায় তূর্য অন্ধকারে বলে উঠলো :-

-ভাবছি আমার চোখ দুটো কোন অন্ধ ব্যক্তিকে দান করে দেব। (তুর্য)

তূর্যর কথা শুনে মায়া চমকে উঠলো, তারপর অবাক হয়ে তুর্যকে জিজ্ঞেস করল :-
-কেন? (মায়া)

মায়া প্রশ্ন করার সাথে সাথে তূর্য মায়ার কোমর জড়িয়ে এক টানে মায়াকে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে, মায়ার কানের কাছে মুখ এনে বলল :-

-উপরওয়ালা চোখ দিয়েছে সুন্দর জিনিস দেখার জন্য, পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
সেই চোখ দিয়ে নিজের বউয়ের সৌন্দর্য যদি দেখতে না পারি, তাহলে বাকি দুনিয়ার সৌন্দর্য দেখে কি করব?
তার চেয়ে বরং এই চোখই আমি রাখবো না,
এত অপ্রয়োজনীয় জিনিস চাইনা আমার। (তুর্য)

কথাগুলো বলতে বলতে তূর্য আবার রুমের আলো জ্বালিয়ে দিল। এবার আর মায়া কোন বাধা দিল না।

তখন তূর্য বললো :-
-তুমি আমার কাছে সময় চেয়েছিলে, তাই আমি ছয়টা মাস তোমার কাছে আসার চেষ্টাও করিনি।
এতটা সময় কি যথেষ্ট নয়?
তোমার দেহ আমার হক, আমি কি কখনো আমার হক বুঝে পাবো না? (তুর্য)

মায়া চুপচাপ সবকিছু শুনে গেল, মায়াকে কথা না বলতে দেখে তূর্য আবার বলতে শুরু করল

-দেখো আমার সিস্টেম এতটাও দুর্বল না যে, নিজের বউকে এই অবস্থায় দেখেও চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবো।
আমি আজ নিজের হক চাইলে কি খুব বেশি অন্যায় হবে? (তুর্য)

মায়া তখনও নীরব রইলো, এবারেও মায়াকে নিরব দেখে তূর্য বলে উঠলো :-

-আমার নিজের হক চাই।
আমি কি তোমার এই নীরবতাকে সম্মতির লক্ষণ ধরে নেব? (তুর্য)

তখনই তূর্যকে অবাক করে দিয়ে মায়া তূর্যর ঠোট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নেয়।

তূর্য ভাবতেও পারেনি মায়া এই মুহূর্তে এমন কাজ করবে, তূর্য আনন্দে মায়াকে কোলে নিয়ে ঘোরাতে শুরু করে।
তূর্য আজ নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করছে।

তূর্য মায়াকে কোলে নিয়ে বিছানার পাশে চলে গেল এবং মায়াকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে এক টানে নিজের গা থেকে গেঞ্জিটা খুলে ফেলল।

নিজের গেঞ্জি খোলা শেষ হতেই, মায়ার পরনে থাকা শার্টটার বোতাম গুলো খুলতে শুরু করল।
বুকের কাছ থেকে দুটো বোতাম খুলতেই মায়া তূর্যর হাত দুটো শক্ত করে ধরে ফেলল।

তূর্য মায়ার এই বাধা দেওয়ার কারণ বুঝতে না পেরে মায়ার মুখের দিকে তাকাতেই, মায়া লজ্জা মাখা কন্ঠে তূর্যকে বলে উঠলো :-
-লাইটটা অফ করুন প্লিজ। (মায়া)

মায়ার কথা শেষ হতেই তুর্য দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে লাইট অফ করে ফেলল।

“সত্যি বলছি তূর্য লাইট অফ করার পরে কি হয়েছে তা আমিও জানি না, জানলে অবশ্যই লিখতাম ”

চলবে।