#অপ্রিয়_সেই_তুমি
#প্রিয়া_আফরোজ
#পর্ব১৩
সকালে মায়ার আগেই তূর্য ঘুম থেকে উঠলো পরল,
মায়া তখন তূর্যর বুকে মুখ গুঁজে বিড়ালের ছানার মত গুটিসুটি হয়ে ঘুমাচ্ছিল।
তুর্য মায়াকে নিজের আরেকটু কাছে টেনে নিতেই উপলব্ধি করলো মায়ার সারা শরীর জ্বরে পুরে যাচ্ছে।
তুর্য ভাবলো মায়াকে তারাতারি গোসল করিয়ে, একটু খাবার খাইয়ে মেডিসিন দেওয়া উচিৎ।
তাই তুর্য ধিরে ধিরে মায়াকে ডাকতে থাকে।
মায়ার কানে তূর্যর সেই ডাক পৌছালো না বোধ হয়।
তাই তূর্য এবার মায়াকে জোরে জোরে ডাকতে শুরু করলো, তূর্যর এত জোরে ডাকাডাকি করাতে মায়ার ঘুম ভেঙে গেল।
তখনই মায়া ঘুম থেকে উঠে রেগে গিয়ে বলল :-
-হয়েছেটা কি? এভাবে ষাঁড়ের মতো চেচাচ্ছেন কেন? আস্তে কথা বলতে পারেন না? (মায়া)
তূর্য কপাল কুঁচকে বললো :-
-সিরিয়াসলি? আমি ষাঁড়ের মতো চেচাচ্ছি?
গত ১৫ মিনিট ধরে তোমাকে ধিরে ধিরে ডাকছিলাম কিন্তু তোমার তো সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই, তুমিতো নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলে। আর এখন একটু জোরে ডেকেছি বলে আমি ষাঁড় হয়ে গেলাম,
হায়রে কপাল। (তুর্য)
-কে বলেছে আমাকে ডাকতে?
আমাকে আর একটু ঘুমাতে দিন। (মায়া)
-তোমাকে ঘুমাতে কে মানা করেছে?
তুমি এখন আপাতত উঠে গোসল দিয়ে এসে খেয়ে নাও, তারপর অল্প কিছু মেডিসিন নিয়ে নাও। তাহলে আমি আর তোমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবো না। তোমার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক নেই, ভালোই জ্বর বাধিয়েছো। এখনই মেডিসিন না খেলে জ্বর আরো বেড়ে যাবে।
মেডিসিন খেয়ে সারাদিন ঘুমিয়ে থেকো, আমি কিচ্ছু বলবো না তোমাকে। (তুর্য)
মায়া তুর্যর কথায় কোনো পাত্তা না দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে, তাদেখে তুর্য মায়াকে কোলে তুলে নেয়।
মায়া হঠাৎ অনুভব করে সে শুন্যে ভেসে আছে,
তাই সাথে সাথে চোখ খুলে ফেলে।
চোখ খুলতেই মায়া দেখতে পায় তুর্য তাকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাই মায়া নিজের দুর্বল শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে তূর্যকে জোরে জোরে বলতে থাকে,
-আমাকে নামিয়ে দিন ,
আমি নিজেই গিয়ে গোসল দিয়ে আসছি।
তাড়াতাড়ি আমাকে আপনার কোল থেকে নামান। (মায়া)
তূর্য মায়ার কোন কথা শুনল না, সে মায়াকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে শাওয়ার অন করে দিল।
যার ফলে মায়া এবং তূর্য দুজনেই ভিজে একাকার হয়ে গেল।
মায়া সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়ার পরে তূর্য মায়াকে নামিয়ে দিল
পানির স্পর্শ পেতেই মায়ার শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া শুরু হতে থাকে।
মায়ার পরনে এখনো তূর্যর সেই সাদা শার্টটা কোনরকম জড়ানো ছিল।
মায়া নিজের শরীরের এই জ্বালাপোড়ার উৎস খুঁজতে কাঁধের কাছ থেকে একটু কাপড় সরাতেই মায়া দেখতে পায় গতরাতে তুর্যর দেওয়া কিছু ভালোবাসার চিহ্ন, যাকে সহজ ভাষায় লাভ বাইট বলা হয়।
সেগুলো দেখে মায়া ভীষণ লজ্জা পেল।
কিন্তু তূর্য সেদিকে কোন খেয়ালই নেই, তূর্য এখন ঘোরলাগা দৃষ্টিতে তাকিয়া আছে মায়ার দিকে।
মায়ার পরনে থাকা সাদা শার্ট পানি পেতেই ভিজে লেপটে গেছে মায়ার শরীরের সাথে, যার ফলস্বরূপ মায়ার শরীরের প্রতিটি ভাজ এবং প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দৃশ্যমান হয়ে আছে।
তূর্যকে মায়ার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মায়া নিজের দিকে তাকালো, তূর্যর এভাবে তাকিয়ে থাকার কারণ বুঝতে পেরেই মায়া দুহাতে নিজের শরীর ঢাকার চেষ্টা করল।
মায়ার এভাবে নিজেকে ঢাকার বৃথা চেষ্টা করা দেখে তূর ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি চলে এলো।
তখনই তূর্য মায়াকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে, তারপর মায়ার দুহাত নিজের ১ হাতের মধ্যে বন্দী করে, মায়ার ঠোঁট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিল।
পুরো দু মিনিট পরে মায়ার ঠোঁট ছেড়ে দিতেই মায়া রেগে গিয়ে বলে উঠলো :-
-সারারাত অত্যাচার করে মন ভরেনি?
এখন নতুন করে আবার অত্যাচার করা শুরু করেছেন। (মায়া)
তূর্য ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বললো :-
-আমার ভালোবাসাকে তোমার অত্যাচার মনে হল। (তুর্য)
-ওগুলো কে আপনি ভালোবাসা বলছেন? আপনার ভালবাসার চক্করে আরেকটু হলে আমার মরণ হয়ে যেত। (মায়া)
-I’m Sorry baby. আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতটা কষ্ট পাবে। Next time আমি যাই করবো, তোমার কষ্টের কথা মাথায় রেখেই করবো।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে, আমাকে একটা সুযোগ দাও নিজেকে প্রমাণ করার জন্য।
কথা দিচ্ছি নিজের ভালোবাসার পরশ দিয়ে তোমাকে এমনভাবে মাতিয়ে তুলবো যে কষ্ট তো দূরের কথা, আমার উপস্থিতিটাও টের পাবে না তুমি। (তুর্য)
মায়া কিছুটা রাগী ভাবে তুর্যর দিকে তাকিয়ে,ছোট্ট করে জিজ্ঞেস করল :-
-কি? (মায়া)
তূর্য মায়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে উত্তর দিল:-
-One More Please. (তুর্য)
কথাটা বলার সাথে সাথে মায়া তূর্যকে ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের করে দিল।
তূর্য মায়ার কাণ্ড দেখে তুর্য হাসতে শুরু করল। মায়া অসুস্থ তাই তূর্য এই মুহূর্তে সুযোগ পেলেও মায়ার সঙ্গে কিছুই করতো না, সে তো শুধু মায়া কে রাগানোর জন্য কথাগুলো বলছিল।
______________
পুরো ২০ মিনিট ধরে গোসল করার পরে মায়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো।
মায়ার পরনে রয়েছে তূর্যর অন্য একটা শার্ট।
মায়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো তূর্য তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছছে।
তূর্যকে মাথা মুছতে দেখে মায়া প্রশ্ন করল :-
-ওয়াশরুমে তো আমি ছিলাম, তাহলে আপনি কোথায় গোসল করলেন? (মায়া)
তূরকে ডোন্টকেয়ার ভাব নিয়ে বলল :-
-তোমার রুমে(তুর্য)
মায়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল :-
-দরজা ভেঙে ফেলেছেন? (মায়া)
-দরজা কেন ভাঙবো? দরজা ভাঙার হলে তো কালই ভাঙতাম। (তুর্য)
-তাহলে ওই রুমে ঢুকলেন কিভাবে? (মায়া)
-কিভাবে আবার ঢুকবো? দরজা খুলে ঢুকেছি। (তুর্য)
মায়া এবার বিরক্তি নিয়ে বলল :-
-সেটাই তো বলছি দরজাটা খুললেন কিভাবে?
দরজাটা তো লক করা ছিল। আর রাতে তো আমরা অনেক খোঁজার পরেও চাবি পেলাম না। (মায়া)
-তা অবশ্য ঠিক, রাতে তুমি অনেক খুঁজেও চাবিগুলো পাওনি। কিন্তু আমি পেয়েছিলাম। (তুর্য)
তূর্যর মুখে এ কথা শুনে মায়া অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। তারপর বলল :-
-আপনি কি বলতে চাইছেন একটু ক্লিয়ার করে বলবেন? (মায়া)
-আসলে হয়েছে কি, রাতে বাসায় ফিরে তুমি যখন চাবি গুলো খুঁজে পাচ্ছিলে না তখনই আমি ড্রইংরুমের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখে নিয়েছিলাম তন্নি চাবির দুটো কোথায় রেখেছে। (তুর্য)
মায়া বড় বড় চোখ করে তূর্যর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল :-
-চাবিগুলো কোথায় তা আপনি জানতেন, তাহলে রাতে বলেননি কেন? (মায়া)
তূর্য ছোট বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বলল :-
-বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তখনই তন্নির কথা মনে পড়ে গেল।
ভাবলাম ছোট বোনটা আমার এত কষ্ট করে আমাকে তোমার কাছে যাওয়ার একটা সুযোগ করে দিল,
সেই সুযোগ কাজে না লাগালে বোনটা আমার খুব কষ্ট পাবে।
বিশ্বাস করো আমি নিজের জন্য কিছু করিনি,
যা করেছি আমার বোনটার কথা ভেবেই করেছি।
ও যাতে কষ্ট না পায় তাই তোমাকে কাল চাবির কথা বলিনি। (তুর্য)
তূর্য সব কথা শুনে মায়া রেগে গিয়ে তূর্যকে কয়েকটা কিল-ঘুসি লাগিয়ে দিল, তারপর মায়া চলে গেল তার সেই আগের রুমে। ওখানে গিয়ে আলমারি থেকে তার একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় চেঞ্জ করতে।
মায়া একটা গেঞ্জি আর প্লাজো পরে ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই দেখে তূর্য তার জন্য সুপ রান্না করে নিয়ে এসেছে, মায়া প্রথমে কিছুটা রাগ দেখিয়ে তূর্য রান্না করার সুপ খেতে না চাইলেও তূর্য তাকে জোর করে সেটা খাইয়ে দেয়।
তারপর তূর্য পেইনকিলার সহ আরো কিছু মেডিসিন মায়ার হাতে দিয়ে মায়াকে তাড়াতাড়ি সেগুলো খেয়ে নিতে বলে।
মায়া ও বাধ্য মেয়ের মতো সেগুলো খেয়ে নেয়।
মায়া মেডিসিন গুলো খেয়ে একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য বিছানায় শুতে যাবে তখনই তূর্য বললো :-
-আমি আমার আলমারির অনেকটা জায়গা খালি করে ফেলেছি, এখন তোমার প্রয়োজনীয় সবকিছু আমার রুমে নিয়ে যাব, তোমার জামা কাপড় গুলো আমার রুমে শিফট করতে আমাকে একটু হেল্প কর। (তুর্য)
-তার কোন প্রয়োজন নেই। (মায়া)
-কেন? (তুর্য)
-কারণ আমি আর ওই রুমে যাবো না, আমি থাকবো না আর আপনার সাথে এক রুমে। (মায়া)
মায়া আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু মায়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই তূর্য মায়াকে কোলে নিয়ে নিজের রুমে চলে যেতে থাকে।
মায়া নিজেকে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করলেও তুর্যর মতো বলিষ্ঠ দেহের অধিকারি পুরুষ মানুষের থেকে নিজেকে মুক্ত করা মায়ার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
তাই মায়া এখন বাধ্য মেয়ের মতো বসে আছে তুর্যর বিছানায়, আর তূর্য একা একা মায়া রুম থেকে মায়ার সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসছে নিজের রুমে।
মায়া উপরে উপরে রাগ দেখালেও মনে মনে অনেক খুশি হচ্ছিল তূর্য এরকম পাগলামো দেখে।
প্রতিটা মেয়েই চায় তার মনের মানুষটা তার জন্য একটু পাগলামো করুক, মায়াও তার ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু মায়াতা মুখে প্রকাশ করতে নারাজ।
সে চাইছে তুর্যোকে আরেকটু বিরক্ত করতে,
তখনই তূর্য বড় একটা বক্স হাতে নিয়ে এসে সোফার উপর রেখে মায়াকে বলল :-
-এর মধ্যে তোমার সব কসমেটিক্স আছে, আপাতত এই বক্সটা আমি এখানেই রেখে দিলাম, পরে তুমি নিজের মতো করে গুছিয়ে রেখো।
আর তোমার রুমটা আমি আবার লক করে দিয়েছি, তাই আজ থেকে অন্য রুমে থাকার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। (তুর্য)
মায়া তখন একটু ঢং করেই বলতে শুরু করলো:-
-মিস্টার আব্রাহাম খান তূর্য, আমাকে এভাবে নিজের রুমে বন্দী করে রেখে আপনি আমার দেহ পাবেন কিন্তু মন পাবেন না। (মায়া)
তূর্য তখন ডান পাশের ভুরু উঁচিয়ে দুষ্টুমি ভরা কন্ঠে উত্তর দিল :-
-তোমার মনটা অলরেডি আমার,
আর এখন থেকে তোমার দেহটা
তুমি চাইলেও আমার না চাইলেও আমার।
আর তোমার মনটা যেহেতু অলরেডি আমার,
তাই আপাতত আমার জন্য তোমার দেহটাই বেশি প্রয়োজন। (তুর্য)
_________________
এভাবেই কেটে গেলো আরো কিছুদিন
দুষ্টু মিষ্টি কিছু ঝগড়া আর খুনসুটির মধ্যে দিয়ে ভালোই চলতে থাকলো তাদের দুজনের সংসার।
এর মাঝে মায়া বেশ কয়েকবার ইরার কাছে গিয়েছিল,
ইরাও মায়া আর তুর্যকে এত সুন্দর ভাবে সংসার করতে দেখে খুব খুশি হয়।
তূর্যর বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার কারণে তূর্যের বিভিন্ন পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে ইরার ধারণা আছে।
তাই ইরা প্রায়ই মায়াকে এটা ওটা করে তূর্যকে ইমপ্রেস করার বুদ্ধি দেয়।
ইরার কথা অনুযায়ী কাজ করে মায়া আর তুর্যর সম্পর্কের দিনে দিনে আরো উন্নতি হচ্ছে।
মায়া আর তুর্য সংসার দেখলে ইরা কখনোই জ্বলন অনুভব করে না, বরং তার এটা দেখে ভালই লাগে যে:-
সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের করে না পেলেও,
তার ভালোবাসার মানুষটা নিজের ভালোবাসাকে আপন করে পেয়েছে এবং তারা দুজনে একসাথে অনেক সুখে আছে।
ইরার মতে,
ভালবাসলেই যে তাকে আপন করে পেতে হবে এর কোন মানে নেই,
ভালোবাসার মানুষকে দূর থেকে ভাল থাকতে দেখার মাঝেও অন্যরকম আনন্দ আছে। (ইরা)
মায়া যতবারই ইরাকে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা বলেছে, ততবারই ইরা বলেছে যে :-
কি দরকার মুভ-অন করার?
ভালোই তো আছি,
নেই কোন চাহিদা, নেই কোন প্রত্যাশা।
যদি কিছু থেকে থাকে, তবে তা হলো,
এক বুক ভালোবাসা।
জানো মায়া একপাক্ষিক ভালোবাসার মজাই আলাদা।
আমি সারা জীবন তাকে ভালোবেসে যাবো,
আর সে নাপারবে আমার ভালবাসাকে অনুভব করতে, আর না পারবে আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করতে। সুন্দর না বলো। (ইরা)
মায়া এই বিষয়ে অনেক বুঝানোর পরেও বরাবরই ইরার কাছে ব্যর্থ হয়।
মায়া খুব করে চায় যে, ইরা তার জীবনটাকে গুছিয়েনিক।
কিন্তু ইরা বরাবরই তার কথা শুনতে নারাজ।
_____________
তূর্য আজ বিকেলে মায়াকে ফোন করে বলেছে,
ডিনারের জন্য মায়া যেন বিরিয়ানি রান্না করে।
মায়া কারণ জানতে চাইলে বলল:- আজ নাকি তূর্যর এক বাংলাদেশী ফ্রেন্ড আসবে তাদের বাসায়।
মায়া লন্ডনে আসার পরে তূর্য আজ পর্যন্ত তার বাসায় কোন ফ্রেন্ড কে নিয়ে আসেনি, আজ প্রথম তূর্যর কোন ফ্রেন্ড তাদের বাসায় আসবে।
তাই মায়া সন্ধের মধ্যে সব রান্না শেষ করে রাখল।
রাত আটটার দিকে কলিং বেল বেজে উঠতেই মায়া গিয়ে দরজা খুলে দিল।
মায়া দরজা খুলতেই তূর্যর পাশে দেখতে পেলো চেনা এক মুখ…..
চলবে