অপ্রিয় সেই তুমি পর্ব-২৮ এবং শেষ পর্ব

0
3

#অপ্রিয়_সেই_তুমি
#প্রিয়া_আফরোজ
#অন্তিম_পর্ব

তূর্যর হাতে রয়েছে “প্রেগনেন্সি কিট”, এই ছোট্ট জিনিসটাকে ধরতেই তূর্যর হাত রীতিমতো থরথর করে কাঁপছে।
হঠাৎই তুর্য মায়া কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, সেই সঙ্গে তুর্যর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে এক ফোটা অশ্রু জল।
অশ্রু কষ্টের নয়, এ অশ্রু যে বড়ই সুখময়।

তারপর তূর্য মায়াকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো।
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েই তূর্য জোরে জোরে আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করতে থাকলো।

-আম্মু, এই আম্মু, কোথায় তুমি?
তাড়াতাড়ি এখানে আসো, দেখে যাও আল্লাহ তোমাদের আশা পূরণ করেছে।
আমাদের ওপরে আল্লাহর রহমত নাযিল হয়েছে। (তূর্য)

আতিয়া বেগম এত সকালে ছেলের চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে ছেলের রুমে।

আতিয়া বেগমকে আসতে দেখেই তূর্য দৌড়ে গিয়ে আতিয়া বেগমকে কোলে তুলে নিল, তারপর আতিয়া বেগমকে কোলে নিয়ে খুশিতে পাগলের মতো ঘুরতে থাকলো।

ওদিকে আতিয়া বেগম চিৎকার করে বলছে:-

-বাবা নামা আমাকে,
আমার মাথা ঘুরাচ্ছে।
নামা, নামা। (আতিয়া বেগম)

কিছুক্ষণ পরে তূর্য থেমে যায় এবং আতিয়া বেগমকে কোল থেকে নামিয়ে জড়িয়ে ধরে।

আতিয়া বেগম ছেলের এই মহা আনন্দের কারণ বুঝতে না পেরে ছেলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করে :-

-কি হয়েছে বাবা?
তোকে এত আনন্দিত আমি এর আগে কখনো দেখিনি।
বিজনেসে কি এবার অনেক বড় প্রফিট হয়েছে?(আতিয়া বেগম)

তূর্যে এবার মায়ের গলা ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, মায়ের গালে হাত রেখে খুশি মনে বললো :-

-এই আনন্দ বিজনেসের প্রফিটের জন্য না,
আমার লাইফে অনেক বড় প্রফিট হয়েছে।
এই আনন্দ আমার লাইফের সেই প্রফিটের জন্য। (তূর্য)

আতিয়া বেগম ছেলের কথার অর্থ বুঝতে না পেরে বলল :-

-তোর কথার কোন আগা-মাথা আমি বুঝিনা বাপু,
কি হয়েছে বলবি তো। (আতিয়া বেগম)

ওদিকে লজ্জায় মায়ার নাক এবং গাল দুটো টমেটোর মত লাল টকটকে হয়ে যাচ্ছে।

তূর্য তখন আতিয়া বেগমের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল :-

-আম্মু খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সকল আশা পূর্ণ হবে এখন থেকে কেউ আর মায়ার দিকে আঙ্গুল তুলতে পারবেনা, কেউ আর মায়াকে কষ্ট দিতে পারবে না, সবাইকে জানিয়ে দাও, চৌধুরী বংশের উত্তরাধিকারী আসছে।
আম্মু, তুমি দাদী হতে চলেছে। (তূর্য)

আতিয়া বেগম ছেলের মুখে এমন কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনা, তাই দৌড়ে মায়ার কাছে গিয়ে মায়া কে জিজ্ঞেস করে :-

-সত্যি?
সত্যি আমি দাদী হতে চলেছি?
সত্যি আমার তুর্য সন্তান পৃথিবীতে আসতে চলেছে? (আতিয়া বেগম)

মায়া ভীষণ লজ্জা পায় তাই মুখে কিছু না বলে মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ সূচক ইশারা দেয়।

আতিয়া বেগম খুশিতে পাগল হয়ে যায়, সে কি রেখে কি বলবে, আর কি রেখে কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না।

তাই সে কোন রকমের তূর্য এবং মায়াকে বলে :-

-তোরা থাক আমি গিয়ে তোদের বাবাকে খবরটা দিয়ে আসি। (আতিয়া বেগম)

আতিয়া বেগম চলে যেতেই তূর্য মায়ার হাত ধরে বলে :-

-বিশ্বাস করো আজকে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি মনে হচ্ছে। আল্লাহ আমাকে কোন কিছুর কমতি দেয়নি। এখন মহান আল্লাহর কৃপায় আমার সন্তানটা সুস্থভাবে পৃথিবীতে এলে আমি ওর নামে একটা অনাথ আশ্রম খুলবো। যাতে করে আমি অন্ততপক্ষে হাজার খানেক পথশিশু এবং এতিম বাচ্চাদের দায়িত্ব নিতে পারি। (তূর্য)

তূর্যর এমন সুন্দর চিন্তা ভাবনা দেখে মায়া এতে সম্মতি জানায়।

কিছুক্ষণ পরে মায়া বলে:-

-চলো আমরা তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নেই।
নইলে আবার অফিস যেতে লেট হয়ে যাবে। (মায়া)

-এখন থেকে তোমার অফিস যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ।
তুমি সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকবে, আর আমি আজকেই আমাদের রুম নিচে শিফট করার ব্যবস্থা করছি।
আমি চাইনা পাঁচ বছর আগের সেই দুর্ঘটনা আবার ঘটুক। এমনিতেই তুমি তৈরি হয়ে নাও, আমরা ডক্টরের কাছে যাবো। (তূর্য)

তূর্যর কথায় যুক্তি আছে, তাই মায়া আর কথা না বাড়িয়ে তূর্যর কথায় সম্মতি প্রকাশ করল।

এভাবেই শুরু হলো মায়ার প্রেগনেন্সি জার্নি।
পুরো প্রেগনেন্সির সময় তূর্য বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে থাকতো।

মায়ার প্রতিটা ছোট ছোট বিষয়ও তূর্য, আতিয়া বেগম এবং আরাফ খানের নজরদারিতে থাকতো।

আরাফ খান বর্তমানে সমস্ত ব্যবসার দায়িত্ব তূর্যর কাঁধে দিয়ে নিজে অবসর গ্রহণ করেছে।
বর্তমানে আরাফ খান বলে :-

-সারা জীবন তো ব্যবসা-বাণিজ্যর পেছনে পরিশ্রম করেই আসলাম এখন এসব তুই সামলা। দুদিন পর আমার নাতি-নাতনি আসবে, তাই আমি তার সঙ্গে খেলাধুলা করার জন্য আগের থেকেই অবসর নিয়ে বসে রইলাম। (আরাফ খান)

আরাফ খানের এমন বাচ্চাদের মতো কথাবাত্রা শুনে খান বাড়ির সকলে হেসে ওঠে।

বর্তমানে এক একটা দিনকেও খান বাড়ির সকলের কাছে এক একটা বছর মনে হয়।
সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে খান বাড়ির সেই পুঁচকে সদস্যের জন্য।

এর মাঝে তন্বীও একবার তার মেয়েকে নিয়ে এসে ১৫ দিন বাংলাদেশ থেকে গেছে।

যদিও নীরবের অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা এবং তন্নীর মেয়ের স্কুলের কারণে তারা বাংলাদেশে আসার সময়ই পায় না।

তবুও তন্বী হাজারো ব্যস্ততার মাঝেই মায়ার জন্য সময় বের করেই ফেলে। মায়ার ডেলিভারির সময়ও তন্বী আসবে বলে মায়াকে আশ্বস্ত করেছে।
সারাদিনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিনই তন্বী মায়ার সঙ্গে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় কথা বলে।

ওদিকে ইমনও কদিন পরেপরেই মায়ার জন্য মায়ার সকল পছন্দের জিনিস কিনে নিয়ে আসে।
প্রথমবার যখন ইমন মায়ার জন্য চকলেট, ফল, আইসক্রিম এবং কিছু ড্রেস নিয়ে এসেছিল, তখন মায়া বলেছিল :-

-ভাইয়া, এত কিছুর আনার কোন প্রয়োজন ছিল না,
আপনি এসেছেন এতেই আমি অনেক খুশি হয়েছি। (মায়া)

ইমন তখন মন খারাপ করে বলেছিল :-

-ভাই হয়ে বোনের জন্য সামান্য কিছু জিনিস আনার অধিকারও যদি আমার না থাকে, তাহলে আমি আর কখনো এ বাড়িতে আসবো না। (ইমন)

তারপর থেকে মায়া আর কখনো ইমনকে এগুলো করতে নিষেধ করেনি।
আর সম্মতি পেয়ে এমনও কদিন পরপরই দুহাত ভর্তি করে মায়ার জন্য এটা ওটা নিয়ে হাজির হয়।

এভাবেই দিন গুনতে গুনতে চলে আসে বহু অপেক্ষিত সেই সময়।

বর্তমানে মায়া নয় মাসের গর্ভবতী।

দুপুরের খাবার খেয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় মায়া তার তলপেটে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে।
ধীরে ধীরে সেই ব্যথা ক্রমাগত বাড়তেই শুরু করে।

মায়া সেই ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বেলা তিনটার দিকে আতিয়া বেগমকে সবকিছু খুলে বলে।

সব শুনে আতিয়া বেগম ওই মুহূর্তেই তূর্যকে কল করে মায়ার অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়।

তারপর আতিয়া বেগম এবং আরাফ খান মিলে ড্রাইবারের সাহায্যে মায়াকে হসপিটালে নিয়ে যায়।

মায়াকে হসপিটালে নিয়ে আসার অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই মায়ার সুস্থ স্বাভাবিক ভাবেই নরমাল ডেলিভারি হয়ে যায় এবং মায়া একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।

ওদিকে তূর্যর অফিস হসপিটাল থেকে বেশ অনেকটা দূরে হওয়ায় তূর্যর আসতে একটু সময় লাগে।
তূর্য অফিস থেকে সোজা হসপিটালে চলে আসে।

গত ২০ মিনিটে আতিয়া বেগমকে তূর্য ৫-৬ বার কল করলেও তিনি একবারও তূর্যর কল রিসিভ করেনি।

আতিয়া বেগম তূর্যর কল রিসিভ না করায় তূর্য বুঝতেও পারছে না মায়ার পরিস্থিতি এখন কেমন।

তাই তূর্য হসপিটালে এসে রিসেপশন থেকে জেনে নেয় মায়ার জন্য কোন কেবিন বুক করা হয়েছে।

তারপর তূর্য সেই কেবিনে গিয়ে দেখে আতিয়া বেগম সদ্য জন্ম নেওয়া একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বেডের উপরে বসে আছে।

মায়াকে সেখানে দেখতে না পেয়ে সূর্য উতলা হয়ে বলে :-

-আম্মু মায়া কোথায়?
মায়ের এখন কি অবস্থা?
আমি তোমাকে তখন থেকে কল করছি তুমি এতক্ষণ আমার কল ধরনি কেন? (তূর্য)

ছেলের এমন ব্যবহার দেখে আতিয়া বেগম মুচকি হেসে বলল :-
-মায়া ডেলিভারি রুমে আছে। (আতিয়া বেগম)

-আম্মু মায়া ডেলিভারি রুমে আছে আর তুমি এখানে অন্যের বাচ্চা নিয়ে বসে আছো? (তূর্য)

সূর্য এখনো জানেনা যে মায়ার ডেলিভারি হয়ে গেছে, তাই আতিয়া বেগম হাসতে হাসতে বলল :-

-ওরে পাগল ছেলে, এটা অন্যের বাচ্চা না।
এটা তোর বাচ্চা।
মায়ার ডেলিভারি হয়ে গেছে।
মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে মায়া এখন সুস্থ আছে, কিছুক্ষণ পরেই ওকে কেবিনে আনা হবে। (আতিয়া বেগম)

মায়ের কথা শুনে তূর্য এবার বরফের মতো জমে যায়। তূর্যর কাছে সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে।
তূর্যর ভাবতেই বুক কেঁপে উঠছে যে তার মায়ের কোলে থাকা ঘুমন্ত শিশুটি তার সন্তান।

সকল অনুভূতি এরিয়ে তূর্য এগিয়ে গেল তার মায়ের কাছে।

তূর্য কাছে আসতেই আতিয়া বেগম বাচ্চাটিকে এগিয়ে দিলো তূর্যর দিকে।
তূর্য কাঁপা কাঁপা হাতে তার সন্তানকে কোলে নিতেই যাবে তখনই মায়াকে কেবিনে নিয়ে আসা হলো।

তাই তুর্য তার সন্তানকে কোলে না নিয়েই এগিয়ে গেল মায়ার দিকে।
আজকের এই বিধ্বস্ত এবং ঘুমন্ত মায়াকে তূর্যর কাছে এক অসীম সুন্দরের অধিকারিনী মনে হচ্ছে।

মায়াকে কেবিনে দেওয়ার কিছু সময় পরে মায়া চোখ মেলে তাকালো।

মায়া চোখ মেলে তাকাতেই তার পাশে তূর্যর উপস্থিতী বুঝতে পারলো।

তাই মায়া কোনরকমে তূর্যকে জিজ্ঞেস করল:-

-বাবুকে দেখেছো? (মায়া)

তূর্য মায়ার কপালে চুমু খেয়ে বলল :-

-হুম (তূর্য)

মায়া পুনরায় আধো আধো গলায় তোর যদি জিজ্ঞেস করল :-

-কার মতো হয়েছে? (মায়া)

-একদম মামার মতো। (তূর্য)

তুর্যর মুখে এই ছোট্ট কথাটা শুনে মায়ার বুকের ভিতরে ধপ করে উঠলো।

আতিয়া বেগম ও পাশ থেকে বলে উঠলো :-

-তূর্য সত্য কথাই বলছে মায়া, মাশাল্লাহ, আমার দাদুভাই দেখতে একদম আমার ভাইয়ের মতোই হয়েছে। (আতিয়া বেগম)

-আমি দেখব বাবুকে। (মায়া)

-OK (তূর্য)

এরকম পরিস্থিতিতে ছেলে আর ছেলের বউয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকাটা শোভনীয় দেখায় না। তাই তূর্য বাবুকে নেওয়ার জন্য হাত এগোতে, আতিয়া বেগম তূর্যর কাছে বাবুকে রেখে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।

তূর্য খুব সাবধানে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে মায়ার কাছে এগিয়ে যায়।
মায়াকে তার বাচ্চার মুখ দেখাতে নিলেই বাচ্চা প্রথমবারের মতো তূর্যর কোলে হি*সু করে দেয়।

ছেলে হি*সু করে দিয়েছে বুঝতে পেরে তূর্য তার ছেলের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে বলে :-

-তোমাকে পৃথিবীতে আনার জন্য সারারাত তোমার মায়ের সঙ্গে এতো পরিশ্রম করলাম, আর তুমি কিনা আমার সেই পরিশ্রমের এই প্রতিদান দিলে। (তূর্য)

সদ্যজন্ম নেওয়া শিশুকে এই কথা বলায় মায়া বলে উঠলো :-

-ছি…. (মায়া)

এভাবেই সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্তের মধ্য দিয়ে পার হতে থাকে তাদের জীবন।

_______________

তূর্য এবং মায়ার ছেলের নাম রাখা হয়েছে তীব্র।

আজ তীব্র মুখে ভাত,

তূর্য তা চায়না যে তার সন্তান বাইরের কারো নজরে পড়ুক, তাই বিশেষ কিছু আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঘরোয়া ভাবে তীব্রর মুখে ভাতের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

সেখানে উপস্থিত ছিল অগ্নি, ইরা এবং তাদের দুই মেয়েও।

তীব্রর বয়স বর্তমানে মাত্র সাত মাস, অথচ তীব্র মুখে ভাতের দিনেই তূর্য প্রকাশ করল আরেকটি সুখবর।
সেটি হলো:-
“মায়া দ্বিতীয়বারের মতো মা হতে চলেছে”

তূর্যর মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে খান বাড়িতে উপস্থিত প্রতিটা মানুষই অবাক হয়ে গেল।
তবে কথাটি সত্য, তীব্রর যখন মাত্র পাঁচ মাস বয়স তখনই মায়া দ্বিতীয়বারের মতো আরেকটি প্রাণ তার গর্ভে ধারণ করে।

এত ছোট বাচ্চা রেখে মায়া আবার প্রেগন্যান্ট কথাটা শুনে খান বাড়িতে উপস্থিত সবাই যেমন অবাক হলো, তেমনি আবার খুশিও হলো।

অগ্নি তখন ইরাকে মায়ার দিকে ইশারা করে বলল :-

-দেখো মায়া ৭ মাসের বাচ্চা রেখে আবার দ্বিতীয়বারের মতো মা হচ্ছে, অথচ আমরা পাঁচ বছর আগের দুটো বাচ্চা নিয়ে এখনো বসে আছি। (অগ্নি)

-যে দুইটা বদের হাড্ডি পয়দা করেছ ওই দুইটাকে আগে মানুষ করো। আমি আর এসবের মধ্যে নাই। (ইরা)

তখনই পেছন থেকে সুখ আর পাখি এসে বলল :-

-পাপা, দেখেছো মাম্মি আবার আমাদের বদের হাদ্দি বলল। তুমি মাম্মিকে বকা দিয়ে দাও। (পাখি)

-ok Baby, আমি বাসায় নিয়ে গিয়ে তোমাদের মাম্মিকে খুব করে বকে দেবো। (অগ্নি)

বাবার কথা শুনে মেয়েরা খুশিতে হাততালি দিতে শুরু করল।

এভাবে হাসিখুশি ভাবে পার হয়ে যেতে থাকলো তাদের জীবন।

★★★সমাপ্ত★★★