অবাধ্য পিছুটান পর্ব-০৯

0
166

অবাধ্য_পিছুটান
সাদিয়া_শওকত_বাবলি
পর্ব_৯

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

তুর্য বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকালো আরুশের পানে। অবিশ্বাস্য কন্ঠে শুধালো,

-“এই দজ্জ্বাল মহিলা আমার বউ?”

আরুশ উপর নিচ মাথা ঝাঁকালো। মুখে বলল,

-“জ্বী স্যার এটাই আপনার মুরগির বাচ্চার মতো এক এবং একমাত্র বউ পৃথা ইসলাম।”

তুর্য হতবম্ব হলো। কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে হুট করেই বুকে হাত দিল। বুকটা চেপে বলল,

-“আরুশ পানি আন। বউ দেখে কেমন কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে আমার। যেকোনো সময় অ্যা’টা’ক ফ্যা’টাক হয়ে যেতে পারে।”

আরুশ ভয় পেল। তুর্যের অ্যাটাক! এর থেকে আতঙ্কের আর কি হতে পারে? ছেলেটা সময় ব্যয় করলো না একটুও। দৌড়ে গেল গাড়ির নিকট। গাড়ি থেকে এক বোতল পানি নিয়ে আবার দৌড়ে ফিরে এলো তুর্যের পানে। ব্যস্ত হাতে বাড়িয়ে দিল পানির বোতলটা। তাড়াহুড়ো করে বলল,

-“স্যার পানি। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন।”

তুর্য পানির বোতল হাতে নিল। এখনও যেন তার বিশ্বাস হচ্ছে না এই তার বউ। সেই প্রথম দিন থেকে যে মেয়ের সাথে চড়ম শ’ত্রু’তা পোষান করে বেড়াচ্ছে এখন এসে কিনা জানতে পারছে সেই শ’ত্রু’ই তার মুরগির বাচ্চার মতো বউ? আচ্ছা সে কানে ভুল শুনছে না তো? আরেকটু নিশ্চিত হতে তুর্য আবার শুধালো,

-“ভাই তুই নিশ্চিত? এই দ’জ্জ্বা’ল মহিলাই আমার বউ তো?”

-“জ্বী স্যার একদম একশত ভাগ নিশ্চিত।”

তুর্যের গলা শুকিয়ে এলো। নিজের হাতে ধরে থাকা বোতলটার ছিপি খুললো। ঢকঢক করে গিললো বোতলের অর্ধেকটা পানি। হুট করেই কিছু একটা স্মরণে আসতেই পানি পান করা থামিয়ে দিল সে। বোতলটা পাশেই অদূরে ছুঁড়ে ফেললো। অতঃপর আরুশের পানে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

-“ব্যাটা মীর জাফরের বংশধর। তুই আগে কেন বললি না যে ঐটা আমার বউ? এখন আমি যে এক খানা থাপ্পর মেরে দিলাম এর দায়ভার কে নিবে শুনি?”

আরুশ ঢোক গিললো। আমতা আমতা করে বলল,

-“স্যার আমি তো বলতে চাইছিলাম কিন্তু আপনিই থামিয়ে দিলেন।”

-“জোর করে বলতি। এমনি সময় তো খুব ফটর ফটর করতে পারিস বেয়াদব।”

থামলো তুর্য। চিন্তিত সুরে বলল,

-“নিশ্চই বউটা আমার ব্যথা পেয়েছে ভীষণ।”

আরুশ জ্বীহ্বা দ্বারা ওষ্ঠ ভেজালো। বুকে সাহস নিয়ে বলল,

-“স্যার দ’জ্জ্বা’ল মহিলারা ব্যথা পায় না।”

সাথে সাথে তেতে উঠলো তুর্য। ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,

-“চুপ বেয়াদব। আমার বউকে একদম দ’জ্জ্বা’ল বলবি না তাহলে তোকে আমি সুলে চ’ড়া’বো।”

আরুশ চুপসে গেল। তবে মনে মনে ভেংচি কাটতে ভুললো না একটুও। ওষ্ঠ বাঁকিয়ে বিরবিরিয়ে বলল,

-“নিজে নিজে এতক্ষন বউকে দ’জ্জ্বা’ল দ’জ্জ্বা’ল বলে মুখে ফেনা তুললো, এখন এসেছে বউয়ের প্রতি প্রেম দেখাচ্ছে। শা’লা গিরগিটি কোথাকার।”

১১.
সময় গড়ালো। গোটা একটা রাত কেটে আবারও সকালের দেখা মিললো। তুর্য আজও সকাল সকালই ছুটে এসেছে পৃথাদের কলেজের সম্মুখে। গতকাল যে কান্ড ঘটিয়েছে তারপর তার বউ ঠিক কিভাবে প্রতিক্রিয়া দিবে তাই ভেবে পাচ্ছে না ছেলেটা। তার উপর তুর্যের যে শক্ত হাত, নিশ্চই বউটা ব্যথা পেয়েছে ভীষন। যাই হয়ে যাক না কেন ঐ মেয়েটা তুর্যের বউ। তাছাড়া তার আর পৃথার মধ্যে যতই ঝগড়া বিবাদ হোক না কেন তাতে তুর্যের দোষটা কোনো অংশে কম নয়। দুই জনই সমান দোষী তার মধ্যে আবার তুর্য দিয়েছে থাপ্পর। গতকাল বিকালেও ছেলেটা ছুটে গিয়েছিল পৃথাদের বাড়ির সম্মুখে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় দেখা পায়নি বউয়ের। এরপর যদি আবার বউয়ের খোঁজে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যেত হয়তো হিতে বিপরীত হয়ে যেত। শ্বশুর বাড়িটা তো সব রা’জা’কা’র, আল’বদর, আল শাম’স এ ভরপুর। বউটাও এই মুহূর্তে চেতে আছে। তাই আর তুর্য ও বাড়িতে ঢোকার ঝুঁকি নেয়নি। আগে বউকে মানানো যাক, তার ভালোবাসায় সিক্ত করা যাক। তারপর না হয় এই শ’ত্রু’তে ঘেরা বাড়িতে ঢুকে দুই চারটা তান্ডব নৃত্য নাচা যাবে। তুর্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার রা’জা’কা’র শ্বশুরটার সম্মুখে একবার তান্ডব নৃত্য নাচার জন্য।

তুর্য অধৈর্য্য ভঙ্গিতে রাস্তার ফুটপাতে পায়চারী শুরু করলো অনবরত। তার বউটা কেন কলেজে আসছে না এখনও। সাড়ে নয়টা বাজতে চললো ইতমধ্যে। বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত হলো আরও। আরুশ হঠাৎ করেই বলল,

-“স্যার ঐ আপনার বউ আসছে।”

তুর্য নড়েচড়ে দাঁড়ালো। বউ! তার বউ ভাবতেই প্রশান্তিতে ভরে গেল ছেলেটার মন প্রাণ। কত প্রতীক্ষা, অত ছটফটানির পরে সে দেখা পেয়েছে বউয়ের। এই মেয়েটাকে আগে যতবার দেখেছে কখনও এমন লাগেনি অথচ যখন থেকে শুনেছে এই মেয়েটাই তার বউ তখন থেকে অজানা এক প্রশান্তিময় অনুভূতি আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে তুর্যকে।

পৃথা রাস্তায় তুর্যকে দেখেও না দেখার ভান ধরলো। ছেলেটাকে উপেক্ষা করে পা বাড়ালো গেটের দিকে। আরুশ তাড়াহুড়ো করলো। হইহই করে বলল,

-“স্যার আপনার বউ চলে যাচ্ছে তো।”

তুর্যর হুশ ফিরলো। বউ চলে যাচ্ছে দেখে হন্তদন্ত হয়ে উঠলো ছেলেটা। তাড়াহুড়ো করে ডাকলো,

-“ব..”

থামলো তুর্য। অর্ধেকটা ডেকে বাকিটা গিলে ফেললো। নিজেকে সামলে নিয়ে আবার ডাক দিল,

-“পৃথা।”

পৃথা থমকে দাঁড়ালো। ভ্রু কুঁচকে তাকালো পিছন ফিরে। তাকে ডাক প্রদানকারী ব্যক্তিকে দেখে ভ্রুদ্বয় কুঁচকে এলো আরও। এ লোক আবার তাকে ডাকছে কেন? আবার কোন ঝামেলা পাকানোর ইচ্ছে আছে এর? মনে মনে সন্দেহ জন্ম নিল পৃথার। আশেপাশে একবার নজর বুলিয়ে সে বলল,

-“জ্বী আমাকে ডাকছেন?”

তুর্য এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো পৃথার নিকটে। মেয়েটার মুখোমুখি হয়ে বলল,

-“হ্যা তোমাকেই ডাকছি।”

পৃথা কপাল টানটান করে তাকালো তুর্যের পানে। শক্ত কন্ঠে বলল,

-“কি খবর? থাপ্পর কি আরেকটা মা’রা বাকি আছে নাকি আপনার?”

তুর্য বউয়ের শক্ত কথার নিকট কিছুটা দমে গেল। এই বোধহয় প্রথম বারের মতো সে দমে গেল। নয়তো তার কথার সাথে পেরে উঠবে এমন কেউ আছে? তুর্য আশেপাশে তাকালো। কি বলবে না বলবে ভেবে পেল না মস্তিষ্ক হাতড়ে। আমতা আমতা করে হুট করেই বলে ফেললো,

-“আসলে কি বলতে চাইছিলাম কি তোমার গালটা ভীষন নরম।”

পৃথার চোখ জোড়া বড় বড় হয়ে গেল। কটমট করে সে বলল,

-“অ’স’ভ্য অ’ভ’দ্র পুরুষ মানুষ।”

তুর্য ঢোক গিলল। সে যে উত্তেজনায় ভুল করে ফেলেছে বেশ ভালো বুঝতে পারছে। তবুও নিজের ভুলটা প্রকাশ করতে চাইলো না পৃথার সম্মুখে। একটু কেশে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো অতঃপর বলল,

-“তুমি যদি কাল আমার পাঞ্জাবীটা না ছিঁড়তে আমি তোমাকে থাপ্পর দিতাম না।”

তেতে গেল পৃথা। কত সুন্দর ছেলেটা সব দোষ তার ঘাড়ে দিয়ে দিল। প্রথমে তার নতুন শাড়িটা ছিঁড়েছিল বলেই না সে লোকটার পাঞ্জাবী ছিয়েছিল। অথচ এখন সে কি সুন্দর অবলীলায় বলে দিল “তুমি পাঞ্জাবী না ছিঁড়লে আমি থাপ্পর দিতাম না।” ব্যাটা ব্রিটিশ। পৃথা দাঁতে দাঁত চাপলো। কটমট করে বলল,

-“ছিঁড়েছি বেশ করেছি। আপনি আমার শাড়ি ছিঁড়েছেন আমিও আপনার পাঞ্জাবী ছিঁড়েছি। আর থাপ্পরটা, ওটাও আমি ফেরত দিয়ে দিতাম সাথে সাথে যদি আপনি আমার বড় না হতেন।”

তুর্য হতবাক হলো। কি বলল তার বউ তাকে? সে যদি বড় না হতো তাহলে তার বউও তাকে থাপ্পর দিতো? এই প্রথমবার মনে মনে নিজের বড় হওয়ার জন্য বেজায় খুশি হলো ছেলেটা। ভাগ্যিস আজ সে বয়সে বড় নয়তো নির্ঘাত বউয়ের হাতে মা’ই’র খেতে হতো। এই বড় হওয়ার ব্যাপারটা তাকে বাঁচিয়ে দিল এবারের মতো। তবে পরক্ষনেই মুখ বাঁকালো তুর্য। তাচ্ছিল্য করে বলল,

-“সারাক্ষণ আমার মতো একটা দামড়া ছেলের সাথে ঝগড়া করার সময় তো তোমার বড় ছোট জ্ঞানে আসে না। তাও যাক থাপ্পরের সময় অন্তত তোমার বড় ছোট জ্ঞানে এসেছে। এই বিষয়ে আমি কৃতজ্ঞ তোমার নিকট।”

পৃথা রেগে গেল। তুর্য যে নিজের কথা দ্বারা অতি সূক্ষ্মভাবে তাকেই অপমান করেছে বেশ বুঝলো মেয়েটা। ওদিকে ক্লাসের ঘন্টাও পড়লো বলে। তাই আর অতিরিক্ত ঝগড়া বিবাদে নিজেকে জড়ালো না পৃথা। শুধুমাত্র ক্রোধিত কন্ঠে বলল,

-“আমার থেকে দূরে থাকবেন। পরবর্তীতে আপনাকে যেন আমি আর আমার চোখের সম্মুখে না দেখি ব্রিটিশ পুরুষ।”

নিজের যতটুকু বলার প্রয়োজন ছিল বলেই কলেজের ভিতরের দিকে প্রস্থান করলো মেয়েটা। তুর্যকে আর কিছু বলার সুযোগ দিল না। পৃথা চলে যেতেই আরুশ এগিয়ে এসে দাঁড়ালো তুর্যের পাশে। ভাবুক ভঙ্গিতে বলল,

-“আপনার বউটা মনে হয় না এত সহজে মানবে স্যার।”

তুর্যের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো। সে পৃথার চলে যাওয়ার পানেই দৃষ্টি অব্যাহত রেখেই বলল,

-“আমি কি বউকে মানাতে এখন তার কলেজের অধ্যাপক হিসেবে চাকরি নেব আরুশ? ঐ নাটক, সিনেমা, উপন্যাসে যেমন হয় তেমনভাবে?”

আরুশ কোনো চিন্তা ভাবনা করলো না। ফট করে উত্তর দিল,

-“শিক্ষক পিতার সমতুল্য স্যার।”

তুর্য ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো আরুশের পানে। কটমট করে বলল,

-“চুপ থাক মীর জাফরের বংশধর। দিলি তো আমার মনটা ভেঙে। কত সুন্দর ভেবেছিলাম একজন অধ্যাপক হিসেবে কলেজে চাকরি নিয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প খুদ কুড়া দিয়ে মুরগির বাচ্চার মতো বউটাকে পটিয়ে নিবো তা আর হতে দিলি না বেয়াদব।”

১২.
সকাল গড়িয়ে বিকালের দেখা মিললো। পৃথা ক্লাস শেষ করে পার্কের দিকে গেল একটু। বাড়ি গেলে আর কেউ বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না। অথচ মনটাও ভালো লাগছে না খুব একটা। চোখের সম্মুখে বারবার তুর্যের মা’রা গতকালকের ঐ থাপ্পরের দৃশ্যটা ভেসে উঠছে। সে ছোট বেলা থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির। দুষ্টুমীর জন্য বাবা মা কিংবা ভাইদের নিকট বকা খেয়েছে অনেক কিন্তু কেউ কখনও মা’রে’নি তাকে । অথচ এই পুরুষ কোথা থেকে এসে দুম করে মে’রে দিল। তাও কতগুলো মানুষের সামনে। কতটা লজ্জায় পড়তে হয়েছিল গতকাল পৃথাকে। তবুও তো পৃথা দমে যায়নি, কলেজে যাওয়া বন্ধ করেনি। পৃথা হারতে শেখেনি। আর না কাল ঐ থাপ্পরটায় তার কোনো দোষ ছিল। তাই তো সকাল সকালই কলেজে ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু লজ্জা! মন খারাপ! তারা তো ঠিকই আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে রেখেছে পৃথাকে। কি হলো? কেন হলো? কোন দোষে পৃথাকে লজ্জায় পড়তে হলো সবার সম্মুখে? তুর্য নামক ছেলেটার চেহারা মনে আসতেই পৃথার ছোট্ট দেহটা যেন ক্রোধে কেঁপে ওঠে। ইচ্ছে করে দুই চারটা চড় থাপ্পর মেরে ছেলেটার ফর্সা গাল লাল করে দিতে। কিন্তু বড় বলে আর চক্ষুলজ্জায় তা পারে না। ছেলেটা ভীষন বাজে, নির্দয় হলেও সে তো না। পার্কের বেঞ্চে বসে আকাশ পাতাল ভাবছিলো পৃথা। মেয়েটার ভাবনার মধ্যেই তার পাশে এসে বসলো কেউ একজন। পৃথা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো সেদিকে, দেখলো তুর্যকে। মুহুর্তেই মেজাজ বিগড়ে গেল। ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,

-“আপনি এখানে? আর আমার পাশে কেন বসেছেন?”

তুর্য ততটা পাত্তা দিল না পৃথার কথায়। নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল,

-“জায়গা পেয়েছি বসেছি। এখানে কি তোমার নাম লেখা আছে নাকি?”

পৃথার কেন যেন কথা বাড়াতে ইচ্ছে হলো না। এর সাথে এখন কথা বাড়ানো মানেই ঝগড়া। আর এই মুহূর্তে ঝগড়া করার মতো ইচ্ছা বা মানসিকতা কোনোটাই নেই মেয়েটার। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল পৃথা। কলেজ ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই উঠে দাঁড়ালো সে। ধুপ ধাপ পা ফেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। তুর্য পিছন ডাকলো। গলা উঁচিয়ে বলল,

-“পৃথা!”

পৃথা দাঁড়ালো না বরং হাঁটতে হাঁটতেই পিছন ফিরে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো তুর্যর পানে। মুখে কিছু না বলেও চোখ দিয়ে শাসিয়ে গেল সূক্ষ্মভাবে। তুর্য আর ডাকলো না মেয়েটাকে। অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো পৃথার যাওয়ার পানে। আরুশ পাশেই ছিল। পৃথাকে চলে যেতে দেখে সে বলল,

-“স্যার আপনার বউ চলে যাচ্ছে।”

তুর্য ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো। হতাশ কন্ঠে বলল,

-“আমার মুরগির বাচ্চার মতো বউটা অমন বাচ্চাওয়ালা মুরগির মতো ক্যামনে হলো ভাই? দেখলেই ফোঁস করে ওঠে। মনে হয় ঠো’ক’র মে’রে’ই শেষ করে দিবে আমাকে।”

চলবে…..