#গল্পঃঅবৈধ_বাচ্চা
#পর্ব_৪
#আরিয়ান
এরপর বাবা বললেন আমরা সবাই মিষ্টি এনেছি এবং মিষ্টি খেয়েছি পাড়ার সকলের মিষ্টি বিতরণ করেছি। তুইতো সন্তানের বাবা যেহেতু এখন তোর পালা এখনই দোকানে যাবি মিষ্টি নিয়ে আসবি। ভাই আর কোন কথা বলল না সোজা বাবার কথা শুনে দোকানে গেলেন। কিন্তু ভাই আর মুখ দেখে আমি অনেক ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম।
!
!
!
অনেকবার ভাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কথাটা বলার জন্য কিন্তু কোনমতে কথাটা বের করতে পারলেন না।
শুধুমাত্র বাবা মায়ের মুখ মুখ তাকিয়ে। তারা যে এত খুশি হয়েছেন। যেহেতু ভাইয়া বাড়ির বড় ছেলে আর এই বাড়িতে কোন ছোট বাচ্চা সন্তান নাই। এজন্য সবাই খুব খুশি। ভাইয়া মুখ গুমোর করে মিষ্টি নিয়ে বাসায় আসলেন। আর বললেন এই নেন আপনাদের মিষ্টি আপনারা খান। বাবা কিছুটা ভাই আর মুখ দেখে বুঝতে পারলেন হয়তো বা ভাইয়ার কোনভাবে বিস্মিত হয়ে আছেন। বাবা ভাইয়াকে প্রশ্ন করলেন তুই কি ঠিক আছিস??
এরপর ভাইয়া বললেন !
বাবা মায়ের হাসি খুশি দেখে বললেন হ্যাঁ আমি ঠিক আছি। ভাইয়া তারপর রুমে চলে গেলেন ভাবির কাছে।
ভাবির কাছে যাইয়া আবার তুমুল আকারে ঝগড়া শুরু করতে লাগলেন । তোমার কাছে অনুরোধ করতেছি প্লিজ বলো এই বাচ্চাটার বাবাটা কে?
ভাবি শুধু কান্না করতে লাগলেন। কারণ ভাবি তো নিরুপায় কিচ্ছু বলার ক্ষমতা তার নাই। যখন ভাইরা সব কিছু বললেন সে কখনো বাবা হতে পারবেন না।
ডাক্তার নাকি বলেছেন।
এই কথাটা ভাবির কাছে কোনদিন আগে বলেন নাই। ভাইয়া কথাটা গোপন করে রেখেছিলেন। ভাবি হয়তোবা বুঝতে পারেন নাই। আর এই সুযোগে ভাবি আমার সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে বাচ্চার মা হতে পেরেছেন
ভাবি হয়তোবা বলতে চাইলেন খুব জোরালোভাবে ভাইয়াকে এই দেখো তুমি বাচ্চার বাবা হতে যাচ্চো।
কিন্তূ সেটা আর হলো না। ভাইয়া আগে জানতো সে কখনো বাবা হতে পারবে না। এমন পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হতে লাগলো মনে হচ্ছে ভাবির গায়ে হাত তুলবে ভাইয়া। তবুও ভাবি কোন ভাবে স্বীকার করছেন না এই বাচ্চার বাবা তারই ছোট ভাই আরিয়ান।
যদি কথাটা বলে ভাইয়া কোন ভাবে নিবে সেটা ভাবি ভালোভাবে জানত। আর তুমুল আকারের ঝগড়া হয়ে যেত আরিয়ানের সাথে,, ভাবি কান্না করতেই লাগলো তার মুখ থেকে বের হলো না।
এই বাচ্চার বাবা আরিয়ান। ভাইয়া আর সহ্য না করতে পেরে সে রুম থেকে বের হয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল।
এরপরে আমি ভাবি রুমে ঢুকলাম। ভাবি আমাকে দেখে অনেক অবাক হয়ে গেলেন বললেন তুমি কেন এসেছ আমার রুমে বলো? তখন আমি ভাবিকে বললাম এত কিছু নির্যাতন সহ্য না করে আমার নামটা বললেই তো হতো!
ভাবি তখন বলল তুমি কি পা*গল হয়েছে আরিয়ান?
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি পা*গল হয়েছি ভাবি সত্যি। শুধু আমার জন্য তোমার এত কথা সহ্য করতে হচ্ছে আমি আর পারতেছি না এইসব কথা শুনতে। আরিয়ান তুমি বুঝতে পারছ না এই কথাটা যদি আমি বলে দিই তাহলে তোমার অনেক বড় একটা ক্ষতি হয়ে যাবে।
তুমি সবে মাত্র অনার্সে পড়তেছো। তোমার ভবিষ্যৎ এখনো বাকি আছে। তুমি একটা বাচ্চা পোলাপান। যা হয় হোক সেটা তোমার ভাবতে হবেনা।
আমি ভাবীর রুমে কথা বলছি বাবা দেখে বললো কি কথা হচ্ছে দেবর ভাবীর? তখনি আমি কিছু বলবো!
গল্পটা যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই একটা লাইক এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আপনাদের একটা কমেন্ট আমাদের গল্প লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়।
শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন ভালো লাগবে আশা করি।
#চলবে?