অবৈধ বাচ্চা পর্ব-০৬

0
705

#গল্পঃঅবৈধ_বাচ্চা
#লেখক_আরিয়ান #আরিয়ান
#পর্ব৬

—————আচ্ছা ঠিক আছে আরিয়ান তুই তোর কাজে যা প্রয়োজন যদি হয় তোকে আমি ডাক দেবো। এই কথা শুনে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। ভয় টা মনে হচ্ছে বেড়েই চলেছে। একবার মনে হয় সত্যি আমি বলে দিই। আবার চিন্তা করি যদি এ কথাটা শুনে অবশ্যই ভাইয়া অনেক অনেক রাগ করবে আমার প্রতি, এজন্য আর আমি কিছু বলতে পারছিনা ভাইয়াকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইয়ার ব্যবসার ওখান থেকে একটা কল আসলো।

এরপর আম্মুকে ডাক দিল ভাইয়া ,
আম্মু কে ডেকে বলল আম্মা আমার ব্যবসার কাজের জন্য এখনই বাইরে যেতে হবে। মনে হয় অনেকদিন সময় লেগে যেতে পারে সেটা বলতে পারবো না।

তবে খুব শীঘ্রই আমি বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করব। আম্মা তখন বলল কি বলিস এই মুহূর্তে তোর বাড়ি থেকে কোথাও যেতে হবে না। এত সুন্দর একটা খুশির মুহূর্তে আমি তোকে কোথাও যেতে দিতে পারছি না। প্রয়োজনে তুই ম্যানেজার কে কল দিয়ে আর উনাকে সবকিছু সামলাতে বল। ভাইয়া তখন বলল এই কাজ ম্যানেজার পারবেনা। আম্মা তুমি বোঝার চেষ্টা করো। অনেক বড় একটা ডিল তো তাদের সাথে আমার অবশ্যই মিটিং করতে হবে।

আর এদিকে আরিয়ান মনে মনে ভাবছি ভাইয়া বাড়ি থেকে চলে গেলে খুব ভালো হয়। কারণ ভাইয়া যতক্ষণ বাড়ি থাকবে ততক্ষণ অশান্তি লেগেই থাকবে।
ভাইয়ার মনে কি চলছে বাড়ির কেউ বুঝতে না পারলেও আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি। কিছুক্ষণ পর পর ভাবির কাছে যেয়ে ভাবির সাথে ঝগড়া করতেছে।

আমি সত্যিই এই ঝগড়াগুলো আর দেখতে চাইতেছি না। একটা ভুল করে ফেলেছি এই ভুলের মাশুল আমি কখনো দিতে পারবো না। এরপর আম্মা যখন ভাইয়ের সাথে কথা বলছিল তখন ওই সময় আমি তার পাশে ছিলাম। তখন আমাকে বললাম যেহেতু এটা একটা বড় ভাইয়া যেতে চাচ্ছে তাকে যেতে দিন। আমরা বললো বাড়িটা এতো কাজ রয়েছে। অনেক মেহমান আসবে আমাদের বাড়িতে এগুলো সামলাবে কি?

আরিয়ান তখন বলল ওই নিয়ে তোমাকে চিন্তা করা লাগবে না আম্মা। যেহেতু এই ব্যবসাটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাইয়ার না যাওয়াতে যদি সমস্যা হয়। তাহলে অবশ্যই ভাইয়াকে যেতে হবে। ভাই অতক্ষণ বললো হ্যাঁ আরিয়ান আমাকে অবশ্যই যেতে হবে না গেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
!!
!!
!!
ভাইয়াকে তখন আম্মা বলল তোর শ্বশুর বাড়িতে তুই কি ফোন করেছিলি?
ভাইয়া তখন বলল হ্যাঁ আমি করেছিলাম।
তোর শ্বশুর শাশুড়ি কখন আসবে কিছু বলেছে?
ভাইয়া বলল খুব শীঘ্রই চলে আসবে তোমরা এদিকে সামলাও। তাহলে আমি রেডি হতে গেলাম।

আম্মা বললো আচ্ছা ঠিক আছে তুই রেডি হইয়ে আমাকে একটু ডাক দিস।
ভাইয়া তখন বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে তোমাকে ডাক দিতেছি।

। গল্পের লিংক ও রিভিউ আলোচনা+ (Story Link) �

=====ভাইয়া এই বলে তার রুমে চলে গেল। ওইদিকে রুমে ভাবি বসে আছে। আমি এইদিক থেকে সবকিছু দেখতে পারছি। ভাইয়া তখন ভাবিকে বলল আমি ব্যবসার কাজে বাইরে যাচ্ছি। রেগে মেগে বললেন নিজেকে খেয়াল রেখ। ভাবি বলল তুমিও নিজের খেয়াল রেখো ভালোভাবে থেকো। আর অবশ্যই ঠিক মতন খাওয়া দাওয়া করবেন।



“””ভাইয়া বেরিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে ভাবি আমাকে ডাক দিলেন তার রুমে। ডাক দেয়ার সাথে সাথে আমি তার রুমে চলে গেলাম। তারপরে ভাবিকে বললাম কিছু বলবে?
ভাবি তখন বলল কিছুদিনের জন্য একটু হলেও তোমার ভাইয়ার বেজার মুখ দেখতে হবে না। যাইহোক সে চলে যেয়ে ভালোই করেছেন। তা না হলে আমাকে কত প্রশ্ন কত কিছু করতেন আমি সত্যিই আমি আর পারছিলাম না আরিয়ান।




এসব কথাগুলো শেষ হওয়ার পরে হঠাৎ করে ভাবি কেমন যেন করতেছে। আমি তখন ভাবিকে বললাম কি হয়েছে তোমার?
ভাবি বললেন আমার পেটের ভিতরে একটু ব্যথা করতেছে। তখন আমি বললাম তোমার টেনশন করার দরকার নেই। তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো আমি পানি এনে তোমার মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছি।
ভাবি বললেন আরে না এগুলো তুমি করোনা মা তাহলে সন্দেহ করতে পারে। তুমি চুপ থাকো তো যা হয় আমি আমার সাথে বুঝে নেব।
ওয়াশরুম থেকে পানি এনে ভাবীর মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছি। তখন ভাবির চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতেছে। আমি ভাবিকে বললাম তুমি কান্না করতেছ কেন কি হয়েছে?

ভাবি বললেন কিছু না, আরে না কি হয়েছে বলবে তো?
ভাবি তখন বলল সত্যিই তোমাকে যে পাবে আসলে সে ভাগ্যবতী। তোমার ভাই হ্যাঁ আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু এতটা টেক কেয়ার করে না তোমার মতন করে। পানি দেওয়া শেষ করে ভাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তখনই আম্মা এসে দেখে ফেললো আর বললো!!!!!

#চলবে