উপন্যাস: #অমানিশার_মধ্যরাত
লেখিকা: আতিয়া আদিবা
#পর্ব_৯ (১৮+)
বাড়ি ফিরে অমানিশা ড. সুরভী কে ফোন করল। ড. সুরভী যেন ওর ফোনের অপেক্ষাতেই ছিল। কল রিসিভ করেই ব্যাকুল গলায় বললেন,
কি খবর তোমার মা?
আলহামদুলিল্লাহ। ভালো, খালামণি।
ড. সুরভী বললেন,
তোমাকে আমি আজ ফোন করতে চেয়েছিলাম। সেদিন এবোরশনের খরচ জানতে চাইলে। অথচ জিজ্ঞেস করা হয়নি, তুমি ছোট মানুষ এতগুলো টাকার ব্যবস্থা করবে কিভাবে? শোনো মা, তুমি এমনেই চলে এসো। টাকা লাগবে না। আমি চাইছি না পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাক। যত দেরি করবে, তত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।তুমি কি বুঝতে পারছো আমার কথা?
অমানিশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
আসলে আমার বয়ফ্রেন্ড চাইছে না আমি এবোরশন করি। যদি করতেই হয়, ওর পরিচিত ডাক্তার দিয়ে করাতে চাইছে। অন্য কারো ওপর ভরসা করতে পারছে না।
ওহ! – ড. সুরভী হাসিমুখে বললেন,
তাহলে তো সমস্যা মিটেই গেলো। তোমাকে নিয়ে বড় টেনশন হচ্ছিল গো, মা। বারবার ভাবছিলাম, এত ছোট মেয়ে। পরিবারের কেউ জানে না। কিভাবে এতবড় ধকল সামলাবে?
অমানিশা অনুনয় করে বলল,
খালামণি, আপনি অচেনা মানুষ হয়েও আমার জন্য এত ভেবেছেন। আমি আপনার কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।
ড. সুরভী হাসলেন। বললেন,
কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো। দ্বিতীয়বার চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি যেমন আরবীর খালা, তোমারও খালা। ঠিকাছে মা, ভালো থাক তাহলে?
আচ্ছা খালামণি। আপনিও ভালো থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম।
ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
টুট। টুট। টুট।
লাইন বিচ্যুত হওয়ার মাঝে ভৌতিক কিছু নেই। তবুও অমানিশার মাঝে অজানা ভয় জেঁকে বসল। তার মনে হল, সে আরোও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে। এই বিপদ থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই। ধু ধু মরুভূমির মতন সীমানাহীন এ বিপদ। কিছুদূর এগোলে মনে হবে এইতো নিস্তারের পথ! কিন্তু এ পথ এবং মরিচীকার মাঝে কোনো বিভেদ নেই।
সাউন্ডবক্সে ইংরেজি গান বাজছে। আহনাফ আজ বেজায় খুশি। পাঁচশ টাকা পেচিয়ে একদম চিকন পাইপ বানিয়ে ফেলেছে সে। ফয়েল পেপারের নিচে আলগোছে লাইটার ধরে সেই টাকার পাইপ দিয়ে বুক ভরে ধোঁয়া টানছে। এ যেন এক অন্য ভূবনের স্বাদ!
আবির সিগারেটে টান দিয়ে কণ্ঠে বিরক্তি নিয়ে বলল,
সবগুলো ট্যাবলেট এক বসায় শেষ করবি নাকি?
আহ – অস্পষ্ট স্বরে আওয়াজ বের হল আহনাফের মুখ থেকে। ভ্রু কুঁচকে বলল,
এই বা*ই*ঞ্চোদ! সমস্যা কি তোর? ফ্রি তে নেশা করাচ্ছি তাতেও তোর হয় না? অন্যের বিড়ালে মুখ দেওয়া আর যেখানে সেখানে বাম হাত ঢুকানোর স্বভাব তোর গেল না।
আবির হেসে ফেলল। বলল,
বল, বল। যা মুখে আসে তাই বল। যে গরু দুধ দিবে, তার লাত্থি খাব না, এ আবার হয় নাকি? তবে যাই বলিস, অন্যের বিড়ালে মুখ দেওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু অমায়িক বন্ধু।
কিভাবে অমায়িক? একটু বিস্তারিত বল শুনি। – ধোয়া নাকে নিয়ে মাতাল হয়ে জিজ্ঞেস করল আহনাফ।
ফুটবল ম্যাচের মত। গোলপোস্টে গোলকিপার দাঁড়িয়ে আছে হাত পা ছড়িয়ে। তাও তুই বলটাকে নিয়ে খেলতে খেলতে গোল করে দিলি। – কথাগুলো বলে আবির উচ্চস্বরে হেসে ফেলল।
আহনাফ গম্ভীরমুখে বলল,
এবার অন্তত ভাবীদের দিকে নজর দেওয়া বাদ দে। বয়স তো কম হলো না।
এহ! কচি মেয়ে ধরা ছেলে আমায় আবার বয়সের দোহাই দিচ্ছে। তুই নিজে কি করছিস? আস্ত পেডোফাইল একটা।
আহনাফ তৃপ্তির হাসি হাসল। যেন আবির তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ!
এপর্যায়ে আহনাফের মোবাইল বেজে উঠল। ফোনের দিকে তাকিয়ে সে ইশারায় আবিরকে চুপ করতে বলল। সাউন্ডবক্স অফ করে ফোন রিসিভ করল।
রাজন ভাই! কি খবর? কোনো খোঁজ খবর নাই।
রাজন রাগী গলায় বলল,
ঢং করিস না, আহনাফ! তোর ধান্দাবাজি আর কেউ না বুঝলেও আমি কিন্তু বুঝি।
আপনার লগে কি আমার ধান্দাবাজির সম্পর্ক ভাই? কি কন না কন! ধুর মিয়া। – হতাশা মেশানো দীর্ঘশ্বাস ফেলল আহনাফ।
তুই কি করছিস, না করছিস সব খবর কিন্তু আমার কানে আসে। বললাম মেয়েটারে ছেকা দিতে। আর তুই ওর সাথে প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাইতেছিস। সেও দেখি তোর নেশার সামগ্রী কিনে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিছে! ভালোই আহনাফ। মুখে ভাই ভাই বলে ভাইয়ের পেছনে বাঁশ দিতেছিস। তাও আবার আছোলা!
আহনাফ ভ্রুঁ কুঁচকে বলল,
আহা ভাই! ভুল বুঝতেছেন। আপনি যেভাবে যা বলছেন, সেভাবেই আমি এগোচ্ছি। এখন মাগনা নেশার টাকা পাইলে কি ছাড়া উচিত হবে? আপনিই বলেন?
আমি আর কি বলব? গার্লফ্রেন্ড তোমার। টাকা তোমারে দেয়। সেই টাকা নিয়া একা একা পার্টি করো। আমরা কে? নারীর নেশায় ভাই ব্রাদার্স পর হয়ে গেছে।
আহনাফ হেসে বলল,
ভাই পার্টি এরেঞ্জ করব খুব শিঘ্রই। সেদিন আপনিও থাকবেন আমাদের সাথে কোনো সমস্যা নাই। আপনি শুধু ভুল বুইঝেন না।
ভুল তো বুঝতে চাই না। তুই ও প্রতারণা করিস না, আহনাফ। আমি ভুল মাইনা নিতে পারি। অন্যায় মাইনা নিতে পারি। প্রতারণা মানতে পারি না। এরকম কিছু হলে টুঁটি ছিড়া ফেলব তোর। – গম্ভীর গলায় বলল রাজন।
এমন কিছু হলে আমি মাথাটাই পাইতা দিবনি আপনার সামনে। আপনি গর্দান নিয়েন, ভাই। ঠিক আছে?
রাজন হেসে ফেলল। বলল,
ঠিক আছে, ভালো থাক। রাখলাম।
ফোন কাটার সাথে সাথে আহনাফ দাঁতের ফাঁকা দিয়ে গালি দিল, ‘বাই*ঞ্চো*দের পয়দা’।
আবির জিজ্ঞেস করল,
রাজন কেন ফোন দিল তোকে?
বিরক্ত হয়ে আহনাফ উত্তর দিল,
কেন আবার? গন্ধ পেয়েছে তাই! রাফি মনে হয় বলছে মাল নিছি। তাই শালায় ফোন দিছে। অমানিশার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এমন একটা ভাব ধরে যেন আমাকে কিনে নিছে।
ফোন ধরলি কেন তাহলে? – আবির প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল।
ফোন না ধরলে সরাসরি বাসায় এসে হাজির হত। মা*দার*চো*দের মানসম্মান আছে নাকি? দে তো সিগারেট টা। মাথাটা ধরে গেছে একদম।
আবির আহনাফের দিকে সিগারেট এগিয়ে দিতে দিতে হাসিমুখে বলল,
দুইজন মেয়ের ব্যবস্থা হইছে।
আহনাফের মেজাজ মুহুর্তেই হিমালয়ের মত শীতল রূপ ধারণ করল। ফুরফুরে গলায় বলল,
কোথাকার?
লালপাড়ায় আসছে। একদম নতুন নাকি।
আহনাফ পুনরায় অগ্নিমূর্তি ধারণ করল। বলল,
শালা, টাকা কই পাব? ওরা কি ফ্রিতে সার্ভিস দিবে?
আবির মাথা চুলকে বলল,
এছাড়া আর উপায় নেই।
তোর কিছুই করতে হবে না। তুই যেয়ে ওদের কাছ থেকে সার্ভিস নে। আমি আমার ব্যবস্থা করে নিচ্ছি। – আহনাফের চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ।
কিভাবে ব্যবস্থা করবি?- আগ্রহভরে জানতে চাইল আবির।
আহনাফ এপ্রশ্নের জবাব দিল না। ফেসবুকে লগইন করে দিশার প্রোফাইলে ঢুকল। মেয়েটা দারুণ ছবি তুলে। প্রতিটি ছবিতে বুকের মাঝখানের সুগভীর খাদ স্পষ্ট। স্ক্রিনের ওপর দিয়েই সেই গভীরতা বৃদ্ধাঙ্গুলির স্পর্শে নির্নয়ের চেষ্টা করল আহনাফ। ব্যর্থতা তাকে পাগল বানিয়ে দিল। সোজা ম্যাসেঞ্জারে গিয়ে লিখল,
আজ ফ্রি আছো? বাসায় আসতে পারবে?
*** *** ***
অমানিশা ভেবেছিল বাসায় ফিরে আহনাফ তার সাথে যোগাযোগ করবে। কিন্তু এরকম কিছুই ঘটল না। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হল। বিকাল গড়িয়ে রাত। তবুও আহনাফের নাম মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠল না। বুকে একরাশ আশা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল সে।
ভোরের আলো তখন সবেমাত্র ফুটেছে। পশ্চিমের জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে সরু কমলা রঙের আলোর ছটা খেলা করছে অমানিশার মুখে। রাতে ঘুমের ঘোরেই কেঁদেছে মেয়েটা। চোখের পানি শুকিয়ে শুষ্কবর্ণ ধারণ করেছে। নিষ্পাপ এই মুখটায় কত শত চিন্তার ছাপ! ভয়ের আনাগোনা। নিশ্চয়তা ফোঁস ফোঁস করে উঠছে তার শ্বাস প্রশ্বাসে।
আড়মোড়া ভাঙ্গল অমানিশা।
রাহেলা প্রতিদিন এসময় মেয়ের ঘরে ঢুকেন। নিঃশব্দে পুরো ঘরে পায়চারি করেন। পশ্চিমের ঝুলন্ত পর্দা দুটোকে টেনে ক্লিপ লাগিয়ে দেন। যেন মেয়ের মুখে রোদ না পড়ে!
নিয়মানুসারে, আজকেও তিনি ঘরে এসেছেন। মেয়েকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে দেখে তিনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
কিরে! আজ এত দ্রুত ঘুম ভেঙ্গে গেছে?
প্রত্যুত্তরে অমানিশা হাসল।
রাহেলা জিজ্ঞেস করলেন,
চা খাবি?
অমানিশা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। রাহেলা হাসিমুখে পর্দায় ক্লিপ লাগিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন চুলায় চায়ের পানি বসাতে । অমানিশা দ্রুত ব্যাগ থেকে ফোন বের করে বাথরুমে ঢুকল। আহনাফ আবার মধ্যরাতে ফোন করেছিলো কিনা দেখা প্রয়োজন।
দুটো মিসড কল উঠে আছে দেখেই অমানিশার বুকটা ধক করে উঠল। সে সাথে সাথে কল ব্যাক করল। যদিও সে ধরেই রেখেছিল আহনাফ কল রিসিভ করবে না!
কিন্তু অমানিশাকে মিথ্যে প্রমাণ করে আহনাফের ভরাট কণ্ঠস্বর শোনা গেল।
নিশা, জান আমার। আই মিসড ইউ সো মাচ। সারারাত কোথায় ছিলে তুমি?
অমানিশা ফিসফিস করে বলল,
ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
আমার কথা না ভেবেই ঘুমিয়ে গেলে? তোমার সাথে কথা হয়নি দেখে সারারাত আমি ঘুমাতে পারিনি। – আদুরে গলায় বলল আহনাফ।
আই এম সরি। – অপরাধী মত বলল অমানিশা।
ফিসফিস করে কথা বলছ কেন? – বিরক্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করল আহনাফ।
মা জাগনা। আমি বাথরুমে এসে কথা বলছি তাই।
ওহ! তোমার সাথে আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা আছে।
আমি তো এখন কথা বলতে পারব না, আহনাফ। – পুনরায় ফিসফিস করে বলল অমানিশা।
তোমার কথা বলতে হবে না। তুমি শুধু শুনে যাও। কেমন?
অমানিশা সম্মতি জানাল।
গতকাল তোমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পর দেখলাম মা হাউমাউ করে কাঁদছে। ফুপি নাকি মাকে ফোন দিয়ে অনেক উল্টোপাল্টা কথা বলেছে। এর ওপর বাসায় গ্যাস নেই অন্যের বাড়ি গিয়ে আর কত রান্না করবে? তুমি তো জানো, মায়ের হার্টের সমস্যা আছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার ওই মুহুর্তে ঠিক কি করা উচিত। মায়ের প্রতিটি কথা আমার বুকে তীরের মত বিঁধছিল, নিশা! উপায় খুঁজে না পেয়ে টাকাগুলো দিয়ে আমি গ্যাসের লাইন ঠিক করিয়েছি। এরপরেও দুই হাজার টাকার মত হাতে ছিল। রাতে মায়ের বুক ব্যাথা শুরু হল। বক্সে হার্টের ওষুধ খুঁজতে গিয়ে দেখি একটা ওষুধও নেই। বাকি টাকা দিয়ে হার্টের ওষুধ এনেছি। নিশা, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি জানি, টাকাগুলো তোমার অনেক প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মায়ের কান্নার কাছে এই বেকার ছেলের মনুষ্যত্ব কোথায় যেন বিলীন হয়ে গিয়েছিল। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, নিশা। যদি এবোরশন করার ক্ষেত্রে কোনো কমপ্লিকেশন থাকে, সেক্ষেত্রে আমি আর পরিবারের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করব না। সোজা তোমায় নিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসব। তুমি কি শুনেছো আমার সব কথা?
অমানিশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছোট্ট করে উত্তর দিল, হুঁ।
আরেকটা রিকুয়েষ্ট করব জান আমার?
করো।
যদি সম্ভব হয়, আরেকবার টাকা ম্যানেজ করার চেষ্টা করবে প্লিজ?
ঠিকাছে, আমি দেখছি।
নিশা, আমাকে ভুল বোঝো নি তো?
না।
আমি সত্যিই নিরূপায় হয়ে কাজটা করেছি।
আমি বুঝতে পেরেছি। – এমন সময় ঘরে রাহেলার প্রবেশের আভাস পাওয়া গেল। অমানিশা গলার স্বর আরোও নামিয়ে বলল,
ঘরে মা এসেছে। আমি রাখছি।
আচ্ছা।
রাহেলা মেয়েকে তাড়া দিলেন।
তাড়াতাড়ি কর অমা! চা ঠান্ডা হয়ে যাবে।
আর পাঁচ মিনিট, মা।
অমানিশা বাড়িতে অন্তর্বাস পরে থাকে না। ফোনটা নিয়ে সে কিভাবে বাথরুম থেকে বের হবে এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল তার। পায়জামার রাবারের অংশটাতে মোবাইল মুড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো সে।
রাহেলা মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,
জলদি বেসিং থেকে মুখ ধুয়ে আয়।
বেড টি মুখ না ধুয়েও খাওয়া যায়,মা। – হাসিমুখে বলল অমানিশা।
ইশ! কি নোংরা কথা। মুখ না ধুয়ে বলে চা খাবে! এক্ষুণি যা, মুখ ধুয়ে আয়। এতক্ষণ ভরে বাথরুমে যে কি করিস তুই! – নাক মুখ সিটকিয়ে বললেন রাহেলা।
অমানিশা পুনরায় বাথরুমে ঢুকল। বেসিং এ মুখ ধুতে ধুতে চিন্তা করতে লাগল কিভাবে আবার এতগুলো টাকার ব্যবস্থা করা যায়। হঠাৎ তার চোখদুটো চিকচিক করে উঠল। গতবছর জন্মদিনে অমানিশার বাবা তাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছিল। যদি একান্তই ক্যাশের ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে ল্যাপটপটা বিক্রি করে দিবে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হল সে।
(চলবে)