#অরুণরাঙা_প্রেম
#পর্বঃ৩১
#লেখিকাঃঅনন্যা_অসমি
বাইরে ঝুম বৃষ্টি।বাড়িতে এখন শুধু আরোশী আছে।শিলা তার বাড়ি গিয়েছে আজ ২ দিন হলো।তার ফিরতে আরো ৬/৭ দিন লাগবে।ইলাও কোথায় যেন চলে গিয়েছে।আকাশ অফিসে আর আহির স্কুলে।আরোশীর বৃষ্টিতে ভিজতে খুবই ইচ্ছে করছে।তাই সে তার ইচ্ছেকে প্রধান্য দিয়ে ছাদে চলে গেলো।বৃষ্টির কারণে আশেপাশে কেউ নেই।পুরো ছাদে আরোশী একা আর সেই সুযোগই আরোশী নিজের মন মতো ভিজে চলেছে।হুট করেই কেউ একজন আরোশীকে টেনে নিচে নিয়ে যেতে লাগলো।মানুষটা কে তা বুঝতে বুঝতেই আরোশী নিজেকে ঘরে আবিষ্কার করলো।
” এই মেয়ে তোমার কি বোধ বুদ্ধি নেই?এই বৃষ্টি মধ্যে কি কেউ ভিজে?মাথা কি খারাপ হয়ে গিয়েছে।”
কিন্তু আরোশী আকাশের কোন কথা কানে নিলো না।সে মুখ ফুলিয়ে বললো, ” আমাকে কেন নিয়ে এসেছেন?কত সুন্দর বৃষ্টিতে ভিজছিলাম আর আপনি আমার আনন্দে নিজের বাম হাত ঢুকিয়ে সব আনন্দ মাটি করে দিলেন।”
” কি!আমি তোমার আনন্দে নিজের বাম হাত ঢুকিয়েছি!”
” তা নয় তো কি?পঁচা লোক একটা।”
আরোশী বাচ্চাদের মতো মুখ ফুলিয়ে ঘরে চলে এলো।আকাশ এখনো হা করে আরোশীর দিকে তাকিয়ে আছে।
চুল মুছতে মুছতে নিচে নামলো আরোশী।রান্নাঘরে টুংটাং শব্দ পেয়ে সে তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে গেলো।
” আপনি এখানে কি করছেন?”
” খাবার গরম করছিলাম।তুমি তো ভিজে নিজের অবস্থা খারাপ করে রেখেছো।তাই ভাবলাম আমিই নাহয় এই কাজটা করি।দেখি এদিকে এসো।”
” কেন?”
” আরে আসতে বলেছি আসবে।তা না করে এতো কথা কেন বলছো?”
আকাশ আরোশীকে টেনে এনে সোফায় বসালো।আরোশী জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে তার কাজ দেখছে।আকাশ আরোশীর হাত থেকে টাওয়ালটা নিয়ে যত্ন সহকারে তার চুলগুলো মুছতে লাগলো।
” এখনো কি তুমি ছোট বাচ্চা আছো?নিজের চুলটাও এখনো পর্যন্ত ঠিক মতো মুছতে পারো না।সব ঠিক শুধু নিজের বেলায় অবহেলা।কে বলেছিলো বৃষ্টিতে ভিজতে?এখন যদি জ্বর হয় তখন?”
আরোশীর আকাশের কথা শুনে রাগ বা বিরক্ত হওয়ার কথা কিন্তু না আরোশী হাসছে তার আকাশের কথাগুলো শুনতে ভালো লাগছে।
” আমি তোমাকে সিরিয়াস কথা বলছি আর তুমি হাসছো!”
” আমার আপনার কথাগুলো ভালো লাগছে তাই হাসছি।আরো একটু বকুন না,আমার শুনতে ভালো লাগছে।”
আরোশীর কথা শুনে আকাশের চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।
” এই মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কি তোমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে?নাকি বাজ-টাজ পড়েছে মাথা?এসব কি বলছো?মানুষ বকলে রাগে না হয় কান্না করে কিন্তু তুমি উল্টো বলছো আরো বকতে!তোমার নাকি ভালো লাগলো!রিয়েলি।”
” হুম লাগছে তো।আসলে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে এতো কেয়ার করেনি,এতো মায়া নিয়ে কেউ বকেনি।তাই ভালো লাগছে।”
” তুমিও না সিরিয়াস মোমেন্টটাকে ইমোশনাল বানিয়ে দাও।ধুর ভালো লাগেনা।শোন আর এসব ইমোশনাল কথা বলবে না।তোমার এইসব ইমোশনাল কথা শুনে আমার চোখগুলো আর চোখ থাকে।একেকটা বিশাল সাগরে পরিণত হয়।”
আকাশের কথা শুনে আরোশীর মুখে হাসে ফুঁটে উঠলো।
এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও বিকেলে আকাশ একগাদা বাজার করে এনেছে।তার কারণ আরোশী আজ নাকি সবার জন্য খিচুরি রান্না করবে।আকাশ বাজার করে আনতেই আরোশী রান্না করতে লেগে পড়ে।আহির নিজের রুমে বসে পড়ছে।আকাশের আপাতত কোন কাজ নেই তাই সে আরোশীকে রান্নায় সাহায্য করছে।আরোশী কয়েকবার বারণ করলেও আকাশ শোনেনি।পরে আরোশীও আর বেশি জোড় করলোনা।নিচে বসে মাছ কাটছে আরোশী আর আকাশ তার পাশে বসে সবজি কাটছে।কাজের মাঝে হুট করে আকাশ বললো,
” বাহ্ আরোশী তুমি তো খুব মাছ কাটতে পারো।কোথা থেকে শিখলে?আমাকেও একটু শিখিও তো।”
” কোথাও থেকে শিখিনি।আমাকে শেখানোর মতো কে আছে যে শেখাবে।আমি নিজে থেকেই কাটতে শিখেছি।”
আকাশ আর কথা বাড়ালো না।সে যখনই চাই আরোশীর মন ভালো করতে তখনই আরোশী দুঃখী কথা বলে সব উল্টো করে দেয়।
খাবার টেবিলে অধির আগ্রহে বসে আছে আকাশ আর আহির।তবে তাদের সাথে আরো একজন আছে আর সে হচ্ছে ইলা।আরোশী খিচুড়ি আর মাঝ ভাজা গুলো টেবিলে এনে রাখলো।প্রথমেই আরোশী ইলাকে দিলো কিন্তু খাবারগুলো দেখে ইলা নাকমুখ কুঁচকে ফেললো।
” আরোশী এগুলো কি রান্না করেছো?”
” কেন ইলা কি হয়েছে?এগুলো তো খিচুরি আর মাছ ভাজা।তুমি এতো অবাক হচ্ছো কেন?”
” তুমি জানো এগুলো কত অয়লি খাবার।এগুলো খেলে আমার ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে।আমি মোটা হয়ে গেলে মডেলিং করবো কিভাবে।”
” ইলা একদিন এসব খেলে কিছু হয়না।খেয়ে দেখো বেশ ভালো হয়েছে।আর যদি তোমার খেতে ইচ্ছে না করে তাহলে ফ্রিজে ফল আছে,মন চাইলে ওগুলো খেতে পারো।”
ইলা আর কিছু বললো না।চুপচাপ খেতে লাগলো।আরোশী বড় বড় চোখ করে আকাশের দিকে তাকালো কেন সে ইলার সাথে এভাবে কথা বলেছে কিন্তু আকাশ তা পাত্তা দিলোনা।সবাইকে দেওয়া পর আরোশী ইলার পাশের চেয়ারটাতে বসে পড়লো।
খেতে খেতে আকাশে খেয়াল করলো আরোশী মাছ খাচ্ছে না।জিজ্ঞেস করলে আরোশী বললো তার নাকি খেতে ইচ্ছে করছেনা।আকাশ তখন কিছু না বললেও কিছুক্ষণ পর মাছ বেছে আরোশীর প্লেটে দিয়ে বললো,
” তুমি না বড্ড আলসে মেয়ে আরোশী।সামান্য মাছটা খুলে খেতে পারছোনা।” আফসোসের সুরে বললো আকাশ।আকাশের কথা শুনে আরোশী মুখ ভেঙিয়ে খাবারে মন দিলো।আকাশের কান্ড দেখে আকাশ হেসে আবারো খেতে শুরু করলো।এদের এই কান্ড দেখে ইলা তেলেবেগুনে জ্বলে যাচ্ছে।
” এখন যত ইচ্ছে আদর সোহাগ করে নাও তোমরা।তোমাদের কান্নার দিন খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে।”
____________________________________________
আকাশ,আহির আর আরোশী এসেছে মেলায়।মেলাটা তাদের বাসা থেকে একটু দূরেই।আরোশী আসতে চাইছিলো না কিন্তু আকাশ জোড় করে নিয়ে এসেছে।
মেলায় ঘুরছিলো তারা তিনজন।এরই মাঝে কেউ আরোশীর নাম ধরে তাকে ডাকলো।তারা পেছন ফিরে দেখলো রুদ্র তাদের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে আছে।
” আরে মিস্টার রুদ্র।অনেকদিন পর দেখা হলো।কেমন আছেন আপনি?” হাত বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আকাশ।
” আমি তো বেশ ভালো আছি।আপনারা কেমন আছেন?”
” আমারও ভালো আছি।তা এই মেলায় কি?”
” আসলে একটা কাজে এসেছিলাম আর একজনের সাথে দেখা করার ছিলো।আচ্ছা আপনারা বরং আপনাদের সময় কাটান আমি এখন আসছি।”
রুদ্র চলে যাওয়ার পর তারা তিনজন ভিন্ন দোকান ঘুরে এটা সেটা দেখতে লাগলো।
” আহির দেখতো এই খেলনাটা কেমন?আহির?স্যার আহির কোথায়?”
” কোথায় মানে?ও না তোমার কাছে ছিলো!”
” কিন্তু এখন তো নেই।” কথাটা শেষ হতে না হতেই আরোশী কান্না শুরু করে দিলো।আরোশী আর আকাশ হন্ন হয়ে আহিরকে খুঁজে চলেছে কিন্তু তার কোন দেখা নেই।আরোশী তো কেঁদে কেটে অবস্থা খারাপ।এরই মধ্যে আকাশের ফোনে একটা শব্দ হলো।আকাশ তাড়াতাড়ি ফোনটা বের করে কিছু একটা দেখলো।তারপর আরোশীর হাত টেনে তাকে গাড়িতে বসিয়ে দ্রুত গাড়ি র্স্টাট দিলো।আরোশী অনেকবার জিজ্ঞেস করলেও আকাশ বললো না তারা কোথায় যাচ্ছে।
একটা নিরিবিলি জায়গায় এনে গাড়ি থামালো আকাশ।গাড়ি থেকে নেমে আরোশী দেখতে পেলো একটা সাদা রঙের একতলা বাড়ি।আকাশ দ্রুত বাড়িটার দিকে যেতে লাগলো।তার পেছন পেছন আরোশীও গেলো।কিন্তু দরজা খোলার পরবর্তী দৃশ্য দেখার জন্য আরোশী মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা।একটা চেয়ারে বাঁধা ইলা,একটা অপরিচিত লোক কিন্তু তার থেকেও বড় অবাক করা ব্যপার এখানে অভ্রকেও চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে আর আহিরও এখানেই আছে।আরোশী দৌড়ে গিয়ে আহিরকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো।আকাশ এসে অভ্রকে খুলে দেবে তার আগেই কেউ তার হাত ধরে ফেললো।আকাশ মাথা তুলে তাকাতেই রুদ্র তাকে চোখের ইশারায় না করলো।
” রুদ্র এসব কি?আহির এখানে কিভাবে?আর এনাদের বেঁধে রেখেছো কেন?”
” আরোশী এরা আহিরকে কিডন্যাপ করেছে।আর জানো এই কিডন্যাপের সাথে জরিয়ে আছে তোমাদের বিশ্বস্ত অভ্র।”
রুদ্রের কথা শুনে আরোশীর বুক কেঁপে উঠলো।তার মনে পড়লো এই মেলার কথা তাদের অভ্রই বলেছে।আরোশী কান্না জড়িত কন্ঠে কিছু বলবে কিন্তু আকাশের কথা শুনে সে থমকে গেলো।
” মিস্টার রুদ্র আপনি প্লিজ অভ্রকে খুলে দিন।ওর কোন দোষ নেই।”
” কোন দোষ নেই!মিস্টার আকাশ আমি নিজের চোখে দেখেছি অভ্রকে ইলার সাথে কথা বলতে।”
আকাশ এবার কোন কথা না বলে নিজেই অভ্রকে খুলে দিলো।ছাড়া পেতেই অভ্র কান্না জড়িত কন্ঠ বললো,
” আ…..জানিস তোর জন্য আমি আজ কত মার খেয়েছি।উফ…..আমার সাধের মুখ।”
” হয়েছে হয়েছে সমস্যা নেই।তোকে আজকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবো।”
” সত্যি!”
” হুম।আগে এখন থেকে বের হয়।”
” মিস্টার আকাশ আপনি কি করে এখনো ওর সাথে নরমাল বিহেব করছেন?ও তো…….”
” ইলার সাথে মিলে ছিলো তাই তো?আসলে না অভ্র ইলার সাথে নয় বরং আমার সাথেই ছিলো।কিন্তু এটা বলুন আপনি এখানে কিভাবে?”
” আসলে আপনাদের সাথে কথা বলার পর আমি একজনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তখন দেখতে পেলাম কেউ আহিরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের খুঁজে খবরটা বলতে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে তাই আমি ফোন করেছিলাম কিন্তু আপনারা ধরেননি।সেই কারণেই আমি ওদের পিছুনি আর এখানে এসে পৌঁছায়।”
” ধন্যবাদ মিস্টার রুদ্র।যদিও বা আপনি না থাকলেও আহিরের কোন ক্ষতি হতো না তবুও আপনি অনেক করেছেন।”
” কিন্তু আপনারা এখানে কি করে এলেন?”
” অভ্রই আমাকে এখানের ঠিকানা বলেছে।আমার ইলার উপর আগে থেকেই সন্দেহ ছিলো।আর যখন দেখলাম ইলা অভ্রকে ভুলিয়ে নিজের কাজ করানোর চেষ্টা করছে তখন আমি আর অভ্র মিলে প্ল্যান করি অভ্র ইলার সাথে ভালো ব্যবহার করে তার কাছাকাছি থাকবে যেন তার সব প্ল্যান অভ্র আগে থেকেই জেনে যায়।আর আমাদের বড় কোন বিপদ হওয়ার আগেই যেন আমরা সেটা সম্পর্কে জানতে পেরে যায়।”
আকাশের কথা শুনে আরোশীর মুখ হা হয়ে গেলো।সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ইলা এরকম হবে।
” ইলা তুমি……!কিন্তু তুমি এরকম কেন করলে?” আরোশী জিজ্ঞেস করলো।
” এর কারণ হচ্ছে এই যে মাঝে যিনি বসে আছেন তিনি,মিস্টার রায়হান।ওনার প্রথম থেকেই আমার কোম্পানির উপর নজর ছিলো।উনি ভেতরে ভেতরে জ্বলতেন।যার কারণে উনি প্ল্যান করেন ইলাকে ব্যবহার করবেন।ইলাকে যদি আমি বিয়ে করতাম তাহলে ইলা কৌশলে কোম্পানিটা ওনার নামে করিয়ে নিতেন কিন্তু যখন সেটা হলোনা তখন অভ্রকে ব্যবহার করলো এই আশায় অভ্রকে ভুলিয়ে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা দু’জন আগে থেকেই এসব আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।”
আরোশী ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে ইলার দিকে তাকিয়ে আছে।সে কখনোই বুঝতে পারেনি ইলা এরকম হতে পারে।আজ আকাশ আর অভ্র প্ল্যান না করলে বা রুদ্র না থাকলে আহিরের কি হতো ভাবতেই আরোশীর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে।
____________________________________________
২০ বছর পর,
বড় একটা রুমে শোভা পাচ্ছে শ’খানের ছবি।যেগুলো দেখতে অনেক মানুষ এসে জড়ো হয়েছে এখানে।একটা সুন্দর,মায়াবী ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি যুবক।কিছু সময় পর তার বাবা-মা এলো সেখানে।
” আহির,এতো চিন্তা করোনা।দেখবে সব ভালো হবে।”
” কিন্তু ফেরি মাম্মা আমি যদি হেরে যায়।”
” হেরে গেলে তো কি হয়েছে?হেরে গেলেই না তুমি আরো উন্নতি করবে,কি করে আরো সামনে এগোতে হয় সেটা জানবে।”
” তুমিই আবার বেস্ট মাম্মা।”
” শুধু কি মাম্মাই বেস্ট।বাবাই কি তাহলে কিছু না।”
” কে বলেছে আমার বাবাই কিছু না?আমার বাবাই তো সুপার বেস্ট।”
” আচ্ছা আহির তুমি এখানে থাকো আমরা এখুনি আসছি।”
” কি চিত্রকার মশাই কি খবর আপনার?”
” আরে ধরা তুই এসেছিস।আমি সেই কবে থেকে তোর অপেক্ষায় বসে আছি।”
” কোথায় বসে আছিস?তুই তো দাঁড়িয়ে আছিস।মিথ্যা কথা কেন বলছিস।”
” হু……আসছে পাকনা বুড়ি।” আধরার নাক টেনে বললো আহির।
” এই ছাড় আমার নাক।এই ছবিটার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?বেশি তাকাস না নয়তো ছবিটার প্রেমে পড়ে যাবি।তখন অন্যকোন মেয়েকে আর ভালো লাগবেনা।”
আধরার কথা শুনে আহির হাসলো।মনে মনে সে বললো,
” প্রেমে তো পড়তে চাই তবে এই ছবির নয়,জীবন্ত মানুষের।যে হবে সকালের উঠা স্নিগ্ধ অরুণের মতো।যার মন হবে পবিত্র আর যার প্রেম হবে অরুণের মতো রঙিন।আমি এরকমই #অরুণরাঙা_প্রেমে পড়তে চাই,নিজেকে তার আলোয় রাঙাতে চাই।”
___________________সমাপ্ত____________________