অর্ধাঙ্গ পর্ব-১৬

0
49

#অর্ধাঙ্গ
#মীরাতুল_নিহা
#পর্ব-১৬

“আয়! আয় কইতাছি তুই, জলদি বাইর হ আমার বাড়ি থেইক্যা!”

হঠাৎই চুলের মুঠি ধরে রিয়াকে ঘর থেকে টেন হিঁচড়ে বের করলেন জমেলা বেগম! জমেলা বেগমের এরকম চিৎকার শুনে ঘর থেকে শরীফ সজীব সহ সবাই বেরিয়ে আসলেন তৎক্ষনাৎ। রিয়া চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে মা’য়ের মুখপানে তাকিয়ে রয়েছে! তার মা এভাবে তাকে মারছে! বিশ্বাস হচ্ছে না কিছুতেই! সজীব মা’কে জিগ্যেস করে,

“আম্মা! আমনে রিয়ারে এমনে মারতাছেন ক্যান!”
“দুধ কলা নিয়ে কাল°সাপ পুষছি আমি! অহন বুঝতাছি! ওই তুই মরতে পারলি না!”

উপস্থিত সবাই যেন অবাকের পর অবাক হচ্ছে জমেলা বেগমের কথা শুনে! জমেলা বেগম কারো কথার উত্তর না দিয়ে মেয়ের দিকে ধেয়ে গেলেন, ফের রিয়ার চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়ে উঠোনে ফেলে দিলো। ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠলো রিয়া! পারুল সঙ্গে সঙ্গে রিয়ার কাছে গিয়ে বসে। রিয়াকে উঠানোর চেষ্টায় তখনি জমেলা বেগমের রাগী কন্ঠের আভাসে পারুলের হাত থেমে যায়!

“খবরদার পারুল! তুই যদি এই মাইয়ারে ধরছ, তোরে দেইখা নিমু আমি!”

রিয়া আশাহত দৃষ্টি নিয়ে তাকাল পারুলের দিকে। পারুল শ্বাশুড়ির আদেশকে অমান্য করতে পারলো না, ফলাফল সে রিয়াকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রিয়া তখন হতবাক হয়েই উঠোনে পড়ে আছে! ছেলের কথায় উত্তর দেয়নি দেখে এগিয়ে গেলে কামাল হোসেন। রুঢ় কন্ঠে বলে,

“আমার একটা মাত্র মাইয়া! হেরে তুমি এমনে মারতাছো কোন সাহসে?”

জমেলা বেগম স্বামীকেও তোয়াক্কা করলেন না! রাগ যেন পুরো দমে তাকে বশ করে ফেলেছে। সে আবারো রিয়ার কাছে গিয়ে গাল চেপে ধরে। ব্যাথায় মুখবন্ধ থাকায় রিয়া শব্দটুকুও করতে পারছে না!

“হারামজাদী! তোর ভাইয়ে তোরে বিয়ে দেয় না দেখে বে°শ্যা°গিরি করতে গেছিলি!”

কথাটা বলেই জমেলা বেগম রিয়াকে ছেড়ে দেয়। সজীব এগিয়ে যায় মা’য়ের দিকে।

“আম্মা! আমনে আমগো আদরের বইনডারে এমনে মারতাছেন ক্যান! কি হইছে কি আমনের!”

“আদরের বইন না? তোর বইনে কি করছে জানিছ? শরীরে বিষ উইঠ্যা গেছিল বেশি! বিষ কমাইতে কোন বেডার কাছে গিয়ে পেট বান্ধাইয়া আইছে! আর হুনবি কিছু?”

অবাকের সীমা ছাড়িয়ে সজীবের চোখ দুটি বড়বড় হয়ে উঠলো! বিস্ময়কর চাহনি নিয়ে বোনের দিকে তাকাতেই লজ্জায় মস্তক নত হয়ে আসে রিয়ার। মনে মনে যা ভয় পেয়েছিল সেটাই বাস্তবে রূপ নিলো! তবে এত দ্রুত সব ধরা পড়ে যাবে বুঝেনি রিয়া। ছোটো থেকে তার মা’য়ের কাছ থেকে কোনো কিছু লুকিয়ে পার পায়নি, তো এত বড় একটা খবর কিভাবে লুকাতো! সজীব বিশ্বাসই করতে পারছে না তার বোন এরকম কাজ করতে পারে!

“আম্মা! আমনে সবসময়ই আবোল তাবোল বকতে থাকেন! আমি আর ভাইজান বইনরে আদর কইরা হের ইচ্ছে মতন ঘরে মাস্টার আইন্যা পড়াই। গ্রামে পাঠশালা নাই দেইখ্যা! এইডা যে আমনের পছন্দ না হেইডা জানি, আমনে চান বইনেরে বিয়া দিতে! হেই লাইগ্যা রিয়ার নামে এত বড় একখান কথা কইবা! এসব ছাইড়া দেন আম্মা!”

শরীফের কথায় জমেলা বেগমের রাগ দ্বিগুণ হলো। গিয়ে ঠাটিয়ে একটা চড় মারলো শরীফের গালে! আচমকা এরকম ঘটনায় শরীফ কথা বলতে ভুলে গেছে যেনো। জমেলা বেগম শরীফকে শাষিয়ে বলতে লাগলো,

“তোর মুখ সবসময়ই বেশি চলে। ছুডো পোলা, হেই লাইগ্যা কিছু কইনা। কিন্তু তুই মা’র কথারে মিথ্যা বানানোর সাহস কই পাস!”

শরীফ চুপ রইলো। মা’য়ের এরকম ভয়ংকর রূপ বহুদিন পর দেখতে পেলো আবারো! এবার শরীফের মনেও ভয় ধরলো। মা তো এরম করে না সহসা!

“কি চুপ হইয়া গেল কতা? যা তোর আদরের বইনরেই জিগা গিয়া!”

শরীফ আর দেরি না করে দ্রুত রিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। রিয়া তখন লজ্জা, অপমানে কাঁদছে মাথা নিচু করে।

“রিয়া? ভাইজানের লগে সত্যি কথা কইয়া দে বইন! কইয়া দে আম্মা যাই কইতাছে তা সব সত্যি?”

রিয়া চোখ দু’টি বন্ধ করে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ নামক উত্তর বোঝতেই শরীফের পাশাপাশি উপস্থিত সকলের নজর গেল রিয়ার দিকে! মানে জমেলা বেগম যা বলছে সব সত্যি! সজীব এবার ঘৃনাভরা দৃষ্টি নিয়ে রিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। ঠাস করে পররপর দু গালে যত পারছে চড় মেরেই যাচ্ছে! রিয়া নিশ্চুপ নিস্তব্ধ! যেন নড়াচড়া ও ভুলে গেছে! পারুল কোনোমতে স্বামীর হাত ধরে থামায়! মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে মাটিতে বসে পড়ে সজীব, আক্ষেপের সুরে বলতে থাকে,

“এইডা ওয় কি করলো বউ! কি করলো এডা! যারে এত ভালোবাসা দিয়ে পাইলা বড় করছি, হেয় বিনিময়ে এরম প্রতিদান দিলো!”

রিয়া এবার দৌড়ে এসে সজীবের পায়ে পড়ে গেলো। কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চাইলো!

“ভাইজান, আমারে মাফ কইরা দেও ভাইজান! আমি ভুল কইরা ফালাইছি!”

সজীবের মন গললো না, সে আগের ন্যায়ই বসে আছে মাটিতে। পাথরের মূর্তি যেমন কোনো কিছু বুঝে না শুধু স্থির থাকে, সজীবও তেমনই রইলো। জমেলা বেগম রিয়ার চুলের মুঠি ধরে সোজা করলেন।

“তোর এই অবৈধ বাচ্চার বাপ কে? কার লগে আকাম করছস!”

রিয়া নিশ্চুপ! জমেলা বেগম কতগুলো চড় দিলো রিয়ার গালে! পারুল কোনোমতে জমেলা বেগমকে আঁটকালো!

“আম্মা! সবাই মিইল্যা ওরে এত মারলে তো জ্ঞান হারাইব!”
“ জ্ঞান হারানো না, অর মতন অসভ্য মাইয়া মইরা যাক!”

জমেলা বেগমের কথায় রিয়ার কান্নার গতির বেগ বেড়ে গেলো! যে মা তাকে সবকিছু থেকে আগলিয়ে রেখেছে সেই মা এরকম বলছে! শুধু কি তাই? যে ভাইজান তাকে টোকা অব্দি দেয়নি পরপর কতগুলো চড় সে মেরে দিলো কি অনায়াসেই! শুধুমাত্র একটা ভুলের জন্য! রিয়া আক্ষেপ করছে যদি সে ভুলটা না করতো! জমেলা বেগম তাও থামলেন না! যেন আজকে তাকে থামানোই যাবে না! সে কামাল হোসেনকে তিরস্কার করে বলে,

“খুব তো মাইয়ার বাহাদুরি করছিলা! এই মাইয়ারে শেফালীর দেওরের লাইগ্যা দিবা না৷ এহন শেফালীর দেওর ক্যান? রাস্তার ভিক্ষুকও তোমার এই মাইয়ারে বিয়া করব না!”

“রিয়া? মা কইয়া দে, এই বাচ্চার বাপ কে? কেউ জোর কইরা করছে না তোর লগে!”

“এই নডিরে এত মধুর কইরা জিগাইতাছো ক্যান? জোর কইরা হইলে এত মাইর খাইয়াও চুপ কইরা থাহেনি! সে নিজে এসব আকাম করছে!”

জমেলা বেগমের কথায় কামাল হোসেনও চুপ করে রইলো। কারো মুখে কোনো কথা নেই! জমেলা বেগম কেবল রাগে ফোঁসফোস করছে!

“তোর নাগরের নাম কইবি না হারাম°জাদী!”

রিয়া তখনও নিশ্চুপ। জমেলা বেগম পুনরায় বলতে থাকে,

“দেখছ তোমরা? তোরাও দেখ সজীব! তোগো বইনের আকামের কীর্তি! আকাম কুকাম করতে আঁটকায় নাই, লাংয়ের নাম লইতে আঁটকাইতাছে ওর!”

তখনি জমেলা বেগমের কাছে আসে টুম্পা, আস্তে করে বলে,

“খালা, হয় চুপ যাও, নাইলে আস্তে কও। মাইনষে হুনলে তোমারই মান সম্মান সব যাইব!”

“আর সম্মান বলতে কিছু আছে! যহন এই মাইয়ার অবৈধ পেট ঢোলের মতন উচা হইব, মাইনষে তো এমনেই জাইন্যা যাইব!”

“অহন চুপ করো খালা। প্রতিবেশীরা হুনলে তুমি আর গলা উঁচু কইরা কথা কইতে পারবা না, তাগো লগে।”

টুম্পার সর্তক বানীতে জমেলা বেগম থামলেন। পারুল তখন রিয়ার কাছে যায়, ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করে,

“দেহো রিয়া, যা হইছে হইছে! মানলাম তুমি ভুল করছো, কিন্তু এই ভুল তো একলা একলা হয় না! তোমার সঙ্গীর নাম কও?”

রিয়া চুপ করেই রইলো! পারুলও বিরক্ত হয়ে গেল এবার! তাও শেষবারের মতন শুধায়,

“নাম কইবা না তুমি?”

রিয়া মাথা ঝাঁকিয়ে না বোঝাতেই জমেলা বেগম তেতে উঠে বলে,
“অয় নাম কইব না! ওর মতন নষ্টা মাইয়া ঘরে রাইখ্যা সম্মান ডুবানোর চেয়ে বিদায় কইরা দে পারুল!”

পারুল কিছু বললো না বিনিময়ে, রিয়া চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবার দিকে তাকালো। কারো কোনো হেলদোল নেই, বরং সবার দৃষ্টিতেই রিয়া নিজের জন্য ঘৃনা দেখতে পেলো! স্থির পায়ে রিয়া বাহিরের দিকে পা বাড়াচ্ছিলো ঠিক তখুনি পারুল খপ করে রিয়ার হাত ধরে ফেলে,

“কই যাইতাছো তুমি! এক বিপদ তো ঘটাইছোই এহন কি আরেক বিপদ ঘটাইবা! তুমি অন্যায় করছো, ভুল করছো, হেই লাইগ্যা সবাই দুঃখ পাইছে, রাগে দুঃখে সবাই কথা শোনাইবই, আর তোমারেও শুনতেই হইব। শোনার মতনই কাম করছো তুমি! এহন উল্টা রাগ দেখাইয়া বাড়ি থেইক্যা যাওনের আরেকটা ভুল কইরো না! চুপচাপ নিজের রুমে যাইয়া দরজা বন্ধ কইরা রাখো!”

রিয়া দাঁড়িয়ে থাকতেই পারুল ধমকের সুরে বলে,

“কি হইলো! যাও ভিতরে!”

এই প্রথম পারুল রিয়াকে এভাবে ধমকায়! রিয়া কিছুটা কেঁপে উঠে। তারপর কারো দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে ভেতরে চলে যেতেই এবার জমেলা বেগমের রাগ গিয়ে পড়লো পারুলের উপর!

“তুমি ওরে ছাইড়া দিলা ক্যান? ওরে আমি মাটিতে পু°তে দিতাম!”

“আম্মা, যা হইয়া গেছে বদলান যাইব না, বরং ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হইব কি করন যায়।”
“যা সর্বনাশ হওনের হইয়া গেছে! আর কিছু করার নাই! মন চাইতাছে হয় ওরে না হয় আমিই মইরা যাই!”

কথাগুলো বলতে বলতে জমেলা বেগমের চোখ দিয়ে আলগোছে পানি গড়িয়ে পরলো গাল বেয়ে। যতই হউক নিজের সন্তান! কঠিন হলেও কষ্ট পেয়েছেন খুব। তিনিও চলে যায় সেখান থেকে। কামাল হোসেনও স্ত্রী’র পিছু পিছু তাদের ঘরে যান। টুম্পাও চলে যায়! শরীফ তো সেই কোন সময়ই বাইরে পা বাড়িয়েছে এসব দেখবে না বলে। বাকি রইলো সজীব। কেমন বিধ্বস্ত হয়ে আছে! পারুল ধীর পায়ে সজীবের কাছে গেলো। সজীবের কাঁধে হাত রাখতেই সজীবও ভেতরে চলে যায়! সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো কেবল পারুল। পারুলও কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলো। ভাবতে থাকে কখনো রিয়ার কোনো কাজে সন্দেহ হয়নি তাহলে এত বড় একটা কাজ কি করে হলে? ভাবতে ভাবতে যখন কূল খুঁজে পেলো না, তখন উঠে দাঁড়ালো। কানে আজানের শব্দ আসতেই অযুর জন্য কলপাড়ে যায়। তারপর রাতের রান্না করতে হবে!

সময় তখন রাত ন’টা। অন্য সময় হলে পুরো বাড়ি’কে ছোটো খাটো হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতো শরীফ! সে শরীফেরও আজ পাত্তা নেই। টুম্পার ন্যাকামো কথাও নেই, আম্মার চিৎকার চেঁচামিচি কিছুই নেই। সব যেন বদলে গেছে, নিস্তব্ধতায় গ্রাস করে নিয়েছে! সজীব আর শরীফের আশায় পথ চেয়ে বসে আছে পারুল। রাতের খাবার শুধু টুম্পা খেয়েছে আর কামাল হোসেন ওষুধ খাবার জন্য খেয়ে তার স্ত্রী’র জন্য ঘরেই ভাত নিয়ে গেছেন! জমেলা বেগম যে সেই বিকেলে গিয়ে ঘরের দোর দিয়েছেন আর খোলেনি! মেয়ের প্রতি রাগ এবং শোক দু’টোই বিদ্যমান উনার ভেতরে। রিয়া দুপুরেও খায়নি, এখন অতো রাত হয়েছে তবুও খেতে আসেনি! পারুল ডেকেছে কিন্তু রিয়া আসেনি, সেজন্য পারুল ঠিক করলো প্লেট ভাত নিয়ে গেলে মেয়েটা নিশ্চয়ই দরজা খুলবে! আর এই অবস্থায় খালি পেটেও থাকা ঠিক নয়! সবকিছু বিবেচনা করে পারুল প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে রিয়ার রুমের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো ঠিক তখুনি পেছন থেকে ডাক শুনে থমকে দাঁড়ায়! এ কন্ঠস্বর জমেলা বেগমের!

“কই যাইতাছো তুমি?”

পারুল আমতা আমতা করে জবাব দেয়,

“আম্মা রিয়া দুপুরেও খায় নাই, রাইতেও খায় নাই। ওর লাইগ্যা দুইডা ভাত নিয়া

পুরো কথা শেষ করে উঠতে পারলো না পারুল! ওমনি জমেলা বেগম ভাতের থালাটা ফেলে দিলো মাটিতে! সাদা ভাতের দানাগুলো মাটিতে গড়িয়ে পরলো সব! মাছের টুকরোটাও পরেছে মাটিতে!

“ওই মাইয়া যতক্ষণ না স্বীকার যাইব অবৈধ বাচ্চা কার, ততক্ষণ অব্দি তারে কুনো খাওন দিবা না! যদি না খাইয়া পেটেরডা মইরাও যায় যাকগা! তাতেও শান্তি!”

কথা শেষ করেই জমেলা বেগম চলে যান নিজের রুমে। পারুল জমেলা বেগমের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো কেবল। মনে মনে ভাবলো, একটা বাচ্চার না হওয়ার জন্য তারে কত কথা শুনতে হয়, আবার একটা বাচ্চা হবে দেখে রিয়াকেও কথা শুনতে হচ্ছে! হউক না অন্যায়, বাচ্চাটা তো নিষ্পাপ! এরকম একটা বাচ্চা রিয়ার গর্ভে কেন আসছে না? এসব ভাবতে ভাবতেই সজীবের দেখা মিলে।

#চলবে