অলকানন্দা ও তিতলি পর্ব-০৭

0
11

#অলকানন্দা_ও_তিতলি
#পর্ব-৭
#সারা মেহেক

আমি প্রাণপণে ছটফট করছি। কিন্তু আমার মুখ ছাড়া হচ্ছে না। পিছন থেকে ব্যক্তিটি আমার এই ছটফট থামানোর জন্য আমাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। অতঃপর ক্ষণেই কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
” ইটস মি মিশমিশ। প্লিজ চুপ করো। শান্ত হও। ”

আচমকা আদ্রিশ ভাইয়ের কণ্ঠ শুনে আমি মুহূর্তেই নিশ্চল হয়ে গেলাম। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বিস্ময় নিয়ে চিন্তা করলাম, আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়া মানুষটি তাহলে আর কেউ নয় বরং আদ্রিশ ভাই! নির্ঘাত উনি ইচ্ছে করে এই কাজটি করেছেন। এই ভাবতেই আমার মেজাজ উঠে গেলো তুঙ্গে। আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমার মুখের উপর হতে হাত সরানোর জন্য দু হাত দিয়ে আদ্রিশের ভাইয়ের হাতে মা ‘ র’ ছি। কিন্তু উনি ছাড়ছেন না। আশ্চর্য! এদিকে আমার মুখও চেপে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি যে কিছু বলবো তার উপায়ও নেই। আর উপায় না পেয়ে খালি পায়েই সজোরে আদ্রিশ ভাইয়ের পায়ের উপর গুঁতো মা’ র’ লা’ ম। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো উনার কোনো হেলদোলই হলো না৷ বুঝে পাই না, উনার শরীর রক্ত মাংসে গড়া, নাকি লোহায় গড়া! এবার গোঙানি দিয়ে বুঝালাম আমাকে ছেড়ে দিতে। আদ্রিশ ভাই এবার ফিসফিস করে বললেন,
” ছাড়বো একটা শর্তে। চিৎকার করা যাবে না। রাজি তো?”

আমি উপর নিচ মাথা নাড়ালাম। মুহূর্তেই আদ্রিশ ভাই আমাকে ছেড়ে দিলেন। আমি ছিটকে নিজেকে কয়েক কদম দূরে নিয়ে দাঁড় করলাম। অতঃপর বুক ভরে শ্বাস প্রশ্বাস নিলাম। এতক্ষণ নিঃশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। কিন্তু ব্যাটা বুঝলে তো! ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতেই আমি গরম চোখে আদ্রিশ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। আমার চাহনি দেখে উনি অপরাধী দৃষ্টিতে কয়েক সেকেন্ড চেয়ে দৃষ্টি লুকানোর বৃথা চেষ্টা করলেন। এ মুহূর্তে উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনার মতো নিষ্পাপ আর কেউ নেই। কিছুই করেননি উনি।
নিজেকে ধাতস্থ করে কণ্ঠ খাঁদে নামিয়ে শক্ত গলায় বললাম,
” কি সমস্যা আপনার হুম? ওভাবে আমাকে চেপে ধরেছিলেন কেনো?”

আদ্রিশ ভাইয়ের চাহনি মুহূর্তেই বদলে গেলো। পূর্বের সেই নরম-সরম ভেজা বিড়ালের চাহনি হটে গিয়ে উনার যথারীতি সেই রসকষহীন, কাঠখোট্টা চাহনি ফিরে এলো। খোঁচা দিয়ে বললেন,
” মুখ না ধরলে তুমি যে চিৎকার দিতে তাতে আমাদের পুরো ফ্ল্যাটের ইট বালু ধুলোয় মিশে যেতো।”

রাগে আমার শরীর রি রি করতে লাগলো। আমি কিছু বলতে যাবো এর আগেই আদ্রিশ ভাই আমাকে বাঁধা দিয়ে ফিসফিস করে বললেন,
” ওয়েট! ব্যালকনিতে চলো। এভাবে চুপিসারে ঝগড়া করা যাচ্ছে না। ব্যালকনিতে গেলে ইজিলি গলা ফাটিয়ে ঝগড়া করতে পারবে। ”

আদ্রিশ ভাইয়ের কথায় আমি অবাক হলাম। ভীষণ অবাক হলাম। কি আশ্চর্য! উনি কি আমাকে ঝগড়ুটে ভাবছেন! আমি কি ঝগড়া করার জন্য ম’ রে যাচ্ছি! আমি খেঁকিয়ে উঠে বললাম,
” আপনি কি কোনোভাবে আমাকে ঝগড়ুটে ভাবছেন! আমি কি ঝগড়া করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছি!”

আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম আদ্রিশ ভাই হাসবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঠোঁট চেপে হাসি আটকে রেখে বললেন,
” আসলে ভাবার কিছু নেই। তুমি যা, তা আমার সামনেই। ইভেন তুমি নিজেও জানো তুমি কি করতে যাচ্ছো। আমি মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছি না।”

আহ, আমার রাগ আর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। আদ্রিশ ভাইয়ের কথাগুলো যদি এমন হয় তবে কি আমার ঝগড়া করা অনুচিত! নিজেকে ডিফেন্ড করা কি অনুচিত!
আদ্রিশ ভাই বুকে দু হাত গুঁজে ঠোঁট চেপে হাসি আটকিয়ে রাখার বিশাল চেষ্টা করলেন। অতঃপর বললেন,
” কি হলো? যাবে না? নাকি তুমি শান্ত হয়ে গিয়েছো? ”

আমি হাত দুটো মুঠো করে দাঁতে দাঁত চেপে ধরলাম। নাহ, ঝগড়া না করে শান্তি পাচ্ছি না। যতক্ষণ না আদ্রিশ ভাইয়ের পিন্ডি চটকাবো ততক্ষণে আমার মন মস্তিষ্ক ও শরীর ঠান্ডা হচ্ছে না। তাই শরীর ঝাড়া দিয়ে বললাম,
” ওকে ফাইন! চলুন। ”

আদ্রিশ ভাই মৃদু হেসে সামান্য ঝুঁকলেন। ডান হাত এগিয়ে বললেন,
” আফটার ইউ!”

আমিও উনাকে পাত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দপ দপ পা ফেলে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম।
এটা আদ্রিশ ভাইদের নিজস্ব ফ্ল্যাট। সাইজে বেশ বড়। আমার মনে হয়, ফ্ল্যাটটা বানানোর আগে আংকেল ব্যবসা করে যে টাকা আয় করেছিলো তার অর্ধেকের বেশি এখানেই ঢেলেছেন। আপুর কাছে শুনেছি, এই ফ্ল্যাটটা তখন বানানো হয় যখন আদ্রিশ ভাই ক্লাস সেভেনে পড়েন। তখন থেকেই উনাদের এখানে থাকা-খাওয়া। আমি যতবার আদ্রিশ ভাইদের বাসায় এসেছি ততবারই অবাক হয়ে ভেবেছি, এত সুন্দর বাসা কারোর হয়! এমনিতে ফ্ল্যাটটা বড়, উপরন্তু আন্টি বেশ শৌখিন মানুষ। স্বভাবতই উনি নিজের বাসস্থানকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন।
আমরা এখন যে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছি সেটা ফ্যামিলি লিভিং স্পেসের সাথে যুক্ত। আন্টি নিজের শৌখিনতার পরিচয় দিতে এ ব্যালকনিটা মন মতো সাজিয়েছেন৷ বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ, ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে ব্যালকনি ও মাটির শোপিস, ছোট ছোট পেইন্টিং দিয়ে দেয়াল সাজিয়েছেন। এখানকার সবগুলো পেইন্টিংই উনি আমার কাছ থেকে স্পেশাল অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিয়েছেন।
আন্টির সাথে আমার এসব দিকে ভীষণ মিল। উনি যেমন শৌখিন, ঠিক তেমনি আমিও। আমারও গাছপালা ভীষণ ভালো লাগে। আমার ব্যালকনিতেও বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ, ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট এসব আছে। আর পেইন্টিং এর শখ তো সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্তও লালন করে এসেছি।

আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাতের ঢাকা শহরের নিস্তব্ধতা দেখছি। এখন বাজে সোয়া চারটা। কিছুক্ষণ আগেই ফজরের আজান দিয়েছে। আদ্রিশ ভাই ইতোমধ্যে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়েছেন। হাত দুটো বুকে ভাঁজ করে রেলিং এ হেলান দিয়ে আমার দিকে চাইলেন। ভ্রু দুটো সমান তালে উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” কি ব্যাপার? চুপ আছো কেনো? ঝগড়া করবে না এখন?”

আদ্রিশ ভাই হয়তো জানেন না আমি ভেতরে ভেতরে কতটা ফুলছি। কিন্তু বাহিরে তা জাহির করতে পারছি না। শুধুমাত্র চারপাশে নিস্তব্ধ নিশুতি রাত বলে এবং আমরা দুজনই বাসায় উপস্থিত বলে। তবুও আমি আজ ঝগড়া করবো। নিজের ক্ষোভ মেটাবো। বর্তমান ও অতীত দুটো সময়ের ক্ষোভই আজ মেটাবো। আমি এবার তেরছা গলায় বললাম,
” আপনি কত বড় অপরাধ করেছেন জানেন!”

আদ্রিশ ভাই বেশ ঠান্ডা মেজাজে নির্বিঘ্ন গলায় বললেন,
“উঁহু। জানি না তো! একটু জানাও আমাকে। ”

উফ, আদ্রিশ ভাইয়ের এই ‘কুল কুল’ ভাবটা আমার মোটেও সহ্য হচ্ছে না। উল্টো শরীরে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। আমি ঝগড়া করছি, উনিও ঝগড়া করুক। দু পক্ষের কথা কাটাকাটি হোক, তবেই না ঝগড়া করে শান্তি। কিন্তু উনি এটা কি করছেন!
আমি যথাসম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,
” একে তো আপনি বিনা নোটিশে আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছেন, অন্ধকারের মধ্যে। কেনো? আমাকে ভয় দেখানোর জন্য। এরপর যখন ভয়ে চিৎকার করতে চেয়েছি তখন আমার মুখ চেপে ধরেছেন। এতেও ক্ষান্ত হননি। আমি ছাড়া পেতে চাইলে নিজের সাথে চেপে ধরেছেন। কেনো!?”

আদ্রিশ ভাই লম্বা নিঃশ্বাস ছাড়লেন। অতঃপর বললেন,
” ওকে। সবকিছুর ক্ল্যারিফিকেশন দিচ্ছি। ”

” হুম। দিন। আমি অপেক্ষা করছি।”

” আচ্ছা, তবে শুনো। আমি তোমাকে ইচ্ছে করে ভয় দেইনি। ঘুম আসছিলো না দেখে নরমালি পায়চারী করছিলাম। এর মধ্যে দেখি ডাইনিং এ অন্ধকারে কে যেনো চুপিসারে পা ফেলছে। তখন তুমি অন্যদিকে ফিরে ছিলে দেখে চিনতে পারিনি। পরে যখন লাইটসহ টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে পানি খেতে লাগলে তখনই চিনতে পারলাম। এরপর গিয়ে তোমার পিছনে দাঁড়ালাম৷ কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তুমি ভয়ে চিৎকার দিতে শুরু করলে। ঐ সময়ে যেখানে বাসার সবাই ঘুম সেখানে তোমার হঠাৎ চিৎকার করার ফল বুঝতে পারছো? এরপর ভেবেছিলাম তুমি চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু এ কি! তুমি দেখি ছটফট করছো। ঐ অবস্থায় যদি ছেড়ে দিতাম তখনও চিৎকার করতে। তাই তোমাকে শান্ত করে তবেই ছাড়লাম। ”

আদ্রিশ ভাইয়ের কথা শুনে আমার রাগ কমলো ঠিক। তবে উনাকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। তাই সন্দিহান চাহনিতে উনার দিকে চেয়ে রইলাম। উনি আমার এ চাহনির অর্থ বুঝতে পেরে বললেন,
” যা বলেছি সত্য বলেছি। বিশ্বাস করতে চাইলে করো। নাহলে নেই। আমার অত ঠ্যাকা পরেনি। ”

আমি এ কথার প্রেক্ষিতে কিছু বলতে যাবো, এর পূর্বেই আদ্রিশ ভাই ফোনের সময় দেখে বললেন,
” এখন গিয়ে শুয়ে পড়ো। আব্বু,আম্মু নামাজের জন্য উঠবে। এভাবে আমাদের দেখলে বিপদ।”

আমি আর কিছু বললাম না। উল্টো পায়ে রুমের দিকে যেতে উদ্যত হলাম। তবে কয়েক কদম গিয়ে পিছনে ফিরে আদ্রিশ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বললাম,
” শুনুন, ড্রইং- ডাইনিং এ ড্রিম লাইট লাগাবেন। আসলে অন্ধকারের সুযোগ পেয়ে কিছু মানুষ লুচু হয়ে পড়ে। যেমনটা আপনি।”
বলেই এক ছুটে নদীর রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম। আদ্রিশ ভাই যে দিনকে দিন চরিত্রহীন হয়ে পড়ছেন তা ঢের টের পাচ্ছি। কিন্তু এ কথা বললেই তো উনি কিটিমিটি করবেন।

————–

আজ শুক্রবার। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিলো বলেই সবাই মুভি দেখেছিলাম। রাত করে শুয়েছি বলে মোটামুটি সবার উঠতেই ১০টা পার হয়ে গেলো। এদিকে আমাদের উঠতে ১০টা পার হলেও আদ্রিশ ভাই ও ইমাদ ভাই উঠলেন বারোটায়।
আজ এখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে যাবো। আমরা সকালেই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আংকেল আন্টি খুব জোর করলেন। তাদের কথা, আমরা কখনও উনাদের বাসায় থাকিনি। আজ থেকেছি বলে তারা নিজেদের সাধ্যমতো মেহমানদারী করে তবেই পাঠাবেন। এজন্যই নাকি কে জানে, আন্টি আজ একদম সুস্থ হয়ে রান্নাঘরে ঢুকলেন। আম্মু তাঁকে এতবার সাহায্য করতে চাইলো। কিন্তু আন্টি শুনলেনই না। তবুও আম্মু আর আপু জোর করে টুকটাক সাহায্য করলো।

আমি ঘুরে ঘুরে আদ্রিশ ভাইদের বাসা দেখছি। বাসার প্রতিটা ব্যালকনি দেখছি, ব্যতিত আদ্রিশ ভাইয়ের ব্যালকনি। উনি এখনও রুমে বলে ওখানে যাইনি। কিন্তু আন্টি আমাকে ঐ রুমেই পাঠালেন। আর কিছুক্ষণ পর জুম্মার নামাজে যাবে সবাই। এদিকে আদ্রিশ ভাই সকাল থেকে কিছু খাননি। তাই আন্টি কাজের ফাঁকে ফটাফট আদ্রিশ ভাইয়ের জন্য প্লেটে রুটি ও সবজি দিয়ে আমাকে উনার রুমে পাঠালেন। নদীকে পাঠাননি কারণ নদী তখন কাজে ভীষণ ব্যস্ত। অগত্যা সবার ব্যস্ততা দেখে আমাকেই খাবার নিয়ে যেতে হলো।

আদ্রিশ ভাইয়ের রুমের দরজা লাগানো ছিলো বিধায় খাবার প্লেট হাতে নিয়ে নক করে ঢুকলাম। রুমে ঢুকে দেখি কেউ নেই। পরে ওয়াশরুম হতে পানির শব্দ পেয়ে বুঝলাম উনি গোসল করতে ঢুকেছেন। তাই খাবারটা টেবিলে রেখে উনাকে জানান দিতে ওয়াশরুমের দরজার কিছুটাকাছে গিয়ে বললাম,
” আন্টি আপনার জন্য সকালের খাবার পাঠিয়েছেন। নামাজে যাবার আগে খেয়ে নিয়েন।”
বলেই আমি চলে আসতে নিলাম। কিন্তু তখনই হুট করে দরজা খুলে আদ্রিশ ভাই বেরিয়ে এলেন। একটা হাফ প্যান্ট পরে নগ্ন শরীরে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হচ্ছেন তিনি। অকস্মাৎ উনাকে এরূপে দেখে বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করে চেয়ে রইলাম। লজ্জায় আমার এখন আধমরা অবস্থা হলো। এহেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পড়ে লজ্জায় চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করার পূর্বেই আদ্রিশ ভাই দু হাত দিয়ে নিজের বুক ঢাকলেন। বিস্মিত দৃষ্টিতে বললেন,
” লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা…..”

আদ্রিশ ভাইয়ের এহেন কথায় আমি থতমত খেলাম। কি হলো এটা! যে লাইনটা আমার বলার দরকার ছিলো, সেটা উনি বললেন কেনো! আমার লাইন চুরি করলেন কেনো! আশ্চর্য!
®সারা মেহেক

#চলবে