#অলকানন্দা_ও_তিতলি
#পর্ব-১২
#সারা মেহেক
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
” কে-কে সম্বন্ধ এনেছে? আর কোন বুড়ো ব্যাটা আমার মতো কচি মেয়েকে বিয়ে করতে চায় শুনি?”
” বুড়ো না। বয়স বেশি না তো৷ ”
” আচ্ছা! বয়স কত? নাম কি? করে কি?”
” বয়স খুব বেশি না। আর নাম হলো রাফিদ। ব্যাংকে জব করে। ”
আমি সরু চোখে চেয়ে বললাম,
” নিশ্চয়ই চাচু এনেছে? ”
” না। তোর আব্বুর কাছে এসেছে। তোর আব্বুর এক বন্ধুর চাচাতো ভাই বলে ছেলে বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ে খুঁজছে। সেখান থেকেই এই সম্বন্ধ আনা।”
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম,
” মানা করে দাও। আমি ওসব বিয়ে-টিয়ের চক্করে নেই। ”
আম্মু খানিকটা উষ্ণ গলায় বললো,
” এক সময় না এক সময় বিয়ে করতেই হবে। তো একটা ভালো ছেলে পেয়েছি, খোঁজ নিয়ে সব ভালোও পেয়েছি। তাহলে তোর এই কথাবার্তার জন্য না করে দিবো! মোটেও না। ”
আম্মুর কথায় আমি তব্দা খেয়ে গেলাম! ছেলের ব্যাপারে তাদের খোঁজখবরও নেয়া শেষ! কি অদ্ভুত! অথচ আমি জানলাম আজকে! আমি অবাক হয়ে বললাম,
” খোঁজ খবরও নেয়া শেষ তোমাদের!”
” তো কি! ভালো ছেলে পেলে খোঁজ নিবো না?”
আম্মুর কথা শুনে আমার এবার ভীষণ কান্না পেলো। কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,
” দেখো আম্মু। আমাকে একটু সময় দাও। বিয়ের কথা আমি কখনও ভাবিনি। আর তোমরা হুট করে এভাবে ছেলে হাজির করলে তো আমি বিয়ে করে ফেলবো না। সময় লাগবে আমার। ”
” তো আমরাও তোর বিয়ে এখন দিচ্ছি না। ছেলে দেখলেই বিয়ে হয়ে যায় না। সময় লাগে। আজকাল ভালো ছেলে পাওয়াও দুষ্কর। ”
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম৷ আর কথা বাড়ালাম না। এ মুহূর্তে ভীষণ হতাশা ও শূন্যতা ঘিরে ধরেছে আমাকে। কিছু একটা হারিয়ে যাবার ভয় বিরাজ করছে মনে। খুব কাছের কিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয়……..
——–
রাতে খাবার খেয়ে রুমে ঢুকার আগে আব্বু রুমে ডাকলো। সেখানে আম্মুও আছে। অথচ কিছুক্ষণ আগেই আম্মুকে রান্নাঘরে দেখলাম। যাই হোক, রুমে যেতেই আব্বু হাতে ইশারায় আমাকে পাশে বসতে বললো। আমি বসতেই আব্বু হালকা কেশে গলাটা পরিষ্কার করে বললো,
” তোমার আম্মু তো ছেলের ব্যাপারে বলেছে তাই না?”
আমি আম্মুর দিকে তাকালাম। আম্মু কাপড় গোছাতে ব্যস্ত। আমার দিকে তাকানোর সময় নেই। আব্বুর প্রশ্নের জবাবে বললাম,
” হ্যাঁ বলেছে। কিন্তু ডিটেইলসে কিছু বলেনি। ”
” কি ডিটেইলসে বলেনি? কি জানতে চাও তুমি?”
আমি এবার আব্বুর দিকে ঘুরে বসলাম। আব্বুর সাথে আমি মোটামুটি ফ্রি। তাই বললাম,
” ছেলের চরিত্র, বয়স, কোথায় থাকে, পরিবারে কে আছে, এসব। ”
” আচ্ছা! ছেলের নাম তো জানো তাই না?”
” হ্যাঁ জানি। রাফিদ নাম। কিন্তু বয়স জানি না। আর ছেলেকেও দেখিনি তো!”
আব্বু মৃদু হাসলো। বললো,
” বয়স বেশি না। বায়োডাটাতে ২৯ আছে। ”
বয়স শুনে আমি বিস্ময়ে মাথায় হাত দিলাম। অবাক কণ্ঠে বললাম,
” ২৯! আব্বু! আমার বয়স জানো তো? মাত্র ২১ এ পড়েছে। ২৯ তো সেখানে সাক্ষাৎ বুড়ো। ”
আব্বু ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
” এই ৮ বছরের গ্যাপকে বুড়ো বলছো? তোমার আম্মুর আর আমার বয়সের পার্থক্য জানো? প্রায় ১১। সেখানে এই ৮ বছর কিছুই না। ”
এবার আমি সত্যিই বেঁকে বসলাম। এক কথায় বললাম,
” জানি। কিন্তু ঐ যুগের কাহিনি এ যুগে বললে হবে না। আমি এ বিয়ে করবো না৷ ছেলের বয়স বেশি।”
আব্বু একটু সময় নিলো। অতঃপর আলতো হাত আমার মাথায় বুলিয়ে বললো,
” বয়স কোনো ব্যাপার না মা। মানুষ ভালো হলে বয়সের দিকে কেউ তাকায় না। ছেলের খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ছেলে অনেক ভালো। তাট আশেপাশের সবাই ভালো বলেছে। কোনো বাজে অভ্যাসও নেই। পরিবারও ভালো। এখন এর চেয়ে বেশি আর কি দেখে বলো? তোমার কি আর কোনো রিকোয়ারমেন্ট আছে?”
আমি এবার চুপ হয়ে গেলাম। আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে এসব ব্যাপারই দেখে সবাই। আর তারা যেহেতু পজিটিভ পেয়েছে এর মানে এ বিয়ের সম্বন্ধটা ছাড়বে না। কিন্তু আমার মন যে কেমন উসখুস করছে! এটা তাদের বুঝাবে কে!
আমি একটু সময় নিয়ে বললাম,
” তুমি যা যা বলেছো, সবই ঠিক আছে আব্বু। কিন্তু আমি তো ছেলেকে দেখিইনি।”
আব্বু রহস্যময় হাসি হাসলো৷ অতঃপর ফের আমার মাথায় হাত রেখে বললো,
” একেবারে কালকেই দেখে নিও। ”
” মানে!? ”
” মানে কালকে তোমাকে দেখতে আসবে ছেলেপক্ষ। ”
আমার মাথায় যেনো বিনা মেঘে বজ্রপাত এসে পড়লো। আমি তড়াক করে উঠে দাঁড়ালাম। চরম বিস্ময়ে একবার আব্বুকে, একবার আম্মুকে দেখলাম।
” এসব কি বলছো আব্বু! এতো তাড়াহুড়া কিসের! আম্মু আমাকে গতকাল ছেলের সম্পর্কে বলেছে। আর আজ বলছো আমাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে! এটা কোনো কথা!”
আব্বু শান্ত গলায় বললো,
” শান্ত হও মা। এত রিয়েক্ট করার কিছুই নেই। ”
আমি চড়াও হয়ে বললাম,
” রিয়েক্ট করার কিছু নেই মানে! তুমি কি বুঝছো আব্বু? বিয়ের জন্য ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। বিয়ের জন্য! এক কথা হজম করতে না করতেই তোমার দ্বিতীয় ধামাকা দাও কেনো?”
আব্বু এবার আমার হাত ধরে পাশে বসালো। বললো,
” এত প্যানিক করছো কেনো? এমন মুহূর্ত প্রতিটা মেয়ের জীবনেই আসে। ছেলে দেখতে আসে, পছন্দ হয়, বিয়ে হয়। ”
” আসে, সবার জীবনেই আসে। কিন্তু তাই বলে এত তাড়াতাড়ি! আমি এত তাড়াতাড়িও এক্সপেক্ট করিনি আব্বু। আমাকে একটু সময় দিতে!”
” দেখ মা, আজকাল ভালো ছেলে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও এই মিলে, ঐ মিলে না। এমন হয়। কিন্তু এই ছেলেটার আমার সবদিকেই ভালো পেয়েছি। আর ছবি দেখে তোকে পছন্দও করেছে। এজন্যই তো সরাসরি দেখতে আসতে চায়। আর দেখতে এলেই যে বিয়ে হয়ে যায় তা তো নয়। এমন কত বিয়ে দেখেছি, ডেট ঠিক হওয়ার পরও কোনো না কোনো কারণে ভেঙে যায়। সেখানে তোকে মাত্র দেখতে আসবে। ”
এবার প্রচণ্ড রাগে আমার কান্না পাচ্ছে। চোখ দুটো ছলছল করছে। গলায় শক্ত কান্নার দলা আটকে আছে। সে নিয়েই বহু কষ্টে বললাম,
” এত কিছু বুঝাচ্ছো আমাকে, কিন্তু আমাকে বুঝার চেষ্টা করছো না তোমরা৷ একটা মেয়েকে হুটহাট বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানালে। সেটা নিয়ে মেন্টালি প্রিপেয়ার্ড হতে না হতেই আবার জানালে, তাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে! এটা কোনো কথা! আমার কিছুই ভালো লাগছে না। তোমাদের এমনটা ভাবতাম না আব্বু। ”
বলেই আমি রুম থেকে চলে এলাম। নিজের রুমে ঢুকেই দরজা আটকে দিলাম। অতঃপর যা হবার তা-ই হলো। দু চোখ বেয়ে অঝোরে নোনাজল গড়িয়ে পড়লো। এ কান্না দুঃখের নয়। এ কান্না রাগ ও ক্ষোভের। এ মুহূর্তে আব্বু আম্মুর প্রতি আমার ভীষণ রাগ। এই রাগ বাদে আপাতত আমার মাথায় কিছুই চলছে না।
রাত তখন প্রায় ২টা। আমার চোখে সামান্য ঘুমটুকুও নেই। মাথার ভেতর শুধু রাফিদ নামক ছেলেটা ও আদ্রিশ ভাই ঘুরছে। এর মধ্যে আদ্রিশ ভাইয়ের আগমন কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও তাই ঘটেছে আমার ক্ষেত্রে। উনি একেবারেই আচমকা আমার চিন্তাভাবনার মধ্যে টপকে পড়েন। যেখানে আমি রাফিদ নামক ছেলেটা ও আগামীকালের ভবিতব্য কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম, সেখানে হঠাৎ করেই আদ্রিশ ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। উনাকে ঘিরে তৈরী হওয়া অতীতের সকল ঘটনা মনের কোনা থেকে উপড়ে বেরিয়ে এলো। বর্তমানে উনার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার প্রতিটা ঘটনা হৃদয়ে নাড়া দিলো। জানি, এ মুহূর্তে আদ্রিশ ভাইয়ের সম্পর্কে ভাবা অনুচিত। উনার ছায়াও আমার অনুভূতি ও ভাবনায় পড়তে দেয়া অনুচিত। কিন্তু তবুও আমি অনুচিত কাজটা করে বসছি। উনার প্রতি অতীতের সকল অনুভূতিই যেনো আজ হঠাৎ করে আমার হৃদয় জমিনে পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠলো। বুকটা চেপে ধরলো। মন ও মস্তিষ্কের যুদ্ধে মন বলে উঠলো,রাফিদকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেই পস্তাতে হবে। এদিকে মস্তিষ্ক বললো, রাফিদকে বিয়ে করারই ভালো হবে। কেননা বর্তমানে আমার অনুভূতির জগতে আদ্রিশ নামক কোনো পুরুষের ছায়া নেই। কিন্তু বর্তমানে তার ছায়া না থেকেও কেনো সে এ মুহূর্তে আমার ভাবনার জগতে বিচরণ করছে তা আমার জানা নেই। সত্যিই জানা নেই। বড্ড অসহায় লাগছে আমার। বুকের ভেতর খালি হয়ে আসছে। মাথাটা অনবরত দপদপ করছে। দ্বিধাবোধের তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু করেছে আমার মন ও মস্তিষ্ক। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? জানা নেই আমার।
——————-
আজ আমাকে দেখতে আসবে৷ সে নিয়ে বাসায় সে কি তোড়জোড়! আম্মু, আপুর তো কাজ থেকে ফুরসতই পাচ্ছে না। এই রান্না,ঐ রান্না, ঘর গুছানো, আরো কত কি! আব্বুও সকাল থেকে বাজার-বাসা করছে। একবার ফল আনতে ভুলে যায়, একবার মিষ্টি আনতে ভুলে যায় ।এজন্যই বারবার আসা যাওয়া করছে আব্বু। এদিকে যাকে দেখতে আসবে তার অর্থাৎ আমার এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। বিয়ে নিয়ে আমি আনন্দিত হবো নাকি দুঃখের সাগরে সার্ফিং করে বেড়াবো সে নিয়ে বড়ই দ্বিধায় আছি। এ দ্বিধা নিয়েই আমি আভাকে জিজ্ঞেস করলাম,
” আচ্ছা বল তো, ঐ ছেলেকে বিয়ে করার দুঃখে দুঃখিত হবো নাকি আনন্দে আনন্দিত হবো?”
আভা কেমন আঁড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
” তোমার মাথা কি ঠিক আছে আপু? আনন্দিতই বা হবে কেনো আর দুঃখিতও বা হবে কেনো?”
” তো নিউট্রাল থাকবো?”
আমার প্রশ্নে আভা হতাশ হলো। মাথায় চাপড় মেরে বললো,
” মাঝেমধ্যে যে কি উল্টাপাল্টা কথা বলো আপু! ”
বলেই ও ওর রুমে চলে গেলো।
আমি আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম৷ কাল রাত থেকে নিজের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আর এ যুদ্ধের পক্ষে, বিপক্ষে আছে রাফিদ ও আদ্রিশ ভাই। আমি স্বীকার করতে বাধ্য যে আদ্রিশ ভাই আমার মনের পুরোটা দখল করে বসে আছেন। কি অদ্ভুত না! সেই কত বছর আগে উনার জন্য আমার মনে ঘৃণা ও অভক্তি জন্ম নিয়েছিলো তা আজ হুট করেই হাওয়া হয়ে গেলো! কি আশ্চর্য! তবে কি সবকিছুই আমার মনের ধোঁকা ছিলো? আমি কি তবে নিজের মধ্যেই ধোঁয়াশায় ছিলাম?
আমি সকাল হতে শক্ত হচ্ছি নিজের সাথে। নানান বাহানায়, নানান কথায় নিজেকে ব্যস্ত রাখছি। শুধুমাত্র আদ্রিশ ভাইয়ের কথা মন থেকে দূরে রাখার জন্য। এজন্যই আভাকে ওমন প্রশ্ন করেছিলাম। আমি ভীষণ চেষ্টা করছি আদ্রিশ নামক পুরুষটার চেহারাও যেনো আমার মানসপটে ভেসে না উঠে। এভাবে বহুক্ষণ নিজের সাথে লড়াই করার পর শেষমেশ আদ্রিশ ভাইয়ের প্রতি মনের ক্ষোভ মেটাতে ছোট্ট একটা ম্যাসেজ দিলাম,
” আপনি আপাদমস্তক একটা খারাপ পুরুষ। আপনি বড্ড খারাপ মানুষ। খুব খারাপ,খুব…….”
বলেই ফোনটা বন্ধ করে রাখলাম। যেনো উনার কোনো রিপ্লাই না আসে।
—————–
যোহর নামাজের পর ছেলেপক্ষ আমাদের বাসায় এলো। যথারীতি ছেলে, ছেলের বাবা-মা ও মামা-মামী এসেছেন আমাকে দেখতে। খাবার পর আমাকে সবার সামনে নিয়ে গেলো আপু। তাদের প্রথম দেখাতেই পছন্দ হলো। আমাকে বেশকিছু প্রশ্ন করলো। এরপর দু পরিবারের সিদ্ধান্তে আমাকে ও রাফিদকে আলাদাভাবে কথা বলার জন্য ছাদে পাঠানো হলো।
রাফিদ দেখতে শুনতে মোটামুটি ভালোই। গায়ের রঙ শ্যামলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। চেহারায় খানিকটা জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব।
এভাবে দুজনকে একা ছাদে পাঠানে হয়েছে বলে দুজনই বেশ অকওয়ার্ড ফিল করছিলাম। এরই এক পর্যায়ে রাফিদ বললো,
” আমার সম্পর্কে তো মোটামুটি জানেনই। যদি আরোও কিছু জানার থাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। ”
আমি মৃদু কণ্ঠে বিনয়ী গলায় বললাম,
” আমার কিছু জানার নেই। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। ”
রাফিদ কিছুটা সময় নিলো। অতঃপর রয়েসয়ে বললো,
” আসলে আপনার সম্পর্কে মোটামুটি খোঁজ খবর পেয়েছি। ইয়ে মানে, পরিবার, পড়াশোনা, চলাফেরা এই তো। তো আমি যেটা নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম আরকি….. আসলে এই যুগে মোটামুটি সবারই রিলেশনশিপ থাকে। ইয়ে মানে, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো রিলেশন আছে? বা কাউকে পছন্দ করেন? পছন্দ করলে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। আমি বিয়ে থেকে পিছু হটে যাবো। ”
®সারা মেহেক
#চলবে