#অশ্রুবন্দি
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-৪
ইহসান একটু আলগা করল হাতের বাঁধন তবে ছাড়ল না। সৃজা এতক্ষণে একটু স্বস্তি পেল৷ বুকভরে শ্বাস নিয়ে সে হতাশ গলায় শুধাল,
“ছাড়বে না?”
ইহসান রুক্ষ স্বরে বলল,
“ছাড়ার জন্য তো ধরিনি।”
…
সকাল নয়টা। ইহসানের ঘুম ভাঙল দরজার ঠকঠক শব্দ শুনে। কেউ একজন দরজা ধাকাচ্ছে। ইহসান বিরক্ত হলো। চোখ বন্ধ অবস্থায়ই ‘আসছি’ বলার পর দরজায় হতে থাকা শব্দটি থেমে গেল। ঘুম ভরা চোখদুটো খুলতে বেশ কষ্ট হলো ইহসানের। মুখ কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে উঠার চেষ্টা করতে গিয়ে খেয়াল হলো কেউ তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। ইহসান ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই সাদা রঙের জামা পরে গুটিশুটি হয়ে থাকা ঘুমন্ত সৃজার উপর নজর আটকে গেল। মেয়েটার কোমল, ফর্সা হাতদুটো ওর টি-শার্ট মুঠো করে ধরে রেখেছে। ফোলা ফোলা চেহারা মেয়েটার, রাতে কান্নাকাটি করায় রক্তিম ভাবটা এখনো যায়নি। ইহসান দু’সেকেন্ড থমকে রইল। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ শব্দ হচ্ছে। ভীষণ আন্দোলিত হচ্ছে হৃদপিন্ডটা। যেন এখুনি বেরিয়ে আসবে। ইহসান বুকে হাত দিয়ে চোখ সরিয়ে ধ্যান ভঙ্গের চেষ্টা করল। সফল হলো তাতে। মেয়েটার ঘুম যাতে না ভাঙে সেজন্য খুব সাবধানে, আস্তে-ধীরে নিজেকে মুঠো থেকে ছাড়িয়ে শব্দহীন উঠে পড়ল। এরপর স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে দরজা খুলতেই বাইরে ইস্মিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। ইহসান বিস্মিত হলো। গত রাতে ওর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেও ইস্মি ওর ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে? এত সাহস পেল কোথায় এই ভীতু, মেরুদণ্ডহীন নারীটি? সে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করল,
“এখানে কেন?”
ইস্মি ইতস্তত করে বলল,
“আম্মা ডাকে নতুন বউকে। নিচে যেতে বলছে।”
ইহসানের ভ্রু কুঁচকে গেল কথাটা শুনে। দপ করে জ্বলে উঠল যেন শরীরের প্রতিটি কোষ। তবে নিজের ভেতরের ফেটে পড়া ভাবটা যথাসম্ভব আয়ত্ত্বে রেখে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
“আজিজ শেখ জানে?”
“না।”
ইহসান গমগমে কণ্ঠে বলল,
“কলিজাটা এত বড় হয়ে গেল আপনার শ্বাশুড়ির?
তার কি স্বামীর হাতে অত্যাচারিত হতে তার ভালো লাগে?”
ইস্মি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“সবাই তো বেরিয়ে গেছে। আব্বা, আপনার ভাই’রা। এজন্যই আম্মা ডাকে ওরে। নয়তো আম্মার সাহস হয় আব্বার কথা অমান্য করার?”
ইহসান শক্ত গলায় বলল,
“সৃজা ঘুমাচ্ছে, ও যাবে না।”
ইস্মি বোঝানোর চেষ্টা করল,
“নতুন বউ, একঘরে করে তো রাখা যায় না। ও না জানি কী ভাবছে আমাদের! বেচারি হয়তো লজ্জায় কিছু বলবে না কিন্তু মনে মনে ঠিকই খারাপ ভাববে।”
ইহসান শাণিত সুরে তাচ্ছিল্য করে বিড়বিড় করে বলল,
“এ বাড়িতে ভালো মানুষটা কে?”
ইস্মি ওর কথা শুনতে পেল না। তবে ওর কঠোর অভিব্যক্তি পরখ করে ভীতু স্বরেই বলল,
“আম্মা অনেক কান্নাকাটিও করছে। নতুন বউকে
নিয়ে যাই? ডেকে দিন।”
ইহসান বিরক্ত হলেও আর না করল না। আসলেই তো একি বাড়িতে যখন থাকতে হবে কতদিন সৃজাকে একঘরে করে রাখবে? তাছাড়া আজিজ শেখের কথা ইহসান কেন মানবে? ভয় পায় না সে লোকটাকে, কখনোই না। ইহসান সে, নিজের মন-মর্জির রাজা।
…
ইহসান সৃজাকে ডেকে তুলে দিলো। সৃজা ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা খেয়ে যখন শুনল সালেহা বেগম ওকে ডাকছেন, মেয়েটা বেশ আড়ষ্ট বোধ করল। ইহসান সেটা বুঝে ওকে স্বাভাবিক থাকতে বলল। কারো অতিরিক্ত কথা যেন কানে না নেয়, সেটাও বলে দিল। ইস্মি এসে অপেক্ষা করছিল, সৃজা আর ইহসানকে দেখে ওর খুব প্রশান্তি লাগছিল। যাক, এ বাড়ির কোনো একটা পুরুষ তো একটা মেয়েকে কীভাবে আগলে রাখতে হয় তা জানে!
ইহসান সৃজাকে ইস্মির সাথে যেতে দিয়ে ইস্মিকে আড়ালে বলল,
“ওকে যাতে কোনো উল্টাপাল্টা কথা না বলা হয়। খবর করে ছাড়ব তাহলে।”
ইস্মি আশ্বস্ত করল ওকে। এরপর সৃজার হাত ধরে ওকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। যেতে যেতে বলল,
“আমি ইস্মি, বাড়ির বড় বউ। আমাকে ভাবিও ডাকতে পার আবার নাম ধরেও।”
সৃজা বিস্মিত হয়ে বলল,
“নাম ধরে মানে?”
“আমার স্বামী আর ইহসান ভাই জমজ। কে ছোট, কে বড় সেটার অবশ্য সত্যতা নেই। তুমি জানতে না?”
সৃজা হতবাক হয়ে গেল। সে তো জানতো ইহসান এ বাড়ির ছোট ছেলে। অথচ সেটা ভুল? ইহসান এ বাড়ির আরেক বড় সন্তান, আবার জমজ ভাইও আছে? ইহসান এসব বলেইনি কখনো! কেন বলেনি? এটা তো লুকানোর মতো কোনো বিষয় না। সৃজার ভ্রু কুঁচকে গেল। জিজ্ঞেস করবে সে এটা কেন লুকালো? নিজেকে স্বাভাবিক রেখে সে হাসার প্রচেষ্টা করে বলল,
“আমি জানতাম সে ছোট।”
“ওরা চার ভাই, এক বোন। এটা জানতে তো?”
সৃজা ঘাড় নাড়িয়ে না বোধক উত্তর দিল। ইস্মি হেসে বলল,
“কয় বছরের পরিচয় তোমাদের?”
“বহু বছর।”
ইস্মি আরকিছু বলল না এ ব্যপারে। ইহসান এগুলো সৃজাকে বলেনি, হয়তো প্রয়োজন মনে করেনি৷ কারণ সে তো কাউকে নিজের কাছের মানুষ বলে মনেই
করে না। অবশ্য এধরণের বাবা, ভাই থাকলে কেউই পরিচয় দিতে চাইবে না৷ সৃজা ইস্মিকে লক্ষ্য করল। দারুণ সুন্দরী, ফর্সা গায়ে নীল শাড়িটা বেশ লাগছে। অথচ মেয়েটার চোখেমুখে কেমন বিষাদের ছাপ, সৃজা লক্ষ্য করল ইস্মির ডানগাল লালচে হয়ে আছে। স্পষ্ট চড়ের দাগ। কিন্তু ইস্মিকে বিব্রত করতে চায় না বলেই কিছু জিজ্ঞেস করল না। আস্তেধীরে শুধাল,
“আমি তোমাকে ভাবি ডাকি? বয়সে তুমি বড় আমার।”
ইস্মি ভাবনায় ডুবে ছিল। সৃজার কথা শুনে ঘোরটা কাটল ওর। এরপর মৃদুভাবে মাথা নেড়ে সায় জানাল ওর কথায়। এ বাড়িতে কেউ তাকে সম্মান করে না, মেজো বউ মিতু পর্যন্ত ওকে নাম ধরে ডাকে। এগুলো জানলে কি সৃজা হাসবে? ওকে তুচ্ছ নজরে দেখবে? মনে হয় না। ইস্মি এবার নত কণ্ঠে বলল,
“গতদিনের কাণ্ডকীর্তিতে কিছু মনে করো না।”
সৃজা আড়ষ্ট হয়ে বলল,
“আমি কিছু মনে করিনি, জানতাম এমন ঝামেলা হবে।”
কথা বলতে বলতে তারা সালেহা বেগমের ঘরের সামনে এসে পৌঁছে গেল। দরজাটা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। ইস্মি টোকা দিতেই ভেতর থেকে আদেশের সুর শোনা গেল,
“আসো।”
ইস্মির পেছন পেছন ঢুকল সৃজা। মাথাটা ভদ্রভাবে নোয়ানো। নম্র কণ্ঠে সালাম বিনিময় করল। সালেহা বেগম উত্তর দিলেন সালামের, তবে এর বাইরে কিছু বললেন না৷ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন৷ সৃজা বিস্ময় নিয়ে ইস্মিকে শুধাল,
“চলে গেল কেন?”
“আসবে।”
ইস্মি ভরসা দিল। সৃজা চুপচাপ খাটে বসে রইল। মিনিট দশেক পর সালেহা বেগম হাতে একটা বন্ধ বাক্স নিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। সেটা বিছানার উপর রাখলেন। সৃজা কিছুই বুঝল না। ওর বেশ অস্বস্তি হচ্ছে। সালেহা বেগম এবার ওর হাতে সেই বাক্সটা দিয়ে বলতে লাগলেন,
“তুমি অহন এ বাড়ির বউ। কেউ না মানলেও। তাই এ বাড়ির জিনিসপত্রের উপর তোমার অধিকার আছে৷ এইডাতে গয়নাগাটি আছে, সবগুলাই তোমার। নিয়া যাও।”
সৃজা অপ্রত্যাশিত কায়দায় চোখ তুলে তাকাল। অবাক স্বরে বলল,
“আমার?”
“হ।”
সৃজা একবার ইস্মির দিকে তাকিয়ে এরপর আবার সালেহা বেগমের দিকে ফিরল। জড়তা নিয়ে ইতস্তত করে বলল,
“কিন্তু আমি এসব দিয়ে কী করব? আমার এসব লাগবে না৷ আপনি রেখে দিন।”
সালেহা বেগম কিছুটা রাগ দেখিয়ে অপ্রতিভ কণ্ঠে বলল,
“আমার দায়িত্ব ছিল এইগুলা যথাযথ মানুষের নিকট পৌঁছায় দেওনের, আইজ দিছি৷ এহন তুমি এইসব কি করবা, না করবা হেইডা তোমার বিষয়। আমারে আর জড়াইওনা বাপু। যাও এহন।”
সৃজা আরকিছু খুঁজে পেল না বলার। ছোট্ট শ্বাস ফেলে উঠে চলে আসতে নেবে সেসময় সালেহা বেগম ওর হাত ধরে আটকালেন। সৃজা ফিরে দেখল সালেহা বেগম কাঁদছেন, তবে কান্নার কোনো শব্দ হচ্ছে না। তিনি ওকে বসতে বললেন চোখের ইশারায়। সৃজা বসতেই তিনি ভেজা চোখ মুছে নাক টেনে নিলেন। এরপর আবেগপ্রবণ গলায় বলতে লাগলেন,
“বাড়ির বউ তুমি। আমাগো ইহসানের বউ। সে মাথাগরম পোলা। কহন কি করে, ঠিক নাই। এইযে মেজো বউয়ের ছোট বইনের লগে ওর বিয়া ঠিক হইছে, অথচ সে কারো কর্তৃত্ব মানবো না বইলা নিজের মর্জি মতো তোমারে বিয়া করল। তোমার শ্বশুরও এমুন। তার কথার বাইরে গেলে দুই চক্ষের দাম দেয় না। বাড়ি থেইক্কা বাইর কইরা দেয়। কিন্তু ইহসানরে বাড়ি থেইক্কা বাইর করতো সে পারব না, কারণ বাড়িটা তোমার শ্বশুর আর ওগো বড় দুই ভাইয়ের নামে। তাই তোমাগো কোনো ডর নাই।”
সৃজা হতবিহ্বল হয়ে গেল। আর শ্বাশুড়ির এ কথা শুনে ইস্মি ভড়কে গেল। নতুন বউকে কি এখন এসব কথা বলার সময়? সালেহা বেগমের কি আক্কেলজ্ঞান লোপ পেয়েছে? ইহসান শুনলে রেগে যাবে৷ সে তড়িঘড়ি করে বলল,
“ইহসান ভাই ডাকে, ওরে নিয়া যাই আম্মা।”
বলে সৃজার হাত টেনে ধরে ওকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। সৃজা বিস্ময় নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে কিন্তু ইস্মি ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বলল,
“রান্নাঘরে কাজ আছে, আমি যাচ্ছি। তুমি ঘরে যাও।”
…
সৃজা মাথাভর্তি প্রশ্ন নিয়ে ঘরে এসে ইহসানকে দেখল সে ফোনে কারো সাথে রেগে কথা বলছে। ধমকাধমকি আর গালাগালিও করল কিছুক্ষণ ফোনের অপরপাশের ব্যক্তিকে। সৃজা গয়নার বাক্সটা ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে এসে বিছানায় বসে বসে ইহসানের গালাগালি শুনতে লাগল। কান ঝালাপালা হতে লাগল ওর। লোকটা এত গালি জানে? অথচ মুখ দেখে বোঝা যায় না৷ সৃজা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ইহসান কথা বলা শেষ করল আরো মিনিট খানেক পর। এরপর মেজাজ খারাপ করে পানির বোতলের ছিপি খুলতে খুলতে ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কীজন্য ডেকেছিল?”
“গয়না দিতে।”
ইহসান একপলক তাকিয়ে দেখল বাক্সটা। কিছু বলল না। পানি খেতে উদ্যত হলো।
“তোমার জমজ ভাই আছে, কথাটা কোনোদিন বলোনি তো?”
ইহসান মুখ লাগিয়ে পানি খাচ্ছিল। সৃজার কথা শুনে হকচকিয়ে গিয়ে কেশে উঠল সে৷ ফলাফল হিসেবে মুখ থেকে পানি পড়ে পরণের গেঞ্জি ভিজে গেল। সৃজা বিছানা থেকে নেমে এসে সামলাল ওকে। গামছা দিয়ে মুখ মুছে দিল। ইহসান ধাতস্থ হবার পর সে সৃজার কোমড় টেনে কাছে এনে বলল,
“জমজ টাকে ভাই বলে মনে করি না, তাই বলিনি।”
ইহসানের হাত সৃজার কোমড়ে। মেয়েটা অস্বস্তিতে মিইয়ে গেল। ছোটার জন্য ছটফট করল, কিন্তু লাভ হলো না। ছোট গলায় বলল,
“তোমার চার ভাই, এক বোন। এটাও জানতাম না।”
“জেনে লাভ নেই তো!”
“এ বাড়িটা তোমাদের বাবা, আর তোমাদের দুই জমজ ভাইয়ের নামে। এটাও জানতাম না।”
ইহসান চোখ বন্ধ করল। দু’হাতের তালু মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এলো। এসব কথা সৃজাকে কে বলেছে? নিশ্চয় সালেহা বেগম। কী দরকার ছিল ওকে এসব বলার? মহিলার মুখটা বেশিই চলে। এজন্যই রাগ হয় ইহসানের। রাগ-ক্ষোভে ফেটে পড়ছিল সে, কিন্তু সামলে নিলো নিজেকে। সৃজার কানের কাছে এসে বলল,
“জানার মতো পৃথিবীতে বহুকিছু আছে। এসব ছোটখাটো ব্যাপার না জানলেও চলবে তোর।”
সৃজা এদিকে হাসফাস করছে ছুটার জন্য। কিন্তু ইহসান ছাড়ছে না কিছুতেই। সে না পেরে কামড় বসিয়ে দিলো হাতে। ব্যথা অনুভব করলেও ছাড়ল না ইহসান। সৃজা ক্ষোভে লাল হয়ে গেল,
“ইভটিজারদের মতো করছ, ছাড়ো আমাকে।”
ইহসান ঠোঁট চেপে হেসে ফেলল। সৃজাকে আরেকটু ভুগিয়ে ছেড়ে দিলো। সৃজা ছাড়া পেয়ে দূরে সরে গিয়ে শাসানোর ভঙ্গিতে বলল,
“আরেকবার এমন জড়াজড়ি করলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। এরচেয়েও জোরে কামড় দেব। বুঝবে মজা।”
ইহসান প্রতুত্তরে কিছুই বলল না। তুচ্ছ ভঙ্গিতে হাসল। যেন সৃজার কামড়ে সে ব্যথা নয়, মজা পেয়েছে। আর এটা বুঝিয়ে দিতেই সে ধীরেধীরে সৃজার কামড় দেওয়া হাতটা তুলে নিজের মুখের কাছে নিলো। এরপর হাতে যেখানে সৃজা কামড় বসিয়েছিল সেখানে নিজের ঠোঁট বসিয়ে চুমু খেল, সৃজার চোখের দিকে তাকিয়ে। এরপর ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসল। বড় ভাইরুপী লোকটাকে মাত্র একদিনের ব্যবধানে এমন লুচো রুপে দেখে সৃজা লজ্জিত, কুণ্ঠিত, হতভম্ব হয়ে গেল।
_____
চলবে…