#আনমনে_সন্ধ্যায়
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ৩১
আয়েশা শুয়ে আছে চুপচাপ। এতোক্ষণ জ্ঞান ছিলো না। এই তো কিছুক্ষণ হলো চোখ খুলেছে। হাতে তার স্যালাইন । ভালো না খারাপ নাদু বুঝতে পারছে না। ডাক্তার অবশ্য তেমন কিছু বলেনি। সাডেন শক্ এর কারণে জ্ঞান হারিয়েছে।
তখনি কলিং বেল বাজলো! সবাই আয়েশার পাশে। মুহুয়া জায়নামাজে।
হাসি উঠতে চাইলো। নাদু থামালো। সে নিজেই এগিয়ে গেলো। দুলাভাইরা ই হবে। কিছুক্ষণ আগে কথা হয়েছে।
রেজাউল রুমে এসে আয়েশার মাথায় হাত রাখলো। আর কেউ না জানুক, সে জানে। রিমিকে আয়েশা কতোটুকু স্নেহ করে। সমস্যা হলো সেই স্নেহটা সে দেখাতে পারে না। রিমি তার বাবার টাকা নেয়নি। যতোদিন আয়েশার বাবা ছিলো সমস্যা হয় নি। কিন্তু যখন মারা গেলেন। কেউ আর রিমির দায়িত্ব নিতে চাইনি। আয়েশা নিয়েছে, নিঃশব্দে নিয়েছে।
আয়েশার চাকরির কোন প্রয়োজনও ছিলো না। সে চাকরি করছে একমাএ রিমির জন্য। সে কতো নিষেধ করেছে। বলেছে সে নিজে দেবে। আয়েশা শুনেনি। তার এক কথা, তার বোনের মেয়ে তার দায়িত্ব। সে অন্য কারো ঘাড়ে ফেলতে চায় না।
আয়েশা রেজাউলের হাতের উপরে হাত রাখলো। আস্তে করে বললো, — সাব্বির এসেছে?
— হুম!
— আমাকে একটু সাব্বিরের কাছে নিয়ে চলো। আর রংপুরে খবর পাঠাও। তার নানি, দাদি সবার বাড়িতে।
— রিমির ফিরে আসবে আয়েশা।
— আমি জানি। তাকে তো ফিরতেই হবে রেজাউল। এই দুনিয়াতে এসে শুধু এক বুক কষ্ট নিয়ে সে মরতে পারে না। তার ভাগের সুখটুকু যে এখনো বাকি। তাদের এজন্য জানাও, তারাও দেখুক যাকে তারা ছুঁড়ে ফেলেছে, সে কিভাবে ভাগ্যেকেও হারিয়ে দিচ্ছে।
রেজাউল দীর্ঘশ্বাস ফেললো! ফেলে উঠে যেতে যেতে বললো — তোমার যেতে হবে না। ওকে আমি নিয়ে আসছি।
আয়েশা সাব্বিরের দিকে তাকালো! এলোমেলো চুল, কুঁচকানো শার্ট, ধুলো মাখা প্যান্ট। বসে আছে নির্জীব ভাবে।
আয়েশা মৃদু হাসলো! সবাই বলে মৃত্যু ভয়ংকর। অথচো মানুষ জানে না। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা চলতে ফিরতে মানুষকে হাজার বার মৃত্যুর যন্ত্রনা দিতে পারে।
সে বড় একটা শ্বাস ফেললো! ফেলে শান্ত ভাবে বললো, — আমি আর আয়মান যমজ। হুবুহ কার্বন কপি। কোন পার্থক্য নেই। দেখতে এক রকম হলেও আমদের স্বভাব ছিলো বিপরীত। আমি শান্ত, ভদ্র, লেখাপড়াও ভালো। আর সে পড়ালেখায় তো নে ই, সাথে উগ্র, ঘ্যাড়তেড়া, মনে যা আসে তা’ই করা তার একমাত্র লক্ষ্য। কারো কথা শোনা তো ভালোই কাউকে গনায়ই ধরতো না। সে যেটা বলবে সেটাই শেষ কথা।
তিন ছেলের পরে যমজ মেয়ে, তাও পরীর মতো দেখতে । সবার চোখের মণি তারা। হাজার বড় বড় অপরাধও বাড়ির সবার কাছে ক্ষুদ্র। দেখেও যেন দেখেনা।
আমাদের দু- জনের মধ্যে চেহেরা ছাড়া কোন মিল নেই। নেই মানে কিছুই না। দু- জন সম্পূর্ণ দু- দিকের মানুষ। তবে আরেক জায়গায় এসে মিলে গেলো। আনিস! বড় ভাইয়ার বন্ধু। আমাদের বাসায় আসা যাওয়া ছিলো। দু- জনেই তার প্রেমে পড়লাম। এক সাথে দুনিয়ায় এসেছি, এক সাথে প্রেমেও পড়লাম।
দু- জন তার প্রেমে পড়লেও আনিস ভালোবাসলো আমাকে। অবশ্য তার কারণও ছিলো। আয়মান কেমন আনিস জানতো। দেখছে তো ছোট বেলা থেকে। সে আমাকে যতোটা পছন্দ করতো, ঠিক ততোটাই অপছন্দ করতো আয়মান কে। আয়মানের চালচলন, পোশাক, কথাবার্তা কিছুই সে দেখতে পারতো না। এমন কি সে সামনে পড়লে কথা পর্যন্ত বলতো না।
আমরা দু- জন দুজনকে ভালোবাসলাম। সে বাসায় প্রস্তাব রাখলো। দু- পক্ষের ই কোন সমস্যা ছিলো না। তাই বিয়ে ঠিক হতে সময় লাগলো না।
সব কিছু ঠিকঠাক। কোন সমস্যা নেই। চোখে এক সাগর স্বপ্ন নিয়ে আমাদের হলুদ শেষ হলো। কিন্তু সমস্যা হলো আমার বিয়ের দিন। আয়মান বিষ নিয়ে বাবা মায়ের রুমে গেলো। তার এক কথা, বিয়ে তার সাথে হতে হবে। তা না হলে এক্ষুণি সে বিষ খাবে। বাবা, মা কি করবেন দিশে পেলেন না। আয়মানকে তারা চিনে। সে যা বলবে তাই করবে।
তাদের তখন একটা কথাই মনে হলো। আয়মান জেদি তাকে বোঝানো যাবে না। আয়েশা তো শান্ত, কোমল, বুঝদার মেয়ে। পরে তাকে বুঝিয়ে নেওয়া যাবে। এক মেয়ের জীবন বাঁচাতে আরেক মেয়ের জীবন সেইদিন বলি দেওয়া হলো।
অবশ্য তখন আমি এসবের কিছুই জানলাম না। হাজার স্বপ্ন চোখে নিয়ে মায়ের হাতে খাবার খেলাম। খেয়ে আরামছে চোখ বুঝলাম।
আর যখন চোখ খুললাম তখন রাত। সব শেষ! পুরো বাড়ি স্তব্ধ। আমি খুব সহজেই বুঝলাম কি হয়েছে। আয়মানের জেদের কাছে ছোট বেলা থেকে আমি অনেক কিছুই হারিয়েছি। আজ নতুন না।
আমি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। কাউকে কিছু বললাম না। ব্যস চুপ হয়ে গেলাম। কাদের বললো আমি। এই বিশ্বাসঘাতক রাই আমার আপনজন। আর এই আপনজনদের ধোকায় আমি পুরো ভেঙেচুরে নিঃশেষ হলাম।
আনিসও জানলো না, প্রথমে বুঝতেও পারলো না তার সাথে কি হয়েছে। সে তো বিয়ে করেছে আয়েশাকে। সে এটা বুঝলো, তবে তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তবুও সে দমলো না। নানান ঝামেলা শুরু করলো। অবশ্য করাটা স্বভাবিক ধোকাতো তার সাথেও হয়েছে তাই না।
আয়মান তখন অনেক হাতে পায়ে ধরলো, ক্ষমা চাইলো। সে কাজের লোক হয়েও থাকতে রাজি। তবুও আনিসকে তার চাই। কিন্তু আনিস! সে আয়মানকে আগেই দেখতে পারতো না, আর এসবে আরো চোখের বিষ হয়ে গেলো। এমনকি একদিনতো গায়ে পর্যন্ত হাত তুলে ফেললো।
যেই আয়মান কারো কথা শুনতো না, কাউকে গনায় ধরতো না । সে নানান কথা, খোঁটা, তিরস্কার, মার সব সয়ে মাটি কামড়ে সেখানে থাকতে চাইলো। কিন্তু তাকে জোর করে এই বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। আনিসের এক কথা তাকে নিয়ে সংসার করা তার সম্ভব না।
আনিস আমার সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো। তবে লাভ হলো না। তখন আমি শেষ। খাওয়া, দাওয়ার ঠিক নেই। বাবা, মা ছায়াটাও দেখতে পারি না। যাকে শান্ত ভেবে বুঝ দেবে ভেবেছে তখন সে অশান্ত।
আর আয়মান। সে ফিরে তো আসলো তবে তার জন্য এ বাড়িও জাহান্নাম হলো। যেই মেয়ের জেদে সবাই হার মানতো। সে মেয়ে এখন চোখের বিষ। কেউ তাকে দেখতে পারলো না। এমন কি বাবা, মাও না। শান্ত আমি অশান্ত হলাম। আর সে পুরোপুরি নিশ্চুপ হয়ে গেলো। বাসায় যে আছে বুঝাও যেতো না। সে পড়ে থাকতো পাগলের মতো ঘরের এক কোণে। আমি পড়ে থাকতাম আরেক কোণে। তার একটা ভুল ডিসিশনে দু- জনের জীবনই জাহান্নাম হয়ে গেলে।
আমাকে সবাই আগলে রাখার চেষ্টা করতো, যত্ন করতে চাইতো, কি করলে একটু ভালো থাকবো সবাই সেই চিন্তায় অস্থির থাকতো। কিন্তু আমি কাউকেই দেখতে পারতাম না। আর আয়মান তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত ছিলো। সবার দিকে কাতর নয়নে তাকিয়ে থাকতো। আমার রুমের সামনে ঘাপটি মেরে বসে থাকতো। একটু ভালোবাসার জন্য মুখিয়ে থাকতো, কেউ তার খোঁজ খবরও নিতো না। একদিন সে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে সেটাও সবাই বুঝতে পারলো প্রায় ঘন্টা খানেক পরে।
তখনি সবাই জানতে পারলো আয়মান প্রেগন্যান্ট। সবাই একটু আশার আলো দেখলো। যদি এ বাহানায় ঘাড় থেকে এই বোঝা নামানো যায়।
আনিস দের বাড়ির সবাইকে খবর দেওয়া হলো। দু- ফ্যামিলি এক সাথে বসলো।
কিন্তু আনিসের এক কথা এই মেয়েকে নিয়ে সে সংসার করবে না। আর বাচ্চা! এটা তো জারজ। আয়মানের সাথে তার বিয়েই হয়নি। সে কবুল বলেছে আয়েশার নামে। রেজিস্ট্রি হয়েছে আয়েশার নামে। মেয়ে যদি তারা বদল করে এই দায় তার না। না এই বাচ্চার। ফেলে দিতে বলুন।
এই বাসায় কি হয় না হয়, সবই আমার কানে আসে। এই বাড়ি বা বাড়ির মানুষদের নিয়ে আমার আর কিছুই অবশিষ্ট ছিলো না। কিন্তু আনিস! এই মানুষটাকে আমি ভালোবাসতাম। তার এই ঘৃণিত রুপ আমায় আবার নতুন করে ভাঙলো। নিজের সন্তানকে সে জারজ বলছে। ছিঃ মানুষ চিনতেও মনে হয় আমি ভুল করেছি। তা না হলে নিষ্পাপ একটা শিশু। যে এখনো দুনিয়েতেই আসেনি। কি সুন্দর একটা নাম দেওয়া হলো। তবুও যার অংশ সে নিজে ই।
সেই মিটিং সেখানেই শেষ হলো। শুরু হলো বাসায় ঝামেলা। ভাইয়েরা সোজা বললেন ” এসবের মধ্যে তারা নেই। ঝামেলা তারা পাকিয়েছে তারাই যেন দেখে। ”
বাবা, মা কি করবেন। সন্তান হাজার খারাপ হোক ফেলে তো দেওয়া যায় না। তবে ঠিক করলেন বাচ্চা রাখা হবে না। আয়মানকে আবার বিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু বাচ্চার দায়িত্ব কে নেবে?
আর এতো এতো কাহিনী। এর মধ্যে একজনকে তো সবাই ভুলেই গেছে। আয়মান! যে তার ভালোবাসার জন্য বিষ খেতে পারে। তার সন্তানের জন্য সে কি করতে পারে? অনেক দিন পরে বাড়ির সবাই সেই আগের আয়মান কে দেখলো। উগ্র, জেদি, দিন দুনিয়ার পরোয়া না করা। আনিস কে বিয়ের জন্য সে হাতে বিষ নিয়েছিলে, আর তার সন্তানকে রক্ষার জন্য সে হাতে নিলো দা । মুঠো করে ধরে শান্ত ভাবে শুধু বললো, — আমার কাছে যে আসবে তার লাশ পড়বে। লাগবে না কোন আনিস কে, লাগবে না এই দুনিয়ার কাউকে। এটা আমার সন্তান। একে আমি মানুষ করবো। ও হবে শুধু আয়মানের মেয়ে।
সবাই আয়মান কে চেনে। সে যে একটা কথাও মিথ্যা বলছেনা সবাই ভালো করেই জানে । কেউ আর তাকে ঘাটালো না। সে তার মতোই থাকলো। আগে ঘরের কোণে পড়ে থাকতো। এখন নিজের জন্য সব করে। নিজের যত্ন নেয়, সময়মতো খাওয়া দাওয়া করে। সময় মতো চেকাপ, সব। আর এইসব, সব তার সন্তানের জন্য। এই সন্তানের জন্য সে শুধু নিজের সাথে না পুরো দুনিয়ার সাথে একা একা লড়াই করেছে। এলাকায় সে বেরুতেই পারতো না। সবাই নাক কুঁচকাতো, তাকে দেখে হাবিজাবি বলতে। এলাকার ছেলেরা দেখলেই খারাপ ইঙ্গিত দিতো। সব কথা, সব খোঁচা, সব সে হজম করতো চুপচাপ। অথচো ভাগ্যের কি নির্মূল পরিহাস দেখো, সেই সন্তানকে সে এক মিনিটের জন্য বুকে নিতে পারেনি। এমনকি চোখের দেখাটাও দেখেনি।
সাব্বির আয়েশার দিকে তাকালো! তার চোখে পানি চিকচিক করছে।
আয়শা সেই চিকচিক করা চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, — তারপর শুরু হলো আরেক কাহিনী! যার বাচ্চা সে নেই, কে দায়িত্ব নেবে। ভাইয়েরা আগেই মুখ ফিরিয়েছিলো। মা ও খুব একটা আগ্রহ দেখালো না। তার মেয়েই নেই অন্যের বংশের মেয়ের বোঝা তারা বইবে কেন। আবার ডাকা হলো সবাইকে। তা না হলে আইনের আশ্রয় নেবে। তারা আসলো। এসে নতুন প্রস্তাব রাখলো। আমার আর আনিসের বিয়ে। তবেই তারা রিমিকে নেবে।
আমি শুনলাম! অনেক দিন পরে আমি রুম থেকে বের হলাম। সোজা আনিসের সামনে দাঁড়ালাম। দাঁড়িয়েই তার গালে চড় বসালাম। ছিঃ এই মানুষটা কে নাকি আমি ভালো বেসেছিলাম। ছিঃ!
তারপর তাকে বললাম, —- আমার ফ্যামিলি খারাপ। তাদের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তোমার প্রতি আমার সম্মান ছিলো। সেটা আজ শেষ হলো।
সেই দিনের মিটিংও সেখানেই শেষ। তাদের এক কথা রিমির দায়িত্ব তারা নেবে না। বরং তারাই উল্টো ভয় দেখিয়ে গেলো। এক মেয়ের কথা বলে আরেক মেয়ের সাথে বিয়ে। আইনের আশ্রয় তারা নেবে।
বাবা হাল ছাড়লেন! তবে মা দমলেন না। সে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার টেম্বার এক করলেন। আবার বসলো সালিশ। সেই সালিশে দু- পক্ষকেই বিবেচনায় রাখা হলো। রিমি তার নানা বাসায়ই থাকবে তবে সব খরচ বহন করবে তার বাবা।
তার বাবা তার খরচ বহন শুরু করলেন নিজের অনিচ্ছা নিয়ে। অথচো এটা তার দায়িত্ব ছিলো। রিমি বড় হলো হেলাফেলা ভাবেই। তার একটাই দুনিয়া ছিলো সেটা তার মা। তাকে দেখলেই পুরো এলাকায় তার মায়ের গাল গল্প শুরু হতো। প্রথমে সে চুপচাপ শুনতো। কিন্তু মানুষতো! কতো সহ্য করা যায়। সেও ধীরে ধীরে তার মায়ের দ্বিতীয় রুপ হলো।
তার মা হাজার খারাপ থাক। তার মায়ের হাজার দোষ থাক। তবুও তার কাছে তার মা সেরা। তার মা নয় মাস যুদ্ধ করেছে শুধু তাকে এই পৃথিবীতে আনতে। আর সেই সেরা মাকে কেউ কিছু বলবে?
কতোজনের যে মাথা ফাটিয়েছে তার হিসেব ই নেই। তারপর এলাকার মানুষ তার ভয়ে ভুলেও আর যাই বলুক তার মায়ের নাম মুখেও আনতো না।
আমি কখনো রিমিকে কাছে ডাকিনি। আদর করিনি। তখন আমার কষ্টই আমার কাছে বড় ছিলো। তবে তুমি কি জানো? তার মায়ের পরে সে যদি কাউকে সম্মান করে সেটা আমি। মুখে, উপরে যতোই না দেখার ভান করুক। আমি জানি! আমার ভেতরে যতোটুকু টান তার জন্য, তার দশগুন টান তার আমার জন্য।
মেয়েটা ছোট বেলা থেকে আমার আশে পাশে ঘুরতো। একটু আদরের জন্য মুখিয়ে থাকতো। তার মায়ের কার্বন কপি আমি। একটু জড়িয়ে ধরতে চাইতো। আমি কখনো তাকে সেই সুযোগ দেইনি।
এখন কি মনে হয় জানো? না দিয়েই ভালো হয়েছে। যদি দিতাম সে আমার মতো হতো। দেইনি বলেই সে আয়মানের মেয়ে। আয়মান যেমন সব পারতো, আয়মানের মেয়েও সব পারবে। চিন্তা করোনা! সে ফিরে আসবে। আসতে তাকে হবে। এবার আসলে তাকে আমি কোথাও যেতে দেবো না। কোথাও না।
চলবে…..