আবার প্রেম হোক পর্ব-০৩

0
294

#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম

০৩.
এক পা পাকার উপর উঠিয়ে অপর পায়ের হাটু ভাজ করে দেয়ালের দিকে হেলান দিয়ে চোখজোড়া বুজে রেখেছে প্রণয়।শরীরের প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যথায় টনটন করছে তার।পিঠেও কাটাছে!ড়া আছে তবুও হেলান দিয়ে মনের যন্ত্রণার উপশম করছে সে।আর মাত্র দুইদিন।দুইদিন পর এই ধরণীজুড়ে আর শ্বাস নেওয়া হবেনা তার।তার প্রিয় মানবীর প্রিয় বিড়ালাক্ষীজোড়া দ্বারা আর সেই নারীকে দেখা হবেনা।দেখা হবেনা তার গর্ভধারিণী মা এবং তারই অংশের সৃষ্টি অনাগত সন্তানকেও।না পারবে তার প্রাণের চেয়েও অত্যাধিক প্রিয় বন্ধুকে শেষবারের ন্যায় দেখতে।সে তো জানতো এমন কিছুর পরিণতি ঠিক এমনটাই হবে তবে আজ কেনো এত কষ্ট হচ্ছে?কেনোই বা হৃদযন্ত্রটা বেদনায় ভরে উঠছে?তার ভাগ্যই কেনো এমন হলো?খুব বেশি পাপ কি সে করেছিলো?যার বদৌলতে আজ তার এই পরিণতি?পাপের বোঝাটা কি এতটাই ভারী?বিধাতা কি তার হৃদয়ের ব্যথাগুলোর খোঁজ রাখেন না?তিনি কি হাশরের ময়দানে আবারও এক করবেন দুজনকে?প্রণয় আর চাঁদের কি আবারও প্রেম হবে?যার সাক্ষী হবে গোটা পৃথিবী?হবে কি তাদের প্রেম?প্রেমে কি মজবে তারা ফের?কোনো উত্তর মেলে না প্রণয়ের।বুক চি!ড়ে বেরিয়ে আসতে চায় দীর্ঘশ্বাস।তবে সে পারেনা সেই শ্বাসটুকুও ফেলতে।বেশ কষ্ট হয় ঠোট নাড়তে।সেই সঙ্গে বামপাশের চোখও ভীষণ ব্যথিত।কিয়ৎক্ষণ বাদে সমুদ্রের কন্ঠস্বর পেয়ে চোখজোড়া খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে।কিছুতেই খোলা যাচ্ছে না।চোখ খিচে রয়েছে।বাম পাশের চোখের দিকে কপালসহ অর্ধেকাংশের বেশি রক্ত জমাট বেঁধে আছে।ঠোটজোড়ায়ও র*ক্ত শুকিয়ে লেগে আছে।গাল ফেটে যেই র*ক্তসমূহ বের হয়েছিলো সেগুলোও শুকিয়ে গালেই রয়ে গিয়েছে।প্রণয়ের বামপাশে গিয়ে বসে সমুদ্র।আর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে অরণ।বেশ করুন চাহনী প্রণয়ের পানে নিক্ষেপ করে বন্ধুকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সে।কতটা নি!র্মমতা তার বন্ধুকে গ্রাস করেছে সে চোখে দেখেই সহ্য করতে পারছেনা প্রণয় কী করে সেসব গ্রহণ করেছে?ছেলেটার বুকের কাছে ছু!ড়িকাঘাতে শার্ট চেড়া,বাহুর দিকেও একই জখম সঙ্গে র*ক্তে পরিপূর্ণ।কপাল ফে!টে সেখানেও জখম।একদমই তাকানো যাচ্ছেনা তার দিকে।চোখ খানিক জ্বলছে অরণের।কেনো জ্বলছে?বন্ধুর নি!র্মম দশা মেনে নিতে বেশ কষ্টই হচ্ছে তার।তবুও সে তাকিয়ে আছে,তাকিয়ে আছে প্রণয়ের মুখশ্রীপানে।সুন্দর গড়নের শুভ্ররঙা মুখশ্রীর এ কী দশা?ইশ!যতবার সে পানে তাকিয়েছে ঠিক ততবার কেউ যেনো বুকের ভেতরে থাকা হৃদযন্ত্রটা খা!মচে ধরেছে অরণের।অতঃপর ভগ্ন হৃদয় নিয়েই বেশ করুন কন্ঠে সে ডেকে উঠে,

“প্রণয়!”

অতঃপর প্রণয়ের কাধের দিকে আলতোভাবে হাত রেখে ফের ডাকে,

“প্রণয়?”

হঠাৎ করেই প্রণয়ের হৃদস্পন্দন তীব্র হয়।বছর সাতেক পর ফের সেই হৃদয় শীতলীকরণ কন্ঠস্বর কানে পৌঁছাতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা বাড়ে তার।বক্ষপিঞ্জর বারংবার উঠানামা করে।অতি পরিচিত স্পর্শ বাহুর কাছে পেতেই চোখ খোলার ব্যর্থ চেষ্টা করে প্রণয়।তবে সে বরাবরই ব্যর্থ।খানিক নড়ে চড়ে ভালো করে বসতে গিয়েও দাঁত খিচে ধরে সে।অতঃপর বেশ কষ্ট নিয়েই ঠোটজোড়ার মাঝে কিঞ্চিৎ ফাক করে উচ্চারণ করে,

“অর……অরণ!”

বলে সঙ্গে সঙ্গে ঠোটজোড়া চেপে ধরে নিজের।ফের র*ক্ত গড়াচ্ছে সেখান হতে।এবারে অরণ দ্রুত গতিতে পকেট থেকে রুমাল বের করে প্রণয়ের ঠোট মুছতে ব্যস্ত হয় আর ইশারায় সমুদ্রকে বলে পানি নিয়ে আসতে।সমুদ্রও ঠিক তাই করে।আর প্রণয় চেষ্টা করে অরণকে ধরতে চাওয়ার তবে অরণই তাকে বাঁধা দিয়ে বলে,

“একটু সবুর কর।দেখতে পাবি আমায়,সচক্ষেই পাবি”

অরণের কথা শুনে লম্বা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে দেয়ালে খানিক শব্দ করেই হেলান দেয় প্রণয়।তবে পিঠে মৃদু ব্যথাও পায় সে।দাঁত আর চোখ খিচতেই অরণের প্রশ্ন,

“কী হয়েছে?ব্যথা পেয়েছিস?”

প্রণয় তার বাম পাশের ঠোট কিঞ্চিৎ বাকিয়ে মাথা ডানে বায়ে করে।যা দেখে অরণের হৃদয় কেপে উঠে!যেই নজরকাড়া হাসি এক পলক দেখার সৌভাগ্য কারো জুটে না,একবার যে দেখেছে কস্মিনকালেও যার পক্ষে ভোলা সম্ভব না।যেই হাসির প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়েছে চাঁদের ন্যায় পড়াকু নারীসহ তার নিজের বোন পর্যন্ত।সেই হাসিই আজ এতটা হৃদয় বিদারক এবং ভয়ানক কেনো দেখাচ্ছে?গলার কাছে শ্বাস এসে আটকে রয়েছে অরণের।খানিক বাদে সমুদ্র এক গ্লাস পানি আনতেই অরণ তার রুমাল তাতে ভিজিয়ে প্রণয়ের সামনে হাটুগেরে বসে ভেজা রুমাল দিয়ে প্রণয়ের মুখজুড়ে শুকিয়ে থাকা সমস্ত র*ক্ত বেশ ধীরসহিত মুছতে আরম্ভ করে।অতঃপর সমুদ্রকে হাজতে থাকা ফার্স্ট এইড আনতে বলে প্রণয়ের শরীরের বিভিন্ন কাটাছে!ড়া স্থানের ড্রেসিং করে অরণ।শেষের দিকে প্রণয়ের চোখে পানির ঝাপটা মারতেই বেশ অসহায় মিশ্রিত কন্ঠস্বরে ‘উহ’ শব্দ উচ্চারিত করে প্রণয়।অরণের কাছ থেকে পানির গ্লাস নিয়ে নিজেই নিজের চোখে হালকা করে পানি দিয়ে ধীরস্থিরভাবে চোখজোড়া খুলতে আরম্ভ করে সে।অতঃপর তার বিড়ালাক্ষীজোড়ার সামনে ভেসে উঠে অরণের চিন্তিত মুখশ্রী।চোখজোড়া শীতল হয় প্রণয়ের।কপালের কুচকানো ভাব মুছে যায় অরণেরও।দুই বন্ধু একে অপরের দিকে তাকাতে তাকাতেই পার করে মিনিট পাচেকের ন্যায় সময়।অতঃপর লম্বা শ্বাস ফেলে বেশ দ্রুত গতিতেই একে অপরকে আলিঙ্গন করে তারা।যদিও প্রণয় মৃদু ব্যথা পায় তবুও সেসবে তোয়াক্কা না করে অরণকে জাপটে ধরে বলে,

“আমা…..আমায় মাফ কর….”

“হিশ!তোকে মাফ করার প্রশ্নই আসেনা।আমায় ছাড়া বিয়েতো করেছিসই বাচ্চা পর্যন্ত করে ফেলেছিস।শেম অন ইউ!”

এবারে প্রণয় খানিক উচ্চশব্দ হেসে উঠে বলে,

“হোয়াট কাইন্ডা শেম ইজ দিজ অরণ?বাচ্চা করেছি এতে করে উল্টা বোঝা গেলো আমি আসল পুরুষ”

বলে আরও একবার হাসিতে মত্ত হলো প্রণয়।প্রণয়ের হাসি শুনে অরণ তার পিঠে হালকা চাপড় মেরে বলে,

“এত হাসিস না!কাটা ঘায়ে ব্যথা করবে”

“আর তুই যে পিঠের ঘায়ে আ!ঘা!ত দিলি?”

বলতে না বলতেই অরণ প্রণয়কে ছেড়ে দিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে,

“ঠিক আছিস?ঠিক আছিস তুই?দেখি?দেখি পিঠ?”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চোখে চশমা পরে মুখে রুমাল বেঁধে অনিন্দ্য ঘোষের বাড়ির সামনে এসে হাজির হয় প্রণয়।অতঃপর আড়ালে লুকায় সে।কিয়ৎক্ষণ বাদে সেখানে মাহতিম এসে উপস্থিত হলে সে পানে তাকিয়ে থাকে প্রণয়।আর অনিন্দ্য ঘোষ এসে দরজা খুলেই বলে,

“মাহতিম তুমি?”

“হ্যা তুমিই তো…… ”

মাহতিমের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই অনিন্দ্য ঘোষ বলে,

“আচ্ছা এসো”

মাহতিম ঢুকতে গেলেই পেছনে প্রণয় এসে তার কাধের দিকে ইঞ্জেকশন পুশ করে অনিন্দ্য ঘোষের উপর ফেলে দেয় তাকে।অতঃপর তৎক্ষণাৎ ভেতরে ঢুকে এক হাতের ছু!ড়ি দ্বারা বুকের উপরের দিকে আ!ঘা!ত করে অপর হাত দ্বারা অনিন্দ্য ঘোষের ডান হাতের কনুই হতে নিয়ে কব্জি অব্দি লম্বাটেভাবে ছু!ড়ি দ্বারা টেনে ধরতেই উচ্চশব্দে আর্ত!না!দ করে উঠে অনিন্দ্য ঘোষ।আর মিনিট দুয়েকের মাঝেই ঢলে পড়ে মাহতিমও।প্রণয় ঠোট বাকিয়ে অনিন্দ্য ঘোষের দুই হাত ধরে পেছন দিকে নিয়ে হাত বেঁ!ধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দু’জনকেই দু’টো বস্তায় ভরতে আরম্ভ করে।অনিন্দ্য ঘোষের বস্তার মুখ লাগানোর পূর্বে তার ঘাড়ের কাছেও ইঞ্জেকশন পুশ করে প্রণয়।পরিশেষে এক ভ্যানচালককে ডাকিয়ে তাতে বস্তা দু’টো উঠিয়ে নিজেও উঠে বসে সেথায়।গন্তব্য শহীদুল্লাহ হল।

মাহতিম আর অনিন্দ্য ঘোষকে কাশেম বাবুর্চির পাশে ফেলে ফের হাটা ধরে প্রণয়।উদ্দেশ্য সেই বয়স্ক মহিলাকে ধরা যার দরুন চাঁদ ছোটার চেষ্টাটুকু পর্যন্ত করতে পারেনি।অনিন্দ্য ঘোষের ফোন থেকে মহিলাটির নাম্বার নিয়ে তার লোকেশন ট্রেস করতেই কপাল সামান্য কুচকায় প্রণয়ের।তার লোকেশন অধিরাজ শেখের বাড়িতে দেখেই মূলত প্রণয়ের বিষয়টা খটকা লাগে।তাই সে আহিনের নম্বরে ডায়াল করে তার সঙ্গেই আহিনের বাড়ি যেতে চায়।আকস্মিক প্রণয়ের আবদারে খানিক ভড়কালেও প্রণয়ের থেকে সময় নিয়ে প্রণয়কে নিজ বাড়িতে রেখে কিছুক্ষণ বসতে বলে নিজের অফিসে চলে আসে সে।তবে তার জানা ছিলোনা প্রণয়ের হৃদয়ে লুক্কায়িত নি!র্মমতার কথাসমূহ।জানলে কি সে প্রণয়কে বাঁধা দিতো?নাকি তাকে সমর্থন করতো?জানা নেই প্রণয়ের।আহিনের স্ত্রীর সাথে কথা বলে তাকে কফি বানানোর অনুরোধ করে কিয়ৎক্ষণ বাদেই তার পিছু গিয়ে ঘাড়ের কাছে ইঞ্জেকশন পুশ করে সাথে সাথে সরে আসে প্রণয়।আর আহিনের স্ত্রী মিনিট পাঁচেকের মাঝেই মাথা ঘুরিয়ে ফ্লোরে পড়ে থাকে।প্রণয় অতি সাবধানতার সহিত অধিরাজ শেখের রুমে গিয়ে নক করতেই বেশ বিরক্ত হয় অধিরাজ শেখ।সে কিঞ্চিৎ বিরক্তি নিয়েই বলে,

“কে?হু ডিস্টার্বস মি?সময়-গময় পাও না নাকি?”

প্রণয় কোনোকিছু না বলে কেবলই দরজায় কড়া নাড়ে।অধিরাজ শেখ বেশ বিরক্তি নিয়েই দরজা খুলে এদিক সেদিক তাকায়।তবে ডান পাশে তাকানোর পূর্বেই প্রণয় তার পেটের ডানপাশ বরাবর ছু!ড়ি বসিয়ে মৃদু ঠোট বাকিয়ে তাকে ধাক্কা দিতেই ফ্লোরে গিয়ে পড়ে অধিরাজ শেখ।অতঃপর প্রণয় দরজা আটকিয়ে পেছন ঘুরতে গেলেই তার বাম বাহুতে ছু!ড়ি দ্বারা আ!ঘা!ত করে অধিরাজ শেখ।প্রণয় দাঁত খিচে অধিরাজ শেখের পানে তাকায়।অতঃপর গম্ভীরভাবে বলে,

“আমার বন্ধু আর ওয়াইফের সাথে নির্ম!মতা তো বেশ দেখিয়েছিস।আমার সাথে কতদূর পারবি?সাবেক মেয়র অধিরাজ শেখ?নাকি বলবো পতিতালয়ের রাজা অধিরাজ মোহাম্মদ শেখ?”

বলেই অধিরাজ শেখের দিকে যেতে নিলে অধিরাজ শেখ ফের ছুড়ি তাক করে প্রণয়ের দিকে।আর প্রণয় চোখের চশমা ফ্লোরে ছুড়ে উচ্চশব্দে হেসে উঠে।অতঃপর বলে,

“সিরিয়াসলি মিস্টার অধিরাজ?’রাজ ভিলা’ র রাজা অধিরাজ মোহাম্মদ?এই সামান্য ছুড়ি দেখিয়ে আমায় ভয় দেখাবেন আপনি?আই মিন রিয়েলি?প্রাণের ভয় থাকলে আজ এখানে অবশ্যই থাকতাম না।আর না আমার দেয়া আ!ঘা!ত থাকতো আপনার শরীরে।দেখুনতো কীভাবে র*ক্ত গড়াচ্ছে।মনে আছে?এভাবেই!ঠিক এভাবেই আমার বন্ধুর গায়েও র*ক্তের ছড়াছড়ি ছিলো।আর আমার বউয়ের সাথে যা করেছিস তোকে আমি এমনি এমনি ছেড়ে দেবো ভেবেছিস?ইহিম!তোর মৃ!ত্যু হবে অতি হৃদয় বিদারক।যা দেখলে রাস্তাঘাটের প*শুরা পর্যন্ত শিউরে উঠবে।অ্যান্ড আই মিন ইট!”

উচ্চশব্দে হেসে অধিরাজ শেখ বলে,

“আর সেই মৃ!ত্যু কে দেবে?তুই?তোর সেই সাহসী বউই তো পারলোনা আমার রহস্যের সবচাইতে বড় হাতিয়ার উদঘাটিত কর‍তে।না পেরেছিলো তোর বন্ধু আর না পারবি আমার তুই কিছু করতে”

ঠোট খানিক বাকিয়ে আয়রন করা শার্টের ভেতর লুকানো কাচি বের করতে করতে প্রণয় বলে,

“তুই নিশ্চয়ই ভুলে যাচ্ছিস আমি প্রণয়।ডক্টর রুহায়ের প্রণয়!নর চাঁদ নেইদার অরণ।সো ইউ হ্যাভ টু ফেস মি!চাঁদের একমাত্র স্বামী রুহায়ের প্রণয়।প্রণয়ের সাথে বেশ লম্বা বোঝাপড়া তোর করতে হবে।অবশ্যই করতে হবে”

প্রণয়ের কথা শুনে ফের হাসতে হাসতে অধিরাজ শেখ বলে,

“বারবার যেই চাঁদের নাম জপছিস সে তো আমার খাওয়া মা*ল!আমার এঁটো খাবার তোর মুখে লেগেছে আর সেটা নিয়েই এত বড়াই?”

“কু*ত্তার বাচ্চা!”

বেশ উচ্চশব্দেই চেচিয়ে তৎক্ষণাৎ দৌড়ে আসে প্রণয় অধিরাজ শেখের দিকে।অতঃপর ঠিক তার গলার কাছে ঘাড় বরাবর হাতে থাকা কাচি দ্বারা সর্বশক্তি দিয়ে টান মে!রে ঠিক তার মুখ বরাবর থুতু নিক্ষেপ করে বলে,

“ইউ ব্লা!ডি বিচ!”

To be continued…..

#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম

০৩.(বর্ধিতাংশ)
অধিরাজ শেখের ঘাড় বরাবর কা*চি দিয়ে টা!ন দিতেই গলগলিয়ে র*ক্তে তার উদোম শরীর লালচে বর্ণে পরিপূর্ণ হয়।সে চিৎকার দেয়ার পূর্বেই প্রণয় তার মুখ চে!পে ধরে বলে,

“আবার বল!আবার বল যা বলছিলি”

প্রণয়ের সাথে ধস্তাধস্তি করে না পেরে পরিশেষে ছুড়ি দ্বারা প্রণয়ের অপর বাহুতে ফের আ!ঘা!ত করে অধিরাজ শেখ।ব্যথায় চোখমুখ কুচকে প্রণয় তাকে ছেড়ে দিতেই অধিরাজ শেখ তার ঘাড়ের কা!টা স্থানে হাত দিয়েই চেপে ধরে চেচিয়ে উঠে,

“এই বে!শ্যা মা* উঠে আয়।এই কু*ত্তার বাচ্চাটাকে ধর!ধর বলছি”

অধিরাজ শেখের কথা শুনে আশেপাশে তাকাতেই প্রণয় দেখতে পায় বিছানার চাদর গায়ে জড়িয়েই নিচে নামছে সেদিনের সেই মহিলাটি।তৎক্ষনাৎ গা ঘিনঘিন করে উঠলো প্রণয়ের।সে সঙ্গে সঙ্গেই অধিরাজ শেখের পানে চেয়ে বললো,

“স্বভাব পাল্টালো না আর না পাল্টালি তুই!”

বলে ফের অধিরাজ শেখের কাছে যেতে নিলেই মহিলাটি চাদর ফেলেই দৌড়ে আসে তাদের দু’জনের পানে।তৎক্ষনাৎ প্রণয় তার চোখজোড়া বন্ধ করে বলে,

“ছিহ!”

অতঃপর এক হাতে কা*চি অপরহাতের ছু*ড়ি দুইজনের দিকে তাক করে চোখ বন্ধবস্থায়ই বলে,

“এই মহিলাকে কিছু পরতে বলুন মিস্টার শেখ!গা ঘিনঘিন করছে আমার”

প্রণয়ের কথা যেনো হাস্যকর ঠেকলো অধিরাজ শেখের নিকট।সে বিদঘুটে হেসে বললো,

“সিরিয়াসলি?এত সাধু সাজছিস কেনো?নাকি তোর বউ তোকে কাছে যেতে দেয়নি?নিজের বউকে কখনো এই দশায় দেখেছিসও?আমি কিন্তু দেখেছি প্রণয়।তোর বউ আসলেই এক…..”

অধিরাজ শেখের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই প্রণয় অধিরাজ শেখের নিকট হিংস্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এগুতে নিলেই মহিলাটি এগিয়ে আসতে চায়।তবে এবারে প্রণয় তার তোয়াক্কা করেনা।মহিলাটির পানে না তাকিয়ে ডান হাতে থাকা কা*চি দ্বারা সজোরে গায়ে বসাতে গেলেই ঠিক মহিলাটির বাহু বরাবর টান লেগে মাটিতে ছিটকে পরে সে।আর প্রণয় সেই কা*চি নিয়েই অধিরাজ শেখের গলার কাছে গিয়ে তা ধরে অপর হাতের ছু*ড়ি কব্জির উপরে ক্যাচ করে ঢুকিয়ে দিয়ে তার পিছু দাঁড়িয়ে হিংস্রভাবেই বলে,

“তুই জানিস না?জানিস না আমার চাঁদের নামে একটা বাজে কথাও আমার চিত্তে যায়না?”

“যেই চাঁ……”

অধিরাজ শেখের আওয়াজ কানে আসতেই প্রণয় তার হাতে থাকা কা*চি অধিরাজ শেখের গলার কাছে আরেকটু চে!পে ধরে বলে,

“চুপ!একদম চুপ!”

অতঃপর আবারও বলে,

“এই মহিলাকে বল কাপড় পরতে আদারওয়াইজ এক্ষুনি তোর জা*ন আমি নিয়ে নেবো কসম!কসম আমার সৃষ্টিকর্তার!”

প্রণয়ের কথা মোতাবেক তাই করলো মহিলাটি।অতঃপর অধিরাজ শেখকে সেখানে ফেলেই দরজা খুলে পালাতে গেলে অধিরাজ শেখ চেচিয়ে বলে,

“কোথায় যাচ্ছো তুমি?আমায় এর থেকে…..”

প্রণয় তাচ্ছিল্যমিশ্রিত সুরে বলে,

“কেউ তোর সাথে থাকবেনা।সবারই জানের মায়া আছে”

ততক্ষণে মহিলাটি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেছে আর প্রণয় তার হাটু দ্বারা অধিরাজ শেখের কোমড়ে আলতো গুতো দিয়ে বলে,

“চল।বের হ।পিছু নে তার।যদি হাত থেকে ছুটেছে তোকে তখনই শেষ করে দেবো।কোনো চালাকি করবিনা,হাট”

কথাগুলো বলতে বলতেই অধিরাজ শেখের অগোচরে তার ঘাড়ে ইঞ্জেকশন পুশ করে প্রণয়।অতঃপর তাকে ঠেলেঠুলে বাইরে এনে সিড়ি ভেঙে নিচে নামতে নামতেই ঢলে পড়ে অধিরাজ শেখ প্রণয়ের বুকের দিকে।প্রণয়ও গলা থেকে কা*চি নামিয়ে তার পিঠের কাছে লুকানো বস্তা খুলে তাতে অধিরাজ শেখকে ভরে বেশ সাবধানে টানতে টানতে আহিনের বাড়ির গোপন দরজার কাছে আনে।অতঃপর জানালা দিয়ে তাকে বাইরে ফেলে নিজেও সেখান থেকে বের হয়ে আশেপাশে নজর বুলায়।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চাঁদ মিরার সাথে কথা বলতে বলতেই হলরুমে যাচ্ছিলো।এমনি সময় পূর্ণতা তাকে ডেকে তার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে অপরাধীর সুরে বলে,

“আই আম সরি চাঁদ!আমি আসলে বুঝতে পারিনি তোমায়।হয়তোবা কখনো চেষ্টাই করিনি বোঝার।আমায় তুমি প্লিজ মাফ……”

“ছি আপু এসব বলেনা।তুমি মিরাপু,রিহাপুর মতোই আমার বড় বোন।আমি তোমায়ও ভালোবাসি,স্নেহ করি।আমি মনে কিছু নেইনি,ভেবোনা সেসব”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে পূর্ণতা বলে,

“তুমি সত্যিই অনন্য।এজন্যই হয়তো প্রণয় কেবল তোমায়ই ভালোবাসে”

মিরা কপাল কিঞ্চিৎ কুচকে বলে,

“তুই আবারও সেসব নিয়ে?”

পূর্ণতা মিরাকে জবাব দেয়,

“না দোস্ত।এখন আমি বুঝি,সবটাই বুঝি।ওরা একে অপরের পরিপূরক।ওদের মাঝে কেউই কখনো আসতে পারেনি,পারবেওনা”

চাঁদ গম্ভীরভাবে বলে,

“কে বলেছে পারেনি পূর্ণপু?পেরেছিলো,অবশ্যই পেরেছিলো।তবে তা কে ছিলো আজও জানিনা আমরা।সেসব ছাড়ো।তোমরা আপাতত অরণ আর প্রণয়কে নিয়ে ভাবো।আমি কোনোক্রমেই প্রণয়ের কিছু হতে দিতে পারিনা”

মিরার প্রশ্ন,

“কিন্তু দুইদিনে কী করতে পারবো আমরা চাঁদ?আদোতে কিছু করা যাবেও?”

পূর্ণতা বলে,

“তুমি প্রেগন্যান্ট চাঁদ।এত টেনশন নেওয়া ঠিক হবেনা তোমার।আমি আর রিহা যেহেতু গাইনী বিভাগের তাই তুমি আপাতত আমাদের আন্ডারেই থাকো।প্রণয়ের তো শত্রু কম না।নিশ্চয়ই তারা চাইবে প্রণয়ের প্রিয়জনদের ক্ষ*তি হোক।আর তুমি আমার বন্ধুর জন্য কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আমি জানি,আমরা জানি।এখনতো আরেকজন আসছে।তোমার ক্ষ*তি কোনক্রমেই আমরা হতে দিতে পারিনা।তুমি চলো তোমার এখন চেকাপ প্রয়োজন।যেভাবে সেদিন দৌড়িয়েছো তাছাড়া খাবার-দাবার খাচ্ছোনা বাচ্চার যদি কোনো ক্ষ*তি হয় তোমায় আমরা আস্ত রাখবোনা মনে রেখো!এখন চলো রিহার চেম্বারে যাবো।চল মিরু”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে ধরণীতে।চারিদিকে লোকজনের সমাগম বেশ কমই বলা চলে।আর শহীদুল্লাহ হলের দিকটায় এ সময় মানুষের যাতায়াত থাকেই না প্রায়।সন্ধ্যার আবছা আলোতে কেবল দু’জন মানুষের অবয়ব দেখা যাচ্ছে।একজনের পিছু অপরজন দৌড়াচ্ছে হয়তোবা।পায়ের পদধ্বনি ক্রমাগত বাড়ছে।ধুপধাপ!ধুপধাপ!অতঃপর আরও জোড়ালো হলো তা।খানিক বাদে একজোড়া পা থেমে গেলো।আরেকজোড়া কেবলই ছুটে চলেছে।ঠিক এমতাবস্থায় দূর হতে তার পিঠ বরাবর এক ছু!ড়ি এসে বিঁধতেই মহিলাটি আ!র্তনা!দ করে রাস্তায় বসে পড়লো।দাঁত খিচে ফের উঠার পূর্বেই তার চু*লের মুঠি ধরে তাকে উঠিয়ে হিংস্র কন্ঠে প্রণয় বললো,

“একজন নারী হয়ে যখন আরেক নারীর স!র্বনাশে তৎপর ছিলেন তখন তারও আপনার ন্যায় প্রাণের ভয় হয়তোবা হয়েছিলো।তবে জানেন?তার তুলনায়ও অধিক ভয় তার সম্ভ্রম নিয়ে হচ্ছিলো?”

মহিলাটি হাত জোর করার ভঙ্গিমায় প্রণয়ের পা ধরতে নিলেই প্রণয় দূরে সরে গিয়ে চুল ছেড়ে তার গলা চে!পে ধরে দেয়ালের সাথে তাকে মিশিয়ে বলে,

“ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মি উইথ ইওর ব্লা!ডি হ্যান্ডস” [খবরদার!আপনার সেই নোংরা হাতে আমাকে ধরার চেষ্টাটুকু পর্যন্ত করবেন না]

মহিলাটি বেশ করুন কন্ঠে বলে,

“বাবারে!আমায় মাফ করে দাও।আমায় তুমি মে*রো না।তোমার বউকেতো আমি মা*রিনি বাবা”

“ওহ জাস্ট শাট আপ!আমি জানতে চাইনি আমার স্ত্রীকে আপনি কী কী করেননি!আমি কেবল এইটুকু জানি তার সাথে এবং অহরহ নারীর সঙ্গে আপনি কী কী করেছেন।তার প্রাপ্যটুকু কি আপনি পাওনা নন?অবশ্যই পাওনা!এবং পাবেনও”

অতঃপর পকেট থেকে একটু বড়মাপের মোটা আলপিন বের করে আকস্মিক মহিলার ডান হাতের তা*লু বরাবর ঢু!কিয়ে দেয়ালের সাথে এঁটে দিতেই গগনবিদারী চিৎকার দেয় সে।আর প্রণয় মৃদু ঠোট বাকিয়ে ডান হাতে ছু*ড়ি নিয়ে বাম হাত দ্বারা মহিলাটির অপর হাত ধরে রেখে ছু!ড়ি ঘুরাতে ঘুরাতে বলে,

“কী বলেন?শুরুটা আপনাকে দিয়েই করি নাহয়?”

মহিলাটি চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বেশ শব্দ করেই কাদতে কাদতে বলে,

“আমা…..আমাকে দয়া করে মে*রোনা।ছাড়ো!রহম করো”

র*ক্তিম দৃষ্টি মহিলার পানে দিয়ে হাতের ছু*ড়িটি মহিলার মুখ বরাবর তাক করে প্রণয় বলে,

“আপনারা করেছিলেন?করেছিলেন রহম আমার স্ত্রীকে?কত দোহাই সে দিয়েছিলো।একটাও শুনেছিলেন আপনারা?কতটা বেরহম তার প্রতি হয়েছিলেন মনে আছে?আছেতো?আজ থেকে সেই সাত বছর আগের কথা?এখানেই!এই রাস্তাজুড়েইতো আপনাদের কলঙ্কের সেই সন্ধ্যা নামে।দেখুন!আজও সন্ধ্যা।সেই সন্ধ্যাই!আজও গগণ রক্তিম।প্রকৃতি আজও এক নি!র্মম খেলা দেখবে।যার ত্রাসত্ব চালাবো আমি!দেখবেন আপনিও।আচ্ছা বলুনতো?শুরুটা কীভাবে করবো?”

বলেই মহিলার বাম হাতের তালুতেও সেই কিল দেয়ালের সাথে জুড়ে দেয় প্রণয়।মহিলাটি ফের আ!র্ত!নাদ করে।আর প্রণয় ঠোট বাকিয়ে ডান হাত দেয়াল থেকে টেনে তুলতেই মহিলাটি আরও একবার চিৎকার করতে বাধ্য হয়।প্রতিটা চিৎকারে প্রণয়ের হৃদয় শীতল হয় যেনো।সেই শীতল হৃদয়কে আরেকটু শীতল করতে প্রণয় মহিলাটির ক্ষ*ত ডান হাতের পাঁচ আঙুল ধরে নিজের সামনে রেখে বলে,

“এই হাত দিয়েই তাকে আপনি সর্বশক্তি দিয়ে ধরে রেখেছিলেন তার গায়ে কলঙ্কের তোকমা লাগাতে?তবে আপনি কি জানেন?আমার চন্দ্রের গায়ে কোনো কলঙ্ক নেই!কোনো কলঙ্কই নেই।সে পবিত্র আত্মার অধিকারী অতি পবিত্র এক নারী!আমার চন্দ্রময়ী!”

বলেই এপ্রোণের পকেটে রাখা কা*চি বের করে র*ক্তচক্ষু নিয়ে মহিলাটির কব্জি বরাবর একবারই আ!ঘা!ত করে প্রণয়।এবং একবারেই তার হাতের ক!ব্জি বাহু থেকে আলাদা হয়ে প্রণয়ের হাতেই রয়ে যায়।আর র*ক্তের নদীতে ভাসতে আরম্ভ করে পাকা সেই বুয়েট সড়ক!মহিলাটির গগণবিদারী চিৎকারে গাছে গাছে থাকা পাখিরা আকাশে উড়ে দ্রুতগতিতে ডানা ঝাপটাতে আরম্ভ করে।আর প্রণয় তার হাতে থাকা মহিলাটির ক!ব্জি দূরে ছুড়ে ফেলে অপর হাত দেয়াল থেকে টানতেই মহিলাটি ফের চিৎকার করে বলে,

“আল্লাহর দোহাই লাগে আমার জীবন ভিক্ষা দাও প্রণয়!তুমিতো ডাক্তার।ডাক্তারদের তো ধর্ম-কর্ম সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করা।আমায় এবারের মতো ছেড়ে দাও বা…..বাবা”

প্রণয় ঘাড় নিচু রেখেই মহিলাটির পানে বাকা চোখে চেয়ে বলে,

“আল্লাহর দোহাই আমার চাঁদও দিয়েছিলো আন্টি!কই?তখনতো আপনার নারীসত্ত্বা জাগ্রত হলোনা।আজ মনুষ্যত্ব কী করে জেগে উঠলো?নাকি নিজের প্রাণ বলে দুনিয়ার যত যুক্তি মনে পড়ছে এখন?ধর্মের কথা বললেন তো?তো আমার সর্বপ্রথম ধর্ম আমার স্ত্রীকে রক্ষা করা যা আমি পারিনি।আর রক্ষা করতে পারিনি বলেই যে তাকে দুঃখের সাগরে যারা ভাসিয়েছে,আমার থেকে দূরে যারা তাকে করেছে তাদেরও ছেড়ে দেবো এমনটা নয়।তাদের সকলের র*ক্তে গোসল না করা অব্দি প্রণয়ের হৃদয় শীতল হবেনা!হবেনা!আর প্রাণতো আমি মানুষের বাঁচাই।আপনারাতো প*শুর চেয়েও অধম!নিজেদের মানুষ বলে দাবিও করেন কী করে?”

বলে আর এক মুহুর্ত দেরি না করে মহিলাটির অপর হাতের ক!ব্জিও একইভাবে ফেলে দেয় প্রণয়।অতঃপর তার মুখ চে!পে ধরে কা*চিটি দিয়েই তার গলা উঁচু করে গলার মাঝ বরাবর বেশ শক্তি প্রয়োগ করেই টা!ন দেয়।তৎক্ষণাৎ গলার শিরা উপশিরা কে*টে পিচকারির ন্যায় র*ক্ত ছুটে প্রণয়ের সারামুখ এবং শার্ট এপ্রোণের আশেপাশে ছিটে যায়।অতঃপর প্যান্টের পকেট থেকে স্কচটেপ বের করে মহিলাটির মুখে তা লাগিয়ে দিয়ে সেভাবেই তাকে গলাকা!টা মুরগির ন্যায় ছটফটিয়ে মৃ!ত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য ছেড়ে আসে।তাকে ছেড়ে খানিক দূরে গিয়ে এক বস্তা ডান হাত দ্বারা টানতে টানতে সামনে এগোয় প্রণয়।ফের সেদিনের ন্যায় এপ্রোণ তার বাতাসে উড়ছে।চোখে আছে প্রতিশোধের ঝলকানি,কিছু তিক্ত ব্যথা আর বেশ তৃপ্তির হাসি।প্রণয়ের বিড়ালাক্ষীজোড়া হাসছে।হাসছে তার ঠোটজোড়াও।নিজেকে বড্ড উন্মাদ মনে হচ্ছে আজ।এই উন্মাদনা?এই উন্মাদনা তার প্রাণেশ্বরীকে আরেকটা বার দেখার উন্মাদনা!তার হৃদয়েশ্বরীকে নি!র্মমতার এই নির্ম!মতা দেখানোর উন্মাদনা।তবে সে পারলোনা,যদি পারতো নিজ বিড়ালাক্ষীজোড়াতেই তার চন্দ্রময়ীকে সেসব সে দেখাতো।তবে তার চন্দ্রময়ী কি নিজ বিড়ালাক্ষীমানব তথা প্রিয় মানবের এই ধ্বংসাত্মক রূপ সহ্য করতে পারতো?স!র্বনাশা প্রণয়ের প্রলয়ঙ্কারী রূপ কি চাঁদ মেনে নিতে পারতো?যে হৃদয়ে এত দুঃখ আরও কিছু ক্ষ*ত কি তা সহ্য করার ক্ষমতা রাখতো?

To be continued……