আবার প্রেম হোক পর্ব-৬৭

0
798

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৬৭.
“এত সুন্দর মেয়ে কে গো ভাবি?আমার ছেলের সাথে ভারী মানাবেনা বলেন?”

কথাখানা শুনে হঠাৎ করেই কাশি উঠে যায় চাঁদের।সে আড়চোখে তার শাশুড়ীর পানে চেয়ে আছে।অপেক্ষা করছে কী জবাব তিনি দেবেন সামনে থাকা মহিলাটাকে?বেশিক্ষণ চাঁদকে অপেক্ষা করতে হলোনা।তার শাশুড়ীর কিছু বলার পূর্বেই দরজার কাছ হতে শোনা যায় প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর,

“মেয়ে অবশ্যই সুন্দর আন্টি তবে তাকে আপনার ছেলের সাথে না”

কথাখানা বলতে বলতেই চাঁদের সামনে এসে আকস্মিক তাকে বসা থেকে দাড় করিয়ে কোলে তুলে সেই মহিলার পানে চেয়ে আবারও প্রণয় বলে,

“বরং আমার মায়ের বড় ছেলের সাথেই মানায় কেবল”

বলে আর এক মুহুর্ত সেখানে দাড়ায়না সে।চাঁদকে কোলে নিয়েই এগোয় দরজার পানে।আর খানিকটা উচ্চস্বরে তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“তোমায় না বলেছিলাম চাঁদকে এই অবস্থায় আনবেনা কোথাও?কেনো এনেছো?আর আপনি?দুই হাতেই ব্যান্ডেজ তবুও আপনার এখানে আসতেই হলো?না আসলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতোনা নিশ্চয়ই?”

চাঁদ কোনোকিছু না বলে কেবলই ছোটাছুটি করছে বলে ফের প্রণয় বলে,

“বেশি নড়চড় করলে এভাবেই ফেলে দেবো।হাতের সাথে সাথে কোমড়েও চো!ট পেয়ে বিছানায় সারাদিনই শুয়ে থাকা লাগবে তখন”

বলেই পিছু না ঘুরে উচ্চস্বরে ফের সেই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে সে বলে,

“আর আন্টি,আমার বউয়ের দিকে আমি ব্যতীত আর কারো নজর দেওয়া আমার পছন্দের নয়”

বলেই বের হয়ে যায় সেখান থেকে।বাইরে আসতেই চাঁদ নাকমুখ ফুলিয়ে ঘনঘন শ্বাস নিতে নিতে বলে,

“সবসময় স্বামী হওয়ার ফায়দা লুটতে আসবেন না।ছাড়ুন আমায়”

“স্বামী মানেন তাহলে?”

“দেখি নামান তো”

বেশ শান্তভাবেই প্রণয় বলে,

“সন্ধ্যাবেলা চোখ বেঁধে রাখলেও পরবর্তীতে কিন্তু চোখ খুলেই যা করার করবো।অ্যান্ড আই মিন ইট মিস রেডরোজ।সরি,মিসেস রুহায়ের”

প্রণয়ের শান্তকন্ঠে শ্বাস আটকে আসে চাঁদের।লজ্জায় গাল দু’টো জ্বলে যায় তার।আর মনে পড়ে সেই দৃশ্যসমূহ যা সে কস্মিনকালেও ভাবেনি।

ঘন্টা চারেক পূর্বে~
চাঁদের চেচামেচিতে বাড়ির সকলেই এসে প্রণয়ের রুমে হাজির হতেই নজরে আসে বেসিনের সামনে তর্ক করতে থাকা চাঁদ আর প্রণয়কে।চাঁদের চোখমুখ ফোলাসহ কান্নারত দেখে সকলেই এগিয়ে আসে তার পানে।চাঁদের শাশুড়ী বলেন,

“কী হয়েছে মা?”

অতঃপর চাঁদের হাতের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠে বলেন,

“আল্লাহ?হাত এমন হলো কী করে?এই প্রণয় কী হয়েছে চাঁদের?”

প্রণয় জবাব দেয়,

“গরম আয়রণ মেশিনের তলানিতে হাত দিয়েছিলো”

চাঁদ আড়চোখে প্রণয়ের পানে ঘৃ‌!ণাপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কেবল।অতঃপর সকলে মিলে চাঁদকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়।উজান সাথে সাথেই ডাক্তার আনার জন্য বেরিয়ে পড়ে।উশ্মিসহ তার মা দুজনেই চাঁদের হাতে বরফ পানি ঢালতে ব্যস্ত।চাঁদ কেবলই দাঁতে দাঁত চেপে সবটা সহ্য করছে।মিনিট বিশেক পরই ডাক্তার নিয়ে হাজির হয়ে উজান সে অবস্থায় চাঁদকে দেখে বলে,

“কী করে এতটা স্বাভাবিক আছো ভাবি?আঙুলের মাংসগুলো পর্যন্ত ঝ!লসে গিয়েছে।তোমার কষ্ট হচ্ছেনা একটুও?”

চাঁদ সামান্য হাসার চেষ্টা করে বলে,

“যেই ক্ষ*ত হৃদয়ে পোষা তার তুলনায় এই ক্ষ*ত অতি তুচ্ছ্য উজান!”

চাঁদকে ধমক দিয়ে তার শাশুড়ী বলেন,

“কথা কম বলে এদিকে এসো,ডাক্তারকে দেখতে দাও।হাতের দিকে তাকানো পর্যন্ত যাচ্ছেনা আর সে বলে এই ক্ষ*ত নাকি তুচ্ছ্য!”

চাঁদ ফের বলে,

“অতি তুচ্ছ্য মা,অতি তুচ্ছ্য!”

তার শাশুড়ী ফের চোখ রাঙানি দিতেই চাঁদ খানিক হেসে এগিয়ে আসে ডাক্তারের পানে।অতঃপর দুই হাতেরই ড্রেসিং করিয়ে দিয়ে ডাক্তার বলেন,

“মিসেস চাঁদের শাড়িটা চেঞ্জ করিয়ে নরমাল কিছু পরান যাতে তার অসুবিধা না হয়।এভাবে শাড়ি পরে থাকলে নড়াচড়া করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে তাকে”

চাঁদের শাশুড়ী পুষ্পিতা জামান বলেন,

“উশ্মি যাওতো চাঁদকে তার সালোয়ার স্যুট পরিয়ে দিয়ে এসো”

তখনই উজানকে প্রণয় বলে,

“ডাক্তারকে দিয়ে আয় উজান।আর মা চাঁদ এখন একটু রেস্ট নিক।আমি পরে উশ্মিকে ডেকে দেবো।তোমরাও এখন আসো”

“হ্যা যাচ্ছি”

বলতেই সকলে বের হয়ে যায় প্রণয়ের রুম থেকে।সকলে চলে যেতেই প্রণয় গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে পাশে বসে চাঁদের।প্রণয় বসতেই চাঁদ তাচ্ছিল্য করে বলে,

“নিজেই ক্ষ*ত দেন আবার নিজেই দরদ দেখান?কেউ কি বলেছে আলগা দরদ দেখাতে আপনায়?আমিতো আপনার সহানুভূতি চাইনি”

“আপনার মতো এতটা পাষাণ নই যে ক্ষ*ত দিয়ে সেভাবেই কাউকে ম*রার জন্য ফেলে রেখে চলে যাবো।আর আমি কেবলই আপনার ব্লাউজ পোড়াতে চেয়েছিলাম।হাত কেনো দিয়েছেন তাতে?”

“বললেন আর বিশ্বাস করলাম?যে মৃ*ত্যুর মুখে ঠেলে দিতেও পিছুপা হয়না সে সামান্য হাত পো*ড়াতে পারবেনা আবার?”

“আপনি বলছেন আমি ইচ্ছা করে এমনটা করেছি?”

“অবশ্যই আপনি স্বেচ্ছায়ই সবটা করেছেন।আমি আয়রণ করেই প্লাগ সব বন্ধ করে পাশেই মেশিন রেখে গিয়েছিলাম সেটা ব্লাউজের উপর উঠলো কী করে?আর ব্লাউজ পোড়ানোর উদ্দেশ্যই যদি হতো তবে তখনও কেনো মেশিনের প্লাগ খোলেননি আপনি?নাকি এটা বলবো যে অপেক্ষায় ছিলেন?কখন আমি আসবো আর মেশিন ছুবো?অতঃপর চামড়া খ!সে পড়বে আমার?”

“জাস্ট শাট আপ চাঁদ!”

“ইউ শাট আপ মি.রুহায়ের প্রণয়।আপনার মতো মানুষের সাথে সত্যিই থাকতে পারছিনা আমি আর।শীঘ্রই ডি!ভো!র্সের ব্যবস্থা করুন আপনি”

“ডি!ভোর্স তো ইহজন্মে পাবেন না জানিয়েই দিয়েছি।আর যা ভাবার আপনি ভাবুন।যদি ভাবেন আপনাকে ক্ষ*ত দিতে এমনটা করেছি তবে তাই ভাবুন।আমি সত্যিই আপনাকে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষ*ত দিতে চাই।তবে সেটা মানসিকভাবে।মানসিকভাবে আপনাকে ভে!ঙে চুরমার যদি আমি না করেছি আমার নামও প্রণয় না।আর আমি জানি শারীরিক আ!ঘা!তে আপনার কিছুই যায় আসেনা।সেই স্ট্রং পার্সোনালিটিরই এখন অব্দি আপনি রয়ে গেছেন”

“আপনার কোনোকিছুতেই ভাঙবোনা আমি।এখন আর কিছু যায় আসেনা আমার”

“যাবেতো অবশ্যই।যাবেও আবার আসবেও,দেখতে থাকুন কেবল”

বলেই চাঁদকে কোলে তুলে ওয়াশরুমে নিয়ে দাড় করাতেই চাঁদ বের হওয়ার জন্য পা বাড়ায়।কিন্তু প্রণয় দরজা আটকে দিয়ে আলমারি হতে চাঁদের এক সেট জামাকাপড় এনে দরজা খুলতেই চাঁদ চেচিয়ে বলে,

“সমস্যা টা কী আপনার?এখন কি বাথরুমে আটকে মা!রবেন আমায়?”

কপাল কুচকে ওয়াশরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে দিয়ে প্রণয় বলে,

“বড্ড বেশি কথা বলেন আপনি”

প্রণয়কে দরজা আটকাতে দেখে ভয় পেয়ে চাঁদ বলে,

“এই কা…কী করছেন আপনি?দ…দ….দরজা কেনো আটকাচ্ছেন?এই সরুন,বের হবো আমি।দেখি সরুনতো,যেতে দিন”

চাঁদের বাহু চেপে দেয়ালের সাথে তাকে আটকে দিয়ে ঠোটে তর্জনী রেখে প্রণয় শুধায়,

“হিশ!ডাক্তার কী বলেছে শোনেননি?শাড়ি পরে থাকতে অসুবিধা হবে আপনার”

“তা….তো?তো কী হয়েছে?জা…জামা আমাকে দিন।আমার টা আমিই পরে নেবো।দেখি যান তো আপনি।বেশি বেশি করবেন না একদম।স্বামীগিরি দেখাতে এসেছেন?”

বলেই ঢোক গিলে চাঁদ।চাঁদের ভয় পাওয়ার ভঙ্গিমা দেখে মনে মনে বেশ হাসি পায় প্রণয়ের।সে ঠোট চেপে দাঁত দিয়ে ঠোটের এক পাশ কামড়ে চাঁদকে আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করতে করতে বলে,

“আপনি চাইলেই দেখাতে পারি কিন্তু আপাতত তা চাচ্ছিনা।এখন কেবলই আপনার কাপড় পালটে দিতে এসেছি আর কিছুই করবোনা।এদিকে আসুন”

প্রণয়ের এরূপ চাহনী আর কাছে আসার ভঙ্গিমা দেখে চাঁদ ভড়কে বলে,

“অ্যা…অ্যাই!এ….একদম কাছে আসবেন না বলছি।সরুন!সরুন বলছি।আমাকে দিন আমিই আমারটা করছি”

বলেই হাত বাড়িয়ে দিতেই প্রণয় বলে,

“দুই হাতে ব্যান্ডেজ চোখে পড়ছেনা আপনার?সেজন্যইতো আমি আসলাম করতে”

তৎক্ষণাৎ হাত পেছনে নিয়ে চাঁদ বলে,

“তো…তো…মা তো বলেছেনই উশ্মিকে পাঠাতে।আপ…আপনি বরং উশ্মিকে ডেকে দিন যান”

প্রণয় কপাল কুচকে বলে,

“আমার বউকে অন্য কেউ কেনো সে অবস্থায় দেখবে?হোক সে মেয়ে ই”

প্রণয়ের লাগামহীন কথায় চাঁদ দৃষ্টি নত করে বলে,

“আপনি যান তো প্রণয়।আমি শাড়ি পাল্টাবোনা”

“পাল্টাতেতো আপনাকে হবেই।আর আমিই পালটে দেবো”

প্রণয়ের কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে নাক ফুলিয়ে ডান হাতের তর্জনী উঁচিয়ে প্রণয়ের মুখ বরাবর নিতে গেলে হাতে টান লাগে চাঁদের।সে ‘উহ’ শব্দ উচ্চারণ করে চোখমুখ কুচকে হাত নামিয়ে ফেলতেই প্রণয় বলে,

“এজন্যই বলে মহিলা মানুষ বোঝে কম চিল্লায় বেশি”

চাঁদ ফের প্রণয়ের পানে চেয়ে উচ্চস্বরে বলে,

“এই আপনি আমায় মহিলা বললেন?”

“কেন আপনি কি পুরুষ?”

কথাখানা বলতে বলতেই হাতে থাকা চাঁদের ড্রেসের ওড়না নিয়ে চোখ বেঁধে প্রণয় বলে,

“নিন কিছুই দেখছিনা এখন।এবার সাপের মতো শরীর নাচানো বন্ধ করে এদিকে আসুন।আর আরেকটা বাড়তি কথা যদি আমি শুনেছি তবে চোখের বাঁধন খুলেই আপনাকে চেঞ্জ করাবো।সো নাও চয়েজ ইজ ইওরস,কোনটা বেছে নেবেন আপনি?”

প্রণয়ের ডাকে চাঁদের ধ্যান ভাঙে আর বাস্তবতায় ফেরে সে।অতঃপর কপাল কুচকে নিতেই প্রণয় বলে,

“একবার কোলে উঠলেতো আর নামতেই চান না।এতই যখন ভালোলাগে বললেই পারেন।সারাদিন কোলে নিয়েই বসে থাকবো,আমার কিন্তু কোনো আপত্তি নেই।এমন তুলতুলে বউকে যখন তখন কোলে নিয়ে জড়িয়ে রাখাই যায়!”

প্রণয়ের কথায় ফের লজ্জায় দৃষ্টি নত করে চাঁদ।চাঁদকে লজ্জা পেতে দেখে প্রণয় বলে,

“সে যখন লজ্জায় লালরাঙা হয়,প্রণয় হয় তখন সবচাইতে বেহায়া,নির্লজ্জ পুরুষ!”

বছর পাঁচেক পূর্বের বলা প্রণয়ের একই বাক্য ফের তারই মুখে শুনে বিস্ময়পূর্ণ দৃষ্টি প্রণয়ের পানে দিতেই প্রণয় সম্মোহনী কন্ঠে আবারও শুধায়,

“আর এবার কোনো বাঁধ মানবোনা,কোনো বাঁধ-বাঁধা নেইও।আপনি আমার,কেবল আমারই একান্ত ব্যক্তিগত নারী চন্দ্রময়ী”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
প্রণয়রা চলে যেতেই চাঁদের শাশুড়ী পুষ্পিতা জামানকে তার এক ভাবি বলেন,

“কী গো পুষ্প,মেয়েটা বুঝি প্রণয়ের বউ ছিলো?”

পুষ্পিতা জামান হ্যা বোধক মাথা নাড়তেই সেই মহিলা লজ্জা পেয়ে বলেন,

“ইশ ভাবি!আগে বলবেন না?ছেলের সামনে বেশ লজ্জায় পড়লাম আমি”

পুষ্পিতা জামান হেসে বলেন,

“না না ভাবি সমস্যা নেই।আমার ছেলের বউকে দেখলে কেউই বলেনা ও বিবাহিতা।তাই একটু আকটু বিড়ম্বনা হয়েই যায়।তাছাড়া আমি কিছু বলার পূর্বেই আপনি অমন একটা কথা বলে ফেললেন”

মহিলা ফের লজ্জামিশ্রিত কন্ঠে বলেন,

“আমি বেশ লজ্জিত ভাবি!”

“সমস্যা নেই ভাবি”

সেখানে থাকা আরেকজন মহিলা বলেন,

“যাই বলেন না কেন বউ কিন্তু পেয়েছেন ভারী সুন্দর।এজন্যই বুঝি ছেলে বউয়ের জন্য এত পাগল।সামলে রাখবেন ছেলেকে,কে জানে কখন বউয়ের কাছে পিছলে যায়?”

পুষ্পিতা জামান স্বাভাবিক কন্ঠে বলে,

“বউ তো আনিনি ভাবি।বউরূপী মেয়ে এনে দিয়েছে ছেলে আমার।এমনটা কোনোদিন যে হবেনা শতভাগ নিশ্চিত আমি।আর হলেও মন্দ হবেনা,আমি চাই আমার ছেলে তার বউয়ের জন্য এমনিভাবেই পাগল থাকুক।ছেলেটা বড্ড একগুইয়ে আমার!”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরেরদিন সকালে,
গভীর ঘুমে তলিয়ে ছিলো চাঁদ এমন সময় তার ফোনে কল আসায় ঘুম আলগা হয়ে যায় তার।সে ফোনের দিকে এক চোখ খুলে তাকাতেই রিদির নাম্বার দেখে চট জলদি উঠে বসে।হঠাৎ এত সকালবেলা রিদি কেনো ফোন করেছে মাথায় আসলোনা চাঁদের।রামিমের সাথে উশ্মির কিছু হলোনাতো?এসব ভাবতে ভাবতেই ব্যথিত হাত নিয়েই টেবিলের পাশে থাকা মোবাইলের কল রিসিভ করে তা লাউডস্পিকারে দিয়ে সেখানটায় মুখ নিয়ে উচ্চস্বরে বলে,

“হ্যা রিদি বলো?”

“ভাবি ভাবি ভাবি!ও ভাবি আমাআআআআআর!ফাইনালী ফাইনালী ফাইনালী!ফাইনালী আমিও তোমাদের মতো ডিএমসিয়ান হয়েই গেলাম!”

To be continued…..

[বিঃদ্রঃগল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক]