আমার অদিতি পর্ব-০৭

0
2

#আমার_অদিতি
#পর্ব – ৭
#নয়োনিকা_নিহিরা

প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে অদিতিকে পাগলের মতো খুঁজছে আহনাফ। কিন্তু অদিতির কোনো সন্ধান পায়নি সে। এই কয়দিন অফিসেও যায়নি আহনাফ। পুরো নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে আহনাফ। অদিতি তার জীবনে আর নেই একথা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে তার।

প্রায়ই মদ খেয়ে টাল মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে আহনাফ। গেস্টরুমে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অদিতির শাড়ি হাতে নিয়ে বসে থাকে। ছেলের এই অবস্থা দেখে আজমেরী ওয়াহিদ আর সত্য চাপা রাখতে পারছেন না। তবুও অদিতি আর আলভীকে দেওয়া কথা তো তার রাখতে হবে। তাই অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে নিশ্চুপ থাকতে হচ্ছে তাকে।

এদিকে, অদিতিও যে খুব ভালো আছে তা নয়। প্রায় প্রতিদিনই নিজের শাশুড়ির কাছ থেকে আহনাফের বেহাল দশার খবর শুনে বুকে তীব্র যন্ত্রণা হয় তার। কিন্তু পরক্ষণেই আহনাফের করা অবহেলার কথা মনে করে নিজেকে শক্ত করে অদিতি।

আহনাফ আর অদিতি দুজনই বিরহের অনলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। আলভী অবশ্য বেশ মজাই নিচ্ছে এই এক সপ্তাহ ধরে। এটা সেটা বিভিন্ন কথা বলে আহনাফের ভয় আর আতংক আরো বাড়িয়ে তুলছে।

অদিতির ভাই ইমতিয়াজও অদিতিকে খুঁজছে অনেক দিন ধরে। অদিতি মা আমিনা বেগম অদিতির শোকে বিছানায় পড়ে গিয়েছেন। যারা যারাই একসময় অবহেলা করেছে অদিতিকে, আজ তাদের সবারই এক প্রকার নাজেহাল অবস্থা।

আহনাফ প্রতিদিনের মতো আজও গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে অদিতিকে খুঁজতে। বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্টে অদিতির ছবি দেখিয়ে অস্থির কন্ঠে বলেছে,”এই মেয়েটাকে যদি দেখে থাকেন তাহলে সাথে সাথে তার নাম্বারে যোগাযোগ করতে।”

এরই মধ্যে পুলিশ স্টেশনেও অদিতির মিসিং রিপোর্ট করেছে আহনাফ। অদিতিকে খুঁজে বের করার যতো ধরনের চেষ্টা করা দরকার সব করছে আহনাফ।

আহনাফের মন বলছে,” অদিতি একদম ঠিক আছে, সুস্থ আছে। তার খুব কাছেই আছে।”
____

অদিতি আজ বোরকা পড়ে মুখ ঢেকে বের হয়েছে কিছু কেনাকাটা করার জন্য। অদিতিকে সবাই খুঁজছে এটা সে জানে। তাই কোথাও বেরোনোর সময় মুখ ডেকে বের হয় অদিতি। অদিতি কসমেটিক শপে এসে কেনাকাটা করতে থাকে। তখনি সেখানে উপস্থিত হয় আহনাফ।

আহনাফ দোকানদারকে অদিতির ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে,” এই মেয়েটিকে কি আপনি কোথাও দেখেছেন মামা?”

_”প্রতিদিন কত কাস্টমারই তো আসে সবার চেহারা কি মনে থাকে বাবা?”

আহনাফ হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আহনাফের উপস্থিতি টের পেয়ে অদিতির হাত পা অবশ হয়ে যায়। বুকের ভেতরটা অস্থিরতায় কেঁপে উঠে।

আহনাফ মলিন স্বরে বলে,” এই মেয়েটা হচ্ছে আমার স্ত্রী। রাগ করে আমার কাছ থেকে চলে গিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছি তাকে আমি।”

_” সে কি! কেনো চলে গিয়েছে?”

_” আমারই দোষে হারিয়েছি ওকে আমি। তবে একবার ওকে ফিরে পেলে আর কখনোই আমি ওকে অবহেলা করবো না।”

_” এই জন্যেই থাকতে মূল্য দিতে হয় বাবা। আচ্ছা আমি যদি মেয়েটার দেখা পাই তোমাকে জানাবো।”

দোকানদার এইবার অদিতির দিকে চেয়ে শুধায়,” মামণি কি লাগবে তোমার বলো?”

অদিতি কিছু না বলে চুপ করে থাকে। আহনাফ তার কন্ঠস্বর শুনলেই চিনে ফেলবে নিশ্চিত। আহনাফ অন্যান্য দোকান গুলোতেও অদিতির ছবি দেখিয়ে খোঁজ করতে থাকে। অদিতি আহনাফের কান্ড দেখে হতভম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তখনি প্রিয়তা এসে অদিতির হাত ধরে তাকে টেনে সেখান থেকে নিয়ে যায়।

_” আরে অদিতি তুমি কি পাগল নাকি? ভাইয়া যদি তোমাকে চিনে ফেলতো তখন কি হতো?”

_” ওনার এমন অবস্থা হয়েছে কেনো? কে বলবে উনি দেশের টপ বিসনেসম্যান আহনাফ ওয়াহিদ। চোঁখ মুখের একদম বারোটা বাজিয়ে ফেলেছেন।”

অদিতির কথা শুনে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা আলভী হো হো করে হেঁসে উঠে।

_” এক সপ্তাহ ধরে আহনাফ ব্রো বউ ছাড়া। তার এই অবস্থা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।”

_” আপনার খেয়াল রাখা উচিত ছিল ওনার। উনি তো মনে হয় খাওয়া দাওয়া ও ঠিকমতো করছেন না।”

_”আরে ভাবী এতো টেনশন করো না তো কিছু হবে না।”

আলভী অদিতিকে ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে প্রিয়তাকে নিয়ে তার এনগেজমেন্টের শপিং করতে চলে যায়। অদিতি একলা বসে বসে আহনাফের বলা কথাগুলো স্মরণ করতে থাকে। বড্ড বেশি মায়া হচ্ছে অদিতির আহনাফের জন্যে কিন্তু অভিমানের কারণে অদিতি ফিরে যেতে পারছে না।

অদিতি আহনাফের ছবি হাতে নিয়ে অভিমানী কন্ঠে বলে,” আগে নিজের ভালোবাসা প্রমাণ করুন তারপরই আমাকে খুঁজে পাবেন।”

___

আকাশে মেঘ, শহরের আলোগুলো হালকা হয়ে আসছে।রাতের নিরবতা ভেঙে যাচ্ছে শহরের সুর; যদিও আহনাফের মন যেন কোনও সুর খুঁজে পাচ্ছে না।

আজও ব্যর্থ হয়েছে আহনাফ। খুঁজে পায়নি তার অদিতিকে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পানে চেয়ে নিকোটিনের ধোঁয়া উড়াচ্ছে আহনাফ। বুকের মধ্যে এক অদ্ভুত শূন্যতা বিরাজ করছে আহনাফের। দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক আর অস্থিরতায় ছটফট করছে আহনাফের হৃদয়। ক্লান্তি তার প্রতিটি শরীরী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।

“কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি অদিতি? আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে। আমাকে মরণসম যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে কোথায় পালালে তুমি? আমাকে তারচেয়ে মেরে ফেলতে। আমার সাথে থেকে কি আমাকে শাস্তি দেওয়া যেতো না বউপাখি?”

আহনাফ আর সহ্য করতে না পেরে চলে যায় বারে। অদিতির বিরহ সহ্য করতে না পেরে ড্রিংক করতে থাকে আহনাফ। আহনাফের চোঁখের সামনে অদিতির সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভেসে ওঠে।
___

অদিতির প্রতি নিজের ভালোবাসা উপলব্ধি করার পর আহনাফ অনেকবার অদিতির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অদিতি অভিমানে তাকে নিজের কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। তবে আহনাফের কেয়ার দেখে অদিতি এক পর্যায়ে আহনাফের রুমে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আহনাফের খুশির সেইদিন কোনো সীমানা ছিলো না।

কিন্তু এর কিছুদিন পরেই যখন আহনাফ জড়তার কারণে অদিতিকে তার ক্লায়েন্টদের সামনে বাসার পেয়িংগেস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলো। তখনি সব কিছু আবার এলোমেলো হয়ে যায়। অদিতি রাগে অভিমানে আহনাফের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেইদিনও আহনাফ অস্থির হয়ে অদিতিকে খুঁজে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল এক প্রকার জোর করেই। অদিতি রাগে আহনাফের রুম থেকে বেরিয়ে গেস্টরুমে চলে গিয়েছিলো। আহনাফকে অনেক কথা শুনিয়েছে সেইদিন অদিতি। তারপর গেস্টরুমে গিয়ে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।

অদিতির ঘৃণামিশ্রিত কথাগুলো সহ্য করতে না পেরে আহনাফ সেদিন নিঃশব্দে গেস্টরুমে এসে অদিতির পাশে শুয়ে অদিতিকে জড়িয়ে ধরেছিল। আহনাফের উপস্থিতি টের পেয়ে অদিতি তেতিয়ে উঠে বলেছিল,” চলে যান আমার সামনে থেকে। এখন কেনো এসেছেন আমার কাছে? আমি না পেয়িংগেস্ট আপনাদের বাসার। লজ্জা করে না বাসার থাকা পেয়িংগেস্টকে জড়িয়ে ধরতে।”

_” তুমি আমার স্ত্রী অদিতি।”

_” তাহলে ওদের সামনে স্বীকার করলেন না কেনো?”

আহনাফ অদিতির এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারলো না। অপরাধীর ন্যায় চেয়ে রইলো। অদিতি বিছানা থেকে নেমে আহনাফের বুকে ধাক্কা দিয়ে অভিমানী কন্ঠে বললো,” আপনি একটা কাপুরুষ! আপনি আমার স্বামী হওয়ার যোগ্য না। আমি ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবো আপনাকে ছেড়ে। এরপর এমন একজনের সাথে সংসার করবো যে আমাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে কখনো বিব্রতবোধ করবে না।”

অদিতির কথা শুনে রাগে কান গরম হয়ে যায় আহনাফের। আহনাফ অদিতির গাল চেপে ধরে ক্ষিপ্ত স্বরে বলে,” কতবড় সাহস তোমার তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে অন্য কারো সাথে সংসার করার কথা বলো! আমি নরম স্বরে কথা বলছি দেখে খুব সাহস বেড়ে গেছে তোমার তাই না? আজকের পর থেকে আর কারো সাথে সংসার করার চিন্তাও মাথায় আসবে না তোমার।”

অদিতি ভয়ে শুষ্ক ঢোক গিলে পিছাতে শুরু করে। আহনাফ এক টানে অদিতির হাত ধরে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

_” ছেড়ে দিন আমাকে ভালো হবেনা কিন্তু আমি…”

অদিতি নিজের কথা সম্পূর্ণ করতে পারে না তার আগেই আহনাফ রাগে অদিতির অধরজোড়া চেপে ধরে। অদিতি আহনাফের কাছ থেকে ছুটাছুটির চেষ্টা করতে থাকে। আহনাফ অদিতিকে ছেড়ে তাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে অদিতির গলায় মুখ ডুবায়। কিন্তু পরক্ষনেই অদিতির কান্নাজড়িত কণ্ঠস্বর শুনে সৎবিৎ ফিরে আহনাফের।অদ্ভুত এক মায়া কাজ করে অন্তরে।

আহনাফ মনে মনে ভাবে,”অদিতির রাগ করা তো স্বাভাবিক। ওর অভিমান না ভেঙ্গে আমি উল্টো ওর উপরই রাগ দেখাচ্ছি, শীট!”

আহনাফ সাথে সাথেই উঠে যায় অদিতির উপর থেকে।

অদিতির শাড়ির আঁচল গায়ে জড়িয়ে দিয়ে অদিতির সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়ে আহনাফ।

আহত স্বরে বলে,”I’m so sorry, অদিতি। তুমি তখন ওসব কথা বলায় আমার হুশ ছিলো না। আমাকে ক্ষমা দাও প্লিজ।”

অদিতি ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয় আহনাফের কাছ থেকে। চিৎকার করে বলে,” আমি ঘৃণা করি আপনাকে। আপনি চলে যান আমার চোঁখের সামনে থেকে।”

বর্তমানে__

আহনাফ ড্রিংক করছে আর অদিতির বলা এসব কথাগুলো স্মরণ করছে। গলাকাটা মুরগির মতো ছটফট করছে হৃদয়টা। নিজের উপর আহনাফের ভীষণ ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে। কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো অদিতিকে সেই সময় স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিলে? অদিতি তো শুধু তার স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী হওয়ার সম্মানটুকু চেয়েছিল। অদিতি যদি সত্যি সত্যিই নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলে এখন! এ কথা চিন্তা করতেই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় আহনাফের। নিঃশ্বাস ক্রমশ ভারী হয়ে উঠতে থাকে। হাতে থাকা ওয়াইনের গ্লাস ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলে আহনাফ। বারে উপস্থিত সবাই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আহনাফের দিকে। তবে কেউ কিচ্ছু বলার সাহস পায় না আহনাফকে। মোটামুটি সবাই চিনে আহনাফ ওয়াহিদকে। তার রাগ সম্পর্কেও সবার ধারণা আছে। তাই অহেতুক ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য চুপ থাকাকেই শ্রেয় মনে করে সবাই। আহনাফ ওয়ালেট থেকে টাকা বের করে টেবিলে ছুঁড়ে বেরিয়ে যায় বার থেকে।

ঝড়ের গতিতে ড্রাইভ করছে আহনাফ। এই মুহূর্তে আহনাফের কোনো হুশ নেই। মাত্রাতিরিক্ত ড্রিংক করার কারণে আশেপাশের সবকিছু ঝাপসা লাগছে আহনাফের কাছে। সমস্ত মস্তিষ্ক জুড়ে অদিতির চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। অপরাধবোধে শেষ হয়ে যাচ্ছে সে। বাসায় গিয়ে আবার অদিতির বিরহে পুড়তে হবে তাকে! আপাতত জীবনের কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছে না আহনাফ। বারবার অদিতির রেখে যাওয়া চিরকুটের কথা মনে পড়ছে তার। অদিতির কোনো ক্ষতি হলে আহনাফও শেষ করে দিবে নিজেকে।

____

প্রায় অনেক রাত হয়ে গিয়েছে আহনাফ এখনো বাড়ি ফিরছে না দেখে আজমেরী ওয়াহিদ দুশ্চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে আছেন। আলভী ডিভানে বসে দায়সাড়া কন্ঠে বলে,”জাস্ট চিল মামী। প্রায় প্রতিদিনই তো তোমার ছেলে লেট করে বাড়ি ফিরে। নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে হয়তো।”

আজমেরী ওয়াহিদ উৎকণ্ঠিত স্বরে বললেন,” অনেক বেশি হয়ে গেছে আলভী। ছেলেটা আজ বাসায় ফিরে এলে ওকে আমি সব কিছু বলে দিবো। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।”

আলভী চিপসের প্যাকেট হাতে নিয়ে চিপস খেতে খেতে বলে,” আচ্ছা ঠিকাছে বলে দিও। এমিতেও যেটা আমরা চেয়েছি সেটা তো হয়েই গিয়েছে। আহনাফ ব্রো প্রেস কনফারেন্স ডেকে অদিতি ভাবীকে স্বীকার করে নিয়েছে। এখন বলে দিলেও কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ব্রো সব জানার পর আমাকে আস্ত রাখবে তো!”

আজমেরী ওয়াহিদ দুষ্টুমি করে বললেন,” তোর তো খবর আছে আলভী।”

আলভী আতঙ্কিত হবার ভান ধরে। আজমেরী ওয়াহিদ আলভীর কান মলে দিয়ে বলে,” অনেক হয়েছে দুষ্টুমি। এইবার একটু খোঁজ নিয়ে দেখ তো ছেলেটা কই বসে আছে।”

আলভী উঠে ডিভানে পড়ে থাকা জ্যাকেট গায়ে দিয়ে বলে ,” তোমার গুণধর ছেলেকে এক্ষনি খুঁজে নিয়ে আসছি আমি। নো টেনশন ডু ফুর্তি।”

তখনি আলভীর নাম্বারে একটি আননোন নাম্বার থেকে কল আসে। আলভী একটু অবাক হয়ে কল রিসিভ করে।

_” হ্যালো,কে বলছেন?”

_” আপনি আহনাফ ওয়াহিদের কি হন?”

_” আমি ওনার মামাতো ভাই। কেনো কি হয়েছে? Is everything okay?”

_” আপনার ভাইয়ের কার এক্সিডেন্ট হয়েছে। ড্রিংক করে ড্রাইভ করছিলেন ওনি। ওনাকে হসপিটালে এডমিট করা হয়েছে। তাড়াতাড়ি আসুন।”

আলভী আতঙ্কিত হয়ে ফোন রেখে আজমেরী ওয়াহিদের দিকে চেয়ে অস্থির কন্ঠে বলে,” মামী, আহনাফ ব্রোয়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে তাড়াতাড়ি চলো!”

চলবে…