আমার স্নিগ্ধপরী পর্ব-০২

0
1

#আমার_স্নিগ্ধপরী
#পর্ব_২
#লেখা: #নীল_মালতীলতা

কপি নিষিদ্ধ ❌❌❌

স্নিগ্ধা আর ফাইয়াজের বিয়েটা নিজেদের কয়েকজন নিয়ে খুব সাধারণভাবেই হয়ে যায়। ফাইয়াজ আর টু শব্দটিও করেনি। যেন তার কোন অনুভূতিই নেই। স্নিগ্ধার ছোট দুই ভাই বোন ভাইয়ার সাথে দুষ্টুমি করার, ভাব করার বেশ চেষ্টা করেছে । সম্পর্কে সে তাদের দুলাভাই হয়,, সেই হিসেবে সম্পর্কটা তো খানিক দুষ্টমিরই হবে। কিন্তু ওরা ফাইয়াজের কাছাকাছি গেলেই এমন ভাবে ওদের দিকে তাকায় যেন ওরা বড় কোন অন্যায় করে ফেলে । সাথী এবার ক্লাস নাইনের স্টুডেন্ট, আর সায়ান ক্লাস সেভেন।

ফারজানা তালুকদার ছেলের মনোভাব বুঝতে পেরে এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। না জানি কখন ছেলে আবার কি ব্যবহার করে বসে,, শেষে মান-সম্মান নিয়েও টানাটানি পড়ে যাবে, উল্টোপাল্টা কিছু করলেই বা মেয়ের বাবা মাকে কি বলে বুঝ দিবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে যাওয়াই ভালো,, বাড়িতে গিয়ে ভালোভাবে বোঝালে কিছু দিন গড়ালে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে, এই আশায় তিনি পুত্রবধূকে নিয়ে বিদায় জানালেন।

স্নিগ্ধা পড়াশোনার জন্য দূরে যাওয়ার স্বপ্ন তো দেখেছিলো,, কিন্তু এই যাওয়া যে একেবারে অন্যের হয়ে চলে যাওয়া হবে সেটা সে কিছুদিন আগেও বুঝতে পারেনি। বাবা-মা ভাই-বোনদের জড়িয়ে অনেক কান্নাকাটি করল। চিরদিনের জন্য অন্য অধীনে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। এখানে হয়তো আবারও আসা হবে কিন্তু তা অতিথি হয়ে,, ভাবলেই বুকটা ভার হয়ে আসছে।

এরমধ্যে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছানোর কিছু রাস্তা আগেই স্নিগ্ধার জন্য ঘটে গেল সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটা,,

গাড়িটা ঢাকার রাস্তায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ফাইয়াজ ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে,, ড্রাইভার গাড়ি থামালেই সে নেমে পড়ে গাড়ি থেকে,, এরপর জানালার কাছে গিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,,
বিয়ে করতে বলেছ করেছি এবার থাকো তুমি তোমার এই গাঁইয়া মেয়ে নিয়ে,,

ফারজানা তালুকদার অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,, মানে?? কি বলতে চাচ্ছ তুমি আর তুমি এখানে গাড়ি থেকে নামলে কেন??

কারণ এই মেয়েকে নিয়েই তোমরা থাকো তোমাদের ছেলের প্রয়োজন নেই,, বলে সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়,, স্নিধা সব কিছুই শুনছিল,, একে তো বাবা মাকে ছেড়ে এসেছে, তার ওপর সদ্য হওয়া স্বামী নামক ব্যক্তির থেকে এহেন ব্যবহারে সে বাকরুদ্ধ।

ফজলুল তালুকদার ফারজানা তালুকদারের দিকে তাকিয়ে বললেন,, ছেলেটার অমতে সবকিছু করে মেয়েটার জীবনটা শুরুতেই আমরা কেমন ভেঙে দিলাম, বলে আফসোস করতে লাগেন। ফারজানা তালুকদার স্নিগ্ধার দিকে এক পলক তাকান, কি বলবেন তিনি এই মেয়েটাকে? আর ওর বাবা মা জানলে কি করবেন? ভেবে পেলেন না।

স্নিগ্ধা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী মেয়ে,, সে সবকিছু খানিকটা আঁচ করতে পেরেছে,, কিন্তু কিছুই বলল না।

ফজলুল তালুকদার বললেন,,, এখন আর এখানে বসে থেকে লাভ নেই,, তাই ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বললেন,, রহমত তুমি চলো । এখন এখানে ছেলের জন্য অপেক্ষা করলেও ছেলে ফিরবে না,, মন মর্জি ঠিক হলে নিজে থেকেই বাড়ি ফিরে যাবে। তখন ঠান্ডা মাথায় সবকিছু ঠিক করা যাবে।

ফারজানা তালুকদার একমাত্র ছেলের বউ আনবেন আর একেবারে কাউকে কিছু বলবেন না তাতো হয় না,, তাই কাছে পিঠের কয়েকজন আত্মীয় বন্ধু বান্ধবী প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছে তো আবার কেউ কেউ ব্যাস্ততায় আসেনি,, বড় অনুষ্ঠান আয়োজন হলে আসবে বলে জানিয়ে রেখেছে। জামাই ছাড়া বউ একা এসেছে প্রতিবেশীদের জন্য এটা বিনা টিকিটে সিনেমা দেখে সমালোচনা করার সুবর্ণ সুযোগ। যদিও ফারজানা তালুকদার নানা অজুহাত দেখিয়েছেন যে ছেলে র গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরে গেছে। তবুও প্রতিবেশীদের কানাঘুষা কি আর থামার? তারা তাদের কাজ করবেই,,

বিয়ের দিনই ছেলে বউ রেখে চলে গেছে না জানি মেয়ের কোনো সমস্যা আছে,,

হ্যা দেখতে শুনতেতো সুন্দরই আছে,, এই যুগে সুন্দরী মেয়েদের সমস্যা না থেকে পারে নাকি,,
এরকম আরো নানান কথা প্রতিবেশীদের মুখে শোনা যায়।

ফারজানা তালুকদার তিন বোনের মধ্যে তিনি মেজ,, তার বড় বোন ফাতেমা ছোট বোন ফাতিহা। ছোটবোন কোনো এক কারণে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে আসেনি, তবে বড় বোন এসেছেন কিন্তু তার দুই ছেলে কেউই আসেনি।

ফাতেমা বেগম স্নিগ্ধাকে দেখে বলেন এত সুন্দর বউ রেখে কিভাবে পারে মাঝ রাস্তায় নেমে যেতে।

কথাগুলো সহানুভূতির হলেও স্নিগ্ধার গায়ে কেমন যেনো কাঁটার মত বিধে। মনে মনে বলে বউ যখন মানবি না নাচতে নাচতে বিয়ে করতে গিয়েছিলি কেনো,, তুই কি বাচ্চা যে তোকে জোড় করল আর তুইও নাচতে নাচতে চলে গেলি সা*লা আহাম্মক কোথাকার।

ফারজানা তালুকদার স্নিগ্ধার দু হাত ধরে বলেন,, আমায় ক্ষমা করে দিস মা,, আমি তোর নতুন জীবনের শুরুটাই কেমন বিষাদ বানিয়ে দিলাম। জানিস আমার একটা মেয়ের বড় শখ,, সেই শখ আমি তোকে দিয়ে পূরণ করতে চাই, কিন্তু দেখ শুরুতেই আমি তোকে কতখানি আঘাতের ভাগিদারী বানালাম,,

চাচী আপনি কিসব বলছেন,, আমি না আপনার মেয়ে? আমি কারো বউটউ নয় তাই আপনি আর একবারো এসব কিছু ভাববেন না।

তাই? তা মেয়েরা বুঝি মা কে চাচী বলে ডাকে?

স্নিগ্ধা জ্বিব কেটে বলে,, আসলে এর আগে ডেকেছিতো আ তাই,,,,

ঠিক আছে এখন থেকে আম্মু ডাকবি আমিও তোকে তুই করে বলব,,

তখনই সেখানে ফজলুল হক এসে বসেন বলেন আর আমাকে আব্বু বলে ডাকবি আমি তোকে মা বলে ডাকব।

স্নিগ্ধার চোখে পানি এসে যায়, ভাবে গ্রামে কত মেয়েদের, বান্ধবীদের বিয়ের গল্প শুনেছে এমন শশুড় শাশুড়ির গল্প শুনেছে বলে মনে পড়ছে না,, এমন বাবা মা থাকতে ঐ উজবুককে কোনো প্রয়োজন নেই। এক মনকে এ কথা বোঝালেও বিপরীত মন বুঝতে চায় না, সে ভাবে যান নামে নাম লিখে এখানে এলাম সেই যদি না মানে তাহলে এই সম্পর্কের মানে কি??

ফজলুল তালুকদার বললেন ফারজানা মেয়েটার এখন রেস্ট দরকার তুমি সেই ব্যাস্ততা করো।

হ্যা মা চল তোকে তোর জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

আম্মু তোমাদের এত ব্যাস্ত হতে হবে না আমি কি এখানে নতুন নাকি? তোমরাও যাও রেস্ট নাও আমিও যাই।।

ফারজানা তালুকদার ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললেন তুই কোথায় যাবি??

কনো, তুমি আমাকে যে রুমে থাকতে দিয়েছিলে সে রুমে,,

কেনো তুই কি সেই আগের মত বেড়াতে এসেছিস? যে সেই আগের মত থাকবি? তুই এই বাড়ির মেয়ে, এই বাড়ির বউ হয়ে এসেছিস, অবশ্যই তুই যার বউ হয়ে এসেছিস তার রুমেই থাকবি।

স্নিগ্ধা মাথা নিচু করে বলে,, সেইতো আমাকে মানে না তাহলে তার রুমে থাকব কেন,,

সে মানুক বা না মানুক তুই তোর জায়গা ছাড়বি কেনো?? চল তোকে আমি সব কিছু দেখিয়ে দিচ্ছি,,, ফারজানা তালুকদার স্নিগ্ধাকে ফাইয়াজের রুমে পৌছে দিয়ে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে যান। আলমারি কাভার্ড ড্রেসিনটেবিলে স্নিগ্ধার কাপড় ও প্রয়োজনীয় সব কিছু গুছিয়ে রাখতে বলেন। এরপর তিনিও চলে যান বিশ্রাম নিতে,, বিয়ে জার্নি পরিস্থিতি সব কিছু মিলিয়ে সবার উপর দিয়েই বেশ ধকল গিয়েছে।

স্নিগ্ধা লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে নিজেকে হালকা করলো। এরপর ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখতে লাগলো। রুমটা বেশ বড়, মাঝখানে রয়েছে বিছানা, স্নিগ্ধার কাছে মনে হলো বিছানাটাও যেন বেশ বড়সড়। আর বেডের উপরের দেয়ালে এই রুমের মালিকের একটা ছবি টাঙানো। প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে স্টাইল করে গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে যেন তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ছবিটা দেখতে কোন অংশে মডেলদের থেকে কম লাগছে না। ফাইয়াজের ছবি এর আগের বারও দেখেছিল, কিন্তু সামনাসামনি দেখা হয়নি। আর এবার তো তার বউ হয়েও তাকে সামনাসামনি পেল না। দেয়াল জুড়ে এরকম আরো কয়েকটা ছবি আছে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের। এই বাড়িটাও বেশ বড়সড়। দোতলা বাড়িটা দেখতে ছোটখাটো একটা রাজপ্রাসাদ যেন। ফাইয়াজের রুমটার সাথে আছে একটা লাগোয়া বারান্দা। স্নিগ্ধা সেখানে এগিয়ে গেল। বারান্দায় বেতের চেয়ার টেবিল রয়েছে। কিন্তু তুমি ফুল গাছ নেই,, তাই কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা মনে হলো স্নিগ্ধার কাছে। একটা দোলনা থাকলেও বেশ হতো,এসব ভেবে আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেল,, পুরো বাগানের ভিউটা এখান থেকে দেখা যাচ্ছে। এবারের বাগানটা বেশ সুন্দর। এর আগের বার তো স্নিগ্ধা প্রায় অনেক সময় বাগানেই কাটিয়েছে, সেই সুন্দর ভিউ টা এখান থেকে দেখা যায় ভেবে মুখে হাসি ফুটে উঠলো। এবাড়ির প্রত্যেকটা রুমেই বারান্দা আছে, কিন্তু এটা বোধহয় একটু বেশি সুন্দর,, একমাত্র সন্তানের থাকার জায়গা কি আর অসুন্দর হতে পারে?? দোতালায় এবং নিচতলায় মিলিয়ে বেশ অনেকগুলো রুম আছে বাড়িটায়। এত বড় বাড়িতে এই অল্প কয়েকজন মানুষ স্নিগ্ধার কাছে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আজ একাই এই দোতলা থাকে বাকি রুম গুলো ফাঁকা পড়ে থাকে অতিথি আসলে তখন ভরপুর হয়। আর ফাইয়াজের বাবা মা নিচেই একটা রুমে থাকেন। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা নামা তাদের জন্য কষ্টকর তাই আর ওপরে তারা ওঠেননি। একজন কাজের বয়স্ক মহিলাও আছে, সেও নিচেই একটা রুমে থাকে।

সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখে ভাবলো এখন তার একটা লম্বা ঘুমের প্রয়োজন। স্নিগ্ধা আর এ রুমের কোন কিছুতেই হাত লাগায়নি, লাগেজটা এক পাশে রেখে দিয়েছে, যদিও ফারজানা তালুকদার বলেছিলেন যে সবকিছু আলমারিতে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে। পাছেনা আবার লোকটা কিছু বলে বসে। তাই স্নিগ্ধা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগে রুমের মালিক আসুক তারপরে তার রিয়েকশন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এসব ভেবে ভেবে ঘুমিয়ে গেল। স্নিগ্ধা ভেবেছিল আজ না হোক কাল লোকটা চলে আসবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ফাইয়াজের দেখা আর মিলল না।

এ কয়দিন ফারজানার তালুকদার আর ফজলুল তালুকদার,, স্নিগ্ধার দিকে অপরাধের দৃষ্টিতে বারবার তাকিয়েছেন,,

স্নিগ্ধাও তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছে,, তোমরা যদি এমন করো তাহলে কিন্তু আমি চলে যাব। তোমরা আমার বাবা-মা আমি তোমাদের সঙ্গে থাকছি, তা না কোথাকার কোন উজবুকের জন্যই এমন করো। স্নিগ্ধা এ ব্যাপারে তার বাবা-মাকে কিছুই জানায়নি। আর না তো কাউকে জানাতে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ফারজানা তালুকদার আর ফজলুক তালুকদার খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কিন্তু ছেলে না এলে সবকিছু ঠিকঠাক হবে কিভাবে তারা ভেবে পেলেন না।

,
,

স্নিগ্ধা এক সপ্তাহ বেশ আরাম করে কাটিয়েছে। যদিও মনের কোণে একটা অভিমান থেকেই গেছে সেই মানুষটার প্রতি। কিন্তু যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে অভিমানটা একদমই বৃথা। তাই স্নিগ্ধা সেটা নিজের মনেই আবার গিলে ফেলে। স্নিগ্ধা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামীকাল থেকেই সে ভার্সিটি যাওয়া শুরু করবে। ফারজানা তালুকদার আর ফজলুল তালুকদারও এ ব্যাপারে সায় জানিয়েছেন। স্নিগ্ধার সব প্রয়োজনীয় জিনিস স্বামীকে দিয়ে আনিয়ে দিয়েছেন।

আগামীকাল স্নিগ্ধার স্বপ্নের পথে যাওয়ার প্রথম দিন। সে এতটাই এক্সাইটেড যে সারারাত ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেনি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা?? এর জন্য কত রাত নির্ঘুম কাটিয়ে পড়াশোনা করেছে স্নিগ্ধা তার কোন হিসেব নেই। আল্লাহর দরবারে দু’হাত পেতে কত চেয়েছে। আল্লাহ তার ডাক শুনেছে সাথে আবার একটা খাটাশও যুটিয়ে দিয়েছেন উপরওয়ালা না চাইতেও 😐

ফজরের নামজ পড়ে খোলা বারান্দায় কিছুক্ষণ নির্মল বাতাস শুষে নিলো স্নিগ্ধার হৃদয়। বারান্দাটা বিশাল বড় তবে কোন গ্রিল নেই,, যার কারণে চোখ বন্ধ করে আকাশের দিক তাকিয়ে দু হাত মেলে শ্বাস নিলে মনে হয় যেন আকাশের বুকে উড়ে বেড়াচ্ছি আহা কি শান্তি। এরপর রুমে ফিরে এলে হঠাৎ চোখ পড়ে বেডের মাথার দিকের দেয়ালের ওপরে টানানো ছবিটার দিকে,,, সে দিকে তাকিয়ে একা একাই বলছে,,,

এই যে মিস্টার, খুব ভাব আপনার তাই না?? আমাকে বিয়ে করে আমাকেই ছোট করা,, শুনে রাখেন এই আপনার কপাল সোনায় বাধিয়ে রাখা উচিৎ আমার মত বউ পেয়েছেন বলে। তা না উনি বিয়ে করে দেবদাস হয়েছে। এই আপনি আমাকে যতটা অপেক্ষা করিয়েছেন আমি যদি তার বহুগুণ অপেক্ষা আপনাকে দিয়ে করাই তাহলে কেমন হবে বলুন তো???

এই মেয়ে কে তুমি?? আমার রুমে কি করছ?? তোমার সাহস তো কম নয় কার অনুমতি নিয়ে তুমি আমার রুমে প্রবেশ করেছ??

চলবে????