আমার হয়ে যা_পর্ব-১৭ (শেষাংশ)
.
পরদিন ঘুম থেকে উঠে নিষাদের অনেক মেসেজ পাই। আমি ইচ্ছা করেই রিপ্লাই দেই না। হাত-মুখ ধুয়ে নাশতা করতে যাই। নাশতা করে আবার ফিরে আসি রুমে। মোবাইল হাতে নিয়ে চাইলেই আমি এখন ওর মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারি। তবুও দেই না, কেন যেন ভালো লাগে আমার। চুপচাপ থাকতে মন চাচ্ছে। দুপুর অবধি রুমেই কাটিয়ে দিলাম। আম্মু কয়েকবার এসে গোসলের জন্য তাড়া দিয়ে গেলেন। আমি উঠে গোসল করে নিলাম। খেতে যাব তখন ডায়রেক্ট কল দিয়ে বসলো নিষাদ। আমি মুচকি হাসি। কিন্তু রিসিভ করি না। ও বারবার কল দিতে থাকে। একবার রিসিভ করি। ও হাঁপানোর মতো বললো, ‘এই তোর হঠাৎ কি হলো? সকাল থেকে খোঁজ নাই?’
‘আমার কিছু হয়নি, কিন্তু কথাবার্তা বন্ধ। আর বিয়ের পর কথা হবে, কালই তো বিয়ে’ ও কিছু বলার আগেই আমি কল কেটে দিলাম। এসব কেন যে এত ভীষণ ভালো লাগছে আমি বুঝতে পারি না। মনে হয় আমার একজন মানুষ আছে। দু’দিন পরই তাকে নিজের করে পেয়ে যাব। এটার জন্য সাময়ীক বিরহ যেন ভীষণ মধুর লাগছে। আমি খেতে গেলাম। আম্মু টানা বিয়ের ব্যাপারে সবকিছু বলে যাচ্ছেন। আমি কেবল ‘হ্যাঁ-ওকে-আচ্ছা’ বলে উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। খেয়ে পুনরায় রুমে চলে এলাম। বিকেলে আমার ঘুম পেয়ে গেল। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আরও অনেক মেসেজ দিয়েছে নিষাদ। আমি রিপ্লাই না দিয়ে একা একা হাসছি।
পরদিন সকালে আম্মু আমাকে গোসল করতে বললেন। আমি গোসল করি। আম্মু আমাকে যে শাড়ি পরতে বললেন। আমি বাধ্য মেয়ের মতো সেই শাড়ি পরলাম। দুপুরের দিকে আব্বা-আম্মা আমাকে সিএনজিতে করে শান্তিগঞ্জ বাজারে কাজি অফিসে চলে এলেন। ভেতরে গিয়েই দেখি নিষাদ আর ওর দু’জন কর্মচারী বসে আছে৷ ওর পরনে আমার উপহার দেয়া সেই ক্রিম কালার পাঞ্জাবি। কাজি সাহেবের সাথে আব্বা-আম্মা কথা বলছেন। এই ফাঁকে নিষাদ আমার পাশে এসে বসে ফিসফিস করে বলছে ‘তুই কি শুরু করলি, কল-টল কিছু রিসিভ করিস না। মেসেজ দিলে রিপ্লাই দিস না।’
আমি ওর দিকে না তাকিয়ে মাথা নুইয়ে বসে আছি। সে পুনরায় বললো, ‘কি হলো, চুপ আছিস কেন?’
আমার কেন যেন হাসি পাচ্ছে। ফিসফিস করে বললাম, ‘তুই এখানে এখন ঝগড়া করবি না-কি।’
সে চারদিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেল। দীর্ঘ সময় পর কাজি সাহেব আমাদের ডেকে নিলেন। আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হলো। সেখান থেকে আম্মা-আব্বা আমাকে নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে এলেন। নিষাদ চলে গেল দোকানে। নিরামিষ বিয়ের মতো দিনটাও সেরকম কেটে গেল আমার। নিষাদ পুরোদিন মেসেজ দিলেও রিপ্লাই দিলাম না। ও এসে হাজির হলো রাত নয়টায়। আমি টের পেলেই রুমে চুপচাপ বসে রইলাম। আম্মু ওকে আমার রুমে নিয়ে এলেন। নিষাদ এসে চেয়ারে বসে পলিথিনের ব্যাগটি টেবিলে রাখলো। আমি চোরা চাহনিতে ওকে দেখলাম। সেই পাঞ্জাবি এখনও গায়ে আছে। ভীষণ সুন্দর লাগছে ওকে। আম্মু চলে যাওয়ার পরই সে আমার পাশে এসে বসে বললো, ‘এসব কেমন ফাজলামো শুরু করেছিস তুই? বিয়ে সেই দুপুরে হয়েছে তাও কথা বলিসনি।’
আমি কোনোরকম দ্বিধা না রেখে ওকে ‘তুমি’ করে সম্মোধন করে বললাম, ‘আমাকে তুমি বলবে, ‘তুই’ না।’
ও লাজুক হাসলো। আমি বিছানা থেকে নামলাম। ও সেখানে পা ঝুলিয়ে বসা ছিল। আমি ওর পা ছুঁয়ে সালাম করার আগেই ধরে ফেললো। টেনে বুকে নিয়ে দেখলাম সেও কোনো সংকোচ ছাড়া “তুমি” সম্মোধন করে বললো, ‘এসব তোমার করা লাগবে না।’
তারপর আমার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে ছেড়ে দিল। আমি ভেবেছিলাম জড়িয়ে ধরবে। হয়তো দরজা খোলা থাকায় তা করেনি। সে টেবিল থাকা পলিথিনের ব্যাগ থেকে চিপস, আইসক্রিম, চকলেট, আচার বের করে আমার জন্য রেখে বললো বিস্কুট আর ড্রিংকস এসব আম্মুর কাছে দিয়ে দিতে। আমি এগুলো কিচেনে নিয়ে গেলাম। আম্মু ডিম আর দুধ ট্রেতে করে আমার কাছে দিয়ে দিলেন। আমি নিয়ে এসে টেবিলে রাখলাম। ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম দুধের গ্লাস। ও অর্ধেক খেয়ে আমাকে দিল। আমিও খেলাম৷ তারপর ডিম খেলাম দু’জন।
ও ক্ষীণ সময় পর লাজুকমুখে বললো, ‘আমি তো পুরো রাত এখনে থাকবো না। আজ বারোটার দিকে চলে যাব’ তারপর ইতস্তত করে দরজা বন্ধ করতে পারবে কি-না বললো। বলতে গিয়ে তার মুখ কেমন লজ্জায় লাল হয়ে উঠেছে।
আমি ওর পাশে বসে বললাম, ‘তুমি এগারোটা অবধি এখানে থেকে আমাদের সঙ্গে খেয়ে-দেয়ে বাড়িতে গিয়ে বলবে আজ বাজারে খেয়ে চলে এসেছো, পারবে না?’
– ‘হ্যাঁ, তা বলা যাবে।’
– ‘এরপর ওরা ঘুমিয়ে গেলে জানালার দিকে দেখা করতে আসতে না? এরকম এখন থেকে আমার রুমে চলে আসবে। এখন তো আমরা বিয়ে করে নিয়েছি৷ লোকে জানলে জানুক এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
– ‘একদম, আমিও তাই ভেবেছিলাম। এরকম আসা যাবে। তাছাড়া এত লুকোচুরির কিছু নেই৷’
– ‘তাহলে দরজা এরকম থাক এখন।’
নিষাদ ইতস্তত করে বললো, ‘তবুও বন্ধ করে নাও। মানে হঠাৎ চাঁচি চলে আসবেন ভেবে অস্বস্তি লাগছে।’
আমি মুচকি হেসে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম৷ ও সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসে আমাকে পিছু থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে, গলায় অনবরত চুমু খেতে শুরু করলো। তারপর কোলে করে বিছানায় নিয়ে শুয়ে দিল আমাকে। ওর আদরে আদরে ক্রমশই আমার শ্বাস ভারী হয়ে উঠলো। আমি আশঙ্কা থেকে একবার ওর মুখ ধরে চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘খাওয়ার আগে ওসব না। পরে গোসল করে খেতে হলে নিজেই লজ্জা পাবে।’
সে মুচকি হেসে বললো, ‘আরে না, এগুলো আমার মাথায় আছে৷ কেবল আদরই করবো।’
কিন্তু এভাবে মিনিট ত্রিশেকের বেশি আমরা কেবল আদরেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারলাম না। দু’জনই হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লাম। একে অন্যকে পুরো পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠলাম।
ঠিক সাড়ে এগারোটায় আম্মু দরজায় নক দিলেন। আমরা দু’জনই বিছানায় উঠে বসে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেলাম। আমি ওকে বললাম, ‘এখন কি হবে? বাথরুম তো বারান্দার ওদিকে, গোসল করে খেতে হবে না?’
ও ক্ষীণ সময় ভেবে বললো, ‘অন্যদিন তোমাদের বাড়িতে খাব। আমি বাসায় চলে যাই।’
– ‘না আম্মু তা দেবে না। রান্না-বান্না করছে তোমার জন্য। এক কাজ করো, বাথরুমে গিয়ে গোসল না করে ফ্রেশ হয়ে নাও। তোয়েলে দিচ্ছি।’
ও ইতস্তত করে রাজি হয়ে গেল। তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে গেল। আমি চলে গেলাম আরেক বাথরুমে। দু’জন ফ্রেশ হয়ে রুমে এসেছি। আম্মু এসে খেতে ডাকলেন। আমরা সবাই একসঙ্গে খেতে বসলাম। আব্বা-আম্মা দু’জনই ওর প্লেটে এটা-ওটা তুলে দিতে শুরু করেছেন। দু’জনকেই আমার থেকে কম সুখী মনে হচ্ছে না৷ খাওয়া শেষে নিষাদ রুমে এলো। আমাকে জড়িয়ে ধরে পুরোমুখে অনেকগুলো চুমু দিয়ে বললো, ‘এখন যাই? দেড়টার দিকে চলে আসবো।’
আমার কেমন মন খারাপ লাগে। একটু সময়ের জন্যও যেন ছাড়তে মন চাচ্ছে না। তবু সে চলে গেল। বাসায় গিয়ে মেসেজ দিল। টুকটাক কথা হলো আমাদের। আমি উঠে আব্বার রুমে গিয়ে দেখি দু’জন শুয়ে আছেন। আমি আম্মুর পাশে শুয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে চুপচাপ শুয়ে রইলাম। আম্মু আমার মাথায় বিলি কেটে দিতে শুরু করলেন। আমি চোখবুজে রইলাম। নিজেকে কী অদ্ভুত ধরনের সুখী মানুষ মনে হচ্ছে আমার। আব্বু বোধহয় ঘুমিয়ে গেছেন। আম্মু ফিসফিস করে বললেন, ‘তোর বাপ কি যে খুশি৷ শেষ পর্যন্ত তোর একটা কিনার হইল।’
আমি কোনো জবাব দিলাম না। আম্মু একা একা কত কথা বলে যাচ্ছেন। আমার ঘুম চলে এলো৷ হুট করে ঘুম ভাঙলো ফোনের শব্দ শুনে। আম্মুও জেগে উঠলেন। ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন বোধহয়। আমি ফোন হাতে নিলাম।
– ‘কিরে, কে?’
‘কিছু না ঘুমাও’ বলে আমি চাবি নিয়ে এসে দেখি নিষাদ দাঁড়িয়ে আছে। আমি গ্রিলের দরজা খুলে দিলাম। ও ভেতরে এলো। তারপর তালা লাগিয়ে ওকে নিয়ে ভেতরে চলে এলাম। আম্মু বোধহয় বুঝেছেন, তাই আর উঠেও দেখলেন না কে এসেছে। রুমে আসার পর আমি বাতি জ্বালিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। ও বিছানায় বসে বললো, ‘ঘুমিয়ে গিয়েছিলে না-কি?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘তাই মুখ একদম বাচ্চাদের মতো হয়ে গেছে।’
আমি মুচকি হেসে গিয়ে ওর পাশে বসলাম। তখন খেয়াল করলাম বিছানায় বালিশ দুইটা৷ তারমানে আম্মু কোনো ফাঁকে এসে রেখে গেছেন। ও বিছানায় বসে থেকেই আমাকে জড়িয়ে ধরে টেনে নিজের কোলে তুলে নিল। এখন সে একটা ট্রাইজার আর গোল গলার কালো গেঞ্জি পরে এসেছে। বয়স অনেক কম লাগছে। অনবরত আমার কাঁধে গালে চুমু খাচ্ছে। আমি ওকে নিয়ে বিছানায় গেলাম। সে পাশের বালিশে শুলে আমি বুকে মাথা রাখলাম। নিষাদ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি ফিসফিস করে বললাম, ‘তুমি আমার মন কোনদিন জয় করে নিয়েছিলে জানো?’
সে ব্যগ্র গলায় বললো, ‘কোনদিন?’
– ‘যেদিন তোমার পাশে বসে বমি করার পরও দেখলাম তোমার এতটুকু ঘেন্না করছে না আমায়। যেদিন তুমি আমাকে পরম যত্নে কপাল টিপে দিলে। সেদিন আমি চোখবুজে ভাবলাম, এই যত্নগুলো কেমন মায়ের মতো। মা আমাদের সকল খারাপ নিয়েই ভালোবাসেন।’
নিষাদ আমার কপালে চুমু খেয়ে বললো, ‘আমি কেন তোমাকে ভালোবাসি, তা এত বুঝি না।’
আমরা এভাবে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে থাকি। ও আমাকে আদর করতে থাকে। ঘণ্টা খানেকের ভেতরে দু’জন আবার উত্তেজনার চরম পর্যায়ে গেলে। আমি ইচ্ছা করেই বাতি জ্বালানো অবস্থায় পুরোপুরি অনাবৃত হয়ে যাই৷ দেখতে চাই সাহেদের মতো নিষাদের কোনো অভিযোগ আছে কি-না। কিন্তু আমি তা ওর মধ্যে দেখতে পাই না। আমি কেবল দেখি একজন প্রেমিক পুরুষকে। যার চোখে আমি ভীষণ বিশেষ কেউ। আরও কিন্তুদিনের ভেতরে আবিষ্কার করি, আমার কোনো বিকৃত যৌন চাহিদা নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই। ওর প্রতি ক্রমশই আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা বাড়তেই থাকে। ও বুকে জড়িয়ে ধরলে মনে হয় জগতের সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা আমার।
এভাবে আমাদের দিন কাটতে থাকে। ও রোজ আমাদের বাড়িতে আসে। এতে তার বাড়িতে ঝামেলা হয়। সে এড়িয়ে চলে। মাসের পর মাস যায়৷ ক্রমশই এলাকার মানুষ আমাদের বিয়ে কথা জেনে যায়।
তার বাড়িতে বকলে ঘর থেকে বের হয়ে এখানে চলে আসে। খায় এসে আমাদের সাথে। ছয় মাসের মাথায় আমাদের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে দেয়। আমি একদিন হেসে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি তাহলে বাড়িতে খরচ দাও কীভাবে? সে জানায়, কাজের মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করি কি কি লাগবে। তারপর বাজার করে দিয়ে চলে আসি। মা-বাবার জন্য কাপড় অবধি এরকম দিয়ে আসে সে।
এক বছর পর, আমার কোল ধন্য করে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পুরো এলাকার মানুষ ততদিনে জেনে গেছে সব। ওর পরিবারও। ছেলেটির নাম আমার পছন্দমতোই রাখি, গল্প ইসলাম।
প্রায় পনেরোদিন পর।
একদিন বিকেলে নিষাদ দোকানে। হুট করে দেখি ওর মা-বাবা আমাদের বাড়িতে এসেছেন। চাচা-চাঁচি আমার রুমে এসে ঢুকেছেন। আম্মু সাথে। চাঁচি গল্পকে কোলে নিয়ে বসতে চাচ্ছেন। চাচা ধমক দিয়ে বললেন, ‘এখানে কোলে নিয়ে বসতে হবে কেন। আমার নাতিকে বাড়িতে নিয়ে চল।’
আম্মু লাজুক হেসে রসিকতা করে বললেন, ‘শুধু নাতিকে নিলেই কি হইব?’
তিনি রসিকতাটা বুঝতে পেরে বললেন, ‘সিএনজি নিয়েই এসেছি। নাতির সাথে যারা যাওয়ার যাবে।’
আম্মু আমাকে ইশারা করলেন। আমি চাচা-চাঁচি দু’জনের পা ছুঁয়ে সালাম করলাম। আম্মু সবকিছু রেডি করে দিয়ে আমাকে সিএনজিতে তুলে দিলেন। আমি নিষাদের বাড়িতে চলে এলাম। ও কিছুই জানে না। আমিও মেসেজ দিয়ে বললাম না। রাতে ফিরে এসেছে। এসে দরজা খুলে দেখে বাতি জ্বালানো, তার রুমে আমি আর বেবি। বিস্মিত হয়ে সে এগিয়ে এলো। চাঁচি পেছনে। সে একবার আমার দিকে, আরেকবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। আমি মুচকি হেসে বললাম, ‘আব্বু-আম্মু গিয়ে এনেছেন।’
সে খুশিতে তার মা’কে জড়িয়ে ধরলো। তার চোখ জলে ছলছল করছে। ওর এই আনন্দ অশ্রু দেখে আমারও চোখ ভিজে গেল।
_______সমাপ্ত____
লেখা: জবরুল ইসলাম