আমার হায়াতি পর্ব-০৬

0
5

#আমার_হায়াতি
পর্ব : ৬
লেখিকা : #Nahar_Adrita

( ৭০০+ এলার্ট🤦‍♀️🧛‍♀️🚫 )

সকাল পাঁচটা।
ঘরের চারপাশে ঘুমের নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে আছে। আলতো আলো জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকছে। হায়াত তখনো আধঘুমে চোখ মেলে তাকালো আদিবের দিকে।আদিবের পড়নে শুধু প্যান্ট আর হায়াতের পরনে আদিবের একটা টি-শার্ট। আদিব হালকা পিট পিট করে চোখ খুললো। হায়াতের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বললো,
— চলো, আমার লাজুকপাখিকে আজ আমি নিজ হাতে গোসল করাবো।

বিছানা থেকে ধীরে ধীরে কুলে তুলে নিলো হায়াতকে। হায়াত একটু লজ্জা পেয়ে মুখ গুঁজে রাখলো আদিবের বুকে।

বাথরুমে ঢুকে হালকা গরম পানি ছেড়ে দিলো সে। পানির ধোঁয়ায় চারপাশ মাখামাখি।
আদিব ভালোবাসায় ভেজা কণ্ঠে বললো,
– জান ব্যাথা লাগছে ?
– একটু।
– তাহলে আরেকবার হয়ে যাক।

বলেই আদিব হায়াতের গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। হায়াত লজ্জায় মুখ নিচু করে ফেললো,আদিব আস্তে করে হায়াতের বক্ষঃস্থলে কামড় দিলো। হায়াত আহ’ শব্দ করে আদিবের বুকে কিল ঘুষি মা’রতে লাগলো।আদিব দুষ্টু হেসে বললো,
– ইসস জান আমার লজ্জা পাচ্ছে।থাক জান লজ্জা পেতে হবে না আমরা আমরাই তো।
নাকে নাক ঘষতে লাগলো আদিব। হায়াত একটু উঁচু হয়ে আদিবের ওষ্ঠে ওষ্ঠ পুড়ে নিল। স্ত্রীর রেসপন্স পেয়ে আদিব আরো নেশালো ভাবে হায়াতকে স্পর্শ করতে লাগলো।

এরপর হালকা করে পানি ছিটিয়ে গোসল শুরু করলো।
হায়াত কখনো চোখ বন্ধ করছিল, কখনো আদিবের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকাচ্ছিল। পুরো সময়টা যেন ছিলো নিঃশব্দ ভালোবাসার ভাষা।

আদিব হায়াতকে কুলে করে রুমে নিয়ে এল। গোসল শেষে ভেজা চুলে, তোয়ালে গায়ে জড়ানো হায়াতকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো। ঘরের নরম আলোয় আয়নায় ওদের দু’জনের প্রতিবিম্ব একসাথে ধরা পড়লো—একদিকে লম্বা-সুঠামদেহী আদিব, অন্যদিকে ছোটখাটো, কচি মুখের হায়াত।

হায়াত আয়নার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ বলে উঠলো,
— আমি কত্তো পিচ্চি আপনার থেকে…হায়াতের চোখে-মুখে মিশে ছিলো খানিকটা লজ্জা, খানিকটা অবাক লাগা।

আদিব হেসে হায়াতের কাঁধে আলতো হাত রাখলো।
— তুমি তো আমার পিচ্চি রাণী… যাকে আগলে রাখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।

হায়াত মুখ নামিয়ে ফেললো, গাল লাল হয়ে উঠলো।

আদিব আয়নার দিকেই তাকিয়ে বললো,
— এই পিচ্চি মেয়েটাকেই আমি সারাজীবন ভালোবেসে যাবো… এই আয়না যেমন আজ আমাদের একসাথে দেখাচ্ছে, আমি চাই প্রতিদিন তোমাকে এভাবেই দেখতে।

হায়াত নিঃশব্দে মাথা নেড়ে ফেললো, হাসি ঠোঁটে লুকানো—ভালোবাসার এক চুপচাপ স্বীকারোক্তি।

হায়াত আয়নার দিকে তাকিয়ে আবারও আদিবকে দেখে বললো,
— আপনি এতো লম্বা কেনো ?

আদিব হেসে ওর মাথায় হাত রাখলো, যেন নিজের ছোট্ট দুনিয়াটা ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখছে।
— তোমাকে কুলে করে তুলতে যেন কষ্ট না হয়, তাই হয়তো আল্লাহ আমাকে লম্বা বানিয়েছে।

হায়াত মুচকি হেসে বললো,
— তাইলে আমাকে বাচ্চা ভাবেন নাকি?

আদিব কপাল ছুঁয়ে বললো,
— বাচ্চা না, তুমি আমার সবচেয়ে আদরের মানুষ। একটু পিচ্চি, একটু নরম, একদম আমার মনের মতো।

হায়াত মুখ টিপে হেসে বললো,
— আচ্ছা, আপনি তো কুলে তুলতেই ভালোবাসেন…

আদিব হেসে জবাব দিলো,
— তুলে রাখবো, যতদিন আমার হাত শক্ত থাকবে… যতদিন তুমি #আমার_হায়াতি হয়ে থাকবে।

— হু আমি আপনারই হায়াত। আচ্ছা আমার নাম তো হায়াত,তাহলে হায়াতি বলেন কেনো ?
— হায়াতি মানে পৃথিবী, এর জন্যই বলি তুমি #আমার_হায়াতি বুঝলেন ম্যাডাম।
— হু স্যার।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হায়াত আর আদিবের সেই মিষ্টি মুহূর্তটা ভাঙলো হঠাৎ দরজায় টোকা দিয়ে।

– ভাইয়া, ভিতরে আসি?

আদিব দরজা খুলতেই দেখা গেলো তার দুই চাচাতো বোন—নুপুর আর মিনহাজা। দু’জনের হাতভর্তি চুড়ি, আলতা, টিপ, হেয়ার ব্রাশ আর কিছু গয়না।

নুপুর দুষ্টু হেসে বললো,
– ভাবি তো একদম পিচ্চি পুতুলের মতো ! এখন আমরাই সাজিয়ে দেবো, ভাইয়া তুমি একটু সরে দাঁড়াও।

আদিব মুচকি হেসে বললো,
– আমার রাণীকে বুঝে সাজাবি, বেশি ঝলমলে করে ফেলবি না, আমার চোখে না লাগে যেন।

মিনহাজা হায়াতকে আয়নার সামনে বসিয়ে চুল আচড়ে দিতে লাগলো, নুপুর হায়াতের হাতে চুড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে। হায়াত একটু লাজুক হয়ে বললো,
– আপুরা, অত সাজালে উনি আমাকে চিনবেই না !

নুপুর হাসতে হাসতে বললো,
– চিনবে না মানে? ভাইয়া তো আগেই প্রেমে হাবুডুবু খায়।

আদিব ওদের আড়াল থেকে বললো,
– সাজলেও আমার হায়াত, না সাজলেও আমার হায়াত… শুধু একটুখানি বেশি মায়াবতী লাগবে হয়তো।

হাসি-ঠাট্টায় ঘরটা ভরে উঠলো।
চুড়ির টুংটাং, চুলে পারফিউমের সুবাস, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক—আর আয়নায় এক নতুন নববধূ হায়াত।

চাচাতো বোনেরা সাজাতে সাজাতে একসময় একটা রেশমি শাড়ির প্যাকেট বের করলো। নুপুর সেটা খুলে হায়াতের চোখের সামনে মেলে ধরলো—একটা গাঢ় লাল, সোনালি জরি-কাটা দামি জামদানি শাড়ি। এক ঝলকে দেখে চোখ আটকে গেলো হায়াতের।

মিনহাজা হেসে বললো,
– এইটা আদিব ভাইয়া নিজে কিনেছে, বলেছে এই শাড়িতেই ওর লাজুক পাখিকে দেখতে চায়।

হায়াতের গাল লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। সে আস্তে বললো,
– অত লাল রঙ তো আমাকে মানাবে না…

নুপুর একরাশ হাসি নিয়ে বললো,
– তোমার গায়ের রঙে এই লালটা আগুন লাগিয়ে দেবে ভাবি !

ওরা মিলে খুব যত্ন করে হায়াতকে সেই শাড়ি পরিয়ে দিলো। গলায় হালকা একসেট সোনার গয়না, হাতে রেশমি চুড়ি, কপালে সোনালি টিপ। হায়াত আয়নায় তাকিয়ে নিজেকেই যেন চিনতে পারছিল না—এতো নরম, এত মায়াবতী, যেন রূপকথার নববধূ।

ঠিক তখনই দরজার পাশে এসে দাঁড়ালো আদিব। চোখ একদৃষ্টিতে আটকে গেলো হায়াতের ওপর। মুহূর্তের মধ্যে ওর ঠোঁটে হাসি আর চোখে মুগ্ধতা।

– এই লাল শাড়িটার মতোই তুমি আমার জীবনে রঙ এনেছো, হায়াত… বললো আদিব, কণ্ঠে মিশে থাকা ভালোবাসার গভীরতা।

হায়াত চোখ নামিয়ে ফেললো, ঠোঁটের কোণে একফালি হাসি।
চাচাতো বোনেরা ফিসফিস করে বললো,
– এই দৃষ্টিতে প্রেম থাকে, অভিমান থাকে না…

হায়াত যেন এক কুড়ানো রূপকথার পাতায় জন্ম নেওয়া মেয়েটা—দুধের মতো ফর্সা, নিখুঁত কোমল একটা ত্বক। আয়নার সামনে লাল জামদানি শাড়িতে বসে থাকা হায়াতকে দেখে যেন চোখ ফেরানো যায় না। তার গায়ের রঙে লাল রঙটা ঠিক যেন আরও বেশি ঝলমল করে উঠেছে।

নুপুর ফিসফিস করে মিনহাজাকে বললো,
– দেখছিস ! ভাবির রঙটা কেমন দুধের মতো পরিষ্কার ? শাড়িটা একদম জমে গেছে!

আদিব পাশে দাঁড়িয়ে চুপচাপ দেখছিল। হঠাৎ এগিয়ে এসে আয়নার দিকে তাকিয়ে বললো,
– এতো ফর্সা হবার মানে কী জানো, হায়াত?

হায়াত চোখ বড় বড় করে তাকালো,
– কী মানে ?

আদিব ধীরে বলে,

– আল্লাহ যেন আমার জীবনে সবচেয়ে পবিত্র আলোটুকু তোমার গায়ের রঙে ফুটিয়ে দিয়েছেন। তোমার মাঝে কোনো দাগ নেই, কোনো ভাঙচুর নেই—শুধুই সৌন্দর্য আর শান্তি।

হায়াত লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেললো। ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি, যেন সে বিশ্বাসই করতে পারছে না এত প্রশংসা।

মিনহাজা তখন বলে উঠলো,
– ভাইয়া,তুমি না একদম কবি হয়ে গেছো !

আদিব হেসে বললো,
– হায়াতকে দেখলেই মনটা এমন কবিতার মতো হয়ে যায়।

এই রঙ, এই সাজ, এই মুহূর্তগুলো দিয়েই এক টুকরো ভালোবাসার সকাল গড়ে উঠলো—যেখানে দুধের মতো ফর্সা হায়াতকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছিল আদিবের নিঃশব্দ মুগ্ধতা।

আদিব নিজেই হায়াতকে কুলে করে তাকে ধীরে ধীরে নিচে নামিয়ে আনলো। সিঁড়ি বেয়ে নামতেই নিচে বসে থাকা মেহমানদের মুখ হঠাৎ থমকে গেলো। সবাই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো হায়াতের দিকে—কেউ বিস্ময়ে, কেউ প্রশংসায়, কেউ ঈর্ষাতেও।

একজন খালা ফিসফিস করে পাশের ভাবিকে বললো,
– মা গো! এ যে রূপকথার পরী! মেয়েটার রংটা দেখেছো ? দুধ-সাদা… আর কী শান্ত একটা মুখ !

আরেকজন মামা চোখ কচলে বললো,
– আরে এ তো আসলে মানুষ না,মাশাআল্লাহ,, ঝলসে ওঠা চাঁদ! আদিব ভাগ্যবান বটে !

নুপুর গর্ব করে বললো,
– ভাবি তো আমাদের রাজপরী! ভাইয়ার রানি… সাজতেই এমন লাগছে যেন নতুন বউ না, সিনেমার হিরোইন!

হায়াত নিচু চোখে মাথা হেঁট করে বসে রইলো, মুখে লাজুক হাসি। কিন্তু তার গায়ের আভা, তার কোমলতা, তার উপস্থিতি—ঘরে বসে থাকা শত মেহমানের দৃষ্টি ছুঁয়ে গেলো এক নিমিষেই।

তখন হায়াত দু’হাত তুলে ধীরে, শান্ত কণ্ঠে সবাইকে সালাম দিলো,
– আসসালামু আলাইকুম।

একটা ভরাট, নরম, মধুর কণ্ঠ যেন কানে মধু ঢেলে দিলো সবার। রূপ দেখে সবাই মুগ্ধ ছিল, আর এবার কণ্ঠ শুনে যেন ভিতরটা কেঁপে উঠলো উপস্থিতদের।

একজন বয়স্ক দাদি চোখ বড় করে বললেন,
– হায় রে! এই মেয়ের কণ্ঠটা তো যেন রেডিওতে কোরআন তেলাওয়াত শোনার মতো!

আরেকজন চাচা পাশে বসা মানুষটাকে ধাক্কা দিয়ে বললেন,
– এই যে ভাই, এইটা কী রূপ, আর এই কণ্ঠ? আদিব তো আজ ভাগ্য কুড়াইছে!

একটা ছোট্ট খালা মেয়েকে কানে কানে বললো,
– শুধু সুন্দর না, কণ্ঠে এমন দোয়া আছে, যে শুনবে সে পাগল না হয়ে থাকতে পারবে না।

আদিব একটু দূর থেকে দাঁড়িয়ে সেই মুহূর্ত দেখছিল। ওর বুক যেন গর্বে ভরে গেল। নিজের হায়াতকে দেখে মনে হলো—
– ও শুধু আমার বউ না, ও আমার সম্মান, আমার সৌভাগ্য… আমার জান্নাতের প্রথম দরজা।

আর হায়াত? সে মাথা নিচু করে বসে, সব প্রশংসার মাঝে থেকেও একেবারে নরম, বিনয়ী। যেন জানেই না সে কী পরিমাণ আলো ছড়াচ্ছে…

একটুপর হায়াত ট্রে হাতে এক এক করে খাবার পরিবেশন করছিল—ননদ, চাচী, শশুর, চাচা শশুর, সবাইকে দারুণ আদব আর ভালোবাসা নিয়ে। গায়ে লাল জামদানি, গলায় সোনার চেইন, মুখে মিষ্টি হাসি।

খাবার পরিবেশনের একসময় হঠাৎ গুঁজে রাখা চুলের খোঁপাটা খুলে গেলো। মুহূর্তে ওর চুল ঢলে পড়লো পিঠ বেয়ে, তারপর কোমর ছুঁয়ে একেবারে হাঁটুর কাছে এসে থামলো!

ঘরটা থমকে গেলো।
চুলের সে কী দৈর্ঘ্য! কী স্নিগ্ধ কালো রং! কী পরিপাটি ঢেউ!

চাচী অবাক হয়ে বললেন,
– হায় রে! হাঁটু অব্দি চুল, এত সুন্দর, এত পরিপাটি চুল আজকাল ক’জনের হয়।

ননদ ফিসফিস করে বললো,
– ভাবির চুল তো একদম সিনেমার নায়িকার মতো! একবারে রাজকীয়।

শশুর হেসে বললেন,
– আদিব,বাজান তোর বউকে তো দেখলেই মনে হয়, আল্লাহ নিজ হাতে বানিয়ে পাঠিয়েছেন।

চাচা শশুর চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললেন,
– এই মেয়েটা শুধু রূপে নয়, স্বভাবে, চুলে, চাহনিতে—সবকিছুতেই আলাদা। এই ঘরের সৌভাগ্য।

হায়াত একটু লজ্জা পেয়ে চুলগুলো সামলানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু চুলের ঢল যেন বাঁধ মানছিল না।

আদিব পাশ থেকে এগিয়ে এসে আস্তে করে বললো,
– এ চুলে আমি গন্ধ পাই জান্নাতের… এই চুল, এই মেয়েটা শুধু আমার।

হায়াতের গাল রাঙা হয়ে গেলো, মাথা নিচু করে আবার খাবার পরিবেশনে মন দিলো। কিন্তু মেহমানরা তখনও চুলের সেই সৌন্দর্য ভুলে উঠতে পারেনি।

________

রাত দশটা। মেহমান ভরা বাড়িটা কেমন নিরব হয়ে গিছে। মনে হচ্ছে একদম শুনশান রাতের শহর। হায়াত মাথার চুল আঁচড়াচ্ছিলো,আদিব বসে বসে অফিসের কাজ কাজ করছিলো,তার বাবা রাকিব চৌধুরীর কড়া আদেশ সপ্তাহে দুইদিন কলেজে ক্লাস করালেও এখন থেকে প্রতিদিন অফিসেও যেতে হবে। আদিবও রাজি হয়ে গিয়েছে। বিয়ে করেছে বউটার চাহিদার কোনো কমতি রাখা যাবে না। নিরবতা ভেঙে হায়াত বললো,

– শুনছেন।
– হু পাখি বলো।
– আচ্ছা বাড়ির সকলে কোথায় চলে গেলো।
– কে ?
– চাচী আম্মু, মিনহাজা,নুপুর, আব্বু,চাচ্চু সকলে নেই কেনো ?
– ওনারা বাসায় চলে গেছে জান,এটা আমার বাড়ি,বাবা এসে থাকে মাঝেমধ্যে, চাচা চাচী সবারই নিজস্ব বাড়ি আছে,আমাদের বিয়ের জন্য সবাই এসেছিলো।

– আর শাশুড়ী আম্মু, ওনি কোথায়……

– তোমার শাশুড়ী আম্মু আমেরিকায় বাবার বাড়ি গিয়েছে।
– আম্মু কি বিদেশি।
– না সোনা,তোমার আম্মু নানি বিদেশি ছিলো,আমার নানি বাংলাদেশে এসে নানাকে বিয়ে করে আবার বিদেশ চলে গিয়েছিলো,তারপর আম্মু হওয়ার পর বাংলাদেশে খুলনায় এসে পড়েছিলো,তারপর বাবার সাথে আম্মুর বিয়ে হই।
– ওহ।আম্মু কি জানে…..
– না, বাট ম্যানেজ করে নিবো,তোমার চিন্তা করতে হবে না,মা একটু রাগী বাট তোমার মতো মিষ্টি পরীকে দেখলে এমনিই মন গলে যাবে। চুপ এখন কোনো কথা না,আদর করবো আসো বুকে আসো,
– না সকালেও ব্যাথা দিয়েছেন,
– এটা ব্যাথা না জান,এটা সুখ।

এই বলেই হায়াতকে হেচকা টানে বুকে মিশিয়ে নিল আদিব।একটু একটু করে তারা কাছে আসলো,আদিব আস্তে করে হায়াতের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ পুড়ে নিলো……এভাবেই দুটি হৃদয় সম্পুর্ন পরিপূরক হয়ে গেলো।

ভোর পাঁচটা লাজুকপাখিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
– ঘুমাও সকালে আরেকবার আদর করবো,তারপর গোসল সেরে নিবো।
– উহু আর না।
– হুসসস কোনো কথা না ঘুমান এখন বউজান।

চলবে….