আমি যে কে তোমার পর্ব-১০+১১

0
27

#আমি_যে_কে_তোমার

(দশম পর্ব)

আমানের জ্ঞান ফিরলো পাক্কা চারদিন পরে। এই পুরোটা সময় মারিয়া ওর চোখের সামনে থেকে নড়ে নি। এজন্য অবশ্য কম ঝামেলা করতে হয় নি। সার্জারি ইউনিটের স্যার তো কিছুতেই মারিয়াকে ছাড়বে না, আবার এমন নিয়মও আসলে নেই।

অনেকের হাতে পায়ে ধরে তবেই অনুমতি মিলেছে এজন্য অবশ্য তাকে জীবনের কাহিনী বলা লেগেছে। এই প্যাশেন্ট যে ওর জীবনে কত বড় ভূমিকা রেখেছে, ওর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে তার বিস্তারিত বিষয় বলা লেগেছে। কিভাবে থানার হাজতখানা থেকে আজ এই মেডিকেলে, কিভাবে মাদকাসক্ত স্বামীর বউ থেকে ডাক্তার মারিয়া সেই ইতিহাস বলতে হয়েছে। তাতে মারিয়ার কোন খেদ নেই। ওর জীবনে আমানের ভূমিকার কথা মারিয়া তো মাইকিং করে বলতেও রাজী।

আমানের বন্ধ চোখ, ব্যথাতুর মুখ, কপালের পাশে লেপ্টে থাকা চুলের দিকে মারিয়া এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। খুব ইচ্ছে করে হাত দিয়ে চুলগুলো ছুঁয়ে দিতে। আল্লাহর কাছে আমানের জন্য প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করে। প্রার্থনায় উঠা হাতগুলো মারিয়ার চোখের পানিতে ভিজে যায়। সিস্টাররা মাঝে মাঝে অবাক হয়ে নানান প্রশ্ন করে।

– ডাক্তার, পেশেন্ট আপনার কি হয়? প্রায় দেখি আপনার চোখে পানি। উনার সামনে থেকে নড়তেই দেখি না।

– রক্তের সম্পর্কে কিছু হয় না সিস্টার। সব সম্পর্ক কি রক্ত কিংবা আত্মীয়তা দিয়ে হয়? উনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন সিস্টার।

– তবুও ডাক্তার এমন আন্তরিকতা, এমন সেবা অতি আপনজনেরাও করে না। গত তিনদিনে আপনাকে তো ঘুমাতেও কেউ দেখে নি। ঐ চেয়ারেই বসে আছেন। উঠেন তো গোসল করে খেয়ে আসেন। সিনিয়র স্যাররা তো দেখেছেন। উনার শীঘ্রই জ্ঞান ফিরবে। আপনি তো অসুস্থ হয়ে যাবেন।

– সিস্টার আমিও তো মেডিকেল স্টুডেন্ট। জ্ঞান না আসা পর্যন্ত কোন নিশ্চয়তা নেই। কোমায় চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা অনেক বেশি। মাথায় যে আঘাত তাতে এখনো জ্ঞান না ফেরার কোন কারণ নেই। তবুও অদ্ভুত কোন অজানা কারণে উনার জ্ঞান ফিরছে না!

– আল্লাহ ভরসা ডাক্তার। উনি অন্যের জীবন বাঁচানোর মতো পূণ্য করেছেন। আল্লাহ নিশ্চয় উনাকে বাঁচিয়ে তুলবেন।

আমান প্রথমে বুঝলো সে কোথাও শুয়ে আছে। মাথা, হাত, পা অসম্ভব ভারী হয়ে আছে। শরীর জুড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করলো। আশেপাশের শব্দ, গন্ধে বুঝতে পারলো হাসপাতালে শুয়ে আছে। কেন যেন তাকাতে ইচ্ছা করলো না। ওর জন্য কেউ কোথাও অপেক্ষায় নেই, এটা ওর মাথার মধ্যে যেন গেঁথে ছিলো। জীবনের প্রতি, বেঁচে থাকার প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ধীরে ধীরে মনে পড়লো কিভাবে অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিলো। ওদের ড্রাইভারের কোন দোষ ছিলো না। রাস্তাটা বাঁকানো ছিলো। বিপরীত দিক থেকে আসা তীব্র গতির একটা ট্রাক একদম ওদের মাইক্রোতে আঘাত করে। আমান একদম ড্রাইভারের পেছনের সিটে ছিলো। ট্রাকের আসা দেখে পেছন দিক থেকে ছটকে যেয়ে সিটের ফাঁক দিয়ে ড্রাইভারকে একদিকে ধাক্কা দেয়। এটা করতে যেয়েই আমানের শরীরের অনেকটা অংশ সামনের দিকে চলে আসে। বিরাট আঘাতে পুরো শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে। তারপর তীব্র ব্যথা আর সব অন্ধকার।

আমান চেয়েছিলো ড্রাইভার বেঁচে থাক। ওর পরিবার আছে – বউ, বাচ্চা, বাবা মা। ঠিক অতোটুকু মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে আসলো আমান জানে না। কিন্তু ওর মনে হয়েছিলো নিজের চেয়ে ড্রাইভারের বেঁচে থাকাটা বেশী জরুরী।

প্রায় পাঁচ মিনিট এভাবে চোখ বন্ধ করে নানান কথা ভাবছিলো আমান। হঠাৎ শুনতে পেলো কোন একটা নারী কন্ঠ খুব নিচু স্বরে প্রার্থনার ভঙ্গিতে বলছে – “আল্লাহ, উনি যেন কোমায় না চলে যায়। আল্লাহ উনার জ্ঞান ফিরিয়ে দাও। আঘাত কয়েকটি হলেও তো জ্ঞান না ফেরার মতো না। আল্লাহ প্লিজ আমানের জ্ঞান ফিরিয়ে দাও”।

আমানের নাম ধরে কে এভাবে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে প্রার্থনা করছে, তাও আবার নারী কন্ঠ এটাতে ভীষণ অবাক হয়ে চোখ খোলে আমান। চোখ খুলে আরো অবাক হয়। ডাক্তারদের সাদা এপ্রোন পরা একটি মেয়ে দুই হাত জড়ো করে সেটা বুকের কাছে ধরে চোখ বন্ধ করে বিড় বিড় করে একই কথা বার বার বলেই যাচ্ছে। মাথায় হালকা আকাশী রঙের একটা ওড়না টানা। চোখের নিচে কালি এবং ক্লান্তির ছাপ।

আরে এই তো সেই মেয়েটা! সেই যাকে পানাম নগরে দেখেছিলো। আজ মুখটা শুকনা, খুবই বিষন্ন। কিন্তু আমানের মনে হয় পানাম নগরেও ঠিক না, এই মেয়েকে আগেও অন্য কোথাও দেখেছে। স্মৃতি হাতড়ে ঠিক মনে করতে পারে না।

– ডাক্তার, চোখ তো খোলেন। আপনার প্যাশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে। আপনার দোয়া কবুল হয়েছে।

এক নার্স ওষুধ নিয়ে পাশের বেডে যাওয়ার সময় দৌড়ে এসে মেয়েটাকে ঝাঁকি দেয়। মেয়েটা শক খাওয়ার মতো চমকে উঠে আমানের দিকে তাকায়। আমান সেখানে তীব্র খুশির আভা দেখতে পায়। কিন্তু মেয়েটা আমানের সাথে কোন কথা না বলে দৌড়ে বের হয়ে যায়।

আমান আরো অবাক হয়। এতো কাকুতিমিনতি করছিলো আমানের জ্ঞান ফেরার জন্য। কিন্তু এখন এভাবে বের হয়ে গেলো কেনো? আমান আজ সারপ্রাইজের পরে সারপ্রাইজ। কোন রকমে একটু মাথা ঘুরানোর চেষ্টা করে পারে না। অনেকটা ফিসফিসিয়ে ডেকে উঠে

– সিস্টার!

সিস্টার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো।

– জি বলেন

– এখন কয়টা বাজে?

– এখন সাড়ে সাতটা বাজে। সন্ধ্যা পার হতে গেছে।

– উনি কে? উনি দৌড়ে গেলো কেন?

– উনি ডাক্তার। সম্ভবতঃ বড় স্যারদের ডাকতে গেছেন। আপনি আর কথা বলবেন না। আপনার ভাইটালগুলো চেক করে নোট নিই। এখুনি স্যারেরা এসে দেখতে চাইবেন।

একটা মনিটরে আমানের বিপি, হার্ট রেট, অক্সিজেন স্যাচুরিয়েশন সবকিছু উঠছিলো। নার্স সেগুলো নোট করে নিলেন।

আমানের মাথায় তখনো সেই এপ্রোন পরা মেয়েটার কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে। সে যে ডাক্তার এপ্রোন দেখেই বুঝেছে। কিন্তু আমানের জন্য এভাবে কাঁদছিলো কেন?

– আলহামদুলিল্লাহ আপনার সব কিছুই মোটামুটি ভালোই আছে। ডাক্তার মারিয়া যেভাবে কান্নাকাটি করেছেন, আল্লাহ আপনাকে ভালো করবে সেটা আমরা জানতাম।

– ডাক্তার মারিয়া?

– যিনি এখানে ছিলো। দৌড়ে গেলো যে। আপনি চিনেন না? কিন্তু উনি তো সবাইকে বলে আপনি নাকি উনার জীবন বাঁচিয়েছেন। গত চার রাত প্রায় ঘুমায় নি। এই চেয়ারেই বসে কাটিয়েছেন। আমরা কতো বললাম একটু ঘুমান, একটু রেস্ট নেন। তা উনি আমাদের কারো কথাই শোনেন না। একবার আপনার দিকে আরেকবার এই মনিটরের দিকেই তাকিয়ে থাকে। আর নীরবে খালি কাঁদে।

এই সিস্টারটা একটু বয়স্ক। উনার একটু বেশি কথা বলার দোষ আছে। উনি আমানের ট্রিটমেন্ট ফাইলে কিছু একটা লিখতে লিখতে নিজের মনে বকে যাচ্ছিলো।

মারিয়া!

আমানের মনে পড়ে গেলো দুইটা দৃশ্য। থানার মধ্যে নববধূবেশে এক মেয়ে। আর আমানের অফিসে সেই মেয়েটা এসে হঠাৎ পা ছুঁয়ে সালাম করা। প্রতিধ্বনিত হলো একটা বাক্য – স্যার, আমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছি!

(চলবে)

#আমি_যে_কে_তোমার

(১১তম পর্ব)

আমানের ঘোর কাটার আগেই একদল ডাক্তার এসে হাজির হলো। আমানের চেক আপে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কি ওষুধ চলছে, পরবর্তীতে কি ট্রিটমেন্ট প্লান হবে, এসব নিয়ে নিজেরা আলোচনা করতে থাকে। আমানের শারীরিক অবস্থা কেমন ছিলো আর এখন কেমন আছে, কি কি চেঞ্জ এসেছে – মারিয়া সিনিয়র ডাক্তারদের এসবের বিশদ বিবরণ দিচ্ছিলো। আমান সেদিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। মারিয়া, সেই যে হাজতে বসে থাকা খরগোশের মতো ভীতু মেয়েটি আজ ডাক্তার হয়েছে!

আমান যে ভেবেছিলো, কোথাও কেউ ওর জন্য অপেক্ষায় নেই তাহলে সেই কথাটা তো সত্য না! মারিয়ার কান্না, মারিয়ার প্রার্থনা প্রমাণ করে পৃথিবীতে কেউই আসলে ভালোবাসা শূণ্য থাকে না। অপ্রত্যাশিত ভাবে ভালোবাসা চলে আসে। আমরা হয়তো বুঝতে পারি না, অনুভব করি না। আমরা হয়তো প্রেমিকা বা স্ত্রীর ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকি কিন্তু এদিকে বাবা মা তাদের জীবন দিয়ে ভালোবাসার ডালি নিয়ে বসে থাকে। কারো জীবনে হয়তো সেটাও নেই কিন্তু এমন চমৎকার একজন বন্ধু আছে যে সব সময় পাশে থাকে কিন্তু সে চলে না যাওয়া পর্যন্ত বোঝায় যায় যে আসল ভালোবাসার মানুষটা কে ছিলো!

আমানেরও তাই হয়েছে। বাবা সারাজীবন উদাসীন, আত্মকেন্দ্রিক। যিনি অপরিসীম ভালোবাসতেন, সেই মা চলে গেছেন। আমান ভেবেছিলো, ওর ভালোবাসার মানুষ আর কেউ নেই। কিন্তু কে জানতো এই মেয়েটা তার মঙ্গল কামনায় সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, ওর সেবায় রাত দিন এক করে ফেলছে৷

একজন সিনিয়র ডাক্তার অন্য সব ডাক্তার, নার্স সবাইকেই সরিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে আমানের সামনে বসে।

– আমান, তোমার মা’কে আমি চিনতাম। আমারই ব্যাচমেট ছিলো। চমৎকার হাসিখুশি একজন মানুষ। শর্মিলী কোথাও আসলে সেই জায়গাটাই আলোকিত হয়ে যেতো। এমনই তার ব্যক্তিত্ব, এমনই তার আন্তরিকতা। তারই ছেলে তুমি। কিন্তু তুমি ভীষণ বিষন্ন, বিষাদে ভরা তোমার শরীর মন। এমনই গভীর সেই বিষাদ যে তুমি বেঁচে থাকতেই চাও নি! আমরা যতোই চিকিৎসা দিই, ওষুধ দিই তোমার কাছ থেকে কোন রেসপন্সই আসছিলো না কারণ বেঁচে উঠার ইচ্ছাটাই তোমার ছিলো না। তবুও যে জ্ঞান ফিরেছে এই মারিয়া মেয়েটার জন্যই। মারিয়ার জীবনের ইতিহাস আমি জানি। কেন জানি বলো তো? তোমার কাছে থাকার জন্য এই মেয়েটা আমাদের সবার চেম্বারে চেম্বারে ঘুরেছে। এমন শুভাকাঙ্ক্ষী যার আছে, তার তো বুক ফুলিয়ে বাঁচা উচিৎ!

– আপনি ঠিকই বলেছেন স্যার!

– বি স্ট্রং ইয়াং ম্যান। আমাদের সবার জীবনেই এমন বিষাদের সময় আসে। তুমি তো মানুষের, সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার কাজ করো, এখন নিজের জীবনের শান্তি আনার দিকে মনোযোগী হও!জীবনটা আফসোস করে কাটানোর জন্য খুবই ছোট। বরং সুখের স্মৃতি তৈরি করো, যেগুলো পরে তোমাকে হাসাবে, বেঁচে থাকার শক্তি যোগাবে।

এরপর উনি উঠে মারিয়াকে ডেকে কিছু বললেন। মারিয়া একটু পরে ফিরে আসলো। হাতে একটা স্যুপের বাটি। আমানের মুখোমুখি একটা টুলে বসলো। আমানের দিকে একটু তাকানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না। এদিকে আমান মারিয়ার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

– আ আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা জানি না..

নিজেকে সামলে নিয়ে মুখ নিচু করে হাতের স্যুপের বাটিতে চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে বললো মারিয়া। কিন্তু ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই আমান ওর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললো

– মারিয়া। উহু ভুল বললাম ডাক্তার মারিয়া!

এক মুহূর্তের জন্য মারিয়া যেন কেঁপে উঠলো। হাতের স্যুপের বাটির সাথে চামচে একটু জোরেই যেন বাড়ি খেলো – ঠক, ঠক…

যদিও সাথে সাথেই মারিয়া সামলে নিয়েছে কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগের তুখোড় অফিসার আমানের চোখ ফাঁকি দেয়া এতোটাও সহজ না।

– একটা অদ্ভুত বাস্তবতা কি জানো মারিয়া?

– কি?

অস্ফুট স্বরে মারিয়া বলে উঠলো যেন নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করছে মারিয়া। শব্দটুকু আমানের কানে পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ!

– আমি ভাবছিলাম আমার জন্য কোথাও কেউ নেই। কেউ অপেক্ষায় নেই। বাঁচারই ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু আমি যদি না বাঁচতাম, জ্ঞান ফিরে না আসতো তাহলে কোন একজনের এই চোখের নিচের কালি, চোখের জল দেখার সৌভাগ্য কি হতো!

মারিয়ার নিচু মুখ আরো নিচু হয়ে যায়। টুপ করে দু চোখ থেকে দু ফোঁটা জল ঝরে পড়ে। নিজেকে সামলে মারিয়া স্যুপের বাটি আমানের সামনে নিয়ে আসে।

– আপনাকে খেতে হবে। হাতের অবস্থা যেহেতু খারাপ, আসেন খাইয়ে দিই।

– এখন তো আমার চোখ থেকে জল ঝরবে মারিয়া। মা চলে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পরে কেউ আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে, এতোটা যত্ন নিচ্ছে।

– আপনি হয়তো কাউকে সে সুযোগ দেন নি।

আমানের মুখে স্যুপ তুলে দিতে দিতে আস্তে করে বলে।

আমান আর কথা বাড়ায় না। ডাক্তারের কথা মতে স্মৃতি জমাতে থাকে। এই মুহূর্তটা নিশ্চিত একটা সুখের স্মৃতি।

আচ্ছা মারিয়া আমার জন্য এতো করছে সেটা কি নিছকই কৃতজ্ঞতা বোধের জায়গা থেকে? নিজেকেই প্রশ্ন করে আমান। মাথার মধ্যে পোকা ঢোকার মতো এই প্রশ্ন ঢুকে কামড়াতে থাকে যেন!

(চলবে)