আষাঢ়িয়া প্রেম পর্ব-০৫

0
1

#আষাঢ়িয়া_প্রেম 💓
লেখনিতে #মিমি_মুসকান
#পর্ব_৫

ফারজানার মন আনচান করছে। আজ ছুটির দিন। ভার্সিটি নেই। অথচ ফাহাদ সাহেবের সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করছে।‌ কিভাবে করবে? সম্ভব হবে আদৌও। এই অসম্ভব কে সম্ভব করল ফাহাদ সাহেব নিজেই। মেসেজের টুং টুং শব্দ। ছুটে ফোনের কাছে এলো। নোটিফিকেশনে বিশিষ্ট ফাহাদ সাহেবের নামটা দেখেই হাত কিড়মিড় করছে রিপ্লাই দেবার জন্য। না না,‌ সে অপেক্ষা করলো। এতো জলদি রিপ্লাই দেওয়া ঠিক হবে না ভেবে দু মিনিট সময় নিল। অতঃপর রিপ্লাই দিল।

নিউমার্কেটে দেখা করবার কথা উঠল। হঠাৎ কেন নিউমার্কেট ফারজানা তা বুঝতে পারছে না। বেচারা বোধহয় পার্কে নিয়ে যাবার কথা সরাসরি বলতে পারছে না। তাই নিউমার্কেটের কথা বলছে। নিশ্চিত দেখা হলেই কোনো পার্কে নিয়ে যেতে চাইবে। যা অবস্থা এখনকার পার্কের। ইশ,‌ ছোট ছোট ছেলেমেয়ে গুলো এদিক ওদিক এসে নাচানাচি করে, আড্ডা দেয় আরো কতো অসা*মাজিক কাজ। এইজন্যই কি পার্কে নিয়ে যেতে এতো দ্বিধা। দেখা করার শখ তো ষোলো আনাই আছে। না, ফাহাদ সাহেব কে আরো একটু বুঝে নিতে হবে। আরেকটু!

ফারজানা ঝটপট তৈরি হয়ে নিল। একটা সিএনজি করে সোজা চলে এলো নিউমার্কেট। শুক্রবার হয়েও আজ আসতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। কারণ সে বেড়িয়েছে দুপুরের পর পরই। নিউমার্কেটে আসার পর ভাবছে,‌ভুল হয়ে গেল। একা আসা ঠিক হয়নি। ফাহাদ সাহেব কে বলা উচিত ছিল, আপনি বাসার কাছে এসে আমায় নিয়ে যান। একসাথে যাই! ব্যাপারটা আবার ওতো সহজ না। এলাকায় মাথার অভাব নেই। শেষে তাল কে তিল বানিয়ে ফেলবে!

অন্যদিন হলে বাস দিয়েই চলে আসতে। আজ তাড়াহুড়ো করে সিএনজি দিয়ে এসেছে। কতো গুলো ভাড়া নিল। কিন্তু গায়ে লাগছে না। কেমন একটা সুখী সুখী অনুভুতি হচ্ছে তার। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে যে সময় পেরিয়ে যায়। উনার তো কোনো খবর নেই। অস্থির হয়ে ফারজানা ফোন করল উনাকে।

“কোথায় আপনি?”

“জ্যামে আটকা পড়েছি। তুমি কোথায়?”

“আমি তো সেই কখন এসে পৌঁছে গেছি। আপনি এখনো জ্যামে?”

“শুক্রবার বলে জ্যাম বেশি। আর বাইকে সমস্যা হয়েছে। সেটাও গ্যারেজে। আচ্ছা তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি দেখছি কিভাবে তাড়াতাড়ি আসা যায়।”

“আচ্ছা!”

ফারজানা এসে দাঁড়াল এক কোণায়। কিন্তু ধৈর্য্যে কুলায় না। এই জীবনে অপেক্ষা করাই যেন সবচেয়ে ভয়া*নক কাজ। সকলে করতে পারে না। হাঁটতে হাঁটতে সে এসে পৌঁছাল নীলক্ষেত। কতো গুলো বই নেড়ে দেখল। দুটো বই নিবে? কষ্ট করে এলো যখন.. নিয়েই নিল হুমায়ূন আহমেদের দুটো বই। লোকটা এখনো কেন আসছে না? ফোন দিবে আরেকটা? প্রায় ৪০ মিনিট পেরিয়েছে সে এসেছে। আচ্ছা ঘণ্টা খানেক হোক তখন কল করবে।

এই ভেবে এলো ভেলপুরি দোকানের কাছে। সময় কাটানোর জন্য এক প্লেট ভেলপুরি খেলো। সময় ঘণ্টা খানেক পেরিয়ে গেছে আরো অনেক আগেই। ফারজানা এবার দ্বিতীয় বারের মতো ফোন করার আগেই তিনি ফোন করলেন,

“হ্যাঁ, কোথায় আপনি?”

“ফ্লাইওভারের জ্যামে।”

“এখনো?”

“সরি,‌ আমি..

“আচ্ছা আজ আসা লাগবে না আপনার। আমি চলে যাচ্ছি।”

“আরে শোন তো, এই!”

ফোন কেটে গেল ওপাশ থেকে। অতঃপর অনবরত ফোন আসতে লাগল। ফারজানা ফোন সাইলেন্ট করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল। সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর পরই মৌমিতা বাসে চড়ল সে।

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ভাগ্যক্রমে জানালার পাশের সিটটা পেয়েছে সে। মন ভীষণ খারা*প। এমনও হয় কখনো? এই এতো তোড়জোড় করে এতোখানি পথ এসে একা একাই ফিরে যাচ্ছে। লোকটা এতো দায়িত্বজ্ঞানহীন! ঠোঁট কামড়ে ধরল। হাত কাঁপছে। চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে বার বার। নিজেকে বোঝাচ্ছে ফারজানা। না, এতো বড় কথা তো না। কান্নার কি হলো? কেন এতো খারা*প লাগছে। কান্না পাচ্ছে। কেন?

গাড়ি চলতে চলতে থেমে গেল চানখারপুল। প্রতিবার এখানে এসেই গাড়ি আটকাতে হবে। কখন এই জ্যাম ছাড়বে কে জানে? ফারজানা মন খারাপ করে সামনে তাকাল। খালি গাড়িতে মানুষ তরতর করে উঠে পড়ছে। তার পাশের সিটে এসে বসল এক যুবক। কালো রঙের শার্ট পরিহিত ছেলেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ভাবল,‌

“আচ্ছা ফাহাদ সাহেব কি পরে আসছেন আজ?”

আহম্মক বনে গেল। এখনো লোকটাকে নিয়ে ভাবছে সে। না না, উচিত হচ্ছে না ভাবা। মনকে ঘুরিয়ে নিল। সামনে ফিরল। ক্লান্ত, ঘামে একাকার একটা মুখের দিকে নজর পড়ল তার। লোকটা দাঁড়িয়ে বাসের দরজার সামনে। সামনে আগাচ্ছে না দেখে হেলপার মামা চেঁচিয়ে উঠলো, “সামনে যান না! দাঁড়াইয়া আছেন কেন?”

ফাহাদ সাহেবের কানে কথা ঢুকলো কি না কে জানে? সে পুরো বাসে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে একবার। হঠাৎ চোখ পড়ল এক কোণায়। কাঙ্ক্ষিত মুখটা দেখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল তার ঠোঁটের কোণে। ফারজানা চোখে মুখে বিস্ময়। ফাহাদকে মোটেও এখানে আসা করেনি সে। এটা সত্যিই ফাহাদ তো? নাকি তার ভ্রম। তাকে নিয়ে এতো ভাবছে যে লোকটা এখন ভ্রম হয়ে তার পিছু ছুটে চলছে।

ফাহাদ সাহেব এগিয়ে এসে ছেলেটাকে বলল, “একটু উঠবেন? সি ইজ মাই ওয়াইফ একচুয়েলী!‘

যুবক ছেলেটা ভদ্রলোক ছিল। দ্বিতীয় প্রশ্ন না করেই উঠে দাঁড়াল। পিছনে গিয়ে বসল। ফাহাদ হাফ ছেড়ে বাঁচল। ধপ করে বসে পড়ল ফারজানার পাশে। তার ক্লান্ত ঘামে চকচক করে মুখটা দেখে বড্ড মায়া লাগল ফারজানার। বাস চলতে শুরু করেছে আবারো!

“আপনি এখানে? কিভাবে?”

ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলে তিনি বললেন, “এতো রাগ করে মানুষ? একটু তো কল ধরতে পারতে?”

ফারজানার ব্যাগ চেপে ধরল। রক্তি*ম হয়ে বলল, “কিছু মানুষের কাণ্ডজ্ঞান না থাকলে এমনই করতে হয়।”

“সরি বাবা, আর রাগ করো না।”

মুচকি হাসির ঝলক দেখা গেল। ফারজানা স্পষ্ট দেখল, পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের লাল আভা এসে লোকটা চোখে মুখে পড়ছে। কি সুশ্রী চেহারা। অনেক সুদর্শন পুরুষের মুখ আছে, তাদের কেবল দেখতেই সুন্দর। কিন্তু কিছু মানুষের মুখে কেমন একটা প্রশান্তি ভাব থাকে। দেখলেই শান্তি লাগে। ফারজানা চোখ ঘুরিয়ে নিল। বড্ড দেখছে আজকাল লোকটাকে সে।

ধারা*লো গলায় শুধাল, “আপনি জানলেন কি করে আমি এই বাসে?”

“জানতাম না, খুঁজে নিয়েছি!”

ফারজানা ব্যাগ থেকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল, “কিভাবে? প্রতিটা বাসে আমায় খুঁজে খুঁজে?”

“এটা কয় নাম্বার বাস জানো? ৭ নাম্বার!”

ফারজানা মাথা নিচু করে ফেলল। সে আর ভাবতেই পারছে না। লোকটা প্রতিটা বাসে উঠে তাকে খুঁজেছে। আর হেলপার মামার কটু কথা, তার ধ*মক শুনেছে। দেখো কিভাবে হাসছে? নির্ল*জ্জ! মানুষ এমনও হয়। সত্যিই কি হয়? ফারজানা মন খারাপ দ্বিগুণ হয়ে গেল।

ফাহাদ পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসল। জলপাই রঙের চেক কাটা একটা শার্ট তার পরণে। সেটাও অর্ধেক ঘেমে ভিজে উঠেছে। ফাহাদ শার্টের হাতা দিয়ে কপালের ঘাম মুছছে। তা দেখে ফারজানা তার সুতি উড়না এগিয়ে দিল। ফাহাদ মুচকি হেসে বলল,‌ “ম্যাডাম,‌ রা*গ কমেছে আপনার?”

“এসব পাগলামির মানে কি?”

“একটু পাগলামি করে যদি আপনার মন পাওয়া যায় সেটাই বিরাট কিছু আমার কাছে।”

“মানুষজন কি ভাবলো আপনাকে বলুন তো?”

“কেন, পাগল!”

“অ*সহ্য?”

ফাহাদ হেসে উঠল। ফারজানা তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলল,‌“হাসছেন।”

সাথে সাথে হাসি সরিয়ে মুখটা মলিন করে ফেলল। ফারজানা বলল,
“কি হতো আমি যদি একটা সিএনজি ধরে চলে যেতাম? পেতেন আমায়?”

“কি জানি? আমি শুধু চেষ্টা করে গেছি। জানতাম আপনাকে পাবো। আমি শুধু আমার হৃদয়ের কথা শুনেছি।”

“কি আছে ওই হৃদয়ে?”

“ওমা,‌ জানেন না? আপনি ছাড়া আর কে?”

বলেই মৃদু হাসল লোকটা। ফারজানা ঠোঁট চেপে ধরে মুখ ঘুরিয়ে নিল আবারো। ব্যাগ থেকে ফোন হাতে নিয়ে উঁকি মারল। ১০০+ মিসকল আর ৭৫+ মেসেজ দেখে তার চক্ষু কপালে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল,‌ “আজ নাই দেখা হতো। এতো কষ্ট না করে রাতে সরি বলে দিতে পারতেন না আপনি?”

“না‌ পারতাম না। তখন সরির মূল্য কি থাকত? আর তাছাড়া আমার কাছে তো আরো অপশন ছিলো। আমি কেন রাতের অপেক্ষা করতে যাব। কেনই বা আরো দুদিন অপেক্ষা করব আপনাকে দেখার জন্য!”

ফারজানা মুখ ঘুরিয়ে জানালার বাইরে তাকাল। তার ঠোঁটে হাসির রেখা। কেন এতো ভালো লাগছে। একটা মানুষ তাকে পাবার জন্য এতোটা এর্ফোট দিচ্ছে। অন্যকেউ হলে কি কখনো দিত? কখনো‌ তার রাগ ভাঙানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকত। ওদিক থেকে এখানে আসতে কি তার ঘণ্টা খানেকের কম সময় লেগেছে?

“শুনছেন?”

“হু।”

“বাসায় চলে যাবেন?”

“তা নয়তো কি?”

“১০ মিনিট সময় কি হবে না?”

“না অনেক সময় নষ্ট করেছি।”

“দেখুন না। আপনার দয়া মায়ার ভাণ্ডার থেকে দিতে পারেন কি না?”

ফারজানা চোখ মুখ কুঁচকে তাকাল তার পানে। বাইরের দমকা হাওয়ায় তার চুলগুলো এসে মুখের উপর আছড়ে পড়ল। ফারজানার মুখের কঠো*রতা তখনো বিদ্যমান। আচমকা বলে উঠলো, “আপনি তখন ওই ছেলেটাকে কি বললেন? আপনার বউ আমি?”

ফাহাদ দাঁত বের করে হাসল। তার মুখ লাল হতে শুরু করেছে। লজ্জা পাচ্ছে? লজ্জা পাবার মতো কি বলল সে। ফাহাদ বলল, “তা না বললে কি আপনার সাথে বসতে পারতাম। আর দেরি কিসের? একদিন তো হবেনই।

ফারজানা তর্ক বাড়াল না। কেবল রাগ করে মুখটা ঘুরিয়ে নিল। ইশ, কি শখ! এই লোকটার বউ হবার জন্য মনে হয় সে ম*রে যাচ্ছে।

বাস থেকে কাঙ্ক্ষিত স্টপে নামল দুজন। এখান থেকে একটা রিক্সা নিলেই ফারজানা এলাকার মধ্যে চলে যায়। তবু দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ ওদিক মুখ করে। ফাহাদ হেসে বলল, “ওদিকে যাই?”

ফারজানা আগে আগে পা বাড়িয়ে বলল, শুধু ১০ মিনিট!”

“জি আজ্ঞে ম্যাডাম!”

১০ মিনিট তো নামে। কথা বলতে বলতে কখন যে ঘণ্টা খানেক পেরিয়ে গেল ফারজানা নিজেও টের পেলো না। যখন টের পেলো তখন ল*জ্জায় তার মুখটা লাল হয়ে গেল। চট করে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আমি যাই এবার।”

“একটু দাঁড়ান। রিক্সা অবধি এগিয়ে দিয়ে আসি..

কফি শপ থেকে দুজনে বেরিয়ে গেল। ফাহাদ ফারজানাকে রিক্সায় চড়িয়ে দাঁড়াতে বলল। সামনের মুদি দোকান থেকে কয়েকটা আইসক্রিম কিনে এনে তার হাত দিল। ফারজানা বিরক্তি হয়ে বলে, “এতো আইসক্রিম কে খাবে?”

“কেন আপনি? ফ্রিজে রেখে রাখবেন। তখনো শেষ না হলে মাঝে মধ্যে আমার জন্য নিয়ে আসবেন।”

“পাগল একটা!”

নিচু স্বরে কথাটা বলে হাতে প্যাকেট টা নিয়ে নিল। রিক্সা চলতে শুরু করেছে। ফাহাদ কে ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। আজও সেই অনুভূতি, সেই একাকীত্ব। মনে হচ্ছে দামী কিছু একটা ফেলে যাচ্ছে। দামী? অমূল্য তিনি! রিক্সা থেকে উঁকি মেরে পিছন ফিরল। লোকটা এখনো দাঁড়ানো। ফারজানাকে দেখতে পেয়েই হাত নাড়ালো। ফারজানা মুখ ভেংচি কেটে সোজা হয়ে বসল। আচমকা হেসে উঠল। মুখ ঢেকে লজ্জায় হেসে উঠল সে।

বাসায় ফিরে মা আর খালাদের পেলো। একটা বিষয় নিয়ে তারা চেঁচামে*চি করছে। না কথাই বলছে। তাদের কথা বলার ধরণই এমন। ফারজানা ঘরে ঢুকতে যাবে ওমনি তাদের কথাবার্তা কানে এলো তার, “হ্যাঁ হ্যাঁ ঘটককে না বলে দিয়েছি। হ্যাঁ এসেছিলো আজ। কতো বলল, বললাম মেয়ের বাবা রাজি না। এরপর থামল।”
এরপর আরো কতো শত কথা কিন্তু ফারজানার কানে সেই কথাটাই গেলো।

না করে দিয়েছে, তারা ঘটককে না করে দিয়েছে। ইশ, এখন কি করবে সে? ফাহাদকে কি বলবে? মুখ কিভাবে দেখাবে ও। আর কি বউ হতে পারবে না? বুকটা খালি খালি লাগছে। অস্বস্তি হচ্ছে ভীষণ। কি হলো এটা? এতো সুন্দর একটা বিকেল পার করে এসে এমন বিভীষি*কাময় একটা ব্যাপার ঘটল। শরীরে কাঁ*টা দিয়ে উঠল, মুখ তি*তকুটে লাগছে। অসহ্য লাগছে। কাউকে কিছু বলতে পারছে না বলে বুকটা যেন ফে*টে যাচ্ছে। তাহলে কি ফাহাদ সাহেবের বউ হতে পারবে না সে? পাবে না তাকে? উনাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে সে?

#চলবে…