#আষাঢ়িয়া_প্রেম 💓
লেখনিতে #মিমি_মুসকান
#পর্ব_৬
আরেকটি সুন্দর সকাল। রাতের অন্ধকারের সমস্ত তিক্ততা কাটিয়ে নতুন এক সকাল। ফুরফুরে মেজাজ, ঠান্ডা হাওয়া মিলিয়ে মনটাকে শান্ত করে তুলে। এরপর রাতে আবার বৃষ্টি হয়েছে। ভোর রাতেও ঝিরঝিরি বৃষ্টি অথচ এখন আকাশ কি পরিষ্কার। রাস্তার মাঝে কাদামাটি। দুই ধারে ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তা ধরে এগিয়ে গেছে গন্তব্যহীন প্রান্তরে। পরপর আজ দুটো ক্লাসই ক্যানসেল হলো। মেয়ে গুলো ক্লাসরুম থেকে বের হতে হতে বিরক্তি প্রকাশ করল। আগে বলে দিলে কি হতো? এতো কষ্ট করে এতো দূর আসার পর কি না এই। এতো বিরক্তির মধ্যেও ফারজানা মন আবার ফুরফুরে। এভাবেও ক্লাস করতে ইচ্ছে করছিলো না। ক্লাস হবে না শুনে বিষণ্ণ মন মূহূর্তেই প্রফুল্ল হয়ে উঠল। বান্ধবী ললিতা ডাকল একবার। যাবি নাকি ঘুরতে? সবাই তো যাচ্ছে?
ফারজানা মি*থ্যে বাহানা করে তাড়া দেখিয়ে বেরিয়ে গেল। ইদানিং ওদের সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে না। একা একা প্রথমে ঘুরল পুরো ক্যাম্পাস। লোকটাকে তো দেখতে পাচ্ছে না। ডিপার্টমেন্ট ও পায়নি। মাথা নুইয়ে নিজের হাতের সবুজ চুড়ি গুলো দেখল। মন খারাপ থাকলে অন্যরা কি করে জানে না, তবে তার মতে বেশিরভাগ মেয়েরাই সাজগোজ করে। এই এক পন্থা তাদের মন ভালো করার। ফারজানা ও তাই।
শুভ্র রাঙা সেলোয়ার কামিজ, গলায় ঝুলছে সবুজ ওড়না। এখানে আসার আগেও বুঝিনি রাস্তায় এতো কাঁদা থাকবে। তাই এবার ভ*য় হচ্ছে। সাবধানে পা ফেলে হাঁটছে। একটু বেসামাল হলেই তো..
ভার্সিটির গেট দিয়ে বেরুলো। মানুষজন এখানে আছে কিছু। ওই তো চায়ের দোকানে ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছে। ফারজানা উঁকি ঝুঁকি মেরে দেখল। ফাহাদ সাহেবকে কি দেখা যায়? দেখতে পেলো যেন? পেছন থেকে দেখতে সেই লম্বা, এক ঝাঁক মাথার চুল। দেখতে তো ফাহাদ সাহেবই মনে হচ্ছে। হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দোকান ছেড়ে একটু দূরে এসে দাঁড়াল সে। এদিক সামনে ফিরে অপ্রত্যাশিত মুখটা দেখে ঘাবড়ে উঠল। গরম চা পড়ল হাতের উপর। তবুও কোনো হুদিশ নেই। পুরোপুরি যেন অজ্ঞাত সে। দু কানে দুটো হেডফোন। সেখানে বাজছে ভালোবাসার গান। তার মস্তিষ্ক মন সমস্ত কিছু যেন এক সুতোয় বাঁধা পড়ল।
ফাহাদ সাহেব কে চিনতে পেরে ফারজানা ভীষণ খুশি। সে হাত নাড়িয়ে তার সামনে এসে দাঁড়াল। যতই সামনে এগিয়ে আসছে ততোই মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফাহাদের নয়নের মণিকোঠা ততোই ছোট আর স্থির হয়ে উঠছে। ফারজানা হাত নাড়িয়ে বলল, “হ্যালো!”
ফাহাদ নিমগ্ন! তার চোখের পাতাও নড়ছে না। ফারজানা তার সামনেই হাত নাড়াচ্ছে। লোকটা কি ঘোরে চলে গেল নাকি? ফারজানা অনেকক্ষণ যাবত ডাকার পর ফাহাদের হুঁশ ফিরল। লজ্জিত হয়ে কানের হেডফোন খুলে রেখে বলল, “সরি সরি শুনতে পায়নি।”
“শুনতে পান নি মানে? আমি তো আপনার সামনেই দাঁড়িয়ে।”
ফাহাদ মাথা নিচু করে হাসল। মূহুর্তে তার মুখাবয়ব রক্তিম আভায় মিশে গেল। ফারজানা কাঁধের ব্যাগটা শক্ত করে ধরে বলল, “লজ্জা পাচ্ছেন? লজ্জা কেন পাচ্ছেন? আমি এমন আর কি বললাম!”
“না, তেমন কিছু না। আপনাকে দেখতে আজ ভারী সুন্দর লাগছে।”
“ওহ তো এতোই সুন্দর লাগছে যে আমায় ভুলে গেলেন?”
ফাহাদ মৃদু হেসে শুধায়, “চা খাবেন?”
“খাওয়া যেতেই পারে।”
নিজের চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বলল, “নিন। আমি এখনো খাইনি। আরেক কাপ নিয়ে আসছি।”
সে ফিরে গেলো। কিছুক্ষণের মধেই ফিরে এলো। একটু একটু করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে চায়ের সাথে। অথচ ফাহাদের মনে হলো তার কানে এসে ভ্রমরা গান করছে। কিসের শব্দ এটা? আড়চোখে ফিরে তাকাল। কাঁচের চুড়ির শব্দ। হ্যাঁ, ফারজানা হাত নাড়াচ্ছে আর সাথে সাথে চুড়িগুলো একটার সাথে আরেকটা ধাক্কা খেয়ে শব্দ তৈরি করছে। ছন্দের মতো সুরটা। ঠিক গানের মতো।
চায়ের কাপ শেষ করে ফারজানা বলল, তো এবার?”
ফাহাদ রাস্তায় নজর দিল। খালি রিক্সা দেখে বলল, “আসুন রিক্সায় চড়ি।”
বলামাত্র অপেক্ষা। দু’জনে চড়ে বসল রিক্সায়। গন্তব্য টিএসসির মোড়। ছোট্ট রিক্সায় পাশাপাশি বসে দুজন। দুজনের মাঝে বিস্তর ফারাক নেই। একটু বাদে বাদে শরীর যেন ঘেসছে। ফাহাদ ততোই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। ফারজানার নজর থেকে আড়াল হলো না বিষয়টা। ফাহাদ সাহেব বলে উঠলেন, “আপনার কি আনকর্মফোট ফিল হচ্ছে? প্লিজ হলে বললেন।”
“না না, আমি ঠিক আছি। আপনি ভালো করে বসুন মশাই। নাহলে তো রিক্সা ছে*ড়ে রাস্তায় উপর গিয়ে গড়াগড়ি খাবেন।”
ফাহাদ ঠোঁট চেপে হাসল। একটু শান্ত হয়ে বসল এবার। একটু আড়চোখে ফারজানাকে দেখার চেষ্টা করছে। শুধু তার কানের দুল ছাড়া কিছুই দেখতে পারছে না। মেয়েটিকে আজ অত্যাধিক সুন্দর লাগছে। এই সৌন্দর্য তার চোখে লাগছে। হৃদয় দ*গ্ধ হচ্ছে তী”ব্র প্রে*মের আ*গুনে। এই উত্তা*প তার পুরো শরীরে শি*হরণ বয়ে দিচ্ছে।
এই প্রেম প্রেম মূহূর্ত ফারজানা উপলব্ধি করতে পারছে না। কারণ তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে বিয়ের কথা। বিয়েতে তো তার পরিবার না করে দিয়েছে। উনি নিশ্চিত জানে। এসব জানাজানির পর কি এভাবে একসাথে যাওয়াটা ঠিক হচ্ছে। না গিয়েই আবার উপায় কি?
“ক্লাস ক্যানসেল হয়ে গেল বুঝি?”
ফারজানা অন্যমনস্ক ছিল। কানে কথা যেতে দেরিই হলো। অতঃপর চমকে উঠে বলল, “কিছু বললেন?”
“ক্লাস ছিলো না আজ।”
“না ক্যানসেল হলো তো। পরপর দুটো ক্লাস।
“ভালোই হলো। এই সুযোগে আপনার সান্নিধ্য পাবার পরম সৌভাগ্য হলো।
“ইশ বাজে কথা!”
এদিকে ফিরে তাকাল ফারজানা। শার্টের কলার নজরে এলো। না মানে ওই বুকের উপর দুটো শার্টের বোতাম খোলা যে। হেডফোনের তার দুটো ঝুলছে ওখানে। সে হাত বাড়িয়ে বলল, “দেখি কি গান শুনেছিলেন আপনি?”
ফাহাদ তার কানে হেডফোন গুঁজে দিল। নিজেও কানে গুজল। হেডফোনের ছুতোয় ঘনিষ্ঠতা বাড়ল আরও কিছুটা। কিন্তু গান বাজল অন্যরকম কিছু। ফাহাদের মাথাইতেই ছিল না। ফারজানা কপাল কুঁচকে গান শুনছে,
“চোখে চোখ যেই পড়েছে
অ্যান্টেনা ঠিক নড়েছে
হৃদয়ের কানেকশনে-এ তরতাজা সিগন্যাল
আজকাল হঠাৎ করে বুকে প্রেম-ফানুস ওড়ে
তোকে মন দিয়ে এবার বদলেছে দিনকাল”..
ফারজানা মুখে হাত চেপে হেসে বলল, “ওহ তাহলে সাহেব এই গান শুনেই আমায় ভুলে গেলেন। চোখের সামনে থেকেও দেখতে পেলেন না।”
“না না এরকম কিছু না। এটা তো মানে? দেখি বাদ দিন। গান শোনা লাগবে না।”
“ওমা কেন? আমি তো শুনব। শুনি একটু!”
“বাদ দিন না।”
“উহু না না।”
ফারজানা পুরো মনোযোগ দিয়ে গান শুনছে আর ফাহাদের দিকে ফিরে মিটিমিটি করে হাসছে। বেচারা ভালো বেকায়দায় পড়ে গেছে।
সকাল বেলা। মানুষ জন রাস্তায় তেমন একটা নেই। পুরোটাই ফাঁকা। এই রাস্তার ধার ধরেই দু’জনে এগিয়ে এসে থামল শাহবাগের ফুলের দোকানে। চারদিকে রাশি রাশি ফুলের বাহার। ফারজানা উসখুস করছে। অনেক তো হলো। এবার আসল কথাটা বলা যাক। তিনি তো বোধহয় সবটাই জানে। দু হাতে উড়নার আঁচল পেঁচিয়ে আনমনে ভেবেই যাচ্ছিল সে। আমচকা ঠান্ডা হাতের স্পর্শে ঘাবড়ে উঠল। চট করে হাতটা যেভাবে তাকে ছুঁয়ে দেখল তেমনি ভাবে সরে গেল। রিক্সাটা পাশ বেয়েই গেল। ফাহাদ অপ্রস্তুত গলায় বলল,
“আপনাকে ডাকলাম শুনছিলেন না। তাই। সরি..
সরি? সরি কেন বলল? হাত ছুঁয়ে দেখল বলে। এতো দ্বিধা লোকটার। নাকি জিজ্ঞেস না করেই ধরেছিল বলে এমন। ভীষণ অপ্রী*তিকার অবস্থা। ফাহাদ সরে দাঁড়িয়ে বলল, “আপনি এদিকে চলে যান। ওদিক দিয়ে অনেক রিক্সা, গাড়ি আসে।”
ফারজানা মাথা দুলিয়ে এদিক চলে গেল। দুজনে হাঁটছে পা মিলিয়ে সমান তালে। হাঁটতে হাঁটতে ফাহাদ নিজেই বলে উঠলো, “কাল ঘটক গিয়েছিলেন আমাদের বাড়িতে!”
ধক করে উঠল ফারজানার বুকটা। ফাহাদ থামল। সামনের ফুলের দোকান থেকে একটি রজনীগন্ধার ফুলের মালা কিনল। ফারজানা মিনমিন স্বরে বলল, “আসলে ওই আমি..
ফাহাদ ফুল তার দিকে বাড়িয়ে বলল, “না করে দিয়েছেন বিয়েতে।”
ফারজানা নিস্তব্ধ। তার গলা খুসখুস করছে। চোখ জ্বা*লা করছে। কি অদ্ভুত নিয়তি। লোকটা তার সামনে ফুল হাতে বিয়ে প্রত্যা*খ্যানের কথা তুলছে। এতোটা নিষ্ঠু*র না হলেও হতো সময়টা। সব দো*ষ তো তারই..
বাক*রুদ্ধ নয়নে চেয়ে রইল। ফাহাদ তার দিকে বাড়িয়ে দিল ফুলের মালা। ফারজানা ঠোঁট চেপে ফুলটা হাতে নিল। ফাহাদ সাথে সাথে বলল, “আরেকবার সুযোগ কি পাওয়া যাবে?”
ফারজানা থমকে গেল। ঠান্ডা বাতাসে তার গা ছুঁয়ে গেল। সামনে ফাহাদ সাহেব ছাড়া আর কাউকে নজরে পড়ছিলো না তার। এই যে রিক্সার টুং টুং শব্দ, বাসের হর্ণ সবকিছু যেন ধোঁয়াশা হয়ে গেল। সামনে কেবল ফাহাদ সাহেবকেই নজরে পড়ছিলো তার। লোকটার মুখে মুচকি হাসি। কি সুন্দর হাসি!
রাত তখন ১২ টা। ফারজানা ঘরে বসে পায়চারি করছে অস্থি*রতায়। বুকের উড়*না চেপে ধরে এদিক থেকে ওদিক ছোটাছুটি করছে। দেখছে ঘড়ির কাঁটা। ফাহাদ সাহেব রাত দুটো অবধি সময় দিয়েছেন। বলেছেন রাত দুটোর মধ্যে তার মত জানাতে। কি চায় সে? এই বিয়ে করবে নাকি করবে না? বিয়েতে তার মত কি? ফারজানার মত এখন সবার উর্ধ্বে।
ফারজানা আলমারির কাছে এগুলো। মনে আছে চকলেট বক্সের কথা। হ্যাঁ চকলেট দু একটা এখনো আছে। সেখান থেকে একটা মুখে দিল। আর মনে আছে? কিসের কথা? চিরকুট! হ্যাঁ, দুটো চিরকুট? লাল আর নীল। তিনি বললেন, মত থাকলে লাল চিরকুট আর না থাকলে নীল চিরকুট দিতে। কিন্তু কিভাবে দিবে? তাও এতো রাতে..
আচ্ছা কিন্তু কোন চিরকুট দিবে? লাল? কি নীল? কি চায় সে? বিয়ে তো ছেলেখেলা নয়। সারাজীবনের ব্যাপার। আজ তার সাথে চেনাজানা মোটে ১০ দিনের কাছাকাছি। এতো টুকু সময়ে কাউকে কি ভালো ভাবে চেনা যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি? যাবে না কেন? মনের কথা শুনলেই তো সহজ হয়ে যায়। ফারজানা চোখ বন্ধ করে অ*স্থির মনকে শান্ত করার চেষ্টা করল। মনে পড়ল সেদিকার কথা। কি কেঁদেছি*লো সে! যখন শুনল বিয়েটা হবে না তখন কি দম ব*ন্ধ লাগছিলো। কি আশ্চর্য! ব্যাথা যেন দ্বিগু*ন হয়ে উঠছে। কি ব্যাকুলতা!
রাত্রির তখন দুটো বাজে। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিকে। এই অন্ধকারে ফাহাদ সাহেব দাঁড়িয়ে ফারজানার বাসার সামনে। তার সামনের বিশাল প্রাচীরের একটা গেট। কথা ছিল দুটোর মধ্যেই জবাব দিতে হবে। এরপর আর সে জবাব চাইবে না। আর বির*ক্ত করবে না তাকে। কখনোই না। জীবন থেকে এমনিভাবে চলে যাবে যে, ভুলেই যাবে তার কোনো অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু দুটো তো বেজে চলল। কই? এখনো তো কিছু..
ফাহাদ একটা সিগারেট ধরাল। দুটো বেজে গেছে। তবে জবাব কি আর আসবে না। কথামতো সে আর দাঁড়াবে না। ফিরে যাবে। পা বাড়াল অথচ হাঁটছে পারছে না। যেন সমস্ত শক্তি শুষে নিচ্ছে কেউ একজন। চোখ জ্বা*লা করছে। ফাহাদ সমস্ত রা,গ পুষি*য়ে নিল সিগারেটে এক টান দিয়ে। মনকে শক্ত করে পা বাড়াতে গিয়ে চোখ পড়ল সামনের ডাক বাক্সে। কি জানি ভেবে আগালো সেখানে। তারা জানত না কিভাবে দেখা করবে, কিভাবে জবাব দিবে? তবে জবাব পাওনা ছিলো। জবাব সে পেলো ডাকবাক্সে। পুরনো লাল রঙ উঠা ডাক বাক্স। সেখানে হাত দিতেই কেবল একটা কাগজ পাওয়া গেল। হাতের সিগারেট ফেলে দিল ফাহাদ। তার পুলকিত মনে অসম্ভব এক মনস্ককামনা পূরণের ইচ্ছা। মুঠোয় কাগজ হাতড়ে ল্যাম্পপোস্টের কাছে এসে দাঁড়াল। ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন আলোয় হাতের মুঠো খুলে নীল রাঙা চিরকুট দেখতে পেল সে। শান্ত রইল। মনের অনুভূতি কে অজানাই রেখে দিল। শক্ত হাতে দম ফেলে লেখা পড়ার চেষ্টা করল। কি লেখা আছে এতে। ফাহাদ শার্টের হাতায় চোখ মুছে লেখা পড়ার চেষ্টা করল। স্পষ্ট কালিতে লেখা,
“আপনার জীবনের অর্ধাঙ্গিনী করবেন আমায়..
লেখা গুলো একটু বাঁকা বাঁকা টাইপের। লিখতে গিয়ে হাত কাঁপছিল বার বার। সুন্দর হয়নি লেখাটা। চিরকুট তো একটাই ছিল তা না হলে?
নিচের মানুষটা উপরে তাকাতেই পর্দার আড়ালে লুকিয়ে গেলো ফারজানা। দু হাতে বুকের ওড়না আঁক*ড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নিল। কি অদ্ভুত অস্থির*তা! নতুন এক গল্পের, নতুন কিছুর, অজানা ভবিষ্যতে, গল্প অজানা পথের দুই পথিকের….
#চলবে…